মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম

মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম

মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৫, অধ্যায়ঃ (১৯৪-২০৫)=১২টি

৫/১৯৪. অধ্যায়ঃ পাঁচ ওয়াক্‌তের ফরয নামাজ ও তার হিফাযাত করা।
৫/১৯৫. অধ্যায়ঃ মাসজিদুল হারাম আর মাসজিদে নাববীতে নামাজ পড়ার ফাযীলাত।
৫/১৯৬. অধ্যায়ঃ বাইতুল মাকদিস মাসজিদে নামাজ পড়ার ফাযীলাত।
৫/১৯৭. অধ্যায়ঃ কুবা মাসজিদে নামাজ পড়ার ফাযীলাত।
৫/১৯৮. অধ্যায়ঃ জামে মাসজিদে নামাজ পড়ার ফাদীলাত।
৫/১৯৯. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মিম্বারের সূচনা।
৫/২০০.অধ্যায়ঃ [নফল] নামাজসমূহে দীর্ঘ কিয়াম করা।
৫/২০১. অধ্যায়ঃ অধিক সাজদাহ সম্পর্কে।
৫/২০২. অধ্যায়ঃ সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেয়া হইবে।
৫/২০৩. অধ্যায়ঃ ফরয নামাজের স্থানে দাঁড়িয়ে নফল নামাজ পড়া সম্পর্কে।
৫/২০৪. অধ্যায়ঃ মাসজিদে নামাজ পড়ার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়া।
৫/২০৫. অধ্যায়ঃ তুমি নামাজ পড়ার সময় জুতা খুললে তা কোথায় রাখবে?

৫/১৯৪. অধ্যায়ঃ পাঁচ ওয়াক্‌তের ফরয নামাজ ও তার হিফাযাত করা।

১৩৯৯. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহ আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করেছিলেন। আমি তা নিয়ে ফেরার পথে মূসা [আঃ]-এর নিকট আসলাম। তখন মূসা [আঃ] বলেন, আপনার প্রভু আপনার উম্মাতের জন্য কি ফরয করিয়াছেন? আমি বললামঃ তিনি আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করিয়াছেন। তিনি বলেন, আপনি আপনার প্রভুর নিকট ফিরে যান। কেননা আপনার উম্মাত তা পড়তে সক্ষম হইবে না। অতএব আমি আমার প্রভুর নিকট ফিরে গেলে তিনি তার অর্ধেক কমিয়ে দেন। অতঃপর আমি মূসা [আঃ] এর নিকট ফিরে এসে তাঁকে তা অবহিত করলাম। তিনি বলেন, আপনি আপনার প্রভুর কাছে ফিরে যান। কেননা আপনার উম্মাত তা পড়তে সক্ষম হইবে না। আমি আমার প্রভুর নিকট ফিরে গেলাম। তিনি বললেনঃ তা পাঁচ ওয়াক্ত, পঞ্চাশের সমান। আর আমার কথা কখনো পরিবর্তন হয় না। তারপর আমি মূসা [আঃ] এর নিকট ফিরে আসলে তিনি আবার বলেন, আপনি আপনার প্রভুর নিকট ফিরে যান। আমি বললাম, আমি আমার প্রভুর নিকট পুনরায় ফিরে যেতে লজ্জাবোধ করছি। {১৩৯৯}

{১৩৯৯} তিরমিজি ২১৩, নাসায়ি ৪৪৯-৫০, আহমাদ ১২২৩০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪০০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তোমাদের নবী [সাঃআঃ]-কে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এরপর তোমাদের রব তা পাঁচ ওয়াক্‌তে পরিণত করেন। {১৪০০}

{১৪০০} আহমাদ ২৮৮৪ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন উসম আবু উলওয়ান সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে তিনি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি

১৪০১. উবাদাহ ইবনিস-সামিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি ঃ আল্লাহ তাআলা তাহাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করিয়াছেন। যে ব্যক্তি নামাজের কোন হক নষ্ট না করে তা যথাযতভাবে আদায় করিবে, নিশ্চয় আল্লাহ্‌র নিকট কিয়ামাতের দিন তার জন্য এই প্রতিশ্রুতি আছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি নামাজের হক নষ্ট করিবে এবং যথাযতভাবে নামাজ পড়বে না, তার জন্য আল্লাহ্‌র কাছে কোন অঙ্গীকার নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন, অন্যথায় মাফ করবেন। {১৪০১}

{১৪০১} নাসায়ি ৪৬১, আবু দাউদ ৪২৫, ১৪২০; আহমাদ ২২১৮৫, ২২১৯৬, ২২২৪৬, ২৭৭৪০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৭০, দারিমি ১৫৭৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৪৫১, ১২৭৬, মিশকাত ৫৭০।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪০২. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

একদা আমরা মাসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি উঠের পিঠে আরোহিত অবস্থায় এসে তার উটটিকে মাসজিদের নিকট বসিয়ে সেটিকে বাঁধলো, অতঃপর জিজ্ঞেস করলো, তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] কে? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের সামনেই হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। রাবি বলেন, তারা বলিলেন, হেলান দিয়ে বসা এই সুন্দর ব্যক্তি। লোকটি তাঁকে বললো, হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধর! নবী [সাঃআঃ] তাকে বলেন, আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। লোকটি তাঁকে বললো, হে মুহাম্মাদ! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং আমার প্রশ্নগুলো আপনার জন্য হইবে কঠোর। এতে আপনি কিছু মনে করবেন না। তিনি বলেন, তোমার ইচ্ছামত প্রশ্ন করো। লোকটি তাঁকে বললো, আমি আপনাকে আপনার প্রভুর এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর শপথ দিচ্ছি, আল্লাহ কি আপনাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট প্রেরণ করিয়াছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে দিন-রাত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে বছরের এই মাসে সওম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে আমাদের ধনাঢ্যদের নিকট থেকে যাকাত আদায় করে তা আমাদের গরীবদের মধ্যে বিত্‌রণের নির্দেশ দিয়েছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ইয়া আল্লাহ! হাঁ। লোকটি বললো, আপনি যা নিয়ে এসেছেন আমি তার উপর ঈমান আনলাম। আর আমার সম্প্রদায়ের যেসব লোক আমার পেছনে রয়েছে, আমি তাহাদের প্রতিনিধি এবং আমি হলাম সাদ বিন বাক্‌র গোত্রের সদস্য দিমাম বিন সালাবাহ। {১৪০২}

{১৪০২} বোখারি ৬৩, মুসলিম ১২, তিরমিজি ৬১৯, নাসায়ি ২০৯১-৯৩, আবু দাউদ ৪৮৬, আহমাদ ১২৩০৮, দারিমি ৬৫০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৫০৪। মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪০৩. সাঈদ ইবনিল মুসাইয়্যাব হইতে বর্ণিতঃ

কাতাদাহ বিন রিবঈ [রাঃআঃ] তাকে অবহিত করেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, মহামহিম আল্লাহ বলেছেন, আমি আপনার উম্মাতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করেছি এবং আমি আমার নিকট এ অঙ্গীকার করছি যে, যে ব্যক্তি যথাযতভাবে ওয়াক্তমত এসব নামাজের হেফাজত করিবে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। আর যে ব্যক্তি তা যথাযতভাবে হেফাজত করিবে না, তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোন অঙ্গীকার নাই। {১৪০৩}

{১৪০৩} আবু দাউদ ৪৩০ তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৪০৪৫ জইফ, সহীহা ৪০৩৩ সহিহ, সহিহ আবু দাউদ ৪৫৫। উক্ত হাদিসের রাবি ১. বাকিয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবি থেকে হাদিস বর্ণনা করেন, তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গণ্য করা হইবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারানা শব্দদ্বয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন, তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গণ্য হইবেন। ২. দুররাহ বিন আবদুল্লাহ বিন আবুস সুলায়ক সম্পর্কে ইবনি আদী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনিল কাত্তান বলেন, তিনি অপরিচিত।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫/১৯৫. অধ্যায়ঃ মাসজিদুল হারাম আর মাসজিদে নাববীতে নামাজ পড়ার ফাযীলাত।

১৪০৪. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, মাসজিদুল হারাম ব্যতীত, অন্যান্য মাসজিদে পড়া নামাজের তুলনায় আমার এ মাসজিদে পড়া নামাজ হাজার গুন শ্রেষ্ঠ।

১/১৪০৪ [১]. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ]। {১৪০৪}

{১৪০৪} বোখারি ১১৯০, মুসলিম ১৩৯১-৪, তিরমিজি ৩২৫, নাসায়ি ৬৯৪, ২৮৯৯; আহমাদ ৭২১২, ৭৩৬৭, ৭৪৩২, ৭৬৭৬, ৭৬৮১, ৭৮৮৫, ৯৬৮০, ৯৭০১, ৯৭৬২, ৯৯০৫, ৯৯২৬, ১০০৯৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৬১, দারিমি ১৪১৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৯৭১। মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪০৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, অন্যান্য মাসজিদে পড়া নামাজ অপেক্ষা আমার এ মাসজিদে পড়া নামাজ হাজার গুন উত্তম [ফাযীলাতপূর্ণ] মাসজিদুল হারাম ব্যতীত। {১৪০৫}

{১৪০৫} মুসলিম ১৩৯৫, নাসায়ি ২৮৯৭, আহমাদ ৪৬৩২, ৪৮২৩, ৫১৩১, ৫৩৩৫, ৬৪০০; দারিমি ১৪১৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ১৪৪। মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪০৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অপরাপর মাসজিদের নামাজ অপেক্ষা আমার মাসজিদের নামাজ হাজার গুন শ্রেষ্ঠ [ফাদীলাতপূর্ণ]। অন্যান্য মাসজিদের নামাজের তুলনায় মাসজিদুল হারামের নামাজ এক লক্ষ গুণ উত্তম [ফাদীলাতপূর্ণ]। {১৪০৬}

{১৪০৬} আহমাদ ১৪২৮৪, ১৪৮৪৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়া ১৪৬, ১১২৯।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস।

৫/১৯৬. অধ্যায়ঃ বাইতুল মাকদিস মাসজিদে নামাজ পড়ার ফাযীলাত।

১৪০৭. নবী [সাঃআঃ]-এর মুক্তদাসী মায়মূনাহ [বিনতু সাদ] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! বাইতুল মাকদিস সম্পর্কে আমাকে ফাতওয়া দিন। তিনি বলেন, এটা হাশরের মাঠ এবং সকলের একত্র হওয়ার ময়দান। তোমরা তাতে নামাজ পড়ো। কেননা সেখানে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া অন্যান্য স্থানের তুলনায় এক হাজার গুণ উত্তম। আমি বললাম, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি সেখানে যেতে সমর্থ না হই? তিনি বলেন, তুমি তাতে বাতি জ্বালানোর জন্য যায়তুন তৈল হাদিয়া পাঠাও। যে ব্যক্তি তা করলো, সে যেন সেখানে উপস্থিত হলো। {১৪০৭}

তাহকীক আলবানি ঃ মুনকার।আবু দাউদ ৪৫৭, আহমাদ ২৭০৭৯। তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। তাখরিজ আলবানিঃ জইফ আবু দাউদ ৬৮। উক্ত হাদিসের রাবি উসমান বিন আবু সাওদাহ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও ইবনিল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।/9হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

১৪০৮. আবদুল্লাহ বিন আম্‌র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, সুলায়মান বিন দাউদ [আঃ] বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ কাজ শেষ করে আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয় প্রার্থনা করেন, আল্লাহ্‌র হুকুমমত সুবিচার, এমন রাজত্ব যা তার পরে আর কাউকে দেয়া হইবে না এবং যে ব্যক্তি বাইতুল মাকদিসে কেবলমাত্র নামাজ পড়ার জন্য আসবে, তার গুনাহ যেন তার থেকে বের হয়ে যায় তার মা তাকে প্রসব করার দিনের মত। এরপর নবী [সাঃআঃ] বলেন, প্রথম দুটি তাঁকে দান করা হয়েছে, এবং আমি আশা করি তৃতীয়টিও তাঁকে দান করা হইবে। {১৪০৮}

{১৪০৮} নাসায়ি ৬৯৩, আহমাদ ২৭৭৬২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ তালীকুর রগীব ১৩৭। মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪০৯. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, [আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে] তিনটি মাসজিদ ব্যতীত আর কোথাও সফর করা যাবে না ঃ মাসজিদুল হারাম, আমার এই মাসজিদ এবং মাসজিদুল আক্‌সা। {১৪০৯}

{১৪০৯} বোখারি ১১৮৯, মুসলিম ১৩৯১-২, নাসায়ি ৭০০, আবু দাউদ ২০৩৩, আহমাদ ৭১৫১, ৭২০৮, ৭৬৭৮, ১০১২৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৩, দারিমি ১৪২১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৭৭৩, ৯৭০। মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪১০. আবু সাঈদ ও আবদুল্লাহ বিন আম্‌র ইবনিল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তিনটি মাসজিদ ব্যতীত আর কোথাও [আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায়] সফর করা যাবে না। মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুল আক্‌সা এবং আমার এই মাসজিদের দিকে। {১৪১০}

{১৪১০} বোখারি ১১৯৭, তিরমিজি ৩২৬, আহমাদ ১১০১৭, ১১০৯১, ১১২১৫, ১১৩২৯, ১১৪৭৩, ২৭৯২২, ২৭৯২৫, ২৭৯৪৭, ২৭৯৪৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ২৩১-২৩৫, ১৪৩। মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৯৭. অধ্যায়ঃ কুবা মাসজিদে নামাজ পড়ার ফাযীলাত।

১৪১১. উসাইদ বিন যুহায়র আল-আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নবী [সাঃআঃ]-এর সহাবী ছিলেন। নবী [সাঃআঃ] হইতে বলেন, কুবা মাসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া একটি উমরার সমতুল্য। {১৪১১}

{১৪১১} তিরমিজি ৩২৪ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ তালীকুর রগীব ১৩৮, ১৩৯।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪১২. সাহ্‌ল বিন হুনাইফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘরে পবিত্রতা অর্জন করলো, অতঃপর কুবা মাসজিদে এসে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়লো, তার জন্য একটি উমরাহ্‌র সমান সাওয়াব রয়েছে। {১৪১২}

{১৪১২} নাসায়ি ৬৯৯, আহমাদ ১৫৫৫১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৯৮. অধ্যায়ঃ জামে মাসজিদে নামাজ পড়ার ফাদীলাত।

১৪১৩. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, কোন ব্যক্তির নিজ ঘরে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নেকী এক ওয়াক্ত নামাজেরই সমান, তার পাড়ার বা গোত্রের মাসজিদে তার এক নামাজ পঁচিশ নামাজের সমতুল্য, জুমুআহ মাসজিদে তার এক নামাজ পাঁচ শত নামাজের সমান। মাসজিদুল আকসায় তার এক নামাজ পঞ্চাশ হাজার নামাজের সমতুল্য, আমার মাসজিদে তার এক নামাজ পঞ্চাশ হাজার নামাজের সমতুল্য এবং মাসজিদুল হারামে তার এক নামাজ এক লাখ নামাজের সমতুল্য। {১৪১৩}

জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৭৫২, তালীকুর রগীব ১৩৬। উক্ত হাদিসের রাবি আবুল খাত্তাব খাত্তাব [হাম্মাদ] আদ-দিমাশকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি প্রসিদ্ধ নয়। ২. রুকায়য আবু আবদুল্লাহ আল হানী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/১৯৯. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মিম্বারের সূচনা।

১৪১৪. উবাই বিন কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ছাপড়ার মাসজিদে থাকা অবস্থায় একটি খেজুর গাছের খুঁটির পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করিতেন। তিনি ঐ খেজুর গাছের খুঁটি ঘেঁষে খুতবাহ দিতেন। তাহাঁর সহাবীদের একজন বলেন, আমরা কি আপনার জন্য এমন একটি জিনিসের ব্যবস্থা করবো, যার উপর আপনি জুমুআর দিন দাঁড়াবেন। যাতে লোকেরা আপনাকে দেখিতে পায় এবং আপনার খুতবাহ তাহাদের শুনাতে পারেন। তিনি বলেন, হাঁ। তখন ঐ ব্যক্তি তাহাঁর জন্য তিন ধাপবিশিষ্ট একটি মিম্বার তৈরি করেন। এটি ছিল সবচাইতে উঁচু মিম্বার। মিম্বারটি বানানো হলে তারা তা যথাস্থানে স্থাপন করেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিম্বারে উঠে খুতবাহ দেয়ার ইচ্ছা করিলেন। তিনি ঐ খুঁটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তা চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠে। ফলে তা ফেটে যায়। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শুকনো খেজুর গাছের কান্নার শব্দ শুনে নেমে আসেন এবং তাতে নিজ হাত বুলিয়ে দেন। ফলে তা শান্ত হয়ে যায়। তারপর তিনি মিম্বারে ফিরে যান। এরপর যখন তিনি নামাজ আদায় করিতেন তখন ঐ খুঁটির দিকে রোখ করে নামাজ আদায় করিতেন। অতঃপর মাসজিদ যখন [সংস্কারের জন্য] ভাঙ্গা হলো, তখন উবাই বিন কাব [রাঃআঃ] খুঁটিটি নিয়ে তার ঘরে রাখেন। অবশেষে উইপোকা তা খেয়ে ফেলে এবং ফলে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। {১৪১৪}

{১৪১৪} আহমাদ ২০৭৬১, ২০৭৪৫; দারিমি ৩৬। তাহকিক আলবানিঃ হাসান।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৪১৫. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] খেজুর গাছের একটি শুকনো খুঁটি ঘেঁষে খুতবাহ দিতেন। নবী [সাঃআঃ] মিম্বারের ব্যবস্থা করলে, তিনি [খুতবাহ দেয়ার জন্য] মিম্বারে গিয়ে উঠলে খেজুর গাছের খুঁটিটি কেঁদে উঠে। তিনি তার কাছে এসে তার গায়ে হাত বুলিয়ে দেন এবং তা শান্ত হয়। অতঃপর তিনি বলেন, আমি তার গায়ে হাত না বুলালে তা কিয়ামত পর্যন্ত রোনাজারি করতো। {১৪১৫}

{১৪১৫}তিরমিজি ৩৬২৭, আহমাদ ২৩৯৬, ১২৯৫০; দারিমি ৩৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ২১৭৪।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪১৬. আবু হাযিম হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মিম্বার কিসের দ্বারা নির্মিত ছিল সে বিষয়ে লোকেরা মতভেদ করে। তারা সাহল বিন সাদ [রাঃআঃ]-এর নিকট এসে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার চেয়ে অধিক জ্ঞাত আর কেউ বেঁচে নেই। এটি ছিল আল-গাবা বনভূমির আছল নামীয় গাছের তৈরি। অমুক মহিলার মুক্তদাস কাঠমিস্ত্রী তা তৈরি করেছিল। সেটি এনে স্থাপন করা হলে মহানবী [সাঃআঃ] তাহাঁর উপর দাঁড়ান। অতঃপর তিনি কিবলামুখী হয়ে দাঁড়ালে লোকেরাও তাহাঁর পিছনে দাঁড়ায়, অতঃপর তিনি কিরাআত পড়েন, তারপর রুকূ করেন, অতঃপর মাথা উঠান, অতঃপর কিবলামুখী অবস্থায় পেছনে সরে এসে যমীনে সাজদাহ করেন, অতঃপর আবার মিম্বারের দিকে এগিয়ে গিয়ে কিরাআত পড়েন, তারপর রুকূ করে দাঁড়িয়ে যান, অতঃপর আগের মত পেছনে সরে এসে মাটিতে সাজদাহ করেন। {১৪১৬}

{১৪১৬} বোখারি ৩৭৭, ৪৪৮, ২০৯৪, ২৫৬৯; মুসলিম ৫৪৪, নাসায়ি ৭৩৯, আবু দাউদ ১০৮০, আহমাদ ২২৩৬৪, দারিমি ১২৫৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫৪৫, আবু দাউদ ৯৯২।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪১৭. জাবির বিন আবদুল্লাহ্‌ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি গাছের মূলে অথবা খেজুর গাছের কাণ্ডে ঠেস দিয়ে দাড়াতেন। অতঃপর তিনি একটি মিম্বার গ্রহণ করেন। রাবি বলেন, খেজুর কাণ্ডটি কেঁদে দিলো। জাবির [রাঃআঃ] বলেন, এমনকি মাসজিদের লোকেরা এর কান্না শুনতে পায়। অবশেষে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] গাছের নিকট এসে তাতে হাত বুলান, ফলে তা শান্ত হয়। তাহাদের কতক বলিলেন, তিনি এর কাছে না এলে এটা কিয়ামাত পর্যন্ত কাঁদতো। {১৪১৭}

{১৪১৭} বোখারি ৯১৮, ২০৯৫, ৩৫৮৪-৮৫; আহমাদ ১৩৭০৫, ১৩৭২৯, ১৩৭৯৪, ১৩৮৭০, ১৪০৫৯; দারিমি ১৫৬২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ২১৭৪।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২০০.অধ্যায়ঃ [নফল] নামাজসমূহে দীর্ঘ কিয়াম করা।

১৪১৮. আবদুল্লাহ্‌ [বিন মাসঊদ] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

এক রাতে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে নামাজ আদায় করলাম। তিনি এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ান যে, শেষে আমি একটি অসমীচীন কাজের ইচ্ছা করলাম। আবু ওয়ায়িল [রহঃ] বলেন, আমি বললাম, সেটি কী? তিনি বলেন, আমি তাঁকে একাকী নামাজরত অবস্থায় ত্যাগ করে বসে পড়ার ইচ্ছা করেছিলাম। {১৪১৮}

{১৪১৮} বোখারি ১১৩৫, মুসলিম ৭৭৩, আহমাদ ৩৬৩৮, ৩৭৫৭, ৩৯২৭, ৪১৮৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মুখতাসার শামায়িল ২২৪মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪১৯. মুগীরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েন যে, তাহাঁর পদদ্বয় ফুলে যায়। বলা হলো, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আল্লাহ্ তো আপনার পূর্বাপার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দা হব না? {১৪১৯}

{১৪১৯}বোখারি ১১৩০, ৪৮৩৬, ৬৪৭১; মুসলিম ২৮১১-২, তিরমিজি ৪১২, নাসায়ি ১৬৪৪, আহমাদ ১৭৭৩৩, ১৭৭৭৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪২০. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [দীর্ঘক্ষণ ধরে] নামাজ আদায় করিতে থাকতেন, এমনকি তাহাঁর পদদ্বয় ফুলে যেতো। তাঁকে বলা হলো, আল্লাহ আপনার পূর্বাপর সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? {১৪২০}

{১৪২০}সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু হিশাম আর-রিফাঈ মুহাম্মাদ বিন ইয়াযীদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আমি তার ব্যাপারে খারাফ কিছু দেখি না। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস ভুল ও সিকাহ রাবির বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, আমি দেখেছি মুহাদ্দিসগণ তার ব্যাপারে একমত ছিলেন যে, তিনি দুর্বল। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. ইয়াহইয়া বিন ইয়ামান সম্পর্কে আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সাওরীর হাদিসে অধিক ভুল করিয়াছেন। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪২১. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ নামাজ উত্তম? তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়া নামাজ। {১৪২১}

{১৪২১} মুসলিম ৭৫৬, তিরমিজি ৩৮৭, আহমাদ ১৩৮২১, ১৪৭৮৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪৫৮, সহিহ আবু দাউদ ১১৯৬।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২০১. অধ্যায়ঃ অধিক সাজদাহ সম্পর্কে।

১৪২২. আবু ফাতিমা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমাকে এমন একটি আমাল বলে দিন, যা আমি অবিচলভাবে অনবরত করিতে পারি। তিনি বলেন, তুমি সাজদাহ করো। কেননা তুমি যখনই আল্লাহ্‌র জন্য একটি সাজদাহ করিবে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ সমুন্নত করবেন এবং তোমার একটি গুণাহ মাফ করবেন। {১৪২২}

{১৪২২}আহমাদ ১৫১০০ তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ২১০।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

১৪২৩. মাদান বিন আবু তালহাহ আল-ইয়ামারী হইতে বর্ণিতঃ

আমি সাওবান [রাঃআঃ] এর সাথে সাক্ষাত করে তাকে বললাম, আপনি আমার নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করুন, আশা করি তার দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। রাবি বলেন, তিনি নীরব থাকলেন। আমি বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করলাম, এবারও তিনি নীরব থাকলেন। এভাবে তিনবার নীরব থাকলেন। অবশেষে তিনি আমাকে বলেন, তুমি অবশ্যই আল্লাহ্‌র জন্য সাজদাহ করো। কেননা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি ঃ যে কোন বান্দা আল্লাহ্‌র জন্য একটি সাজদাহ করলেই আল্লাহ এর বিনিময়ে তার একধাপ মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। মাদান [রাঃআঃ] বলেন, অতঃপর আমি আবুদ-দারদা [রাঃআঃ]-এর সাথে সাক্ষাত করে তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও একই কথা বলেন। {১৪২৩}

{১৪২৩} মুসলিম ৪৮৮, তিরমিজি ৩৮৮, ১১৩৯; আহমাদ ২১৮৬৫, ১১৯০৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪৫৭ ।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪২৪. উবাদাহ ইবনিস-সামিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন ঃ যখন কোন বান্দা আল্লাহ্‌র জন্য একটি সাজদাহ করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে একটি নেকী দান করেন, তার একটি গুনাহ মাফ করেন এবং তার মর্যাদা এক ধাপ উন্নত করেন। অতএব তোমরা অধিক সংখ্যায় সাজদাহ করো।

{১৪২৪} সহিহ [Sahih]মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২০২. অধ্যায়ঃ সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেয়া হইবে।

১৪২৫. আনাস বিন হাকীম আদ-দব্বী [মাসতূর বা অপরিচিত] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, তুমি তোমার শহরে পৌছে তার বাসিন্দাদের অবহিত করিবে যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি ঃ কিয়ামাতের দিন মুসলিম বান্দার নিকট থেকে সর্বপ্রথম ফরয নামাজের হিসাব নেয়া হইবে। যদি সে তা পূর্ণরূপে আদায় করে থাকে [তবে তো ভালো], অন্যথায় বলা হইবে ঃ দেখো তো তার কোন নফল নামাজ আছে কি না? যদি তার নফল নামাজ থেকে থাকে, তবে তা দিয়ে তার ফরয নামাজ পূর্ণ করা হইবে। অতঃপর অন্যান্য সব ফরয আমালের ব্যাপারেও অনুরূপ ব্যবস্থা করা হইবে। {১৪২৫}

{১৪২৫} তিরমিজি ৪১৩, নাসায়ি ৪৬৫-৬৭, আবু দাউদ ৮৬৪, আহমাদ ৭৮৪২, ৯২১০, ১৬৫০১; ইবনি মাজাহ ১৪২৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৮১০, মিশকাত ১৩৩০-১৩৩১। উক্ত হাদিসের রাবি আলী বিন যায়দ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজলী বলেন, কোন সমস্যা নেই। ২. আনাস বিন হাকীম আদ-দাব্বী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তার বিষয়টি অজ্ঞাত। ইবনিল কাত্তান বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।. মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪২৬. তামীম আদ-দারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, কিয়ামাতের দিন বান্দার নিকট থেকে সর্বপ্রথম তার নামাজের হিসাব নেয়া হইবে। যদি সে তা যথাযথভাবে পড়ে থাকে, তখন তার নফল নামাজ তার জন্য অতিরিক্ত হিসাবে গণ্য করা হইবে। সে তা পূর্ণরূপে না পড়ে থাকলে মহান আল্লাহ তাহাঁর ফেরেশতাহাদের বলবেন ঃ দেখো তো আমার বান্দার জন্য নফল কিছু পাও কিনা। সে তার ফরযে যা ঘাটতি করেছে, তোমরা তা নফল দ্বারা পূরণ করো। তারপর অপরাপর আমালের হিসাবও অনুরূপভাবে নেয়া হইবে। {১৪২৬}

{১৪২৬} তিরমিজি ৪১৩, নাসায়ি ৪৬৫-৬৭, আবু দাউদ ৮৬৪, আহমাদ ৭৮৪২, ৯২১০, ১৬৫০১; ইবনি মাজাহ ১৪২৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৮১২।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২০৩. অধ্যায়ঃ ফরয নামাজের স্থানে দাঁড়িয়ে নফল নামাজ পড়া সম্পর্কে।

১৪২৭. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কেউ [ফরয] নামাজ পড়ার পর একটু সামনে এগিয়ে বা পিছনে সরে অথবা তার ডানে বা বাঁমে সরে [নফল] নামাজ আদায় করিতে কি অপরাগ হইবে? {১৪২৭}

{১৪২৭} আবু দাউদ ১০০৬, আহমাদ ৯২১২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৬২৯, আবু দাউদ ৬২৯, ৯২২। উক্ত হাদিসের রাবি ১. লায়স সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুদতারাবুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন, আবু হাতিম এবং আবু যুরআহ আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. হাজ্জাজ বিন উবায়দ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি অপরিচিত। ৩. ইবরাহীম বিন ইসমাইল সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪২৮. মুগীরাহ বিন শুবাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ইমাম যে স্থানে দাঁড়িয়ে ফরয নামাজ পড়ে, সেই স্থান থেকে না সরে সে যেন [নফল] নামাজ না পড়ে।

২/১৪২৮ [১]. মুগীরাহ বিন শুবাহ [রাঃআঃ], নবী [সাঃআঃ] সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। {১৪২৮}তাহকীক আলবানি ঃ সহিহ।

{১৪২৮} আবু দাউদ ৬১৬ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ, ৬২৯, মিশকাত ৯৫৩। উক্ত হাদিসের রাবি ১. উসমান বিন আতা সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আমর ইবনিল আফাল্লাস বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়। আল জাওযুজানী বলেন, হাদিস বর্ণনায় তিনি নির্ভরযোগ্য। ইবনিল জুনায়দ বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ২. বাকিইয়্যাহ সম্পর্কে আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, যখন তিনি সিকাহ রাবি থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তখন তাকে সিকাহ হিসেবে গন্য করা হইবে। ইমাম নাসাঈ বলেন, যখন তিনি হাদ্দাসানা বা আখবারনা শব্দদয় দ্বারা হাদিস বর্ণনা করেন তখন তিনি সিকাহ হিসেবে গন্য হইবেন। ৩. আবু আব্দুর রহমান তামিমী সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২০৪. অধ্যায়ঃ মাসজিদে নামাজ পড়ার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়া।

১৪২৯. আবদুর রহমান বিন শিব্‌ল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিনটি কাজ করিতে নিষেধ করিয়াছেন ঃ নামাজের সাজদাহয় কাকের মত ঠোকর মারতে, হিংস্র জন্তুর ন্যায় বাহুদ্বয় যমীনের উপর বিছিয়ে দিতে এবং [মাসজিদে] কোন লোকের নামাজ পড়ার স্থান নির্দিষ্ট করে নিতে, যেমন উট আস্তাবলে স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়। {১৪২৯}

{১৪২৯} নাসায়ি ১১১২, আবু দাউদ ৮৬২, আহমাদ ১৫১০৪, ১৫২৪০; দারিমি ১৩২৩। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১১৬৮, মিশকাত ৯২, সহিহ আবু দাউদ ৮০৮। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল হামীদ বিন জাফার সম্পর্কে ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ২. তামীম বিন মাহমুদ সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। আদ-দাওলাবী তাকে দুর্বল হিসেবে আখ্যায়িত করিয়াছেন।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১৪৩০. সালামাহ ইবনিল আক্ওয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি একটি খুঁটির নিকটে দাঁড়িয়ে দুপুরের নামাজ আদায় করিতেন, তবে সারিতে নয়। আমি[ইয়াযীদ] তাকে মাসজিদের কোন স্থানের দিকে ইশারা করে বললাম, আপনি এখানে নামাজ পড়েন না কেন? তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ স্থানে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করিতে দেখলাম। {১৪৩০}

{১৪৩০} বোখারি ৫০২, মুসলিম ৫০৯, আহমাদ ১৬০৮১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২০৫. অধ্যায়ঃ তুমি নামাজ পড়ার সময় জুতা খুললে তা কোথায় রাখবে?

১৪৩১. আবদুল্লাহ ইবনিস সায়িব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি মাক্কাহ বিজয়ের দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে নামাজ আদায় করিতে দেখলাম। তিনি তাহাঁর জুতাজোড়া তাহাঁর বাম পাশে রাখলেন। {১৪৩১}

{১৪৩১} নাসায়ি ৭৭৬, আবু দাউদ ৬৪৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৬৫৬।মসজিদে নামাজ পড়ার ফজিলত – কুবা, মাকদিস, নববি, হারাম – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪৩২. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তুমি তোমার পদদ্বয়ে জুতা পরে থাকিবে। তুমি তা খুলে ফেললে তোমার দু পায়ের মাঝখানে তা রাখো, তা তোমার ডান পাশেও রেখো না এবং তোমার সাথীর ডানে বা তোমার পেছনেও রেখো না। অন্যথায় তাতে তোমার পেছনের লোক কষ্ট পাবে। {১৪৩২}

তাহকীক আলবানি ঃ নিতান্ত দঈফ, দুপ্রান্তের অংশ সহিহ।{১৪৩২} আবু দাউদ ৬৫৪-৫৫ তাহকিক আলবানিঃ নিতান্ত জইফ, দুপ্রান্তের অংশ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ যঈফা ৯৮৮ জইফ জিদ্দান, সহিহ আবু দাউদ ৬৬১, রওফুল। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন সাঈদ বিন আবু সাঈদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যাবাদিতা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনি মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বোখারি তাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করিয়াছেন। আমর ইবনিল ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply