ইহরাম বাধার নিয়ম – কাপড়, জুতা মীকাত, তালবিয়া বর্ণনা

ইহরাম বাধার নিয়ম – কাপড়, জুতা মীকাত, তালবিয়া বর্ণনা

ইহরাম বাধার নিয়ম – কাপড়, জুতা মীকাত, তালবিয়া বর্ণনা >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২৫, অধ্যায়ঃ (১৩-২৪)=১২টি

১৯/১৩. অধ্যায়ঃ বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীদের মীকাত
১৯/১৪. অধ্যায়ঃ ইহরাম বাঁধা
১৯/১৫. অধ্যায়ঃ তালবিয়া
১৯/১৬. অধ্যায়ঃ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা
১৯/১৭. অধ্যায়ঃ ইহরামধারী ব্যক্তির অনবরত তালবিয়া পাঠের ফযিলত
১৯/১৮. অধ্যায়ঃ ইহরাম বস্ত্র পরিধানের সময় সুগন্ধি ব্যবহার
১৯/১৯. অধ্যায়ঃ ইহরাম বাধা অবস্থায় যেরূপ কাপড় পরিধান করিবে
১৯/২০. অধ্যায়ঃ কাপড় ও জুতা না থাকলে মুহরিম ব্যক্তি পাজামা ও মোজা পরিধান করিবে
১৯/২১. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় যেসব আচরন থেকে বিরত থাকা উচিত
১৯/২২. অধ্যায়ঃ ইহরামধারী ব্যক্তি মাথা ধৌত করিতে পারে
১৯/২৩. অধ্যায়ঃ ইহরামধারী স্ত্রী লোকের মুখমণ্ডলে কাপড় ঝুলানো
১৯/২৪. অধ্যায়ঃ হজ্জে শর্ত আরোপ করা

১৯/১৩. অধ্যায়ঃ বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীদের মীকাত

২৯১৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ মদীনাবাসীগন যুল-হুলায়ফা থেকে, সিরিয়ার অধিবাসীগন আল-জুহ্ফা থেকে, নাজ্‌দবাসীগণ কারন নামক স্থান থেকে ইহরাম বাঁধবে। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, এই তিনটি মীকাতের বর্ণনা আমি  রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর নিকট শুনিয়াছি। আমি আরোও জানতে পেরেছি যে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীগন ইয়ালামলাম থেকে ইহরাম বাঁধবে। {২৯১৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯১৪}সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৩৩. ১৫২২, ১৫২৫, ১৫২৮, ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২, তিরমিজি ৮৩১, নাসাঈ ২৬৫১, ২৬৫২, ২৬৫৫, আবু দাউদ ১৭৩৭, আহমাদ ৪৪৪১, ৪৫৫১, ৪৫৭০, ৫০৫০, ৫০৬৮, ৫১৫০, ৫৩০১, ৫৫১৭, ৬১০৫, ৬৩৫৪, মুয়াত্তা মালিক ৭৩২, ৭৩৪, দারেমী ১৭৯০, সহীহ আবু দাউদ ১৫২৬, ইরওয়া ৪/১৭৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯১৫. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে বলেনঃ মদীনাবাসীগণের মীকাত যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের মীকাত আল-জুহ্ফা, ইয়ামানবাসীদের মীকাত ইয়ালামলাম, নাজদবাসীদের মীকাত কারন, প্রাচ্যের মীকাত যাতু ইরক অতঃপর তিনি দিগন্তের দিকে মুখ ফিরিয়ে বলেনঃ হে আল্লাহ! তাহাদের অন্তরসমূহ ঈমানের দিকে ধাবিত করুন। {২৯১৫}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯১৫} মুসলিম ১১৮৩, ইরওয়া ৪/১৭৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবুল হাসান ইবনিল কাত্তান তাহাকে দুর্বল বলেছেন। আবু বাকর আল-বাযযাহার বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তাহার বর্ণিত হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। আবদুল্লাহ বিন সুলায়মান ইবনিল আশআস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সহজ সরল অর্থাৎ তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আলী ইবনিল জুনায়দ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আলী ইবনিল মাদানী বলেন, তিনি দুর্বল আমি তাহার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করিনি। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ আল-মাখরামী তাহার হাদিস বর্জন করিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ ইবনিল বুরাকী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৬৭, ২/২৪২ নং পৃষ্ঠা] উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৪৬০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৮ টি জাল, ৪২ টি খুবই দুর্বল, ১২৮ টি দুর্বল, ১৩০ টি হাসান, ১৫২ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৩৩, ১৫২২, ১৫২৪, ১৫২৫, ১৫২৬, ১৫২৮, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৫৩১, ১৮৪৫, ৭৩৪৪, মুসলিম ১১৮২, ১১৮৪, তিরমিজি ৮৩১, ৮৩২, আবু দাউদ ১৭৩৭, ১৭৩৯, ১৭৪০, ১৭৪২, দারেমী ১৭৯০, ১৭৯২, আহমাদ ২২৪০, ২২৭২, ৩০৫৬, ৩১৩৮, ৪৪৪১, ১৪২০৫। ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯/১৪. অধ্যায়ঃ ইহরাম বাঁধা

২৯১৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন স্বীয় পদদ্বয় বাহনের পাদানিতে রাখেন এবং তাহাঁর জন্তুযান তাহাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায় তখন তিনি যুল-হুলায়ফার মসজিদের নিকট ইহরাম্ বাঁধেন| {২৯১৬}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯১৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৬৬, ৪৯২, ১৫১৪, ১৫৩২, ১৫৩৩, ১৫৩৬, ১৫৫৩, ১৫৫৪, ২৩৩২, ২৩৩৬, ২৭৬৫, মুসলিম ১১৮৬, ১১৮৭, ১১৮৮, ১২২৭, ১২৫৭, ১৩৪৬, তিরমিজি ৮১৮, নাসাঈ ১১৮, ২৬৫৯, ২৬৬০, ২৬৬১, ২৭৫৭, ২৭৫৮, ২৭৫৯, ২৭৬০, আবু দাউদ ১৬৭১, ১৬৭২, ২০৪৪, আহমাদ ৪৪৪১, ৪৮০৪, ৪৮২৭, ৪৯২৭, ৫৩১৫, ৫৫৬৯, ৫৮৫৮, ৫৮৮৬, ৫৯৬৮, ৬১৭০, ৬১৯৬, ৬২২১, মুওয়াত্তা মালিক ৭৪০, ৭৪১, ৯২৩, দারেমী ১৯২৯| ইরওয়া ৪/২১৬, রাওদুন নাদীর ৯৫|ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯১৭. আনাস বিন মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আশ-শাজারা [যুল-হুলায়ফা] নামক স্থানে আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর উষ্ট্রীর পায়ের নিকটে ছিলাম। উষ্ট্রী যখন তাহাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো, তখন তিনি বলেনঃ

لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ مَعًا

“লাব্বায়কাবি-উমরাতিন ওয়া হাজ্জাতিম-মাআন” [আমি তোমার দরবারে একসাথে হজ্জ ও উমরার সংকল্প নিয়ে হাযির হচ্ছি]।

এটা বিদায় হজ্জের ঘটনা। {২৯১৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সানাদটি সহীহ।{২৯১৭} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯/১৫. অধ্যায়ঃ তালবিয়া

২৯১৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর নিকট তালবিয়া শিখেছি। তিনি বলেনঃ

 لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ 

“লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়কা লাব্বায়কা, লা শারীকা লাকা লাব্বায়কা। ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা শারীকা লাকা [“হে আল্লাহ!আমি তোমার নিকট উপস্থিত আছি, তোমার নিকট উপস্থিত আছি, তোমার দরবারে হাযির হয়েছি। তোমার কোন শরীক নেই, আমি তোমার নিকট হাযির হয়েছি। নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং সমগ্র রাজত্ব ও কর্তৃত্ব তোমার। তোমার কোন শরীক নাই”]

রাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, বিন উমার [রাদি.] এর সাথে যোগ করিতেনঃ

لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ

লাব্বায়াকা লাব্বায়াকা লাব্বায়াকা ওয়া সাদায়কা ওয়াল-খায়রু ফী ইয়াদায়কা, লাব্বায়কা ওয়ার-রাগবাউ ইলায়কা ওয়াল-আমালু” [“তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি [রাদি.] তোমার নিকট হাযির হয়েছি, তোমার নিকট হাযির আছি, তোমার খেদমতে সৌভাগ্য লাভ করেছি। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে, আমি তোমার সমীপে উপস্থিত হয়েছি। সমস্ত আকর্ষন তোমার প্রতি এবং সকল কাজ তোমারই নির্দেশে”]। {২৯১৮}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯১৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৫৪০, ১৫৪৯, ৫৯১৫, মুসলিম ১১৮৪, তিরমিজি ৮২৫, ৮২৬, নাসাঈ ২৭৪৭, ২৭৪৯, ২৭৫০, আবু দাউদ ১৮১২, আহমাদ ৪৪৪৩, ৪৮০৬, ৪৮৭৭, ৪৯৭৭, ৪৯৯৯, ৫০৫১, ৫০৬৭, ৫১৩২, ৫৪৫১, ৫৪৮৪, ৫৯৮৫, ৬১১১, মুওয়াত্তা মালিক ৭৩৮, দারেমী ১৮০৪| রাওদুন নাদীর ৫৪০, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯০|ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯১৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর তালবিয়া ছিল নিম্নরূপঃ

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ

“লাব্বায়কা আল্লাহুম্মা লাব্বায়কা, লাব্বায়কা লা শারীকা লাকা লাব্বায়কা ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিয়মাতা লাকা ওয়াল-মুলকা লা শারীকা লাকা”। {২৯১৯}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯১৯} বুখারী ১৫৫৭, ১৫৬৮, ১৫৭০, ১৬৫১, ১৭৮৫, ২৫০৬, ৪৩৫২, ৭২৩০, ৭৩৬৭; মুসলিম ১২১৩, ১২১৫, ১২১৬/১-৫, ১২১৮/১-৩, ১২৬৩/১-২, ১২৭৩, ১২৭৯, ১২৯৯; তিরমিজি ৮১৭, ৮৫৬-৫৭, ৮৬২, ৮৬৯, ৮৮৬, ৮৯৭, ৯৪৭, ২৯৬৭, ৩৭৮৬; ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯২০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর তালবিয়ায় বলেনঃ

لَبَّيْكَ إِلَهَ الْحَقِّ لَبَّيْكَ

“লাব্বায়কা ইলাহাল্-হাক্ক লাব্বায়কা। {২৯২০}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২০} নাসাঈ ২৭৫২, রাওদুন নাদীর ৫৪০, সহীহাহ ২১৪৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯২১. সাহল বিন সাদ আস-সাঈদী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তিই তালবিয়া পাঠ করে, সাথে সাথে তাহার ডান ও বাম দিকের পাথর, গাছপালা অথবা মাটি, এমনকি দুনিয়ার সর্বশেষ প্রান্ত উভয় দিকের সবকিছু তালবিয়া পাঠ করে। {২৯২১}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২১} তিরমিজি ৮২৮, মিশকাত ২৫৫০, রাওদুন নাদীর ২/১১৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদানী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭২, ৩/১৬৩ নং পৃষ্ঠা]ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯/১৬. অধ্যায়ঃ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা

২৯২২. সাইব বিন খাল্লাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আমার নিকট জিবরীল [আঃ] এসে আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন আমার সাহাবীগণকে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠের আদেশ দেই। {২৯২২}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২২} তিরমিজি ৮২৯, নাসাঈ ২৭৫৩, আবু দাউদ ১৮১৪, আহমাদ ১৬১২২, ১৬১৩১, মুয়াত্তা মালিক ৮৪৪, দারেমী ১৮০৯, মিশকাত ২৫৪৯, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯২৩. যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার নিকট জিবরীল [আঃ] এসে বলেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি আপনার সাহাবীদের নির্দেশ দিন, তাহারা যেন উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করে। কারন তা হজ্জের অন্যতম নিদর্শন। {২৯২৩}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২৩} আহমাদ ২১১৭০, সহীহাহ ৮৩০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি আল-মুত্তালিব বিন আবদুল্লাহ বিন হানতাব সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, আমভাবে তাহার হাদিস মুরসাল। তিনি সাহল বিন সাদ, আনাস বিন ,মালিক ও সালামাহ ইবনিল আকওয়া ব্যাতিত অন্য সাহাবীদের সাক্ষাৎ পাননি। তিনি কাছাকাছি সমযুগের ছিলেন, তিনি তাহার মারাসীল গ্রন্থে বলেন, তিনি ইবনি উমার ও ইবনি আব্বাস থেকে হাদিস শ্রবন করিয়াছেন এমর্মে আমার জানা নেই। আবু হাতিম বিন হিব্বান তাহার সিকাহ গ্রন্থে তাহার নাম উল্লেখ করিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক তাদলীস ও ইরসাল করেন। ঈমাম দারাকুতনী তাহাকে সিকাহ বলেছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয় তাহার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ইরসাল সুত্রে হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬০০৬, ২৮/৮১ নং পৃষ্ঠা] ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯২৪. আবু বাকর সিদ্দীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ কাজটি সর্বোত্তম? তিনি বলেনঃ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং কোরবানীর দিন কোরবানী করা। {২৯২৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২৪} তিরমিজি ৮২৭, দারেমী ১৭৯৭, সহীহাহ ১৫০০, তাখরীজুল মুখতাহার ৬১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তাহার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা] ২. দাহহাক বিন উসমান আল-কুরাশী সম্পর্কে আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তিনি সত্যবাদী। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইবনি আবদুল বার আল-আনাদালাসী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন, তাহার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ২৯২২, ১৩/২৭২ নং পৃষ্ঠা]ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯/১৭. অধ্যায়ঃ ইহরামধারী ব্যক্তির অনবরত তালবিয়া পাঠের ফযিলত

২৯২৫. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে কোন ইহরামধারী ব্যক্তি কোরবানীর দিন আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানী করে এবং মধ্যাহ্ন থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনবরত তালবিয়া পাঠ করিতে থাকে, সূর্য তাহার গুনাহরাশিসহ অস্ত যায়। তখন সে তাহার জন্মদিনের মত নিষ্পাপ হয়ে যায়। {২৯২৫}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দঈফ।{২৯২৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আত-তালীকুর রাগীব ২/১১৯, যইফাহ ৫০১৮, জইফ আল-জামি ৫২১৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মুহাম্মাদ বিন ফুলায়হ সম্পর্কে আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তাহার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান তাহার সিকাহ গ্রন্থে তাহার তাহার নাম উল্লেখ করিয়াছেন। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ঈমাম দারাকুতনী ও ঈমাম যাহাবী তাহাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নয়, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ২. 2925 আসিম বিন উমার সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন, তিনি সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় খুবই দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৭, ১৩/৫১৭ নং পৃষ্ঠা] ৩. আসিম বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার হাদিস দলীলযোগ্য নয় এবং তিনি দুর্বল। ঈমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তাহার দ্বারা দলীল সাব্যস্ত করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু বাকর আল-বাযযাহার বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তাহার স্মৃতিশক্তি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তাহার হাদিস গ্রহন করাও যাবে না দলীল হিসেবেও গ্রহন করা যাবে না। ইবনি হাজার আল-আসকালনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৩০১৪, ১৩/৫০০ নং পৃষ্ঠা] হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৯/১৮. অধ্যায়ঃ ইহরাম বস্ত্র পরিধানের সময় সুগন্ধি ব্যবহার

২৯২৬. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে তাহাঁর ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে সুগন্ধি লাগিয়ে দেই এবং ইহরাম খোলার সময় তাওয়াফে ইফাযা করার পূর্বেও আমি তাহাঁকে সুগন্ধি লাগিয়ে দেই। সুফিয়ানের বর্ণনায় “আমার এই দুহাত দিয়ে” কথাটুকুও উল্লেখ আছে। {২৯২৬}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২৬} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৬৭, ২৭০, ২৭১, ১৫৩৮, ১৫৩৯, ১৭৫৪, ৫৯১৮, ৫৯২২, ৫৯২৩, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১১৮৯, ১১৯০, ১১৯১, ১১৯২, তিরমিজি ৯১৭, নাসাঈ ৪১৭, ৪৩১, ২৬৮৪, ২৬৮৫, ২৬৮৬, ২৬৮৭, ২৬৮৮, ২৬৮৯, ২৬৯০, ২৬৯১, ২৬৯২, ২৬৯৩, ২৬৯৪, ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৯৭, ২৬৯৮, ২৬৯৯, ২৭০০, ২৭০৫, আবু দাউদ ১৭৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ২৩৫৯১, ২৩৬১৪, ২৪২৪০, ২৪১৩, ২৪৪৪৫, ২৪৪৬২, ২৪৭৫৯, ২৪৮৭৪, ২৪৮৯৩, ২৪৯৪৮, ২৪৯৯৫, ২৫০৫৮, ২৫০৭৪, ২৫১১৩, ২৫১৯৫, ২৫২২৪, ২৫২৪৭, ২৭৬৫৬, ২৫২৮৯, ২৫৩৪৬, ২৫৪০৬, ২৫৪০২, ২৫৪৭৫, ২৫৪৮৬, ২৫৫৪৭, ২৫৫৪৯, ২৫৫৯৮, ২৫৬৩০, ২৬৮৮, ২৫৭৪০, ২৫৭৭১, ২৫৮৬৪, মুয়াত্তা মালিক ৭২৭, দারেমী ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩, ইরওয়া ১০৪৭, রাওদুন নাদীর ৭৬৮, সহীহ আবু দাউদ ১৫৩২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯২৭. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি যেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সিঁথিতে সুগন্ধির উজ্জ্বলতা দেখিতে পাচ্ছি, তখন তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করছিলেন। {২৯২৭}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২৭} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৬৭, ২৭০, ২৭১, ১৫৩৮, ১৫৩৯, ১৭৫৪, ৫৯১৮, ৫৯২২, ৫৯২৩, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১১৮৯, ১১৯০, ১১৯১, ১১৯২, তিরমিজি ৯১৭, নাসাঈ ৪১৭, ৪৩১, ২৬৮৪, ২৬৮৫, ২৬৮৬, ২৬৮৭, ২৬৮৮, ২৬৮৯, ২৬৯০, ২৬৯১, ২৬৯২, ২৬৯৩, ২৬৯৪, ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৯৭, ২৬৯৮, ২৬৯৯, ২৭০০, ২৭০৫, আবু দাউদ ১৭৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ২৩৫৯১, ২৩৬১৪, ২৪২৪০, ২৪১৩, ২৪৪৪৫, ২৪৪৬২, ২৪৭৫৯, ২৪৮৭৪, ২৪৮৯৩, ২৪৯৪৮, ২৪৯৯৫, ২৫০৫৮, ২৫০৭৪, ২৫১১৩, ২৫১৯৫, ২৫২২৪, ২৫২৪৭, ২৭৬৫৬, ২৫২৮৯, ২৫৩৪৬, ২৫৪০৬, ২৫৪০২, ২৫৪৭৫, ২৫৪৮৬, ২৫৫৪৭, ২৫৫৪৯, ২৫৫৯৮, ২৫৬৩০, ২৬৮৮, ২৫৭৪০, ২৫৭৭১, ২৫৮৬৪, মুয়াত্তা মালিক ৭২৭, দারেমী ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩, আস-সহীহ ১৫৩৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯২৮. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি যেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সিঁথিতে তিনদিন পরেও সুগন্ধির উজ্জ্বলতা দেখিতে পাচ্ছি, অথচ তিনি ছিলেন ইহরাম অবস্থায়। {২৯২৮}

{২৯২৮} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ২৬৭, ২৭০, ২৭১, ১৫৩৮, ১৫৩৯, ১৭৫৪, ৫৯১৮, ৫৯২২, ৫৯২৩, ৫৯২৮, ৫৯৩০, মুসলিম ১১৮৯, ১১৯০, ১১৯১, ১১৯২, তিরমিজি ৯১৭, নাসাঈ ৪১৭, ৪৩১, ২৬৮৪, ২৬৮৫, ২৬৮৬, ২৬৮৭,২৬৮৮,২৬৮৯, ,২৬৯০, ২৬৯১, ২৬৯২, ২৬৯৩, ২৬৯৪, ২৬৯৫, ২৬৯৬, ২৬৯৭, ২৬৯৮, ২৬৯৯, ২৭০০, ২৭০৫, আবু দাউদ ১৭৪৫, ১৭৪৬, আহমাদ ২৩৫৯১, ২৩৬১৪, ২৪২৪০, ২৪১৩, ২৪৪৪৫, ২৪৪৬২, ২৪৭৫৯, ২৪৮৭৪, ২৪৮৯৩, ২৪৯৪৮, ২৪৯৯৫, ২৫০৫৮, ২৫০৭৪, ২৫১১৩, ২৫১৯৫, ২৫২২৪, ২৫২৪৭, ২৭৬৫৬, ২৫২৮৯, ২৫৩৪৬, ২৫৪০৬, ২৫৪০২, ২৫৪৭৫, ২৫৪৮৬, ২৫৫৪৭, ২৫৫৪৯, ২৫৫৯৮, ২৫৬৩০, ২৬৮৮, ২৫৭৪০, ২৫৭৪০, ২৫৭৭১, ২৫৮৬৪, মুওয়াত্তা মালিক ৭২৭, দারেমী ১৮০১, ১৮০২, ১৮০৩।উক্ত হাদিসের রাবি ইসমাঈল বিন মূসা সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হাজার আল- আসকালনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, তাহার ব্যাপারে শীয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯১, ৩/২১০ নং পৃষ্ঠা ]হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

১৯/১৯. অধ্যায়ঃ ইহরাম বাধা অবস্থায় যেরূপ কাপড় পরিধান করিবে

২৯২৯. আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করিল , ইহরামধারী ব্যক্তি কিরূপ কাপড় পরিধান করিবে? রাসূল [সাঃআঃ] বলেনঃ সে জামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, পাজামা পরবে না, টুপি পরবে না এবং মোজা পরবে না। কিন্তু তাহার জুতা না থাকলে, সে মোজা পরতে পারবে, তবে পায়ের গোছা বরাবর মোজার উপরিভাগ কেটে ফেলবে। সে জাফরান অথবা সুগন্ধি ঘাস দ্বারা রঞ্জিত কাপড় ও পরিধান করিবে না। {২৯২৯}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯২৯} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৩৪, ৩৬৬, ১৫৪২, ১৮৩৮, ১৮৪২, ৫৭৯৪, ৫৮০৩, ৫৮০৫, ৫৮০৬, ৫৮৪৭, ৫৮৫২, ১১৭৭, তিরমিজি ১১৩৩, নাসাঈ ২৬৬৬,২৬৭৭, ২৬৬৯, ২৬৭০, ২৬৭৩, ২৬৭৪, ২৬৭৫, ২৬৭৬, ২৬৭৭, ২৬৭৮, ২৬৮০, ২৬৮১, আবু দাউদ ১৮২৩, আহমাদ ৪৪৬৮, ৪৫২৬, ৪৮২০, ৪৮৫৩, ৪৮৮১, ৫০৫৫, ৫০৮৭, ৫২৮৬, ৫৩০৩, ৫৩১৪, ৫৪০৪, ৫৪০৮, ৫৪৪৯, ৫৫০৩, ৫৮৭১, ৫৯৬৭, ৬২০৮, মুয়াত্তা মালিক ৭১৬, ৭১৭, দারেমী ১৭৯৮, ১৮০০, ইরওয়া ১০১২, সহীহ আবু দাউদ ১৬০০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯৩০. . আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইহরামধারী ব্যক্তিকে কুমকুম অথবা ওয়ারস ঘাস দ্বারা রঞ্জিত কাপড় পরতে নিষেধ করিয়াছেন। {২৯৩০}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯৩০} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৩৪, ৩৬৬, ১৫৪২, ১৮৩৮, ১৮৪২, ৫৭৯৪, ৫৮০৩, ৫৮০৫, ৫৮০৬, ৫৮৪৭, ৫৮৫২, ১১৭৭, তিরমিজি ১১৩৩, নাসাঈ ২৬৬৬,২৬৭৭, ২৬৬৯, ২৬৭০, ২৬৭৩, ২৬৭৪, ২৬৭৫, ২৬৭৬, ২৬৭৭, ২৬৭৮, ২৬৮০, ২৬৮১, আবু দাউদ ১৮২৩, আহমাদ ৪৪৬৮, ৪৫২৬, ৪৮২০, ৪৮৫৩, ৪৮৮১, ৫০৫৫, ৫০৮৭, ৫২৮৬, ৫৩০৩, ৫৩১৪, ৫৪০৪, ৫৪০৮, ৫৪৪৯, ৫৫০৩, ৫৮৭১, ৫৯৬৭, ৬২০৮, মুয়াত্তা মালিক ৭১৬, ৭১৭, দারেমী ১৭৯৮, ১৮০০, ইরওয়া ১০১২, সহীহ আবু দাউদ ১৬০০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯/২০. অধ্যায়ঃ কাপড় ও জুতা না থাকলে মুহরিম ব্যক্তি পাজামা ও মোজা পরিধান করিবে

২৯৩১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি নবী [সাঃআঃ] কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দানকালে বলিতে শুনেছিঃ যে [মুহরিম ] ব্যক্তি কাপড় সংগ্রহ করিতে পারেনি সে মোজা পরতে পারে। হিশামের বর্ণনায় আছেঃ কাপড় না পেলে সে পাজামা পরিধান করিবে। {২৯৩১}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।{২৯৩১} আমি নবী [সাঃআঃ] কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ভাষণ দানকালে বলিতে শুনেছিঃ যে [মুহরিম ] ব্যক্তি কাপড় সংগ্রহ করিতে পারেনি সে মোজা পরতে পারে। হিশামের বর্ণনায় আছেঃ কাপড় না পেলে সে পাজামা পরিধান করিবে।তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯৩২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, কোন ব্যক্তি জুতা সংগ্রহ করিতে না পারলে মোজা পরিধান করিবে। সে যেন গোছার উপরিভাগ কেটে নেয়। {২৯৩২}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ {২৯৩২} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৩৪, ৩৬৬, ১৫৪২, ১৮৩৮, ১৮৪২, ৫৭৯৪, ৫৮০৩, ৫৮০৫, ৫৮০৬, ৫৮৪৭, ৫৮৫২, ১১৭৭, তিরমিজি ১১৩৩, নাসাঈ ২৬৬৬,২৬৭৭, ২৬৬৯, ২৬৭০, ২৬৭৩, ২৬৭৪, ২৬৭৫, ২৬৭৬, ২৬৭৭, ২৬৭৮, ২৬৮০, ২৬৮১, আবু দাউদ ১৮২৩, আহমাদ ৪৪৬৮, ৪৫২৬, ৪৮২০, ৪৮৫৩, ৪৮৮১, ৫০৫৫, ৫০৮৭, ৫২৮৬, ৫৩০৩, ৫৩১৪, ৫৪০৪, ৫৪০৮, ৫৪৪৯, ৫৫০৩, ৫৮৭১, ৫৯৬৭, ৬২০৮, মুয়াত্তা মালিক ৭১৬, ৭১৭, দারেমী ১৭৯৮, ১৮০০, ইরওয়া ১০১২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯/২১. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় যেসব আচরন থেকে বিরত থাকা উচিত

২৯৩৩. আবু বাকর [রাদি.] এর কন্যা আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে রওনা হলাম। আল-আরজ নামক স্থানে পৌঁছে আমরা যাত্রাবিরতি করলাম। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আয়েশা [রাদি.] তাহাঁর পাশে বসলেন এবং আমি আবু বাকর [রাদি.] -র পাশে বসলাম। ইত্যবসরে গোলাম আসলো কিন্তু তাহার সাথে উট ছিল না। আবু বাকর [রাদি.] জিজ্ঞেস করিলেন, তোমার উট কোথায়? সে বলিল , গত রাতে তা হারিয়ে গেছে। তিনি বলেন, তোমার সাথে একটি মাত্র উট ছিল, তাও তুমি হারিয়ে ফেললে? রাবী বলেন, তিনি তাহাকে মারতে শুরু করিলেন। আর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ দেখো ! এই ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় কি করছে? {২৯৩৩}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।{২৯৩৩} আবু দাউদ ১৮১৮, সহীহ আবু দাউদ ১৫৯৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৯/২২. অধ্যায়ঃ ইহরামধারী ব্যক্তি মাথা ধৌত করিতে পারে

২৯৩৪. আবু আয়্যুব [খালিদ বিন যায়দ] আল-আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুল্লাহ বিন আব্বাস [রাদি.] এবং আল-মিসওয়ার বিন মাখরামাহ [রাদি.] আল-আবওয়া নামক স্থানে একটি বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত হলেন। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস [রাদি.] বলেন, ইহরামধারী ব্যক্তি নিজ মাথা ধৌত করিতে পারবে। আর আল-মিসওয়ার [রাদি.] বলেন, সে নিজ মাথা ধৌত করিতে পারবে না। অতএব বিন আব্বাস [রাদি.] আমাকে আবু আয়্যুব আল-আনসারী [রাদি.] – র নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য পাঠান। আমি গন্তব্যে পৌঁছে দেখি যে, তিনি দুটি খুঁটির মাঝখানে কাপড় দ্বারা পর্দা টেনে গোসল করছেন। আমি তাহাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, কে? আমি বললাম, আমি আবদুল্লাহ বিন হুনায়ন। বিন আব্বাস [রাদি.] আমাকে আপনার কাছে জিজ্ঞেস করিতে পাঠিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইহরাম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করিতেন? রাবী বলেন, আবু আইউব [রাদি.] তাহার হস্তদ্বয় পর্দার কাপড়ের উপর রেখে তা মাথা পযন্ত উত্তোলন করিলেন এবং আমি তাহার মাথা দেখিতে পেলাম। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তিকে বলিলেন, পানি ঢালো। লোকটি তাহার গোসলে সাহায্য করছিলো। সে তাহার মাথায় পানি ঢেলে দিলো। তিনি স্বহস্তে তাহার গোটা মাথা মর্দন করিলেন এবং বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে এভাবে মাথা ধৌত করিতে দেখেছি। {২৯৩৪}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ{২৯৩৪} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৮৪০, মুসলিম ১২০৫, নাসাঈ ২৬৬৫, আবু দাউদ ১৮৪০, আহমাদ ২৩০১৮, ২৩০৩২, ২৩০৬৬, মুয়াত্তা মালিক ৭১২, দারেমী ১৮৯৩, ইরওয়া ১০১৯, সহীহ আবু দাউদ ১৬১৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯/২৩. অধ্যায়ঃ ইহরামধারী স্ত্রী লোকের মুখমণ্ডলে কাপড় ঝুলানো

২৯৩৫. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় নবী [সাঃআঃ] -এর সাথে ছিলাম। কোন কাফেলা আমাদের নিকটবর্তী হলে আমরা নিজেদের মাথার সামনে দিয়ে [মুখমণ্ডলে] কাপড় ঝুলিয়ে দিতাম। তাহারা আমাদের অতিক্রম করে যাওয়ার পর আবার তা মুখমণ্ডল থেকে তুলে ফেলতাম। {২৯৩৫}

{উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের একটি বর্ণিত হইয়াছে, অপর সানাদটি হলঃ}

২/২৯৩৫ [১] . {আলী বিন মুহাম্মদ ><আব্দুল্লাহ বিন ইদরীস><ইয়াযীদ বিন আবু যীয়াদ [দঈফ বা দুর্বল] ><মুজাহিদ>< আয়েশা [রাদি.] } {২৯৩৫}

তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল।{২৯৩৫} সহিহুল বুখারি হাদিস নং ১৮৩৩, আহমাদ ২৩৫০১, ইরওয়া ১০২৬৩, মিশকাত ২৬৯০, জইফ আবু দাউদ ৩১৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা] ২. ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ বিন আদী বলেন, তিনি কুফার শীয়াদের একজন। আবু বাকর আল-বায়হাকী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তাহার হাদিস কেউ বর্জন করিয়াছেন এমর্মে আমার জানা নেই। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল, তাহার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। ঈমাম তিরমিজি বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তাহার স্মৃতিশক্তি ভালো ছিল না। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, আমি আহলে ইলমদের বলিতে শুনিয়াছি, তাহারা তাহাকে দুর্বল বলিতেন। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল বাকী ইবনিল কানি বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তাহার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহনযোগ্য নয়। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯১, ৩২/১৩৫ নং পৃষ্ঠা]হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৯/২৪. অধ্যায়ঃ হজ্জে শর্ত আরোপ করা

২৯৩৬. সুদায় বিনতু আওফ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আব্দুল মুত্তালিব কন্যা দুবাআ [রাদি.] এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেনঃ হে ফুফুজান ! কোন জিনিস আপনাকে হজ্জ থেকে বিরত রাখছে।? তিনি বলেন, আমি একজন অসুস্থ মহিলা। আমার আশঙ্কা হয় যে, আমি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পূর্ণ করিতে পারব না। তিনি বলেনঃ আপনি ইহরাম বাঁধুন এবং এই শর্ত আরোপ করুন, “ যেখানে আমি বাধাগ্রস্ত হবো, সেখানেই ইহরাম মুক্ত হবো। {২৯৩৬}

তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।{২৯৩৬} আহমাদ ২৬৪১৩, ইরওয়া ৪/১৮৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯৩৭. দুবাআহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার নিকট উপস্থিত হলেন, আমি তখন রোগগ্রস্থ ছিলাম। তিনি বলেন, আপনি কি এ বছর হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করিয়াছেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল , আমি তো অসুস্থ। তিনি বলেন, আপনি হজ্জের নিয়ত করুন এবং বলুন, “আপনি যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্থ করবেন সেখানে ইহরাম খুলে ফেলব”। {২৯৩৭}

তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।{২৯৩৭} আহমাদ ২৬৪৯০, ২৬৮১২, ইরওয়া ৪/১৮৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহজিবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা]ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯৩৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

যুবায়র বিন আবদুল মুত্তালিবের কন্যা দুবাআ [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি রোগগ্রস্থ এবং আমি হজ্জে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি। অতএব আমি কিভাবে ইহরাম বাধব? তিনি বলেনঃ আপনি ইহরাম বাধুন এবং শর্ত রাখুন, “আপনি [আল্লাহ] যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্থ করবেন, সেটাই হইবে আমার ইহরাম খোলার স্থান”। {২৯৩৮}

তাহকী্ক আলবানীঃ সহীহ।{২৯৩৮} মুসলিম ১২০৮, তিরমিজি ৯৪১, নাসাঈ ২৭৬৫, ২৭৬৬, ২৭৬৭, আবু দাউদ ১৭৭৬, আহমাদ ৩১০৭, ৩২৯২, দারেমী ১৮১১, ইরওয়া ৪/১৮৭, সহীহ আবু দাউদ ১৫৫৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।ইহরাম বাধার নিয়ম – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply