খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস -করুনা ও নসীহত সম্পর্কে

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস -নসীহত সম্পর্কে

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস -নসীহত সম্পর্কে >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ৪৩, অনুচ্ছেদঃ ৫৯-৬৮=১০টি

অনুচ্ছেদ-৫৯ঃ গান গাওয়া নিষেধ হওয়া সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৬০ঃ সঙ্গীত ও বাঁশি বাজানো নিন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-৬১ঃ হিজড়া সম্পর্কে বিধান
অনুচ্ছেদ-৬২ঃ পুতুল দ্বারা খেলা করা
অনুচ্ছেদ-৬৩ঃ দোলনা সম্বন্ধে
অনুচ্ছেদ-৬৪ঃ পাশা খেলা নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৬৫ঃ কবুতর নিয়ে খেলা করা সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৬৬ঃ করুনা সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৬৭ঃ নসীহত সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৬৮ঃ মুসলিমকে সাহায্য করা

অনুচ্ছেদ-৫৯ঃ গান গাওয়া নিষেধ হওয়া সম্পর্কে

৪৯২২. মুআব্বিয্‌ ইবনি আফরা [রাদি.] এর কন্যা রুবাঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার বাসর রাতে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এসে আমার বিছানায় এমনভাবে বসলেন, যেমনটি তুমি [খালিদ] বসে আছো। অতঃপর কয়েকটি বালিকা তাহাদের দফ বাজিয়ে বদর যুদ্ধে শহীদ আমার পিতা ও চাচার সুনাম করছিলো। এক পর্যায়ে একটি বালিকা বললো, “আমাদের মাঝে এমন একজন নাবী রয়েছেন, যিনি জানেন আগামীকাল কি হইবে”। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ এটা বর্জন করো, বরং আগে যা বলছিলে তাই বলো।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯২৩.আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মদিনাহ্‌য় আসলেন তখন আবিসিনীয়রা তাহাঁর আগমন উল্লাসে বল্লম খেলা প্রদর্শন করেছে।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬০ঃ সঙ্গীত ও বাঁশি বাজানো নিন্দনীয়

৪৯২৪. নাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা ইবনি উমার [রাদি.] বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনতে পেয়ে উভয় কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাস্তা হইতে সরে গিয়ে আমাকে বলিলেন, হে নাফি তুমি কি কিছু শুনতে পাচ্ছো? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বলিলাম, না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কান থেকে হাত তুলে বলিলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি এ ধরনের শব্দ শুনে এরূপ করেছিলেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ হাদিসটি মুনকার।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯২৫. নাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি বাহনে ইবনি উমারের [রাদি.] পিছনে ছিলাম। তিনি এক রাখালকে অতিক্রম করিলেন যে বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিল … অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৪৯২৬. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা ইবনি উমার [রাদি.] সঙ্গে ছিলাম। তিনি বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ শুনতে পেলেন … অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এটি অধিকতর মুনকার।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯২৭. সাল্লাম ইবনি মিসকীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এক শাইখের সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

যিনি আবু ওয়াইল[রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সঙ্গে এক বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।তখন লোকেরা খেলাধূলা ও আনন্দ আর সঙ্গীতে মত্ত হল।আবু ওয়াইল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হাত দিয়ে নিজ হাঁটুদ্বয় পেঁচিয়ে ধরে বলিলেন, আমি আবদুল্লাহ[রাদি.]-কে বলিতে শুনিয়াছি,আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই সঙ্গীত অন্তরে কপটতা সৃষ্টি করে।

দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৮১০,যঈফাহ হা/২৪৩০। এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬১ঃ হিজড়া সম্পর্কে বিধান

৪৯২৮. আবু হুরাইরাহ[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

কোন একদিন এক হিজড়াকে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আনা হলো। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ এর এ অবস্থা কেনো? বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সে নারীর বেশ ধরেছে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে আন-নকী নামক স্থানে নির্বাসন দেয়ার নির্দেশ দিলেন। সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাহাকে হত্যা করবো না? তিনি বলিলেন, সলাত আদায়কারীদের হত্যা করিতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আবু-উসামাহ বলেন, আন-নাফী হলো মাদীনাহ্‌ এর প্রান্তবর্তী একটি জনপদ, এটা বাকী নয়।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯২৯. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা নাবী [সাঃআঃ],তখন তার নিকট এক হিজড়া উপস্থিত ছিলো। সে তার ভাই আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে বলছিলো, আল্লাহ্‌ আগামীতে তায়েফ বিজয় দান করলে আমি অবশ্যই এমন এক মহিলাকে দেখাবো, যে চার ভাঁজে সামনে আসে এবং আট ভাঁজে পিছনে যায়।তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ তোমরা এদেরকে তোমাদের ঘর থেকে তাড়িয়ে দাও। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ঐ নারীর পেটে চার ভাঁজ ছিলো।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৩০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] অভিশাপ দিয়েছেন পুরুষ ও নারী হিজড়াকে যারা পুরুষ সাজে।তিনি [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা এদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে হইতে বের করে দাও এবং অমুক অমুক হিজড়াকেও বের করো।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬২ঃ পুতুল দ্বারা খেলা করা

৪৯৩১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি অন্যান্য বালিকাদের সঙ্গে নিয়ে পুতুল খেলা করতাম। কখনো রাসূল [সাঃআঃ] এ অবস্থায় আমার ঘরে আসতেন। তিনি প্রবেশ করলে বালিকারা বেরিয়ে যেতো এবং তিনি চলে গেলে তারা পুনরায় প্রবেশ করতো।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৩২. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাবূক অথবা খায়বারের যুদ্ধ হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন। ঘরের তাহাকের উপর পর্দা ঝুলানো ছিল। বায়ু প্রবাহের ফলে তার এক পাশ সরে যায় যাতে তার খেলার পুতুলগুলো দৃশ্যমান হয়ে পড়ে। তিনি [সাঃআঃ] পুতুলগুলো দেখে বলিলেন, হে আয়িশাহ! এগুলো কি? উত্তরে তিনি বলিলেন, এগুলো আমার মেয়ে। আর তিনি এগুলোর মধ্যে কাপড়ের তৈরী দুই ডানাবিশিষ্ট একটি ঘোড়াও দেখিতে পেলেন। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ এগুলোর মধ্যে ওটা কি দেখিতে পাচ্ছি? তিনি বলিলেন, ঘোড়া। তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, তার উপর আবার ওটা কি? তিনি বলিলেন, দুটো পাখা। তিনি বলিলেন, এ আবার কেমন ঘোড়া, যার পাখা আছে! আমি বলিলাম, আপনি কি শুনেননি যে, সুলাইমান [আ]-এর ঘোড়ার কয়েকটি পাখা ছিল! আয়িশাহ[রাদি.] বলেন, একথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হেসে দিলেন, যাতে আমি তাহাঁর সামনের সারির দাঁত দেখিতে পেলাম।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬৩ঃ দোলনা সম্বন্ধে

৪৯৩৩. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার ছয় বা সাত বছর বয়সে [রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]] আমাকে বিয়ে করেন। আমরা মদিনায় আগমন করলে একদল মহিলা আসলেন। বর্ণনাকারী বিশরের বর্ণনায় রয়েছেঃ আমার নিকট [আমার মা] উম্মু রূমান [রাদি.] আসলেন, তখন আমি দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন, আমাকে প্রস্তুত করিলেন এবং পোশাক পরিয়ে সাজালেন। অতঃপর আমাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট পেশ করা হলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করিলেন, তখন আমার বয়স নয় বছর। মা আমাকে ঘরের দরজায় দাড় করালেন এবং আমি উচ্চহাসি দিলাম। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, অর্থাৎ আমার মাসিক ঋতু হয়েছে। আমাকে একটি ঘরে প্রবেশ করানো হলো। তাতে আনসার গোত্রের একদল মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তারা আমার জন্য কল্যাণ ও বরকত কামনা করিলেন।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৩৪. আবু উসামাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে হইতে বর্ণীতঃ

. আবু উসামাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ তারা আমার সৌভাগ্য কামনা করিলেন। তিনি [সাঃআঃ] আমাকে আনসার মহিলাদের নিকট সোর্পদ করিলেন। তারা আমার মাথা ধৌত করিলেন এবং আমাকে পরিপাটি করিলেন। পূর্বাহ্নে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত কেউই আমার নিকট আসেনি। অতএব তারা আমাকে তাহাঁর নিকট সোর্পদ করিলেন।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৩৫. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা মদিনায় আসলাম তখন মহিলারা আমার নিকট এলো, এ সময় আমি দোলনায় খেলছিলাম। আমার মাথায় ঘন কালো ও লম্বা চুল ছিলো। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে প্রস্তুত করে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট নিয়ে এলো। তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করেন। তখন আমার বয়স ছিলো নয় বছর।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৩৬. হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার সানাদে এ বর্ণনা করেন। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, আমি আমার বান্ধবীকে নিয়ে দোলনায় ছিলাম। অতঃপর আমাকে এক ঘরে প্রবেশ করানো হলো, সেখানে আনসারদের মহিলারা উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর তারা আমাকে কল্যাণ ও বরকতের শুভেচ্ছা জানালেন।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৩৭. ইয়াহ্‌য়া ইবনি আবদুর রহমান ইবনি হাতিব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, আমরা মদিনায় আগমন করে হারিস ইবনিল খায়রায গোত্রে আসি। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমি দুটি খেজুর গাছের মধ্যে দোলনায় উপর ছিলাম, আমার মাথার ঘন ও লম্বা চুল ছিল। তারপর আমার মা এসে আমাকে নামালেন।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

অনুচ্ছেদ-৬৪ঃ পাশা খেলা নিষেধ

৪৯৩৮. আবু মূসা আল-আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পাশা খেললো সে আল্লাহ্‌ ও তাহাঁর রাসূলের নাফরমানী করলো।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৯৩৯. সুলাইমান ইবনি বুরাইদাহ[রাদি.] হইতে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পাশা খেললো সে যেন শূকরের মাংস ও রক্তের মধ্যে হাত ডুবালো।

খেলাধুলা ও গান বাজনা সম্পর্কে হাদীস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬৫ঃ কবুতর নিয়ে খেলা করা সম্পর্কে

৪৯৪০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূসলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে একটি কবুতরের পিছু ধাওয়া করিতে দেখে বলিলেনঃ এক শয়তান আরেক শয়তানীর অনুসরণ করছে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

অনুচ্ছেদ-৬৬ঃ করুনা সম্পর্কে

৪৯৪১. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ দয়াশীলদের উপর করুণাময় আল্লাহ্‌ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদেরকে দয়া করবেন।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৪২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত এই হুজরার মালিক আবুল ক্বাসিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কে বলিতে শুনেছিঃ হতভাগা ছাড়া অন্য কারো থেকে দয়ামায়া উঠিয়ে নেয়া হয় না।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৯৪৩. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদেরকে স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দেরকে সম্মান করে না সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬৭ঃ নসীহত সম্পর্কে

৪৯৪৪. তামীম আদ্‌-দারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা, উত্তম উপদেশ ও সুপরামর্শ; সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল!কার জন্য? তিনি বলিলেন, আল্লাহ্‌ ও তাহাঁর রাসূল, মুমিন বা মুসলিম নেতাগণ এবং সর্ব সাধারণের জন্য।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৪৫. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, শ্রবণ, অনুসরণ ও প্রত্যেক মুসলিমের কল্যাণ কামনার জন্য বাইআত গ্রহণ করেছি। বর্ণনাকারী বলেন, জারীর [রাদি.] কোন কিছু বিক্রি করলে বা কিনলে বলিতেন, আমি যা আপনার কাছ হইতে কিনেছি তা আমার নিকট আপনাকে যা দিয়েছি তার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়। সুতরাং আপনার স্বাধীনতা থাকলো।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬৮ঃ মুসলিমকে সাহায্য করা

৪৯৪৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে দুনিয়ার বিপদসমূহের মধ্যকার কোন বিপদ হইতে রক্ষা করিবে, এর প্রতিদানে আল্লাহ্‌ ক্বিয়ামাতের দিনের বিপদসমূহের কোন বিপদ হইতে তাহাকে রক্ষা করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন গরীব লোকের সঙ্গে [পাওনা আদায়ে] নম্র ব্যবহার করিবে, আল্লাহ্‌ তার সঙ্গে দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় স্থানে নম্র ব্যবহার করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন করে রাখবে আল্লাহ্‌ও তার দোষত্রুটি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানে গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহ্‌ও ততক্ষণ তাহাঁর বান্দার সাহায্য করেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], আবু মুআবিয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে “যে ব্যক্তি গরীব ব্যক্তির সঙ্গে নম্র ব্যবহার করিবে …” এ কথাটুকু উল্লেখ করেননি।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯৪৭. হুযাইফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তোমাদের নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ প্রত্যেক ভাল কাজই একটি সদাক্বাহ।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply