সুন্নত নামাজের রাকাত – ফজর থেকে এশা পর্যন্ত

সুন্নত নামাজের রাকাত – ফজর থেকে এশা পর্যন্ত

সুন্নত নামাজের রাকাত – ফজর থেকে এশা পর্যন্ত >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৫, অধ্যায়ঃ (১০০-১১৩)=১৪টি

৫/১০০. অধ্যায়ঃ বারো রাকআত সুন্নাতের বর্ণনা।

১১৪০. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত বারো রাকআত সুন্নাত নামাজ পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হইবে। যোহরের [ফরজের] আগে চার রাকআত ও [ফরজের] পরে দু রাকআত, মাগরিবের [ফরজের] পরে দু রাকআত, ইশার [ফরজের] পর দু রাকআত এবং ফজরের [ফরযের] পূর্বে দু রাকআত। {১১৪০}

{১১৪০} তিরমিজি ৪১৪, নাসায়ি ১৭৯৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ তালীকুর রগীব ২০১, সহিহ তারগিব ৫৭৯। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৪১. উম্মু হাবীবাহ বিনতু আবু সুফইয়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি দিনে বারো রাকআত [সুন্নাত] নামাজ পড়লো, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। {১১৪১}

{১১৪১} মুসলিম ৭২১-২, তিরমিজি ৪১৫, নাসায়ি ১৭৯৬-৯৯, ১৮০১-২, ১৮০৪, ১৮০৮-১০; আহমাদ ২৬২২৮, ২৬৮৬৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ২৩৪৭, সহিহ আবু দাউদ ১১৩৬। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৪২. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক বারো রাকআত [সুন্নাত] নামাজ পড়লো, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মান করা হয়। ফজরের [ফরযের] পূর্বে দু রাকআত, যোহরের [ফরজের] পূর্বে দু রাকআত এবং পরে দু রাকআত। রাবি বলেন আমার ধারণা মতে তিনি বলেছেন, আসরের [ফরযের] পূর্বে দু রাকআত, মাগরিবের [ফরযের] পরে দু রাকআত এবং আমার ধারণা মতে তিনি বলেছেন, ইশার [ফরযের] পরে দু রাকআত। {১১৪২}

তাহকীক আলবানি ঃ হাদীসটি দঈফ; যুহরের পূর্বে ৪ রাকআত এই শব্দে সহিহ।{১১৪২} নাসায়ি ১৮১১ তাহকিক আলবানিঃ হাদীসটি জইফ; যুহরের পূর্বে ৪ রাকআত এই শব্দে সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ১২৫০ সহিহ, জামি সগীর ৫৭৩৬, ৬৩৬২ সহিহ, ৫৬৫৭, ৫৬৫৮, ৫৬৭২ জইফ, সহিহা ২৩৪৭। উক্ত হাদিসের রাবি সুহায়ল বিন আবু সালিহ সম্পর্কে মোহাম্মাদ বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। সুফইয়ান বিন উয়ায়নাহ বলেন, সাবত। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার বর্ণিত হাদিস সহিহ নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনি আদী বলেন, তার খবর মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৫/১০১. অধ্যায়ঃ ফজরের [ফরযের] পূর্বে দু রাকআত সুন্নাত নামাজ সম্পর্কে।

১১৪৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] সুবহে সাদেক স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হওয়ার পর দু রাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেন। {১১৪৩}

তাহকীক আলবানি ঃ সহিহ তবে হাদীসটি ইবনি উমার হাফসাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। {১১৪৩} আহমাদ ৪৫৭৭ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ তবে হাদিসটি ইবনি উমার ইবনি হাফসাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৪৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফজরের আযান শোনামাত্র দু রাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেন। {১১৪৪}

{১১৪৪} বোখারি ৯৯৫, মুসলিম ৭৪৯, তিরমিজি ৪৬১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৪৫. উমার [রাঃআঃ]-এর কন্যা হাফসাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফজরের নামাজের আযান হওয়ার পরে এবং ফজর নামাজ আদায় করিতে যাওয়ার পূর্বে হালকাভাবে [স্বল্প সময়ে] দু রাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেন। {১১৪৫}

{১১৪৫} বোখারি ৬১৮, ১১৭৩, ১১৮১; মুসলিম ৭২১-২, নাসায়ি ১৭৬০-৬১, ১৭৬৫-৭৯; আহমাদ ২৫৮৮৪, ২৫৮৯০, ২৫৮৯৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৮৫, দারিমি ১৪৩৩-৪৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৪৬. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] উযু করার পর দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন, তারপর [ফারয্] নামাজ পড়ার জন্য চলে যেতেন। {১১৪৬}

সহিহ। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৪৭. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] ইকামতের কাছাকাছি সময় দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। {১১৪৭}

জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি শারীক সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু যখন তার হাদিস সিকাহ রাবির বিপরীত হয় তখন তিনি তার মত পরিবর্তন করে নেন। এটা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তাকে হাদিস সংমিশ্রণ করিতে দেখেছি। ২. হারিস [বিন আবদুল্লাহ] সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/১০২. অধ্যায়ঃ ফজরের ফরয নামাজের পূর্বের দু রাকআত সুন্নাত নামাজের কিরআত।

১১৪৮. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] ফজরের ফরয নামাজের পূর্বেই দু রাকআত সুন্নাত সলাতে সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন। {১১৪৮}

{১১৪৮} মুসলিম ৭২৬, নাসায়ি ৯৪৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৮৫২, সহিহ আবু দাউদ ১১৪২। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৪৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে একমাস যাবত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বেকার দু রাকআত সুন্নাত সলাতে সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস তিলাওয়াত করিতে দেখেছি [শুনেছি]। {১১৪৯}

{১১৪৯} তিরমিজি ৪১৭, নাসায়ি ৯৯২, আহমাদ ৫৬৫৮, ৫৬৬৬, ৫৭০৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ২৬৮, সহিহা ৩৩২৮। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৫০. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফজরের [ফরযের] পূর্বে দু রাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করিতেন। তিনি বলিতেন ঃ এ দু রাকআত সলাতে কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়া কতই না উত্তম! {১১৫০}

{১১৫০} বোখারি ৬১৯, ৬২৬, ৯৯৪, ১১৬৪-৬৫, ১১৮২; তিরমিজি ৮৫৯, নাসায়ি ৬৮৫, ৯৪৬, ১৭৪৯, ১৭৫৬, ১৭৫৭-৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০-৮১; আবু দাউদ ১২৫১, ১২৫৪-৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪, ১৩৩৬, ১৩৩৯-৪০, ১৩৫৯-৬০; আহমাদ ২৩৪৯৭, ২৩৬৪৭, ২৩৭১৯, ২৩৭৩৭, ২৩৭৫০, ২৩৮১৯, ২৩৯৪০, ২৪০১৬, ২৪০৫৬, ২৪২১১, ২৪৩৩৯, ২৪৩৭৯, ২৪৪৪৭, ২৪৪৮৬, ২৪৫৮১, ২৪৬২৩, ২৪৭৮৭, ২৪৭৯১, ২৪৮১৬, ২৪৮৩৩, ২৪৯৫৮, ২৫০০২, ২৫০৩১, ২৫২৭৭, ২৫২৮৫, ২৫৪০৫, ২৫৪৫২, ২৫৪৮৪, ২৫৪৯১, ২৫৫৭৫, ২৫৫৯১, ২৫৬৩৬, ২৫৮৫৭; মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৬৬, ২৮৬; দারিমি ১৪৩৯, ১৪৪২, ১৪৪৬-৪৭, ১৪৭৩-৭৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ৬৪৬। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১০৩. অধ্যায়ঃ ইকামাত দেয়ার পর ফরয নামাজ ব্যতীত অন্য নামাজ পড়া যাবে না।

১১৫১. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যখন ইকামাত দেয়া হয়, তখন ফরয নামাজ ছাড়া অন্য কোন নামাজ পড়া যাবে না।

১/১১৫১ [১]. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] নবী [সাঃআঃ] সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। {১১৫১}

তাহকীক আলবানি ঃ সহিহ।{১১৫১} মুসলিম ৭১০/১-২, তিরমিজি ৪২১, নাসায়ি ৮৬৫-৬৬, আবু দাউদ ১২৬৬, আহমাদ ৮১৭৯, ৮৪০৯, ৯৫৬৩, ১০৩২০, ১০৪৯৩; দারিমি ১৪৪৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৫২. আবদুল্লাহ বিন সারজিস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [ফজরের] ফরয নামাজ আদায়রত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ফজরের নামাজের পূর্বে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতে দেখেন। তিনি নামাজ শেষে তাকে বলেন, তোমার দু নামাজের কোনটি হিসাব করলে? {১১৫২}

{১১৫২} মুসলিম ৭১২, নাসায়ি ৮৬৮, আবু দাউদ ১২৬৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৪৯। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৫৩. আবদুল্লাহ বিন মালিক বিন বুহাইনাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজরত এক ব্যক্তিকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। তখন ফজরের নামাজের ইকামাত হয়ে গেছে। তিনি তাকে কী যেন বলিলেন যা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। সে নামাজ শেষ করলে আমরা তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তোমাকে কি বলেছেন? লোকটি বললো, তিনি আমাকে বললেনঃ অচিরেই তোমাদের কেউ ফজরে চার রাকআত [ফরয] পড়বে। {১১৫৩}

{১১৫৩} বোখারি ৬৬৩, মুসলিম ৭১১-২, নাসায়ি ৮৬৭, আহমাদ ২২৪১৩, ২৭৭১২; দারিমি ১৪৪৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১০৪. অধ্যায়ঃ কারো ফজরের দু রাকআত সুন্নত ছুটে গেলে সে তা কখন কাযা করিবে?

১১৫৪. কায়স বিন আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে ফজরের নামাজের পর দু রাকআত নামাজ আদায় করিতে দেখে বলেন, ফজরের নামাজ কি দুবার? লোকটি তাঁকে বললো, আমি ফজরের পূর্বের দু রাকআত পড়তে পারিনি, সেই দু রাকআত পড়লাম। রাবি বলেন, তখন নবী [সাঃআঃ] নীরব থাকলেন। {১১৫৪}

{১১৫৪} তিরমিজি ৪২২, আবু দাউদ ১২৬৭, আহমাদ ২৩২৪৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৫১। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৫৫. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] ফজরের দু রাকআত সুন্নাত না পরে ঘুমিয়ে রইলেন। তিনি সূর্যোদয়ের পর তা পড়লেন। {১১৫৫}

{১১৫৫} তিরমিজি ৪২৩ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১০৫. অধ্যায়ঃ যোহরের ফরয নামাজের পূর্বের চার রাকআত সম্পর্কে।

১১৫৬. কাবূস হইতে বর্ণিতঃ

আমার পিতা আমাকে আয়িশা [রাঃআঃ]-এর নিকট জানতে পাঠান যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন নামাজ নিরবচ্ছিন্নভাবে পড়তে পছন্দ করিতেন? তিনি বলেন, তিনি যোহরের পূর্বে চার রাকআত নামাজ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়তেন এবং তার রুকূ-সাজদাহসমূহ উত্তমরূপে আদায় করিতেন। {১১৫৬}

{১১৫৬} আহমাদ ২৩৬৪৪ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৫৮৬। উক্ত হাদিসের রাবি কাবুস সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান সিকাহ বলেছেন। ইবনি আদী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১১৫৭. আবু আয়্যূব [খালিদ বিন যায়দ বিন কুলায়ব আনসারী] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] সূর্য ঢলে গেলে যোহরের [ফরযের] পূর্বে এক সালামে চার রাকআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করিতেন। তার মাঝে সালাম দিয়ে পার্থক্য করিতেন না। তিনি বলিতেন ঃ সূর্য ঢলে গেলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। {১১৫৭}

তাহকীক আলবানি ঃ ফসলের বাক্য ছাড়া সহিহ। {উক্ত হাদিসের মানের ব্যাপারে অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নিন} {১১৫৭} আবু দাউদ ১২৭০ তাহকিক আলবানিঃ ফসলের বাক্য ছাড়া সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৫৩, মিশকাত ১১৬৮, যহীহ তারগিব ৫৮৪। উক্ত হাদিসের রাবি উবায়দাহ বিন মুআত্তিব আদদবীয়্যু সম্পর্কে আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল ও তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মানুষেরা তাকে বর্জন করিয়াছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৫/১০৬. অধ্যায়ঃ কারো যোহরের চার রাকআত সুন্নাত ছুটে গেলে।

১১৫৮. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যোহরের চার রাকআত সুন্নাত ছুটে গেলে, তিনি তা যোহরের দু রাকআত সুন্নাতের পর পড়তেন। {১১৫৮}

{১১৫৮} তিরমিজি ৪২৬ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ যঈফা ৪২০৮ মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবি মুসা বিন দাউদ সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/১০৭. অধ্যায়ঃ কারো যোহরের পরের দু রাকআত সুন্নাত ছুটে গেলে।

১১৫৯. উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] [আবদুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

মুয়াবিয়া [রাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ]-এর নিকট পাঠালেন। আমিও এই ব্যক্তির সাথে গেলাম। তিনি উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ]–কে [যোহরের দু রাকআত সুন্নাত সম্পর্কে] জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার ঘরে যোহরের নামাজের উযু করছিলেন। তিনি এক ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। তার কাছে বহু সংখ্যক মুহাজির উপস্থিত হন। তাহাদের অবস্থা তাঁকে চিন্তান্বিত করেছিলেন। হঠাত ঘরের দরজায় আঘাত করা হলো। তিনি বেরিয়ে গেলেন এবং যোহরের নামাজ পড়লেন। অতঃপর তিনি বসে আগত মাল বন্টন করিতে লাগলেন। রাবি বলেন, এ অবস্থায় আসরের নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি আমার ঘরে প্রবেশ করে দু রাকআত নামাজ পড়লেন, অতঃপর বললেনঃ যাকাত আদায়কারীর বিষয় আমাকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছে যোহরের পরের দু রাকআত পড়া থেকে। আসরের পর সেই দু রাকআত পড়লাম। {১১৫৯}

{১১৫৯} বোখারি ১২৩৩, ৪৩৭০; মুসলিম ৮৩৪, নাসায়ি ৫৭৯-৮০, আবু দাউদ ১২৭৩, আহমাদ ২৬১১১, দারিমি ১৪৩৬। তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৫৫। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ সম্পর্কে আহমাদ বিন সালিহ তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৫/১০৮. অধ্যায়ঃ যোহরের ফরয নামাজের আগে ও পরে যে ব্যক্তি চার রাকআত করে সুন্নাত নামাজ পড়লো।

১১৬০. উম্মু হাবীবা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি যোহরের [ফারদের] আগে চার রাকআত এবং পরে চার রাকআত নামাজ পড়লো, আল্লাহ্‌ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। {১১৬০}

{১১৬০} তিরমিজি ৪২৭-২৮, আবু দাউদ ১২৬৯, আহমাদ ২৬২৩২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ১১৬৮, সহিহ আবু দাউদ ১১৫২। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১০৯. অধ্যায়ঃ দিনের বেলা নফল নামাজ পড়া উত্তম।

১১৬১. আসিম বিন দমরাহ আস-সালূলী হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আলী [রাঃআঃ]-কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দিনের বেলার নফল নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, তোমরা তা করিতে সমর্থ নও। আমরা বললাম, আপনি আমাদের সেই সম্পর্কে অবহিত করুন, আমরা তা থেকে আমাদের সাধ্যমত গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফজরের নামাজ পড়ার পর কিছুক্ষণ অবসর থাকতেন। অবশেষে সূর্য আসরের সময় পশ্চিমাকাশে যত উপরে থাকে, পূর্বাকাশে ঠিক ততটা উপরে উঠলে তিনি দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন, অতঃপর অবসর থাকতেন। অবশেষে পশ্চিম আকাশে সূর্য যতটা উপরে থাকলে যোহরের নামাজের ওয়াক্ত থাকে, পূর্বাকাশে সূর্য ঠিক ততখানি উপরে উঠলে তিনি চার রাকআত নামাজ আদায় করতো। সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার পর তিনি যোহরের [ফরয] নামাজের পূর্বে চার রাকআত এবং পরে দু রাকআত পড়তেন। তিনি আসরের পূর্বেও দু সালাম চার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন এবং তার মাঝখানে নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ, আম্বিয়া [আঃ] এবং তাহাদের অনুগত মুমিন মুসলিমদের জন্য শান্তি ও স্বস্তি কামনা করিতেন [তাশাহ্‌হুদ পড়তেন]। আলী [রাঃআঃ] বলেন, এই হলো রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম]-এর দিনের বেলার ষোল রাকআত নফল নামাজ। খুব কম লোকই তার উপর স্থায়ীভাবে আমাল করিতে পারে। ওয়াকী [রহঃ] বলেন, আমার পিতা এতে আরো বলেছেন, হাবীব বিন আবু সাবিত [রহঃ] বলেছেন, হে আবু ইসহাক! আপনার এই হাদীসের পরিবর্তে এই মাসজিদ ভর্তি সোনা আমার মালিকানাভুক্ত হলে তাও আমার প্রিয় হতো না। {১১৬১}

{১১৬১} তিরমিজি ৪২৪, ৫৯৮; নাসায়ি ৮৭৪-৭৫, আহমাদ ৬৫১। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ১১৭১, মুখতাসর শামাইল ২৪৩। উক্ত হাদিসের রাবি জাররাহ বিন মালীহ বিন আদী সম্পর্কে ইবনি আদী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। ২. আবু ইসহাক সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫/১১০. অধ্যায়ঃ মাগরিবের [ফরয নামাজের] পূর্বে দু রাকআত নামাজ।

১১৬২. আবদুল্লাহ বিন মুগাফফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রতি দু আযানের মধ্যবর্তী সময়ে একটা নামাজ আছে। তিনি এই কথা তিনবার বলেন এবং তৃতীয়বারে বলেন, তবে যে চায় তার জন্য। {১১৬২}

{১১৬২} বোখারি ৬২৪, ৬২৭; মুসলিম ৮৩৮, তিরমিজি ১৮৫, নাসায়ি ৬৮১, আবু দাউদ ১২৮৩, আহমাদ ১৬৩৪৮, ২০০২১, ২০০৩৭, ২০০৫১; দারিমি ১৪৪০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৬৩। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৬৩. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যমানায় মুআযযিন [মাগরিবের] আযান দিলে মনে হতো তা যেন ইকামাত। কারণ প্রচুর সংখ্যক লোক দাঁড়িয়ে মাগরিবের আগে দু রাকআত নামাজ আদায় করতো। {১১৬৩}

{১১৬৩} বোখারি ৫০৩, ৬২৫; মুসলিম ৮৩৭, নাসায়ি ৬৮২, আহমাদ ১৩৫৭১, দারিমি ১৪৪১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৬২। উক্ত হাদিসের রাবি আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১১১. অধ্যায়ঃ মাগরিবের ফরয নামাজের পরে দু রাকআত নামাজ।

১১৬৪. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] মাগরিবের [ফরয] নামাজ পড়ার পর আমার ঘরে ফিরে এসে দু রাকআত সুন্নাত নামাজ আদায় করতো। {১১৬৪}

{১১৬৪} তিরমিজি ৪৩৬ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৩৭।সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১১৬৫. রাফি বিন খাদীজ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের আবদুল আশহাল গোত্রে আসলেন এবং আমাদেরসহ আমাদের মাসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়লেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা এই দু রাকআত তোমাদের বাড়িতে গিয়ে পড়বে। {১১৬৫}

{১১৬৫} নাই তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ তালীক ইবনি খুযাইমাহ ১২০০, ১২০১, সহিহ আবু দাউদ ১১৭৬। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আবদুল ওয়াহহাব ইবনিদ দাহহাক সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার নিকট আশ্চর্য আশ্চর্য হাদিস শুনা যায়। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। সালিহ জাযারাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও মিথ্যুক। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং প্রত্যাখ্যানযোগ্য। মুহাম্মাদ বিন আওফ বলেন, তিনি একাধিক হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করিয়াছেন। ইবনি আদী বলেন, তার কিছু কিছু হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। ২. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫/১১২. অধ্যায়ঃ মাগরিবের ফরয নামাজের পরের দু রাকআত [সুন্নাত] নামাজের কিরাআত।

১১৬৬. আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] মাগরিবের [ফরয] নামাজের পরের দু রাকআতে সূরাহ কাফিরূন ও সূরাহ ইখলাস পড়তেন। {১১৬৬}

{১১৬৬} তিরমিজি ৪৩১ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ লিগাইরিহি, মিশকাত ৮৫১, সহিহা ৩৩২৮। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আব্দুর রহমান বিন ওয়াকিদ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও ইবনি আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও সিকাহ রাবি থেকে চুরি করে হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। ২. আবদুল মালিক ইবনিল ওয়ালীদ সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার ব্যাপারে মন্তব্য রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইবনি আদী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। আল আযদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।সুন্নত নামাজের রাকাত – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/১১৩. অধ্যায়ঃ মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকআত [আওয়াবীন] নামাজ।

১১৬৭. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকআত নফল নামাজ পড়লো এবং তার মাঝখানে কোন মন্দ কথা বলেনি, তাকে বারো বছরের ইবাদাতের সম-পরিমাণ নেকী দান করা হলো। {১১৬৭}

তাহকীক আলবানি ঃ দঈফ জিদ্দান।{১১৬৭} তিরমিজি ৪৩৫, ইবনি মাজাহ ১৩৭৪। তাহকিক আলবানিঃ জইফ জিদ্দান। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৫৬৬১ জইফ জিদ্দান, ইবনি মাজাহ ১৩৭৪ জইফ জিদ্দান, তিরমিজি ৪৩৫ জইফ জিদ্দান, মিশকাত লাম তাতিম্মা ১১৭৩, জইফ তারগিব ৩৩১ জইফ, যঈফা হ৪৬৯ জইফ জিদ্দান। উক্ত হাদিসের রাবি ১. আবুল হুসায়ন আল উকলী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ২. উমার বিন আবু খাসআম আল ইয়ামামী সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না।হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply