জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত
জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬, অধ্যায়ঃ (১৫-৩৫)=২১টি
৬/১৫. অধ্যায়ঃ জানাজায় অংশগ্রহণ করা।
৬/১৬. অধ্যায়ঃ লাশের আগে আগে যাওয়া।
৬/১৭. অধ্যায়ঃ উদলা শরীরে লাশের সাথে সাথে যাওয়া নিষেধ।
৬/১৮. অধ্যায়ঃ জানাজা হাযির হলে বিলম্ব করিবে না এবং আগুন নিয়ে লাশের অনুসরণ করিবে না।
৬/১৯. অধ্যায়ঃ একদল মুসলিম যার জানাজার নামাজ পড়লো।
৬/২০. অধ্যায়ঃ মৃত ব্যক্তির প্রতি প্রশংসা করা
৬/২১. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে ইমামের দাঁড়ানোর স্থান।
৬/২২. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে কিরাআত পড়া।
৬/২৩. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে দুআ করা।
৬/২৪. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে চার তাকবীর বলা।
৬/২৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি জানাজার সলাতে পাঁচ তাকবীর বলে।
৬/২৬. অধ্যায়ঃ শিশুর জানাজার নামাজ।
৬/২৭. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ছেলের জানাজা এবং তার ইনতিকালের বিবরণ।
৬/২৮. অধ্যায়ঃ শহীদগণের জানাজার নামাজ এবং তাহাদের দাফন-কাফন।
৬/২৯. অধ্যায়ঃ মসজিদে জানাজার নামাজ পড়া।
৬/৩০. অধ্যায়ঃ যেসব ওয়াক্তে মৃতের জানাজা পড়বে না এবং দাফন করিবে না।
৬/৩১. অধ্যায়ঃ আহলে কিবলার জানাজার নামাজ পড়া।
৬/৩২. অধ্যায়ঃ দাফনের পর জানাজার নামাজ পড়া।
৬/৩৩. অধ্যায়ঃ নাজ্জাশীর জানাজার নামাজ সম্পর্কে।
৬/৩৪. অধ্যায়ঃ জানাজায় অংশগ্রহণকারীর এবং তার দাফনের জন্য অপেক্ষমান ব্যক্তির সওয়াব।
৬/৩৫. অধ্যায়ঃ লাশ বয়ে নিয়ে যেতে দেখে দাঁড়ানো।
৬/১৫. অধ্যায়ঃ জানাজায় অংশগ্রহণ করা।
১৪৭৭. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা দ্রুত জানাজার ব্যবস্থা করিবে। কেননা সে সত্যকর্মপরায়ণ লোক হলে তো উত্তম, তোমরা তাকে সেদিকে পৌঁছে দিলে। সে এর অন্যথা হলে তো তা বড়ই মন্দ, তোমরা তা তোমাদের কাঁধ থেকে নামিয়ে রাখলে। {১৪৭৬}
{১৪৭৬} সহীহুল বোখারি ১৩১৫, মুসলিম ৯৪৪, তিরমিজি ১০১৫, নাসায়ি ১৯১০, ১৯১১, আবু দাউদ ৩১৮১, আহমাদ ২৭৩০৪, মুয়াত্তা মালেক ৫৭৪ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৭৮. আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি লাশ বহন করে, সে যেন খাটের চারদিক ধারণ করে। কারণ এটা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। অতঃপর সে চাইলে আরো ধরতে পারে, আর চাইলে ত্যাগও করিতে পারে। {১৪৭৭}
{১৪৭৭} তাহকিক আলবানিঃ জইফ।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৭৯. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] একটি লাশ তাড়াহুড়া করে নিয়ে যেতে দেখে বলেন, তোমরা যেন শান্তভাবে যাও। {১৪৭৮}
{১৪৭৮} আহমাদ ১৯১৯৬ তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবি লায়স সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু হাতিম এবং আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
১৪৮০. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুক্তদাস সাওবান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কতক লোককে জন্তুযামে আরোহিত অবস্থায় লাশের সাথে যেতে দেখে বলেন, তোমাদের কি লজ্জা হয় না যে, আল্লাহ্র ফেরেশতাগণ পদব্রজে যাচ্ছেন আর তোমরা বাহনে উপবিষ্ট হয়ে যাচ্ছো! {১৪৭৯}
{১৪৭৯} তিরমিজি ১০১২, আবু দাউদ ৩১৭৭। মিশকাত ১৬৭২। উক্ত হাদীসের রাবি ১. বাকিয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসান বা আখবারানা শব্দদ্বয় দ্বারা হাদীস বর্ণনা করেন, তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গণ্য হইবেন। ২. আবু বাকর বিন আবু মারয়াম সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন,তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেনে হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন ও দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় মুনকার ও দুর্বল। আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৮১. মুগীরাহ বিন শুবাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, আরোহী ব্যক্তি লাশের পেছনে থাকিবে এবং পদব্রজে গমনকারী যেমন ইচ্ছা চলতে পারে। {১৪৮০}
{১৪৮০} তিরমিজি ১০৩১, নাসায়ি ১৯৪২, ১৯৪৩, ১৯৪৮, আবু দাউদ ৩১৮০, ১৭৬৯৭, ১৭৭০৯, ১৭৭১৬। ইরওয়াহ ৭১৬।তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/১৬. অধ্যায়ঃ লাশের আগে আগে যাওয়া।
১৪৮২. আবদুল্লাহ বিন উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি নবী [সাঃআঃ], আবু বাকর ও উমার [রাঃআঃ]-কে লাশের আগে আগে হেঁটে যেতে দেখেছি। {১৪৮১}
{১৪৮১} তিরমিজি ১০০৭, ১০০৮, ১০০৯, নাসায়ি ১৯৪৪, ১৯৪৫, আবু দাউদ ৩১৭৯ মিশকাত ১৬৬৮, ইরওয়াহ ৭৩৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৮৩. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ], আবু বাক্র, উমার ও উসমান [রাঃআঃ] লাশের আগে আগে হেঁটে যেতেন। {১৪৮২}
{১৪৮২} তিরমিজি ১০১০ ইরওয়াহ ৩/১৯১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৮৪. আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ লাশের অনুসরণ করিতে হইবে [পিছনে পিছনে যেতে হইবে], লাশ অনুসরণ করিবে না [পেছনে থাকিবে না]। যে ব্যক্তি লাশের আগে আগে যায়, সে জানাজার সাথে শরীক নয়। {১৪৮৩}
{১৪৮৩} তিরমিজি ১০১১, আবু দাউদ ৩১৮৪ মিশকাত ১৬৬৯। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াহইয়া বিন আবদুল্লাহ আত-তায়মী সম্পর্কে ইব্বনু আদী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। আল আজালী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ২. আবু মাজিদাহ আল হানাফী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি অপরিচিত। ইমাম বোখারি ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি অপরিচিত। আস-সাজী বলেন, তিনি অপরিচিত।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/১৭. অধ্যায়ঃ উদলা শরীরে লাশের সাথে সাথে যাওয়া নিষেধ।
১৪৮৫. ইমরান ইবনিল হুসায়ন ও আবু বারযাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তারা বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে একটি জানাজার উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। তিনি একদল লোককে পরিধেয় বস্ত্র ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কেবল জামা পরিহিত অবস্থায় হেঁটে যেতে দেখেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমরা জাহিলী যুগের রীতিনীতি অবলম্বন করছো অথবা জাহিলী যুগের কাজ করছো? আমরা ইচ্ছা হয় যে, আমি তোমাদের বদদোয়া করি এবং তোমরা চেহারায় বিকৃত আকৃতিতে পরিবর্তিত হয়ে যাও। রাবি বলেন, তারা তাহাদের কাপড় পরিধান করলো এবং আর কখনও অনুরূপ করেনি। {১৪৮৪}
তাহকিক আলবানিঃ বানোয়াট।{১৪৮৪} মিশকাত ১৭৫০। উক্ত হাদীসের রাবি আমর ইবনিল নুমান সম্পর্কে ইবনি আদী বলেন, তিনি দুর্বল রাবি থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। ২. আলী ইবনিল হাযাওওয়ার সম্পর্কে ইমাম বোখারি ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ননায় মুনকার। ইয়াকূব বিন সুফইয়ান বলেন, তার থেকে হাদীস গ্রহণ করা যাবে না। ইমাম নাসায়ি বলেন, তার হাদীস প্রত্যাখানযোগ্য। ৩. নুফায় সম্পর্কে কাতাদাহ বলেন, তিনি মিথ্যুক। আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন, তিনি বলেছেন যে, তিনি আবাদালাহ থেকে শ্রবণ করিয়াছেন অথচ তিনি তার থেকে শ্রবণ করেননি। ইয়াহগইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি বানিয়ে হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় মুনকার ও দুর্বল। ইমাম নাসায়ি বলেন, তার হাদীস প্রত্যাখ্যানযোগ্য।হাদিসের তাহকিকঃ জাল হাদিস
৬/১৮. অধ্যায়ঃ জানাজা হাযির হলে বিলম্ব করিবে না এবং আগুন নিয়ে লাশের অনুসরণ করিবে না।
১৪৮৬. আলী বিন আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, জানাজা উপস্থিত হলে তোমরা [দাফনে] বিলম্ব করো না। {১৪৮৫}
{১৪৮৫} তিরমিজি ১৭১, আহমাদ ৮৩০ মিশকাত ৬০৫। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি সাঈদ বিন আবদুল্লাহ আল জুহানী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি অপরিচিত।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৮৭. আবু বুরদাহ হইতে বর্ণিতঃ
আবু মূসা আল-আশআরী [রাঃআঃ] এর মৃত্যু উপস্থিত হলে তিনি ওয়াসিয়াত করিলেন, তোমরা আমার লাশের সাথে আগুন নিয়ে যেও না। তারা তাকে বলেন, আপনি কি এ ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে শুনেছি। {১৪৮৬}
{১৪৮৬} তাহকিক আলবানিঃ হাসান।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৬/১৯. অধ্যায়ঃ একদল মুসলিম যার জানাজার নামাজ পড়লো।
১৪৮৮. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, এক শত মুসলমান কারো জানাজার নামাজ পড়লে তাকে ক্ষমা করা হয়। {১৪৮৭}
{১৪৮৭} আহমাদ ৯৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৮৯. আবদুল্লাহ বিন আব্বাস [রাঃআঃ]-এর মুক্তদাস কুরায়ব হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ বিন আব্বাস [রাঃআঃ] এর এক ছেলে মারা গেলে তিনি আমাকে বলেন, হে কুরাইব! উঠে গিয়ে দেখো তো, আমার ছেলের জানাজায় কেউ এসেছে কিনা? আমি বললাম হাঁ। তিনি বলেন, তোমার অমঙ্গল হোক, তুমি তাহাদের কতজনকে দেখলে, চল্লিশজন? আমি বললাম, না, বরং তারা আরো অধিক। তিনি বলেন, তোমরা আমার ছেলের লাশ নিয়ে বের হও। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ অন্তত চল্লিশজন মুমিন অপর মুমিন ব্যক্তির সুপারিশ করলে, আল্লাহ্ তাহাদের সুপারিশ কবুল করেন। {১৪৮৮}
{১৪৮৮} মুসলিম ৯৪৮, আবু দাউদ ৩১৭০, আহমাদ ২৫০৫ সহিহা ২২৬৮, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৯০. মারসাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
কোন জানাজা উপস্থিত হলে এবং লোকসংখ্যা কম হলে, তিনি তাহাদের তিন সারিতে কাতারবন্দী করে নামাজ পড়তেন। তিনি আরো বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মৃতের জানাজায় মুসলমানদের তিন সারি লোক হলেই তা [জান্নাত] অবধারিত করে। {১৪৮৯}
{১৪৮৯} তিরমিজি ১০২৮, আবু দাউদ ৩১৬৬, আহমাদ ১৬২৮৩ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি সাকিহ।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/২০. অধ্যায়ঃ মৃত ব্যক্তির প্রতি প্রশংসা করা
১৪৯১. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] এর নিকট দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হলো এবং উচ্ছসিত প্রশংসা করা হলো। তিনি বলেন, অবধারিত হয়ে গেলো। তারপর আরেকটি লাশ তাহাঁর নিকট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো এবং কুৎসা বর্ণনা করা হলো। তিনি বলেন অবধারিত হয়ে গেলো। বলা হলো, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি এই লাশের জন্যে অবধারিত হয়ে গেলো এবং ঐ লাশের জন্যও অবধারিত হয়ে গেলো বলিলেন। তিনি বলেন, দলের সাক্ষ্য অনুপাতে। মুমিনরা পৃথিবীর বুকে আল্লাহ্র সাক্ষীস্বরুপ। {১৪৯০}
{১৪৯০} সহীহুল বোখারি ১৩৬৭, ২৬৪২, মুসলিম ৯৪৯, তিরমিজি ১০৫৮, নাসায়ি ১৯৩২, আহমাদ ১২৪২৬, ১২৫২৬, ১২৬২৭, ১২৭৯১, ১৩১৬০, ১৩৫৮৪ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৯২. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] এর নিকট দিয়ে একটি লাশ বয়ে নিয়ে যাওয়া হলো এবং তাহাঁর নানারূপ ভূয়সী প্রশংসা করা হলো। তিনি বলেনঃ অবধারিত হয়ে গেলো। অতঃপর তাহাঁর নিকট দিয়ে লোকেরা আরেকটি লাশ বয়ে নিয়ে গেলো এবং তাহাঁর বিভিন্নুপ কুৎসা বর্ণনা করা হলো, তিনি বলেনঃ অবধারিত হয়ে গেলো। কেননা তোমরা পৃথিবীর বুকে আল্লাহ্র সাক্ষীস্বরূপ। {১৪৯১}
{১৪৯১} নাসায়ি ১৯৩৩, আবু দাউদ ৩২৩৩, আহমাদ ৭৪৯৯, ৯৬৮৪, ৯৭২৬, ১০০৯৩, ১০৪৫৫ সহিহা ২৬০০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/২১. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে ইমামের দাঁড়ানোর স্থান।
১৪৯৩. আল-ফাযারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিফাসগ্রস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী এক মহিলার জানাজার নামাজ পড়েন এবং তিনি তাহাঁর মাঝ বরাবর দাঁড়ান। {১৪৯২}
{১৪৯২} সহীহুল বোখারি ৩৩২, ১৩৩১, ১৩৩২, মুসলিম ৯৬৪, ১৪৮২, তিরমিজি ১০৩৫, নাসায়ি ৩৯৩, ১৯৭৬, ১৯৭৯, আবু দাউদ ৩১৯৫ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ. হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৯৪. আবু গালিব [হাযুর] [তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদীস বর্ণনায় ভুল করেন] হইতে বর্ণিতঃ
আমি আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] কে এক ব্যক্তির জানাজার নামাজ পড়তে দেখলাম। তিনি তাহাঁর মাথা বরাবর দাঁড়ান। আরেকটি মহিলার লাশ উপস্থিত করা হলে লোকেরা বললো, হে আবু হামযাহ! তাহাঁর জানাজার নামাজ পড়ুন। তিনি খাটের মাঝ বরাবর দাঁড়ান। আলা বিন যিয়াদ [রহঃ] তাকে বলেন, হে আবু হামযা! আপনি পুরুষের জানাজায় যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, মহিলার জানাজায় যেভাবে দাঁড়িয়েছেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কেও সেভাবে দাঁড়াতে দেখেছেন কি? তিনি বলেন, হাঁ। তিনি আমাদের দিকে ফিরে বলেন, তোমরা স্মরণ রেখো। {১৪৯৩}
{১৪৯৩} তিরমিজি ১০৩৪, আবু দাউদ ৩১৯৪ মিশকাত ১৬৭৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ. হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/২২. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে কিরাআত পড়া।
১৪৯৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] জানাজার সলাতে সূরা ফাতিহা পড়েন। {১৪৯৪}
{১৪৯৪} তিরমিজি ১০২৬ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. যায়দ ইবনিল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনিল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ২. ইবরাহীম বিন উসমান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সিকাহ নন। ইমাম বোখারি তার ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম তিরমিযি তাকে মুনকার বলেছেন। এ হাদিসের ৭২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে তিরমিযি ২ টি, সুনানুল কুবরা ৬ টি, মুসনাদ শাফিঈ ৫ টি, ও বাকীগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৯৬. উম্মু শারীক আল-আনসারিয়্যাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে জানাজার সলাতে সূরা ফাতিহা পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। {১৪৯৫}
{১৪৯৫} হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি হাম্মাদ বিন জাফার আল আবদী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও আল-আযদী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনি আদী তাকে মুনকার বলেছেন। ২. শাহর বিন হাওসাব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান এবং আল আজলী বলেন, তিনি সিকাহ। শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ তাকে বর্জন করিয়াছেন। আহমাদ বিন হাম্বল ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, কোন সমস্যা নেই। জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/২৩. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে দুআ করা।
১৪৯৭. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ তোমরা মৃত ব্যক্তির জানাজার নামাজ পড়াকালে তার জন্য একনিষ্ঠভাবে দুআ করো। {১৪৯৬}
{১৪৯৭} আবু দাউদ ৩১৯৯ মিশকাত ১৬৭৪, ইরওয়াহ ৭৩২। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আবু উবায়দ মুহাম্মাদ বিন উবায়দ বিন মায়মুন আল মাদীনী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও তিনি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৪৯৮. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জানাজার সালাতে বলিতেনঃ “
اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا اللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ اللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ
আল্লা-হুম্মাগফির লিহায়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শা-হিদিনা ওয়া গা-য়িবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসা-না। আল্লা-হুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহু মিন্না ফা’আহয়িহি ‘আলাল-ইসলাম। ওয়ামান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু ‘আলাল ঈমান। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তুদ্বিল্লান্না বা‘দাহু
হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত, অনুপস্থিত, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে ক্ষমা কর। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের মধ্যে যাকে জীবিত রাখ তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো এবং আমাদের মধ্যে যাকে মৃত্যু দান করো, তাকে ঈমানের সাথে মৃত্যুদান করো। হে আল্লাহ! আমাদেরকে এর প্রতিদান থেকে বঞ্ছিত করো না এবং এর পরে আমাদের পথভ্রষ্ট করো না”। {১৪৯৭}
{১৪৯৮} মিশকাত ১৬৭৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৯৯. ওয়াসিলাহ ইবনিল আসকা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুসলমানদের এক ব্যাক্তির জানাজার নামাজ আদায় করিলেন। আমি তাকে বলিতে শুনিয়াছিঃ
اللّٰهُمَّ إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ فِي ذِمَّتِكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ فَقِهِ مِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ النَّارِ وَأَنْتَ أَهْلُ الْوَفَاءِ وَالْحَقِّ فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলানাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা, ওয়া হাবলি জিওয়ারিকা, ফাক্বিহি মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া আযা-বিন না-রি, ওয়া আনতা আহলুল ওয়াফাই ওয়াল হাক্ক, ফাগফির লাহু ওয়ারহামহু, ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম
“হে আল্লাহ! অমুকের পুত্র অমুক তোমার যিম্মায় এবং তোমার নিরাপত্তার বন্ধনে। তুমি তাকে কবরের বিপর্যয় ও দোযখের শাস্তি থেকে রক্ষা করো এবং তাকে দয়া করো। কেননা তুমিই কেবল ক্ষমাকারী পরম দয়ালু”। {১৪৯৮}
{১৪৯৯} আবু দাউদ ৩২০২, আহমাদ ১৫৫৮৮ মিশকাত ১৬৭৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ.হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫০০. আওফ বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে এক আনসারির জানাজার সলাতে শরীক ছিলাম। আমি তাকে বলিতে শুনিয়াছিঃ
اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ وَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ وَنَقِّهِ مِنْ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنْ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ بِدَارِهِ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلًا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলায়হি ওয়াগফেরলাহু ওয়ারহামহু ওয়া আফিহি আনহু ওয়াগসিলহু বিমায়িন ওয়া তালজিন ওয়া বারাদিন ওয়া নাক্কিহি মিন আজ্জুনুবি ওয়াল খতাইয়া কামা ইউনাক্কাস সাওবুল আবইয়াদু মিনাদদানাস ওয়া আব্দিলহু বি দারিহি দারান খইরান মিন দারিহি ওয়া আহলান খয়রান মিন আহলিহি ওয়া কিহি ফিতনাতাল ওয়া আজাবান নার
“হে আল্লাহ! তুমি তাকে দয়া করো, তাকে ক্ষমা করো এবং তার উপর করুণা বর্ষণ করো, তাকে ক্ষমা করো, তার পাপরাশি দূর করে দাও। তাকে ঠান্ডা পানি ও বরফ দ্বারা ধৌত করো এবং সাদা কাপড় থেকে যেভাবে ময়লা পরিষ্কার করা হয়, তদ্রূপ তাকে গুনাহ থেকে পরিচ্ছন্ন করো। তার ঘরের পরিবর্তে তাকে উত্তম আবাস দান করো, তার পরিবার থেকেও উত্তম পরিবার তাকে দান করো এবং তাকে কবরের বিপর্যয় ও দোযখের শাস্তি থেকে রক্ষা করো”। আওফ [রাঃআঃ] বলেন, তখন আমার আকাংক্ষা হলো যে, আমি যদি ঐ ব্যক্তির স্থানে হতাম। {১৪৯৯}
{১৪৯৯} মুসলিম ৯৬৩, তিরমিজি ১০২৫, নাসায়ি ১৯৮৩, ১৯৮৪, আহমাদ ২৩৪৫৫, ২৩৪৮০ ইরওয়াহ ১/৪২, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি ফারাজ ইবনিল ফাদালাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম বোখারি ও ইমাম মুসলিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী, তার হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীলযোগ্য নয়। ২. ইসমাহ বিন রাশীদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় অজ্ঞাত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫০১. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবু বাক্র ও উমার [রাঃআঃ] আমাদের জন্য জানাজার সলাতে যে [কোন সময় পড়ার] অবকাশ রেখেছেন, তা অন্য কোন নামাজের বেলায় রাখেননি অর্থাৎ ওয়াক্ত নির্দিষ্ট করেননি। {১৫০০}
{১৫০০} হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি হাজ্জাজ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু নির্ভরযোগ্য নয়। তিনি আমর থেকে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বলদের থেকে তাদলীস করেন।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/২৪. অধ্যায়ঃ জানাজার সলাতে চার তাকবীর বলা।
১৫০২. উসমান বিন আফফান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] উসমান বিন মাযঊন [রাঃআঃ]-এর জানাজার নামাজ চার তাকবীর পড়েন। {১৫০১}
{১৫০২} হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি খালীদ ইবনিল ইয়াস সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন বরং দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও দুর্বল। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. উসমান বিন আবদুল্লাহ ইবনিল হাকাম ইবনিল হারিস সম্পর্কে হাদিস বিশারদগণ বলেন, তিনি অপরিচিত।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৫০৩. আল-হাজারী [ইবরাহীম বিন মুসলিম] [{আরবী} হাদিস বর্ণনায় দুর্বল] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাহাবী আবদুল্লাহ বিন আবু আওফা আল-আসলামী [রাঃআঃ] এর সাথে তার এক কন্যার জানাজার নামাজ আদায় করলাম। তিনি তাতে চার তাকবীর বলেন। চতুর্থ তাকবীরের পর তিনি ক্ষণিক নীরব থাকেন। রাবি বলেন, আমি কাতারবদ্ধ লোকদের সুবহানাল্লাহ বলিতে শুনেছি। তিনি সালাম ফিরানোর পর বলিলেন, তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি পঞ্চম তাকবীর বলবো? তারা বললো, আমরা তাই অনুমান করেছিলাম। তিনি বলেন, আমি কখনো তা করতাম না। তবে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চার তাকবীর বলিতেন, তারপর ক্ষণিক চুপচাপ থাকতেন, তারপর আল্লাহ্র মর্জি কিছু পড়তেন, তারপর সালাম ফিরাতেন। {১৫০২}
{১৫০৩} আহমাদ ১৮৬৫৯, ১৮৯২৫ আহকাম ১২৬, রওয ৩৬৯। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি আল হাজরী [ইবরাহীম বিন মুসলিম] সম্পর্কে আল আযদী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বোখারি তাকে মুনকার বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৫০৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] চার তাকবীর বলেন। {১৫০৩}
{১৫০৪} আহকাম ১১১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু হিশাম আর রাফাঈ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আমি তার মাঝে কোন সমস্যা দেখি না। ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবির বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার দুর্বলতার ব্যাপারে সকল হাদিস বিশারদগণকে একমত দেখেছি। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. মিনহাল বিন খালিফাহ সম্পর্কে বাযযার সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/২৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি জানাজার সলাতে পাঁচ তাকবীর বলে।
১৫০৫. আবদুর রহমান বিন আবু লায়লা হইতে বর্ণিতঃ
যায়দ বিন আরকাম [রাঃআঃ] আমাদের জানাজার সলাতে চার তাকবীর বলিতেন। তিনি এক জানাজার সলাতে পাঁচ তাকবীর বলেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পাঁচ তাকবীরও বলেছেন। {১৫০৪}
{১৫০৪} মুসলিম ৯৫৭, তিরমিজি ১০২৩, নাসায়ি ১৯৮২, আবু দাউদ ৩১৯৭, আহমাদ ১৮৭৮৬, ১৮৮১৩, ১৮৮২৫, ১৮৮৩৩ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫০৬. আমর বিন আওফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নিশ্চই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পাঁচ তাকবীর বলেছেন। {১৫০৫}
{১৫০৬} তাহকিক আলবানিঃ সহীহ্। উক্ত হাদিসের রাবি ইবরাহীম বিন আলী আর-রাফিঈ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আস-সাজী তাকে তাকে মুনকার বলেছেন। ইবনি হিব্বান তাকে দুর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করিয়াছেন। ২. কাসীর বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা তিনি মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে মুনকার বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/২৬. অধ্যায়ঃ শিশুর জানাজার নামাজ।
১৫০৭. মুগীরাহ বিন শুবাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ শিশুর জানাজা পড়তে হইবে। {১৫০৬}
{১৫০৭} তিরমিজি ১০৩১ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫০৮. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শিশু [ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর] চিৎকার করলে [অতঃপর মারা গেলে] তার জানাজা পড়তে হইবে এবং তার উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হইবে। {১৫০৭}
{১৫০৮} তিরমিজি ১০৩২, দারেমী ৩১২৫ সহিহা ১৫৩, ইরওয়াহ ১৭০৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি বিন বাদর সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫০৯. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের শিশুদের জানাজার নামাজ পড়ো। কারণ তারা তোমাদের অগ্রগামী সঞ্চয়। {১৫০৮}
{১৫০৮} তাহকিক আলবানিঃ নিতান্ত জইফ, ইরওয়াহ ৭২৫। উক্ত হাদিসের রাবি বিন বাদর সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন শসায়বাহ বলেন, তিনি অপরিচিত। ইবনি আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। ২. উবায়দ বিন সুলায়ম সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন তিনি অপরিচিত।হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৬/২৭. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ছেলের জানাজা এবং তার ইনতিকালের বিবরণ।
১৫১০. ইসমাঈল বিন আবু খালিদ হইতে বর্ণিতঃ
আমি আবদুল্লাহ বিন আওফা [রাঃআঃ] কে বললাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পুত্র ইবরাহীম কে দেখেছেন? তিনি বলেন, সে শিশুকালেই মারা যায়। মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] এর পর যদি কারো নবী [সাঃআঃ] হওয়ার [আল্লাহ্র] সিদ্ধান্ত থাকতো তাহলে তাহাঁর পুত্র জীবিত থাকতো। কিন্তু তাহাঁর পরে কোন নবী [সাঃআঃ] নাই। {১৫০৯}
{১৫০৯} সহীহুল বোখারি ৬১৯৪ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫১১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর পুত্র ইবরাহীম মৃত্যুবরণ করলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার জানাজার নামাজ পড়েন এবং বলেন, তার জন্য জান্নাতে একজন ধাত্রী নিযুক্ত করা হয়েছে। সে জীবিত থাকলে অবশ্যি সত্যবাদী ও নবী [সাঃআঃ] হতো। সে জীবিত থাকলে তাহাঁর মাতৃকুল স্বাধীন হয়ে যেত এবং কিবতী থাকতো না। {১৫১০}
তাহকিক আলবানিঃ স্বাধীন হওয়া বাক্য ব্যতীত সহিহ।{১৫১০} যঈফাহ ২২০৩, ৩২০২। তাহকিক আলবানিঃ স্বাধীন হওয়া বাক্য ব্যতীত সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইবরাহীম বিন উসমান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সিকাহ নন। ইমাম বোখারি তার ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম তিরমিযি তাকে মুনকার বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫১২. হুসায়ন বিন আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর পুত্র কাসিম ইনতিকাল করলে খাদীজা [রাঃআঃ] বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! কাসিমের জন্য পর্যাপ্ত দুধ রয়েছে, আল্লাহ যদি তাকে দুধ পানের মেয়াদ পর্যন্ত জীবিত রাখতেন! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তার দুধ পানের মেয়াদ জান্নাতে পূর্ণ করা হইবে। তিনি বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি তা জানাতে পারলে তার ব্যাপারে সান্ত্বনা লাভ করতাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তুমি চাইলে আমি আল্লাহ্র নিকট দুআ করি, তিনি তোমাকে তার শব্দ শুনাবেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! বরং আমি আল্লাহ্ ও তাহাঁর রসূলকে বিশ্বাস করি। {১৫১১}
তাহকিক আলবানিঃ নিতান্ত দঈফ, তালীক ইবনি মাজাহ।{১৫১১} হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক আলবানিঃ নিতান্ত জইফ, তালীক ইবনি মাজাহ।হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৬/২৮. অধ্যায়ঃ শহীদগণের জানাজার নামাজ এবং তাহাদের দাফন-কাফন।
১৫১৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উহুদের যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সামনে শহীদদের লাশ উপস্থিত করা হলো। তিনি একসঙ্গে দশ দশজনের জানাজার নামাজ আদায় করিলেন। আর হামযা [রাঃআঃ]-এর লাশ যেভাবে ছিল সেভাবেই রেখে দেয়া হলো। অন্যদের লাশ তুলে নেয়া হল এবং তাহাঁর লাশ স্বস্থানে পড়ে থাকলো। {১৫১২}
{১৫১২} আহকাম ৮২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যাবে তবে দলীলযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইবনি আদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে তবে তিনি দুর্বল। এ হাদিসের ৭৪ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে সহিহ বোখারিতে ১ টি, সহিহ মুসলিম ১ টি, আবু দাউদ ১ টি, আহমাদ ১ টি, সহিহ ইবনি হিব্বান ৩ টি, দারাকুতনী ২ টি ও বাকীগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫১৪. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উহুদ যুদ্ধের শহীদের দু বা তিনজনকে এক কাপড়ে একত্র করে জড়িয়ে জিজ্ঞেস করিতেনঃ তাহাদের মধ্যে কে কুরআনের অধিক জ্ঞানী? তাহাদের কারো প্রতি ইশারা করে তাঁকে জানানো হলে তিনি তাকে আগে কবরে রাখতেন এবং বলিতেনঃ আমি তাহাদের সকলের পক্ষে সাক্ষী। তিনি তাহাদেরকে তাহাদের রক্তমাখা অবস্থায় দাফন করার নির্দেশ দেন এবং তাহাদের জানাজার নামাজ ও পড়া হয়নি, গোসল ও দেয়া হয়নি। {১৫১৩}
{১৫১৩} আবু দাউদ ৩১৩৮, আহমাদ ১৩৭৭৭ ইরওয়াহ ৭০৭, বোখারি, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫১৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উহুদের শহীদদের দেহ থেকে লৌহবর্ম, অস্ত্র ও চামড়ার জুতা খুলে নেয়ার এবং তাহাদেরকে তাহাদের রক্ত মাখা কাপড়ে দাফন করার নির্দেশ দেন। {১৫১৪}
{১৫১৪} আবু দাউদ ৩১৩৪, আহমাদ ২২১৮ মিশকাত ১৬৪৩, ইরওয়াহ ৭০৯। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি মিনদাহ বলেন, তিনি দুর্বল। ২. আতা ইবনিস সায়িব সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৫১৬. জাবির বিন আবদুল্লাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উহুদের শহীদগণকে তাহাদের শাহাদাত লাভের স্থানে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। তাহাদেরকে মদিনায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। {১৫১৫}
{১৫১৫} তিরমিজি ১৭১৭, আবু দাউদ ৩১৬৫, আহমাদ ১৩৭৫৫, দারেমী ৪৫ তাহকিক আলবানিঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবি নুবায়াহ আল আনাবী সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ তবে আসওয়াদ ছাড়া তার থেকে কেউ হাদিস বর্ণনা করেনি।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/২৯. অধ্যায়ঃ মসজিদে জানাজার নামাজ পড়া।
১৫১৭. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মসজিদে জানাজার নামাজ পড়লো, তাতে তার কোন সওয়াব হলো না। {১৫১৬}
{১৫১৬} আবু দাউদ ৩১৯১, আহমাদ ৯৪৩৭, ৯৫৫৫, ১০১৮৩ সহীহা ২৩৫২। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৫১৮. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহ্র শপথ! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সুহায়ল বিন বাইদার জানাজার নামাজ মসজিদেই পড়েছেন। ইবনি মাজাহ [রহঃ] বলেন, আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] বর্ণিত হাদীসটি সনদের দিক থেকে অধিকতর শক্তিশালী। {১৫১৭}
{১৫১৭} মুসলিম ৯৭৩, তিরমিজি ১০৩৩, নাসায়ি ১৯৬৭, ১৯৬৮, আবু দাউদ ৩১৮৯, ৩১৯০, আহমাদ ২৩৯৭৭, ২৪৪৯৩, ২৪৮২৯. ২৫৭১৩, মুয়াত্তা মালেক ৫৩৮ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/৩০. অধ্যায়ঃ যেসব ওয়াক্তে মৃতের জানাজা পড়বে না এবং দাফন করিবে না।
১৫১৯. উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে তিন সময়ে আমাদের মৃতদের জানাজা পড়তে এবং তাহাদেরকে কবরস্থ করিতে নিষেধ করেছেনঃ সূর্য সুস্পষ্টভাবে উদয়কালে, সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দুপুরের সময় এবং সূর্যাস্তের সময়, যতক্ষণ না তা অস্তমিত হয়। {১৫১৮}
{১৫১৮} মুসলিম ৮৩১, তিরমিজি ১০৩০, নাসায়ি ৫৬০, ৫৬৫, ২০১৩, আবু দাউদ ৩১৯২, আহমাদ ১৬৯২৬, দারেমী ১৪৩২ ইরওয়াহ ৪৮০, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫২০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে রাতের বেলা কবরে রাখেন এবং [লাশ ঠিকমতো রাখার সুবিধার্থে] কবরে আলোর ব্যবস্থা করেন। {১৫১৯}
{১৫১৯} তিরমিজি ১০৫৭ আহকাম ১৪১। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াহইয়া ইবনিল ইয়ামান সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সাওরীর হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করিয়াছেন। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ২. মিনহাল বিন খালিফাহ সম্পর্কে বাযযার সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৫২১. জাবির বিন আবদুল্লাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা অনন্যোপায় না হলে তোমাদের মৃতদের রাতের বেলা দাফন করো না। {১৫২০}
{১৫২০} মুসলিম ৯৪৩, নাসায়ি ১৮৯৫, ২০১৪, আবু দাউদ ৩১৪৮, আহমাদ ১৩৭৩২ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ আল মাক্কী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বোখারি তার ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫২২. জাবির বিন আবদুল্লাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, রাতের বেলা এবং দিনের বেলা তোমরা তোমাদের মৃতদের জানাজার নামাজ পড়তে পারো। {১৫২১}
{১৫২১} যঈফাহ ৩৯৭৪। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আব্বাস বিন উসমান দিমাশকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী সিকাহ বললেও ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবির বিপরীত বর্ণনা করেন। ২. ইবনি লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন তা দুর্বল।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/৩১. অধ্যায়ঃ আহলে কিবলার জানাজার নামাজ পড়া।
১৫২৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
[মুনাফিকদের দলপতি] আবদুল্লাহ বিন উবাই মারা গেলে তার পুত্র নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার জামাটি আমাকে দান করুন, আমি তার দ্বারা তাকে দাফন পরাবো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, আমাকে তার দাফনের সময় খবর দিও। নবী [সাঃআঃ] তার জানাজার নামাজ পড়ার ইচ্ছে করলে উমার ইবনিল খাত্তাব [রাঃআঃ] তাঁকে বলেন, তার ব্যাপারে আপনার কি হলো! নবী [সাঃআঃ] তার জানাজার নামাজ পড়েন। নবী [সাঃআঃ] তাকে বলেনঃ আমাকে দুটি বিষয়ের মধ্যে এখতিয়ার দেয়া হয়েছেঃ “আপনি তখন মহান আল্লাহ নাযিল করেন,
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
“তাহাদের কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনো তার জন্য জানাজার নামাজ পড়বে না এবং তার কবরের পাশেও দাঁড়াবেন না” [সূরা তওবাঃ ৮৪]। {১৫২২}
{১৫২২} সহীহুল বোখারি ১২৬৯, ৪৬৭০, ৪৬৭২, ৫৭৯৬, মুসলিম ২৪০০, ২৭৭৪, তিরমিজি ৩০৯৮, নাসায়ি ১৯০০, আহমাদ ৪৬৬৬ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫২৪. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
মুনাফিক নেতা [উবাই] মদিনায় মারা গেলো। সে ওসিয়াত করলো যে, নবী [সাঃআঃ] যেন তার জানাজার নামাজ আদায় করেন এবং তাহাঁর জামা দিয়ে যেন তাকে কাফন দেয়া হয়। তিনি তার জানাজার নামাজ পড়েন, তাহাঁর জামা দিয়ে তাকে কাফন দেন এবং তার কবরের পাশে [দুআ করিতে] দাঁড়ান। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেন, অনুবাদঃ
وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ
“তাহাদের কারো মৃত্যু হলে কখনো তার জন্য জানাজার নামাজ পড়বে না এবং তার কবরের পাশেও দাঁড়াবে না” [সূরা তওবাঃ ৮৪] {১৫২৩}
{১৫২৩} হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। উক্ত হাদিসে মুজালীদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বোখারি ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। ইবনি মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
১৫২৫. ওয়াসিলাহ ইবনিল আসকা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা প্রত্যেক মৃতের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করো এবং প্রত্যেক আমীরের নেতৃত্বে জিহাদ করো। {১৫২৪}
{১৫২৪} ইরওয়াহহ/৩০৯। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি হারিস বিন নাবহান সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস লিখা হয় না। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইমাম বোখারি বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। উতবাহ বিন ইয়াকযান সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। আবু সাঈদ সম্পর্কে হাদিস বিশারদগণ বলেন, তিনি অপরিচিত।জানাজার নামাজের দোয়া , তাকবীর সংখ্যা, কিরাত – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৫২৬. জাবির বিন সামুরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ]-এর এক সাহাবী আহত হন। এর যন্ত্রণা সহ্য করিতে না পেরে তিনি তার তীরের ফলা দ্বারা আত্মহত্যা করেন। নবী [সাঃআঃ] তার জানাজার নামাজ পড়েননি। রাবি বলেন, তা ছিল তাহাঁর পক্ষ থেকে শিক্ষণীয় [শাস্তিস্বরূপ]। {১৫২৫}
{১৫২৫} মুসলিম ৯৭৮, তিরমিজি ১০৬৮, নাসায়ি ১৯৬৪, আহমাদ ২০২৯২, ২০৩৩৭, ২০৩৭০, ২০৩৯৮, ২০৪০৪, ২০৪৭০, ২০৫২৫ ইরওয়াহ ৩/১৮৪ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/৩২. অধ্যায়ঃ দাফনের পর জানাজার নামাজ পড়া।
১৫২৭. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক কৃষ্ণকায় নারী মসজিদে নববীতে ঝাড়ু দিত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে দেখিতে না পেয়ে কয়েকদিন পর তিনি তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তাঁকে জানানো হল যে, সে মারা গেছে। তিনি বলিলেন, তোমরা কেন আমাকে অবহিত করোনি? অতঃপর তিনি তার কবরের পাশে আসেন এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করেন। {১৫২৬}
{১৫২৬} সহীহুল বোখারি ৪৫৮, ৪৬০, ১৩৩৭, মুসলিম ৯৫৬, আবু দাউদ ৩২০৩, আহমাদ ৮৪২০ ইরওয়াহ ৩/১৮৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ.হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৫২৮. ইয়াযীদ বিন সাবিত [রাঃআঃ] [তিনি যায়দ [রাঃআঃ] এর বড় ভাই] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নবী [সাঃআঃ] এর সাথে বের হলাম। তিনি বাকী গোরস্থানে পৌঁছে একটি নতুন কবর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তারা বলে, অমুক মহিলার কবর। রাবি বলে, তিনি তাঁকে চিনতে পেরে বলেন, তোমরা কেন আমাকে তার সম্পর্কে জানালে না? তারা বলিলেন, আপনি রোযা অবস্থায় দুপুরের বিশ্রাম করছিলেন। তাই আমরা আপনাকে কষ্ট দেয়া পছন্দ করিনি। তিনি বলেন, তোমরা এরূপ করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে এবং আমি তোমাদের মাঝে উপস্থিত থাকলে তোমরা অবশ্যই আমাকে তার সম্পর্কে জানাবে। কেননা তার জন্য আমার নামাজ তার রহমত লাভের উপায় হইবে। অতঃপর তিনি কবরের নিকট আসলেন, এবং আমরা তাহাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম। তিনি চার তাকবীরে তাহাঁর জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫২৭}
{১৫২৭} নাসাঈ ২০২২ ইরওয়াহ ৩/১৮৪-১৮৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫২৯. আমির বিন রাবিআহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক কৃষ্ণকায় মহিলা মারা গেল। নবী [সাঃআঃ]-কে অবহিত করা হয়নি। পরে তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, তোমরা কেন আমাকে তাহাঁর সম্পর্কে অবহিত করলে না? অতঃপর তিনি তাহাঁর সাহাবীগণকে বলেন, তোমরা তার [নামাজের জন্য] কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াও। তারপর তিনি তার জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫২৮}
{১৫২৮} ইরওয়াহ ৩/১৮৫। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
১৫৩০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখিতে যেতেন। সে মারা গেলে লোকেরা তাকে রাতে দাফন করে। সকাল বেলা তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি বলেনঃ আমাকে তা জানাতে কিসে তোমাদের বাধা দিল? তারা বলল, গভীর অন্ধকার রাত ছিল বিধায় আমরা আপনাকে কষ্ট দেয়া সমীচীন মনে করিনি। তিনি তার কবরের নিকট এসে জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫২৯}
{১৫২৯} সহীহুল বোখারি ৮৫৭, ১২৪৭, ১৩১৯, ১৩২১, ১৩২২, ১৩২৬, ১৩৩৬, ১৩৪০, মুসলিম ৯৫৪ তিরমিজি ১০৩৭, নাসায়ি ২০২৩, ২০২৪, আবু দাউদ ৩১৯৬, আহমাদ ৩১২৪ ইরওয়াহ ২/৭৩৫, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৩১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তিকে দাফন করার পর নবী [সাঃআঃ] তার জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫৩০}
{১৫৩০} মুসলিম ৯৫৫, আহমাদ ১১৯০৯, ১২১০৮ ইরওয়াহ ৩/১৮৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৩২. বুরায়দাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫৩১}
{১৫৩১} ইরওয়াহ ৩/১৮৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ সম্পর্কে সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার হাদিসে অধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনি খিরাশ তাকে মিথ্যুক বলেছে। ২. মিহরান বিন আবু উমার সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সুফইয়ানের হাদিস অধিক ভুল করিয়াছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৩৩. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক কৃষ্ণকায় মহিলা মসজিদে নববীতে ঝাড়ু দিত। সে রাতের বেলা মারা গেল [এবং রাতেই দাফন করা হল] এবং ভোরবেলা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হল। তিনি বলেন, তোমরা কেন আমাকে তার সম্পর্কে জানাওনি? অতঃপর তিনি তার সাহাবীগণকে নিয়ে রওয়ানা হলেন এবং তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাকবীর দিয়ে নামাজ পড়েন এবং তার জন্য দুআ করেন। লোকেরাও তাহাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে [সলাতে অংশগ্রহণ করেন]। অতঃপর তিনি ফিরে আসেন। {১৫৩২}
{১৫৩২} তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/৩৩. অধ্যায়ঃ নাজ্জাশীর জানাজার নামাজ সম্পর্কে।
১৫৩৪. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাজ্জাশী ইন্তিকাল করিয়াছেন। অতএব রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে জান্নাতুল বাকীর উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। আমরা তাহাঁর পিছনে কাতারবন্দী হলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সামনে অগ্রসর হয়ে চার তাকবীরের সাথে জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫৩৩}
{১৫৩৩} সহীহুল বোখারি ১২৪৫, ১৩১৮, ১৩২৮, ১৩৩৩, ৩৮৮০, ৩৮৮১, মুসলিম ৯৫১, তিরমিজি ১০২২, নাসায়ি ১৮৭৯, ১৯৭১, ১৯৭২, ১৯৮০, ২০৪১, ২০৪২, আবু দাউদ ৩২০৪, আহমাদ ৭৭১৯, ৯৩৬৩, ৯৩৭১, ১০৪৭১, মুয়াত্তা মালেক ৫৩০, ইরওয়াহ ৭২৯, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৩৫. ইমরান ইবনিল হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের ভাই নাজ্জাশী ইনতিকাল করিয়াছেন। অতএব, তোমরা তার জানাজার নামাজ পড়ো। রাবী বলেন, নবী [সাঃআঃ] দাঁড়ালেন এবং আমরা তাহাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে জানাজার নামাজ পড়লাম। অবশ্য আমি ছিলাম দ্বিতীয় কাতারে। তিনি [মোক্তাদীদের] দু কাতারে সারিবদ্ধ করে তার জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫৩৪}
{১৫৩৪} মুসলিম ৯৫৩, তিরমিজি ১০৩৯, আহমাদ ১৯৩৮৯, ১৯৪৩৯, ১৯৪৬১, ১৯৫০৩ ইরওয়াহ ৩/১৭৬, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৩৬. মুজাম্মি বিন জারিয়াহ আল আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের ভাই নাজ্জাশী ইনতিকাল করিয়াছেন। তোমরা দাঁড়িয়ে তার জানাজার নামাজ পড়ো। অতএব, আমরা তাহাঁর পিছনে দু কাতারে সারিবদ্ধ হলাম। {১৫৩৫}
{১৫৩৫} ইরওয়াহ ২/১৭৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি হুমরান বিন আইয়ান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি রাফিজী মতাবলম্বী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৩৭. হুযাইফাহ বিন উসাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাহাদেরকে সাথে নিয়ে বের হয়ে বলেন, অন্য দেশে মৃত্যুবরণকারী তোমাদের এক ভাইয়ের জানাজার নামাজ পড়ো। তারা বলে, তিনি কে? তিনি বলেন, নাজ্জাশী। {১৫৩৬}
{১৫৩৬} আহমাদ ১৫৭১২ তাহকিক আলবানিঃ সহীহ্।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৩৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চার তাকবীরে নাজ্জাশীর জানাজার নামাজ পড়েন। {১৫৩৭}
{১৫৩৭} ইরওয়াহ ৩/১৭৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/৩৪. অধ্যায়ঃ জানাজায় অংশগ্রহণকারীর এবং তার দাফনের জন্য অপেক্ষমান ব্যক্তির সওয়াব।
১৫৩৯. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ পড়ল, তার জন্য এক কীরাত সওয়াব। আর যে ব্যক্তি দাফনকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করল, তার জন্য দু কীরাত সওয়াব। লোকেরা বলল, দু কীরাত? তিনি বলেন, দুটি পাহাড়ের সমান। {১৫৩৮}
{১৫৩৮} সহীহুল বোখারি ৪৭ মুসলিম ৯৪৫, তিরমিজি ১০৪০, আবু দাউদ ৩১৬৮, আহমাদ ৮০৬৬, ৯২৬৬, ৯৭২৯, ১০০১৮, ১০০৯০, ১০৪৯৪ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৪০. সাওবান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ পড়ল, তার জন্য এক কীরাত সওয়াব। আর যে ব্যক্তি দাফনেও অংশগ্রহন করল, তার জন্য দু কীরাত সওয়াব। রাবী বলেন, নবী [সাঃআঃ]-কে এর কীরাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তা উহুদ পাহাড় সমতুল্য। {১৫৩৯}
{১৫৩৯} মুসলিম ৯৪৬, আহমাদ ২১৮৭১, ২১৮৭৯, ২১৯২৯, ২১৯৩৫, ২১৯৪৮ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৪১. উবাই বিন কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ পড়ল, তার জন্য এক কীরাত সওয়াব এবং সে যে ব্যক্তি দাফনের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকল, তার জন্য দু কীরাত সওয়াব। সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! একটি কীরাত এই উহুদ পাহাড়ের চেয়েও বিশাল। {১৫৪০}
{১৫৪০} আহমাদ ২০৬৯৬, তালীকুর রগীব ৪/১৭২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি হাজ্জাজ বিন আরতাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন, তিনি আমর থেকে হাদিস তাদলীস করিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় দুর্বলদের থেকে তাদলীস করেন। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, আমি তাকে ইচ্ছা করেই বর্জন করেছি। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। জানাজার নামাজের দোয়া হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬/৩৫. অধ্যায়ঃ লাশ বয়ে নিয়ে যেতে দেখে দাঁড়ানো।
১৫৪২. আমির বিন রবীআহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, তোমরা যখন লাশ বয়ে নিয়ে যেতে দেখো, তখন তার জন্য দাঁড়াও, যাবত না তা তোমাদেরকে পেছনে ফেলে যায় অথবা লাশ নামিয়ে রাখা হয়। {১৫৪১}
{১৫৪১} সহীহুল বোখারি ১৩০৭, ১৩০৮, মুসলিম ৯৫৮, তিরমিজি ১০৪২, নাসায়ি ১৯১৫, ১৯১৬, আবু দাউদ ৩১৭২, আহমাদ ১৫২৬০, ১৫২৭২, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৪৩. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] এর সামনে দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হলে তিনি দাঁড়ান এবং বলেন, তোমরা দাঁড়িয়ে যাও। কেননা মৃত্যুর কারণে ভীত হওয়া উচিৎ। {১৫৪২}
{১৫৪২} আহমাদ ৭৮০০ সহিহা ২০১৭, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৪৪. আলী বিন আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি লাশ বয়ে নিয়ে যেতে দেখে দাঁড়ালে আমরাও দাঁড়ালাম। অতঃপর তিনি বসলে আমরাও বসে পড়ি। {১৫৪৩}
{১৫৪৩} মুসলিম ৯৬২, তিরমিজি ১০৪৪, নাসায়ি ১৯২৩, ১৯৯৯, ২০০০, আবু দাউদ ৩১৭৫, আহমাদ ৬২৪, ১০৯৭, ১১৭১, মুয়াত্তা মালেক ৫৪৯ ইরওয়াহ ৭৪১, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫৪৫. উবাদা ইবনিস-সামিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লাশের সাথে গেলে লাশ কবরে না রাখা পর্যন্ত বসতেন না। জনৈক ইহুদী পন্ডিত তাহাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, হে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]! আমরাও তাই করি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তৎক্ষণাৎ বসে পড়েন, এবং বলেন, তোমরা তাহাদের বিপরীত করো। {১৫৪৪}
{১৫৪৪} তিরমিজি ১০২০, আবু দাউদ ৩১৭৬ মিশকাত ১৬৮১, ইরওয়াহ ৩/১৯৩। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি ১. বিশর বিন রাফি সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি মুনকার ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ২. আবদুল্লাহ বিন সুলায়মান বিন জুনাদাহ বিন আবু উমায়্যাহ সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে সুতরাং তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আল উকায়লী তাকে তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনি আদী বলেন, হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি কে? তা অজ্ঞাত। ৩. সুলামায়মান বিন জুনাদাহ বিন আবু উমায়্যাহ সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তিনি মুনকার তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
Leave a Reply