দুআর ফযিলত, সমষ্টি ও আশ্রয় চাওয়া
দুআর ফযিলত, সমষ্টি ও আশ্রয় চাওয়া >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
দুআর ফযিলত, সমষ্টি ও আশ্রয় চাওয়া
১. অধ্যায়ঃ দুআর ফযিলত
২. অধ্যায়ঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর দুআ
৩. অধ্যায়ঃ যা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]
৪. অধ্যায়ঃ দুআর সমষ্টি
১. অধ্যায়ঃ দুআর ফযিলত
৩৮২৭ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নিকট দুআ করে না, আল্লাহ্ তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। {৩১৫৯}
{৩১৫৯} তিরমিজি ৩৩৭৩। সহীহাহ ২৬৫৪। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৮২৮ : নুমান বিন বশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুআই হলো ইবাদত। অতঃপর তিলাওয়াত করেন
إِنَّ الدُّعَاءَ هُوَ الْعِبَادَةُ
ইন্নাল দুয়াআ হুয়াল ইবাদাতু, ( এবং তোমার প্রভু বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”) [৪০ঃ৬০]। {৩১৬০}
{৩১৬০} তিরমিজি ২৯৬৯, ৩২৪৭, ৩৩৭২, আবু দাউদ ১৪৭৯, ১৭৮৮৮, ১৭৯১৯, ১৭৯৬৪। আল আহকাম ১৯৪, রাওদুন নাদীর ৮৮৮, মিশকাত ২৩৩০, সহীহ আবু দাউদ ১৩২৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮২৯ ঃ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ মহান আল্লাহর নিকট দুআর চেয়ে অধিক সম্মানিত কোন জিনিস নাই। {৩১৬১}
{৩১৬১} তিরমিজি ৩৩৭০। মিশকাত ২৩২, আত তালীকুর রাগীব ২/২৭০। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২. অধ্যায়ঃ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর দুআ
৩৮৩০ ঃ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর দুআয় বলিতেন ঃ
رَبِّ أَعِنِّي وَلاَ تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِي وَلاَ تَنْصُرْ عَلَىَّ وَامْكُرْ لِي وَلاَ تَمْكُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِي وَيَسِّرِ الْهُدَى لِي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ بَغَى عَلَىَّ رَبِّ اجْعَلْنِي لَكَ شَكَّارًا لَكَ ذَكَّارًا لَكَ رَهَّابًا لَكَ مُطِيعًا إِلَيْكَ مُخْبِتًا إِلَيْكَ أَوَّاهًا مُنِيبًا رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي وَاغْسِلْ حَوْبَتِي وَأَجِبْ دَعْوَتِي وَاهْدِ قَلْبِي وَسَدِّدْ لِسَانِي وَثَبِّتْ حُجَّتِي وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ قَلْبِي
রব্বা আয়িন্নি ওয়া লা তুয়েনু আলাইয়া ওয়ানসুরনি ওয়ালা তানসুর আলাইয়া ওয়াহ দিনি ওয়া ইসসিরিল হুদা লি ওয়ান সুরনি আলা মান বাগা আলাইয়া রব্বাজ আলনি লাকা সাক্কারান লাকা জাক্কারান লাকা রাহহাবান লাকা মুতিয়ান ইলাইকা মুখইনান ইলাইকা আও ওয়াহান মুনিবান রব্বা তাকাব্বাল তাওবাতি ওয়াগসিল হাওবাতি ওয়া আজিব দাওইয়াতি ওয়াহদি কালবি ওয়া সাদ্দিদ লিসাবি ওয়া সাব্বিত্ হুজ্জাতি ওয়াসলুল সাখিমাতা কালবি, ( হে প্রভু! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমাকে সহযোগিতা করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করো না, আমার জন্য কৌশল এঁটো, আমার বিরুদ্ধে কৌশল এঁটো না, আমাকে হেদায়াত দান করো, আমার জন্য হেদায়াতের পথ সহজতর করো এবং যে ব্যক্তি আমার উপর অত্যাচার ও সীমা লঙ্ঘন করে তাহার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো। হে প্রভু! আমাকে তোমার জন্য কৃতজ্ঞ বান্দা বানাও, তোমার জন্য অনেক যিকিরকারী, তোমাকে অধিক ভয়কারী, তোমার অধিক আনুগত্যকারী, তোমার নিকট অনুনয়-বিনয়কারী ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তনকারী বানাও। হে আমার রব! আমার তওবা কবুল করো, আমার সমস্ত গুনাহ ধুয়ে-মুছে ফেলো, আমার দুআ কবুল করো, আমার অন্তরকে হেদায়াত দান করো, আমার যবানকে সোজা রাখো, আমার যুক্তি-প্রমাণ বহাল করো এবং আমার মনের সমস্ত হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত করো। )
আবুল হাসান আত-তানাফিসী [রাদি.] বলেন – আমি ওয়াকী[রাদি.] কে বললাম, আমি কি তা বেতেরের কুনূতে পড়তে পারি? তিনি বলেন, হাঁ। {৩১৬২}
{৩১৬২} তিরমিজি ৩৫৫১, আবু দাউদ ১৫১০, আহমাদ ১৯৯৮। আয যিলাল ৩৮৪। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৩১ ঃ আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমা [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] -এর নিকট একটি খাদেম চাওয়ার জন্য আসলেন। তিনি তাহাকে বলেনঃ আমার কাছে এমন কিছু নেই, যা আমি তোমাকে দিতে পারি। অতএব তিনি ফিরে গেলেন। পরে নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর নিকট এসে বলেনঃ যা তুমি চেয়েছো, সেটাই কি তোমার কাছে অধিক প্রিয়, না যা তাহার চেয়ে উত্তম সেটি? আলী [রাদি.] তাই বলিলেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তুমি বলো,
للَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ مُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنَا مِنَ الْفَقْرِ
আল্লাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াতেস সাবই ওয়া রব্বাল আরসিল আজিম রব্বানা ওয়া রব্বা কুল্লি সাইইয়িন মুনজিলাত তাওরাতি ওয়াল ইঞ্জিলি ওয়াল কুরআনিল আজিম আন্তাল আওওয়ালু ফাআইসা কাবলাকা সাইয়ু ওয়া আন্তাজ জাহিরু ফাআইসা ফাওকাকা সাইয়ুন ওয়া আন্তাল বাতিনু ফাআইসা দু’ নাকা সাইউকদি আন্নাদ দাইনা ওয়া আগ্নিনা মিনাল ফাকরি,
(হে আল্লাহ্, সাত আসমানের প্রতিপালক ও মহান আরশের প্রভু, আমাদের প্রতিপালক এবং প্রতিটি জিনিসের প্রতিপালক, তাওরাত, ইনজীল ও মহান কুরআন নাযিলকারী, তুমিই আদি, তোমার পূর্বে কিছুই নাই, তুমি অন্ত, তোমার পরেও কিছুই নাই, তুমিই প্রবল, বিজয়ী ও প্রকাশ্য, তোমার উপরে কিছুই নাই, তুমিই গুপ্ত, তুমি ছাড়া আর কিছু নাই। অতএব তুমি আমাদের ঋণ পরিশোধ করে দাও এবং আমাদেরকে দরিদ্রতা থেকে স্বাবলম্বী বানাও)।
{৩১৬৩} মুসলিম ২৭১৩, তিরমিজি ৩৪০০, ৩৪৮১, আবু দাউদ ৫০৫১, আহমাদ ৮৭৩৭, ৮৯৯৪, ১০৫৪১। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৩২ : আবদুল্লাহ [বিন মাসউদ] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা আল হুদা ওয়াত তাকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা, (হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট হেদায়াত, তাক্বওয়া, চরিত্রের নির্মলতা ও আত্বনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করি”।) {৩১৬৪}
{৩১৬৪} মুসলিম ২৭২১, তিরমিজি ৩৪৮৯, আহমাদ ৩৬৮৪, ৩৬৯৪, ৩৯৪০, ৪১২৪, ৪১৫১, ৪২২১। তাখরীজু ফিকহুস সায়রাহ ৪৮১। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৩৩ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي وَزِدْنِي عِلْمًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ النَّارِ
আল্লাহুম্মান ফা’নি বিমা আল্লামতানি ওয়া আল্লিমনি মা ইয়ানফাউনি ওয়া জিদনি ইলমান ওয়াল হামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হালিন ওয়া আউজু বিল্লাহি মিন আজাবান নার, (হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে যে জ্ঞান দান করেছো, তাহার দ্বারা আমাকে উপকৃত করো, আমার জন্য উপকারী জ্ঞান আমাকে শিখিয়ে দাও এবং আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করো। সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র। আমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা করি”) {৩১৬৫}
তাহকীক আলবানী ঃ “[আরবী]” ব্যতীত সহীহ। {৩১৬৫} তিরমিজি ৩৫৯৯। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৩৮৩৪ : আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পর্যাপ্ত পরিমাণে বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
আল্লাহুম্মা সাবিত কালনি আলা দিনিকা, (হে আল্লাহ্! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখো )
এক ব্যক্তি বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের ব্যাপারে আশংকা করেন? আমরা তো আপনার উপর ঈমান এনেছি এবং আপনি যা নিয়ে এসেছেন সেই বিষয়ে আমরা আপনাকে সত্যবাদী বলে স্বীকার করে নিয়েছি। তিনি বলেনঃ অন্তরসমূহ মহামহিমান্বিত করুণাময়ের দু আঙ্গুলের মাঝে অবস্থিত। তিনি সেগুলোকে ওলট-পালট করেন। আমাশ [রাদি.] তাহার দু আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করেন। {৩১৬৬}
{৩১৬৬} তিরমিজি ২১৪০। আয যিলাল ২২৫, তাখরিজুল ঈমান লি ইবনি আবী শায়বাহ ৫৫-৫৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৩৫ : আবু বকর সিদ্দীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিলেন, আমাকে একটি দুআ শিখিয়ে দিন যাহার দ্বারা আমি আমার সলাতের মধ্যে দুআ করিতে পারি। তিনি বলেনঃ তুমি বলো,
قُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
কুলিল্লাহুম্মা ইন্নি জাআলামতু নাফসি জুলমান কাসিরা ওয়ালা ইয়াগফেরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহিম, (হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি আমার সত্তার উপর অনেক অত্যাচার করেছি, তুমি ভিন্ন গুনাহ মাফ করার আর কেউ নাই। অতএব তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কেননা তুমিই কেবল ক্ষমা করিতে পারো এবং আমার প্রতি দয়া করো। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাকারী, অতি দয়ালু ) {৩১৬৭}
{৩১৬৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৮৩৪, ৬৩২৬, ৭৩৮৮, মুসলিম ২৭০৫, তিরমিজি ৩৫৩১, নাসাঈ ১৩০২, আহমাদ ৮, ২৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৩৬ : আবু উমামাহ আল-বাহিলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি লাঠিতে ভর দিয়ে আমাদের নিকট বেরিয়ে এলেন। আমরা তাহাঁকে দেখামাত্র দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি বলেনঃ পারস্যবাসীরা তাহাদের নেতাহাদের সাথে যেরূপ করে, তোমরা তদ্রূপ করো না। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যদি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করিতেন। তিনি বলেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَارْضَ عَنَّا وَتَقَبَّلْ مِنَّا وَأَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَنَجِّنَا مِنَ النَّارِ وَأَصْلِحْ لَنَا شَأْنَنَا كُلَّهُ
আল্লাহুম্মাগ ফিরলানা ওয়ার হামনা ওয়ারদ আন্না ওয়া তাকাব্বাল মিনান নার ওয়া আদ খিলনা সা’ নানা কুল্লাহু, (হে আল্লাহ্! আমাদের মাফ করে দাও, আমাদের প্রতি দয়া করো, আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকো, আমাদের দুআ কবুল করো, আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাও, আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দাও, আমাদের অবস্থা সংশোধন করে দাও সম্পূর্ণভাবে এবং আমাদের জন্য আরো অধিক দয়া করুন।)
তখন তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাদের সকল প্রয়োজন একত্র করে দেইনি? {৩১৬৮}
{৩১৬৮} আবু দাউদ ৫২৩০, আহমাদ ২১৬৭৭, ২১৬৯৭। দঈফাহ ২৪৬। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৮৩৭ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الأَرْبَعِ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ وَمِنْ دُعَاءٍ لاَ يُسْمَعُ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল আরবিয়ি মিন ইল্মিন লা ইয়ানফাউ ওয়া মিন কালবি লা ইয়াখসায়ু ওয়া মিন নাফসিন লা তাসবায়ু ওয়া মিন দুয়াইন লা ইয়াসমায়ু , ( হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় চাই ঃ এমন জ্ঞান থেকে যা উপকারে আসে না, এমন অন্তর থেকে যা ভীত-বিহ্বল হয় না, এমন আত্মা থেকে যা তৃপ্ত হয় না এবং এমন দুআ থেকে যা কবুল করা হয় না ) {৩১৬৯}
{৩১৬৯} নাসাঈ ৫৫৩৬, ৫৫৩৭। আবু দাউদ ১৫৪৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩. অধ্যায়ঃ যা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]
৩৮৩৮ : আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] এসকল বাক্যে দুআ করিতেন ঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ফিতনাতিন নারি ওয়া আজাবিন নারি ওয়া মিন ফিতনাতিল কবরি ওয়া আজাবিল কবরি ওয়া মিন সাররিন ফিতনাতিল গিনা ওয়া সাররি ফিতনাতিল ফাকরি ওয়া মিন সাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জালি আল্লাহুম্মাগসিল খতাইয়াইয়া বিমা এস সালজি ওয়াল বারাদি ওয়া নাক্কি কলবি মিনা খতাইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবা আবইয়াদা মিনাদদানাসি ওয়া বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খতাইয়াইয়া কামা বায়াদতু বাইনাল মাসরিকি ওয়াল মাগরিবি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু ওয়াল মা’সামি ওয়াল মাগরিম, ( হে আল্লাহ্! আমি অবশ্যই আপনার নিকট আশ্রয় চাই জাহান্নামের বিপর্যয় থেকে, জাহান্নামের শাস্তি থেকে, কবরের বিপর্যয় থেকে, কবরের শাস্তি থেকে, প্রাচুর্যের বিপর্যয়কর ক্ষতি থেকে, দারিদ্র্যের বিপর্যয়কর অভিশাপ থেকে এবং দাজ্জালের বিপর্যয়কর ক্ষতি থেকে। হে আল্লাহ্! তুমি আমার গুনাহসমূহ বরফ-শীলা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো, আমার অন্তরকে সমস্ত পাপ থেকে পরিচ্ছন্ন করো, যেমন তুমি সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করো এবং আমার ও আমার পাপগুলোর মাঝে এতটা দূরত্ব সৃষ্টি করে দাও, তুমি যতটা দূরত্ব সৃষ্টি করেছো পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে। হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা থেকে, বার্ধক্য থেকে, গুনাহের প্রতি প্রলুব্ধকারী বস্তু থেকে এবং ঋণভার থেকে”।) {৩১৭০}
{৩১৭০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ৮৩৩, ২৩৯৭, ৬৩৬৮, ৬৩৭৫, ৬৩৭৬, ৬৩৭৭, ৭১২৯, মুসলিম ৫৮৭, ৫৮৯, ৫৮৮, নাসাঈ ১৩০৯, ৫৪৫৪, ৫৪৫৬, ৫৪৭২, ৫৪৭৭, ৫৫০৪, আবু দাউদ ৮৮০, ১৫৪৩ . হাত তুলে মোনাজাত করা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৩৯ : আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
[ফারওয়াহ] বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যেসব বাক্যে দুআ করিতেন, আমি আয়েশা [রাদি.] এর নিকট সেই দুআ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তিনি বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা সাররি মা আমিলতু ওয়া মিন সাররি মা’লাম আ’মাল , (“হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই আমার কৃতকর্মের ক্ষতি থেকে এবং যে কাজ আমি [এখনো] করিনি তাহার অনিষ্ট থেকে) {৩১৭১}
{৩১৭১} মুসলিম ২৭১৬, নাসাঈ ১৩০৭, ৫৫২৩, ৫৫২৪, ৫৫২৫, ৫৫২৬, ৫৫২৭, ৫৫২৮, আবু দাউদ ১৫৫০, আহমাদ ২৩৫১৩, ২৪১৬৩, ২৪৫৬১, ২৫২৫৬, ২৫৬৭৩, ২৫৮৩৬, সহীহ আবু দাউদ ১৩৮৬। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৪০ :ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিম্নোক্ত দুআটি আমাদেরকে এতো গুরুত্ব সহকারে শিক্ষা দিতেন যত গুরুত্ব সহকারে তিনি আমাদের কুরআনের কোন সূরা শিক্ষা দিতেন ঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন আজাবি জাহান্নামা ওয়া আউজু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাত, (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব থেকে, তোমার নিকট আরও আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, তোমার নিকট আরও আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের বিপর্যয় থেকে এবং তোমার নিকট আরও আশ্রয় চাই জীবন ও মৃত্যুর বিপর্যয় থেকে ) {৩১৭২}
{৩১৭২} মুসলিম ৫৯০, তিরমিজি ৩৪৯৪, নাসাঈ ২০৬৩, ৫৫১২, ৯৮৪, ১৫৪২, আহমাদ ২১৬৯, ২৩৩৮, ২৭০৪, ২৭৭৪, ২৮৩৪, মুওায়াত্তা মালিক ৪৯৯। সহীহ আবু দাউদ ১৩৭৬। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৩৮৪১ : আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে তাহাঁর বিছানায় পেলাম না। আমি তাহাঁকে খুঁজতে লাগলাম। আমার হাত তাহাঁর দু পায়ের পাতাহার নিচে গিয়ে লাগলো। তিনি তখন সিজদারত ছিলেন এবং তাহাঁর পায়ের পাতা দুটি দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। তিনি বলছিলেন ঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়া বি মুয়া’ফাতিকা ওয়া আউজু বিকা মিনকা লা আহসিয় সানায়ান আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা আলা নাফসিকা, ( হে আল্লাহ্! আমি তোমার সন্তুষ্টির ওয়াসীলায় তোমার অসন্তোষ থেকে আশ্রয় চাই, তোমার ক্ষমার ওয়াসীলায় তোমার আযাব থেকে আশ্রয় চাই, তোমার নিকট তোমা থেকে আশ্রয় চাই, তোমার পূর্ণ প্রশংসা করা আমার সাধ্যাতীত, তুমি যেরূপ তোমার প্রশংসা বর্ণনা করেছো সেরূপই )। {৩১৭৩}
{৩১৭৩} মুসলিম ৪৮৬, তিরমিজি ৩৪৯৩, নাসাঈ ১৬৬, ১৬৯, ১১০০, ১১৩০, ৫৫৩৪, আবু দাউদ ৮৭৯, ২৩৭৯১, ২৫১২৭, মুওয়াত্তা মালিক ৪৯৭, সহীহ আবু দাউদ ৮২৩। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৪২ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা দারিদ্র্য, স্বল্পতা, অত্যাচার করা ও অত্যাচারিত হওয়া থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করো। {৩১৭৪}
{৩১৭৪} নাসাঈ ৫৪৬০, ৫৪৬১, ৫৪৬২, ৫৪৬৩, ৫৪৬৪, ১৫৪৪। সহীহাহ ১৪৪৫, সহীহ আবু দাউদ ১৩৮১। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৪৩ : জাবীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর নিকট উপকারী জ্ঞান লাভের প্রার্থনা করো এবং অপকারী জ্ঞান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করো। {৩১৭৫}
{৩১৭৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। সহীহাহ ১৫১১। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৮৪৪ : উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] আশ্রয় প্রার্থনা করিতেন ভীরুতা, কাপুরুষতা, কার্পণ্য, অথর্বজনক বার্ধক্য, কবরের শাস্তি ও অন্তরের বিপর্যয় থেকে। ওয়াকী [রাদি.] বলেন, অন্তরের বিপর্যয়ের অর্থ হল যে ব্যক্তি তাহার পথভ্রষ্টতা থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করে মারা যায়। {৩১৭৬}
{৩১৭৬} নাসাঈ ৫৪৪৩, আবু দাউদ ১৫৩৯, মিশকাত ২৪৬৬। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪. অধ্যায়ঃ দুআর সমষ্টি
৩৮৪৫ : তারিক বিন আশয়াম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এ হাদিস শুনেছেন। এক ব্যক্তি তাহাঁর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার প্রভুর নিকট প্রার্থনা করিতে গিয়ে কিভাবে বলবো? তিনি বলেনঃ তুমি বলো,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي
আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়ার হামনি ওয়া আফিনি ওয়র জুকনি, (হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করো, আমার প্রতি দয়া করো, আমাকে আরোগ্য দান করো এবং আমাকে রিযিক দান করো )
অতঃপর তিনি তাহার বৃদ্ধাঙ্গুলি ছাড়া অবশিষ্ট চার আঙ্গুল একত্র করে বলেনঃ এই চারটি প্রার্থনা তোমার দ্বীন ও দুনিয়াকে তোমার জন্য একত্র করিবে। {৩১৭৭}
{৩১৭৭} মুসলিম ২৬৯৭, আহমাদ ১৫৪৪৮, ২৬৬৭০। সহীহাহ ১৩১৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৪৬ : আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাহাকে এই দুআ শিখিয়েছেন ঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنَ الْخَيْرِ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الشَّرِّ كُلِّهِ عَاجِلِهِ وَآجِلِهِ مَا عَلِمْتُ مِنْهُ وَمَا لَمْ أَعْلَمْ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا سَأَلَكَ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَاذَ بِهِ عَبْدُكَ وَنَبِيُّكَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ وَمَا قَرَّبَ إِلَيْهَا مِنْ قَوْلٍ أَوْ عَمَلٍ وَأَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ كُلَّ قَضَاءٍ قَضَيْتَهُ لِي خَيْرًا
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকা মিনাল খয়রি কুল্লিহি আজিলিহি মা আলিমতু মিনহু ইয়া মা লাম আ’লাম ওয়া আউজু বিকা মিনাস সাররি কুল্লিহি আজিলিহি ওয়া আ-জিইহি মা আলিমতু মিনহু ওয়া মা লাম আ’লাম আল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকা মিন খায়রি মা সাআলাকা আব্দুকা ওয়া আউজুবিকা মিন সাররি মা আজাবিহি আব্দুকা ওয়া নাবিয়্যুকাল্লাহুম্মা ইন্নি আসালুকাল জান্নাতা ওয়া মা কাররাবা ইলায়হা মিন কাওলি আও আমালিন ওয়া আউজুবিকা মিনান নার ওয়া মা কররাবা ইলায়হা মিন কওলিন আও আমালিন ওয়া আসালুকা আন তাজআলা কুল্লা ফাদায়িন কদায়তাহু লিয় খইর, (হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে যাবতীয় কল্যাণ ভিক্ষা করছি, যা তাড়াতাড়ি আসে, যা দেরিতে আসে, যা জানা আছে, যা জানা নেই। আর আমি যাবতীয় মন্দ হইতে তোমার আশ্রয় ভিক্ষা করছি – যা তাড়াতাড়ি আগমনকারী আর যা দেরিতে আগমনকারী আর যা আমি জানি আর যা আমি অবগত নই। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকটে ঐ মঙ্গলই চাচ্ছি যা চেয়েছেন – তোমার [নেক] বান্দা ও তোমার নাবী, আর তোমার কাছে ঐ মন্দ বস্তু থেকে পানাহ চাচ্ছি যা হইতে তোমার বান্দা ও নবী [সাঃআঃ] পানাহ চেয়েছেন। হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে জান্নাত চাচ্ছি এবং ঐসব কথা ও কাজ চাচ্ছি যেগুলো আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেবে। আর আমি জাহান্নাম হইতে তোমার নিকট পানাহ চাচ্ছি এবং ঐসব কথা ও কাজ হইতেও পানাহ চাচ্ছি যেগুলো আমাকে জাহান্নামের নিকটবর্তী করে দেবে। আর আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি যে, তুমি আমার জন্য যেসব ফায়সালা করে রেখেছ তা আমার জন্য কল্যাণকর করে দাও )। {৩১৭৮}
{৩১৭৮} আহমাদ ২৪৪৯৮, ২৪৬১৩। সহীহাহ ১৫৪২। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৮৪৭ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যাক্তিকে বললেনঃ সলাতের মধ্যে তুমি কী বলো? সে বলল, আমি তাশাহহুদ পড়ি, অতঃপর আল্লাহর নিকট জান্নাত কামনা করি এবং জাহান্নাম থেকে তাহাঁর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। তবে আপনার ও মুআয [রাদি.]-র দুআ কতই না উত্তম। তিনি বললেনঃ আমরাও প্রায় অনুরূপ দুআ করে থাকি। {৩১৭৯}
{৩১৭৯} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৩৭৭, মুসলিম ৫৮৮, নাসায়ি ১৩১০, ৫৫০৫, ৫৫০৬, ৫৫০৮, ৫৫০৯, ৫৫১০, ৫৫১১, ৫৫১৩, ৫৫১৪, ৫৫১৫, ৫৫১৬, ৫৫১৭, ৫৫১৮, ৫৫২০, আবু ৭৯২, ৯৮৩ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
Leave a Reply