তাশাহুদ ও দুরুদ – সালাম ফিরানোর পর যা বলিতে হয়।

তাশাহুদ ও দুরুদ – সালাম ফিরানোর পর যা বলিতে হয়।

তাশাহুদ ও দুরুদ – সালাম ফিরানোর পর যা বলিতে হয়। >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৫, অধ্যায়ঃ (২৪-৩৩)=১০টি, হাদীসঃ (৮৯৯-৯৩২)=৩৪টি

৫/২৪. অধ্যায়ঃ তাশাহ্‌হুদ সম্পর্কে।

৮৯৯. আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নবী [সাঃআঃ] এর সাথে নামাজ পড়ার সময় বলতাম “আল্লাহর উপর সালাম তার বান্দাদের পক্ষ থেকে, জিবরাঈল, মীকাইল ও অমুক অমুক ফেরেশতাহাদের উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, “তোমরা আসসালামু আলাল্লাহ বলো না। আল্লাহ্ই তো সালাম [শান্তিদাতা]। অতয়েব তোমরা বসে বলবেঃ

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ 

আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস সালাওয়া-তু ওয়াত তইয়িবা-তু, আসসালা-মু আলায়কা আইয়ুহান্ নাবিয়ু, ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহ। আসসালা-মু আলায়না- ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস্ সলিহীন, “সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের ও আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।”

সে এ কথা বললে আসমান ও যমীনের সকল নেক বান্দাদের নিকট তা পৌছে।

 أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ”

“আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মদ তার বান্দা ও রসূল”।

[উপরোক্ত হাদীসটি ১৫ টি সনদে বর্ণিত হয়েছে, অপর সনদগুলো হলঃ]

১. আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ [রাঃআঃ] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

২. আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ [রাঃআঃ] সূত্রে বর্ণিত, নবী [সাঃআঃ] তাহাদেরকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিতেন…..পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। {৮৯৭}

তাহকীক আলবানিঃ সহিহ। {৮৯৭} বোখারি ৮৩১, ৮৩৫, ১২০২, ৬২৩০, ৬২৬৫, ৬৩২৮, ৬৩৮১; মুসলিম ৪০২, তিরমিজি ২৮৯, নাসায়ি ১১৬২-৬৪, ১১৬৬-৭১, ১২৯৮; আবু দাউদ ৯৬৮, আহমাদ ৩৫৫২, ৩৬১৫, ৩৯০৯, ৩৯২৫, ৩৯৯৬, ৪০০৭, ৪০৫৪, ৪০৯০, ৪১৪৯, ৪১৬৬, ৪১৭৮, ৪২৯৩, ৪৩৬৯, ৪৪০৮; দারিমি ১৩৪০-৪১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৮৮৯। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯০০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে তাশাহুদ শিক্ষা দিতেন, যেমন তিনি আমদেরকে কুরআনের সুরা শিখাতেন। তিনি বলিতেনঃ

 التَّحِيَّاتُ الْمُبَارَكَاتُ الصَّلَوَاتُ الطَّيِّبَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

[আত্তাহিয়্যাতুল মুবারাকাতুস সলাওয়াতুত তায়্যিবাতু লিল্লাহি আস-সালামু আলাইকা আয়্যুহান নবীয়ু ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ। আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস স্বালিহিন। আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসুলুহু]। “সমস্ত বরকতময় সম্মান, ইবাদত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও করুণা বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দেই যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আমি, আরও সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দাহ ও রাসুল”। {৮৯৮}

{৮৯৮} মুসলিম ৪০১-২, তিরমিজি ২৯০, নাসায়ি ১১৭৪, আহমাদ,বোখারি ৯৭৪, আহমাদ ২৬৬০, ২৮৮৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৮৯৫। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯০১. আবু মুসা আল-আশআরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের উদ্দ্যেশ্যে ভাষণ দেন, আমাদের জন্য আমাদের পালনীয় সুন্নাতসমুহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন এবং আমাদেরকে আমাদের নামাজ শিক্ষা দেন। তিনি বলেন, তোমরা যখন নামাজ পড়বে, এবং বৈঠকে বসবে তখন তোমাদের প্রথম কথা হবেঃ

 الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

“আত্তাহিয়্যাতুস সাল্লাওয়াতু লিল্লাহি; আস্সালামুআলাইকা আয়্যুহান্ নাবীয়্যু ওয়া রহমাতুলাহি ও বারাকাতুহু। আস্সালামুআলাইনা ওয়াআলাইবাদিল্লাহিস সালিহীন। আশ্হাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদানআবদুহু ওয়া রসূলুহু”। । [“সমস্ত প্রশংসা,পবিত্রতা ও, ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক,আল্লাহর রহমত ও বরকতও। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মদ তাহাঁর বান্দা ও রসূল”]। এই সাতটি বাক্যই নামাজের আত্তাহিয়াতু। {৯০০}

তাহকীক আলবানিঃ [ছাবউ কালিমাতিন] কথাটি ছাড়া সহিহ।{৯০০} মুসলিম ৪০৪, ৮৩০, ১০৬৪, ১১৭২, ১১৭৩, ১২৮০; আবু দাউদ ৯৭২, আহমাদ ১৯০১০, ১৯০৫৮, ১৯১৩০, ১৯১৬৬; দারিমি ১৩১২, মাজাহ ৮৪৭। তাহকিক আলবানিঃ سَبْعُ كَلِمَاتٍ তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৮৯৩, ইরওয়াহ ৩৩২। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯০২. জাবির বিন আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের তাশাহুদ শিক্ষা দিতেন, যেমন তিনি আমাদেরকে কুরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন।

بِاسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ لِلَّهِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ أَسْأَلُ اللَّهَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ

[বিসমিল্লাহি ওয়া বিল্লাহি আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি ওয়াস সালাওয়া-তু ওয়াত তইয়িবা-তু লিল্লা-হি, আসসালা-মু আলায়কা আইয়ুহান্ নাবিয়ু, ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকাতুহ। আসসালা-মু আলায়না- ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস্ সলিহীনআশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসূলুহ আস আলুল্লাহাল জান্নাতি ওয়া আউযুবিল্লাহি মিনান নার। [আল্লাহর নামে ও আল্লাহর তাওফিকে শুরু করছি। সমস্ত সম্মান, ইবাদত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর রাহমত ও বারকাতও। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দেই যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই।আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে মুহাম্মদ তাহাঁর বান্দাহ্‌ ও তাহাঁর রসূল। আমি আল্লাহর নিকট জান্নাতের প্রার্থনা করি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই]। {৯০১}

{৯০১} নাসায়ি ১১৭৫ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ ইবনি মাজাহ ৯০০ সহিহ, নাসায়ি ১১৭১ সহিহ, ১১৭৫ জইফ, ১২৭৮ সহিহ, ১২৮১ জইফ, মিশকাত ৯১০ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি মুহাম্মাদ বিন যিয়াদ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি মিনদাহ তাকে দুর্বল বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/২৫. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] – এর প্রতি দরূদ পাঠ।

৯০৩. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এ হলো আপনার প্রতি সালাম যা আমরা জেনে নিয়েছি। অতএব দরূদ কীরূপ? তিনি বলেন তোমরা বলোঃ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ

আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ, আব্দিকা ও রসুলিকা কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা  ওয়া বারিক আলা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ কামা বারিকতা আলা ইব্রাহিম, “হে আল্লাহ্! আপনার বান্দা ও রসূল মুহাম্মদের উপর আপনি রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপ রহমত নাযিল করেছন ইবরাহীমের প্রতি। আপনি মুহাম্মদের উপর বরকত নাযিল করুন, যেরূপ নাযিল করিয়াছেন ইবরাহিমের উপর। {৯০২}

{৯০২} বোখারি ৪৭৯৮, ৬৩৫৮; নাসায়ি ১২৯৩, আহমাদ ১১০৪১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯০৪. ইবনি আবু লায়লা হইতে বর্ণিতঃ

কাব বিন উজরাহ [রাঃআঃ] আমার সাথে সাক্ষাত করে বলিলেন, আমি কি তোমাকে একটি উপহার দিব না? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিকট বের হয়ে আসলে আমরা বললাম, আমরা আপনার প্রতি সালাম পেশের নিয়ম জেনে নিয়েছি। আপনার প্রতি দরূদ কীভাবে পড়তে হইবে? তিনি বলেন, তোমরা বলোঃ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

আল্ল-হুম্মা সল্লি আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া আলা-আ-লি মুহাম্মাদিন কামা-সল্লাইতা আলা ইবর-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ, আল্ল-হুম্মা বা-রিক আলা-মুহাম্মাদিন ওয়া আলা মুহাম্মাদিন কামা- বা-রকতা আলা আ-লি ইবর-হীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ

“হে আল্লাহ্! আপনি মুহাম্মাদ ও তার পরিবারবর্গের প্রতি রহমাত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি ইবরাহিম [আঃ] এর প্রতি রহমাত বর্ষণ করিয়াছেন। নিশ্চয় আপনি অধিক প্রশংসিত, মহিমান্বিত। হে আল্লাহ্ আপনি মুহাম্মদ ও তার পরিবারবর্গের উপর বরকত দান করুন, যেমন আপনি বরকত দান করিয়াছেন ইবরাহিম [আঃ] এর উপর। নিশ্চয় আপনি পরম প্রশংসিত মহিমান্বিত। {৯০৩}

{৯০৩} বোখারি ৩৩৭০, ৪৭৯৭, ৬৩৫৭; মুসলিম ৪০৬, তিরমিজি ৪৮৩, নাসায়ি ১২৮৭-৮৯, আবু দাউদ ৯৭৬, আহমাদ ১৭৬৩৮, ১৭৬৬১, ১৭৬৬৭; দারিমি ১৩৪২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৩২০, সহিহ আবু দাউদ ৮৯৬। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯০৫. আবু হুমায়দ আস-সাইদী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার প্রতি দরূদ পাঠের জন্য আমরা আদিষ্ট হয়েছি। অতএব আমরা আপনার প্রতি কিভাবে দরূদ পাঠ করবো? তিনি বলেন, তোমরা বলোঃ

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ فِي الْعَالَمِينَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

[আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ, ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা সল্লায়তা আলা ইবরাহীম। ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদ, ওয়া আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা বারাকতা আলা আলি ইবরাহীম ফীল আলামীনা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।] “হে আল্লাহ্! মুহাম্মাদ, তাহাঁর স্ত্রীগণ ও তাহাঁর বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি রহমত বর্ষণ করিয়াছেন ইবরাহীম [আলাইহিস সালাম] – এর উপর এবং আপনি মুহাম্মাদ, তাহাঁর স্ত্রীগণ ও বংশধরদের প্রতি বরকত নাযিল করুন, যেমন আপনি এ বিশ্বজগতে বরকত নাযিল করিয়াছেন ইবরাহীম [আলাইহিস সালাম] এর বংশধরদের প্রতি। নিশ্চয়ই আপনি অধিক প্রশংসিত মহিমান্বিত”।{৯০৪}

{৯০৪} বোখারি ৩৩৬৯, ৬৩৬০; মুসলিম ৪০৭, নাসায়ি ১২৯৪, আবু দাউদ ৯৭৯, আহমাদ ২৩০৮৯, মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৯৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯০৬. আবদুল্লাহ বিন মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, তোমরা যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর প্রতি দরূদ পেশ করিবে, তখন তোমরা তাহাঁর প্রতি উত্তমরূপে দরূদ পেশ করিবে। কেননা তোমাদের জানা নেই যে, নিশ্চয় তা তাহাঁর সামনে পেশ করা হয়। রাবি বলেন, সাহাবীগণ তাঁকে বলিলেন, আপনি আমাদের শিখিয়ে দিন। তিনি বলেন, তোমরা বলোঃ

اللَّهُمَّ اجْعَلْ صَلاَتَكَ وَرَحْمَتَكَ وَبَرَكَاتِكَ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ وَإِمَامِ الْمُتَّقِينَ وَخَاتَمِ النَّبِيِّينَ مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ إِمَامِ الْخَيْرِ وَقَائِدِ الْخَيْرِ وَرَسُولِ الرَّحْمَةِ اللَّهُمَّ ابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا يَغْبِطُهُ بِهِ الأَوَّلُونَ وَالآخِرُونَ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

[আল্লাহুম্মাজআল সলাতাকা ওয়া রহমাতাকা ওয়া বারাকাতিক আলা সায়্যিদিল মুরসালীন, ওয়া ইমামিল মুত্তাকীন, ওয়া খাতামিন নবীয়্যীনা মুহাম্মাদ, আবদিকা ওয়া রাসূলিকা ইমামিল খায়রি ওয়া কায়িদল খায়র, ওয়া রসূলির রহমাহ। আল্লাহুম্মাবআস মাকামাম মাহমূদা ইয়াগবিতুহু বিহিল আওওয়ালূনা ওয়াল আখারূন। আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লায়তা আলা ইবরাহীম ওয়া আলা আলি ইবরাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বারাকতা আলা ইবরাহীম ওয়া আলা আলি ইবরাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।] “হে আল্লাহ্! আপনার বান্দা ও আপনার রসূল, প্রেরিত রসূলগণের নেতা, মুত্তাকীগণের ইমাম, সর্বশেষ নবী, কল্যাণের উৎস, কল্যাণের দিকে পরিচালনাকারী ও দয়ার নবী মুহাম্মাদের উপর আপনার রহমাত, আপনার দয়া ও আপনার প্রাচুর্য নাযিল করুন। হে আল্লাহ্! তাঁকে সেই সুপ্রশংসিত স্থানে পৌঁছিয়ে দিন, যার প্রতি পূর্ববর্তী ও পরবর্তীগণ ঈর্ষান্বিত। হে আল্লাহ্! আপনি মুহাম্মাদ ও তাহাঁর বংশধরদের উপর রহমাত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি রহমাত বর্ষণ করিয়াছেন ইবরাহীম ও তাহাঁর বংশধরদের উপর। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত, মহিমান্বিত। হে আল্লাহ্! আপনি মুহাম্মাদ ও তাহাঁর বংশধরদের বরকত দান করুন, যেমন আপনি ইবরাহীম ও তাহাঁর বংশধরদের বরকত দান করিয়াছেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত, মহিমান্বিত”।{৯০৫}

{৯০৫} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জইফ তারগিব ১০৩৯ আসার জইফ। উক্ত হাদিসের রাবি আল মাসউদী সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি নুমায়র বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তবে বাগদাদে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে মৃত্যুর পূর্বে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে সিকাহ বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৯০৭. আমির বিন রাবিআহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেন, যখন কোন মুসলিম ব্যক্তি আমার প্রতি দুরূদ পাঠ করে এবং যতক্ষণ সে আমার প্রতি দুরূদ পাঠরত থাকে, ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তার জন্য দুআ করিতে থাকেন। অতএব বান্দা চাইলে তার পরিমাণ [দরূদ পাঠ] কমাতেও পারে বা বাড়াতেও পারে।{৯০৬}

হাসান। উক্ত হাদিসের রাবি আসিম বিন উবায়দুল্লাহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয় এবং তিনি দুর্বল। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তার দ্বারা দলীল সাব্যস্ত করা যাবে না।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৯০৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরূদ পাঠাতে ভুলে গেলো সে জান্নাতের পথই ভুলে গেলো। {৯০৭}

{৯০৭} হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ২৩২৭। উক্ত হাদিসের রাবি জুবারাহ ইবনিল মুগাল্লিস সম্পর্কে মুসলিম বিন কায়স বলেন, ইনশাআল্লাহ্‌ [আল্লাহ্‌ চায়তো] তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যুক ও হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করেন। ইমাম বোখারি বলেন, তিনি মুদতারাব ভাবে হাদিস বর্ণনা করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৫/২৬. অধ্যায়ঃ তাশাহ্হুদ এবং নবী [সাঃআঃ] -এর প্রতি দরূদের মধ্যে যা বলিতে হইবে।

৯০৯. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের কেউ শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে অবসর হয়ে যেন চারটি বিষয়ে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেঃ জাহান্নামের শাস্তি থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে। {৯০৮}

{৯০৮} বোখারি ১৩৭৭, মুসলিম ৮৫১-৫, নাসায়ি ১৩১০, ৫৫০৫-৬, ৫৫০৮-১১, ৫৫১৩-১৮, ৫৫২০; আবু দাউদ ৭৯২, ৯৮৩; আহমাদ ৭১৯৬, ৭৮১০, ৭৯০৪, ৯০৯৩, ৯১৮৩, ২৭৫৯৬, ২৭৮৯০, ৯৮২৪, ২৭২৮০; দারিমি ১৩৪৪, মাজাহ ৯১০, ৩৮৪৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৩৫০, সহিহ আবু দাউদ ৩। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১০. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি সলাতে কী পড়ো? সে বললো, আমি তাশাহুদ পড়ার পর আল্লাহর নিকট জান্নাত প্রার্থনা করি এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই। তবে আল্লাহর শপথ! আপনার ও মুআযের নীরব দুআ কতই না উত্তম। তিনি বলিলেন, আমরা নীরবে জান্নাতের পরিবেশ লাভের দুআ করি।{৯০৯}

{৯০৯} বোখারি ১৩৭৭, মুসলিম ৮৫১-৫, নাসায়ি ১৩১০, ৫৫০৫-৬, ৫৫০৮-১১, ৫৫১৩-১৮, ৫৫২০; আবু দাউদ ৭৯২, ৯৮৩; আহমাদ ৭১৯৬, ৭৮১০, ৭৯০৪, ৯০৯৩, ৯১৮৩, ২৭৫৯৬, ২৭৮৯০, ৯৮২৪, ২৭২৮০; দারিমি ১৩৪৪, মাজাহ ৯০৯, ৩৮৪৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৭০৭। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২৭. অধ্যায়ঃ তাশাহ্‌হুদের মধ্যে [আঙ্গুলে] ইশারা করা।

৯১১. নুমায়র আল-খুবাঈ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ] কে নামাজের মধ্যে তাহাঁর ডান হাত তাহাঁর ডান উরুর উপর রাখতে এবং তাহাঁর আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করিতে দেখেছি। {৯১০}

{৯১০} নাসায়ি ১২৭১, আবু দাউদ ৯৯১, আহমাদ ১৫৪৩৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১২. ওয়ায়িল বিন হুজুর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ] [তাশাহুদে] বৃদ্ধা ও মধ্যমা আঙ্গুল দ্বারা বৃত্তাকার করিতে এবং তর্জনী উঁচু করিতে দেখেছি। তিনি তা দিয়ে তাশাহুদের মধ্যে দুআ করিতেন।{৯১১}

{৯১১} নাসায়ি ১১৫৯, আবু দাউদ ৯৫৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৭১৬। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] নামাজের [তাশাহুদের] বৈঠকে বসে তাহাঁর দু হাত তাহাঁর হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখতেন এবং ডান হাতের তর্জনী উঁচু করিতেন ও তার দ্বারা দুআ করিতেন। বাম হাত তাহাঁর হাঁটুর উপর বিছানো থাকতো। {৯১২}

{৯১২} মুসলিম ৮৫০/১-৩, তিরমিজি ২৯৪, নাসায়ি ১১৬০, ১২৬৬-৬৭, ১২৬৯; আহমাদ ৫০২৩, ৫৩০৯, ৫৩৯৮, ৫৯৬৪, ৬১১৮, ৬৩১২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১৯৯, দারিমি ১৩৩৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৩৬৬, সহিহ আবু দাউদ ৯০৭। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/২৮. অধ্যায়ঃ সালাম ফিরানো।

৯১৪. আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডানে ও বামে সালাম ফিরাতেন, এমনকি তাহাঁর দু গালের শুভ্রতা দেখা যেতো। [তিনি বলিতেন]

السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ” [আপনাদের উপর শান্তি ও আল্লাহর অনুগ্রহ বর্ষিত হোক]।{৯১৩}

{৯১৩} তিরমিজি ২৯৫, আবু দাউদ ৯৯৬, আহমাদ ৩৬৯১, ৩৭২৮, ৩৮৩৯, ৩৮৬৯, ৩৮৭৭, ৩৯২৩, ৩৯৬২, ৪০৪৫, ৪১৬১, ৪২২৭, ৪২৬৮, ১৩৪৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৩২৬, সহিহ আবু দাউদ ৭১৪। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৫. সাদ বিন আবু ওয়াক্কাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার ডান দিকে ও বাম দিকে সালাম ফিরাতেন।{৯১৪}

{৯১৪} মুসলিম ৫৮২, নাসায়ি ১৩১৬-১৭, আহমাদ ১৪৮৭, ১৫৬৭; দারিমি ১৩৪৫। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৩৬৮। উক্ত হাদিসের রাবি মুসআব বিন সাবিত বিন আবদুল্লাহ ইবনিয যুবায়র সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তাকে দুর্বল হিসেবেই জানি। ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন তবে সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি গায়র সিকাহ। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৬. আম্মার বিন ইয়াসির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার ডানে ও বামে এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যে, তার দু গালের শুভ্রতা দেখা যেত। [তিনি বলিতেন]

 السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏.‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ

“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহ্‌মাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া ,রহমাতুল্লাহ”। {৯১৫}

সহিহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবি আবু বাকার বিন আয়্যাশ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সংমিশ্রণ করেন। আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি

৯১৭. আবু মূসা [আশআরী] [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আলী [রাঃআঃ] উটের যুদ্ধের দিন আমাদের সহ নামাজ পড়েন। তার নামাজ আমাদেরকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। জানি না, আমরা কি সেই পদ্ধতি ভুলে গিয়েছি, না আমরা তা ত্যাগ করেছি। তিনি তার ডানে ও বামে সালাম ফিরালেন। {৯১৬}

তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। কিন্তু পূর্বোক্ত হাদীসে বর্ণিত, ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর কথা সহিহ।{৯১৬} হাদিসটি ইমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। তাহকিক আলবানিঃ মুনকার কিন্তু পূর্বোক্ত হাদিসে বর্ণিত ডানে ও বামে সালাম ফিরানোর কথা সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবু ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আল আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় তাদলীস করেন।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৫/২৯. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি একবার সালাম উচ্চারণ করে।

৯১৮. সাহল বিন সাদ আস-সাঈদী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-তাহাঁর সামনের দিকে একবার সালাম ফিরান।

সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল মুহায়মিন বিন আব্বাস সম্পর্কে ইমাম বোখারি ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইমাম নাসাঈ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনিল জুনায়দ বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আস-সাজী বলেন, তার নিকট তার পিতা ও দাদার সুত্রে একটি নুসখা রয়েছে, যাতে একাধিক মুনকার হাদিস রয়েছে। ইবনিল বুরাকী তাকে দুর্বল বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৯. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- তাহাঁর সামনের দিকে একবার সালাম ফিরাতেন। {৯১৮}

{৯১৮} তিরমিজি ২৯৬, আহমাদ ২৫৪৫৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল মালিক বিন মুহাম্মাদ আস-সানআনী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি এককভাবে বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২০. সালামাহ ইবনিল আকওয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সা.] কে নামাজ আদায় করিতে দেখেছি। তিনি একবার সালাম বলেছেন। {৯১৯}

সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবি ইয়াহইয়া বিন রাশিদ সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন এবং সিকাহ রাবির বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। হাদিসটির ১ টি [আত-তাহকীকু ফী মাসায়িলি খিলাফ গ্রন্থের ৬২৪ পৃষ্ঠায়] শাহিদ হাদিস রয়েছে। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/৩০. অধ্যায়ঃ ইমামের সালামের জবাব দেয়া

৯২১. সামুরা বিন জুনদুব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সা.] বলেন, ইমাম যখন সালাম ফিরান, তোমরা তখন তার জবাব দিও। {৯২০}

{৯২০} আবু দাউদ ১০০১ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৫৪৮ জইফ, যঈফা ২৫৬৪, ইরওয়াহ, জইফ আবু দাউদ ১৭৮। উক্ত হাদিসের রাবি ১. ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ২. আবু বকর আল হুযালী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৯২২. সামুরাহ বিন জুনদুব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সা.] আমাদের ইমামগণকে এবং আমাদের একে অপরকে সালাম দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। {৯২১}

{৯২১} আবু দাউদ ১০০১ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৮৮। উক্ত হাদিসের রাবি হাম্মাম সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ ও সত্যবাদী। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সংমিশ্রণ করেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/৩১. অধ্যায়ঃ ইমাম যেন শুধু নিজের জন্য দুআ না করে।

৯২৩. সাওবান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, কোন বান্দা ইমামতি করলে সে যেন অন্যদের বাদ দিয়ে কেবল নিজের জন্য দুআ না করে। সে যদি তাই করে, তবে সে মুকতাদীদের সাথে প্রতারণা করলো। {৯২২}

{৯২২} তিরমিজি ৩৫৭, আবু দাউদ ৯০। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৬৩৩৪ জইফ, তিরমিজি ৩৫৭ জইফ, আদাবুল মুফরাদ ১০৯৩ সহিহ, জইফ আবু দাউদ ১১-১২। উক্ত হাদিসের রাবি ১. মুহাম্মাদ ইবনিল মুসাফফা আল হিমসী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ বললেও অন্যত্রে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫/৩২. অধ্যায়ঃ সালাম ফিরানোর পর যা বলিতে হয়।

৯২৪. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সালাম ফিরানোর পর নিম্মোক্ত দুআ পড়ার অতিরিক্ত সময় বসতেন নাঃ

 اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতাস্‌ সালামু ওয়া মিনকাস সালামু তাবারক্তা জালজালালি ওয়াল ইকরাম, “হে আল্লাহ্! আপনিই শান্তি বিধাতা এবং আপনার পক্ষ থেকেই শান্তি আসে। হে মহিমান্বিত ও গৌরবময় সত্তা! আপনি প্রাচুর্যময়”। {৯২৩}

{৯২৩} মুসলিম ৫৯২, তিরমিজি ২৯৮, নাসায়ি ১৩৩৮, আবু দাউদ ১৫১২, আহমাদ ২৩৮১৭, দারিমি ১৩৪৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১৩৫৪। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২৫. উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সা.] ফজরের নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে বলিতেনঃ

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً

[আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইলমান নাফিআওয়া রিযকান তয়্যিবা, ওয়া আমালান মুতাকব্বিলা] “হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক ও এবং কবূল হওয়ার যোগ্য কর্মতৎপরতা প্রার্থনা করি”। {৯২৪}

{৯২৪} আহমাদ ২৫৯৮২, ২৬০৬২, ২৬১৬০, ২৬১৯১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২৬. আবদুল্লাহ বিন আম্‌র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তি দুটি অভ্যাস আয়ত্ত করিতে পারলে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। সেই দুটি অভ্যাস আয়ত্ত করাও সহজ, কিন্তু এ দুটি অভ্যাস অনুশীলনকারীর সংখ্যা কম। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আল্লাহু আকবর এবং দশবার আলহামদু লিল্লাহ বলা। আমি রসূলুল্লাহ কে এগুলো তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে গণনা করিতে দেখেছি। তিনি বলেন, তা মুখে পড়লে হয় একশত পঞ্চাশ এবং মীযানে হয় এক হাজার পাঁচ শত। সে শয্যা গ্রহণকালে সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার একশতবার পড়লে তা তার মুখে হয় একশত এবং মীযানে হয় এক হাজার। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে প্রতিদিন দু হাজার পাঁচ শত গুনাহ করিবে? তারা বলেন, কেউ এ দুটি অভ্যাস কেন অনুশীলন করিবে না। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ কেন সলাতে দাড়ায় তখন শয়তান তার নিকট এসে বলে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো, এমনকি বান্দা [নামাজ থেকে] বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে না [যে, সে কত রাকআত পড়ছে]। অনুরূপভাবে সে তার বিছানায় অবস্থানকালেও শয়তান সেখানে আসে এবং তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে, অবশেষে সে ঘুমিয়ে যায়। {৯২৫}

{৯২৫} তিরমিজি ৩৪১০-১১ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ২৪০ সহিহ আবু দাউদ ১৩৪৫। উক্ত হাদিসের রাবি আতা ইবনিস সায়িব সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সিকাহ তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন। ইমাম নাসাই বলেন, তার পূর্বে বর্ণিত হাদিস সিকাহ কিন্তু পরে হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন আসে। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২৭. আবু যার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সা.]-কে বলা হলো [সুফিয়ানের বর্ণনায় আছে, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! বিত্তবান লোকেরা পুরস্কার লাভে আমাদের থেকে এগিয়ে গেছে। আমরা যা বলি, তারাও তা বলে এবং তারা সম্পদ ব্যয় করে, কিন্তু আমরা তা পারি না। তিনি আমাকে বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় বলে দিবো না, যা করলে তোমরা তোমাদের অগ্রবতীদের ধরতে পারবে এবং তোমরা যাদের অগ্রবর্তী হইতে পারবে, তারা তোমাদের অতিক্রম করিতে পারবে না? তোমরা প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর

আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার ৩৩ বার, ৩৩বার এবং ৩৪ বার পাঠ করিবে। সুফ্‌ইয়ান [রাঃআঃ]বলেন, আমার মনে নেই যে, কোন কলেমাটি ৩৪ বার পাঠ করিতে হইবে। {৯২৬}

{৯২৬} আহমাদ ৭২০২, দারিমি ১৩৫৩। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১১২৫। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৯২৮. সাওবান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সা.] নামাজ সমাপনান্তে তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করিতেন অতঃপর বলিতেনঃ

 اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ

[আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবরাকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম] হে আল্লাহ্! আপনি শান্তিদাতা এবং আপনার পক্ষ থেকে শান্তি পাওয়া যায়। হে মহত্ব ও মর্যাদার অধিকারী! আপনি বরকতময় প্রাচুর্যময়। {৯২৭}

{৯২৭} মুসলিম ৫৯১, তিরমিজি ৩০০, আবু দাউদ ১৫১২, আহমাদ ২১৯০২, দারিমি ১৩৪৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ১৩৫৫। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫/৩৩. অধ্যায়ঃ নামাজ শেষে ফিরে বসা।

৯২৯. হুলব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী [সা.] আমাদের ইমামতি করিতেন এবং [সালাম ফিরিয়ে] তার উভয় দিকে সম্পূর্ণরূপে তার চেহারা ঘুরাতেন। {৯২৮}

{৯২৮} তিরমিজি ৩০১, আবু দাউদ ১০৪১, আহমাদ ২১৪৬০, ২১৪৬৮। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৯৫৬। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৯৩০. আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তোমাদের কেউ যেন নিজের মধ্যে শায়তানের জন্য অংশ নির্ধারিত না করে। সে মনে করে যে, তার প্রতি আল্লাহর অধিকার হলো, কেবল তার ডান দিকে মোড় ঘোরা। অথচ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রায়ই তার বাম দিকে ঘুরে বসতে দেখেছি। {৯২৯}

{৯২৯} বোখারি ৮৫২, মুসলিম ৭০৭, নাসায়ি ১৩৬০, আবু দাউদ ১০৪২, দারিমি ১৩৫০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৯৫৭। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৩১. আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনিল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সা.] কে নামাজ শেষে তার ডান দিকে ও বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতে দেখেছি। {৯৩০}

{৯৩০} আহমাদ ৬৭৪৪, ৬৯৮২। তাহকিক আলবানিঃ হাসান সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৯৩২. উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-নামাজ শেষে সালাম ফিরানোর পর মহিলারা উঠে চলে যেতেন। অতঃপর তিনি উঠে যাওয়ার আগে নিজ জায়গায় কিছুক্ষন অপেক্ষা করিতেন। {৯৩১}

{৯৩১} বোখারি ৮৩৭, ৮৫০, ৮৬৬, ৮৭৫; নাসায়ি ১৩৩৩, আবু দাউদ ১০৪০, আহমাদ ২৬১৪৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৯৫৫। তাশাহুদ ও দুরুদ- হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply