ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা

ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা

ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৫, অধ্যায়ঃ (১৫৫-১৭০)=১৬টি

৫/১৫৫. অধ্যায়ঃ দু ঈদের নামাজ সম্পর্কে
৫/১৫৬. অধ্যায়ঃ দু ঈদের সলাতে ইমাম কত তাকবীর দিবেন?
৫/১৫৭. অধ্যায়ঃ দু ঈদের নামাজের কিরাআত।
৫/১৫৮. অধ্যায়ঃ দু ঈদের সলাতে খুতবা।
৫/১৫৯. অধ্যায়ঃ নামাজের পর খুতবাহ্‌র জন্য অপেক্ষা করা।
৫/১৬০. অধ্যায়ঃ ঈদের নামাজের আগে ও পরে [নফল] নামাজ পড়া।
৫/১৬৫. অধ্যায়ঃ দু ঈদের সলাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ
৫/১৬৬. অধ্যায়ঃ একই দিনে দু ঈদ একত্র হলে
৫/১৬৭. অধ্যায়ঃ বৃষ্টির কারণে মাসজিদে নামাজ পড়া।
৫/১৬৮. অধ্যায়ঃ ঈদের দিন অস্ত্রসজ্জিত হওয়া।
৫/১৬৯. অধ্যায়ঃ দু ঈদের দিন গোসল করা।
৫/১৭০. অধ্যায়ঃ দু ঈদের নামাজের ওয়াক্ত।

৫/১৫৫. অধ্যায়ঃ দু ঈদের নামাজ সম্পর্কে

১২৭৩. আতা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি খুতবা দানের পূর্বে নামাজ আদায় করিয়াছেন, অতঃপর খুতবাহ দিয়েছেন। তিনি লক্ষ্য করিলেন যে, তিনি মহিলাদের তাহাঁর ভাষণ শুনাতে পারেননি। [তাহাঁর কণ্ঠস্বর তাহাদের পর্যন্ত পৌঁছেনি]। অতএব তিনি তাহাদের নিকট এসে তাহাদেরকে উপদেশ দেন, ওয়াজ-নাসীহাত করেন এবং তাহাদেরকে দান-খয়রাত করার নির্দেশ দেন। আর বিলাল [রাঃআঃ] তার হাতের কাপড় এভাবে ধরেন। মহিলারা তাহাদের স্বর্ণের বালা, আংটি ও অন্যান্য জিনিস [সেই কাপড়ের মধ্যে] ঢেলে দিতে থাকেন। {১২৭৩}

{১২৭৩} বোখারি ৯৮, ৮৬৩, ৯৫৯-৬০, ৯৬২, ৯৬৪, ৯৭৫, ৯৭৭, ১৪৪৯, ৪৮৯৫, ৫২৪৯, ৫৮৮০-৮১, ৭৩২৫; মুসলিম ৮৮১-৩, ৮৮৬; নাসায়ি ১৫৬৯, ১৫৮৬; আবু দাউদ ১১৪২, ১১৪৬, ১১৫৯; আহমাদ ১৬০৩-৪, ১৬১০, ১৯০৫, ১৯৮৪, ২০৬৩, ২১৭০, ২৫২৯, ২৫৬৯, ২৫৮৮, ৩০৫৪, ৩০৯৫, ৩২১৫, ৩২১৭, ৩৩০৫, ৩৪৭৭; ইবনি মাজাহ ১২৯১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১০৩৬-১০৩৮।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৭৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] ঈদের দিন আযান ও ইকামাত ব্যতীত [ঈদের] নামাজ পড়েন। {১২৭৪}

{১২৭৪} বোখারি ৯৫৯-৬০, মুসলিম ৮৮১-২, তিরমিজি ৫৩৭, আবু দাউদ ১১৪৬-৪৭, আহমাদ ২১৭০, ২৫৬৯, ৩০৯৫, ৩২১৭, ৩৩০৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১০৪১।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৭৫. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ঈদের দিন মারওয়ান [ঈদের মাঠে] মিম্বার বের করে আনে এবং ঈদের নামাজ পড়ার আগে খুতবাহ দেয়। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে মারওয়ান! তুমি সুন্নাতের পরিপন্থী কাজ করেছো। তুমি ঈদের দিন [মাঠে] মিম্বার বের করে এনেছো, অথচা তা ঈদের মাঠে বের করে আনা হতো না। আবার তুমি ঈদের নামাজ পড়ার পূর্বে খুতবা দিতে শুরু করলে, অথচ নামাজের আগে খুতবাহ দিয়ে শুরু করা হতো না। আবু সাঈদ [রাঃআঃ] বলেন, এই ব্যক্তি অবশ্যি তার কর্তব্য পালন করেছে। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি ঃ তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হইতে দেখলে এবং তার হাত দিয়ে তা প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা নিজ হাতে প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের ভাষায় তা প্রতিহত [বা প্রতিবাদ] করে। যদি মুখের ভাষায় প্রতিহত করার সামর্থ্য তার না থাকে তবে সে যেন তার অন্তরে তা প্রতিহত করে। এটা ঈমানের খুবই নিম্নস্তর। {১২৭৫}

{১২৭৫} বোখারি ৯৫৬, মুসলিম ৪৯, তিরমিজি ২১৭২, নাসায়ি ৫০০৮-৯, আবু দাউদ ১১৪০, ৪৩৪০; আহমাদ ১০৬৮৯, ১০৭৬৬, ১১০৬৮, ১১১০০, ১১১২২, ১১৪৬৬; ইবনি মাজাহ ৪০১৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১০৩৪। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৭৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ], অতঃপর আবু বকর [রাঃআঃ], অতঃপর উমার [রাঃআঃ] খুতবাদানের পূর্বে ঈদের নামাজ আদায় করিতেন। {১২৭৬}

{১২৭৬} বোখারি ৯৫৭, ৯৬৩; মুসলিম ৮৮৮, তিরমিজি ৫৩১, নাসায়ি ১৫৬৪, আহমাদ ৫৬৩০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৪৫।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৫৬. অধ্যায়ঃ দু ঈদের সলাতে ইমাম কত তাকবীর দিবেন?

১২৭৭. সাদ বিন আয়িয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দু ঈদের নামাজের প্রথম রাকআতে কুরআন পাঠের পূর্বে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকআতেও কুরআন পাঠের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন। {১২৭৭}

{১২৭৭} দারিমি ১৬০৬ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবি আব্দুর রহমান বিন সাদ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। ২. সাদ বিন আম্মার সম্পর্কে ইবনিল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। এ হাদিসের ৬৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে তিরমিযি ১ টি, ইবনি মাজাহ ৩ টি, আহমাদ ৫ টি, দারাকুতনী ৬ টি ও বাকীগুলো অন্যান্য কিতাবে রয়েছে। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি

১২৭৮. আবদুল্লাহ্‌ বিন আমর ইবনিল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] ঈদের সলাতে পর্যায়ক্রমে [প্রথম ও দ্বিতীয় রাকআতে] সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন। {১২৭৮}

{১২৭৮} আবু দাউদ ১১৫১ তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১০৪৫-১০৪৬।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

১২৭৯. আম্‌র বিন আওফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দু ঈদের সলাতে প্রথম রাকআতে সাত তাকবীর এবং শেষের রাকআতে পাঁচ তাকবীর দিতেন। {১২৭৯}

{১২৭৯} তিরমিজি ৫৩৬ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ লিগাইরিহী। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ১০৪১, তালীক ইবনি খুযাইমাহ ১৪৩৮, ১৪৩৯। উক্ত হাদিসের রাবি কাসীর বিন আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি

১২৮০. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদহার সলাতে রুকূ-সাজদাহর তাকবীর ব্যতীত অতিরিক্ত সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন। {১২৮০}

{১২৮০} আবু দাউদ ১১৪৯ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৩৯, সহিহ আবু দাউদ ১০৪৩।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৫৭. অধ্যায়ঃ দু ঈদের নামাজের কিরাআত।

১২৮১. নুমান বিন বাশীর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দু ঈদের সলাতে সূরাহ “সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আলা” ও সূরা “হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়া” পড়তেন। {১২৮১}

{১২৮১} মুসলিম ৮৭৮, তিরমিজি ৫৩৩, নাসায়ি ১৪২৪, ১৫৯০; আবু দাউদ ১১২২, আহমাদ ১৭৯১৬, ১৭৯৪২, ১৭৯৬৩, ১৭৯৭০; দারিমি ১৫৬৮, ১৬০৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৪৪, সহিহ আবু দাউদ ১০২৭। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৮২. উবায়দুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উমার [রাঃআঃ], ঈদের নামাজ আদায় করিতে রওয়ানা হলেন। তিনি আবু ওয়াকিদ আল-লায়সী [রাঃআঃ]-এর নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করিলেন, আজকের মত এ দিনে নবী [সাঃআঃ] কী তিলাওয়াত করিতেন? তিনি জানান যে, মহানবী [সাঃআঃ] সূরাহ “কাফ” ও সূরা “ইকতারাবাতিস সাআহ” দ্বারা ক্বিরাআত পড়তেন। {১২৮২}

{১২৮২} মুসলিম ৮৯১-২, তিরমিজি ৫৩৪, নাসায়ি ১৫৬৭, আবু দাউদ ১১৫৪, আহমাদ ২১৩৮৯, ২১৪০৪; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৪৩৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১০৪৭।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৮৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] ঈদের সলাতে সুরা আলা ও সূরাহ গাশিয়া পড়তেন। {১২৮৩}

সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুসা বিন উবায়দাহ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হুজ্জাহ নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৫৮. অধ্যায়ঃ দু ঈদের সলাতে খুতবা।

১২৮৪. আবু কাহিল [কায়স বিন আয়িয] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নবী [সাঃআঃ]-এর সাহচর্য লাভ করেন। তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে একটি উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় খুতবাহ দিতে দেখেছি। এক হাবশী গোলাম উষ্ট্রীর লাগাম ধরে রেখেছিল। {১২৮৪}

{১২৮৪} নাসায়ি ১৫৭৩, আহমাদ ১৮২৫০, ইবনি মাজাহ ১২৮৫। তাহকিক আলবানিঃ হাসান।ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২৮৫. আবু কাহিল [কায়স বিন আয়িয] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে একটি সুন্দর উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় খুতবা দিতে দেখেছি। এক হাবশী গোলাম তার লাগাম ধরে রেখেছিল। {১২৮৫}

{১২৮৫} নাসায়ি ১৫৭৩, আহমাদ ১৮২৫০, ইবনি মাজাহ ১২৮৪। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২৮৬. নুবায়ত বিন শারীত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি হাজ্জ করেন এবং বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর উটের পিঠে আরোহিত অবস্থায় খুতবাহ দিতে দেখেছি। {১২৮৬}

{১২৮৬} নাসায়ি ৩০০৭-৮, আবু দাউদ ১৯১৬, আহমাদ ১৮২৪৬, ১৮২৪৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৪৭।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৮৭. সাদ বিন আয়িয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] অধিকাংশ খুতবাহ্‌য় বেশি বেশি তাকবীর বলিতেন এবং তিনি দু ঈদের খুতবাহয় আরো অধিক সংখ্যায় তাকবীর বলিতেন। {১২৮৭}

১২৮৭} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়া ৬৪৭ জইফ, জামি সগীর ৪৫৯৭ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আব্দুর রহমান বিন সাদ বিন আম্মার বিন সাদ আল মুআযযিন সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। সাদ বিন আম্মার বিন সাদ আল মুআযযিন সম্পর্কে ইবনিল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২৮৮. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদের দিন বের হইতেন এবং লোকদের নিয়ে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন, তারপর সালাম ফিরাতেন। এরপর তিনি তার উভয় পায়ের উপর দাঁড়িয়ে উপবিষ্ট লোকদের দিকে মুখ করে বলিতেন ঃ তোমরা দান-খয়রাত করো, তোমরা দান-খয়রাত করো। দান-খয়রাতকারীদের অধিকাংশই ছিল মহিলা। তারা কানবালা, আংটি ও অন্যান্য জিনিস দান করেন। তিনি যদি কোথাও সামরিক বাহিনী প্রেরণ করা জরুরী মনে করিতেন, তাহলে তাহাদের উদ্দেশ্যে সে সম্পর্কে আলোচনা করিতেন, অন্যথায় ফিরে আসতেন। {১২৮৮}

{১২৮৮} বোখারি ৩০৪, ১৪৬২; মুসলিম ৮০, ৮৮৯; নাসায়ি ১৫৭৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৩০, ৬৩৫; সহিহহা ২৯৬৮।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৮৯. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদুল ফিতরের দিন অথবা ঈদুল আযহার দিন বের হলেন। অতঃপর তিনি [নামাজ শেষে] দাঁড়িয়ে খুতবাহ দেন, তারপর কিছুক্ষণ বসার পর পুনরায় আবার দাঁড়িয়ে খুতবাহ দেন। {১২৮৯}

মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আবু বাহর [আব্দুর রহমান বিন উসমান] সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মানুষেরা তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। ২. ইসমাইল বিন মুসলিম আল খাওলানী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। সুফইয়ান বিন উয়াইনাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইবনি মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। আমর ইবনিল ফাল্লাস বলেন, হাদিস বর্ণনায় তিনি দুর্বল তাছাড়া তিনি হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৫/১৫৯. অধ্যায়ঃ নামাজের পর খুতবাহ্‌র জন্য অপেক্ষা করা।

১২৯০. আবদুল্লাহ্‌ ইবনিস সাইব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ঈদের দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম। তিনি আমাদের নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েন, অতঃপর বলেন, আমরা নামাজ আদায় করেছি। অতএব যে পছন্দ করে সে খুতবাহ্‌র জন্য বসুক এবং যে চলে যেতে পছন্দ করে সে চলে যাক। {১২৯০}

{১২৯০} নাসায়ি ১৫৭১, আবু দাউদ ১১৫৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬২৯, সহিহ আবু দাউদ ১০৪৮।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৬০. অধ্যায়ঃ ঈদের নামাজের আগে ও পরে [নফল] নামাজ পড়া।

১২৯১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বের হয়ে এসে লোকদের সাথে নামাজ পরেন। তিনি ঈদের নামাজের পূর্বে বা পরে [নফল] নামাজ পড়েননি। {১২৯১}

{১২৯১} বোখারি ৯৮, ৮৬৩, ৯৫৯-৬০, ৯৬২, ৯৬৪, ৯৭৫, ৯৭৭, ১৪৪৯, ৪৮৯৫, ৫২৪৯, ৫৮৮০-৮১, ৭৩২৫; মুসলিম ৮৮১-৩, ৮৮৬; নাসায়ি ১৫৬৯, ১৫৮৬; আবু দাউদ ১১৪২, ১১৪৬, ১১৫৯; আহমাদ ১৬০৩-৪, ১৬১০, ১৯০৫, ১৯৮৪, ২০৬৩, ২১৭০, ২৫২৯, ২৫৬৯, ২৫৮৮, ৩০৫৪, ৩০৯৫, ৩২১৫, ৩২১৭, ৩৩০৫, ৩৪৭৭; ইবনি মাজাহ ১২৭৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৩১, সহিহ আবু দাউদ ১০৫১।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২৯২. আবদুল্লাহ বিন আম্‌র বিন শুআইব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] ঈদের নামাজের আগে ও পরে [নফল] নামাজ পড়েননি। {১২৯২}

{১২৯২} আহমাদ ৬৬৪৯ তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

১২৯৩. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদের নামাজের আগে কোন নামাজ আদায় করিতেন না। তবে তিনি তার বাড়িতে ফিরে আসার পর দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। {১২৯৩}

{১২৯৩} আহমাদ ১০৮৪২, ১০৯৬২। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৩৯৯। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫/১৬১. অধ্যায়ঃ পদব্রজে ঈদগাহে যাওয়া।

১২৯৪. সাদ বিন আয়িয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] পদব্রজে ঈদগাহে যেতেন এবং পদব্রজে ঈদগাহ থেকে ফিরে আসতেন। {১২৯৪}

হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৩৬। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আব্দুর রহমান বিন সাদ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। ২. সাদ বিন আম্মার সম্পর্কে ইবনিল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২৯৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পদব্রজেই ঈদগাহে যেতেন এবং পদব্রজেই ফিরে আসতেন। {১২৯৫}

হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি আব্দুর রহমান বিন আবদুল্লাহ আল উমারী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি একাধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি মিথ্যুক। ইমাম বোখারি তার ব্যপারে চুপ থেকেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যুক তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২৯৬. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। {১২৯৬}

{১২৯৬} তিরমিজি ৫৩০ তাহকিক আলবানিঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি হারিস [বিন আবদুল্লাহ] সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২৯৭. আবু রাফি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পদব্রজে ঈদগাহে আসতেন। {১২৯৭}

{১২৯৭} ইবনি মাজাহ ১৩০০ তাহকিক আলবানিঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও তার মাঝে একাধিক মুনকার হাদিস পাওয়া যায়। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫/১৬২. অধ্যায়ঃ ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে গমন এবং ভিন্ন রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন।

১২৯৮. সাদ বিন আয়িয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] যখন দু ঈদের নামাজের জন্য বের হইতেন, তখন সাঈদ বিন আবুল আস [রাঃআঃ]-এর ঘরের নিকট দিয়ে আসহাবে ফাসাতীত-এর দিক থেকে ঈদগাহে যেতেন। ফেরার পথে তিনি বনূ যরাইহকের পথ ধরে, আম্মার বিন ইয়াসির ও আবু হুরায়রা [রাঃআঃ]-এর ঘরের সম্মুখ দিয়ে বালাত নামক স্থানের দিকে আসতেন। {১২৯৮}

{১২৯৮} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ রওযন নাসীর ৩৩৫। ১. আব্দুর রহমান বিন সাদ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। ২. সাদ বিন আম্মার সম্পর্কে ইবনিল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২৯৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি এক রাস্তা দিয়ে ঈদের মাঠে যেতেন এবং ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরে আসতেন। তার মতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ করিতেন। {১২৯৯}

{১২৯৯} আবু দাউদ ১১৫৬ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৩৭, সহিহ আবু দাউদ ১০৪৯। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন উমার [বিন হাফস বিন আসিম বিন উমার আল উমরী আল কারশী] সম্পর্কে ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার হাদিসে ইদতিরাব রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সানাদের মাঝে অতিরিক্ত করেন ও সিকাহ রাবির বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩০০. আবু রাফি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] পায়ে হেঁটে ঈদের মাঠে আসতেন এবং ভিন্ন পথে প্রত্যাবর্তন করিতেন। {১৩০০}

{১৩০০} ইবনি মাজাহ ১২৯৭ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মিনদাল [বিন আলী] সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি নুমায়র বলেন। তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ বিন আবু রাফি সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও তার মাঝে একাধিক মুনকার হাদিস পাওয়া যায়। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি

১৩০১. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] এক রাস্তা দিয়ে ঈদের মাঠে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন করিতেন। {১৩০১}

{১৩০১} বোখারি ৯৮৬, তিরমিজি ৫৪১, আহমাদ ৮২৪৯, দারিমি ১৬১৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ১৪৪৭, ইরওয়াহ ১০৫। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন সিকাহ বললেও ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার হাদিসে অধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনি খিরাশ তাকে মিথ্যুক বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৬৩. অধ্যায়ঃ ঈদের দিন দফ বাজানো।

১৩০২. আমির [বিন শুরাহীল] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়াদ আল-আশআরী [রাঃআঃ] আম্বার নামক এলাকায় ঈদের সলাতে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, আমি তোমাদের দফ বাজাতে দেখছি না কেন, যেমন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে তা বাজানো হত? {১৩০২}

{১৩০২} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ যঈফা ৪২৮৫। উক্ত হাদিসের রাবি শারীক [বিন আবদুল্লাহ বিন আবু শারীক] সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু যখন তার হাদিস সিকাহ রাবির বিপরীত হয় তখন তিনি তার মত পরিবর্তন করে নেন। এটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তাকে হাদিস সংমিশ্রণ করিতে দেখেছি।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১৩০৩. কায়স বিন সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যমানায় যা কিছু ঘটেছে তা আমি দেখেছি। একটি বিষয় আমি অবশ্যই দেখেছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময়ে ঈদুল ফিতরের দিন দফ বাজানো হতো। {১৩০৩}

২/১৩০৩ [১]. কায়স বিন সাদ [রাঃআঃ]। {১৩০৩}

তাহকীক আলবানি ঃ দঈফ।{১৩০৩} আহমাদ ১৫০৫৩ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/১৬৪. অধ্যায়ঃ ঈদের সলাতে বল্লম নিয়ে যাওয়া [সুতরা হিসেবে ব্যবহারের জন্য]

১৩০৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদের দিন ভোরবেলা ঈদগাহে যেতেন এবং তাহাঁর আগে আগে একটি বর্শা বহন করা হতো। তিনি ঈদগাহে পৌছলে তাহাঁর সামনে বর্শাটি পুতে দেয়া হতো। তিনি সেদিকে ফিরে নামাজ আদায় করিতেন। এ ছিলো সেই সময়কার ঘটনা, যখন ঈদগাহ ছিলো খোলা মাঠ। তাতে এমন কিছু ছিলো না যাকে সুতরা বানানো যেত। {১৩০৪}

{১৩০৪} বোখারি ৪৯৪, ৪৯৮, ৯৭২-৭৩; মুসলিম ৫০১-২, নাসায়ি ৭৪৭, ১৫৬৫; আবু দাউদ ৬৮৭, আহমাদ ৫৭০০, ৬২৫০, ৬২৮৩, ৬৩৫২; দারিমি ১৪১০, ইবনি মাজাহ ৯৪১, ১৩০৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫০৪ সহিহ, আবু দাউদ ৬৮৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩০৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ঈদের নামাজ অথবা অন্য কোন নামাজ আদায়কালে নবী [সাঃআঃ]-এর সামনে একটি বল্লম পুতে দেয়া হতো। তিনি সেদিকে ফিরে নামাজ আদায় করিতেন, লোকেরা তাহাঁর পেছনে থাকতো। নাফি [রাঃআঃ] বলেন, তাহাঁর অনুসরনে শাসকগণ এ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। {১৩০৫}

{১৩০৫} বোখারি ৪৯৪, ৪৯৮, ৯৭২-৭৩; মুসলিম ৫০১-২, নাসায়ি ৭৪৭, ১৫৬৫; আবু দাউদ ৬৮৭, আহমাদ ৫৭০০, ৬২৫০, ৬২৮৩, ৬৩৫২; দারিমি ১৪১০, ইবনি মাজাহ ৯৪১, ১৩০৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩০৬. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদের মাঠে বর্শা দ্বারা সুতরা করে নামাজ আদায় করিতেন। {১৩০৬}

সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১৬৫. অধ্যায়ঃ দু ঈদের সলাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ

১৩০৭. উম্মু আতিয়্যাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন [ঈদের মাঠে] মহিলাদের নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। উম্মু আতিয়্যাহ [রাঃআঃ] বলেন, আমরা বললাম, তাহাদের কারও যদি চাদর না থাকে, তার ব্যাপারে আপনার কি মত? তিনি বলেন, তার বোন নিজ চাদর থেকে তাকে পরাবে। {১৩০৭}

{১৩০৭} বোখারি ৩২৪, ৩৫১, ৯৭১, ৯৭৪, ৯৮০-৮১, ১৬৫২; মুসলিম ৮৯০/১-৩, তিরমিজি ৫৩৯, নাসায়ি ৩৯০, ১৫৫৮-৫৯; আবু দাউদ ১১৩৬, ১১৩৯; আহমাদ ২০২৬৫, দারিমি ১৬০৯, ইবনি মাজাহ ১৩০৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১০৪১-১০৪৩।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩০৮. উম্মু আতিয়্যাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা নাবালেগা ও বালেগা সকল মহিলাকে ঈদের মাঠে নিয়ে আসবে, যাতে তারা ঈদের নামাজে এবং মুসলিমদের দুআতে শরীক হইতে পারে। তবে ঋতুবতী মহিলারা যেন ঈদের মাঠে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। {১৩০৮}

{১৩০৮} বোখারি ৩২৪, ৩৫১, ৯৭১, ৯৭৪, ৯৮০-৮১, ১৬৫২; মুসলিম ৮৯০/১-৩, তিরমিজি ৫৩৯, নাসায়ি ৩৯০, ১৫৫৮-৫৯; আবু দাউদ ১১৩৬, ১১৩৯; আহমাদ ২০২৬৫, দারিমি ১৬০৯, ইবনি মাজাহ ১৩০৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ২৪০৭।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩০৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর কন্যাদের ও স্ত্রীদের দু ঈদের সলাতে নিয়ে যেতেন। {১৩০৯}

{১৩০৯} আহমাদ ২০৫৫, ৩৩০৫। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি হাজ্জাজ বিন আরতাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন। তিনি আমর থেকে হাদিস তাদলীস করিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বলদের থেকে তাদলীস করেন। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, আমি তাকে ইচ্ছা করেই বর্জন করেছি।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/১৬৬. অধ্যায়ঃ একই দিনে দু ঈদ একত্র হলে

১৩১০. ইয়াস বিন আবু রামলা আশ-শামী [মাজহুল বা অপরিচিত] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে যায়দ বিন আকরাম [রাঃআঃ] এর নিকট জিজ্ঞেস করিতে শুনেছি ঃ একই দিনে দু ঈদে আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে উপস্থিত ছিলেন? তিনি বলিলেন, হাঁ। সে বললো, তিনি কিভাবে কী করিতেন? যায়দ [রাঃআঃ] বলেন, তিনি ঈদের নামাজ পড়ার পর জুমুআর নামাজের ব্যাপারে অবকাশ দিতেন। অতঃপর যার ইচ্ছে হত সে জুমুআর নামাজ আদায় করতো। {১৩১০}

{১৩১০} নাসায়ি ১৫৯১, আবু দাউদ ১০৭০, আহমাদ ১৮৮৩১, দারিমি ১৬১২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৯৮১। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াস বিন আবু রামালা আশ-শামী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম যাহাবী ও ইবনিল কাত্তান বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩১১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের আজকের এই দিন দু ঈদ একত্র হয়েছে। অতএব যার ইচ্ছা জুমুআর নামাজ ছেড়ে দিতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা অবশ্যই জুমুআর নামাজ পড়বো।২/১৩১১ [১]. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ], রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের আজকের এই দিন দু ঈদ একত্র হয়েছে। অতএব যার ইচ্ছা সে জুমুআর নামাজ ছেড়ে দিতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা অবশ্যই জুমুআহর নামাজ আদায় করবো।

{১৩১১}তাহকীক আলবানি ঃ সহিহ।{১৩১১} সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৯৮৪।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৩১২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যামানায় একবার দু ঈদ একত্র হল। তিনি লোকদের নিয়ে নামাজ পড়ার পর বলেন, যে ব্যক্তি জুমুআর সলাতে আসতে চায় সে আসুক এবং যে চলে যেতে চায় সে চলে যাক [এবং যোহরের নামাজ পড়ুক]। {১৩১২}

সহিহ লিগাইরিহী। ১. জুবারাহ ইবনিল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ [আল্লাহ্‌ চায়তো] তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ২. মিনদাল বিন আলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াকুব বিব শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি নুমায়র বলেন, তিনি কিছু কিছু হাদিসের মাঝে সংমিশ্রণ করিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। ঈদের নামাজের তাকবির সংখ্যা , কিরাআত, খুতবা – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি

৫/১৬৭. অধ্যায়ঃ বৃষ্টির কারণে মাসজিদে নামাজ পড়া।

১৩১৩. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যামানায় ঈদের দিন বৃষ্টি হলে তিনি লোকেদের নিয়ে মাসজিদে নামাজ পড়তেন। {১৩১৩}

{১৩১৩} আবু দাউদ ১১৬০ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ৩৮০, ৫০৭, ৫৬৩, ৮৫৬, ৮৬৩, ৯১৮, ১০০৮, ১০২৩, ১১৩০, ১৩৫২, ১৩৭৩ সহিহ, ১১৬০, ১১৮৪, ২১৭৪, ৪৮৮৬ জইফ, ৯৩৭৪ হাসান সহিহ, ১৯০৫, ৩২০৩ সহিহ; ইরওয়া ৫২২ হাসান, ৪৪৪৫ জইফ; ইবনি মাজাহ ১০০০, ১২১৪, ১৫২৭, ৩০৭৪, ৩৬৯৫ সহিহ; নাসায়ি ৫৩৬, ৬৬৪, ৬৯৯, ৭১১, ৮৩১, ৮৩৪, ৮৮৪, ১২১৭, ১২২৪, ১৩১৪, ১৪৬০, ১৪৯১, ১৫১২, ১৫৯৯, ২১৯৩, ২১৯৫, ২৯৩৯ সহিহ, ১০৫৩, ১৩১৩ হাসান সহিহ, ১৪৮৪, ১৪৯০ জইফ; তিরমিজি ১৪৭, ৩০২, ৩০৩, ৩৪০ , ৫৮৩, ৮৫৬, ২৬৯২, ২৯৬২ সহিহ, ৫১১ হাসান সহিহ, ২৯৫৩ হাসান; মিশকাত ৩২৭ , ১৪৪৮, ১৪৯৩ জইফ, ৭০৫, ৭৯০, ১০১৭, ১১৪৭, ১২৯৫, ১৪৮৪, ১৬৫৯, ৩৯০৬, ৬২০১ মুত্তাফাকুন আলাইহি; ৮০৪, ১১৫৩, ১১৮৭, ২৫৪৫ সহিহ, ৪২১৩, ৪৮৫৮ লাম তাতিম্মা; সহিহ তারগিব ২৭৬, ৩০১, ৪১০, ৫৩৫, ৫৩৬ সহিহ, ৬৬৯ হাসান সহিহ; জইফ তারগিব ১৮২ জইফ মুআয্যাস, ২২৮ মুনকার, ১৭২৯ জইফ, যঈফা ৫৬০ মাওযূ ৪২৪৪; সহীহা ২৫৩১, ৩৪৪৬; ইবনি খুযাইমাহ ১০৯৪, ১৩৯৭ জইফ, ১২০০ হাসান। মিশকাত ১৪৪৮, জইফ আবু দাউদ ২১৩। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আব্বাস বিন উসমান দিমাশকী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী সিকাহ বললেও ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবির বিপরীত বর্ণনা করেন। ২. ঈসা বিন আবদুল আলা বিন আবু ফারওয়াহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ইবনিল কাত্তান বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায় না।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/১৬৮. অধ্যায়ঃ ঈদের দিন অস্ত্রসজ্জিত হওয়া।

১৩১৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] দু ঈদের দিন দেশের কোন শহরে অস্ত্রসজ্জিত হইতে নিষেধ করিয়াছেন, তবে শত্রুর উপস্থিতিতে তা করা যেতে পারে। {১৩১৪}

তাহকীক আলবানি ঃ দইফ জিদ্দান।{১৩১৪} জইফ জিদ্দান। তাখরিজ আলবানিঃ যঈফাহ ৫৬৫৪। উক্ত হাদিসের রাবি নাবিল বিন নাজিহ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী সিকাহ বললেও ইমাম যাহাবী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনি আদী বলেন, তার একাধিক হাদিস রয়েছে যা তিনি খুব অস্পষ্টভাবে বর্ণনা করিয়াছেন বিশেষ করে তিনি সাওরীর হাদিসে এমনটি করিয়াছেন। দারাকুতনী বলেন, তিনি সিকাহ নন। ২. ইসমাইল বিন যিয়াদ সম্পর্কে ইবনি আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইবনি হিব্বান তার দাজ্জাল কিতাবে বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা ঠিক নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল।হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল

৫/১৬৯. অধ্যায়ঃ দু ঈদের দিন গোসল করা।

১৩১৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদহার দিন গোসল করিতেন। {১৩১৫}

তাহকীক আলবানি ঃ দইফ জিদ্দান।{১৩১৫} জইফ জিদ্দান। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ১৪৬। উক্ত হাদিসের রাবি ১. জুবারাহ ইবনিল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ [আল্লাহ্‌ চায়তো] তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ২. হাজ্জাজ বিন তামীম সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও আল আযদী তাকে দুর্বল বলেছেন। আল উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন।হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল

১৩১৬. ফাকিহ বিন সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি সহাবী ছিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঈদুল ফিতর, ঈদুল আয্হা ও আরাফার দিন গোসল করিতেন। ফাকিহ [রাঃআঃ] তার পরিবার-পরিজনদের ঐ দিনগুলোতে গোসল করার নির্দেশ দিতেন। {১৩১৬}

তাহকীক আলবানি ঃ মাওযু।{১৩১৬} আহমাদ ১৬২৭৯ তাহকিক আলবানিঃ মাওযু। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৪৫৯০ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি ইউসুফ বিন খালিদ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না কারণ তিনি মিথ্যুক। আমর বিন ফাল্লাস ও আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইমাম বোখারি তার ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। ২. আব্দুর রহমান বিন উকবাহ আল ফাকিহ বিন সাদ সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। হাদিসের তাহকিকঃ জাল হাদিস

৫/১৭০. অধ্যায়ঃ দু ঈদের নামাজের ওয়াক্ত।

১৩১৭. আবদুল্লাহ বিন বুসর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি লোকদের সাথে ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার দিন বের হলেন। ইমামের বিলম্বে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমরা তো এ সময়ে ঈদের নামাজ শেষ করতাম। আর তখন চাশতের নামাজের সময়। {১৩১৭}

{১৩১৭} আবু দাউদ ১১৩৫ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ১০১, সহিহ আবু দাউদ ১০৪০। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আবদুল ওয়াহহাব বিন ইবনিদ দাহহাক সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার নিকট আশ্চর্য আশ্চর্য হাদিস পাওয়া যায়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস হাদিস বর্ণনা করেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও মিথ্যুক। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন আওফ বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করিয়াছেন। ইবনি আদী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply