গরিবদের নিয়ে হাদিস ও দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
গরিবদের নিয়ে হাদিস ও দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৩৭, অধ্যায়ঃ (১-৯)=৯টি
৩১/১. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৩১/২. অধ্যায়ঃ পার্থিব চিন্তা
৩১/৩. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার উদাহরন
৩১/৪. অধ্যায়ঃ লোকে যাকে গুরুত্ব দেয় না
৩১/৫. অধ্যায়ঃ গরীবদের ফাদীলাত
৩১/৬. অধ্যায়ঃ দরিদ্রদের মর্যাদা
৩১/৭. অধ্যায় ঃ দরিদ্রদের সাথে মেলামেশা করা
৩১/৮. অধ্যায়ঃ সম্পদশালীদের সম্পর্কে
৩১/৯. অধ্যায়ঃ অল্পে তুষ্টি
৩১/১. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি
৪১০০ আবু যার আল-গিফারী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ হালাল বস্তুকে হারাম করে নেয়া এবং ধনসম্পদ ধ্বংস করা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি [যুহ্দ] নয়, বরং দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি হলোঃ আল্লাহর নিকট যা আছে তার চেয়ে তোমার নিকট যা আছে তার উপর অধিক নির্ভরশীল না হওয়া এবং তুমি কোন বিপদে পতিত হলে তার বিনিময়ে সওয়াবের আশার তুলনায় বিপদে পতিত না হওয়াটা তোমার নিকট অধিকতর কাঙ্ক্ষিত না হওয়া। হিশাম [রাদি.] বলেন, আবু ইদরীস আল-খাওলানী [রাদি.] বলিয়াছেন, হাদিস ভান্ডারে এ হাদিসটি যেন স্বর্ণ খনির খাঁটি সোনা। {৩৪৩২}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ খুবই দুর্বল।{৩৪৩২} তিরমিজি ২৩৪০, মিশকাত ৫৩০১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী আমর বিন ওয়াকীদ আল-কুরাশী সম্পর্কে আবু বাকর আল-বুরকানী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু মুসহির আল-গাসসানী বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃত মিথ্যা বলেন না। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত। ঈমাম যাহাবী তাহাকে বর্জন করেছেন। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪৬৮, ২২/২৮৬ নং পৃষ্ঠা] হাদিস এর তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৪১০১. আবু খাল্লাদ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যখন তোমরা এমন লোক দেখিতে পাবে যাকে দুনিয়াতে যুহদ দান করা হয়েছে এবং স্বল্পভাষী করা হয়েছে, তখন তোমরা তার নৈকট্য ও সাহচর্য অবলম্বন করিবে। কারণ তাহাকে প্রজ্ঞা দান করা হয়েছে। {৩৪৩৩}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৪৩৩} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ১৯২৩, দঈফ আল-জামি ৫০৮।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১০২. সাহল বিন সাদ আস-সাঈদী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি কাজের কথা বলে দিন যা আমি করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালোবাসবেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি অবলম্বন করো। তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন। মানুসের নিকট যা আছে, তুমি তার প্রতি অনাসক্ত হয়ে যাও, তাহলে তারাও তোমাকে ভালোবাসবে। {৩৪৩৪} {৩৪৩৪} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ১৯২৩, দঈফ আল-জামি ৫০৮।
হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১০৩. সামুরাহ বিন সাহ্ম [মাজহুল বা অপরিচিত] হইতে বর্ণীতঃ
আমি আবু হাশিম বিন উতবাহ [রাদি.] এর কাছে গেলাম। তিনি বর্শার আঘাতে আহত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। মুআবিয়া [রাদি.] ও তাহাকে দেখিতে এলেন। আবু হাশেম [রাদি.] কেঁদে দিলে তিনি বলেন, হে মামা! কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে। আঘাতের যন্ত্রনা, নাকি পার্থিব কিছু? পার্থিব কিছু হলে তার উৎকৃষ্ট অংশ তো অতিবাহিত হয়েছে। তিনি বলেন, এর কোনটিই নয়। তবে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন। হায়! আমি যদি তা অনুসরন করতাম। তিনি বলেছিলেন, “হয়তো তুমি পর্যাপ্ত সম্পদের অধিকারী হইবে যা তুমি জনগনের মধ্যে বিতরন করিবে। তখন তোমার জন্য একটি খাদেম এবং আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য একটি সওআরীই যথেষ্ঠ”। আমি সেই প্রাচুর্য লাভ করেছি কিন্তু তা [বিতরন না করে] পুঞ্জীভূত করে রেখেছি। {৩৪৩৫}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৪৩৫} তিরমিজি ২৩২৭। আত তালীকুর রাগীব ৪/১২৩।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১০৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
সালমান [রাদি.] অসুস্থ হয়ে পড়লে সাদ [রাদি.] তাহাকে দেখিতে যান। তিনি তাহাকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করেন, হে ভাই! আপনি কাঁদছেন কেন? আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাহচর্য লাভ করেননি? আপনি কি এই এই [ভালো কাজ] করেননি। সালমান [রাদি.] বলেন, আমি এই দুটির কোনটির জন্যই কাঁদছি না। আমি দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার আক্ষেপে বা আখেরাতের পরিণতির আশংকায় কাঁদছি না। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার নিকট থেকে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু মনে হয় আমি তাতে সীমালংঘন করেছি। সাদ [রাদি.] বলেন, তিনি আপনার থেকে কী প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন? সালমান [রাদি.] বলেন, তিনি এই প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন যে, “তোমাদের যে কোন ব্যক্তির একজন পর্যটকের সমপরিমাণ পাথেয় যথেষ্ট”। কিন্তু আমি লক্ষ্য করেছি যে, আমি সীমালংঘন করে ফেলেছি। হে ভাই সাদ! যখন তুমি বিচার মীমাংসা করিবে, ভাগ-বাঁটোয়ারা করিবে এবং কোন কাজের উদ্যোগ গ্রহন করিবে তখন আল্লাহকে ভয় করিবে। সাবিত [রাদি.] বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, [মৃত্যুর সময়] সালমান [রাদি.] তার ভরণপোষণের জন্য সঞ্চিত মাত্র বিশাধিক দিরহাম রেখে যান। {৩৪৩৬}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সালমান ও সাবিত এর কাওলটি সহিহ; সালমান [রাদি.] এর কাওল সহিহাহ ৪/২৯৪, সাবিত এর কওল আত তালীকুর রাগীব ৪/৯৯। {৩৪৩৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।উক্ত হাদিসের রাবী জাফার বিন সুলায়মান সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তার দোষত্রুটি সম্পর্কে কাউকে কিছু বলিতে শুনিনি। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৪৩, ৫/৪৩ নং পৃষ্ঠা] হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/২. অধ্যায়ঃ পার্থিব চিন্তা
৪১০৫. আবান বিন উসমান, হইতে বর্ণীতঃ
যায়দ বিন সাবিত [রাদি.] দুপুরের সময় মারওয়ানের নিকট থেকে বের হয়ে এলে আমি ভাবলাম, নিশ্চয় কোন গুরত্বপূর্ণ বিষয় জানার জন্য এ সময় তিনি তাহাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমি তাহাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আমাদের শ্রুত কতক হাদিস শোনার জন্য মারওআন আমাদের ডেকেছেন। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ পার্থিব চিন্তা যাকে মোহগ্রস্ত করিবে, আল্লাহ তার কাজকর্মে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন, দরিদ্রতা তার নিত্যসংগী হইবে এবং পার্থিব স্বার্থ ততটুকুই লাভ করিতে পারবে, যতটুকু তার তকদীরে লিপিবদ্ধ আছে। আর যার উদ্দেশ্য হইবে আখেরাত, আল্লাহ তার সবকিছু সুষ্ঠু করে দিবেন, তার অন্তরকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করবেন এবং দুনিয়া স্বয়ং তার সামনে এসে হাযির হইবে। {৩৪৩৭}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৩৭} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ৯৫০।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১০৬. আবদুল্লাহ বিন মাসউদ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি তোমাদের নাবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ যার চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু হইবে আখিরাত, তার পার্থিব চিন্তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার চিন্তায় মোহগ্রস্ত থাকে তার যে কোন উপত্যকায় বা প্রান্তরে ধ্বংস হয়ে যাওয়াতে আল্লাহর কোন পরোয়া নাই। {৩৪৩৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৪৩৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালীকুর রাগীব ৪/৮৩, মিশকাত ২৬৩। হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১০৭. আবু হুরাইরা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ বলিয়াছেনঃ মহাপবিত্র আল্লাহ বলেনঃ হে আদম সন্তান!আমার ইবাদতে মগ্ন হও। আমি তোমার অন্তরকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করবো এবং তোমার দারিদ্র দূর করবো। তুমি যদি তা না করো, তাহলে আমি তোমার অন্তর পেরেশানী দিয়ে পূর্ণ করবো এবং তোমার দারিদ্রতা দূর করবো না। {৩৪৩৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৩৯} তিরমিজি২৪৬৬। সহিহাহ ১৩৫৯।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/৩. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার উদাহরন
৪১০৮. বনূ ফিহরের সদস্য মুসতাওরিদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়া হলো এতটুকু, যেমন তোমাদের কেউ তার একটি আংগুল সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে তা তুলে আনলো। সে লক্ষ্য করুক তার আংগুন কতটুকু পানি নিয়ে ফিরেছে। {৩৪৪০}
{৩৪৪০} মুসলিম২৮৫৮, তিরমিজি ২৩২৩, আহমাদ ১৭৫৪৭, ১৭৫৪৮। রাওদুন নাদীর ৮৫২, আত তালীকুর রাগীব ৪/১০২।হাদিস এর তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৪১০৯. আবদুল্লাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] একটি খেজুর পাতার মাদুরে শুয়েছিলেন। তাহাঁর দেহের চামড়ায় [মাদুরের] দাগ বসে গেলো। আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। আপনি আমাদেরকে অনুমতি দিলে আমরা আপনার জন্য মাদুরের উপর কিছু বিছিয়ে দিতাম। তাহলে তা আপনাকে দাগ লাগা থেকে বাঁচিয়ে রাখতো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক কী? আমি দুনিয়াতে এমন এক মুসাফির বৈ তো কিছু নই, যে একটি গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিলো, অতঃপর তা ত্যাগ করে গন্তব্যের পানে চলে গেলো। {৩৪৪১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৪১} তিরমিজি ২৩৭৭। সহিহাহ ৪৩৯,৪৪০, তাখরীজু ফিকহুস সায়রাহ ৪৭৮।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১১০. সাহল বিন সাদ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে থাকাকালে একটি মৃত বকরী চিৎ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেলো। তিনি বলেনঃ তোমাদের কী ধারণা, এই বকরিটা তার মালিকের কাছে তুচ্ছ নয় কি? সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ!এই মৃত বকরিটা তার মালিকের নিকট যতোটা তুচ্ছ, অবশ্যই এই দুনিয়া আল্লাহর নিকট তার চেয়েও অধিক তুচ্ছ। এ দুনিয়ার মুল্য যদি মশার একটি পাখার সমানও হতো, তাহলে তিনি কোন কাফেরকে এখানকার পানির এক ঢোকও পান করাতেন না। {৩৪৪২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৪২} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ৬৮৬, ২৪৮২।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১১১. মুসতাওরিদ বিন শাদ্দাদ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাফেলার সাথে ছিলাম। তিনি রাস্তার পাশে ফেলে রাখা একটি বকরীর মৃত ছানার নিকট এসে দাঁড়ালেন। তিনি বলেনঃ তোমরা কি জানো, এই বকরির মৃত বাচ্চাটি তার মালিকের নিকট কতো তুচ্ছ? বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! মূল্যহীন হওয়ার দরুনই তারা এটাকে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেনঃ সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ!এটা তার মালিকের নিকট যতোটা মূল্যহীন, দুনিয়াটা আল্লাহর কাছে তার চেয়েও অধিক মূল্যহীন ও তুচ্ছ। {৩৪৪৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৪৩} তিরমিজি ২৩২১। আত তালীকুর রাগীব ৪/১০১, সহিহাহ ২৪৮২।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১১২. আবু হুরাইরা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছিঃ দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবই অভিশপ্ত, কিন্তু আল্লাহর যিকির এবং তার সাথে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য আমল অথবা আলেম ওএলেম অন্বেষণকারী ব্যতীত। {৩৪৪৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৪৪৪} তিরমিজি ২৩২২। মিশকাত ৫১৭৬, আত তালীকুর রাগীব ১/৫৬।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১১৩. আবু হুরাইরা [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ দুনিয়া মুমিনের জেলখানা এবং কাফেরের বেহেশতখানা। {৩৪৪৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৪৫} মুসলিম ২৯৫৬, তিরমিজি ২৩২৪, আহমাদ ৮০৯০, ৯৯১৬।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১১৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার দেহ স্পর্শ করে বলেনঃ হে আবদুল্লাহ! দুনিয়াতে এমনভাবে বসবাস করো যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির। তুমি নিজেকে কবরবাসীদের অন্তর্ভুক্ত মনে করো। {৩৪৪৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ [আরবি] বাক্যটি ব্যতীত সহিহ। রাওদুন নাদীর ৫৭৪।হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য
৩১/৪. অধ্যায়ঃ লোকে যাকে গুরুত্ব দেয় না
৪১১৫. মুআয বিন জাবাল [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আমি কি তোমাকে জান্নাতের বাদশাহ্দের সম্পর্কে অবহিত করবো না। আমি বলিলাম, হাঁ। তিনি বলেনঃ দুটি ছিন্নবস্ত্র পরিহিত দুর্বল ও অনাহারী ব্যক্তি যাকে ধর্তব্যে আনা হয় না। কিন্তু সে কোন বিষয়ে আল্লাহর নামে শপথ করলে তিনি তা অবশ্যই পূর্ণ করেন [সে হইবে জান্নাতের বাদশাহ্]। {৩৪৪৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৪৪৭} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালীকুর রাগীব ৪/৯২।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১১৬. হারিসাহ বিন ওয়াহব [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে অবহিত করবো না যে, কারা জান্নাতী হইবে? যারা দুর্বল এবং যাদেরকে দুর্বল মনে করা হয়। আমি কি তোমাদেরকে অবহিত করবো না যে, কারা জাহান্নামী হইবে? প্রত্যেক অবাধ্য, আহাম্মক ও দাম্ভিক ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে। {৩৪৪৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৪৮} মুসলিম ২৮৫৩, তিরমিজি ২৬০৫, আহমাদ ১৮২৫৩। তাখরীজু মুশকিলাতুল ফিকর ১২৫।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১১৭. আবু উমামাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ লোকেদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ঈর্ষণীয় হলো সেই মুমিন ব্যক্তি যার অবস্থা খুবই হালকা [স্বল্প সম্পদ ও ক্ষুদ্র পরিবার] এবং যে নামাযে মনোযোগী, মানুষের মাঝে অখ্যাত, তার কোন গুরুত্ব দেয়া হয় না,আর নূন্যতম প্রয়োজন মাফিক তার রিযিক এবং তাতেই ধৈর্য ধারণকারী। অচিরেই তার মৃত্যু হয়, তার পরিত্যক্ত সম্পদও কম এবং তার জন্য বিলাপকারীর সংখ্যাও কম। {৩৪৪৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।৩৪৪৯. তিরমিজি ২৩৪৭, আহমাদ ২১৬৬৩, ২১৬৯৩। মিশকাত ৫১৮৯।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১১৮. আবু উমামাহ আল-হারিসী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ অনাড়ম্বর জীবন যাপনই ঈমান। রাবী বলেন, বাযাযাহ-এর অর্থ কাশাফাহ অর্থাৎ বিলাস-বাসনা ত্যাগ করা, সাদামাটা জীবন নির্বাহ করা। {৩৪৫০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৫০} আবু দাউদ ৪১৬১ । সহিহাহ ৩৪১, তাখরাজুল ঈমান লি ইবনিস সালাম ২৫ ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১১৯. আসমা বিনতূ ইয়াযীদ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ আমি কি তোমাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের কথা জানিয়ে দিবো না? তারা বলেন, হাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বলিলেনঃ তোমাদের মধ্যে তারাই শ্রেষ্ঠ যাদের দেখলে মহান আল্লাহর স্মরণ হয়। {৩৪৫১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।৩৪৫১. হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫০২৩।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩১/৫. অধ্যায়ঃ গরীবদের ফাদীলাত
৪১২০. সাহল বিন সাদ আল-সাইদী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। নাবী রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা এ লোকটি সম্পর্কে কী বলো? সাহাবীগণ বলেন, তার সম্পর্কে আপনার অভিমত হইবে যথার্থ। আমরা বলি, সে সুপারিশ করলে তা মঞ্জুর করা হয়। সে কথা বললে তা শোনা হয়। নাবী [সাঃআঃ] চুপ থাকলেন। ইত্যবসরে আরেক ব্যক্তি সেখান দিয়ে অতিক্রম করলো। নাবী [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করলেনঃ এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা কী বলো? সাহাবীগণ বলেন, আল্লাহর শপথ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা বলি যে, এ ব্যক্তি তো দীনহীন মুসলমানদের অন্তভূক্ত। সে এতই যোগ্য যে, সে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়, সুপারিশ করলে তা মঞ্জুর করা হয় না এবং কথা বললে তার কথায় কেউ কর্ণপাত করে না। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ প্রথমোক্ত শ্রেণীর লোকের দ্বারা পৃথিবী ভরে গেলেও শেষোক্ত ব্যক্তি তাহাদের চেয়ে উত্তম। {৩৪৫২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ{৩৪৫২} সহীহুল বুখারী ৫০৯১ ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১২১. ইমরান ইবনিল হুসায়ন [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আল্লাহর যে মুমিন বান্দা দরিদ্র ও অধিক সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও যাচঞা করা থেকে বিরত থাকে, তিনি তাহাকে ভালোবাসেন। {৩৪৫৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।৩৪৫৩. হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৫২৬৫, দঈফাহ ৫১।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩১/৬. অধ্যায়ঃ দরিদ্রদের মর্যাদা
৪১২২. আবু হূরায়রাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ দরিদ্র মুমিনগণ ধনীদের তুলনায় অর্ধদিন আগে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। আর অর্ধ দিনের পরিমাণ হইবে পাঁচশত বছর। {৩৪৫৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহিহ। {৩৪৫৪} তিরমিয়ী ২৩৫৩। তাখরাজুল মিশকাত ৫২৪৩, তালীকুর রাগীব ৪/৮৮, তাহকীকু আসতার ১০৬।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪১২৩. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ দরিদ্র মুহাজিরগণ তাহাদের বিত্তবানদের তুলনায় পাঁচ শত বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। {৩৪৫৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৪৫৫} তিরমিজি ২৩৫১। তাহকীকু আসতার ১০৬, মিশকাত ২১৯৮ ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১২৪. আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
আল্লাহ তাআলা দরিদ্র মুহাজিরদের উপর তাহাদের ধনীদের যে মর্যাদা [সম্পদের প্রাচুর্য] দান করেছেন, তারা সে বিষয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আক্ষেপ প্রকাশ করেন। এতে তিনি বলেনঃ হে অভাবী সমাজ! আমি কি তোমাদেরকে এ সুসংবাদ দিবো না যে, দরিদ্র মুমিনগণ তাহাদের ধনীদের তুলনায় অর্ধ দিন অর্থাৎ পাঁচ শত বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করিবে? অতঃপর মূসা বিন উবায়দা [রাদি.] এ আয়াত তিলাওয়াত করেন
وَإِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ
“তোমার প্রতিপালকের একদিন তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান” [সূরা হাজঃ ৪৭]। {৩৪৫৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৪৫৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত তালীকুর রাগীব ৪/৮৮।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩১/৭. অধ্যায় ঃ দরিদ্রদের সাথে মেলামেশা করা
৪১২৫. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
জাফর বিন আবু তালিব [রাদি.] ফকীর-মিসকীনদের মহব্বত করিতেন, তাহাদের সাথে ওঠাবসা করিতেন এবং তাহাদের সাথে আলাপ করিতেন। আর তারাও তার সাথে আলাপ-আলোচনা করতো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে আবুল মাসাকীন [দরিদ্রদের পিতা] উপাধি দেন। {৩৪৫৭}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ খুবই দুর্বল।{৩৪৫৭} সহীহুল বুখারী ৫৪৩২, তিরমিয়ী ৩৭৬৬ ।হাদিস এর তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৪১২৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
তোমরা মিসকীনদের মহব্বত করিবে। কেননা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে তার দুআয় বলিতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মিসকীনরূপে জীবিত রাখো, মিসকীনরূপে মৃত্যুদান করো এবং মিসকীনদের দলভুক্ত করে হাশরের ময়দানে উত্থিত করো ”। {৩৪৫৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ{৩৪৫৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ৩০৮, ইরওয়া ৮৬১।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১২৭. খাব্বাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মহান আল্লাহর বাণী [অনুবাদ] “যারা তাহাদের প্রতিপালককে সকালে ও সন্ধ্যায় তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ডাকে তাহাদেরকে তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাহাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাহাদের নয় যে, তুমি তাহাদের বিতাড়িত করিবে, করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভূক্ত হইবে” [সূরা আনআমঃ ৫২]। তিনি উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেন, আকরা বিন হাবিস আত-তামীমী ও উইয়ায়নাহ বিন হিসন আল-ফাযারী রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আসলো। তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে সুহায়ব, বিলাল, আম্মার ও খাব্বাব [ প্রমুখ দরিদ্র অসহায় মুমিনদের সাথে বসা দেখলো। তারা নাবী [সাঃআঃ] এর চারপাশে তাহাদের উপবিষ্ট দেখে তাহাদেরকে হেয় জ্ঞান করলো। তারা তাহাঁর সান্নিধ্যে এসে একান্তে তাহাকে বললো, আমরা চাই যে, আপনি আপনার সাথে আমাদের বিশেষ বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন, যাতে আরবরা আমাদের মর্যাদা উপলব্ধি করিতে পারে। কেননা আপনার নিকট আরবের প্রতিনিধিদলসমূহ আসে। এই দাসদের সাথে আরবরা আমাদেরকে উপবিষ্ট দেখলে তাতে আমরা লজ্জাবোধ করি। অতএব আমরা যখন আপনার নিকট আসবো তখন আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে উঠিয়ে দিবেন। আমরা আপনার নিকট থেকে বিদায় নেয়ার পর আপনি ইচ্ছা করলে তাহাদের সাথে বসুন। তিনি বলেনঃ আচ্ছা! দেখা যাক। তারা বললো, আপনি আমাদের জন্য একটি চুক্তিপত্র লিখিয়ে দিন। রাবী বলেন, তিনি কাগজ আনালেন এবং আলী [রাদি.] কে লেখার জন্য ডাকলেন। আমরা এক পাশে বসা ছিলাম। ইত্যবসরে জিবরীল [আ.] এই আয়াত নিয়ে অবতরণ করিলেন [অনুবাদ] “যারা তাহাদের রবকে সকাল-সন্ধ্যায় ডাকে তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাহাদের তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাহাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাহাদের নয় যে, তুমি তাহাদের বিতাড়িত করিবে। করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হইবে “[সূরা আনআমঃ ৫২]। অতঃপর আল্লাহ তাআলা আকরা বিন হাবেস ও উয়াইনা বিন হিসন-এর সম্পর্কে নাযিল করেন [অনুবাদ] “এভাবেই আমি তাহাদের এক দলকে অন্য দল দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যেন তারা বলে, আমাদের মধ্যে কি এদের প্রতিই আল্লাহ অনুগ্রহ করিলেন? আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকেদের সম্পর্কে বিশেষ অবহিত নন?” [সূরা আনআমঃ ৫৩]
অতঃপর আল্লাহ বলেন, “যারা আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে তারা যখন তোমার নিকট আসে, তখন তুমি তাহাদের বলোঃ তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। তোমাদের প্রতিপালক দয়া করা তার কর্তব্য বলে স্থির করেছেন” [সূরা আনআমঃ ৫৪]। রাবী বলেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর আমরা তাহাঁর এতো নিকটবতী হলাম যে, আমাদের হাঁটু তাহাঁর হাঁটুর সাথে লাগিয়ে বসলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের সাথে বসতেন এবং যখন উঠে যাওয়ার ইচ্ছা করিতেন, তখন আমাদের ছেড়ে দাঁড়িয়ে যেতেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন [অনুবাদ] “তুমি নিজেকে ধৈর্য সহকারে রাখবে তাহাদের সংসর্গে যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাহাদের প্রতিপালককে ডাকে তাহাঁর সন্তোষ লাভের আশায় এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাহাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না” [সূ-রা কাহ্ফঃ ২৮] আর তুমি অভিজাতদের সাথে বসো না এবং যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছি তার অনুসরণ করো না। যে নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং কাজেকর্মে সীমা অতিক্রম করে [অর্থাৎ উয়াইনা ও আকরা] তার কৃতকর্ম বরবাদ হয়েছে। অতঃপর তিনি তাহাদের সামনে দু ব্যক্তির দৃষ্টান্ত ও পার্থিব জীবনের উপমা পেশ করেন [সূরা কাহফের ৩২ নং ও ৪৫ নং আয়াত দ্রঃ] খাব্বাব [রাদি.] বলেন, অতঃপর আমরা নাবী [সাঃআঃ] এর সাথে বসতাম। যখন তাহাঁর উঠার সময় হতো তখন আমরা তাহাঁর আগে উঠে যেতাম, অতঃপর তিনি উঠতেন। {৩৪৫৯}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৫৯} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১২৮. সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এ আয়াত আমাদের ছজন সম্পর্কে নাজিল হয়েছেঃ আমি, বিন মাসউদ, সুহাইব, আম্মার, মিকদাদ ও বিলাল [রাদি.]। কুরাইশরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বললো, আমরা এসব লোকের সাথে বসতে সম্মত নই। আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে তাড়িয়ে দিন। রাবী বলেন, এ কথা শোনার পর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর অন্তরে আল্লাহর মর্জি একটা ধারণার উদয় হলো। তখন মহান আল্লাহ এই আয়াত নাযিল করেন
وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ
“যারা তাহাদের রবকে সকাল-সন্ধ্যায় ডাকে তাহাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাহাদের তুমি তাড়িয়ে দিও না। তাহাদের কাজের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কাজের জবাবদিহির দায়িত্বও তাহাদের নয় যে, তুমি তাহাদের বিতাড়িত করিবে, করলে তুমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হইবে” [সূরা আনআমঃ ৫২]। {৩৪৬০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।৩৪৬০. মুসলিম ২৪১৩ ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/৮. অধ্যায়ঃ সম্পদশালীদের সম্পর্কে
৪১২৯. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ প্রাচুর্যের মালিকদের জন্য ধ্বংস অনিবার্য, তবে যারা ডানে, বায়ে, সামনে পেছনে [আল্লাহর পথে] নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে তারা ব্যতীত। {৩৪৬১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৪৬১} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৩০. আবু যার্র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ সম্পদশালীরা কিয়ামতের দিন সর্বনিম্ন স্তরে উপনীত হইবে। কিন্তু যারা নিজেদের মাল এদিক সেদিক [আল্লাহর পথে] খরচ করে এবং পবিত্র পন্থায় তা উপার্জন করে তারা এর ব্যতিক্রম। {৩৪৬২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহিহ।{৩৪৬২} সহীহুল বুখারী ৬৪৪৩, আহমাদ ২০৮৯০ । সহিহাহ ১৭৬৬ ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪১৩১. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ বিপুল প্রাচুর্যের মালিকরা হলো নীচু স্তরের লোক। তবে যারা বলেছে, এই দিকে ও এই দিকে বিলিয়ে দাও তারা ব্যতীত। তিনি কথাটি তিনবার বলিয়াছেন। {৩৪৬৩}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহিহ।{৩৪৬৩} আহমাদ ৮২৭৭ ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪১৩২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি পচ্ছন্দ করি না যে, উহুদ পর্বত পরিমাণ স্বর্ণ আমার অধিকারে থাক এবং তৃতীয় দিনেও তার কিছু আমার নিকট অবশিষ্ট থাক, তবে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছাড়া। {৩৪৬৪}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহিহ।{৩৪৬৪} সহীহুল বুখারী ২৩৮৯ মুসলিম ৯৯১ আহমাদ ৯৬৯৪ । সহিহাহ ২২১১ ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪১৩৩. আমর বিন গায়লান আস-সাকাফী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আমার উপর ঈমান এনেছে, আমার সত্যতা স্বীকার করেছে এবং আমি যা নিয়ে এসেছি তা আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্য বলে জ্ঞান করেছে, আপনি তার ধনবল ও জনবল হাস করে দিন, আপনার সাক্ষাত তার জন্য প্রিয় বানিয়ে দিন এবং তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করুন। আর যে ব্যক্তি আমার উপর ঈমান আনেনি, আমাকে সত্য বলে মেনে নেয়নি এবং আমি যা নিয়ে এসেছি আপনার পক্ষ থেকে আগত সত্য বলে জ্ঞান করেনি আপনি তার ধনবল ও জনবল বৃদ্ধি করুন এবং তার আয়ুক্ষল বৰ্দ্ধিত করুন। {৩৪৬৫}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{৩৪৬৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফ আল-জামি ১২১৫ ।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৩৪. নুকাদাহ আল-আসাদী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে এক ব্যক্তির নিকট থেকে একটি উষ্ট্রী ধার আনার জন্য পাঠান। কিন্তু সে তাহাকে ধাঁর দিলো না। অতঃপর তিনি আমাকে আরেক ব্যক্তির নিকট পাঠান। সে তার জন্য একটি উষ্ট্রী পাঠিয়ে দিলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উষ্ট্রীটি দেখে বলেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি এতে বরকত দাও এবং যে ব্যক্তি এটা পাঠিয়েছে তাহাকেও”। নুকাদা [রাদি.] বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিলাম, যে ব্যক্তি এ উষ্ট্রী নিয়ে এসেছে তার জন্যও [দুআ করুন]। তিনি বলেনঃ “যে ব্যক্তি এটা নিয়ে এসেছে তাহাকেও [বরকত দান করুন]”। অতঃপর তিনি নির্দেশ দিলে উষ্ট্রীর দুধ দোহন করা হলো এবং তা পরিমাণে পর্যাপ্ত হলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ হে আল্লাহ! অমুক ব্যক্তির ধন বৃদ্ধি করুন, যে প্রথম নিষেধকারী। আর যে ব্যক্তি উস্ট্রীটি পাঠিয়েছে তাহাকে দৈনিক হারে রিযিক দিন”। {৩৪৬৬}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।. {৩৪৬৬} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। দঈফাহ ৪৮৬৮ ।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৩৫. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ দীনার ও দিরহামের দাসেরা ধ্বংস হোক, সুদৃশ্য চাদর ও কারুকার্যময় চাদরের দাসেরাও ধ্বংস হোক। তাহাকে দান করা হলে খুশী হয় এবং না দেয়া হলে [কৃত অঙ্গীকার] পূর্ণ করে না। {৩৪৬৭}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৬৭} সহীহুল বুখারী ২৮৮৭।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৩৬. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ দীনার ও দিরহাম ও মূল্যবান চাদরের গোলামেরা ধ্বংস হোক। আল্লাহ এদেরকে অধোমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নামের কাঁটার খোঁচা খেয়েও সে বের হইতে পারবে না। {৩৪৬৮}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।. {৩৪৬৮} মাজাহ ৪১৩৫, সহীহুল বুখারী ২৮৮৭।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১/৯. অধ্যায়ঃ অল্পে তুষ্টি
৪১৩৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ পার্থিব সম্পদের প্রাচুর্য থাকলেই ঐশ্বর্যশালী হওয়া যায় না। মনের ঐশ্বর্যই প্রকৃত ঐশ্বর্য।{৩৪৬৯}
গরিবদের নিয়ে হাদিস তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৬৯} সহীহুল বুখারী ৬৪৪৬, মুসলিম ১০৫১, তিরমিজি ২৩৭৩, আহমাদ ৭২৭৪, ৭৫০২, ৯৩৬৪, ৯৪২৫, ১০৫৭৫, ১০৫৮২। সহিহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব ৮১৮, তাখরীজুল মুশকিলাহ ১৬।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৩৮. আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি ইসলামের দিকে হেদায়েতপ্রাপ্ত হয়েছে, যাকে প্রয়োজন মাফিক রিযিক দান করা হয়েছে এবং যে তাতেই পরিতুষ্ট থাকে, সে-ই সফলকাম হয়েছে।{৩৪৭০}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৭০} মুসলিম ১০৫৪, তিরমিজি ২৩৪৮। সহিহাহ ১২৯, তাখরীজুল মুশকিলাহ ১৮।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৩৯. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ হে আল্লাহ্! আপনি মুহাম্মাদের পরিবারের জন্য কেবল জীবন ধারণোপযোগী [পরিমাণ] রিযিকের ব্যবস্থা করুন।{৩৪৭১}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৭১} সহীহুল বুখারী ৬৪৬০, মুসলিম ১০৫৫, তিরমিজি ২৩৬১। সহিহাহ ১৩০।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৪০. আনাস [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন ধনী-গরীব প্রত্যেকেই এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করিবে যে, তাহাদেরকে যদি পৃথিবীতে জীবন ধারনোপযোগী রিযিক দান করা হতো।{৩৪৭২}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ খুবই দুর্বল।{৩৪৭২} আহমাদ ১১৭৫৩, ১২২৯৯। দঈফাহ ৪৪৭৪, ৪৮৬৯।হাদিস এর তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৪১৪১. উবায়দুল্লাহ বিন মিহসান আল-আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সুস্থদেহে দিনাতিপাত করে, পরিবার-পরিজনসহ নিরাপদে সকালে উপনীত হয় এবং তার নিকট যদি সারা দিনের খোরাকী থাকে, তাহলে তার জন্য যেন গোটা দুনিয়াই একত্র করা হলো।{৩৪৭৩}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{৩৪৭৩} তিরমিজি ২৩৪৬। সহিহাহ ২৩১৮, আত তালীকুর রাগীব ২/১২।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪১৪২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা পার্থিব ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে কম সমৃদ্ধশালী লোকেদের প্রতি দৃষ্টি দাও এবং তোমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধশালী লোকদের প্রতি তাকিও না। তাহলে তোমাদেরকে দেয়া আল্লাহর নিয়ামত তোমাদের নিকট তুচ্ছ মনে হইবে না।{৩৪৭৪}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৭৪} মুসলিম ২৯৬৩, তিরমিজি ২৫১৩। রাওদুন নাদীর ৬০৪, দঈফাহ ৬৩৩।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪১৪৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] , হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক চেহারা ও বিত্ত-বৈভবের প্রতি লক্ষ্য করেন না, বরং তিনি তোমাদের কার্যকলাপ ও অন্তরের দিকে লক্ষ্য রাখেন।{৩৪৭৫}
তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।{৩৪৭৫} মুসলিম ২৫৬৪। গায়তুল মারাম ৪১৫, সহিহাহ ২৬৫৬, তাহকিক রিয়াদুস সালিহীন [ভূমিকা] ১৪ নং পৃষ্ঠা।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply