সফরের নামাজের নিয়ম – নামাজ ত্যাগকারীর বিধান
সফরের নামাজের নিয়ম – নামাজ ত্যাগকারীর বিধান >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৫, অধ্যায়ঃ (৭৩-৭৭)=৫টি
- ৫/৭৩. অধ্যায়ঃ সফরে নামাজ কসর [হ্রাস] করা।
- ৫/৭৪. অধ্যায়ঃ সফরে দু ওয়াক্তের নামাজ একত্রে পড়া।
- ৫/৭৫. অধ্যায়ঃ সফরে নফল নামাজ।
- ৫/৭৬. অধ্যায়ঃ মুসাফির কোন জনপদে অবস্থান করলে কত দিন নামাজ কসর করিবে?
- ৫/৭৭. অধ্যায়ঃ নামাজ ত্যাগকারীর বিধান।
৫/৭৩. অধ্যায়ঃ সফরে নামাজ কসর [হ্রাস] করা।
১০৬৩. উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] -এর যবানীতে সফরের নামাজ দু রাকাআত, জুমুআহ্র নামাজ দু রাকাআত এবং ঈদের নামাজ দু রাকাআত। এগুল পূর্ণ নামাজ, এগুলোর কসর নাই। {১০৬৩}
{১০৬৩} আহমাদ ২৫৯, ইবনি মাজাহ ১০৬৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ লিগাইরিহী। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৬৩৮।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি
১০৬৪. উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] -এর যবানীতে সফরের নামাজ দু রাকাআত, জুমুআহ্র নামাজ দু রাকাআত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ দু রাকাআত করে, এগুল কসর ব্যতীত পূর্ণ নামাজ। {১০৬৪}
{১০৬৪} আহমাদ ২৫৯, ইবনি মাজাহ ১০৬৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৬৫. উমার ইবনিল খাত্তাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনিল খাত্তাব [রাঃআঃ]-এর নিকট এই আয়াত উল্লেখপূর্বক [অনুবাদ] ঃ “যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, কাফেররা তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করিবে, তবে নামাজ সংক্ষিপ্ত করলে এতে তোমাদের কোন দোষ নেই” জিজ্ঞেস করলাম যে, মানুষ তো এখন নিরাপদে আছে? তিনি বলেন, তুমি যে বিষয়ে বিস্ময় বোধ করছো, আমিও সে বিষয়ে বিস্ময় বোধ করেছিলাম। এ বিষয়ে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এতো একটি দানবিশেষ, যা আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের দিয়েছেন। কাজেই তোমরা তাহাঁর দান গ্রহন করো। {১০৬৫}
{১০৬৫} মুসলিম ৬৮৬, তিরমিজি ৩০৩৪, নাসায়ি ১৪৩৩, আবু দাউদ ১১৯৯, আহমাদ ১৭৫, ২৪৬, দারিমি ১৫০৪, ১৫০৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ১০৮৩। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৬৬. উমাইয়্যাহ বিন আবদুল্লাহ বিন খালিদ হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ বিন উমার [রাঃআঃ] কে বলেন, আমরা কুরআনুল কারীমে মুকীম ব্যক্তির নামাজ ও ভীতির নামাজ [সলাতুল খাউফ] সম্পর্কে বর্ণনা পাই, অথচ মুসাফিরের নামাজের বর্ণনা পাই না। আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] তাকে বলেন, আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের নিকট মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] -কে প্রেরণ করিয়াছেন এবং আমরা কিছুই জানতাম না। আমরা মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] -কে যেরূপ করিতে দেখেছি, আমরাও অবশ্যি তদ্রূপ করি। {১০৬৬}
{১০৬৬} নাসায়ি ৪৫৭, ১৪৩৪; আহমাদ ৫৩১১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৬৭. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ মাদীনাহ শহর থেকে কোথাও রওয়ানা হয়ে গেলে, এখানে ফিরে না আসা পর্যন্ত দু রাকাআতের অধিক নামাজ আদায় করিতেন না। {১০৬৭}
{১০৬৭} আহমাদ ৫৭১৬ তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি বিশর বিন হারব সম্পর্কে সুলায়মান বিন হারব তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আলী ইবনিল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
১০৬৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের নবী [সাঃআঃ] -এর যবনীতে [তাহাঁর বান্দাদের উপর] মুকীম অবস্থায় চার রাকাআত এবং মুসাফির অবস্থায় দু রাকাআত নামাজ ফার্দ করিয়াছেন। {১০৬৮}
{১০৬৮} মুসলিম ৬৮৭, নাসায়ি ৪৫৬, ১৪৪১-৪২; আবু দাউদ ১২৪৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১১৩৪। উক্ত হাদিসের রাবি জুবারাহ ইবনিল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্ [আল্লাহ্ চায়তো] তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/৭৪. অধ্যায়ঃ সফরে দু ওয়াক্তের নামাজ একত্রে পড়া।
১০৬৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি অবহিত করেন যে, ব্যতিব্যস্ততা, শত্রুর আক্রমণাশঙ্কা এবং অন্য কিছুর ভয়ভীতিমুক্ত অবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সফরে মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে পড়তেন। {১০৬৯}
{১০৬৯} আহমাদ ১৮৭৭ তিরমিজি ৫৫৪ সহিহ। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। ইমাম নাসাঈ ও ইবনি আদী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১০৭০. মুআয বিন জাবাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাবূক যুদ্ধের সফরে যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করেন। {১০৭০}
{১০৭০} মুসলিম ৭০১-২, তিরমিজি ৫৫৩, নাসায়ি ৫৮৭, আবু দাউদ ১২০৬, ১২০৮, ১২২০; আহমাদ ২৫৫৬৫, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৩০, দারিমি ১৫১৪-১৫। তাহকিক আলবানিঃ তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৩১, সহিহ আবু দাউদ ১০৮৯।হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫/৭৫. অধ্যায়ঃ সফরে নফল নামাজ।
১০৭১. হাফস বিন আসিম হইতে বর্ণিতঃ
হাফস বিন আসিম বলেন আমরা এক সফরে ইবনি উমার [রাঃআঃ] -এর সাথে ছিলাম। তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ পড়েন। অতঃপর আমরা সেখান থেকে তার সাথে ফিরে আসি। রাবি বলেন, তিনি একদল লোককে নামাজ আদায় করিতে দেখে বলেন, ঐ সকল লোক কি করছে? আমি বললাম, তারা নফল নামাজ পড়ছে। তিনি বলেন, সফরে নফল নামাজ পড়া জরুরী মনে করলে, আমি আমার ফার্দ নামাজ পুরটাই পড়তাম। হে ভাতিজা, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সফরসঙ্গী ছিলাম। তিনি তাহাঁর ইন্তিকাল পর্যন্ত সফরে দু রাকআতের অধিক নামাজ পড়েননি। তারপর আমি আবু বকর [রাঃআঃ] -এর সফরসঙ্গী ছিলাম, তিনিও দু রাকআতের অধিক নামাজ পড়েননি। এরপর আমি উমার [রাঃআঃ] -এর সফরসঙ্গী ছিলাম এবং তিনিও দু রাকআতের অধিক নামাজ পড়েননি। অতঃপর আমি উসমান [রাঃআঃ] -এর সফরসঙ্গী ছিলাম, তিনিও দু রাকআতের অধিক নামাজ পড়েননি। এই অবস্থায় তারা ইন্তিকাল করেন। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর মধ্যে অবশ্যি তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ” [সূরা আহ্যাব ঃ ২১]। {১০৭১}
{১০৭১} বোখারি ১০৮২, ১১০১-২, ১৬৫৫, মুসলিম ৬৮১-২, ৬৯১-৩; নাসায়ি ১৪৫০, ১৪৫৭-৫৮, আবু দাউদ ১২২৩, আহমাদ ৪৮৪৩, দারিমি ১৫০৫-৬, ১৮৭৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫৬৩, সহিহ আবু দাউদ ১১০৮। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৭২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
[উসামাহ] বলেন, আমি তাঊসকে সফরে নফল নামাজ পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তখন হাসান বিন মুসলিম বিন ইয়ানাকও তার নিকট বসা ছিল। তিনি বলেন, তাঊস [রহঃ] আমাকে বলিলেন যে, তিনি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুকীম অবস্থার ও সফরকালের নামাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অতএব আমরা মুকীম ও মুসাফির অবস্থায় ফার্দ নামাজের আগে-পরে নফল নামাজ পড়তাম। {১০৭২}
{১২৭২} আহমাদ ২০৬৫ তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। তাখরিজ আলবানিঃ ইবনি মাজাহ ১০৬৬ সহিহ, নাসায়ি ১৪৩৪ সহিহ, ১৪৪১ সহিহ, সহিহ ইবনি খুযাইমাহ ৩০৫ জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
৫/৭৬. অধ্যায়ঃ মুসাফির কোন জনপদে অবস্থান করলে কত দিন নামাজ কসর করিবে?
১০৭৩. সায়িব বিন ইয়াযীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
সায়িব বিন ইয়াযীদ [রাঃআঃ] -কে জিজ্ঞেস করলাম, মক্কায় অবস্থানকারীর সম্পর্কে আপনি কি শুনেছেন? তিনি বলেন আমি আলা ইবনিল হাদরামি [রাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি, নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, তাওয়াফে সদরের পর মুহাজির তিন দিন নামাজ কসর করিবে। {১০৭৩}
{১০৭৩} বোখারি ৩৯৩৩, মুসলিম ১৩৫১-৪, তিরমিজি ৯৪৯, নাসায়ি ১৪৫৪-৫৫, আবু দাউদ ২০২২, আহমাদ ১৮৫০৫, ২০০০২; দারিমি ১৫১১-১২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১৭৬৩। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৭৪. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] যিলহাজ্জ মাসের চার তারিখ ভোরে মক্কায় উপনীত হন। {১০৭৪}
{১০৭৪} বোখারি ২৫০৬, ৭২৩০, ৮৩৬৭; নাসায়ি ২৮০৫, ২৮৭২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ ইবনি খুযাইমাহ ৯৫৭। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৭৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [মক্কায়] ঊনিশ দিন অবস্থান করেন এবং দু রাকআত করে [ফার্দ] নামাজ পড়েন। অতএব আমরা যখন ঊনিশ দিন অবস্থান করতাম, তখন দু রাকআত করে [ফার্দ] নামাজ পড়তাম এবং তার অধিক দিন অবস্থান করলে পূর্ণ চার রাকআতই পড়তাম। {১০৭৫}
{১০৭৫} বোখারি ১০৮০, ৪২৯৮, ৪৩০০; তিরমিজি ৫৪৯, আবু দাউদ ১২৩০, ইবনি মাজাহ ১০৭৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫৭৫, সহিহ আবু দাউদ ১১১৪। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৭৬. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কাহ বিজয়ের বছর তথায় পনেরো দিন অবস্থান করেন এবং নামাজ কসর করেন। {১০৭৬}
{১০৭৬} বোখারি ১০৮০, ৪২৯৮, ৪৩০০; তিরমিজি ৫৪৯, আবু দাউদ ১২৩০, ইবনি মাজাহ ১০৭৫। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ১২৩১ মুনকার, জইফ আবু দাউদ ২২৬, ইরওয়াহ ২৬-২৭। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১০৭৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সাথে মাদীনাহ থেকে মাক্কাহয় রওয়ানা হলাম। আমরা ফিরে না আসা পর্যন্ত দু রাকআত করে [ফার্দ] নামাজ আদায় করেছি। রাবি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কত দিন মক্কায় অবস্থান করেন? আনাস [রাঃআঃ] বলেন, দশ দিন। {১০৭৭}
{১০৭৭} বোখারি ১০৮১, ৮২৯৭; মুসলিম ৬৯৩, তিরমিজি ৫৪৮, নাসায়ি ১৪৩৮, ১৪৫২; আবু দাউদ ১২৩৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫, সহিহ আবু দাউদ ১১১৬। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/৭৭. অধ্যায়ঃ নামাজ ত্যাগকারীর বিধান।
১০৭৮. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, বান্দা ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ বর্জন। {১০৭৮}
{১০৭৮} মুসলিম ৮২, তিরমিজি ২৬১৮, ২৬২০; আবু দাউদ ৪৬৭৮, আহমাদ ১৪৫৬১, ১৪৭৬২; দারিমি ১২৩৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৭৯. বুরায়দাহ [ইবনিল হুসায়ব বিন আবদুল্লাহ ইবনিল হারিস] [রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমাদের ও তাহাদের [কাফেরদের] মধ্যে যে অংগীকার রয়েছে তা হলো নামাজ। অতএব যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করলো, সে কুফরী করলো। {১০৭৯}
{১০৭৯} তিরমিজি ২৬২১ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৫৭৪। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৮০. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, মুমিন বান্দা ও শিরক-এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ বর্জন করা। অতএব যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করলো, সে অবশ্যই শিরক করলো। {১০৮০}
{১০৮০} সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৫৬৫, ১৬৬৭। সফরের নামাজের নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply