রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া ও এর বর্ণনা
রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া ও এর বর্ণনা >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬, অধ্যায়ঃ (১-৫)=৫টি
৬/১. অধ্যায়ঃ রোগীকে দেখিতে যাওয়া
৬/২. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি রোগীকে দেখিতে যায় তার সওয়াব।
৬/৩. অধ্যায়ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া।
৬/৪. অধ্যায়ঃ রোগীর নিকট উপস্থিত হয়ে যে দুআ পড়তে হয়।
৬/৫. অধ্যায়ঃ মুমিন ব্যক্তিকে মৃত্যুযন্ত্রনার কারণে প্রতিদান দেয়া হইবে।
৬/১. অধ্যায়ঃ রোগীকে দেখিতে যাওয়া
১৪৩৩. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছেঃ সে তার সাথে সাক্ষাতকালে তাকে সালাম দিবে, সে দাওয়াত দিলে তার দাওয়াত কবুল করিবে, সে হাঁচি দিলে তার জবাব দিবে, সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখিতে যাবে, সে মারা গেলে তার জানাজায় অংশগ্রহন করিবে এবং সে নিজের জন্য যা পছন্দ করিবে, তার জন্যও তা পছন্দ করিবে। {১৪৩৩}
তাহকিক আলবানিঃ [আরবি] কথাটি অতিরিক্ত হওয়ায় দঈফ, তবে উক্ত বাক্যগুলো অন্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।{১৪৩৩} وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ কথাটি অতিরিক্ত হওয়ায় যইফ, তবে উক্ত বাক্যগুলো অন্য হাদিস দ্বারা প্রমানিত। উক্ত হাদিসের রাবি হারিস [বিন আবদুল্লাহ] সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১৪৩৪. আবু মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের চারটি অধিকার আছেঃ সে হাঁচি দিলে তার জবাব দিবে, সে তাকে দাওয়াত দিলে তা কবুল করিবে, সে মারা গেলে তার জানাজায় উপস্থিত হইবে এবং সে অসুস্থ হলে তাকে দেখিতে যাবে। {১৪৩৪}
{১৪৩৪} আহমাদ ২১৮৩৭ সহিহা ২১৫৪, ১৮৩২ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৩৫. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের পাঁচটি অধিকার আছেঃ সালামের জবাব দেয়া, দাওয়াত কবুল করা, জানাজায় উপস্থিত হওয়া, রোগীকে দেখিতে যাওয়া এবং হাঁচিদাতা আলহামদু লিল্লাহ বললে তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা। {১৪৩৫}
{১৪৩৫} সহীহুল বোখারি ১২৪০, মুসলিম ২১৬২, নাসায়ি ৫০৩০ আহমাদ ২৭৫১১ সহিহা ১৮৩২, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৩৬. জাবির বিন আবদুল্লাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও আবু বকর [রাঃআঃ] পদব্রজে আমাকে দেখিতে আসেন। তখন আমি বনু সালিমায় অবস্থান করছিলাম। {১৪৩৬}
{১৪৩৬} সহীহুল বোখারি ১৯৪, ৪৫৭৭, ৫৬৫১, ৫৬৬৪, ৫৬৭৬ ৬৭২৩, ৬৭৫৩, ৭৩০৯, মুসলিম ১৬১৬, তিরমিজি ২০৯৬, ২০৯৭, ৩০১৫, আবু দাউদ ২৮৮৬, ২৮৮৭, ৩০৯৬, দারেমী ৭৩৩, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৩৭. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তিন দিন পর রোগীকে দেখিতে যেতেন। {১৪৩৭}
তাহকিক আলবানিঃ বানোয়াট।{১৪৩৭}যঈফাহ ১৪৫, মিশকাত ১৫৮৭। তাহকিক আলবানিঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবি মাসলসামাহ বিন আলী সম্পর্কে ইমাম বোখারি ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ নন আবার দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্তও নন।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ জাল হাদিস
১৪৩৮. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বলেছেনঃ তোমরা রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখিতে গেলে তার দীর্ঘায়ু কামনা করিবে। যদিও তা কিছুই প্রতিরোধ করিতে পারে না, তবুও তা রোগীর অন্তরে আনন্দের উদ্রেক করে। {১৪৩৮}
{১৪৩৮} তিরমিজি ২০৮৭ মাজাহ ১৪৩৭ মিশকাত ১৫৭২, যঈফাহ ১৮২। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি মুসা বিন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আত-তায়মীকে আহমাদ বিন হাম্বল দুর্বল বলেছেন। ইমাম বোখারি বলেছেন, তার হাদিস মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে মুনকারুল হাদিস বলেছেন।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৩৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] এক রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখিতে গিয়ে বলেন, তুমি কী চাও? সে বললো, আমি গমের রুটি খেতে চাই। নবী [সাঃআঃ] বলেন, কারো কাছে গমের রুটি থাকলে সে যেন তা তার ভাইয়ের জন্য পাঠায়। অতঃপর নবী [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কারো রোগী কিছু খেতে আকাঙক্ষা করিবে সে তাকে যেন তা খাওয়ায়। {১৪৩৯}
{১৪৩৯} এ হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। মিশকাত ১৫৭২। যইফাহ ১৮২। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। সফওয়ান বিন হুবায়রাহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি একজন শায়খ। ইবনি হিব্বান তাকে শক্তিশালী বলেছেন।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৪০. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] এক রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখিতে তার নিকট উপস্থিত হন। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কি কিছু খেতে আগ্রহী? তুমি কি কাকা [পারস্য দেশীয় রুটি] খেতে আগ্রহী? সে বললো, হ্যাঁ। অতএব তারা তার জন্য খুঁজে আনে। দঈফ। {১৪৪০}
{১৪৪০} এ হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। মিশকাত ১৫৯২ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি সুফইয়ান বিন ওয়াকী সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে অনেক সমালোচনা রয়েছে। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইয়াযীদ [বিন আবান] আর-রিকশী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনার চেয়ে রাস্তা কেটে বসে যাওয়া আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আমর ইবনিল ফাল্লাস বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৪১. উমার ইবনিল খাত্তাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] আমাকে বললেনঃ তুমি কোন রোগীকে দেখিতে গেলে তাকে তোমার জন্য দুআ করিতে বলো। কেননা তার দুআ ফেরেশতাহাদের দুআর মত। {১৪৪১}
{১৪৪১} এ হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। মিশকাত ১৪৮৮, যঈফাহ ১০০৩। তাহকিক আলবানিঃ নিতান্ত জইফ।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
১৪৪২. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ কোন ব্যক্তি তার রুগ্ন মুসলমান ভাইকে দেখিতে গেলে সে না বসা পর্যন্ত জান্নাতের খেজুর আহরণ করিতে থাকে। অতঃপর সে বসলে রহমত তাকে ঢেকে ফেলে। সে ভোরবেলা তাকে দেখিতে গেলে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দুআ করিতে থাকে। সে সন্ধ্যাবেলা তাকে দেখিতে গেলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য দুআ করিতে থাকে। {১৪৪২}
৬/২. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি রোগীকে দেখিতে যায় তার সওয়াব।
{১৪৪২} আবু দাউদ ৩০৯৮, আহমাদ ৭৫৬, সহিহ, সহিহা ১৩৬৭। তাহকিক আলবানিঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবি হাকামকে ইবনি হিব্বান তার সিকাত গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছেন। তবে তিই বলেন যে, হাকাম তাদলীস করিতেন।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৪৩. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি রোগীকে দেখিতে গেলে আকাশ থেকে একজন আহবানকারী তাকে ডেকে বলেন, তুমি উত্তম কাজ করেছো, তোমার পথ চলা কল্যাণময় হোক এবং তুমি জান্নাতে একটি বাসস্থান নির্ধারণ করে নিলে। {১৪৪৩}
{১৪৪৩} তিরমিজি ২০০৮ মিশকাত দ্বিতীয় তাহকীক, ১৫৭৫, ৫-১৫। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি আবু সিনান আল কাসমালী সম্পর্কে ইবনি খাররাশ বলেন, সে সত্যবাদী। ইবনি হিব্বান তাকে শক্তিশালী বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দইফুল হাদিস বলে মন্তব্য করিয়াছেন।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৬/৩. অধ্যায়ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া।
১৪৪৪. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের “লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দাও। {১৪৪৪}
{১৪৪৪} মুসলিম ৯১৭ ইরওয়াহ ৩/১৪৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৪৫. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু”-এর তালকীন দাও। {১৪৪৫}
{১৪৪৫}মুসলিম ৯১৬, তিরমিজি ৯৭৬ নাসায়ি ১৮২৬, আবু দাউদ ৩১১৭, আহমাদ ১০৬১০, ইরওয়াহ ৬৮৬, তাহকিক আলবানিঃ সহিহজানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৪৬. আবদুল্লাহ বিন জাফার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালীমুল কারীম, সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম, আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন”
-এর তালকীন দাও। তারা বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! জীবিত [সুস্থ] ব্যক্তিদের বেলায় এ দুআ কেমন হইবে? তিনি বললেনঃ অধিক উত্তম, অধিক উত্তম। {১৪৪৬}
{১৪৪৬} মিশকাত ১৬২৬, যঈফাহ ৪৩১৭, কিন্তু মুমূর্ষু ব্যক্তিদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু তালকীন দাও এ বাক্য সহিহ। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ইসহাক বিন আবদুল্লাহ বিন জাফার সম্পর্কে মুহাদ্দিসগন বলেন, তিনি অপরিচিত।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/৪. অধ্যায়ঃ রোগীর নিকট উপস্থিত হয়ে যে দুআ পড়তে হয়।
১৪৪৭. উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা রোগী কিংবা মৃতের নিকট উপস্থিত হলে [তার সম্পর্কে] ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার উপর আমীন বলবেন। আবু সালামাহ [রাঃআঃ] ইনতিকাল করলে, আমি নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আবু সালামাহ ইন্তিকাল করিয়াছেন। তিনি বলেন, তুমি বলো,
আর-বি
“হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।”
রাবি বলেন, আমি তাই করলাম। আল্লাহ্ আমাকে তার চাইতেও উত্তম বিনিময় মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে দান করিয়াছেন। {১৪৪৭}
{১৪৪৭} মুসলিম ৯১৮, ৯১৯, ৯২০, তিরমিজি ৯৭৭, নাসায়ি ১৮২৫, আবু দাউদ ৩১১৯, ৩১১৫, আহমাদ ২৫৯৫৮, ২৬০৬৮, ২৬০৯৫, ২৬১২৯, ২৬১৫৭, মুয়াত্তা মালেক ৫৫৮, তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৪৮. মাকিল বিন ইয়াসার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃতদের কাছে সূরা ইয়াসিন পড়ো। {১৪৪৮}
{১৪৪৮} আবু দাউদ ৩১২১, আহমাদ ১৯৭৮৯, ১৯৮০৩, মিশকাত ১৬২২, হরওয়া ৬৮৮, যঈফাহ ৫৮৬১। তাহকিক আলবানিঃ জইফ জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৪৯. আবদুর রহমান হইতে বর্ণিতঃ
কাব [রাঃআঃ]-এর মৃত্যু ঘনিয়ে এলে তার নিকট উম্মু বিশর বিনতুল বারা বিন মারূর [রাঃআঃ] এসে বলেন, হে আবু আবদুর রহমান! তুমি অমুকের সাক্ষাত পেলে আমার পক্ষ থেকে তাকে সালাম পৌঁছাবে। তিনি বলেন, হে উম্ম বিশর! আল্লাহ্ তোমাকে ক্ষমা করুন। আমি এখন তার চেয়ে জরুরী কাজে ব্যস্ত আছি। তিনি বলেন, হে আবু আবদুর রহমান! তুমি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনোনিঃ মুমিন ব্যক্তির আত্মা সবুজ পাখির মতো অবস্থান করে জান্নাতের গাছের সাথে ঝুলে থাকে? তিনি বলেন, হাঁ। উম্ম বিশ [রাঃআঃ] বলেন, প্রকৃত কথা এটাই। {১৪৪৯}
{১৪৪৯} তিরমিজি ১৬৪১, নাসায়ি ২০৭৩, আহমাদ ১৫৩৪৯, ১৫৩৬০, ১৫৩৬৫, ২৬৬২৫, মুয়াত্তা মালেক ৫৬৬, মিশকাত ১৬৩১। তাহকিক আলবানিঃ জইফ।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৫০. মুহাম্মাদ ইবনিল মুনকাদির হইতে বর্ণিতঃ
আমি মুমূর্ষু জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সালাম পৌঁছে দিবেন। {১৪৫০}
{১৪৫০} আহমাদ ১১২৬৩, ১৮৯৮৮, মিশকাত ১৬৩৩। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আহমাদ বিন আযহার সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তার সিকাত গ্রন্থে বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।জানাজার নামাজ রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬/৫. অধ্যায়ঃ মুমিন ব্যক্তিকে মৃত্যুযন্ত্রনার কারণে প্রতিদান দেয়া হইবে।
১৪৫১. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার নিকট উপস্থিত হন। তখন তার নিকট তার এক প্রতিবেশী মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। নবী [সাঃআঃ] তাকে চিন্তিত দেখে বলেন, তোমার প্রতিবেশির কারণে তুমি চিন্তিত হয়ো না। কেননা এটা সৎকর্মসমূহের অন্তর্ভুক্ত। {১৪৫১}
{১৪৫১} যঈফাহ ৪৭৭২। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। মুহাদ্দিসগন বলেন, উক্ত হাদিসের রারী ওয়ালীদ বিন মুসলিম সিকাহ তবে তিনি বেশী বেশী তাদলীস করেন।রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৪৫২. বুরায়দাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, কপালের ঘামসহ মুমিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। {১৪৫২}
{১৪৫২} তিরমিজি ৯৮২, নাসায়ি ১৮২৮, আহমাদ ২২৫১৩, মিশকাত ১৬১০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহরোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪৫৩. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, বান্দার পরিচয় মানুষ থেকে কখন ছিন্ন হয়ে যায়? তিনি বলেন, যখন সে [মৃত্যুর ফেরেশতা ও বারযাখ] দেখিতে পায়। {১৪৫৩}
{১৪৫৩} তাহকিক আলবানিঃ নিতান্ত জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি মুসা বিন কারদাম সম্পর্কে ইমাম আযদী বলেন, লায়সা বি যাকা [সে কিছুই নয়] ইমাম যাহাবী বলেন, তাকে মাজহুল বা অপরিচিত বলা হয়েছে।রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও দোয়া – হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
Leave a Reply