যুদ্ধের হাদিস – মুশরিক, গনীমতের মাল, মহিলাদের বায়আত

যুদ্ধের হাদিস – মুশরিক, গনীমতের মাল, মহিলাদের বায়আত

যুদ্ধের হাদিস – মুশরিক, গনীমতের মাল, মহিলাদের বায়আত >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২৪, অধ্যায়ঃ (২৬-৪৬)=১৪টি

১৮/২৬ অধ্যায়ঃ মুশরিকদের পাত্রে আহার করা
১৮/২৭ অধ্যায়ঃ মুশরিকদের সাহায্য চাওয়া
১৮/২৮ অধ্যায়ঃ যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন
১৮/২৯ অধ্যায়ঃ মল্লযুদ্ধ ও নিহত শত্রুর মাল
১৮/৩০ অধ্যায়ঃ রাতের বেলা অতর্কিত আক্রমণ এবং নারী ও শিশু নিধন প্রসঙ্গে
১৮/৩১ অধ্যায়ঃ শত্রুর জনপদ ভস্মীভূত করা
১৮/৩২ অধ্যায়ঃ বন্দীদের মুক্তিপণস্বরূপ দেয়া
১৮/৩৩ অধ্যায়ঃ শক্রপক্ষ কোন জিনিস দখলে নিয়ে যাবার পর পুনরায় তা মুসলমানদের দখলে আসলে
১৮/৩৪ অধ্যায়ঃ গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা
১৮/৩৫. অধ্যায়ঃ গণীমতের মাল থেকে পুরস্কারস্বরূপ কিছু দান করা
১৮/৩৬. অধ্যায়ঃ গণীমতের মাল বন্টন
১৮/৩৭. অধ্যায়ঃ গোলাম ও মহিলারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে শরীক হলে
১৮/৩৮. অধ্যায়ঃ ইমামের উপদেশ
১৮/৩৯. অধ্যায়ঃ ইমামের আনুগত্য করা
১৮/৪০. অধ্যায়ঃ আল্লাহর নাফরমানীমূ্লক কাজে আনুগত্য নাই
১৮/৪১. অধ্যায়ঃ বায়আত [আনুগত্যের শপথ] গ্রহণ
১৮/৪২. অধ্যায়ঃ বায়আত অবশ্যই পূর্ণ করিতে হইবে
১৮/৪৩. অধ্যায়ঃ মহিলাদের বায়আত গ্রহণ
১৮/৪৪. অধ্যায়ঃ ঘোড় দৌড়ের বর্ণনা
১৮/৪৫. অধ্যায়ঃ শত্রুরাষ্ট্রে কুরআন নিয়ে সফর করা নিষিদ্ধ
১৮/৪৬. অধ্যায়ঃ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ [গনীমত] বণ্টন

১৮/২৬ অধ্যায়ঃ মুশরিকদের পাত্রে আহার করা

২৮৩০. হুলব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ[সাঃআঃ] এর নিকট নাসারাদের [খৃস্টানদের] খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তোমার অন্তরে যেন কোন খাদ্য সন্দেহ সৃষ্টি না করে, তাহলে তুমিও এ ক্ষেত্রে নাসারাদের অনুরূপ হয়ে যাবে। {২৮৩০}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩০} তিরমিজি ১৫৬৫, আবু দাউদ ৩৭৮৪, আহমাদ ২১৪৫৮, হিজাবুল মারআহ ৯২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি সিমাক বিন হারব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তাহার পূর্বে বর্ণিত হাদিস যারা শ্রবন করিয়াছেন তা সহীহ। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল্লাহ ইবনিল মুবারাক বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭৯, ১২/১১৫ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৮৩১. আবু সালাবাহ আল-খুশানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাহাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! মুশরিকদের হাঁড়ি-পাতিলে কি আমরা রান্না করব? তিনি বলেনঃ তোমরা তাতে রান্না করো না। আমি বললাম, আমরা যদি এর মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ি এবং সেগুলো ছাড়া যদি আমরা পাত্র না পাই? তিনি বলেনঃ তাহলে তোমরা তা উত্তমরূপে ধুয়ে নাও, অতঃপর তাতে রান্না করো এবং আহার করো। {২৮৩১}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩১}আবু দাউদ ৩৮৩৯, আল-ইরওয়া ৩৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু ফারওয়াহ ইয়াযীদ বিন সিনান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি হাদিস গ্রহনে শিথিল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭০০১, ৩২/১৫৫ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আবু ফারওয়াহ ইয়াযীদ বিন সিনান এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৭৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৫৪৭৮, ৫৪৮৮, ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৩২, তিরমিজি ১৫৬০, ১৭৯৬, আবু দাউদ ৩৮৩৯, দারেমী ২৪৯৯, আহমাদ ১৭২৭৭, ১৭২৯৮, দারাকুতনী ৪৭৫৬, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৫৮০৩, ১০১৫১, শারহুস সুন্নাহ ২৭৭১। যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/২৭ অধ্যায়ঃ মুশরিকদের সাহায্য চাওয়া

২৮৩২. আয়েশা[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নিশ্চয় আমরা কোন মুশরিকের সাহায্য চাইনা। আলী [রাদি.] তাহার রিওয়ায়াতে উল্লেখ করিয়াছেন যে, রাবীর নাম আবদুল্লাহ বিন ইয়াযীদ অথবা যায়েদ। {২৮৩২}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩২} মুসলিম ১৮১৭, তিরমিজি ১৫৫৮, আবু দাউদ ২৭৩২, আহমাদ ২৩৮৬৫, ২৪৬৩২, দারেমী ২৪৯৬, সহীহ আবু দাউদ ২৪৪২, সহীহাহ ১১০১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/২৮ অধ্যায়ঃ যুদ্ধে কৌশল অবলম্বন

২৮৩৩. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যুদ্ধ হলো কৌশল। {২৮৩৩}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।{২৮৩৩} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। রাওদুন নাদীর ৩৭০, সহীহ আবু দাউদ ২৩৭০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির। উক্ত হাদিসের রাবি ইউনুস বিন বুকায়র সম্পর্কে আবু বাকর বিন শায়বাহ বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তাহার সিকাহ গ্রন্থে তাহার নাম উল্লেখ করিয়াছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭১, ৩২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা] ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি সালিহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ মুতওয়াতির

২৮৩৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যুদ্ধ হলো কৌশল। {২৮৩৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩৪}হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইউনুস বিন বুকায়র সম্পর্কে আবু বাকর বিন শায়বাহ বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তাহার সিকাহ গ্রন্থে তাহার নাম উল্লেখ করিয়াছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭১৭১, ৩২/৪৯৩ নং পৃষ্ঠা] ২. মাতাহার বিন মায়মুন সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৯৮, ২৮/৫৮ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু মাতাহার বিন মায়মুন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২ টি জাল, ৩৬ টি খুবই দুর্বল, ৯৩ টি দুর্বল, ৬৮ টি হাসান, ৭১ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩০২৯, ৩০৩০, মুসলিম ১৭৪২, তিরমিজি ১৬৭৫, আবু দাউদ ২৬৩৬, ২৬৩৭, আহমাদ ৬৯৮, ৬৯৯, ১০৩৭, ১০৯২, ১২৯২৯, ১৩৮৬৯। যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/২৯ অধ্যায়ঃ মল্লযুদ্ধ ও নিহত শত্রুর মাল

২৮৩৫. আবু যাহার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এরা দুটি বিবদমান পক্ষ, তাহারা তাহাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বিবাদে লিপ্ত… [সূরা হজ্জঃ১৯] শীর্ষক আয়াত নাযিল হয় বদর যুদ্ধের দিন ছয় ব্যক্তি সম্পর্কেঃ [মুসলমানদের] হামযা বিন আবদুল মুত্তালিব [রাদি.] , আলী বিন আবু তালিব [রাদি.] ও উবায়দা ইবনিল হারিছ[ রাদি.] এবং [কাফেরদের] উতবা বিন রবীআ, শায়বা বিন রবীআ ও ওয়ালীদ বিন উতবা সম্পর্কে। বদরের দিন তাহারা পরস্পরের সাথে মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। {২৮৩৫}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩৯৬৬, ৩৯৬৮, ৩৯৬৯, ৪৭৪৩, মুসলিম ৩০৩৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৩৬. সালামাহ ইবনিল আকওয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি এক ব্যক্তির সাথে মল্লযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তাহাকে হত্যা করলাম। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহার মালপত্র আমাকে দিলেন। {২৮৩৬}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।{২৮৩৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩০৫১, মুসলিম ১৭৫৪, দারেমী ২৪৫১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৩৭. আবু কাতাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

হুনায়নের যুদ্ধের দিন তিনি যাকে হত্যা করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহার মালপত্র তাহাকে দিলেন। {২৮৩৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩১৪২, ৪৩২২, ৭১৭০মুসলিম ১৭৫১, তিরমিজি ১৫৬২, আবু দাউদ ২৭১৭, আহমাদ ২২০১২, ২২০২১, ২২১০১, ২২১০৮, মুয়াত্তা মালিক ৯৯০, দারেমী ২৪৮৫, সহীহ আবু দাউদ ২৪৩০, ইরওয়া ১২২১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৩৮. সামুরাহ বিন জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ [যুদ্ধের ময়দানে] যে যাকে হত্যা করে তাহার মালপত্র হত্যাকারীর প্রাপ্য। {২৮৩৮}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩৮} আহমাদ ১৯৬৩১, বায়হাকী ফিস সুনান ৬/৩০৬, ৩২৪, ৯/১১০, ইবনি হিব্বান ৪৭০৫, ৪৮৩৭, আস-সহীহ ২৪৩১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৩০ অধ্যায়ঃ রাতের বেলা অতর্কিত আক্রমণ এবং নারী ও শিশু নিধন প্রসঙ্গে

২৮৩৯. সাব বিন জাসসামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাতের বেলা মুশরিকদের মহল্লায় অতর্কিত আক্রমণ প্রসঙ্গে নবী [সাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করা হলো যাতে নারী ও শিশু নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তাহারাও [নারী ও শিশু] তাহাদের অন্তর্ভুক্ত। {২৮৩৯}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৩৯}সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩০১৩, মুসলিম ১৭৪৫, তিরমিজি ১৫৭০, আবু দাউদ ২৬৭২, ৩০৮৩, ৩০৮৪, আহমাদ ২৭৯০২, সহীহ আবু দাউদ ২৩৯৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৪০. সালামা ইবনিল আকওয়া[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা নবী [সাঃআঃ] এর যুগে আবু বাকর [রাদি.] -এর সাথে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। আমরা ফাযারা গোত্রের পানির উৎসে পৌঁছে সেখানে রাত কাটাই। ভোর হলে আমরা তাহাদেরকে অতর্কিত আক্রমণ করলাম। অতঃপর আমরা পানির মালিকদের নিকট এসে তাহাদেরকে আক্রমণ করে তাহাদের নয় অথবা সাত ঘর লোককে হত্যা করি। {২৮৪০}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৮৪০} মুসলিম ১৭৫৫, আবু দাউদ ২৬৯৭, আহমাদ ১৬০৬৭, ১৬০৭০, ১৬১০২, সহীহ আবু দাউদ ২৩৭১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি ইকরিমাহ বিন আম্মার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি কোন সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করিলে তাহার হাদিস গ্রহণযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪০০৮, ২০/২৫৬ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৮৪১. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] এক নারীকে নিহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলেন। অতঃপর তিনি নারী ও শিশুদের হত্যা করিতে নিষেধ করিলেন। {২৮৪১}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ{২৮৪১} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩০১৫, ৩০১৪, মুসলিম ১৭৪৪, তিরমিজি ১৫৬৯, আ২৬৬৮, আহমাদ ৪৭২৫, ৪৭৩২, ৫৪৩৫, ৫৬২৬, ৫৭১৯, ৫৯২৩, ৬০০১, ৬০১৯, মুয়াত্তা মালিক ৯৮১, দারেমী ২৪৬২, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/৭৭, ইবনি হিব্বান ১৩৫, ইরওয়া ১২১০, সহীহ আবু দাউদ ২৩৯৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৪২. হানযালাহ আল-কাতিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে যুদ্ধ করলাম। আমরা নিহত নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, যাহার নিকট লোকজন ভীড় জমিয়েছিল। লোকেরা তাহাঁর জন্যে পথ করে দিলো। তিনি বলেনঃ যারা যুদ্ধ করে, সে তো তাহাদের সাথে যুদ্ধ করতো না! অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বলেনঃ তুমি খালিদ ইবনিল ওয়ালিদকে গিয়ে বলো, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তোমাদের এই বলে নির্দেশ দিয়েছেনঃ তোমরা কখনো শিশু ও শ্রমিককে হত্যা করো না।

{উপ্রোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়ীছে, অপর সানাদটি হলোঃ} ৪/২৮৪২[১]. রাবাহ ইবনির রাবী[রাদি.] নবী [সাঃআঃ] সুত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে। আবু বাকর বিন আবু শায়বাহ বলেন, সাওবী তাহার এই রিয়ায়াতে ভুল করিয়াছেন। {২৮৪২}তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৮৪২} আবু দাউদ ২৬৬৯, আহমাদ ১৭১৮৫, সহীহাহ ৭০১, সহীহ আবু দাউদ ২৩৯৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান সহীহ

১৮/৩১ অধ্যায়ঃ শত্রুর জনপদ ভস্মীভূত করা

২৮৪৩. উসামাহ বিন যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে উবনা নামে কথিত একটি জনপদে পাঠালেন এবং বললেনঃ তুমি ভোরবেলা উবনা পৌঁছে তাহাকে ভস্মীভূত করো। {২৮৪৩}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।{২৮৪৩} আবু দাউদ ২৬১৬, জইফ আবু দাউদ ৪৫১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি সালিহ বিন আবুল আখদার সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযাহার বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ঈমাম তিরমিজি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ছিলেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল।হাদিস এবং তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৮৪৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইয়াহূদি নাদীর গোত্রের বুওয়ায়রা নামক খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেন এবং কেটে ফেলেন। তখন আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেন

مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً

“তোমরা যে খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলেছো এবং যেগুলো কাণ্ডের উপর স্থির রেখেছো … [সূরা হাশরঃ ৫]। {২৮৪৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৪৪} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৩২৬, ৩০২১, ৪০৩১, ৪০৩২, ৪৮৮৪, মুসলিম ১৭৪৬, তিরমিজি ১৫৫২, ৩৩০২, আবু দাউদ ২৬১৫, আহমাদ ৪৫১৮, ৫১১৫, ৫৪৯৫, ৬০১৮, ৬২১৫, দারেমী ২৪৬০, সহীহ আবু দাউদ ২৩৫৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৪৫. ইবনি উমার[রা] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বনূ নাযীরের খেজুর বাগান জ্বালিয়ে দেন এবং কেটে ফেলেন। এ বিষয়ে তাহাদের [মুসলিমদের] কবি [হাসসান বিন সাবিত রাদি.] বলেনঃ “লুআয়্যি [কুরায়শ] গোত্রের নেতৃবৃন্দের পক্ষে বুওয়ায়রা নামক বাগানটি ব্যাপকভাবে জ্বালিয়ে দেয়া সহজ”। {২৮৪৫}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৪৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৩২৬, ৩০২১, ৪০৩১, ৪০৩২, ৪৮৮৪, মুসলিম ১৭৪৬, তিরমিজি ১৫৫২, ৩৩০২, আবু দাউদ ২৬১৫, আহমাদ ৪৫১৮, ৫১১৫, ৫৪৯৫, ৬০১৮, ৬২১৫, দারেমী ২৪৬০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৩২ অধ্যায়ঃ বন্দীদের মুক্তিপণস্বরূপ দেয়া

২৮৪৬. সালামাহ ইবনিল আকওয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর যুগে আবু বকর [রাদি.] -র সাথে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করি। তিনি ফাযারা গোত্রের একটি কন্যা গনীমতের অতিরিক্ত আমাকে দেন। সে ছিল আরবের সেরা সুন্দরী। তাহার পরনে ছিল চামড়ার পোশাক। আমি তাহার কাপড় উন্মোচন করিনি। এমতাবস্থায় আমি মদীনায় পৌঁছি। বাজারে আমার সাথে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাক্ষাত হলে তিনি বলেনঃ তোমার পিতা ছিল উত্তম লোক [তোমার পিতা, আল্লাহর শপথ!] , ঐ মেয়েটিকে আমাকে দান করো। আমি মেয়েটিকে দান করলাম। অতঃপর তিনি সেই মেয়েটিকে মক্কায় বন্দী মুসলমানদের মুক্তিপণস্বরূপ তথায় পাঠিয়ে দেন। {২৮৪৬}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।২৮৪৬} মুসলিম ১৭৫৫, আবু দাউদ ২৬৯৭, আহমাদ ১৬০৬২, ১৬০৭০, ১৬১০২, সহীহ আবু দাউদ ২৪১৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি ইকরিমাহ বিন আম্মার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি কোন সিকাহ রাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করিলে তাহার হাদিস গ্রহণযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪০০৮, ২০/২৫৬ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৮/৩৩ অধ্যায়ঃ শক্রপক্ষ কোন জিনিস দখলে নিয়ে যাবার পর পুনরায় তা মুসলমানদের দখলে আসলে

২৮৪৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তাহার একটি ঘোড়া ছুটে চলে গেলে শত্রুপক্ষ তা ধরে নিয়ে যায়। এরপর মুসলমানগণ তাহাদের উপর বিজয়ী হলে তাহার ঘোড়া তাহাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময়কার। ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, তাহার একটি গোলাম পলায়ন করে রূম এলাকায় চলে যায়। অতঃপর মুসলমানগণ তাহাদের উপর বিজয়ী হলে [এবং গোলামটিকে গ্রেপ্তার করে আনা হলে] খালিদ ইবনিল ওয়ালিদ [রাদি.] তা তাহাকে ফেরত দেন। এটা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর ইন্তিকালের পরের ঘটনা। {২৮৪৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৪৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩০৬৮, ৩০৬৯, আবু দাউদ ২৬৯৮, ৩৬৯৯, সহীহ আবু দাউদ ২৪১৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৩৪ অধ্যায়ঃ গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা

২৮৪৮. যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আশজাআ গোত্রের এক ব্যক্তি খায়বারে যুদ্ধের দিন মারা গেল। নবী[সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা তোমাদের সাথীর নামায পড়ো। লোকদের কাছে বিষয়টি খুব খারাপ লাগলো এবং এর কারনে তাহাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেলো। তিনি তা দেখে বলেনঃ তোমাদের সাথী আত্মসাৎ করেছে। যায়েদ [রাদি.] বলেন, তাহারা তাহার মালপত্র তালাশ করিলে তাহার মধ্যে ইহূদীদের দুদিরহাম মূল্যের আংটির পাথর বা মনি পাওয়া গেল।{২৮৪৮}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।{২৪৪৮} নাসাঈ ১৯৫৯, আবু দাউদ ২৭১০, আহমাদ ২১১৬৭, মুয়াত্তা মালিক ৯৯৫, আল-আহকাম ৭৯, ইরওয়া ৭২৬, আত-তালীকুর রাগীব ২/১৮৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আমরাহ সম্পর্কে ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি মাকবুল। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭৫৪৩, ৩৪/১৪০ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৮৪৯. আবদুল্লাহ বিন আমর[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

কিরকিরা নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মালপত্র পাহারা দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। সে মারা গেলে নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ সে জাহান্নামী। সাহাবীগন অনুসন্ধান করে তাহার সঙ্গে একটি কম্বল অথবা একটি আবা পেলো যা সে আত্মসাৎ করেছিল। {২৮৪৯}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।. {২৮৪৯} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩০৭৪, আহমাদ ৬৪৫৭, বায়হাকী ফিস সুনান ৩/৩৮৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৫০. উবাদাহ ইবনিস সামিত[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

হুনায়নের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিয়ে গনীমতের উটের পাশে নামায পরলেন। তাহারপর তিনি উটের দেহ থেকে একটি পশম নিয়ে তা তাহাঁর দুআঙ্গুলের মাঝে রেখে বলেনঃ হে লোকসকল! অবশ্য এটা তোমাদের গনীমতের মাল। সুতা এবং সুঁই, আর যা পরিমানে তাহার চেয়ে বেশী এবং যা তাহার চেয়ে কম, সবই তোমরা গনীমতের মালের মধ্যে জমা দাও। কেননা গনীমতের মাল চুরি করার ফলে কিয়ামতের দিন তা চোরের জন্য অপমান ও গ্লানি এবং জাহান্নামের শাস্তির কারন হইবে। {২৮৫০}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৮৫০} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। ইরওয়া ৫/৭৪-৭৫, সহীহাহ ৯৮৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু সিনান ঈসা বিন সিনান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আল-ফাররা বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল ও আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ তাহাকে দুর্বল বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬২৬, ২২/৬০৬ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান সহীহ

১৮/৩৫. অধ্যায়ঃ গণীমতের মাল থেকে পুরস্কারস্বরূপ কিছু দান করা

২৮৫১. হাবীব বিন মাসলামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] এক পঞ্চমাংশ নেয়ার পর অবশিষ্ট মালের এক তৃ্তীয়াংশ থেকে নফল [পুরস্কার] দিয়েছেন। {২৮৫১}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৫১} আবু দাউদ ২৭৪৮, ২৭৪৯, ২৭৫০, আহমাদ ১৭০০৮, ১৭০১১, দারেমী ২৪৮৩, মাজাহ ২৮৫৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৮/১৫৫, রাওদুন নাদীর ২৮০, সহীহ আবু দাউদ ২৪৫৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৫২. উবাদাহ ইউনুস সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] যুদ্ধের প্রথমভাগের গণীমতের মালের এক-চতুর্থাংশ এবং ফিরতি যুদ্ধে এক-তৃতীয়াংশ থেকে [পুরস্কারস্বরূপ] অতিরিক্ত দেন। {২৮৫২}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানদটি দুর্বল।{২৮৫২}তিরমিজি ১৫৬১, আহমাদ ২২২৫৬, দারেমী ২৪৮২, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/২০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুর রহমান ইবনিল হারিস আয-যুরাকী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাহাকে দুর্বল বলেছেন অন্যত্র বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আলী ইবনিল মাদানী তাহাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার মাঝে কোন সমস্যা নেই। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭৮৭, ১৭/৩৭ নং পৃষ্ঠা] ২. সুলায়মান বিন মুসা সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি একজন ফকীহ ছিলেন। আতা বিন আবু রাবাহ বলেন, তিনি শামের যুবকদের নেতা ছিলেন। ঈমাম বুখারী তাহাকে মুনকার বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭১, ১২/৯২ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৮৫৩. আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, এর পর আর কোন নফল [অতিরিক্ত] দেওয়া যাবে না। শক্তিশালী মুসলামানগণ দুর্বল মুসলমানকে গণীমতের মাল ফেরত দিবে। রাবী রাজা [রাদি.] বলেন, আমি সুলায়মান বিন মূসাকে বলিতে শুনিয়াছি, মাকহূল আমাকে হাবীব বিন মাসলামা্র সূ্ত্রে বর্ণনা করিয়াছেন যে, নবী [সাঃআঃ] যুদ্ধের প্রথমভাগের অর্জিত গণীমতের মালের এক-চতুর্থাংশ এবং শেষভাগে অর্জিত গনীমতের এক-তৃ্তীয়াংশ পুরস্কারস্বরূপ দিতেন। আমর [রাদি.] বলেন, আমি যেখানে তোমাকে আমার পিতা ও দাদার সূ্ত্রে হাদিস শুনাচ্ছি, সেখানে তুমি আমাকে মাকহূ্লের সূ্ত্রে হাদিস শুনাচ্ছো। {২৮৫৩}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ আমর থেকে মাওকূফ ব্যতীত সহীহ।{২৮৫৩} আবু দাউদ ২৭৪৮, ২৭৪৯, ২৭৫০, আহমাদ ১৭০০৮, ১৭০১১, দারেমী ২৪৮৩, মাজাহ ২৮৫১, সহীহ আবু দাউদ ২৪৫৫, ২৪৫৬, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ আমর থেকে মাওকুফ ব্যাতিত সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবুল হুসায়ন সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনিল মাদানী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাহাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে সাওরীর হাদিস বর্ণনায় ভুল করিয়াছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ অন্যান্য

১৮/৩৬. অধ্যায়ঃ গণীমতের মাল বন্টন

২৮৫৪. ইবনূ উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খায়বারের যুদ্ধের দিন গনীমতের মাল বন্টন করে অশ্বারোহীর জন্য তিনভাগঃ ঘোড়ার জন্য দুভাগ এবং পদাতিকের জন্য একভাগ। {২৮৫৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। {২৮৫৪} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৮২৩, ২৪২৮, ১৬৩২, তিরমিজি ১৫৫৪, আবু দাউদ ২৭৩৩, আহমাদ ৫৩৮৯, ৫৪৯৪, দারেমী ২৪৭২, বায়হাকী ফিস সুনান ২/৩২৪, ৩২৫, ৯/৩৩১, ইবনি হিব্বান ৪৮১০, সহীহ আবু দাউদ ২৪৪৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৩৭. অধ্যায়ঃ গোলাম ও মহিলারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে শরীক হলে

২৮৫৫. ওয়াকী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবুল লাহম [রাদি.] গোশত খেতেন না। উমাইর [রাদি.] বলেন, আমি গোলাম অবস্থায় আমার মনিবের সাথে খায়বারের দিন যুদ্ধ করেছিলাম। গনীমতের মালে আমাকে ভাগ দেওয়া হয়নি। আমাকে ঘরের আসবাবপত্র থেকে একখানি তরবারি দেয়া হয়। আমি তা কোমরে বেঁধে মাটিতে হেঁচরিয়ে নিয়ে যেতাম। {২৮৫৫}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।

{২৮৫৫} তিরমিজি ১৫৫৭, আবু দাউদ ২৭৩০, আহমাদ ২৭৯১৪, দারেমী ২৪৭৫, ইবনি হিব্বান ৪৮৩১, দারাকুতনী ৪/১৪৭, বায়হাকী ফিস সুনান ৯/৩১, ৫৩, ৮/১৪৭, ইরওয়া ১২৩৪, সহীহ আবু দাউদ ২৪৪০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি হিশাম বিন সাদ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাহার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। তাহার শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা ।হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৮৫৬. উম্মু আতিয়্যাহ আল আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তাহাদের সওয়ারী ও মালপত্র রক্ষানাবেক্ষণের জন্য পশ্চাতে থাকতাম, তাহাদের খাবার তৈ্রী করতাম, আহতদের চিকিৎসা করতাম এবং রোগীদের দেখাশোনা করতাম।

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩২৪, ৯৮০, ১৬৫২, মুসলিম ১৮১২, আহমাদ ২০২৬৫, ২৬৭৫৫, দারেমী ২৪২২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৩৮. অধ্যায়ঃ ইমামের উপদেশ

২৮৫৭. সফওয়ান বিন আসসাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূ্লূল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে একটি ক্ষুদ্র সামরিক অভিযানে পাঠান, তিনি বলেনঃ তোমারা আল্লাহর নামে আল্লাহর রাস্তায় রওয়ানা হয়ে যাও, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, লাশ [নাক-কান কেটে] বিকৃ্ত করো না, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, গণীমতের মাল আত্মসাৎ করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না। {২৮৫৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।{২৮৫৭} আহমাদ ১৭৬২৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ।হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান সহীহ

২৮৫৮. বুরায়দাহ[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র সেনা-অভিযানে অধিনায়ক করে পাঠানোর সময় বিশেষভাবে তাহার জন্য আল্লাহভীতি অবলম্বনের এবং তাহার সহ যোদ্ধাদের সাথে উত্তম ব্যবহারের উপদেশ দিতেন। তিনি বলিতেনঃ তোমারা আল্লাহর নামে এবং আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো,যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। তোমরা জিহাদ করো, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, চুরি করো না, কারো অঙ্গহানি বা অঙ্গ বিকৃ্ত করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না। যখন তুমি শত্রুপক্ষের মুশরিকদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হইবে, তখন তাহাদেরকে তিনটি বিষয়ের প্রতি আহবান জানাবে। তাহারা সেগুলোর যেকোন একটির প্রতি সাড়া দিলে তুমি তাহাদের থেকে তা কবুল করো এবং তাহাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো।

[১] তুমি তাহাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দাও। তাহারা যদি তা কবুল করে তবে তাহাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নাও এবং তাহাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো, অতঃপর তাহাদেরকে স্বদেশ ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে চলে আসার আহবান জানাও এবং তাহাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাহারা যদি এ কাজ করে তবে যেসব সুযোগ সুবিধা মুহাজিরগণ পাবে তাহারাও তা পাবে এবং মুহাজিরদের উপর যেসম দায়দায়িত্ব বর্তাবে তা তাহাদের উপরও বর্তাবে। তাহারা যদি [স্বদেশ ত্যাগ করিতে] অসম্মত হয় তবে তাহাদের জানিয়ে দাও যে, তাহারা বেদুইন মুসলমানদের সমান মর্যাদা পাবে, তাহাদের উপর আল্লাহর সেইসব হুকুম জারি হইবে যা মুমিন মুসলমানদের উপর জারি হয় এবং তাহারা গণীমত ও ফাই-এর কিছুই পাবে না, তবে তাহারা মুসলমানদের সাথে মিলে জিহাদ করিতে পারবে।

[২] তাহারা যদি ইসলামে দাখিল হইতে অস্বীকার করে তবে তাহাদেরকে জিযয়া দিতে বলো। তাহারা যদি তা দেয় তবে তাহাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করো এবং তাহাদেরকে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকো।

[৩] তাহারা যদি জিযয়া দিতেও অস্বীকার করে, তবে তুমি তাহাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থণা করো এবং তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো।

আর তুমি কোন দুর্গ অবরোধ করিলে পর তাহারা তোমার নিকট আল্লাহর যিম্মাদারি আর তোমার নবীর যিম্মাদারি লাভের আশা করিলে তুমি তাহাদের জন্য আল্লাহর যিম্মাদারি এবং তোমার নবীর যিম্মাদারি দান করো। কারণ তোমাদের নিজেদের এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের যিম্মাদারি ভঙ্গ করা আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূ্লের যিম্মাদারি ভঙ্গ করার চেয়ে তোমাদের জন্য অধিকতর সহজ। আর তুমি কোন দুর্গ অবরোধ করিলে পর তাহারা তোমার নিকট আল্লাহর হুকুমে দূ্র্গ থেকে বেরিয়ে আসার আবেদন করিলে তুমি তাহাদেরকে আল্লাহর হুকুমে বেরিয়ে আসার অনুমতি দিও না, বরং তাহাদেরকে তোমার নিজের হুকুমে বেরিয়ে আশার অনুমতি দাও। কারণ তোমার জানা নেই যে, তাহাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহর হুকুম কার্যকর করিতে পারবে কি না।

নুমান বিন মুকাররিন [রাদি.] , সূ্ত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে আমার কাছে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।। {২৮৫৮}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৫৮} মুসলিম ১৭৩১, তিরমিজি ১৩০৮, ১৬১৭, আবু দাউদ ২৬১২, ২৬১৩, আহমাদ ২২৪৬৯, ২২৫২১, দারেমী ২৪৩৯, ২৪৪২, ইরওয়া ১২৪৭, ৭/২৯২, রাওদুন নাদীর ১৬৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৩৯. অধ্যায়ঃ ইমামের আনুগত্য করা

২৮৫৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করিল সে আল্লাহর আনুগত্য করিল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য হলো সে আল্লাহরই অবাধ্য হলো। যে ব্যক্তি ইমামের আনুগত্য করিল সে আমারই আনুগত্য করিল। আর যে ব্যক্তি ইমামের অবাধ্য করিল সে আমারই অবাধ্য করিল। {২৮৫৯}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৫৯} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৯৫৭, মুসলিম ১৮৩৫, নাসাঈ ৫৫১০, ৪১৯৩, আহমাদ ৭৩৮৬, ৭৬০০, ২৭৩৫০, ৮৩০০, ৮৭৮৮, ৯১২১, ৯৭৩৯, ১০২৫৯, আয-যিলাল ১০৬৫, ১০৭৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৬০. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, [নেতৃ-আদেশ] শ্রবণ করো এবং আনুগত্য করো, এমনকি আংগুর ফল সদৃশ [ক্ষুদ্র] মস্তিষ্কবিশিষ্ট কাফ্রী ক্রীতদাসকেও যদি তোমাদের নে্তৃপদে নিয়োগ করা হয়। {২৮৬০}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৬০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৬৩৯, আহমাদ ১১৭১৬, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/২৮৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৬১. উম্মুল হুসায়ন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি; নাক কান কর্তিত কোন কাফ্রী ক্রীতদাসকেও যদি তোমাদের নেতৃপদে নিয়োগ করা হয় তবুও তোমরা তাহার নির্দেশ শোনো ও আনুগত্য করো, যতক্ষণ সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব [কুরআন] অনুযায়ী পরিচালনা করে। {২৮৬১}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৬১} মুসলিম ১২৯৮, ১৮৩৮, তিরমিজি ১৭০৬, নাসাঈ ৪১৯২, আহমাদ ১৬২১০, ২৬৭১৫, ২৬৭২৩, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/৩৩০, আয-যিলাল ১০৬২, ১০৬৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৬২. আবু যাহার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি যখন [নির্বাসনে] রাবাযা নামক স্থানে পৌছালেন তখন নামাযের একামত হচ্ছিল। এক ক্রীতদাস লোকেদের নামাযে ঈমামতি করছিল। [তাহাকে] বলা হলো, ইনি আবু যাহার[রাদি.]। [এ কথায়] ক্রীতদাস পেছনে সরে আসতে উদ্যত হলে আবু যাহার [রাদি.] তাহাকে বলেন, আমার প্রিয়তম বন্ধু মহানবী [সাঃআঃ] আমাকে ওসীয়াত করেছেনঃ আমি যেন [নেতৃ-আদেশ] শ্রবণ করি ও আনুগত্য করি, যদিও সে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তিত কাফ্রী ক্রীতদাস হয়। {২৮৬২}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ {২৮৬২} আহমাদ ২০৯১৮, ২০৯৯০, মুসলিম ১৮৬৭, আয-যিলাল ১০৫১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৪০. অধ্যায়ঃ আল্লাহর নাফরমানীমূ্লক কাজে আনুগত্য নাই

২৮৬৩. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] আলকামা বিন মুজাযযিয [রাদি.] কে একটি সামরিক বাহিনীর অধিনায়ক নিয়োগ করেন। আমিও তাতে শরীক ছিলাম। তিনি যখন গন্তব্যে পৌছেন অথবা পথিমধ্যে ছিলেন, তখন একদল সৈ্ন্য তাহার নিকট [কোন বিষয়ে] অনুমতি চাইলে তিনি তাহাদের অনুমতি দিলেন এবং আবদুল্লাহ বিন হুযাফা বিন কায়স আস-সাহমী [রাদি.] কে তাহাদের অধিনায়ক নিযুক্ত করেন। যেসব লোক আবদুল্লাহ[রাদি.] -এর সঙ্গী হয়ে জিহাদ করেছে, আমিও তাহাদের সাথে ছিলাম। লোকেরা পথিমধ্যে ছিলো। এ অবস্থায় একদল লোক উত্তাপ গ্রহণের জন্য অথবা অন্য কোন কাজে আগুন প্রজ্জ্বলিত করিল। আবদুল্লাহ [রাদি.] তাহাদের বলেন [তিনি কিছুটা রসিক প্রকৃ্তির ছিলেন] , আমার নির্দেশ শোনা ও আনুগত্য করা কি তোমাদের জন্য বাধ্যতামূ্লক নয়? তাহারা বলল, হাঁ। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যা করার নির্দেশই দিবো তোমরা কি তাই করিবে? তাহারা বলল, হাঁ। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে চুড়ান্ত নির্দেশ দিচ্ছি যে, তোমরা এই আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ো। কতক লোক [আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য] দাঁড়িয়ে গেলো এবং কোমর বাঁধলো। তিনি যখন দেখলেন, লোকেরা সত্যিই আগুনে ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত হইয়াছে, তখন বলিলেন, থামো। আমি তোমাদের সাথে ঠাট্টা করেছি। [রাবী বলেন] আমরা ফিরে এলে লোকেরা মহানবী [সাঃআঃ] এর নিকট এ ঘটনা উল্লেখ করিল। রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ কেউ তোমাদেরকে আল্লাহর নাফরমানী করার নির্দেশ দিলে তোমরা তাহার আনুগত্য করিবে না। {২৮৬৩}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৮৬৩} আহমাদ ১১২৪৫, সহীহাহ ২৩২৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি কখনো হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনি আদী বলেন, তাহার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ঈমাম নাসাঈ তাহাকে সিকাহ বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এবং তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৮৬৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, পাপকাজ ব্যতীত যে কোন কাজে মুসলিম ব্যক্তির [নেতৃবৃন্দের] আনুগত্য করা অপরিহার্য, তা তাহার মনঃপূত হোক বা না হোক। অতএব পাপ কাজের নির্দেশ দেয়া হলে তা শোনাও যাবে না, আনুগত্য করাও যাবে না। {২৮৬৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানদটি সহীহ।{২৮৬৪} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৯৫৫, মুসলিম ১৮৩৯, তিরমিজি ১৭০৭, আবু দাউদ ২৬২৬, আহমাদ ৪৬৪৫, ৬২৪২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৬৫. আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ অচিরেই আমার পরে এমন সব লোক তোমাদের নেতা হইবে যারা সুন্নাতকে বিলুপ্ত করিবে, বিদআতের অনুসরণ করিবে এবং নামায নির্দিষ্ট ওয়াক্ত থেকে বিলম্বে পড়বে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূ্ল! আমি যদি তাহাদের [যুগ] পাই, তবে কি করিব? তিনি বলেন, হে উম্মু আবদ-এর পুত্র! তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছো যে, তুমি কি করিবে? যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যচরণ করে, তাহার আনুগত্য করা যাবে না। {২৮৬৫}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৬৫} আহমাদ ৩৭৮০, সহীহাহ ২/১৩৯, সহীহ আবু দাউদ ৪৫৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইয়াহইয়া বিন সুলায়ম সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ঈমাম বুখারী বলেন, তাহার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাহাকে দুর্বল বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৬৯, ৩৩/১৬২ নং পৃষ্ঠা] ২. কাসিম বিন আবদুর রহমান বিন আবদুল্লাহ বিন মাসউদ সম্পর্কে আবদুর রহমান বিন ইউসুফ বিন খিরাস বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সালিহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭৯৯, ২৩/ ৩৭৯ নং পৃষ্ঠা] ৩. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদানী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা]যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৪১. অধ্যায়ঃ বায়আত [আনুগত্যের শপথ] গ্রহণ

২৮৬৬. উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন দুঃসময় ও সুসময়, আনন্দ ও বিষাদে এবং নিজেদের উপরে অন্যদের অগ্রাধিকার প্রদানে [নেতৃ-আদেশ] শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিকট থেকে বায়আত [শপথ] গ্রহণ করেন। তিনি আমাদের থেকে এ বিষয়ে বায়আত নেন যে, [রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে] আমরা যেন যোগ্য ব্যক্তির সাথে [গদি নিয়ে] বিবাদে লিপ্ত না হই। আর যেখানেই থাকি আমরা যেন সত্য কথা বলি এবং আল্লাহর ব্যাপারে নিন্দুকের নিন্দার যেন পরোয়া না করি। {২৮৬৬}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৬৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৭০৫৬, ৭১৯৯, নাসাঈ ৪১৪৯, ৪১৫১, ৪১৫২, ৪১৫৩, ৪১৫৪, ৪১৫৫, আহমাদ ২২১৭০, ২২১৯২, ২২২৯, ২২২১৮, ২২২২৯, ২২২৬৩, মুয়াত্তা মালিক ৯৭৭, আয-যিলাল ১০২৯, ১০৩৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৬৭. আওফ বিন মালিক আল-আশজাঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা সাত, আট অথবা নয় ব্যক্তি মহানবী [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি বলেনঃ তোমরা কি আল্লাহর রাসূ্লের নিকট বায়আত হইবে না? তৎক্ষণাৎ আমরা আমাদের হাত প্রসারিত করে দিলাম। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] ! আমরা তো আপনার নিকট [ইতোপূর্বে] বায়আত হয়েছি, এখন [আবার] কিসের জন্য আপনার নিকট বায়আত হবো? তিনি বলেনঃ [তোমরা এ বিষয়ে বায়আত হইবে যে] তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করিবে, তাহাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করিবে না, পাঁচ ওয়াক্তের নামায কায়েম করিবে, [নেতৃ-আদেশ] শ্রবণ করিবে ও আনুগত্য করিবে। [একটি কথা তিনি গোপনে বলিলেন] ঃ মানুষের কাছে কিছু প্রার্থনা করিবে না। রাবী বলেন, অতঃপর আমি তাহাদের যে কোন ব্যক্তিকে দেখেছি যে, তাহার চাবুক নিচে পড়ে গেলেও তিনি কাউকে তা তুলে দিতে বলিতেন না। {২৮৬৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৬৭} মুসলিম ১০৪৩, নাসাঈ ৪৬০, আবু দাউদ ১৬৪২, আহমাদ ২৩৪৭৩, সহীহ আবু দাউদ ১৪৪৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৬৮. আনাস বিন মালিক[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা রাসূ্লুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য বায়আত হলাম। তিনি বলেন, “যতদূ্র তোমাদের সাধ্যে কুলায়”। {২৮৬৮}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৬৮} আহমাদ ১১৭৯৩, ১২৩৫২, ১২৫১০, ১২৭০৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৬৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একজন ক্রীতদাস এসে নবী [সাঃআঃ] এর নিকট হিজরত করার শপথ নেয়। কিন্তু নবী [সাঃআঃ] জানতেন না যে, সে ক্রীতদাস। তাহার মনিব তাহাকে ফেরত নিতে এলে নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তাহাকে আমার নিকট বিক্রয় করো। তিনি দুটি কৃষ্ণকায় গোলামের বিনিময়ে তাহাকে খরিদ করেন। এরপর থেকে তিনি কাউকে বায়আত করার পূর্বেই জিজ্ঞেস করে নিতেন যে, সে ক্রীতদাস কি না? {২৮৬৯}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৬৯} মুসলিম ১৬০২, তিরমিজি ১২৩৯, ১৫৯৬, নাসাঈ ৪১৮৪, ৪৬২১, আবু দাউদ ৩৩৫৮, আহমাদ ১৪৩৫৮, ইবনি হিব্বান ৪৫৫০, ৫০২৭, ৬৫১৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/২৮৬, ৩৩৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৪২. অধ্যায়ঃ বায়আত অবশ্যই পূর্ণ করিতে হইবে

২৮৭০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তিন শ্রেনীর লোকের সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবে না, তদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাহাদের পবিত্র করবেন না এবং তাহাদের জন্য রয়েছে পীড়াদায়ক শাস্তি। [১] যে ব্যক্তি মাঠে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রাখে কিন্তু তা পথিকদের ব্যবহার করিতে দেয় না; [২] যে ব্যক্তি আসরের নামাযের পর অপর কোন ব্যক্তির নিকট পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করে এবং আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে, সে তা এত এত মূল্যে খরিদ করেছে এবং ক্রেতা তাহার কথা বিশ্বাস করে, অথচ তাহার কথা সত্য নয় এবং [৩] যে ব্যক্তি পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে নেতাহার কাছে আনুগত্যের শপথ নেয়, নেতা তাহাকে কিছু পার্থিব স্বার্থ দিলে সে তাহার শপথ পূর্ণ করে এবং না দিলে শপথ পূর্ণ করে না। {২৮৭০}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৩৫৮, ২৩৬৯, ২৬৭২, ৭২১২, ৭৪৪৬, মুসলিম ১০৮, তিরমিজি ১৫৯৫, নাসাঈ ৪৪৬২, দারেমী ৩৪৭৪, আহমাদ ৭৪৯৩, ৯৮৬৬, বায়হাকী ফিস সুনান ১০/১৭৭, বায়হাকী ফিশ শুআব ৪৮৫০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৭১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের রাজনীতি পরিচালনা করিতেন তাহাদের নবীগণ। যখনই একজন নবী চলে যেতেন [ইনতিকাল করিতেন] তখনই আরেকজন নবী নেতৃত্ব গ্রহণ করিতেন। কিন্তু আমার পরে তোমাদের মধ্যে আর কেউ নবী হইবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে কী অবস্থা হইবে? তিনি বলেনঃ খলীফা হইবে এবং তাহাদের সংখ্যা অনেক হইবে। সাহাবীগণ বলেন, আমরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করিব? তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি প্রথমে খলীফা হইবে তোমরা তাহার আনূগত্যের শপথ করো, অতঃপর তাহার পরবর্তী খলীফার। তোমাদের উপর তাহাদের যে অধিকার রয়েছে তোমরা তা আদায় করো। আর তাহাদের উপর [তোমাদের] যে অধিকার প্রাপ্য আছে [তা আদায় না করিলে] , মহান আল্লাহ তাহাদের নিকট থেকে তাহার হিসাব নিবেন। {২৮৭১}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭১} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩৪৫৫, মুসলিম ১৮৪২, আহমাদ ৭৯০০, ইরওয়া ৮/১২৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি হাসান বিন ফুরাত সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলী ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ঈমাম যাহাবী ও ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ১২৬৫, ৬/৩০১ নং পৃষ্ঠা]যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৭২. আবদুল্লাহ [বিন মাসউদ] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে পতাকা স্থাপন করা হইবে এবং বলা হইবে, এটা অমুকের বিশ্বাসঘাতকতাহার পতাকা। {২৮৭২}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।{২৮৭২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩১৮৭, মুসলিম ১৭৩৬, আহমাদ ৩৮৯০, ৬৯৪৯, দারেমী ২৫৪২, রাওদুন নাদীর ৫৫২, সহীহ আবু দাউদ ২৪৬১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ মুতাওয়াতির।হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ মুতওয়াতির

২৮৭৩. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সাবধান! কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক প্রতাহারক ও বিশ্বাসঘাতকের জন্য তাহার প্রতাহারণার মাত্রা অনুযায়ী একটি করে পতাকা স্থাপন করা হইবে। {২৮৭৩}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭৩} মুসলিম ১৭৩৮, তিরমিজি ২১৯১, আহমাদ ১০৬৫১, ১০৭৫৯, ১০৯১০, ১০৯৫৮, ১১০৩৫, ১১১৯৩, ১১২২২, ১১২৬৯, ১১৩৮৪, বায়হাকী ফিস সুনান ৩/৩৬৯, ৫/২৫৯, ইবনি হিব্বান ৫৫৯১, রাওদুন নাদীর ৫৫২, সহীহ আবু দাউদ ২৪৬১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তাহার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০, ২০/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা]উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু আলী বিন যায়দ বিন জুদআন এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৭১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১০ টি খুবই দুর্বল, ৪৮ টি দুর্বল, ৯৩ টি হাসান, ২২০ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৩১৮৭, ৩১৮৮, ৬১৭৭, ৬১৭৮, ৬৯৬৬, ৭১১১, মুসলিম ১৭৩৬-১৭৪১, তিরমিজি ১৫৮১, ২১৯১, আবু দাউদ ২৭৫৬, দারেমী ২৫৪২, আহমাদ ৩৮৯০, ৩৯৪৯, ৪১৮৯, ৪৬৩৪, ৪৮২৪, ৫০৬৯, ৫১৭০, ৫৩৫৫, ৫৭৭০, ৫৮৭৯।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৪৩. অধ্যায়ঃ মহিলাদের বায়আত গ্রহণ

২৮৭৪. উমায়মাহ বিনতু রুকায়কাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

বায়আত হওয়ার উদ্দেশ্যে আমি কতক মহিলা সমভিব্যাহারে মহানবী [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাদের বলিলেন, যতদূর তোমাদের সামর্থ্যে ও শক্তিতে কুলায়। আমি মহিলাদের সাথে মুসাফাহাহ [করমর্দন] করি না। {২৮৭৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭৪} তিরমিজি ১৫৯৭, নাসাঈ ৪১৮১, আহমাদ ২৬৪৬৬, মুয়াত্তা মালিক ১৮৪২, ইবনি হিব্বান ৫৬৫৩, আল-হুমায়দী ৩৪১, আল-হাকিম ফিল মুসতাদরাক ৪/৭১, সহীহাহ ৫২৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৭৫. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ঈমানদার মহিলাগণ হিজরত করে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি আল্লাহ তাআলার লিম্নোক্ত বাণীর নির্দেশ অনুযায়ী তাহাদের পরীক্ষা করিতেনঃ

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ

“হে নবী! ঈমানদার মহিলাগণ যখন তোমার নিকট এসে বায়আত করে…”[সূরা মুমতাহিনাহঃ ১২]। আয়েশা[রাদি.] বলেন, যে কোন ঈমানদার মহিলা উপরোক্ত আয়াত অনুযায়ী স্বীকার করতো সে যেন কঠিন পরীক্ষাকে স্বীকার করে নিতো। মহিলাগন বাচনিক এসব কথা স্বীকার করে নিলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের বলিতেনঃ তোমরা চলে যাও, আমি তোমাদের বায়আত গ্রহণ করেছি। [রাবী বলেন,] না, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাত কখনো কোন মহিলার হাত স্পর্শ করতো না, তিনি শুধু কথার মাধ্যমে তাহাদের বায়আত করিতেন। আয়েশা [রাদি.] বলেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মহিলাদের নিকট থেকে কেবলমাত্র সেইসব কথার স্বীকারোক্তি করাতেন যাহার নির্দেশ আল্লাহ তাআলা তাহাঁকে দান করিয়াছেন। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর হাত কখনও কোন মহিলার হাত স্পর্শ করতো না। তিনি তাহাদের শপথবাক্য পাঠ করানোর পর বলিতেনঃ আমি বাচনিক তোমাদের বায়আত করলাম। {২৮৭৫}

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৪৮৫১, ৭২১৪, মুসলিম ১৮৬৬, তিরমিজি ৩৩০৬, আবু দাউদ ২৪৩০৮, ২৪৬৪৯, ২৪৬৭২, ২৪৭৭২, ২৫৭৯৪। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৪৪. অধ্যায়ঃ ঘোড় দৌড়ের বর্ণনা

২৮৭৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি একটি ঘোড়া দুটি ঘোড়ার সাথে [দৌড় প্রতিযোগিতায়] শরীক করিল, কিন্তু তাহার ঘোড়া জিতবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হলে তা জুয়ার পর্যায়ভুক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি একটি ঘোড়া দুটি ঘোড়ার সাথে [দৌড় প্রতিযোগিতায়] শরীক করিল এবং তাহার ঘোড়া জিতবে বলে সে নিশ্চিত হলে তা জুয়ার পর্যায়ভুক্ত। {২৮৭৬}

{২৮৭৬} আবু দাঊদ ২৫৭৯, আহমাদ ১০১৭৯। ইরওয়া ১৫০৯, আর-রাওদ ১১৩৯।হাদিস এবং তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

২৮৭৭. ইবনি ঊমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঘোড়াকে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দিলেন। বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়ার দ্বারা তিনি আল-হাফয়া নামক স্থান থেকে সানিয়্যাতুল বিদা পর্যন্ত ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করিলেন। আর যেসব ঘোড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলো না সেগুলো দ্বারা সানিয়্যাতুল বিদা থেকে যুরায়ক মসজিদ পর্যন্ত [ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা করেন]। {২৮৭৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৪২১, ২৮৬৮, ২৮৬৯, ২৮৭০, ৭৩৩৬, মুসলিম ১৮৭০, তিরমিজি ১৬৯৯, নাসাঈ ৩৫৮৩, ৩৫৮৪, আবু দাউদ ২৫৭৫, ২৫৭৬, ২৫৭৭, আহমাদ ৪৪৭৩, ৪৫৮০, মুয়াত্তা মালিক ১০১৭, দারেমী ২৪২৯, ইরওয়া ১৫০১, সহীহাহ ২১৩৩, সহীহ আবু দাউদ ২৩২০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৭৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দৌড় প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হলে [মাল অথবা অর্থ গ্রহণ করা বৈধ নয়] , উট ও ঘোড়া ব্যতীত। {২৮৭৮}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭৮} তিরমিজি ১৭০০, আবু দাউদ ৫৭৪, আহমাদ ৭৪৩৩, ৮৪৭৮, ৯৭৮৮, রাওদুন নাদীর ১১৭৭, সহীহ আবু দাউদ ২৩১৯, ইরওয়া ১৫০৬, মিশকাত ৩৮০৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন আমর সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি সালিহ। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি কখনো হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবনি আদী বলেন, তাহার হাদিস বর্ণনায় সমস্যা নেই। ঈমাম নাসাঈ তাহাকে সিকাহ বলেছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা]যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৪৫. অধ্যায়ঃ শত্রুরাষ্ট্রে কুরআন নিয়ে সফর করা নিষিদ্ধ

২৮৭৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরআন মাজীদ নিয়ে শত্রু এলাকায় সফরে যেতে নিষেধ করিয়াছেন, এই আশংকায় যে, তা দুশমনদের হস্তগত হয়ে যেতে পারে। {২৮৭৯}

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।{২৮৭৯} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৯৯০, মুসলিম ১৮৬৯, আবু দাউদ ২৬১০, আহমাদ ৪৪৯৩, ৪৫১১, ৪৫৬২, ৫১৪৮, ৫২৭১, ৫৪৪২, ৬০৮৯, মুয়াত্তা মালিক ৯৭৯, বায়হাকী ফিস সুনান ৫/২৬১, ইরওয়া ৫/১৩৮, ১৩৯, ২৫৫৮, তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮৮০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরআন মাজীদ সাথে নিয়ে শত্রুর এলাকায় সফরে যেতে নিষেধ করিতেন এই আশংকায় যে, তা দুশমনদের হস্তগত হয়ে যেতে পারে। {২৮৮০}

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।{২৮৮০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৯৯০, মুসলিম ১৮৬৯, আবু দাউদ ২৬১০, আহমাদ ৪৪৯৩, ৪৫১১, ৪৫৬২, ৫১৪৮, ৫২৭১, ৫৪৪২, ৬০৮৯, মুয়াত্তা মালিক ৯৭৯, ইরওয়া ১৩০০, ৮/১৮৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮/৪৬. অধ্যায়ঃ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ [গনীমত] বণ্টন

২৮৮১. জুবায়র বিন মুতইম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি ও উসমান বিন আফফান [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হলেন খায়বারে প্রাপ্ত যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বণ্টনের বিষয়ে তাহাঁর সাথে আলাপ করার জন্য। তাহারা বলিলেন, আপনি আমাদের ভ্রাতৃগোষ্ঠী বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবের মধ্যে বন্টন করিয়াছেন, অথচ আমাদের আত্মীয় সম্পর্ক তো একই। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবকে একই মনে করি। {২৮৮১}

তাহকিক আলবানীঃ সহীহ।{২৮৮১} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৩১৪০, ৩৫০৩, ৪২২৯, নাসাঈ ৪১৩৬, ৪১৩৭, আবু দাউদ ২৯৭৮, ২৯৭৯, ২৯৮০, আহমাদ ১৬২৯৯, ১৬৩২৭, ১৬৩৪১, ইরওয়া ১২৪২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আয়্যুব বিন সুওয়ায়দ সম্পর্কে আবু বাকর আল-ইসমাঈলী বলেন, তাহার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি দুর্বল। ঈমাম বুখারী বলেন, তাহার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬১৬, ৩/৪৭৪ নং পৃষ্ঠা] যুদ্ধের হাদিস এবং তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply