কুরআন মাজীদ শিক্ষাদানের বিনিময়ে ও ঝাড়ফুঁককারীর মজুরী

কুরআন মাজীদ শিক্ষাদানের বিনিময়ে ও ঝাড়ফুঁককারীর মজুরী

কুরআন মাজীদ শিক্ষাদানের বিনিময়ে ও ঝাড়ফুঁককারীর মজুরী >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ১২, অধ্যায়ঃ (৭-১০)=৪টি

১২/৭. অধ্যায়ঃ ঝাড়ফুঁককারীর মজুরী
১২/৮. অধ্যায়ঃ কুরআন মাজীদ শিক্ষাদানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ ।
১২/৯. অধ্যায়ঃ কুকুরের বিক্রয় মূল্য, যেনার বিনিময়, গণকের বখশিশ ও পাঁঠার ভাড়া গ্রহণ নিষিদ্ধ।
১২/১০. অধ্যায়ঃ রক্তমোক্ষকের উপার্জন।

১২/৭. অধ্যায়ঃ ঝাড়ফুঁককারীর মজুরী

২১৫৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের তিরিশজন অশ্বারোহীকে এক ক্ষুদ্র সামরিক অভিযানে পাঠান। আমরা এক সম্প্রদায়ের নিকট পৌঁছে যাত্রাবিরতি করলাম এবং আমাদের মেহমানদারী করার জন্য তাহাদের অনুরোধ করলাম, কিন্তু তারা অস্বীকার করলো। ঘটনাক্রমে তাহাদের নেতা [বিষাক্ত প্রাণীর] হুলবিদ্ধ হল।তারা আমাদের কাছে এসে বলিল, তোমাদের মধ্যে এমন কি কেও আছে, যে বিছার কামড়ে ঝাড়ফুঁক করিতে পারে? আমি বলিলাম, হাঁ, আমি পারি। তবে তোমরা আমাদেরকে এক পাল ছাগল-ভেড়া না দিলে আমি ঝাড়ফুঁক করব না।তারা বলিল, আমরা তোমাদেরকে তিরিশটি বকরী দিব। আমরা তা গ্রহন করলাম এবং আমি তার উপর সাতবার আলহামদু সূরা পাঠ করলাম। সে সুস্থ হয়ে উঠলো এবং আমরা ছাগলগুলো গ্রহন করলাম। পরে এ ব্যাপারে আমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে আমরা বলিলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আমাদের না পৌঁছা পর্যন্ত তোমরা তাড়াহুড়ো করোনা। আমরা তাহাঁর নিকট উপস্থিত হবার পর আমি যা করেছি তা তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি বলেনঃ তুমি কিভাবে জানলে যে এটা দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়! তোমরা সেগুলো বণ্টন করে নাও এবং তোমাদের সাথে আমাকেও একটি ভাগ দাও। {২১৫৬}

[উপরোক্ত হাদিসের ৩টি সনদের ১টি বর্ণীত হয়েছে।অপর দুটি সনদ হলঃ]২/২১৫৬[১]. <আবু কুরায়ব><হুশায়ম><আবু বিশর><ইবনি আবিল মুতাওয়াক্কীল><আবুল মুতাওয়াক্কিল><আবু সাঈদ [রাদি.]>৩/২১৫৬[২]. <মুহাম্মাদ বিন বাশশার><মুহাম্মাদ বিন জাফার><শুবাহ><আবু বিশর><আবুল মুতাওয়াক্কিল><আবু সাঈদ [রাদি.]> সুত্রেও অনুরূপ বর্ণীত হয়েছে। আবু আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, সঠিক নাম হল আবুল মুতাওয়াকিকল [যিনি আবু সাঈদ রাদি. থেকে বর্ণনা করেছেন]। {২১৫৬}তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।

{২১৫৬} সহীহুল বুখারী ২২৭৬, ৫০০৭, ৫৭৩৬, ৫৭৪৯, মুসলিম ২২০১, তিরমিজি ২০৬৩, আবু দাউদ ৩৪১৮, ৩৯০০, আহমাদ ১০৬৭৬, ১১০০৬, ১১০৮০, ১১৩৭৮, আল-হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ১/৫৫৯, ইরওয়া ১৫৫৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/৮. অধ্যায়ঃ কুরআন মাজীদ শিক্ষাদানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ ।

২১৫৭. উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি. হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আহলে সুফফার কিছু সংখ্যক লোকদের কুরআন মাজিদ ও লেখা শিখাই। তাঁদের একজন আমাকে একটি ধনুক উপহার দেয়। আমি [মনে মনে] বলিলাম, এটি তেমন উল্লেখযোগ্য মাল নয়। এটির সাহায্যে আমি আল্লাহ্‌র পথে তীর মারতে পারবো। আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলিলেন, তোমাকে জাহান্নামের জিঞ্জীর পরানো হলে তাতে তুমি খুশি হইতে পারলে এটি গ্রহণ করো। {২১৫৭}

{২১৫৭} আবু দাউদ ৩৪১৬, আহমাদ ২২১৮১, বায়হাকী ৯/৩৭৭, সহিহাহ ২৫৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. মুগীরাহ বিন যিয়াদ আল-মুসালী সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম তিরমিযি বলেন, কিছু আহলে ইলমগন তার হাদিস মুখস্ত করা পূর্বে হাদিস বর্ণনার সমালোচনা করেছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন রাফি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬১২৬, ২৮/৩৫৯ নং পৃষ্ঠা] ২. আসওয়াদ বিন সালাবাহ সম্পর্কে আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি শাম শহরে পরিচিত। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯৯, ৩/২২০ নং পৃষ্ঠা] উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আসওয়াদ বিন সালাবাহ এর কারণে সনদটি দুর্বল। হাদিসটির ৭৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৩ টি জাল, ৭ টি অধিক দুর্বল, ২০ টি দুর্বল, ৩৭ টি হাসান, ১২ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ আবু দাউদ ৩৪১৬, আহমাদ ২২১৮০, ২২২৫৯।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৫৮. উবাই বিন কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি এক ব্যাক্তিকে কুরআন শিক্ষা দিলে সে আমাকে একটি ধনুক উপহার দেয়। আমি তা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেন, তুমি এটি গ্রহণ করলে [জানবে যে], তুমি জাহান্নামের একটি ধনুক গ্রহণ করেছ। অতএব আমি তা ফেরত দিলাম। {২১৫৮}

{২১৫৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ১৪৯৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান বিন সালম সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৩৬, ১৭/১৪৮ নং পৃষ্ঠা] উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আব্দুর রহমান বিন সালম এর কারণে সনদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৩ টি অধিক দুর্বল, ৭ টি দুর্বল, ৮ টি হাসান, ১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুজামুল আওসাত ৮০০০।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/৯. অধ্যায়ঃ কুকুরের বিক্রয় মূল্য, যেনার বিনিময়, গণকের বখশিশ ও পাঁঠার ভাড়া গ্রহণ নিষিদ্ধ।

২১৫৯. আবু মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] কুকুরের মুল্য, যেনার বিনিময়, গণকের বখশিশ ভোগ করিতে নিষেধ করেছেন। {২১৫৯}

{২১৫৯} সহীহুল বুখারী ২২৩৭, ২২৮২, ৫৩৪৬, ৫৭৬১, মুসলিম ১৫৬৭, তিরমিজি ১১৩৩, ১২৭৬, নাসায়ী ৪২৯২, ৪৬৬৬, আবু দাউদ ৩৪২৮, ৩৪৮১, আহমাদ ১৬৬২২, ১৬৬২৬,১৬৬৩৯ মুয়াত্তা মালেক ১৩৬৩, দারেমী ২৫৬৮, ইরওয়া ১২৯১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৬০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুকুরের মুল্য ও পাঁঠার ভাড়া গ্রহণ করিতে নিষেধ করেছেন। {২১৬০}

{২১৬০} নাসায়ী ৪২৯৩, ৪৬৭৩, আবু দাউদ ৩৪৮৪, আহমাদ ৭৯১৬, ৮১৮৯, ৯১০৮, ১০১১১, দারেমী ২৬২৩, ২৬২৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৬১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিড়ালের মুল্য গ্রহণ করিতে নিষেধ করেছেন। {২১৬১}

{২১৬১} মুসলিম ১৫৬৯, তিরমিজি ১২৭৯, নাসায়ী ৪২৯৫, ৪৬৬৮,আবু দাউদ৩৪৮০,৩৪৭৯ আহমাদ ১৪২৪২, ১৪৩৫৩, ১৪৭২৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনি লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাহাকে দুর্বল বলিয়াছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনিস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১০. অধ্যায়ঃ রক্তমোক্ষকের উপার্জন।

২১৬২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] রক্তমোক্ষন করান এবং রক্তমোক্ষককে পারিশ্রমিক দেন। ইবনি মাজাহ [র] বলেন, ইবনি আবু উমার এই হাদিসের একক রাবি। {২১৬২}

{২১৬২} ইবনি মাজাহ ১৬৮২, ৩০৮১, সহীহুল বুখারী ১৮৩৫, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ২১০৩, ২২৭৮, ২২৭৯, ৫৬৯৪, ৫৬৯৫, ৫৬৯৯, মুসলিম ১২০২, তিরমিজি ৭৭৫, ৭৭৬, ৭৭৭, ৮৩৯, নাসায়ী ২৮৪৫, ২৮৪৬, ২৮৪৭,আবু দাউদ ১৮৩৫, ১৮৩৬, ২৩৭৩, আহমাদ ১৮৫২, ১৯২২, ১৯৪৪, ২১০৯, ২১৮৭, ২২২৯, ২২৪৩, ২২৪৯, ২৩৫১, ২৫৩২, ২৫৮৪, ২৬৫৪, ২৭১১, ২৭৮৫৩, ২৮৮৩, ৩০৬৫, ৩০৬৮, ৩২০১, ৩২২৩, ৩২৭২, ৩৫১৩, দারেমী ১৮১৯, ১৮২১, মুখতাসার শামাইল ৩১১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৬৩. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রক্তমোক্ষন করান এবং আমাকে নির্দেশ দিলে আমি রক্তমোক্ষকের পারিশ্রমিক পরিশোধ করি। {২১৬৩}

{২১৬৩} আহমাদ ৬৯৪, আল-মুখতাসার ৩১০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আলা সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, যারা হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন তিনি তাহাদের একজন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৮৪, ১৬/৩৫২ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৬৪. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] রক্তমোক্ষন করান এবং রক্তমোক্ষককে তার পারিশ্রমিক দেন। {২১৬৪}

{২১৬৪} বুখারী ২১০২, ২২১০, ২২৭৭, ২২৮০, ২২৮১, ৫৬৯৬, মুসলিম ২৯৫২, ২৯৫৩, ৪০৯২, তিরমিজি ১২৭৮, আবু দাউদ ৩৪২৪, আহমাদ ১১৫৫৫, ১২৩৪৪, ১২৪৭২, মুয়াত্তা মালেক ১৮২১, দারেমী ২৬২২, মুখতাসার শামাইল ৩০৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।. হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৬৫. আবু মাসউদ উকবাহ বিন আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রক্তমোক্ষেণের উপার্জন ভোগ করিতে নিষেধ করেছেন। ¬¬{২১৬৫}

{২১৬৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৬৬. মুহায়্যিসাহ বিন মাসউদ বিন কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তিনি নাবী [সাঃআঃ] কে রক্তমোক্ষকের উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি তাহাকে তা ভোগ করিতে নিষেধ করেন। তিনি নাবী [সাঃআঃ] কে তার প্রয়োজনের কথা বললে তিনি বলেন, তুমি তোমার উটের আহার সংগ্রহে তা খরচ করো। {২১৬৬}

{২১৬৬} তিরমিজি ১২৭৭, আবু দাউদ ৩৪২২, আহমাদ ২৩১৭৭, ২৩১৮০, মুয়াত্তা মালেক ১৮২৩, বায়হাকী ৯/৩৩৭, সহিহাহ ১৪০০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply