ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম ও দায়িত্ত কর্তব্য
ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম ও দায়িত্ত কর্তব্য >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৫, অধ্যায়ঃ (৪১-৪৯)=৯টি, হাদীসঃ (৯৬০-৯৯১)=৩২টি
- ৫/৪১. অধ্যায়ঃ ইমামের আগে রুকু ও সিজদায় যাওয়া নিষিদ্ধ।
- ৫/৪২. অধ্যায়ঃ নামাজের মাকরূহসমুহ।
- ৫/৪৩. অধ্যায়ঃ লোকজন অপছন্দ করা সত্ত্বেও যে ব্যাক্তি তাহাদের ইমামতি করে।
- ৫/৪৪. অধ্যায়ঃ দু ব্যক্তির জামাআত।
- ৫/৪৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যাক্তি ইমামের কাছাকাছি দাঁড়াতে পছন্দ করে।
- ৫/৪৬. অধ্যায়ঃ যোগ্যতর ব্যক্তি ইমাম হইবে।
- ৫/৪৭. অধ্যায়ঃ ইমামের যা কর্তব্য।
- ৫/৪৮. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করে সে যেন [নামাজ] সহজ [সংক্ষিপ্ত] করে।
- ৫/৪৯. অধ্যায়ঃ উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ইমামের নামাজ সংক্ষিপ্ত করা।
৫/৪১. অধ্যায়ঃ ইমামের আগে রুকু ও সিজদায় যাওয়া নিষিদ্ধ।
৯৬০. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] আমাদেরকে শিক্ষা দিতেন যে, আমরা যেন ইমামের আগে রুকূ ও সিজদায় না যাই। তিনি আরো বলেন, ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তখন তোমরাও তাকবীর বলো এবং তিনি যখন সিজদা করেন, তোমরাও তখন সিজদা করো। {৯৬০}
{৯৬০} বোখারি ৭২২, ৭৩৪; মুসলিম ৪১৪-১৭, নাসায়ি ৯২১-২২, আবু দাউদ ৬০৩, আহমাদ ৭১০৪, ৮২৯৭, ৮৬৭২, ৯০৭৪, ৯১৫১, ২৭২০৯, ২৭২১৫, ২৭২৭৩, ২৭৩৮৩; দারিমি ১৩১১, মাজাহ ৮৪৬, ১২৩৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৬৩১-৬৩৩। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৬১. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি ইমামের আগে [রুকূ-সিজদা থেকে] মাথা তোলে সে কি ভয় করে না যে, আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মাথায় পরিবর্তিত করে দিবেন? {৯৬১}
{৯৬১ } বোখারি ৬৯১, মুসলিম ৪২১-২, তিরমিজি ৫৮২, নাসায়ি ৮২৮, আবু দাউদ ৬২৩, আহমাদ ৭৪৮১, ৭৬১২, ৯২১১, ৯৫৭৪, ৯৭৫৪, ১০১৬৮; দারিমি ১৩১৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫১০, সহিহ আবু দাউদ ৬৩৪। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৬২. আবু মূসা আশআরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমি এখন ভারী হয়ে গেছি। অতএব আমি যখন রুকূ করি, তোমরাও তখন রুকূ করো এবং আমি যখন মাথা উঠাই, তোমরাও তখন মাথা উঠাও। আমি যখন সাজদাহ্ করি, তোমরাও তখন সাজদাহ্ করো। আমি যেন কোন ব্যাক্তিকে আমার আগে রুকূ ও সিজদায় যেতে না দেখি।
সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১৭২৫। উক্ত হাদিসের রাবি দারিম সম্পর্কে ইমামগন বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৬৩. মুআবিয়াহ বিন আবু সুফ্ইয়ান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা আমার আগে রুকূ-সিজদায় যাবে না। যখনই আমি তোমাদের আগে রুকূতে যাই, তোমরা আমাকে মাথা তোলার পূর্বেই পেয়ে যাও। আবার যখনই আমি তোমাদের আগে সিজদায় যাই, তোমরা আমাকে মাথা তোলার পূর্বেই পেয়ে যাও। নিশ্চয় এখন আমি [বয়সের কারনে] ভারী হয়ে গেছি। {৯৬৩}
{৯৬৩} আবু দাউদ ৬১৯, আহমাদ ১৬৩৯৬, ১৬৪৪৯; দারিমি ১৩১৫। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ২৮৯-২৯০, সহিহ আবু দাউদ ৬৩০।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৫/৪২. অধ্যায়ঃ নামাজের মাকরূহসমুহ।
৯৬৪. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, কোন ব্যাক্তির তাহাঁর নামাজ থেকে অবসর না হয়েই অধিক বার তাহাঁর কপাল মোছা রূঢ় আচরনের অন্তর্ভুক্ত। {৯৬৪}
{৯৬৪} নাই তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়া ৩৮২ জইফ, জামি সগীর ৫৭৫ জইফ ১৯৯৩ জইফ, যঈফাহ ৮৭৭। উক্ত হাদিসের রাবি হারুন বিন আবদুল্লাহ ইবনিল হুদায়র আত-তায়মী সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও তার হাদিসের ব্যাপারে অনুসরণ করা যাবে না। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৯৬৫. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তুমি নামাজরত অবস্থায় তোমার আঙ্গুলগুলো মটকাবে না। {৯৬৫}
{৯৬৫} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৬২৫১ জইফ, যঈফা ৪৭৮৭, ইরওয়াহ ৩৭৮। উক্ত হাদিসের রাবি হারিস [বিন আবদুল্লাহ] সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৯৬৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে কোন ব্যক্তিকে নামাজরত অবস্থায় তার মুখমণ্ডল ঢাকতে নিষেধ করিয়াছেন। {৯৬৬}
{৯৬৬} আবু দাউদ ৬৪৩ তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৭৬৪, সহিহ আবু দাউদ ৬৫০।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৯৬৭. কাব বিন উজরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যাক্তিকে নামাজরত অবস্থায় তার এক হাতের আঙ্গুলসমূহ অপর হাতের আঙ্গুলসমূহের মধ্যে প্রবেশ করাতে দেখলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার আঙ্গুলসমূহ ফাঁকা [পৃথক] করে দিলেন। {৯৬৭}
{৯৬৭} তিরমিজি ৩৮৬, আবু দাউদ ৫৬২, আহমাদ ১৭৬৩৭, ১৭৬৪৬, ১৭৬৬৪; দারিমি ১৪০৪। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়া ৩৭৯ জইফ, ইরওয়াহ ৩৭৯, মিশকাত ৯৯৪।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৯৬৮. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন তার হাত মুখের উপর রাখে এবং সজোরে শব্দ না কোরে। কেননা তাতে শয়তান হাসে। {৯৬৮}
তাহকীক আলবানি ঃ সজোরে শব্দ না করে এ অতিরিক্তসহ মাওযূ বা জাল তাছাড়া সহিহ। {৯৬৮}বোখারি ৩২৮৯, তিরমিজি ২৭৪৬-৪৭, আহমাদবোখারি ৫০২৮, আহমাদ ৭২৫২, ৭৫৪৫, ৯২৪৬, ১০৩১৭, ১০৩২৯। তাহকিক আলবানিঃ সজোরে শব্দ না করে এ অতিরিক্তসহ মাউযূ বা জাল তাছাড়া সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৯৯৩, যঈফাহ ২৪২০। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন সাঈদ বিন আবু সাঈদ আল মাকবুরী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মাজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যাবাদীতা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনি মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বোখারি তাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করিয়াছেন। আমর ইবনিল ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৯৬৯. উবায়দুল্লাহ বিন আযিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, নামাজরত অবস্থায় থুথু, নাকের শ্লেষ্মা, হায়িয বা তন্দ্রা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। {৯৬৯}
{৯৬৯} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ২৩৭৩, যঈফা ৩৩৭৮। উক্ত হাদিসের রাবি আবুল ইয়াকযান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। ইবনি মাহদী তার হাদিস প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. সাবিত সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৫/৪৩. অধ্যায়ঃ লোকজন অপছন্দ করা সত্ত্বেও যে ব্যাক্তি তাহাদের ইমামতি করে।
৯৭০. আব্দুল্লাহ বিন আম্র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তিন ব্যাক্তির নামাজ কবূল হয় না ঃ যে ব্যাক্তি লোকেদের ইমামতি করে তাকে তারা অপচ্ছন্দ করা সত্ত্বেও, যে ব্যাক্তি নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর নামাজ পরে এবং যে ব্যাক্তি কোন স্বাধীন ব্যাক্তিকে দাস বানায়। {৯৭০}
তাহকীক আলবানি ঃ প্রথম ব্যক্তির বর্ণনা পর্যন্ত সহিহ।{৯৭০} আবু দাউদ ৫৯৩ তাহকিক আলবানিঃ প্রথম ব্যাক্তির বর্ণনা পর্যন্ত সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৬০৭, সহিহ তারগিব ৪৮৩-৪৮৬ বাকী দু ব্যাক্তির বর্ণনা জইফ, জইফ আবু দাউদ ৯২। উক্ত হাদিসের রাবি [আব্দুর রহমান বিন যিয়াদ ইবনি আনউম] আল-ইফরিকী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার থেকে হাদিস বর্জনীয়। ইবনি মাহদী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার থেকে হাদিস লিপিবদ্ধ করিনি। ২. ইমরান সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান ও আল আজালী সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনিল কাত্তান বলেন, তার পরিচয় অজ্ঞাত। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৯৭১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তিন ব্যাক্তির নামাজ তাহাদের মাথার এক বিঘত উপরেও উঠে না ঃ যে ব্যাক্তি জনগণের অপছন্দ হওয়া সত্ত্বেও তাহাদের ইমামতি করে, যে নারী তাহাঁর স্বামীর অসন্তুষ্টিসহ রাত যাপন করে এবং পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী দু ভাই। {৯৭১}
তাহকীক আলবানি ঃ এ শব্দে বর্ণনা মুনকার। {৯৭১} এ শব্দে বর্ণনা মুনকার। তাখরিজ আলবানিঃ জইফ তারগিব ২৫৭, গীয়াতুল মারাম ২৪৮, মিশকাত ১১২৮। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াহইয়া বিন আব্দুর রহমান আল আরহাবী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সিকাহ রাবির বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সত্যবাদী বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
৫/৪৪. অধ্যায়ঃ দু ব্যক্তির জামাআত।
৯৭২. আবু মূসা আল-আশআরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, দু বা ততোধিক ব্যাক্তি সমন্বয়ে একটি জামাআত হইতে পারে। {৯৭২}
{৯৭২} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ১৩৭ জইফ, মিশকাত ১০৮১, ইরওয়াহ ৪৮৯। উক্ত হাদিসের রাবি রাবি বিন বাদর সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। ২. আমর বিন জাররাদ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি অপরিচিত।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৯৭৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার খালা মায়মূনা [রাঃআঃ] -এর এখানে রাত কাটালাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে নামাজ পড়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। আমি তাহাঁর বাঁ পাশে দাঁড়ালে তিনি আমার হাত ধরে আমাকে তাহাঁর ডান পাশে দাঁড় করান। {৯৭৩}
{৯৭৩} বোখারি ১১৭, ১৩৮, ৬৯৭-৯৯, ৭২৬, ৭২৮, ৮৫৯, ৫৯১৯, ৬৩১৬; মুসলিম ৭৬১-৯, তিরমিজি ২৩২, নাসায়ি ৮০৬, আবু দাউদ ৬১০, আহমাদ ৩১৫৯, দারিমি ১২৫৫, মাজাহ ১৩৬৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫৪০।ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৭৪. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন। আমি এসে তাহাঁর বাঁ পাশে দাঁড়ালে তিনি আমাকে তাহাঁর ডান পাশে দাঁড় করান।{৯৭৪}
{৯৭৪} মুসলিম ৭৬৬, আবু দাউদ ৬৩৪, আহমাদ ১৪৩৭৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫৩৯। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৭৫. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর কোন এক স্ত্রী ও আমাকে নিয়ে নামাজ পড়েন। তিনি আমাকে তাহাঁর ডান পাশে দাঁড় করান এবং মহিলাটি আমাদের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েন।{৯৭৫}
{৯৭৫} নাসায়ি ৮০৫, আবু দাউদ ৬০৮, আহমাদ ১২২১৫, ১২৭০৫, ১৩০৯৬, ১৩১৩৪, ১৩১৮২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৫৪২।ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/৪৫. অধ্যায়ঃ যে ব্যাক্তি ইমামের কাছাকাছি দাঁড়াতে পছন্দ করে।
৯৭৬. আবু মাসউদ আল-আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজের মধ্যে আমাদের কাঁধে হাত বুলিয়ে বলিতেন ঃ তোমরা [কাতারে আঁকাবাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে] বিশৃংখল হয়ো না, অন্যথায় তোমাদের অন্তরসমূহ বিশৃংখল হয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান তারা [কাতারে] আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে, অতঃপর [যোগ্যতায়] তাহাদের নিকটতর লোকেরা, অতঃপর তাহাদের নিকটতর লোকেরা দাঁড়াবে। {৯৭৬}
{৯৭৬} মুসলিম ৪৩২, নাসায়ি ৮০৭, ৮১২; আবু দাউদ ৬৭৪, আহমাদ ১৬৬৫৩, দারিমি ১২৬৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৫১২১, সহিহ আবু দাউদ ৬৭৮।ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৭৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহাজির ও আনসারদের [সলাতে] তাহাঁর কাছে দাঁড়ানো পছন্দ করিতেন, যাতে তারা তাহাঁর নিকট থেকে শিখে নিতে পারেন। {৯৭৭}
{৯৭৭} আহমাদ ১১৫৫২, ১২৬৫১, ১২৭২২, ১৩৩৬৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১৪০৯। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৭৮. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাহাঁর সাহাবীদের পেছনে হটতে দেখে বলিলেন, তোমরা সামনের কাতারে এগিয়ে আসো এবং আমার অনুসরন করো, যাতে তোমাদের পরবর্তী লোকেরা তোমাদের অনুসরন করিতে পারে। লোকেরা যখন পেছনেই হটতে থাকে, তখন আল্লাহও তাহাদের পেছনেই হটিয়ে দেন। {৯৭৮}
{৯৭৮} মুসলিম ৪৩৮, নাসায়ি ৭৯৫, আবু দাউদ ৬৮০, আহমাদ ১০৮৯৯, ১১১১৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ তারগিব ৫০৯, সহিহ আবু দাউদ ৬৮৩। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/৪৬. অধ্যায়ঃ যোগ্যতর ব্যক্তি ইমাম হইবে।
৯৭৯. মালিক ইবনিল হুওয়ায়রিস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ও আমার এক সংগী নবী [সাঃআঃ] এর নিকট আসলাম। যখন আমরা ফিরে যেতে মনস্থ করলাম, তখন তিনি আমাদের বলিলেন, নামাজের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে তোমরা আযান দিবে, অতঃপর ইকামাত দিবে এবং তোমাদের দুজনের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ জন তোমাদের ইমামতি করিবে। {৯৭৯}
{৯৭৯} বোখারি ৬২৮, ৬৩০-৩১, ৬৫৮, ৬৮৫, ৮১৯, ২৮৪৮, ৬০০৮, ৭২৪৬; মুসলিম ৬৭১-২, তিরমিজি ২০৫, নাসায়ি ৬৩৪-৩৫, ৬৬৯, ৭৮১; আবু দাউদ ৫৮৯, আহমাদ ১৫১৭১, ২০০০৭; দারিমি ১২৫৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ, ৬০৪, ইরওয়াহ ২১৩। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৮০. আবু মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, যে ব্যক্তি কুরআন অধিক জানে সে লোকদের ইমামতি করিবে। তারা যদি কুরআনে সমকক্ষ হয়, তবে তাহাদের মধ্যে হিজরতে অগ্রগামী ব্যক্তি তাহাদের ইমামতি করিবে। যদি হিজরাতেও তারা সমান হয়, তবে তাহাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ্ ব্যক্তি তাহাদের ইমামতি করিবে। কোন ব্যক্তি যেন অপর ব্যক্তির বাড়িতে বা তার প্রভাবাধীন এলাকায় তার সম্মতি ছাড়া ইমামতি না করে এবং তার বাড়িতে তার জন্য নির্দিষ্ট আসনে তার সম্মতি ছাড়া না বসে। {৯৮০}
{৯৮০} মুসলিম ৬৭১-২, তিরমিজি ২৩৫, নাসায়ি ৭৮০, ৭৮৩; আবু দাউদ ৫৮২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪৯৪, সহিহ আবু দাউদ ৫৯৪। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/৪৭. অধ্যায়ঃ ইমামের যা কর্তব্য।
৯৮১. সাহল বিন সাদ আস-সাঈদি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তার গোত্রের যুবকদেরকে [ইমামতির জন্য] এগিয়ে দিতেন। তারা তাহাদের ইমামতিতে নামাজ আদায় করতো। তাকে বলা হল, আপনি এরুপ করছেন, অথচ আপনি [ইসলাম গ্রহনে] প্রবীন। আপনার তা করার কারন কি? তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কে বলিতে শুনিয়াছিঃ ইমাম হলেন, যিম্মাদার। তিনি উত্তম করলে [সুচারুরুপে নামাজ আদায় করলে] তার জন্য উত্তম, মুক্তাদীদের জন্যও উত্তম [পুরুষ্কার]। তিনি খারাপ করলে তার দায় তার উপর বর্তাবে, মোক্তাদীদের উপর নয়। {৯৮১}
{৯৮১} সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১৭৬৭। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল হামিদ বিন সুলায়মান সম্পর্কে আলী ইবনিল মাদীনী, সালিহ জাযারাহ ও ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি গায়ির সিকাহ। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৮২. খারাশাহ [রাঃআঃ] এর বোন সালামাহ বিনতুল হুর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলিতে শুনিয়াছিঃ লোকের উপর এমন এক সময় আসবে, যখন তারা ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাহাদের [সলাতে] ইমামতি করার যোগ্য লোক খুজে পাবে না। {৯৮২}
{৯৮২} আবু দাউদ ৫৮১, আহমাদ ২৬৫৯৬। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৬৪০৯ জইফ, জইফ আবু দাউদ ৯০। উক্ত হাদিসের রাবি উম্মু গুরাব [তালহাহ] সম্পর্কে ইমামগণ বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ২. আকীলাহ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তার সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৯৮৩. উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
[আবু আলী] , নৌ ভ্রমনে বের হন, তাতে উকবাহ বিন আমির আল জুহানীও ছিলেন। কোন এক নামাজের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে আমরা তাকে আমাদের ইমামতি করিতে অনুরোধ করলাম এবং তাকে বললাম, নিশ্চয় আমাদের মধ্যে আপনিই এর যোগ্য। আপনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর সাহাবী। কিন্তু তিনি [ইমামতি করিতে] অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কে বলিতে শুনিয়াছিঃ কোন ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করলো এবং সঠিকভাবে নামাজ পড়লো, তাতে তার ও মোক্তাদীদের নামাজ হয়ে গেল। কিন্তু যে ব্যক্তি তাতে কোন ত্রুটি করলো, তার দায় তার উপর বর্তাবে, তাহাদের উপর নয়। {৯৮৩}
{৯৮৩} আবু দাউদ ৫৮০, আহমাদ ১৬৮৫৪, ১৬৮৭২, ১৬৯৪৮, ১৭৩৪০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৫৯৩। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/৪৮. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করে সে যেন [নামাজ] সহজ [সংক্ষিপ্ত] করে।
৯৮৪. আবু মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আল্লহর রসূল! আমি ফজরের নামাজের জামাআতে অমুকের কারনে দেরীতে উপস্থিত হই। কারন তিনি আমাদের সলাতে দীর্ঘ কিরাআত পড়েন। রাবি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে সে দিনের চাইতে আর কোন দিন অধিক রাগান্বিত হয়ে খুতবাহ দিতে দেখিনি “হে লোক সকল! তোমাদের মধ্যে লোকদের ঘৃনা উদ্রেককারী ব্যক্তিও আছে। অতএব তোমাদের কেউ যখন লোকদের নিয়ে নামাজ পড়ে তখন সে যেন সংক্ষিপ্ত কিরাআত পড়ে। কেননা তাহাদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও কর্মব্যস্ত লোকও রয়েছে।” {৯৮৪}
{৯৮৪} বোখারি ৯০, ৭০২, ৭০৪, ৬১১০, ৭১৫৯; মুসলিম ৪৬৬, আহমাদ ১৬৬১৭, ১৬৬২৯; দারিমি ১২৫৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৭০৯। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৮৫. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সংক্ষেপে অথচ পূর্ণরূপে নামাজ আদায় করিতেন। {৯৮৫}
{৯৮৫} বোখারি ৭০৬, ৭০৮-১০; মুসলিম ৪৬৯১-৩, ৪৭০, ৪৭৩; তিরমিজি ২৭৩, ৩৭৬; নাসায়ি ৮২৪, আবু দাউদ ৮৫৩, আহমাদ ১১৫৭৯, ১১৬৫৬, ১২২৪২, ১২৩২৩, ১২৩৬২, ১২৪৩১, ১২৪৬৬, ১২৭১৩, ১২৭৩৮, ১৩০০১, ১৩০৩৬, ১৩৩৪৭, ১৩৫১৫, ১৩৫৩৩, ১৩৫৫৩, ১৩৫৯৭; দারিমি ১২৬০, মাজাহ ৯৮৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৮৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআয বিন জাবাল আল আনসারী [রাঃআঃ] তার সাথীদের নিয়ে ইশার নামাজ পড়লেন। তিনি তাহাদের নামাজ দীর্ঘ করিলেন। ফলে আমাদের মধ্যকার এক ব্যক্তি [নামাজ থেকে] পৃথক হয়ে একাকী নামাজ পড়ে। মুআয [রাঃআঃ] কে তার সম্পর্কে অবহীত করা হলে তিনি বলেন, নিশ্চয় সে মুনাফিক। লোকটি তা জানতে পেরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হয়ে তার সম্পর্কে মুআয [রাঃআঃ] এর মন্তব্য তাঁকে অবহিত করেন। নবী [সাঃআঃ] বলেন, হে মুআয! তুমি কি বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী হইতে চাও? তুমি যখন লোকদের নিয়ে নামাজ পড়বে, তখন সুরাহ আস-শামসি অয়া যুহাহা, সুরাহ আল-আলা, সুরাহ ওয়াল-লাইল ও সুরাহ ইকরা বিসমি রব্বিকা পাঠ করিবে। {৯৮৬}
{৯৮৬} বোখারি ৭০১, ৭০৫, ৬১০৬; মুসলিম ৪৩১-২, নাসায়ি ৮৩১, ৮৩৫, ৯৮৪, ৯৯৭-৯৮; আবু দাউদ ৭৯০, আহমাদ ১৩৭৭৮, ১৩৮৯৫, ১৪৫৪৩; দারিমি ১২৯৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ ইবনি মুয়াঈমাছ ১৬৩৩। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৮৭. মুতাররিফ বিন আব্দুল্লাহ ইবনিস শিখখীর হইতে বর্ণিতঃ
আমি উসমান বিন আবুল আস [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, নবী [সাঃআঃ] আমাকে তায়েফের আমীর নিয়োগ করাকালে আমার থেকে সর্বশেষ প্রতিশ্রুতি গ্রহন করে বলেন, হে উসমান! তুমি নামাজ সংক্ষেপ করিবে এবং লোকদের মধ্যকার দুর্বলদের সামর্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। কেননা তাহাদের মধ্যে বৃদ্ধ, নাবালেগ, রোগাক্রান্ত ব্যাক্তি, দূরের পথের পথিক এবং কর্মব্যস্ত লোক আছে। {৯৮৭}
{৯৮৭} মুসলিম ৪৬৮, নাসায়ি ৬৭২, আবু দাউদ ৫৩১, আহমাদ ১৫৮৩৬, ১৭৪৪২, ১৭৪৪৮, ১৭৪৫৫; মাজাহ ৯৮৮। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৯৮৮. উসমান বিন আবুল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সর্বশেষ আমাকে যা বলেছেন তা হলোঃ যখন তুমি লোকদের ইমামতি করিবে, তখন তাহাদের নামাজ সংক্ষেপ করিবে। {৯৮৮}
{৯৮৮} মুসলিম ৪৬৮, নাসায়ি ৬৭২, আবু দাউদ ৫৩১, আহমাদ ১৫৮৩৬, ১৭৪৪২, ১৭৪৪৮, ১৭৪৫৫; মাজাহ ৯৮৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫/৪৯. অধ্যায়ঃ উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ইমামের নামাজ সংক্ষিপ্ত করা।
৯৮৯. আনাস বিন মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, আমি নামাজ শুরু করে তা দীর্ঘায়িত করার সংকল্প করি। কিন্তু আমি শিশুদের কান্না শুনতে পাই এবং তাতে তার মায়ের বিচলিত হওয়ার কথা চিন্তা করে আমার নামাজ সংক্ষিপ্ত করি। {৯৮৯}
{৯৮৯} বোখারি ৭০৬, ৭০৮-১০; মুসলিম ৪৬৯১-৩, ৪৭০, ৪৭৩; তিরমিজি ২৭৩, ৩৭৬; নাসায়ি ৮২৪, আবু দাউদ ৮৫৩, আহমাদ ১১৫৭৯, ১১৬৫৬, ১২২৪২, ১২৩২৩, ১২৩৬২, ১২৪৩১, ১২৪৬৬, ১২৭১৩, ১২৭৩৮, ১৩০০১, ১৩০৩৬, ১৩৩৪৭, ১৩৫১৫, ১৩৫৩৩, ১৩৫৫৩, ১৩৫৯৭; দারিমি ১২৬০, মাজাহ ৯৮৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৯০. উসমান বিন আবুল আস হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, নিশ্চয় আমি শিশুর কান্না শুনতে পাই এবং আমার নামাজ সংক্ষিপ্ত করি।
সহিহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন উলাসাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও মুহাম্মাদ বিন সাদ সিকাহ বলেছেন। ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে দুর্বলতা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে কিন্তু দলীলযোগ্য হইবে না। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি
৯৯১. আবু কাতাদাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, নিশ্চয় আমি সলাতে দাঁড়িয়ে তা দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা করি। কিন্তু আমি শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে নামাজ সংক্ষিপ্ত করি, তার মায়ের কষ্ট হওয়ার আশংকায়। {৯৯১}
{৯৯১} বোখারি ৭০৭, ৮৬৮; নাসায়ি ৮২৫, আবু দাউদ ৭৮৯, আহমাদ ২২০৯৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৭৫৫। ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার নিয়ম – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply