তাওয়াক্কুল , নম্রতা, লজ্জাশীলতা, সহনশীলতা ও দুশ্চিন্তা
তাওয়াক্কুল , নম্রতা, লজ্জাশীলতা, সহনশীলতা ও দুশ্চিন্তা >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৩৭, অধ্যায়ঃ (১৩-২০)=৮টি
৩১/১৩. অধ্যায়ঃ ইমারত নির্মাণ ও ধ্বংস
৩১/১৪. অধ্যায়ঃ তাওয়াক্কুল [আল্লাহ ভরসা] ও ইয়াকীন [দৃঢ় প্রত্যয়]
৩১/১৫. অধ্যায়ঃ হিকমত [ প্রজ্ঞা]
৩১/১৬. অধ্যায়ঃ অহমিকা বর্জন এবং বিনয়-নম্রতা অবলম্বন
৩১/১৭. অধ্যায়ঃ লজ্জাশীলতা
৩১/১৮. অধ্যায়ঃ সহনশীলতা
৩১/১৯. অধ্যায়ঃ দুশ্চিন্তা ও কান্নাকাটি
৩১/২০. অধ্যায়ঃ আমল সম্পর্কে আশংকা
৩১/১৩. অধ্যায়ঃ ইমারত নির্মাণ ও ধ্বংস
৪১৬০. আবদুল্লাহ বিন আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমরা আমাদের একটি কুঁড়েঘর মেরামত করছিলাম। তিনি বলেনঃ এটা কী? আমি বলিলাম, আমাদের কুঁড়েঘর। সেটি আমরা মেরামত করছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি তো দেখছি মৃত্যু তার চেয়েও দ্রুত এসে যাচ্ছে।{৩৪৯২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৯২} তিরমিজি ২৩৩৫, আবু দাউদ ৫২৩৫। আত তালীকুর রাগীব ৪/১৩২।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৬১. আনাস [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক আনসারীর গোলাকার ঘরের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এটা কী? তারা বলেন, এটা অমুকের তৈরি একটি গোলাকার ঘর। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এরূপ যেকোনো সম্পদ কিয়ামতের দিন তার মালিকের জন্য বিপদের কারণ হইবে। এ কথা আনসারীর নিকট পৌঁছলে তিনি ঘরখানি ভেঙ্গে ফেলেন। পরে নাবী [সাঃআঃ] সেই পথে যেতে ঘরটি না দেখিতে পেয়ে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তাঁকে জানানো হলো, আপনার কথা তার কানে পৌঁছার পর সে তা ভেঙ্গে ফেলেছে। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করুন।{৩৪৯৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৪৯৩} আবু দাউদ ৫২৩৭। আত তালীকুর রাগীব ৩/৫৬, দাঈফাহ ১৭৬।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৬২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি নিজেকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাথে [স্বপ্নে] দেখিতে পেলাম যে, আমি রোদ-বৃষ্টি থেকে আশ্রয়ের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করছি। কিন্তু মহান আল্লাহর সৃষ্টির কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি।{৩৪৯৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৯৪} সহীহুল বুখারী ৬৩০২।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৬৩. খাব্বাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমরা অসুস্থ খাব্বাব [রাদি.] কে দেখিতে এলাম। তখন তিনি বলেন, আমার অসুস্থাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যদি আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে না শুনতামঃ “তোমরা মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করো না”, তাহলে অবশ্যই আমি মৃত্যু কামনা করতাম। তিনি বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় বান্দা তার প্রতিটি ব্যয়ের জন্য প্রতিদান পাবে, মাটিতে ব্যয় করার বা ইমারত নির্মাণ ব্যয় ব্যতীত।{৩৪৯৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।৩৪৯৫} তিরমিজি ৯৭০, আহমাদ ২০৫৫০। মিশকাত ৫৬৮২।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/১৪. অধ্যায়ঃ তাওয়াক্কুল [আল্লাহ ভরসা] ও ইয়াকীন [দৃঢ় প্রত্যয়]
৪১৬৪. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ যদি তোমারা যথার্থই আল্লাহর উপর ভরসা করিতে, তাহলে তিনি অবশ্যই তোমাদেরকে পাখির মত রিযিক দান করিতেন। ভোরবেলা পাখিরা খালিপেটে [বাসা থেকে] বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যাবেলা উদর পূর্তি করে [বাসায়] ফিরে আসে।{৩৪৯৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৯৬} তিরমিজি ২৩৪৪,আহমাদ ৩৭২। তাখরীজুল মুখতার ২১৭,২১৮। সহিহাহ ৩১০।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৬৫. খালিদের পুত্রদ্বয় হাব্বাহ ও সাওয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমরা নাবী [সাঃআঃ] -এর নিকট প্রবেশ করলাম। তখন তিনি কিছু মেরামত করছিলেন। আমরা তাঁকে তাতে সহায়তা করলাম। তিনি বলেনঃ যতক্ষন তোমাদের মাথা সুস্থ থাকিবে [তোমরা জীবিত থাকিবে] , তোমরা রিযিকের ব্যাপারে নিরাশ হয়ো না। মানুষকে তো তার মা রক্তাপ্লুত ও ক্ষীণ চামড়াযুক্ত অবস্থায় প্রসব করে, সেই অবস্থায়ও মহান আল্লাহ তাহাকে রিযিক দান করেন।{৩৪৯৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৪৯৭} আহমাদ ১৫৪২৮।দঈফাহ ৪৭৯৮, দঈফ আল-জামি ৬২৮১।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৬৬. আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আদম সন্তানের অন্তরের প্রতিটি ময়দানে অনেক পথ রয়েছে। যে ব্যক্তি তার অন্তরের প্রতিটি ময়দানের সকল পথ অনুসরণ করে, আল্লাহ তাহাকে যে কোন ময়দানে ধ্বংস করিতে পরোয়া করেন না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, সে সর্বপ্রকার পথ থেকে মুক্তি পায়।{৩৪৯৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৪৯৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫৩০৯।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৬৭. জাবির [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যেন অবশ্যই আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করা ব্যতিরেকে মারা না যায়।{৩৪৯৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৯৯} মুসলিম ২৮৭৭, আবু দাউদ ৩১১৩, আহমাদ ১৩৭১১,১৩৯৭৭,১৪০৭২,১৪১২৩,১৪১৭০,১৪৭৭৫।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৬৮. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ শক্তিমান মুমিন ব্যক্তি দুর্বল মুমিন ব্যক্তির তুলনায় উত্তম এবং আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। অবশ্য উভয়ের মধ্যে কল্যাণ আছে। তোমাদের জন্য উপকারী প্রতিটি উত্তম কাজের প্রতি আগ্রহী হও এবং অলস বা গাফিল হয়ো না। কোন কাজ তোমাকে পরাভূত করলে তুমি বলো, আল্লাহ নির্দ্ধারণ করেছেন এবং নিজ মর্জি মাফিক করে রেখেছেন। “যদি” শব্দ সম্পর্কে সাবধান থাকো। কেননা “যদি” শয়তানের কর্মের পথ উম্মুক্ত করে।{৩৫০০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫০০} মুসলিম ২৬৬৪,আহমাদ ৮৫৭৩,৮৬১১।যিলাযুল জান্নাহ ৩৫৬।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/১৫. অধ্যায়ঃ হিকমত [ প্রজ্ঞা]
৪১৬৯. আবু হুরাইরা [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা মুমিনের হারানো ধন। সুতরাং সে যেখানেই তা পাবে, সে-ই হইবে তার অধিকারী।{৩৫০১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ খুবই দুর্বল।{৩৫০১} তিরমিজি ২৬৮৬। মিশকাত ২১৬।হাদিস এর তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৪১৭০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, এমন দুটি নিয়ামত আছে যে ব্যাপারে অধিকাংশ লোক ধোঁকায় পতিতঃ সুস্বাস্থ্য ও সুসময় বা অবসর।{৩৫০২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫০২} সহীহুল বুখারী ৬৪১২, তিরমিজি ২৩০৪, আহমাদ ২৩৩৬, ৩১৯৭, দারিমী ২৭০৭।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৭১. আবু আয়্যূব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ] -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে সংক্ষেপে শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ যখন তুমি তোমার নামাযে দাঁড়াবে, তখন এমনভাবে নামায পড়ো, যেন এটাই তোমার শেষ নামায। তুমি এমন কথা বলো না, যার জন্য তোমাকে কৈফিয়ত দিতে হইবে। আর মানুষের হাতে যা আছে তা থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতজ্ঞ হও।{৩৫০৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৫০৩} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ৪০০।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৭২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি মজলিসে বসে প্রজ্ঞাপূর্ণ কথাগুলো গোপন রাখলো, সে এমন এক ব্যক্তির সাথে তুলনীয় যে কোন রাখালের নিকট গিয়ে বললো, হে রাখাল! তোমার পাল থেকে আমাকে একটি বকরী দাও। রাখাল বললো, তুমি যাও এবং তোমার পছন্দমত পালের মধ্যকার উত্তম বকরীটি নাও। কিন্তু সে গিয়ে বকরীর পালের [পাহারারত] কুকুরের কান ধরে নিয়ে এল।{৩৫০৪}
{উপরক্ত হাদিসের মোট দুটি সনদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সনদ টি হলোঃ} ৫/৪১৭২ [১] আবু হুরাইরা [রাদি.] , সূত্রে সামান্য শাব্দিক পার্থক্যসহ পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।{৩৫০৪} তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৫০৪} আহমাদ ৮৪২৫,৯০০৭,১০২২৮। দঈফাহ ১৭৬১, দঈফ আল-জামি ৫২৪৯।উক্ত হাদিস এর রাবী ১, আলী বিন যায়দ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বাল ও ইয়াহইয়া বিন মঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০,২০/৪৩৪নং পৃষ্ঠা] । ২, আওস বিন খালিদ সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনিল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি কুফরী নয় এমন কাওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ঈমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩১/১৬. অধ্যায়ঃ অহমিকা বর্জন এবং বিনয়-নম্রতা অবলম্বন
৪১৭৩. আবদুল্লাহ [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও [সামান্যতম] অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে না। আর যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করিবে না।{৩৫০৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫০৫} মুসলিম ১৩১, তিরমিজি ১৯৯৮, আবু দাউদ ৪০৯১, আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩,৩৯৩৭, ৪২৯৮।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৭৪. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার আমার চাদর, মহানত্ব আমার লুঙ্গি। কেউ এ দুটির কোন একটি নিয়ে আমার সাথে বিবাদ করলে, আমি তাহাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।{৩৫০৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।৩৫০৬} মুসলিম ২৬২০, আবু দাউদ ৪০৯০, আহমাদ ৭৩৩৫,৮৬৭৭,৯০৯৫,৯২২৪,৯৪১০। রাওদুন নাদীর ৬৭৭, সহিহাহ ৫৪১।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৭৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মহান আল্লাহ বলেন, অহংকার আমার চাদর, মহানত্ব আমার লুঙ্গি। কেউ এ দুটির কোন একটি নিয়ে আমার সাথে বিবাদ করলে , আমি তাহাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।{৩৫০৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫০৭} হাদিস টি ঈমাম ইবনি মাজাহ একক ভাবে বর্ণনা করেছেন।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৭৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এক স্তর বিনয়ী হইবে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর উঁচু করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরূদ্ধে এক স্তর অহংকার করিবে, আল্লাহ তার মর্যাদা এক স্তর নীচু করে দিবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি তাহাকে হীনতাগ্রস্তদের মধ্যে হীনতমে পরিণত করবেন।{৩৫০৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।৩৫০৮} আহমাদ ২৭৩২৪। দঈফ আল-জামি ৫৮৮৮।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৭৭. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মদীনার কোন দাসী নিজ প্রয়োজনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর হাত ধরে তাঁকে নিজ ইচ্ছামতো মদিনার কোন স্থানে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিতেন না [তার সাথে যেতেন]।{৩৫০৯}
তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।{৩৫০৯} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মুখতাসরুশ শামাইল ২৮৫।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৭৮. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রুগ্নকে দেখিতে যেতেন, জানাযায় শরীক হইতেন, ক্রীতদাসের দাওয়াত কবুল করিতেন এবং গাধার পিঠে সওয়ার হইতেন। তিনি বনূ কুরায়যা ও বনূ নাযীরে যুদ্ধের দিন একটি গাধার পিঠে আরোহিত ছিলেন। খায়বারের যুদ্ধের দিনও তিনি নাসারন্ধ্রে খেজুর গাছের বাকলের তৈরী লাগাম বাঁধা গাধায় সওয়ার ছিলেন। তার নিচে ছিল খেজুর গাছের বাকলের আঁশ দ্বারা তৈরী গদি।{৩৫১০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৫১০} তিরমিজি ১০১৭। মুখতাসরুশ শামাইল ২৮৬।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৭৯. ইয়াদ বিন হিমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাহাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং বলিলেনঃ মহামহিম আল্লাহ আমার নিকট ওহী প্রেরন করেন যে, তোমরা বিনয়ী হও, নম্রতা অবলম্বন করো, এমনকি একজন যেন অপরজনের উপর অহংকার প্রকাশ না করে।{৩৫১১}
তাহকিক আলবানীঃ সহিহ।{৩৫১১} মুসলিম ২৮৬৫ , আবু দাউদ ৪৮৯৫। সহিহাহ ৫৭০।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/১৭. অধ্যায়ঃ লজ্জাশীলতা
৪১৮০. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পর্দানশীল কুমারীর চেয়েও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। তিনি কোন জিনিস অপছন্দ করলে তা তাহাঁর চেহারায় প্রতিভাত হতো বা তাহাঁর চেহারা দেখেই বোঝা যেতো।{৩৫১২}
তাহকিক আলবানীঃ সহিহ।{৩৫১২} সহীহূল বুখারী ৩৫৬২, মুসলিম ২৩২০, আহমাদ ১১৩৩৯, ১১৪২৩, ১১৪৫২, ১১৪৬৪। মুখতাসরুশ শামাইল ৩০৭।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৮১. আনাস [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ প্রতিটি ধর্মেরই একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। আর ইসলামের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো লজ্জাশীলতা।{৩৫১৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৫১৩} হাদিস টি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ৯৪০, রাওদুন নাদীর ৪১ ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৮২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় প্রতিটি ধর্মের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। ইসলামের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো লজ্জাশীলতা।{৩৫১৪}
তাহকিক আলবানীঃ হাসান।{৩৫১৪} হাদিস টি ঈমাম ইবনি মাজাহ একক ভাবে বর্ণনা করেছেন।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৮৩. আবু মাসউদ উকবাহ বিন আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মানুষ পূর্ববর্তী নাবীগণের বাণী থেকে যা পেয়েছে তার মধ্যে আছে, “তোমার লজ্জা-শরম না থাকলে যা ইচ্ছা তাই করিতে পারো”।{৩৫১৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫১৫} সহীহূল বুখারী ৩৪৮৩, ৩৪৮৪, ৬১২০, আবু দাউদ ৪৭৯৭, আহমাদ ১৬৬৪১, ১৬৬৫৮, ২১৮৪০। ইরওইয়া ২৬৭৩, সহী হাহ ৬৮৪।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৮৪. আবু বাকরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ লজ্জাশীলতা ঈমানের অঙ্গ। আর ঈমানের অবস্থান হল জান্নাতে। আর অশ্লীলতা হল অত্যাচার [জুলুম] , আর অত্যাচার থাকিবে জাহান্নামে।{৩৫১৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫১৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। রাওদুন নদীর ৭৪৪, সহিহাহ ৪৯৫।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৮৫. আনাস [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা কোন বস্তুর কেবল কদর্যতাই বৃদ্ধি করে এবং লজ্জা-শরম কোন জিনিসের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে।{৩৫১৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫১৭} তিরমিজি ১৯৭৪। আত তালীকুর রাগীব ৩/২৫৫, মিশকাত ৪৮৫৪।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/১৮. অধ্যায়ঃ সহনশীলতা
৪১৮৬. মুআয বিন আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি নিজের ক্রোধকে কার্যে পরিনত করার ক্ষমতা রেখেও তা সংবরণ করে, আল্লাহ তাহাকে কিয়ামতের দিন সমগ্র সৃষ্টির সামনে ডেকে আনবেন এবং জান্নাতের যে কোন হূর নিজের ইচ্ছামত বেছে নেয়ার অধিকার দান করবেন। {৩৫১৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৫১৮} তিরমিজি ২০২১, ২৪৯৩, আবু দাউদ ৪৭৭৭, আহমাদ ১৫২১০। রাওদুন নাদীর ৪১৮, ৮৫৪, আত তালীকুর রাগীব ৩/২৭৯।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৮৭. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট বসা ছিলাম। তিনি বলেনঃ তোমাদের নিকট আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদল এসেছে। কিন্তু তখনও আমাদের সামনে কাউকে দেখা যাচ্ছিলো না। এ অবস্থায় আমাদের কিছুক্ষণ অতিবাহিত হল। ইতোমধ্যে তারা এসে পৌঁছলো এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] র নিকট হাযির হলো, কেবল আশাজ্জ আল-আসারী তখনো পৌঁছেননি। পরে তিনি এসে পৌঁছে একটি স্থানে অবতরণ করে তার উষ্ট্রী বাঁধলেন, নিজের কাপড় একপাশে রাখলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট হাযির হলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে বলিলেনঃ হে আশাজ্জ! তোমার মধ্যে এমন দুটি উত্তম স্বভাব বিদ্যামান, যা আল্লাহ পছন্দ করেনঃ সহনশীলতা ও আত্মমর্যাদাবোধ। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মধ্যে তা কি প্রকৃতিগত না সৃষ্টিগত? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ প্রকৃতিগত।{৩৫১৯}
তাহকিক আলবানীঃ খুবই দুর্বল।{৩৫১৯} হাদিস টি ঈমাম ইবনি মাজাহ একক ভাবে বর্ণনা করেছেন।হাদিস এর তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৪১৮৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] আশাজ্জ আল-আসারীকে বলেনঃ নিশ্চয় তোমার মধ্যে এমন দুটি উত্তম স্বভাব বিদ্যমান, যা আল্লাহ পছন্দ করেনঃ সহনশীলতা ও লজ্জাশীলতা।{৩৫২০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫২০} তিরমিজি ২০১১। রাওদুন নাদীর ৪০৬, আয যিলাল ১৯০।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৮৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে তা অন্য কিছু সংবরণে নেই।{৩৫২১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫২১} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালীকুর রাগীব ৩/২৭৯।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/১৯. অধ্যায়ঃ দুশ্চিন্তা ও কান্নাকাটি
৪১৯০. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় আমি দেখি যা তোমরা দেখো না এবং আমি শুনি যা তোমরা শোনো না। আসমান চড়চড় করছে এবং চড়চড় করাই তার কর্তব্য। তাতে চার আঙ্গুল পরিমান জায়গাও খালি নাই, যেখানে একজন না একজন ফেরেশতা আল্লাহর জন্য সিজদায় তার কপাল লুটিয়ে দেননি। আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি, তোমরা তা জানতে পারলে খুব কমই হাসতে, বরং অধিক কাঁদতে, বিছানায় স্ত্রীদের সম্ভোগ করিতে না এবং চীৎকার করে আল্লাহর কাছে দুআ করিতে করিতে পথে-প্রান্তরে বেরিয়ে পড়তে। আল্লাহর শপথ! আহা, আমি যদি একটি গাছ হতাম এবং তা কেটে ফেলা হতো।{৩৫২২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ [আরবি] বাক্যটি ব্যতীত হাসান; কারন এই বাক্যটি মুদরাজ।{৩৫২২} তিরমিজি ২৩১২। সহিহাহ ১৭২২, মিশকাত ৫৩৪৭।উক্ত হাদিসের রাবী ইব্রাহীম বিন মুহাজির সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনূ হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হিফয শক্তি দুর্বল। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। সুফিয়ান বিন উইয়ায়নাহ তাহাকে দুর্বল বলিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। [ তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০, ২/২১১ নং পৃষ্ঠা ]হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য
৪১৯১. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আমি যা জানি, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে খুব কমই হাসতে এবং প্রচুর কাঁদতে।{৩৫২৩}
তাহকিক আলবাণীঃ সহিহ।{৩৫২৩} সহীহূল বুখারী ৪৬২১, ৬৪৬৮, মুসলিম ৪২৬,২৩৫৯, নাসায়ী ১৩৬৩, আহমাদ ১১৫৮৬, ১১৮৪৬, ১২১৫৯, ১২৪৪৮, ১২৫৯৭,১২৭৭৮, ১২৮৬৫, ১৩১১৫, ১৩১৫৯, ১৩২১৯, ১৩৪২৪,১৩৬৭৩, দারিমী ২৭৩৫। তাখরিজু ফিকহুস সায়রাহ ৪৭৯।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৯২. আবদুল্লাহ ইবনিয যুবায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
[আমির বিন আব্দুল্লাহ] বলেন, তার পিতা তাহাকে অবহিত করেছেন যে, তাহাদের ইসলাম গ্রহণ এবং তাহাদেরকে তিরস্কার করে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিলের মধ্যে চার বছরের ব্যবধান ছিলো।
وَلاَ يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ فَاسِقُونَ
“এরা যেন তাহাদের মতো না হয়, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল। অতঃপর তাহাদের উপর দীর্ঘ কাল অতিবাহিত হওয়ায় তাহাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তাহাদের অধিকাংশই সত্যত্যাগী” [সূরা হাদীদঃ ১৬]।{৩৫২৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৫২৪} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৯৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা অধিক হাসবে না। কারন অধিক হাসি অন্তরের মৃত্যু ঘটায়। {৩৫২৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫২৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালিকুর রাগীব ৩/১৭৯, সহিহাহ ৫০৬।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৯৪. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] আমাকে বলেনঃ আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও। আমি তাঁকে সূরা নিসা পড়ে শুনালাম। আমি যখন এ আয়াত পর্যন্ত পৌঁছলাম
فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا
“যখন আমি প্রত্যেক উম্মাত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো এবং তোমাকে তাহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করবো, তখন কী অবস্থা হইবে” [সূরা নিসাঃ ৪১] ,
তখন আমি তাহাঁর দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, তাহাঁর দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে।{৩৫২৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫২৬} সহীহূল বুখারী ৪৫৮২, ৫০৪৯, ৫০৫০,.৫০৫৫, ৫০৫৬, মুসলিম ৮০০, তিরমিজি ৩০২৪, ৩০২৫, আবু দাউদ ৩৬৬৮।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৯৫. বারা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাথে এক জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি কবরের কিনারে বসে কাঁদলেন, এমনকি তাহাঁর চোখের পানিতে মাটি ভিজে গেলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ “হে ভাইসব! তোমাদের অবস্থাও তার মতই হইবে, সুতরাং তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করো”।{৩৫২৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৫২৭} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ১৭৫১।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৯৬. সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা কান্নাকাটি করো, যদি কাঁদতে না পারো তবে কান্নার ভান করো বা কাঁদতে চেষ্টা করো।{৩৫২৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৫২৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৯৭. আবদুল্লাহ বিন মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে মুমিন বান্দার দুচোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি বের হয়, যদিও তা মাছির মাথার পরিমাণ হয়, এবং তা কপাল বেয়ে পড়ে, তাতে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন।{৩৫২৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৫২৯} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালীকুর রাগীব ৪/১২৬, দঈফাহ ৪৪৯০, দঈফ আল-জামী ৫১৯৬।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩১/২০. অধ্যায়ঃ আমল সম্পর্কে আশংকা
৪১৯৮. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি বলিলাম, হে আল্লাহ্র রাসুল!
وَالَّذِينَ يُؤْتُونَ مَا آتَوْا وَقُلُوبُهُمْ وَجِلَةٌ
“এবং যারা তাহাদের প্রভুর নিকট প্রত্যাবর্তন করিবে, এই বিশ্বাসে তাহাদের যা দান করার তা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে” [সুরা মুমিনূনঃ৬০] , এর দ্বারা কি এমন ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে, যে ব্যভিচার করে, চুরি করে এবং মদ্যপান করে? তিনি বলেনঃ না, হে আবু বাকরের কন্যা, হে সিদ্দীকের কন্যা! বরং উক্ত আয়াতে এমন ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে, যে রোযা রাখে, যাকাত দেয়, দান-খয়রাত করে, নামায পড়ে এবং আশংকা করে যে, তার এসব ইবাদত কবুল হল কি না?{৩৫৩০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৫৩০} তিরমিজি ৩১৭৫। সহিহাহ ১৬২।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৯৯. মুআবিয়াহ বিন আবু সুফইয়ান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমল হল পাত্রের মত। পাত্রের তলা অক্ষত থাকলে তার উপরিভাগও অক্ষত থাকে এবং তার তলা নষ্ট হয়ে গেলে তার উপরিভাগও নষ্ট হয়ে যায়। {৩৫৩১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৫৩১} আহমাদ ১৬৪১১। সহিহাহ ১৭৩৪।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২০০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কোন বান্দা প্রকাশ্যে ও গোপনে উত্তমরূপে নামায পড়লে মহান আল্লাহ বলেন, সে-ই আমার প্রকৃত বা যথার্থ বান্দা।{৩৫৩২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৫৩২} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫৩২৯।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪২০১. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা সব ব্যাপারে ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করো এবং বাড়াবাড়ি ত্যাগ করো। কেননা তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার আমল তাহাকে নাজাত দিতে পারবে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনিও না? তিনি বলেনঃ আমিও না, তবে আল্লাহর রহমাত ও করুণা যদি আমাকে ঢেকে নেয়।{৩৫৩৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।৩৫৩৩} আহমাদ ৯৬৮১, ১০০৫৩। সহিহাহ ২৬০২।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply