তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম
তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৫, অধ্যায়ঃ (১৭১-১৮৫)=১৫টি
৫/১৭১. অধ্যায়ঃ রাতে নামাজ দু রাকাত করে পড়বে।
৫/১৭২. অধ্যায়ঃ রাতের ও দিনের নামাজ দু রাকআত করে।
৫/১৭৩. অধ্যায়ঃ রমাযান মাসের কিয়ামুল লাইল [তারাবিহ নামাজ]
৫/১৭৪. অধ্যায়ঃ রাতে ইবাদাতে দণ্ডায়মান হওয়া [কিয়ামুল লাইল]
৫/১৭৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি রাতে নিজের পরিজনকে [ইবাদাতের জন্যে] ঘুম থেকে জাগায়।
৫/১৭৬. অধ্যায়ঃ সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করা।
৫/১৭৭. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি রাতে তার নিয়মিত তিলাওয়াত না করে ঘুমিয়ে যায়।
৫/১৭৮. অধ্যায়ঃ কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব।
৫/১৭৯. অধ্যায়ঃ রাতের নামাজের কিরাআত।
৫/১৮০. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করিতে উঠে যে দুআ পড়বে।
৫/১৮১. অধ্যায়ঃ রাতে কত রাকআত নামাজ আদায় করিবে?`
৫/১৮২. অধ্যায়ঃ রাতের কোন্ সময় অধিক উত্তম?
৫/১৮৩. অধ্যায়ঃ কোন্ জিনিস রাতের ইবাদাতের পরিপূরক হইতে পারে।
৫/১৮৪. অধ্যায়ঃ নামাজরত ব্যাক্তি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে।
৫/১৮৫. অধ্যায়ঃ মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাজ।
৫/১৭১. অধ্যায়ঃ রাতে নামাজ দু রাকাত করে পড়বে।
১৩১৮ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতের [তাহাজ্জুদ] নামাজ দু দু রাকআত করে পড়তেন। {১৩১৮}
তাহকীক আলবানি ঃ লাম তাতি।{১৩১৮} বোখারি ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিজি ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ি ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবু দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমি ১৪৫৮-৫৯, ইবনি মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৯-২০, ১৩২২। তাহকিক আলবানিঃ লাম তাতি।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১৩১৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, রাতের [নফল] নামাজ দু রাকআত করে পড়বে। {১৩১৯}
{১৩১৯} বোখারি ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিজি ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ি ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবু দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমি ১৪৫৮-৫৯, ইবনি মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৮, ১১৩২০, ১৩২২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৯৭। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩২০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট রাতের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তা দু দু রাকআত করে পড়বে। ভোর হওয়ার আশঙ্কা হলে, এক রাকআত বিতর পড়বে। {১৩২০}
{১৩২০} বোখারি ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিজি ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ি ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবু দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমি ১৪৫৮-৫৯, ইবনি মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৮-১৯, ১৩২২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩২১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] রাতের [তাহাজ্জুদ] নামাজ দু রাকআত দু রাকআত করে পড়তেন। {১৩২১}
{১৩২১} মুসলিম ২৫৬, আবু দাউদ ৫৮, ইবনি মাজাহ ২৮৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি সুফইয়ান বিন ওয়াকী সম্পর্কে ইমাম বোখারি মন্তব্য করিয়াছেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সত্যবাদী। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৭২. অধ্যায়ঃ রাতের ও দিনের নামাজ দু রাকআত করে।
১৩২২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, রাত ও দিনের নামাজ দু দু রাকআত করে। {১৩২২}
{১৩২২} বোখারি ৪৭২-৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৫, ৯৯৮, ১১৩৭; মুসলিম ৭৩১-৪, ৭৪১-৩, ৭৫০, ৭৫১-৩, ৭৫১-২, ৭৫৩; তিরমিজি ৪৩৭, ৪৬১, ৪৬৭, ৪৬৯, ৫৯৭; নাসায়ি ১৬৬৬-৭৪, ১৬৮২, ১৬৮৯-৯৫; আবু দাউদ ১২৯৫, ১৩২৬, ১৪২১, ১৪৩৬, ১৪৩৮, আহমাদ ৪৫৫৭, ৪৮৩২, ৪৮৬৩, ৪৯৬৭, ৫০১২, ৫০৭৭, ৫১৯৫, ৫৩১৯, ৫৩৭৬, ৫৪৪৭, ৫৪৫৯, ৫৪৭৯, ৫৫১২, ৫৫২৪, ৫৭২৫, ৫৭৫৯, ৫৯০১, ৫৯৭২, ৬১৩৪, ৬১৪১, ৬২২২, ৬৩১৯, ৬৩৩৭, ৬৩৮৫, ৬৪০৩; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৯, দারিমি ১৪৫৮-৫৯, ইবনি মাজাহ ১১৭৪-৭৬, ১৩১৮-২০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৭২। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩২৩. ঊম্মূ হানী [ফাখিতাহ] বিনতু আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কাহ বিজয়ের দিন আট রাকয়াত চাশতের নামাজ পড়েন এবং প্রতি দু রাকআত অন্তর সালাম ফিরান।আট রাকআত যুহার নামাজ পড়ার কথা সহিহ যা বোখারি, মুসলিমে রয়েছে, সহিহ আবু দাউদ ১১৬৮, কিন্তু প্রতি দু রাকআত অন্তর সালামের কথা মুনকার। {১৩২৩}
তাহকীক আলবানি ঃ [সাল্লামা] কথাটি বেশী হওয়ায় মুনকার তবে কথাটি ছাড়া হাদীসটি সহিহ।বোখারি ২৮০, ৩৫৭, ১১০৪, ১১৭৬, ৩১৭১, ৪২৯২, ৬১৫৮; মুসলিম ৩৩১-৫, তিরমিজি ৪৭৪, ২৭৩৪; নাসায়ি ২২৫, ৪১৫; আবু দাউদ ১২৯০-৯১, আহমাদ ২৬৩৪৮, ২৬৩৫৬, ২৬৩৬৪, ২৬৮৩৩, ২৬৮৪০, ২৬৮৪২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৫৮-৫৯, দারিমি ১৪৫২-৫৩, ইবনি মাজাহ ৬৬৫, ৬১৪, ১৩৭৯। তাহকিক আলবানিঃ سَلَّمَ কথাটি বেশী হওয়ায় মুনকার তবে উক্ত কথাটি ছাড়া হাদিসটি সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ১২৯০, ইরওয়া ৪৬৪ সহিহ, সহিহা ২৩৭।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১৩২৪. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, প্রতি দু রাকআত অন্তর একবার সালাম ফিরাবে। {১৩২৪}
নাই তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৪০১৭, ৫২৬৬ জইফ, নাসায়ি ১৭১৯ সহিহ, যঈফা ৪০২৩, সহীহা ২৩৭, যাসাজিলাত ইলমিয়া জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শিয়া মতাবলম্বী। ২. আবু সুফইয়ান তারীফ আস-সাদী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৩২৫. মুত্তালিব বিন আবু ওয়াদাআহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, রাতের নামাজ দু দু রাকআত করে। প্রতি দু রাকআতের শেষে রয়েছে তাশাহহুদ। অত্যন্ত বিনয়-নম্রতা সহকারে, শান্তভাবে ও একাগ্রতার সাথে নামাজ পড়বে এবং বলবে ঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي
আল্লাহুম্মাগফিরলি “হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন।” যে ব্যক্তি তা করেনি তার নামায ত্রুটিপূর্ণ। {১৩২৫}
আবু দাউদ ১২৯৬ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ১২৯৫, ১২৯৬, ১৩২৬, ১৪২১ সহিহ, জামি সগীর ৩৮২৯, ৩৮৩০, ৩৮৩১ সহিহ, ৩৫১১, ৩৫১৩ জইফ, ইবনি মাজাহ ১১৭৫, ১৩১৯, ১৩২০, ১৩২২ সহিহ, নাসায়ি ১৬৬৬, ১৬৬৭, ১৬৭৪, ১৬৯২, ১৬৯৩, ১৬৯৪ সহিহ, তিরমিজি ৪২৪, ৪৩৭, ৪৪৫, ৪৪৯, ৫৯৭ সহিহ, মিশকাত ১২৫৪ মুত্তাফাকুন আলাইহি, সহীহা ১৯১৯, রিয়াদুস ১১৭৬, ইবনি খুযাইমাহ সহিহ, নাকদুত তাজ আল জামে ১২৩, তালীক সহিহ ইবনি খুযাইমাহ ১২১২,১২১৩, জইফ আবু দাউদ ২৩৮। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন নাফি ইবনিল আমইয়া সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, অপরিচিত। ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিস সহিহ নয়।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৫/১৭৩. অধ্যায়ঃ রমাযান মাসের কিয়ামুল লাইল [তারাবিহ নামাজ]
১৩২৬. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও নেকীর আশায় রমাদান মাসের সাওম রাখে [এবং রাতে] দণ্ডায়মান হয় [নামাজ পড়ে] তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করা হয়। {১৩২৬}
{১৩২৬} বোখারি ৩৫, ৩৭-৩৮, ১৯০১, ২০০৮-৯, ২০১৪; মুসলিম ৭৫১-২, ৭৬০/১-২; তিরমিজি ৬৮৩, ৮০৮; নাসায়ি ১৬০২-৩, ২১৯৪, ২১৯৬-০৭, ৫০২৪-২৭; আবু দাউদ ১৩৭১-৭২, আহমাদ ৭১৩০, ৭২৩৮, ৭৭২৯, ৭৮২১, ৮৭৭৫, ৯১৮২, ৯৭৬৭, ৯৯৩১, ১০১৫৯, ১০৪৬২, ২৭৫৮৩, ২৭৬৭৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৫১, দারিমি ১৭৭৬, ইবনি মাজাহ ১৬৪১। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ ইরওয়াহ ৯০৬, সহিহ আবু দাউদ ১২৪২।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
১৩২৭. আবু যার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে রমযানে সওম রাখলাম। তিনি আমাদের নিয়ে এ মাসে [নফল সলাতে] দাঁড়াননি, এমনকি রমযানের মাত্র সাতটি রাত বাকী রইল। সপ্তম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় একতৃতীয়াংশ রাত নামাজ পড়লেন। এরপর ষষ্ঠ রাতে তিনি [নফল] নামাজ পড়েননি। অতঃপর পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের নিয়ে প্রায় অর্ধরাত পর্যন্ত নামাজ পড়লেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এই রাতের অবশিষ্ট অংশও যদি আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করিতেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাজ পড়ে ফিরে আসে সে সারারাত নামাজ পড়ার সমান নেকী পায়। অতঃপর তিনি চতুর্থ রাতে নামাজ পড়েননি। তৃতীয় রাত এলে তিনি তাহাঁর স্ত্রীদের, পরিজনদের একত্র করেন এবং লোকেরাও একত্র হয়। রাবি বলেন, তিনি আমাদের নিয়ে এত দীর্ঘক্ষণ নামাজ পড়লেন যে, আমরা কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করলাম। আবু যার [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কল্যাণ কী? তিনি বলেন, সাহরী। অতঃপর তিনি আমাদের নিয়ে মাসের অবশিষ্ট রাতগুলোতে আর কোন নফল নামাজ পড়েননি। {১৩২৭}
{১৩২৭} তিরমিজি ৮০৬, নাসায়ি ১৩৬৪, আবু দাউদ ১৩৭৫, আহমাদ ২০৯১০, ২০৯৩৬; দারিমি ১৭৭৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪৪৭, মিশকাত ১২৯৮, সহিহ আবু দাউদ ১২৪৫। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩২৮. নাদর হইতে বর্ণিতঃ
আমি আবু সালামাহ বিন আবদুর রহমান-এর সাথে সাক্ষাত করে বললাম, আপনি আপনার পিতাকে রমাদান মাস সম্পর্কে যে হাদীস বলিতে শুনেছেন তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বলেন, হাঁ, আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমাদান মাস সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, এমন একটি মাস, আল্লাহ তোমাদের উপর তার সাওম ফরয করিয়াছেন এবং আমি তোমাদের উপর এর দণ্ডায়মান হওয়া [রাত জেগে ইবাদত করা] সুন্নাত করেছি। অতএব যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকীর আশায় এ মাসে সাওম রাখে ও [রাতে ইবাদতে] দণ্ডায়মান হয় সে তার জন্মদিনের মত পাপমুক্ত হয়ে যায়। {১৩২৮}
তাহকীক আলবানি ঃ দণ্ডায়মান হওয়া সুন্নাত করেছি এ পর্যন্ত দইফ। বাকী অংশ সহিহ।{১৩২৮} নাসায়ি ২২০৮, ২২১০। তাহকিক আলবানিঃ “দন্ডায়মান হওয়া সুন্নাত করেছি” এ পর্যন্ত জইফ। বাকী অংশ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ তালীকুর রগীব ৭৩।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৫/১৭৪. অধ্যায়ঃ রাতে ইবাদাতে দণ্ডায়মান হওয়া [কিয়ামুল লাইল]
১৩২৯. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, রাতের বেলা শয়তান তোমাদের প্রত্যেকের মাথায় একটি দড়ি দিয়ে তিনটি গিরা দেয়। সে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে আল্লাহ্কে স্মরণ করলে একটি গিরা খুলে যায়। সে উঠে উযু করলে আরেকটি গিরা খুলে যায়। অতঃপর সে যখন সলাতে দাঁড়ায় তখন সমস্ত গিরা খুলে যায়। ফলে সে প্রসস্ত মনে হৃষ্টচিত্তে ভোরে উপনীত হয় এবং কল্যাণপ্রাপ্ত হয়। আর সে যদি এরূপ না করে, তবে তার ভোর হয় অলসতা এবং অপবিত্র মন নিয়ে। ফলে সে কল্যাণ লাভ করিতে পারে না। {১৩২৯}
{১৩২৯} বোখারি ১১৪২, ৩২৬৯; মুসলিম ৭৭৬, নাসায়ি ১৬০৭, আবু দাউদ ১৩০৬, আহমাদ ৭২৬৬, ৭৩৯২, ১০০৭৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪২৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৬০৯, সহিহ আবু দাউদ ১১৭৯। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৩০. আবদুল্লাহ [বিন মাসউদ বিন গাফিল বিন হাবীব] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা হল যে, সে এক ঘুমে রাত কাটিয়ে ভোরে উপনীত হয়। তিনি বলেন, এ ব্যক্তির দুকানে শয়তান পেশাব করে দিয়েছে। {১৩৩০}
{১৩৩০} বোখারি ১১৪৪, ৩২৭০; মুসলিম ৭৭৪, নাসায়ি ১৬০৮-৯, আহমাদ ৩৫৪৭, ৪০৪৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৬৪০। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৩১. আবদুল্লাহ্ বিন আম্র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তুমি অমুক ব্যক্তির মত হয়ো না, যে রাতে উঠতো [নফল ইবাদত করতো], পরে তা ছেড়ে দিয়েছে। {১৩৩১}
{১৩৩১} বোখারি ১১৫২, মুসলিম ১১৫৯, নাসায়ি ১৭৬৩-৬৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৩২. জাবির বিন আবদুল্লাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, সুলায়মান [আঃ]-এর মা তাঁকে বলিলেন, হে বৎস! তুমি রাতে অধিক ঘুমিও না। কেননা রাতের অধিক ঘুম মানুষকে কিয়ামাতের দিন নিঃস্ব অবস্থায় ত্যাগ করে। {১৩৩২}
{১৩৩২} নাই তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ রওযুল নামীর ২২২, তালীকুর রগীব ২২৭। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন আমর আল-হামদানী সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি অপরিচিত। ২. সুনায়দ বিন দাউদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু দুর্বল। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় সিকাহ রাবির বিপরীত বর্ণনা করেন। ৩. শারীক সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু যখন তার হাদিস সিকাহ রাবির বিপরীত হয় তখন তিনি তার মত পরিবর্তন করে নেন। এটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তাকে হাদিস সংমিশ্রণ করিতে দেখেছি।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৩৩. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে অধিক পরিমাণ নামাজ পড়ে, দিনে তার চেহারা উজ্জ্বল হয়। {১৩৩৩}
{১৩৩৩} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৫৮১ জইফ, যঈফা ৪৫৪৪ মাওযূ, যঈফাহ ৪৬৪৪।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৩৪. আবদুল্লাহ্ বিন সালাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মদিনায় পদার্পণ করলে লোকেরা তাঁকে দেখার জন্যে ভীড় জমায় এবং বলাবলি হয় যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এসেছেন। আমিও লোকেদের সাথে তাঁকে দেখিতে গেলাম। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চেহারার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম যে, এ চেহারা কোন মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়। তখন তিনি সর্বপ্রথম যে কথা বলিলেন তা হলো ঃ হে লোকসকল! তোমারা পরস্পর সালাম বিনিময় করো, অভুক্তকে আহার করাও এবং রাতের বেলা মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ পড়ো। তাহলে তোমারা নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে। {১৩৩৪}
{১৩৩৪} তিরমিজি ২৪৮৫, দারিমি ১৪৬০, ইবনি মাজাহ ৩২৫১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ২৩৯, সহিহ তারগিব ৬১২, সহিহা ৫৬৯। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৭৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি রাতে নিজের পরিজনকে [ইবাদাতের জন্যে] ঘুম থেকে জাগায়।
১৩৩৫. আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজ স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগ্রত করে উভয়ে দু রাকআত [নফল] নামাজ পড়ে, তাহাদের উভয়কে আল্লাহ্র পর্যাপ্ত যিক্রকারী পুরুষ ও পর্যাপ্ত যিক্রকারী স্ত্রীলোকদের তালিকাভুক্ত করা হয়। {১৩৩৫}
{১৩৩৫} আবু দাউদ ১৩০৯, ১৪৫১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ১২৩৮, সহিহ আবু দাউদ ১১৮২। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৩৬আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে অনুগ্রহ ধন্য করুন, যে রাতে উঠে নামাজ পড়ে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায়, তারপর সেও নামাজ পড়ে। আর যদি সে [স্ত্রী] জাগতে অস্বীকার করে, তাহলে স্বামী তার মুখমণ্ডলে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ সেই মহিলাকে অনুগ্রহ ধন্য করুন, যে রাতে উঠে নামাজ পড়ে এবং তার স্বামীকেও জাগায়, আর সেও নামাজ পড়ে। স্বামী জাগতে অস্বীকার করলে, সে তার মুখমণ্ডলে পানি ছিটিয়ে দেয়। {১৩৩৬}
{১৩৩৬} নাসায়ি ১৬১০, আবু দাউদ ১৩০৮, ১৪৫০; আহমাদ ৭৩২২, ৭৩৬২, ৯৩৪৪। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ১২৩০, সহিহ আবু দাউদ ১১৮১।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৫/১৭৬. অধ্যায়ঃ সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করা।
১৩৩৭. আবদুর রহমান ইবনিস সায়িব [মাকবূল] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস [রাঃআঃ] আমাদের নিকট এলেন। তখন তার দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছিল। আমি তাকে সালাম দিলে তিনি বলেন, তুমি কে? আমি তাকে আমার পরিচয় দিলে তিনি বলেন, মারহাবা, হে ভাতিজা! আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি সুকন্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করো। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি ঃ নিশ্চয় এই কুরআন দুশ্চিন্তার সাথে নাযিল হয়েছে। অতএব তোমরা যখন কুরআন তিলাওয়াত করো, তখন কাঁদো। যদি তোমরা কাঁদতে না পারো, তাহলে কান্নার ভাব জাগ্রত করো এবং সুমধুর স্বরে কুরআন তিলাওয়াত করো। যে ব্যক্তি সুমধুর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করে না, সে আমাদের নয়। {১৩৩৭}
{১৩৩৭} আবু দাউদ ১৪৬৯, আহমাদ ১৪৭৯, ১৫১৫, ১৫৫২। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ তালীকুর রগীব ২১৫, কিন্তু সুমধুর কন্ঠে পাঠ করা থেকে সহিহ, সিফাতুস, সলাহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু রাফি [ইসমাইল বিন রাফি] সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও মুনকার।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৩৮. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময়ে এক রাতে আমি ইশার পর খানিকটা বিলম্বে ঘরে আসি। তিনি বলেন, তুমি কোথায় ছিলে? আমি বললাম, আমি আপনার সহাবীদের একজনের কুরআন তিলাওয়াত শুনছিলাম। আমি কখনো তার মত সুকন্ঠ কারো তিলাওয়াত শুনিনি। আয়িশা [রাঃআঃ] বলেন, তিনি কুরআন তিলাওয়াত শুনতেই উঠে গেলেন এবং আমিও তাহাঁর সাথে উঠে গেলাম। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন, এতো আবু হুযাইফাহর মুক্তদাস সালিম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমার উম্মাতের মধ্যে এরূপ ব্যক্তি সৃষ্টি করিয়াছেন। {১৩৩৮}
{১৩৩৮} আহমাদ ২৪৭৯২ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৩৯. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, মানুষের মধ্যে সুকন্ঠে কুরআন তিলাওয়াতকারী সেই ব্যক্তি যার তিলাওয়াত শুনে তোমাদের ধারণা হয় যে, সে আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত। {১৩৩৯}
{১৩৩৯} সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ তালীকুর গীবত ২১৫। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন জাফার আল মাদানী সম্পর্কে আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বোখারি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ২. ইবরাহীম বিন ইসমাইল বিন মুজাম্মি সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনি আদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৪০. ফাযালাহ্ বিন উবায়দ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন গায়িকা তার গানের প্রতি যতটা একাগ্র থাকে, আল্লাহ তাআলা সুকন্ঠে ও সশব্দে কুরআন তিলাওয়াতকারীর তিলাওয়াত তার চেয়ে অধিক কান লাগিয়ে শোনেন। {১৩৪০}
{১৩৪০} আহমাদ ২৩৪২৯, ২৭৭২৬। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৪৬৩০ জইফ, যঈফা ২৯৩১ জইফ, তালীকুর রগীব ২১৫।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৪১. আবু হুরাইরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাসজিদে প্রবেশ করে এক ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত শোনেন। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ কে এই ব্যক্তি? বলা হলো, আবদুল্লাহ বিন কায়স। তিনি বলেন, তাকে দাউদ [আঃ] এর সুমধুর কন্ঠস্বর দান করা হয়েছে। {১৩৪১}
{১৩৪১} নাসায়ি ১০১৯, আহমাদ ৮৬০২, ৯৫১৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৪২. আল-বারাআ বিন আযিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের সুকন্ঠী আওয়াজ দ্বারা কুরআনকে সুসজ্জিত করো। {১৩৪২}
{১৩৪২} নাসায়ি ১০১৫-১৬, আবু দাউদ ১৪৬৮, আহমাদ ১৮০২৪, ১৮১৪২, ১৮২৩৪, ২৭৬৫২; দারিমি ৩৫০০-১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ৭৭২, সহিহ আবু দাউদ ১৩২০, মিশকাত ২১৯৯। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৭৭. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি রাতে তার নিয়মিত তিলাওয়াত না করে ঘুমিয়ে যায়।
১৩৪৩. উমার ইবনিল খাত্তাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি তার রাতের নিয়মিত তিলাওয়াত বা তার অংশবিশেষের তিলাওয়াত বাদ রেখে ঘুমিয়ে পড়লো, অতঃপর তা ফাজর থেকে যোহরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ে নিলো, সে যেন তা রাতেই পড়েছে বলে [তার আমালনামায়] লিপিবদ্ধ হয়। {১৩৪৩}
{১৩৪৩} মুসলিম ৭৪৭, তিরমিজি ৫৮১, নাসায়ি ১৭৯০-৯২, আবু দাউদ ১৩১৩, আহমাদ ৩৭৯, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৭০, দারিমি ১৪৭৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৮৬। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৪৪. আবুদ-দারদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি [ঘুমাতে] তার বিছানায় এসে রাতে উঠে নামাজ পড়ার নিয়ত করলো, কিন্তু ঘুমের আধিক্যের কারণে তার ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো, তাকে তার নিয়ত অনুযায়ী নেকী দেয়া হইবে। তার এ ঘুম তার প্রভুর পক্ষ থেকে তার জন্য দান-খয়রাত হিসাবে গণ্য। {১৩৪৪}
{১৩৪৪} নাসায়ি ১৭৮৭ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪৫৪, সহিহ তারগিব ১৯,৬০০ তালীক ইবনি খুযাইমাহ ১১৭১-১১৭৫। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৭৮. অধ্যায়ঃ কত দিনে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব।
১২৪৫. আওস বিন হুযাইফাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমরা ছাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আসলাম। তারা তাহাদের মিত্র বনু মুগীরাহ বিন শুবাহ [রাঃআঃ]-এর মেহমান হলেন। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বনূ মালেকের তাবুতে অবস্থান করেন। তিনি প্রতি রাতে ইশা নামাজের পর আমাদের নিকট আসতেন এবং তাহাঁর দু পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলিতেন। তিনি কখনো এক পায়ের উপর ভর করে আবার কখনো উভয় পায়ের উপর ভর করে কথাবার্তা বলিতেন। তিনি অধিকাংশই আমাদের কাছে তাহাঁর নিজ গোত্র কুরায়শদের নির্মম আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করিতেন এবং বলিতেনঃ এ কথা বলিতে কোন দোষ নেই যে, আমরা ছিলাম দুর্বল ও লাঞ্ছিত। আমরা যখন মাদীনাহ্র দিকে বেরিয়ে এলাম, তখন আমাদের ও তাহাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। কখনো আমরা তাহাদের উপর বিজয়ী হতাম, আবার কখনো তারা আমাদের উপর জয়লাভ করতো। একরাতে তিনি তাহাঁর পূর্ব নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে আমাদের নিকট এলেন। আমি বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ! আজ রাতে আপনি আমাদের নিকট বিলম্বে এসেছেন! তিনি বলেন, আমার কুরআনের কিছু তিলাওয়াত বাকী থাকায়, তা তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত বের হওয়া অপছন্দ করলাম।
আওস [রাঃআঃ] বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সহাবীদের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা কিভাবে কুরআনের অংশ নির্দিষ্ট করে তিলাওয়াত করেন? তারা বলেন, প্রথম দিন তিন সূরা, দ্বিতীয় দিন পাঁচ সূরা, তৃতীয় দিন সাত সূরা, চতুর্থ দিন নয় সূরা, পঞ্চম দিন এগারো সূরা, ষষ্ঠ দিন তের সূরা এবং সপ্তম দিন হিযবুল মুফাসসাল হইতে শেষ অংশ। {১৩৪৫}
{১৩৪৫} আবু দাউদ ১৩৯৩ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জইফ আবু দাউদ ২৪৬। উক্ত হাদিসের রাবি আবু খালিদ আল-আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনি আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৪৬. আবদুল্লাহ বিন আম্র [ইবনিল আস] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি কুরআন মুখস্থ করেছি এবং তা প্রতি রাতে সম্পূর্ণ তিলাওয়াত করি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, আমার আশংকা যে, তুমি দীর্ঘজীবী হইবে এবং বার্ধক্যে দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই তুমি এক মাস অন্তর কুরআন খতম করো। আমি বললাম, আমাকে আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা উপকৃত হইতে দিন। তিনি বলেন, তাহলে তুমি সাতদিন অন্তর খতম করো। আমি বললাম, আমার শক্তিমত্তা ও যৌবন দ্বারা আমাকে উপকৃত হইতে দিন। তখন তিনি তা অস্বীকার করে। {১৩৪৬}
{১৩৪৬} বোখারি ১৯৭৮, ৫০৫২-৫৪; মুসলিম ১১৫১-২, তিরমিজি ২৯৪৯, নাসায়ি ২৩৯০, ২৪০০; নাসায়ি ১৩৮৮-৯১, ১৩৯৪; আহমাদ ৬৪৪১, ৬৪৭০, ৬৪৮০, ৬৪৯১, ৬৫০৯, ৬৭২৫, ৬৭৩৬, ৬৭৭১, ৬৮০২, ৬৮৩৪, ৬৮৩৭, ৬৯৮৪; দারিমি ১৪৯৩, ৩৪৮৬, ৩৪৮৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৪৭. আবদুল্লাহ বিন আম্র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তিন দিনের কম সময়ে যে ব্যক্তি কুরআন খতম করে, সে কুরআনের কিছুই বুঝতে পারে না। {১৩৪৭}
{১৩৪৭} তিরমিজি ২৯৪৯, আবু দাউদ ১৩৯৪, আহমাদ ৬৪৯১, ৬৫০৯, ৬৭৩৬, ৬৭৭১, ৬৮০২; দারিমি ১৪৯৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৪৮. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] এক রাতে কুরআন খতম করিয়াছেন বলে আমার জানা নেই। {১৩৪৮}
{১৩৪৮} মুসলিম ৭৪৬, নাসায়ি ১৬০১, ১৬৪১, ২১৮২, ২৩৪৮; আহমাদ ২৪১১৫, দারিমি ১৪৭৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৭৯. অধ্যায়ঃ রাতের নামাজের কিরাআত।
১৩৪৯. উম্মু হানী বিনতু আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার ঘরের ছাদে শোয়া অবস্থায় নবী [সাঃআঃ]-এর রাতের কিরাআত শুনতে পেলাম। {১৩৪৯}
{১৩৪৯} নাসায়ি ১০১৩, আহমাদ ২৬৩৬৬, ২৬৮৩৬। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মুখতাসার শাথায়িল ২৭২।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
১৩৫০. আবু যার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী [সাঃআঃ] সলাতে দাঁড়িয়ে ভোর হওয়া পর্যন্ত একটি আয়াত বারবার তিলাওয়াত করিতে থাকেন ঃ
“আপনি যদি তাহাদের শাস্তি দেন তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর আপনি যদি তাহাদের ক্ষমা করেন তবে আপনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”- [সূরাহ মায়িদা ঃ ১১৮]। {১৩৫০}
{১৩৫০} নাসায়ি ১০১০, আহমাদ ২০৯৮৪। তাহকিক আলবানিঃ হাসান।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৩৫১. হুযাইফাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] রাতে [সলাতে] কুরআন পড়ে রহমতের আয়াতে পৌছে রহমত কামনা করিতেন এবং আযাবের আয়াতে পৌছে আযাব থেকে আশ্রয় চাইতেন এবং আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষনাকারী আয়াতে পৌছে তাহাঁর তাসবীহ পাঠ করিতেন। {১৩৫১}
{১৩৫১} মুসলিম ৭৭২, তিরমিজি ২৬২, নাসায়ি ১০০৮-৯, ১১৩৩, ১৬৬৪; আবু দাউদ ৮৭১, আহমাদ ২২৭৫০, ২২৮৫৮, ২২৮৯০; দারিমি ১৩০৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৮১৫, মুখতাসার শামাইল ২৩২। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৫২. আবু লাইলা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] রাতে নফল নামাজ পড়েন, আমি তাহাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তাহাঁর সাথে নফল নামাজ পড়লাম। তিনি আযাবের আয়াত তিলাওয়াত করে বলেন, আমি জাহান্নামের আগুন থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি আর জাহান্নামের অধিবাসীদের জন্য ধ্বংস। {১৩৫২}
{১৩৫২} আবু দাউদ ৮৮১ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিসম্পন্ন ব্যাক্তি আর কাউকে দেখি নি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। ইবনি মাঈন বলেন, সমস্যা নেই।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৫৩. কাতাদাহ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] এর নিকট নবী [সাঃআঃ]-এর কিরাআত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বলেন, তিনি সশব্দে কিরাআত পড়তেন। {১৩৫৩}
{১৩৫৩} বোখারি ৫০৪৫-৪৬, নাসায়ি ১০১৪, আবু দাউদ ১৪৬৫, আহমাদ ১১৮৭৪, ১২৬৩৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মুখতাসার শামায়িল ২৬৯, সহিহ আবু দাউদ ১৩১৮। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৫৪. গুদইফ ইবনিল হারিস হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়িশা [রাঃআঃ] এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি সশব্দে কুরআন পড়তেন, না অস্পষ্ট শব্দে? তিনি বলেন, কখনো তিনি সশব্দে আবার কখনো অস্পষ্ট শব্দে কিরাআত পড়তেন। আমি বললাম, আল্লাহু আকবার, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি এ বিষয়ে [উভয়টির] অবকাশ রেখেছেন। {১৩৫৪}
{১৩৫৪} তিরমিজি ৪৪৯ তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ১৩৬৩, সহিহ আবু দাউদ ২২২, মুখতাসার শামায়িল ২৭১ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৫/১৮০. অধ্যায়ঃ কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করিতে উঠে যে দুআ পড়বে।
১৩৫৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করিতে উঠে বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَالِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ حَقٌّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَقَوْلُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِكَ
“হে আল্লাহ্! সমস্ত প্রশংসা তোমার, তুমি আসমান-যমীন ও এগুলোর মধ্যস্থ সকল কিছুর জ্যোতি। সমস্ত প্রশংসা তোমার, তুমিই আসমান-যমীন এবং এগুলোর মধ্যস্থ সকল কিছুর ধারক। সমস্ত প্রশংসা তোমার। তুমি আসমান-যমীন এবং এগুলোর মধ্যস্থ সবকিছুর অধিপতি। সমস্ত প্রশংসা তোমার। তুমি সত্য, তোমার অঙ্গীকার সত্য, তোমার সাক্ষাত লাভ সত্য, তোমার বাণী সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, কিয়ামাত সত্য, আম্বিয়া কিরাম সত্য এবং মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] সত্য। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পন করেছি, তোমার উপর ইমান এনেছি, তোমার উপর ভরসা করেছি, তোমার দিকে ফিরে এসেছি, তোমার জন্য বিতর্ক করি এবং তোমার কাছেই বিচারপ্রার্থী। অতএব তুমি আমার পূর্বাপর পাপরাশি ক্ষমা করে দাও, যা আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি। তুমিই আদি, তুমিই অন্ত, তুমিই একমাত্র ইলাহ এবং তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তোমার শক্তি ব্যতীত ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ লাভ করার কোন শক্তি নেই”।
১/১৩৫৫ [১]. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ], তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করিতে উঠে বলিতেন…….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। {১৩৫৫}
তাহকীক আলবানি ঃ সহিহ।{১৩৫৫} বোখারি ১১২০, ৬৩১৭, ৭৩৮৫, ৭৪৪২, ৭৪৯৯; মুসলিম ৭৬৯, তিরমিজি ৩৪১৮, নাসায়ি ১৬১৯, আবু দাউদ ৭৭১, আহমাদ ২৭০৫, ২৭৪৩, ২৮০৮, ৩৩৫৮, ৩৪৫৮; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৫০০, দারিমি ১৪৮৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৭৪৫-৭৪৬। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৫৬. আসিম বিন হুমায়দ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়িশা [রাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী [সাঃআঃ] রাতে নামাজ আদায় করিতে উঠে প্রথমে কি পড়তেন? তিনি বলেন, তুমি আমার নিকট যে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছো, তোমার আগে সে সম্পর্কে আমাকে আর কেউ জিজ্ঞেস করেনি। তিনি দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদু লিল্লাহ, দশবার সুবহানাল্লাহ ও দশবার ক্ষমা প্রার্থনা করিতেন এবং বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي
আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়াহ দীনি ওয়ার জুকনি ওয়া আফিনি, “হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করো, আমাকে হিদায়াত দান করো, আমাকে রিযিক দাও এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করো”।
তিনি কিয়ামাত দিবসের ভয়াবহ অবস্থা থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা করিতেন। {১৩৫৬}
{১৩৫৬} নাসায়ি ১৬১৭, আবু দাউদ ৭৬৬। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৭৪২। উক্ত হাদিসের রাবি যায়দ ইবনিল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনিল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
১৩৫৭. আবু সালামাহ বিন আবদুর রহমান হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়িশা [রাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী [সাঃআঃ] রাতে জাগ্রত হয়ে তাহাঁর [তাহাজ্জুদ] নামাজের শুরুতে কী বলিতেন? আয়িশা [রাঃআঃ] বলেন, তিনি বলিতেন ঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرَئِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
“আল্ল-হুম্মা রব্বা জিবরীলা ওয়া মীকাঈলা, ওয়া ইস্রা-ফীলা, ফাত্বিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, আ-লিমাল গয়বি ওয়াশ্ শাহা-দাতি, আন্তা তাহ্কুমু বায়না ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন, ইহ্দিনী লিমাখ্তুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বক্বি বিইয্নিকা, ইন্নাকা তাহ্দি ইলা- সিরাত্বিম মুসতাক্বীম, “হে আল্লাহ জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীল [আঃ]-এর প্রভু, আসমান ও জমীনের সৃষ্টিকর্তা, অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! আপনার বান্দারা যে বিষয় নিয়ে মতভেদ করে, আপনি তার মীমাংসাকারী। যে বিষয়ে মতভেদ করা হয়ে থাকে, আপনি মেহেরবাণী করে সে বিষয়ে আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আপনিই সরল সঠিক পথে হিদয়াত দান করেন। আবদুর রহমান বিন উমার [রাঃআঃ] বলেন, তোমরা জিবরাঈল শব্দটি হামযা অক্ষরযোগে পাঠ করো। কেননা নবী [সাঃআঃ] থেকে এরূপই বর্ণিত আছে। {১৩৫৭}
{১৩৫৭} মুসলিম ৭৭০, তিরমিজি ৩৪৩০, নাসায়ি ১৬২৫, আবু দাউদ ৭৬৭, আহমাদ ২৪৬৯৯। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৫/১৮১. অধ্যায়ঃ রাতে কত রাকআত নামাজ আদায় করিবে?
১৩৫৮. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] ইশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এগারো রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। তিনি প্রতি দু রাকআত পর সালাম ফিরাতেন এবং এক রাকআত বিত্র পড়তেন। তিনি এ সলাতে এতো দীর্ঘ সাজদাহ করিতেন যে, তাহাঁর মাথা উঠানোর পূর্বে তোমাদের যে কেউ পঞ্চাশ আয়াত পরিমান তিলাওয়াত করিতে পারতো। মুআয্যিন যখন ফজরের নামাজের প্রথম আযান শেষ করে নীরব হতো, তখন তিনি উঠে দাঁড়িয়ে হালকাভাবে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। {১৩৫৮}
{১৩৫৮} বোখারি ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৩৯, ১১৬৪-৬৫, ৬৩১০; মুসলিম ৭২৪, ৭৩১-২, ৭৩১-২, ৭৩৮; তিরমিজি ৪৪০, ৪৪৩, ৪৪৯; নাসায়ি ৬৮৫, ৯৪৬, ১৬৯৬, ১৭২৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবু দাউদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪-৩৬, ১৩৩৮-৪০, ১৩৪২, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৭৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৬, ২৩৭৩৭, ২৩৭৪৮, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৩৯৯৬, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৩৭২, ২৫৩৯৮, ২৫৪৫২, ২৫৪৫৬, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৮৭, ২৫৬৩৬, ২৫৮৩৫, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৪-৬৬, ২৬৮; দারিমি ১৪৩৯, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৫, ১৫৮১, ১৫৮৫; ইবনি মাজাহ ১৩৫৯-৬০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১২০৭। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৫৯. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] রাতে তেরো রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। {১৩৫৯}
{১৩৫৯} বোখারি ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৩৯, ১১৬৪-৬৫, ৬৩১০; মুসলিম ৭২৪, ৭৩১-২, ৭৩১-২, ৭৩৮; তিরমিজি ৪৪০, ৪৪৩, ৪৪৯; নাসায়ি ৬৮৫, ৯৪৬, ১৬৯৬, ১৭২৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবু দাউদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪-৩৬, ১৩৩৮-৪০, ১৩৪২, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৭৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৬, ২৩৭৩৭, ২৩৭৪৮, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৩৯৯৬, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৩৭২, ২৫৩৯৮, ২৫৪৫২, ২৫৪৫৬, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৮৭, ২৫৬৩৬, ২৫৮৩৫, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৪-৬৬, ২৬৮; দারিমি ১৪৩৯, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৫, ১৫৮১, ১৫৮৫; ইবনি মাজাহ ১৩৫৮, ১৩৬০। তাহকিক আলবানিঃ তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১২০৫, ১২০৯, ১২১০, ১২১২, ১২২০।হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৩৬০. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] রাতে নয় রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। {১৩৬০}
{১৩৬০} বোখারি ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৩৯, ১১৬৪-৬৫, ৬৩১০; মুসলিম ৭২৪, ৭৩১-২, ৭৩১-২, ৭৩৮; তিরমিজি ৪৪০, ৪৪৩, ৪৪৯; নাসায়ি ৬৮৫, ৯৪৬, ১৬৯৬, ১৭২৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবু দাউদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪-৩৬, ১৩৩৮-৪০, ১৩৪২, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৭৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৬, ২৩৭৩৭, ২৩৭৪৮, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯২৫, ২৩৯৪০, ২৩৯৯৬, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪১৯৪, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৩৭২, ২৫৩৯৮, ২৫৪৫২, ২৫৪৫৬, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৮৭, ২৫৬৩৬, ২৫৮৩৫, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৪-৬৬, ২৬৮; দারিমি ১৪৩৯, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৫, ১৫৮১, ১৫৮৫; ইবনি মাজাহ ১৩৫৮-৫৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মুখতাসার শামায়িল ২৩১, সহিহ আবু দাউদ ১১২১। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৬১. আমির আশ্-শাবী হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] ও আবদুল্লাহ বিন উমার [রাঃআঃ] কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর রাতের নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা বলেন, তেরো রাকআত, এর মধ্যে আট রাকআত তাহাজ্জুদ, তিন রাকআত বিত্র এবং ফজরের ওয়াক্ত হলে পর দু রাকআত [সুন্নাত]। {১৩৬১}
{১৩৬১} নাই তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ১৩৩৮, ১৩৬৫ সহিহ; জামি সগীর ৪৯৬৯ সহিহ; মিশকাত ১১৯১। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মুহাম্মাদ বিন উবায়দ বিন মায়মুন আল মাদানী আবু উবায়দ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তার সিকাহ হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করলেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ২. উবায়দ বিন মায়মুন সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৬২. যায়দ বিন খালিদ আল-জুহানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি [মনে মনে] বললাম, আমি অবশ্যি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আজকের রাত এর নামাজ দেখবো। তিনি বলেন, আমি তাহাঁর ঘরের বা তাহাঁর তাবুর দরজার কাঠের সাথে ঠেস দিয়ে বসে থাকলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে হালকাভাবে দু রাকআত নামাজ পড়েন, অতঃপর দীর্ঘ দু রাকআত পড়েন, তারপর আরো দু রাকআত পড়েন, যা পূর্ববর্তী দু রাকআত এর চেয়ে কম দীর্ঘ, তারপর দু রাকআত পড়েন, যা ছিল তাহাঁর পূর্ববর্তী দু রাকআত অপেক্ষা কম দীর্ঘ, তারপর আরো দু রাকআত পড়েন, যা ছিল তার পূর্ববর্তী দু রাকআত অপেক্ষা স্বল্প দীর্ঘ, এরপর আরো দু রাকআত পড়েন, তারপর বিত্র পড়েন। এভাবে মোট তেরো রাকআত হলো। {১৩৬২}
{১৩৬২} মুসলিম ৭৬৫, আবু দাউদ ১৩৬৬, আহমাদ ২১১৭২, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১২৩৬, মুখতাসর শামায়িল ২২৮। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৬৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] তিনি তার খালা এবং নবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী মায়মূনা [রাঃআঃ]-এর ঘরে ঘুমালেন। তিনি বলেন, আমি বালিশে আড়াআড়িভাবে শুয়ে পড়লাম এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর স্ত্রী লম্বালম্বি শুয়ে পড়েন। নবী [সাঃআঃ] ঘুমিয়ে পড়েন। অর্ধরাত বা তার চেয়ে কম কিছু অথবা বেশি অতিবাহিত হলে তিনি জেগে তার দু হাত দিয়ে ঘুমের রেশ তাহাঁর চেহারা থেকে দূর করেন, অতঃপর সূরাহ আল-ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করেন, তারপর উঠে দাঁড়িয়ে ঝুলন্ত পানির মশকের কাছে গিয়ে তা থেকে পানি নিয়ে উত্তমরূপে উযু করেন, তারপর সলাতে দাঁড়িয়ে যান। আবদুল্লাহ বিন আব্বাস [রাঃআঃ] বলেন, আমিও উঠে গেলাম এবং তিনি যা করিলেন আমিও তদ্রূপ করলাম, তারপর তাহাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাত আমার মাথার উপর রাখলেন এবং আমার ডান কান ধরে মললেন। তারপর তিনি দু রাকআত নামাজ পড়েন, তারপর দু রাকআত, তারপর দু রাকআত, তারপর দু রাকআত, তারপর দু রাকআত, তারপর দু রাকআত, তারপর বিত্র নামাজ পড়েন। তারপর তিনি আরাম করেন, যাবত না তাহাঁর নিকট মুআযযিন আসে। অতঃপর তিনি হালকাভাবে দু রাকআত [ফজরের সুন্নাত] নামাজ পড়েন, অতঃপর [ফজরের ফরয] নামাজ আদায় করিতে বেরিয়ে যান। {১৩৬৩}
{১৩৬৩} বোখারি ১১৭, ১৩৮, ৬৯৭-৯৯, ৭২৬, ৭২৮, ৮৫৯, ৫৯১৯, ৬৩১৬; মুসলিম ৭৬১-৯, তিরমিজি ২৩২, নাসায়ি ৮০৬, আবু দাউদ ৬১০, আহমাদ ৩১৫৯, দারিমি ১২৫৫, ইবনি মাজাহ ৯৭৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১২৩৭, ইরওয়াহ ২৯৪। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৮২. অধ্যায়ঃ রাতের কোন্ সময় অধিক উত্তম?
১৩৬৪. আম্র বিন আবাসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার সাথে কে কে ইসলাম গ্রহণ করিয়াছেন? তিনি বলেন, স্বাধীন ও ক্রীতদাস। আমি বললাম, এমন কোন সময় আছে কি যা অপর সময়ের তুলনায় আল্লাহ্র নিকটতর [নৈকট্য লাভের উত্তম সময়]? তিনি বলেন, হাঁ। রাতের মধ্যভাগ। {১৩৬৪}
তাহকীক আলবানি ঃ শায, মাহযূয ইশার রাকআত।{১৩৬৪} মুসলিম ৮৩২, তিরমিজি ৩৫৭৯, নাসায়ি ৫৭২, ৫৮৪; আহমাদ ১৬৫৬৬, ১৬৫৭১, ১৮৯৪০; ইবনি মাজাহ ১২৫১। তাহকিক আলবানিঃ শায, মাহযূয এশার রাকআত। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ১৩৩৪, ১৩৩৮, ১৩৩৯, ১৩৪০, ১৩৬০, ১৩৬৫ সহিহ, ১৩৫০ হাসান সহিহ, ১৩৬৩ জইফ; জামি সগীর ৪৯৬৯ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইয়াযীদ বিন তালক সম্পর্কে ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ২. আব্দুর রহমান ইবনিল বায়লামানী সম্পর্কে সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তার হাদিস মুনকার। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য হইবে না। আল আযদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার।হাদিসের তাহকিকঃ শায
১৩৬৫. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতের প্রথমভাগে ঘুমাতেন এবং শেষভাগে জাগ্রত থাকতেন। {১৩৬৫}
{১৩৬৫} বোখারি ১১৪৬, মুসলিম ৭৩৯, নাসায়ি ১৬৪০, ১৬৮০; আহমাদ ২৩৮১৯, ২৪১৮৫, ২৪২৫৪, ২৫৬২৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৬৬. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে আমাদের মহান প্রতিপালক [পৃথিবীর নিকটতম আকাশে] অবতরণ করেন এবং ফাজর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বলিতে থাকেন ঃ আমার কাছে যে চাইবে আমি তাকে দান করবো, আমার নিকট যে দুআ করিবে আমি তাহাঁর দুআ কবুল করবো, যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিবে, আমি তাকে ক্ষমা করবো। এ কারনেই সাহাবীগণ রাতের প্রথমাংশ অপেক্ষা শেষাংশে নামাজ পড়া পছন্দ করিতেন। {১৩৬৬}
{১৩৬৬} বোখারি ১১৪৫, ৬৩২১, ৭৪৯৪; মুসলিম ৭৫১-৫, তিরমিজি ৪৪৬, ৩৪৯৮; আবু দাউদ ১৩১৫, ৪৭৩৩; আহমাদ ৭৪৫৭, ৭৫৩৮, ৭৫৬৭, ৭৭৩৩, ৯৩০৮, ৯৯৪০, ১০১৬৬, ১০২৪০, ১০৩৭৭, ২৭৬২০; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৯৬, দারিমি ১৪৭৮-৭৯, ১৪৮৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪৫০, সহিহ আবু দাউদ ১১৮৮। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৬৭. রিফাআহ আল-জুহানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, রাতের অর্ধেক বা দু তৃতীয়াংশ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা [বান্দাকে] অবকাশ দেন। ফাজর উদিত হওয়ার পূ্র্ব পর্যন্ত তিনি বলিতে থাকেন ঃ আমার বান্দা আমাকে ছাড়া আর কারো কাছে চাইবে না। যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দিবো, যে আমার কাছে প্রার্থনা করিবে, আমি তাকে দান করবো, যে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো। {১৩৬৭}
{১৩৬৭} আহমাদ ১৫৭৮২, দারিমি ১৪৮১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ১৯৮। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৮৩. অধ্যায়ঃ কোন্ জিনিস রাতের ইবাদাতের পরিপূরক হইতে পারে।
১৩৬৮. আবু মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, কোন ব্যাক্তি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু আয়াত তিলাওয়াত করলে তা তার জন্য যথেষ্ট। হাফস [রাঃআঃ] তার হাদীসে উল্লেখ করেন যে, আবদুর রহমান [রাঃআঃ] বলেন, আমি আবু মাসউদ [রাঃআঃ]-এর সাথে তার তাওয়াফরত অবস্থায় সাক্ষাত করি। তখন তিনি আমার নিকট এ হাদীস বর্ণনা করেন। {১৩৬৮}
{১৩৬৮} বোখারি ৪০০৮, ৫০১০, ৫০৪০, ৫০৫১; মুসলিম ৮০৭-৮, তিরমিজি ২৮৮১, আবু দাউদ ১৩৯৭, আহমাদ ১৬৬২০, ১৬৬৪২, ১৬৬৫১; দারিমি ১৪৮৭, ৩৩৮৮; ইবনি মাজাহ ১৩৬৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১২৬৩। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৬৯. আবু মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যাক্তি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু আয়াত তিলাওয়াত করে, তা তার জন্য যথেষ্ট। {১৩৬৯}
{১৩৬৯} বোখারি ৪০০৮, ৫০১০, ৫০৪০, ৫০৫১; মুসলিম ৮০৭-৮, তিরমিজি ২৮৮১, আবু দাউদ ১৩৯৭, আহমাদ ১৬৬২০, ১৬৬৪২, ১৬৬৫১; দারিমি ১৪৮৭, ৩৩৮৮; ইবনি মাজাহ ১৩৬৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৮৪. অধ্যায়ঃ নামাজরত ব্যাক্তি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে।
১৩৭০. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, নামাজরত অবস্থায় তোমাদের কেউ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে যেন শুয়ে যায়, যাবত না তার ঘুম দূরীভূত হয়। কেননা তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় নামাজ পড়লে, কী বলা হচ্ছে, তা সে জানে না। হয়তো সে ক্ষমা প্রার্থনা করিতে গিয়ে নিজেকে গালি দিয়ে বসবে। {১৩৭০}
{১৩৭০} বোখারি ২১২, মুসলিম ৭৮৬, তিরমিজি ৩৫৫, নাসায়ি ১৬২, আবু দাউদ ১৩১০, আহমাদ ২৩৭৬৬, ২৫১৩৩, ২৫১৭১, ২৫৬৯৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৫৯, দারিমি ১৩৮৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৬৩৭, সহিহ আবু দাউদ ১১৮৩।তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৭১. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাসজিদে প্রবেশ করে দুটি খুঁটির মাঝখানে একটি রশি বাধাঁ দেখলেন। তিনি বলেন, এ রশি কিসের? তারা বলেন যয়নবের জন্য। তিনি নামাজ আদায় করিতে করিতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে এই রশিতে ঝুলে পড়েন। তিনি বলেন, এটি খুলে ফেলো, এটি খুলে ফেলো। তোমাদের কারো সামর্থ্য থাকা পর্যন্ত নামাজ পড়বে। যখন সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন যেন শুয়ে পড়ে। {১৩৭১}
{১৩৭১} বোখারি ১১৫০, মুসলিম ৭৮৪, নাসায়ি ১৬৪৩, আবু দাউদ ১৩১২, আহমাদ ১১৫৭৫, ১২৫০৪, ১২৭০৮, ১৩২৭৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৮৫। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩৭২. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কেউ যখন রাতে সলাতে দাঁড়ায় এবং কিরাআত পাঠে তার জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে আসে [তন্দ্রার কারনে], সে কী বলে তা বুঝে না, তখন সে শুয়ে পড়বে। {১৩৭২}
{১৩৭২} মুসলিম ৭৮৭, আবু দাউদ ১৩১১, আহমাদ ২৭৪৫০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৬৩৯, সহিহ আবু দাউদ ১১৮৪। তারাবির নামাজ কত রাকাত ও রাতের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/১৮৫. অধ্যায়ঃ মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাজ।
১৩৭৩. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে বিশ রাকআত নামাজ পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন। {১৩৭৩}
{১৩৭৩} তিরমিজি ৪৩৫ তাহকিক আলবানিঃ মাওযু। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৫৬৬২ মাওযূ, যঈফা ৪৬৭ মাওযূ। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ সম্পর্কে মাসলামাহ বিন কাসিম তাকে সিকাহ বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনি আদী বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ২. উমার বিন আবু খাসআম আল ইয়ামামী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহও না আবার দুর্বলও না আবার নির্ভরযোগ্যও না।হাদিসের তাহকিকঃ জাল হাদিস
১৩৭৪. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকআত নামাজ পড়লো এবং এ নামাজের মাঝখানে কোন অশিষ্ট কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদাতের নেকী দেওয়া হয়। {১৩৭৪}
তাহকীক আলবানি ঃ দঈফ জিদ্দান।{১৩৭৪} তিরমিজি ৪৩৫, ইবনি মাজাহ ১১৬৭। তাহকিক আলবানিঃ জইফ জিদ্দান। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৫৬৬১ জইফ জিদ্দান, ইবনি মাজাহ ১১৬৭ জইফ জিদ্দান, তিরমিজি ৪৩৫ জইফ জিদ্দান, মিশকাত ১১৭৩ লাম, জইফ তারগিব ৩৩১ জইফ জিদ্দান, যঈফা ৪৬৯ জইফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবি ১. যায়দ ইবনিল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনিল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ২. ওয়ালীদ বিন উকবাহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ৩. উমার বিন আবু খাসআম আল ইয়ামামী সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না।হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
Leave a Reply