উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস – ক্রোধের সময় যা বলিতে হয়

উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস – ক্রোধের সময় যা বলিতে হয়

উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস – ক্রোধের সময় যা বলিতে হয় >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ৪৩, অনুচ্ছেদঃ ১-১২=১২টি

অনুচ্ছেদ-১ঃ নাবী রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] এর সহনশীলতা ও চরিত্র সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-২ঃ আত্নমর্যাদাবোধ
অনুচ্ছেদ-৩ঃ যে ব্যাক্তি রাগ সংবরণ করে
অনুচ্ছেদ-৪ঃ ক্রোধের সময় যা বলিতে হয়
অনুচ্ছেদ-৫ঃ ক্ষমা করা ও অপরাধ উপেক্ষা করা
অনুচ্ছেদ-৬ঃ লোকজনের সঙ্গে উত্তমরূপে বসবাস করা
অনুচ্ছেদ-৭ঃ লজ্জাশীলতা
অনুচ্ছেদ-৮ঃ উত্তম চরিত্র সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৯ঃ কাজে কর্মে অহংকার দেখানো অপছন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-১০ঃ চাটুকারিতা নিন্দনীয়
অনুচ্ছেদ–১১ঃ বিনয় ও নম্রতা সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-১২ঃ অনুগ্রহ প্রদর্শনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

অনুচ্ছেদ-১ঃ নাবী রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] এর সহনশীলতা ও চরিত্র সম্পর্কে

৪৭৭৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ] চরিত্রের দিক হইতে সর্বোত্তম ব্যক্তি ছিলেন। একদিন তিনি আমাকে কোনো দরকারে পাঠালেন। আমি বলিলাম, আল্লাহর কসম ! আমি যাবো না। কিন্তু আমার অন্তরে ছিলো যে, নাবী [সাঃআঃ] আমাকে যে প্রয়োজনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে যাবো। আনাস [রাদি.] বলেন, অতঃপর আমি রওয়ানা হয়ে বাজারে খেলাধূলারত বালকদের কাছ দিয়ে যেতে খেলায় লিপ্ত হলাম। হঠাৎ পিছন দিক হইতে রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ] এসে আমার ঘাড় ধরলেন। পিছন দিকে ফিরে দেখি তিনি হাসছেন। তিনি বলিলেন, হে উনাইস ! আমি তোমাকে যেখানে যেতে বলেছি তুমি সেখানে যাও। আমি বলিলাম , হে আল্লাহর রাসূল ! হ্যাঁ , এইতো যাচ্ছি। আনাস [রাদি.] বলেন, আল্লাহর কসম ! আমি সাত বছর অথবা নয় বছর তাহাঁর খেদমত করেছি ; কিন্তু আমার মনে পড়ছে না যে , তিনি আমার কোনো কাজের জন্য আমাকে বলিয়াছেনঃ তুমি এটা কেনো করলে? অথবা কোনো কাজ না করলে তিনি আমার কৈফিয়ত তালাশ করেননি, এ কাজ কেনো করলে না। {৪৭৭২}

{৪৭৭২} মুসলিম । এই উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৭৭৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মাদীনাহয় আমি দশ বছর যাবৎ নাবী [সাঃআঃ] এর খেদমত করেছি। তখন আমি বালক ছিলাম। সব কাজ আমার মালিক যেভাবে চেয়েছেন সেভাবে করিতে পারিনি। সেজন্য তিনি আমার প্রতি কখনো মনক্ষুন্নতা প্রকাশ করেননি এবং কখনো আমাকে বলেননি, তুমি এটা কেন করলে অথবা এটা কেন করলে না।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৭৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের সঙ্গে মাসজিদে বসে কথাবার্তা বলিতেন। অতঃপর তিনি উঠে গেলে আমরাও দাঁড়াতাম এবং তিনি তাহাঁর কোন স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ না করা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতাম। একদিন তিনি আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন এবং তিনি দাঁড়ালে আমরাও তাহাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম। দেখলাম যে, জনৈক বেদুঈন তাহাকে নাগালে পেয়ে তাহাঁর চাদরটা ধরে এমন টান দিলো যে, তাহাঁর ঘাড় লাল হয়ে গেলো। আবু হুরায়রা [রাদি.] বলেন তাহাঁর চাদরটা ছিলো খসখসে। তিনি ফিরে তাকালেন। বেদুঈন তাহাকে বললো, এ দুই উটের বোঝা পরিমাণ খাদ্য আমাকে দাও। কারণ তুমি তো তোমার নিজের সম্পদ হইতেও দিচ্ছো না আর তোমার বাবার সম্পদ হইতেও দিচ্ছো না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি ; না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি ; না, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। তুমি আমাকে যে জোরে টান দিয়েছো, তুমি তোমার উপর আমাকে তাহাঁর প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ না দেয়া পর্যন্ত আমি তোমাকে কিছুই দিবো না। বেদুঈন বারবার বলছিলো, আল্লাহর কসম ! আমি আপনাকে তাহাঁর প্রতিশোধ নেবার সুযোগ দিবো না। অতঃপর বর্ণনাকারী এ হাদিস বর্ণনা করেন। অতঃপর তিনি একটি লোককে ডেকে এনে বলিলেনঃ তাহাঁর এ দুই উটের একটিতে যব এবং ওপরটিতে খেজুর বোঝাই করে দিয়ে দাও। অতঃপর তিনি বলিলেন, তোমরা আল্লাহর কল্যাণ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করো। {৪৭৭৪}

{৪৭৭৪} নাসায়ী ,সানাদে হিলাল ইবনি হিলাল রয়েছে । ঈমাম যাহাবী বলেনঃ তাহাকে চেনা যাইনি। এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-২ঃ আত্নমর্যাদাবোধ

৪৭৭৬. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ উত্তম পথ , গাম্ভীর্যপূর্ণ উত্তম আচরণ এবং পরিমিতিবোধ নবুওয়্যাতের পঁচিশ ভাগের এক ভাগ।

এই উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩ঃ যে ব্যাক্তি রাগ সংবরণ করে

৪৭৭৭. সাহল ইবনি মুআয [রাদি.] হইতে তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যাক্তি তাহাঁর রাগ প্রয়োগের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সংযত থাকে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাহাকে সকল সৃষ্টিকূলের মধ্য হইতে ডেকে নিবেন এবং তাহাকে হুরদের মধ্য হইতে তাহাঁর পছন্দমত যে কোন একজনকে বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দিবেন। {৪৭৭৬}

{৪৭৭৬} তিরমিজি ,ইবনি মাজাহ ,আহমাদ ।{৪৭৭৬ নং কোন রেফারীন্স নাই।}

এই উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৭৭৮

নাবী সাঃআঃ এর জনৈক সাহাবীর পুত্র হইতে তার পিতার সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন —পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরুপ। তারপর আখিরাতে আল্লাহ তাহাকে ডাকবেন, এর স্হানে বলেন, আল্লাহ তাহাকে শান্তি ও ঈমানের দ্বারা পরিপূর্ণ করবেন। তারপর বলেন যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সৌন্দর্যবর্ধক পোশাক পরা হইতে বিরত থাকে এবং বর্ণনাকারী বিশর বলেন, আমার ধারণা তিনি নম্রতা পরিত্যাগের কথা বলিয়াছেন , আল্লাহ তাহাকে সম্মানের পোশাক পরিধান করাবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিবাহ করিবে আল্লাহর তাহাকে রাজমুকুট পরিধান করাবেন। ৪৭৭৭

দূর্বল। মিশকাত হা / ৫০৮৯।

{৪৭৭৭} মিশকাত । সানাদে সুওয়াইদ ইবনি ওহাব রয়েছে ।তার অবস্হা অজ্ঞাত । তাছারা কোনো এক সাহাবীর জনৈক সন্তান রয়েছে ।তার পরিচয় অস্পস্ট । এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৪৭৭৯. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন একদা রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের মধ্যকার কোনো ব্যক্তিকে তোমরা বড় বীর মনে করো? সাহাবীগণ বলিলেন, যাকে কেউ যুদ্ধে হারাতে পারে না। রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ না , বরং প্রকৃত বীর হলো সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪ঃ ক্রোধের সময় যা বলিতে হয়

৪৭৮০. মুআয ইবনি জালাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন , দুই ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] এর সামনে পরস্পরকে গালি দিতে লাগলো। তাহাদের একজন এতটা রাগাম্বিত হলো যে, মনে হচ্ছিলো, রাগের প্রচন্ডতায় তার নাক ফেটে যাবে। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আমি এমন একটি বাক্য জানি যা বললে রাগের প্রতিক্রিয়া চলে যাবে। তখন মুআয [রাদি.] বলিলেন , হে আল্লাহর রাসুল ! তা কি? তিনি বলিলেন, “ সে বলবে ঃ হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট অভিশপ্ত শয়তান হইতে আশ্রয় চাইছি।“ আবদুর রহমান বলেন, তখন মুআয [রাদি.] তাহাকে তা পড়ার তাগিদ দিতে থাকলেন। কিন্তু সে তা পড়তে সম্মত হলো না এবং ঝগড়া করিতে থাকলো এবং তার রাগ আরো বৃদ্ধি পেলো।

দূর্বল। ৪৭৭৯ তিরমিজি , আ্হমাদ , সনদ মুনকাতি । আবদুর রাহমান বিন আবু লাইলাহ হাদিসটি মুআয বিন জাবাল [রাদি.] হইতে শুনেননি । এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৪৭৮১. সুলাইমান ইবনি সুরাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন , দুই ব্যক্তি রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] এর সামনে পরস্পরকে গালি দিতে লাগলো। তাহাদের একজনের চোখ লাল হইতে থাকে ও ঘাড়ের রগ মোটা হইতে থাকে। রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আমি অবশ্যই এমন একটি বাক্য জানি এ ব্যক্তি তা বললে নিশ্চয়ই তার রাগ চলে যাবে। তা হলো ঃ অভিশপ্ত শয়তান হইতে আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইছি। লোকটি বললো, আপনি কি আমার পাগল ভাব দেখছেন!

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৮২. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ তোমাদের কারোর যদি দাঁড়ানো অবস্হায় রাগের উদ্রেক হয় তাহলে সে যেন বসে পড়ে। এতে যদি তার রাগ দূর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেনো শুয়ে পরে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৮৩. বাকর [র] হইতে বর্ণীতঃ

একদা নাবী [সাঃআঃ] আবু যার [রাদি.] কে ডেকে পাঠালেন। …. অতঃপর উপরোক্ত হাদিস। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, দুটি হাদিসের মধ্যে এটি অধিক সহিহ।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৮৪. আবু ওয়াইল আল-ক্বাস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন , একদা আমরা উরওয়াহ ইবনি মুহাম্মাদ আস-সাদীর নিকট গেলাম। তখন এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে তাহাকে রাগিয়ে দিলো। অতএব তিনি দাঁড়ালেন এবং উযু করিলেন। অতঃপর বলিলেনঃ আমার পিতা আমার দাদা আত্বিয়্যাহ [র] হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ রাগ হচ্ছে শয়তানী প্রভাবের ফল। শয়তানকে আগুন হইতে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আগুন পানি দিয়ে নিভানো যায়। অতএব তোমাদের কারো রাগ হলে সে যেন উযু করে নেয়।৪৭৮৩

দূর্বল। ৪৭৮৩ আ্হমাদ , সনদের উরওয়াহ ইবনি মুহাম্মাদ সম্পর্কে হাফিয বলেন ঃ মাক্ববুল । এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫ঃ ক্ষমা করা ও অপরাধ উপেক্ষা করা

৪৭৮৫. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন যখন রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ]কে দুটি কাজের যে কোন একটি গ্রহণের স্বাধীনতা দেয়া হতো তখন তিনি দুটির মধ্যে সহজতরটি গ্রহণ করিতেন, যদি না তা পাপ কাজ হতো। আর যদি তা পাপ কাজ হতো তবে তিনি তা হইতে অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দূরে থাকতেন। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপারে কখনো প্রতিশোধ নেননি। কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত সীমারেখা বা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর জন্য অবশ্যই তাহাঁর প্রতিশোধ নিতেন।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৮৬. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] কখনো কোন খাদেমকে এবং কোন মহিলাকে মারধর করেননি।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৮৭. আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর [রাদি.], মহান আল্লাহ্‌র এ বাণী “তুমি ক্ষমার নীতি অবলম্বন করো” [সূরাহ আল-আরাফ ঃ ১৯৯]- সম্পর্কে বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-কে মানুষের চারিত্রিক দুর্বলতা ক্ষমা করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৬ঃ লোকজনের সঙ্গে উত্তমরূপে বসবাস করা

৪৭৮৮. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-কে কোন ব্যক্তির কোন বিষয়ে জানানো হলে তিনি এভাবে বলিতেন না ঃ তার কি হলো যে, সে একথা বলে? বরং তিনি বলিতেন, লোকজনের কি হলো যে, তারা এই এই বলে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৮৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এলো, তখন তার শরীরে হলুদ রং-এর আলামত ছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কারো মুখের উপর তার দোষ-ত্রুটি নির্দেশ করিতে সংকোচবোধ করিতেন। তাই লোকটি যখন চলে যেতে লাগলো তখন তিনি বলিলেন, তোমরা যদি এ ব্যক্তিকে তার চেহারার ঐ রং ধুয়ে ফেলতে বলিতে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সাল্‌ম আলী [রাদি.] বংশীয় নন। তিনি জ্যোতির্বিদ্যা চর্চা করিতেন। তিনি আদী ইবনি আরত্বাত [রাদি.]-এর সামনে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিলে তিনি তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেননি।

এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৪৭৯০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মুমিন ব্যক্তি সরল ও ভদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে, কিন্তু পাপিষ্ঠ ব্যক্তি ধোকাবাজ ও নির্লজ্জ হয়।

এই উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৭৯১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসার জন্য অনুমতি চাইলে তিনি বলিলেন, গোত্রের কতই না খারাপ লোক। অতঃপর তিনি বলিলেন, আসতে দাও। যখন সে ভিতরে এলো তখন তার সঙ্গে তিনি নম্রভাবে কথা বলিলেন। [সে চলে গেলে] আয়িশাহ [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আপনি এ ব্যক্তির সঙ্গে নম্রভাবে কথা বলিলেন, অথচ ইতিপূর্বে আপনি তার সম্পর্কে অন্য রকম মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলিলেন, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌র নিকট ঐ ব্যক্তিই সবচেয়ে খারাপ, যাকে মানুষ তার অশালীন কথার ভয়ে ত্যাগ করেছে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৯২. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আয়িশাহ [রাদি.] এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিলেনঃ হে আয়িশাহ! সবচেয়ে খারাপ মানুষ তারাই যাদেরকে মানুষ তাহাদের জিহবার অনিষ্ট হইতে আত্নরক্ষার জন্য সম্মান করে। {৪৭৯১}

এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৪৭৯৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট কোন ব্যক্তি এসে কানে কানে কথা বললে সে তার কান না সরানোর পূর্বে তাঁকে কখনো নিজের কান সরিয়ে নিতে দেখিনি। আর কোন ব্যক্তি তার হাত ধরলে যতক্ষণ সে হাত না ছাড়তো ততক্ষণ তিনি [সাঃআঃ] তাহাঁর হাত সরাতেন না।

এই উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৭৯৪. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসার অনুমতি চাইলে নাবী [সাঃআঃ] বলিলেনঃ গোত্রের নিকৃষ্ট ভাই। অতঃপর লোকটি প্রবেশ করলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলিলেন। লোকটি চলে গেলে আমি বলিলাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! লোকটি যখন প্রবেশের জন্য আপনার অনুমতি চেয়েছিল আপনি তখন তার সম্পর্কে বলেছিলেন, গোত্রের নিকৃষ্ট ভাই; কিন্তু প্রবেশ করলে আপনি তার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ হে আয়িশাহ! মহান আল্লাহ্‌ অশালীন ভাষীকে ভালবাসেন না।

এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

অনুচ্ছেদ-৭ঃ লজ্জাশীলতা

৪৭৯৫. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] আনসার গোত্রের এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকটি তার ভাইকে লজ্জাশীলতার কারণে তিরস্কার করছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ একে ছেড়ে দাও; কেননা লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি অঙ্গ।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৯৬. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ লজ্জার সবটুকুই কল্যাণকর। অধঃস্তন বর্ণনাকারী বুশাইর ইবনি কাব বলেন, আমরা কতিপয় গ্রন্থে দেখিতে পাই যে, লজ্জা দ্বারা প্রশান্তি ও গাম্ভীর্য অর্জন হয় এবং তাতে দুর্বলতাও সৃষ্টি হয়। ইমরান [রাদি.] হাদিসটি পুনরায় বলিলেন। বুশাইরও তার কথার পুনরোক্তি করিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এতে ইমরান [রাদি.] রাগান্বিত হলেন, ফলে তার দুই চোখ লাল হয়ে গেলো। তিনি বলেন, আমি তোমার নিকট রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হাদিস বলছি আর তুমি এর বিপরীতে তোমার কিতাবের কথা উল্লেখ করছো। আবু ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমরা বলিলাম, হে আবু নুজাইদ! থামো থামো। {৪৭৯৪}

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৯৭. আবু মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ পূর্বযুগের নাবীগণের যে কথাটি মানুষের নিকট পৌঁছেছে তা হলোঃ যখন তুমি নির্লজ্জ হইবে তখন যা ইচ্ছা তাই করিতে পারো।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৮ঃ উত্তম চরিত্র সম্পর্কে

৪৭৯৮. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই মুমিন ব্যক্তি তার ভাল চরিত্রের মাধ্যমে [দিনের] সাওম পালনকারী ও [রাতের] তাহাজ্জুদগুজারীর সমান মর্যাদা লাভ করিতে পারে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭৯৯. আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মীযানের পাল্লায় সচ্চরিত্রের চেয়ে অধিক ভারী আর কিছুই নেই।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮০০. আবু উমামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করিবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার।

এই উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৮০১. হারিসাহ ইবনি ওয়াহ্ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ জাওয়ায ও জাযারী জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে না। তিনি বলেন, জাওয়ায অর্থ অসভ্য।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৯ঃ কাজে কর্মে অহংকার দেখানো অপছন্দনীয়

৪৮০২. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আদবাকে [নাবীজীর উষ্ট্রীকে] পরাজিত করা যেতো না। একদা এক বেদুঈন তার একটি মাদী উষ্ট্রী নিয়ে এসে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাতে বিজয়ী হলে রাসূলুল্লাহ্‌র [সাঃআঃ]-এর সাহাবীগণ মনঃক্ষুন্ন হলেন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ কোন কিছুর চরম উন্নতি অর্জনের পর আবার অবনতির দিকে প্রত্যাবর্তিত করা আল্লাহর চিরন্তন নীতি।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮০৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, পৃথিবীর কোন বস্তু উন্নতির শিখরে পৌঁছার পর সেটিকে অবনত করা মহান আল্লাহর বিধান।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১০ঃ চাটুকারিতা নিন্দনীয়

৪৮০৪. হাম্মাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি এসে উসমান [রাদি.]-এর সামনে তার প্রশংসা শুরু করলে মিক্বদাদ ইবনিল আসওয়াদ [রাদি.] মাটি তুলে নিয়ে তার মুখমন্ডলে ছুড়ে মারলেন এবং বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা চাটুকারদের সাক্ষাৎ পেলে তাহাদের মুখে মাটি নিক্ষেপ করিবে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮০৫. আবদুর রহমান ইবনি আবু বাকরাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর সামনে অন্য এক লোকের প্রশংসা করলে তিনি লোকটিকে তিনবার বলেন, তুমি তো তোমার সঙ্গীর গলা কেটে দিলে। অতঃপর তিনি বলিলেন, যদি তোমাদের কেউ একান্তই তার সঙ্গীর প্রশংসা করিতে চায়, তাহলে সে যেন বলে, আমি তাহাকে এরূপ মনে করি, তবে আল্লাহর নিকট তাহাকে নির্দোষ মনে করি না।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮০৬. মুত্বাররিফ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি বনী আমরের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ্‌র [সাঃআঃ] নিকট গেলাম। আমরা বলিলাম, আপনি আমাদের নেতা। তিনি বলিলেন, প্রকৃত নেতা হলেন বরকতময় মহিয়ান আল্লাহ। আমরা বলিলাম, আপনি মর্যাদার দিক হইতে আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং দানের বিশালতায় আপনি মহান। তিনি বলিলেন, তোমাদের এ কথা তোমরা বলিতে পারো, অথবা তোমাদের এরূপ কিছু বলায় কোন সমস্যা নেই। তবে শয়তান যেন তোমাদেরকে তার প্রতিনিধি না বানায়।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ–১১ঃ বিনয় ও নম্রতা সম্পর্কে

৪৮০৭. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্‌ফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮০৮. আল-মিক্বদাম ইবনি শুরাইহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ [রাদি.]-কে মরুভূমিতে বসবাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মরুভূমিতে এ ঝর্ণার দিকে যেতেন। তিনি একদা মরুভূমিতে সফরের সিদ্ধান্ত নেন এবং আমার নিকট বাহন হিসেবে তখনও অব্যবহৃত যাকাতের একটি উষ্ট্রী পাঠালেন। তিনি আমাকে বলিলেন, হে আয়িশাহ! [উষ্ট্রীর সাথে] নম্র আচরণ করো। কারণ কোন কিছুর মধ্যে নম্রতা বিদ্যমান থাকলে তা সেটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে। আর কোন কিছু হইতে তা অপসারণ করা হলে তা সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮০৯. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যাকে নম্রতা হইতে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাহাকে সকল প্রকার কল্যাণ হইতে বঞ্চিত করা হয়েছে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮১০. মুসআর ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, আখিরাতের আমল ছাড়া পার্থিব সকল ব্যাপারেই তাড়াহুড়া পরিহার করিতে হইবে।৪৮০৮

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১২ঃ অনুগ্রহ প্রদর্শনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

৪৮১১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। অথবা যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮১২. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা মুহাজিরগণ, হে আল্লাহর রাসূল! আনসারগণ তো সব নেকী নিলেন। তিনি বলিলেনঃ না, যতক্ষণ তোমরা আল্লাহর নিকট তাহাদের জন্য দুআ করিবে ও তাহাদের প্রশংসা করিবে।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮১৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কাউকে কিছু দান করা হলে সে যেন সামর্থ্য থাকলে তার প্রতিদান দেয়। যদি সেই সামর্থ্য না থাকে তবে সে যেন তার প্রশংশা করে। সে তার প্রশংসা করলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি তা গোপন রাখলো সে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো।

এই উত্তম চরিত্র সম্পর্কে হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৮১৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি অনুদান পেয়ে দানকারীর প্রশংসা করলো সে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো আর যে ব্যক্তি অনুদান গোপন করলো সে তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা দেখালো।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply