গোসল কখন ফরজ হয় – নাপাকি, স্বপ্নদোষ, বীর্যপাতের বর্ণনা
গোসল কখন ফরজ হয় – নাপাকি, স্বপ্নদোষ, বীর্যপাতের বর্ণনা >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ১, অধ্যায় (৯৩-১১৪)=২২ টি, হাদীস (৫৭২-৬১৯)=৪৮ টি
৯৩. অধ্যায়ঃ আহত ব্যক্তি অপবিত্র হওয়ার পর গোসল করলে তার শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করলে
৯৪. অধ্যায়ঃ পবিত্রতার গোসল
৯৫. অধ্যায়ঃ গোসলের পর উযু করা
৯৬. অধ্যায়ঃ গোসলের পর ওজুর প্রয়োজন নাই
৯৭. অধ্যায়ঃ নাপাকির গোসল সেরে স্ত্রীর গোসলের পূর্বে তাকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণতা লাভ করা
৯৮. অধ্যায়ঃ নাপাকির গোসল না সেরে ঘুমানো
৯৯. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি বলে, নাপাক ব্যক্তি সলাতের ওজুর ন্যায় ওজু করা ব্যতীত ঘুমাবে না
১০০. অধ্যায়ঃ নাপাক ব্যক্তি পুনরায় সহবাস করিতে চাইলে আগে উযু করে নিবে
১০১. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর একবার গোসল করে
১০২. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি প্রতিবার সহবাসের পর গোসল করে
১০৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অপবিত্র অবস্হায় পানাহার করে
১০৪. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি বলে , তার দু হাত ধোয়াই যথেস্ট
১০৫. অধ্যায়ঃ বিনা উযুতে কোরআন তেলাওয়াত করা
১০৬. অধ্যায়ঃ প্রতিটি লোমকূপে নাপাকী আছে
১০৭. অধ্যায়ঃ পুরুষের ন্যায় স্ত্রীলোকদেরও স্বপ্নদোষ হয়
১০৮. অধ্যায়ঃ মহিলাদের নাপাকির গোসল
১০৯. অধ্যায়ঃ নাপাক ব্যক্তি পানিতে ঝাপিয়ে পড়লে তা তার জন্য যথেষ্ট হইবে কি?
১১০. অধ্যায়ঃ বীর্যপাতে গোসল অপরিহার্য হয়
১১১. অধ্যায়ঃ পুরুষ ও নারীর লজ্জাস্থান একত্র হলেই গোসল ওয়াজিব হয়
১১২. অধ্যায়ঃ যার স্বপ্নদোষ হয়েছে, কিন্তু সে ভিজা দেখিতে পায় না।
১১৩. অধ্যায়ঃ গোসলের সময় আড়ালের ব্যবস্থা করা
১১৪. অধ্যায়ঃ পেশাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে সলাত পড়া নিষেধ
৯৩. অধ্যায়ঃ আহত ব্যক্তি অপবিত্র হওয়ার পর গোসল করলে তার শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করলে
৫৭২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যমানায় এক ব্যক্তি মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হলো, অতঃপর তার স্বপ্নদোষ হলো। তাকে গোসলের নির্দেশ দেয়া হলে সে গোসল করলো। ফলে সে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলো। এ সংবাদ নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে পৌছলে তিনি বলেন, তারা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাহাদের হত্যা করুন। অজ্ঞতার প্রতিষেধক কি জিজ্ঞেস নয়? আতা [রাঃআঃ] বলেন, আমাদের নিকট এ সংবাদ পৌছেছে যে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, সে যদি তার শরীর ধৌত করতো এবং তার মাথা বাদ দিতো! আতা তার নিকট পৌছেছে এ কথা ব্যতীত হাসান। {৫৬৯}
{৫৬৯} আবু দাউদ ৩৩৭, আহমাদ ৩০৪৮, দারিমি ৭৫২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৪. অধ্যায়ঃ পবিত্রতার গোসল
৫৭৩. মায়মূনাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-এর জন্য গোসলের পানি রেখে দিলে তিনি অপবিত্রতার গোসল করেন। তিনি তাহাঁর বাম হাত দিয়ে পানির পাত্রটি কাত করে তাহাঁর ডান হাতে পানি ঢালেন এবং দু হাতের তালু কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করেন, অতঃপর নিজের লজ্জাস্থান ধৌত করেন, অতঃপর হস্তদ্বয় মাটিতে ঘষেন, অতঃপর কুলি করেন ও নাকে পানি দেন। তিনি তাহাঁর মুখমন্ডল তিনবার এবং দু হাত তিনবার ধুলেন, অতঃপর নিজের সমস্ত শরীরে পানি ঢালেন, তারপর একটু সরে গিয়ে তাহাঁর দু পা ধৌত করেন। {৫৭০}
{৫৭০} বোখারি ২৪৯, ২৫৭, ২৫৯-৬০, ২৬৫-৬৬, ২৭৪, ২৭৬, ২৮১; মুসলিম ৩১১-৩, ৩৩৭; তিরমিজি ১০৩, নাসায়ি ৩৫৩, ৪১৮-১৯; আবু দাউদ ২৪৫, আহমাদ ২৬২৫৮, ২৬৩০২, ২৬০১৬; দারিমি ৭১২, ৭৪৭; ইবনি মাজাহ ৪৬৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৩৪৩। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৭৪. জুমায় বিন উমায়র আত-তায়মী [দঈফ বা দুর্বল] হইতে বর্ণিতঃ
আমি আমার ফুফু ও খালার সাথে আয়িশা [রাঃআঃ]-এর নিকট প্রবেশ করলাম। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অপবিত্রতার গোসলে কী কী করিতেন? আয়িশা [রাঃআঃ] বলেন, তিনি প্রথমে তাহাঁর উভয় হাতে তিনবার পানি ঢালতেন, অতঃপর হাত পানির পাত্রে ঢুকাতেন, অতঃপর তিনবার মাথা ধৌত করিতেন, অতঃপর সমস্ত শরীরে পানি ঢালতেন, অতঃপর সলাতে দাঁড়াতেন। আর আমরা আমাদের মাথার চুল ঘন হওয়ায় তা পাঁচবার ধৌত করি। {৫৭১}
{৫৭১} বোখারি ২৪৮, ২৫৮, ২৬২, ২৭৩; মুসলিম ৩১৬, ৩১৮; তিরমিজি ১০৪, নাসায়ি ২৪৩-৪৯, ৪২৩-২৪; আবু দাউদ ২৪০-৪৩, আহমাদ ২৩৭৩৬, ২৩৮৯০, ২৪১২৭, ২৪১৭৯, ২৪৫৮৪, ২৪৭৫৫, ২৪৮৮১, ২৫০২৫, ২৫৩৩২, ২৫৪৬৪, ২৫৬০৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১০০, দারিমি ৭৪৮। তাহকিক আলবানিঃ খুবই দুর্বল। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৪৫৯, জইফ আবু দাউদ ৩৩। উক্ত হাদিসের রাবি জুমায় বিন উমায়র আত-তায়মী সম্পর্কে ইবনি হিব্বান সিকাহ বললেও ইমাম বোখারি বলেন তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। ইবনি নুমায়র তিনি মানুষের মাঝে বড় মিথ্যুক। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি বানিয়ে হাদিস বর্ণনা করেন। হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
৯৫. অধ্যায়ঃ গোসলের পর উযু করা
৫৭৫. জুবায়র বিন মুতইম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কে বাদানুবাদে লিপ্ত হলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, আমি তো হাত ভর্তি করে তিনবার আমার মাথায় পানি ঢেলে থাকি। {৫৭২}
{৫৭২} বোখারি ২৫৪, মুসলিম ৩২১-২, নাসায়ি ২৫০, ৪২৫; আবু দাউদ ২৩৯, আহমাদ ১৬৩০৭, ১৬৩৩৯, ১৬৩৪৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২৩৯।গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৭৬. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যাক্তি তাকে নাপাকির গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তিনবার। লোকটি বললো, আমার মাথার চুল তো বেশ ঘন। তিনি বললেলন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাথার চুল তোমার চুলের চাইতে অধিক ঘন ছিল এবং তিনি [তোমার চাইতে] অধিক পবিত্রতা সচেতন ছিলেন। {৫৭৩}
সহিহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবি আতিইয়্যা সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাদ সিকাহ বললেও আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু তিনি দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার উপর নির্ভর করা যায় না। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি
৫৭৭. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি শীতপ্রধান অঞ্চলে কিভাবে নাপাকির গোসল করবো? তিনি [সাঃআঃ] বলেন, আমি তো হাতে পানি নিয়ে তিনবার আমার মাথায় ঢেলে থাকি। {৫৭৪}
বোখারি ২৫২, ২৫৫-৫৬; মুসলিম ৩২৮-২৯, নাসায়ি ৪২৬, আহমাদ ১৩৬৯৯, ১৩৭৭৬, ১৪০২১, ১৪৩৪২, ১৪৫৫৭, ১৪৬০৩, ১৪৬১৯, ১৪৬৩৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৭৮. আবু হুরায়রাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করলো, অপবিত্রতার গোসলে আমি আমার মাথায় কতবার পানি ঢালবো? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাত ভর্তি করে তার মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন। লোকটি বললো, আমার চুল তো খুব লম্বা। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাথার চুল ছিল তোমার চুলের চাইতে অধিক [লম্বা] এবং [তিনি ছিলেন] অধিক পবিত্রতা সচেতন। {৫৭৫}
আহমাদ ৭৩৭০ তাহকিক আলবানিঃ হাসান লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবি আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনি আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করে। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান লিগাইরিহি
৯৬. অধ্যায়ঃ গোসলের পর ওজুর প্রয়োজন নাই
৫৭৯. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নাপাকির গোসলের পর ওজু করিতেন না। {৫৭৬}
{৫৭৬} তিরমিজি ১০৭, নাসায়ি ২৫২, ৪৩০; আবু দাউদ ২৫০, ৫৮০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৪৪৫, সহিহ আবু দাউদ ২৪৪। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৭. অধ্যায়ঃ নাপাকির গোসল সেরে স্ত্রীর গোসলের পূর্বে তাকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণতা লাভ করা
৫৮০. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নাপাকির গোসল করার এবং আমার গোসলের পূর্বে আমাকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণতা লাভ করিতেন। {৫৭৭}
{৫৭৭} তিরমিজি ১২৩ তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৪৫৯, জইফ আবু দাউদ ৪৪, যঈফাহ ৫৬৫৭। উক্ত হাদিসের রাবি হুরায়স বিন আবু মাতার সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বোখারি বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল ও ২ টি হাদিস মুনকারভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৯৮. অধ্যায়ঃ নাপাকির গোসল না সেরে ঘুমানো
৫৮১. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অপবিত্র হইতেন, তারপর গোসল না করেই ঘুমিয়ে যেতেন, অতঃপর উঠে গোসল করিতেন। {৫৭৮}
{৫৭৮} তিরমিজি ১১৮, আবু দাউদ ২২৮, আহমাদ ২৩৬৪১, ২৪৮৪৯; ইবনি মাজাহ ৫৮২-৮৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২২৩। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৮২. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার প্রয়োজন মনে করলে তা পূর্ণ করিতেন, অতঃপর সেই অবস্থায় গোসল না করে ঘুমিয়ে যেতেন। {৫৭৯}
{৫৭৯} তিরমিজি ১১৮, আবু দাউদ ২২৮, আহমাদ ২৩৬৪১, ২৪৮৪৯; ইবনি মাজাহ ৫৮১, ৫৮৩। তাহকিক আলবানিঃ. হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৮৩. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অপবিত্র হইতেন, তারপর গোসল না করেই ঘুমিয়ে যেতেন। সুফইয়ান [রহঃ] বলেন, আমি একদিন এ হাদীস বর্ণনা করলে ইসমাঈল [রহঃ] আমাকে বলেন, হে যুবক! হাদীসটি কোন কিছুর সাথে মজবুত করে বেঁধে রাখা হোক। {৫৮০}
{৫৮০} তিরমিজি ১১৮, আবু দাউদ ২২৮, আহমাদ ২৩৬৪১, ২৪৮৪৯; ইবনি মাজাহ ৫৮১-৮২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯৯. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি বলে, নাপাক ব্যক্তি নামাজের ওজুর ন্যায় ওজু করা ব্যতীত ঘুমাবে না
৫৮৪. আয়িশাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অপবিত্র হওয়ার পর ঘুমানোর ইচ্ছা করলে তার পূর্বে নামাজের ওজুর ন্যায় ওজু করে নিতেন। {৫৮১}
৫৮১. বুবোখারি ২৮৬, ২৮৮; মুসলিম ৩০১-২, তিরমিজি ১১৮, নাসায়ি ২৫৫-৫৮, আবু দাউদ ২২২, ২২৪; আহমাদ ২৩৫৬৩, ২৪০৭৮, ২৪১৯৩, ২৪১৯৬, ২৪৩৪৫, ২৪৩৫৩, ২৪৩৬১, ২৪৪২৮, ২৪৪৪৮, ২৪৫৮০, ২৪৬৩৪, ২৪৮০৩, ২৫০৫৫, ২৫০৬৫, ২৫১৩৯, ২৫২৮৬, ২৫৪৭২, ২৫৮১০, ২৫৮৫১; দারিমি ৭৫৭, ইবনি মাজাহ ৫৯১, ৫৯৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ৩৯০, সহিহ আবু দাউদ ৩৯০। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৮৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনিল খাত্তাব রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিলেন, আমাদের কেউ কি অপবিত্র অবস্থায় ঘুমাতে পারে? তিনি বলেন, হাঁ, সে ওজু করে নিলে পারবে। {৫৮২}
{৫৮২} বোখারি ২৮৭, ২৮৯-৯০; মুসলিম ৩০৬, নাসায়ি ২৫৯-৬০, আবু দাউদ ২২১, আহমাদ ৩৬১, ৫০৩৬, ৫১৬৮, ৫২৯২, ৫৪১৯, ৫৪৭৩, ৫৯৩১; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১০৯, দারিমি ৭৫৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২১৭। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৮৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রাতের বেলা অপবিত্র হইতেন, অতঃপর ঘুমানোর ইচ্ছা করিতেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে ওজু করে ঘুমানোর নির্দেশ দেন। {৫৮৩}
{৫৮৩} আহমাদ ৭৬৪৮ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০০. অধ্যায়ঃ নাপাক ব্যক্তি পুনরায় সহবাস করিতে চাইলে আগে উযু করে নিবে
৫৮৭. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাসের পর পুনরায় সহবাসের ইচ্ছে করলে, সে যেন ওযূ করে নেয়। {৫৮৪}
{৫৮৪} মুসলিম ৩০৮, তিরমিজি ১৪১, নাসায়ি ২৬২, আবু দাউদ ২২০, আহমাদ ১০৭৭৭, ১০৮৪৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২১৬। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০১. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর একবার গোসল করে
৫৮৮. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস শেষে একবার গোসল করিতেন। {৫৮৫}
{৫৮৫} বোখারি ২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫; মুসলিম ৩০৯, তিরমিজি ১৪০, নাসায়ি ২৬৩-৬৪, ৩১৯৮; আবু দাউদ ২১৮, আহমাদ ১১৫৩৫, ১২২২১, ১২২৯০, ১২৫১৪, ১২৫৫৫, ১২৯৪২, ১৩০৯৩, ১৩২৩৬; দারিমি ৭৫৩-৫৪, ইবনি মাজাহ ৫৮৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২১১-২১৩। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৮৯. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর গোসলের পানি প্রস্তুত করে রাখলাম। তিনি একই রাতে তাহাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাসের পর একবার গোসল করেন। {৫৮৬}
{৫৮৬} বোখারি ২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫; মুসলিম ৩০৯, তিরমিজি ১৪০, নাসায়ি ২৬৩-৬৪, ৩১৯৮; আবু দাউদ ২১৮, আহমাদ ১১৫৩৫, ১২২২১, ১২২৯০, ১২৫১৪, ১২৫৫৫, ১২৯৪২, ১৩০৯৩, ১৩২৩৬; দারিমি ৭৫৩-৫৪, ইবনি মাজাহ ৫৮৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ লিগাইরিহী। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২১৪। উক্ত হাদিস্বে রাবি সালিহ ইবনিল আদখার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইমাম বোখারি তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আল আজালী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ লিগাইরিহি
১০২. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি প্রতিবার সহবাসের পর গোসল করে
৫৯০. আবু রাফি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] এক রাতে তাহাঁর স্ত্রীগণের সাথে সহবাস করিলেন। তিনি তাহাদের প্রত্যেকের সাথে সহবাসের পর পর গোসল করেন। তাকে বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কেন একবার গোসল করিলেন না? তিনি বলেন, সেটি অধিকতর বিশুদ্ধ, পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন। {৫৮৭}
{৫৮৭} আবু দাউদ ২১৯ তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২১৫।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১০৩. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি অপবিত্র অবস্হায় পানাহার করে
৫৯১. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নাপাক অবস্হায় কিছু খাওয়ার ইচ্ছা করলে উযু করে নিতেন। {৫৮৮}
{৫৮৮} বোখারি ২৮৬, ২৮৮; মুসলিম ৩০১-২, তিরমিজি ১১৮, নাসায়ি ২৫৫-৫৮, আবু দাউদ ২২২, ২২৪; আহমাদ ২৩৫৬৩, ২৪০৭৮, ২৪১৯৩, ২৪১৯৬, ২৪৩৪৫, ২৪৩৫৩, ২৪৩৬১, ২৪৪২৮, ২৪৪৪৮, ২৪৫৮০, ২৪৬৩৪, ২৪৮০৩, ২৫০৫৫, ২৫০৬৫, ২৫১৩৯, ২৫২৮৬, ২৫৪৭২, ২৫৮১০, ২৫৮৫১; দারিমি ৭৫৭, ইবনি মাজাহ ৫৮৪, ৫৯৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২২০। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫৯২. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-কে অপবিত্র ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সে কি ঘুমাতে বা পানাহার করিতে পারে? তিনি বলেন, হাঁ, যদি সে তার নামাজের উযুর ন্যায় উযু করে নেয়। {৫৮৯}
৫৮৯.সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৪. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি বলে , তার দু হাত ধোয়াই যথেস্ট
৫৯৩. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] নাপাক অবস্হায় খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছা করলে তার দুহাত ধুয়ে নিতেন। {৫৯০}
{৫৯০} বোখারি ২৮৬, ২৮৮; মুসলিম ৩০১-২, তিরমিজি ১১৮, নাসায়ি ২৫৫-৫৮, আবু দাউদ ২২২, ২২৪; আহমাদ ২৩৫৬৩, ২৪০৭৮, ২৪১৯৩, ২৪১৯৬, ২৪৩৪৫, ২৪৩৫৩, ২৪৩৬১, ২৪৪২৮, ২৪৪৪৮, ২৪৫৮০, ২৪৬৩৪, ২৪৮০৩, ২৫০৫৫, ২৫০৬৫, ২৫১৩৯, ২৫২৮৬, ২৫৪৭২, ২৫৮১০, ২৫৮৫১; দারিমি ৭৫৭, ইবনি মাজাহ ৫৮৪, ৫৯১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২১৯। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৫. অধ্যায়ঃ বিনা উযুতে কোরআন তেলাওয়াত করা
৫৯৪. আবদুল্লাহ বিন সালামাহ [তিনি সত্যবাদী, কিন্তু স্মৃতি শক্তি খুবই দুর্বল] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী বিন আবু তালিব [রাঃআঃ]-এর নিকট গেলাম। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পায়খানায় গিয়ে তাহাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে বের হয়ে এসে আমাদের সাথে রুটি ও গোশত খেতেন, কুরআন তিলাওয়াত করিতেন, এবং তাঁকে কোন জিনিস এ থেকে বিরত রাখতো না। রাবি কখনো বলিতেন, গোসলের প্রয়োজন হয়, এরূপ নাপাক অবস্হা ব্যতীত কোন জিনিস তাকে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বিরত রাখতো না। {৫৯১}
{৫৯১} তিরমিজি ১৪৬, নাসায়ি ২৬৫-৬৬, আবু দাউদ ২২৯, আহমাদ ৬২৮, ৬৪০, ৬৮৮, ৮৪২, ১০১৪, ১১২৬, ইবনি মাজাহ ৫৯৫। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৪৬০, জইফ আবু দাউদ ৩১, ইরওয়াহ ১৯২, ৪৮৫। উক্ত হাদিসের রাবি আবদুল্লাহ বিন সালামাহ সম্পর্কে ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। ইবনি আদী বলেন, আমি আশা রাখি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৫৯৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, নাপাক ব্যক্তি ও ঋতুবতী স্ত্রীলোক কুরআন তিলাওয়াত করিবেনা। {৫৯২}
{৫৯২} তিরমিজি ১৪৬, নাসায়ি ২৬৫-৬৬, আবু দাউদ ২২৯, আহমাদ ৬২৮, ৬৪০, ৬৮৮, ৮৪২, ১০১৪, ১১২৬, ইবনি মাজাহ ৫৯৪। তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়া ১৯২ জইফ, জামি সগীর ৬৩৬৪ জইফ, মিশকাত ৪৬১। উক্ত হাদিসের রাবি ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
৫৯৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, নাপাক ব্যক্তি ও ঋতুবতী স্ত্রীলোক কুরআনের কিছুই তিলাওয়াত করিবেনা। {৫৯৩}
{৫৯৩} তিরমিজি ১৩১ তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। তাখরিজ আলবানিঃ মিশকাত ৪৬১, ইরওয়াহ ১৯২। উক্ত হাদিসের রাবি ইসমাঈল বিন আয়্যাশ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, আহলে শাম থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনিল মাদীনী, ইবনি আবু শায়বাহ, আমর ইবনিল ফাল্লাস ও দুহায়ম বলেন, শাম শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় তিনি সিকাহ কিন্তু অন্য শহর থেকে হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
১০৬. অধ্যায়ঃ প্রতিটি লোমকূপে নাপাকী আছে
৫৯৭. আবু হুরাইরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, নিশ্চয় প্রতিটি লোমকূপে নাপাকী আছে। অতএব তোমরা লোমকূপ উত্তমরূপে ধৌত করো এবং দেহের চামড়া পরিষ্কার করো। {৫৯৪}
{৫৯৪} তিরমিজি ১০৬, আবু দাউদ ১৪৮। তাহকিক আলবানিঃ মুনকার। তাখরিজ আলবানিঃ আবু দাউদ ২৪৮ জইফ, জামি সগীর ১৮৪৭ জইফ, তিরমিজি ১০৬ জইফ, মিশকাত ৪৪৩ জইফ, মিশকাত ৪৪৩, জইফ, আবু দাউদ ৩৭। উক্ত হাদিসের রাবি হারিস বিন ওয়াজিহ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে আমার জানা নেই। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইমাম বোখারি বলেন, তার হাদিস মুনকার রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী তাকে দুর্বল বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
৫৯৮. আবু আয়্যূব আল-আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ, এক জুমুআহ থেকে পরবর্তী জুমুআহ এবং আমানত ফেরত দেয়া এদের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারাস্বরূপ। আমি বললাম, আমানত ফেরত দেয়ার অর্থ কী? তিনি বলেন, নাপাকির গোসল করা। কেননা প্রতিটি লোমকূপে নাপাকী আছে। {৫৯৫}
{৫৯৫} জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জামি সগীর ৩৮৭৪, ৩৮৭৫ সহিহ ৩৫৭৬ জইফ, তিরমিজি ২১৪ সহিহ, মিশকাত ৫৬৪ সহিহ, সহিহ তারগিব ৩৫৪, জইফ আবু দাউদ ৩৭, যঈফাহ ৩৮০১। উক্ত হাদিসের রাবি উতবাহ বিন আবু হাকীম সম্পর্কে আবু যুরআহ আদ-দিমাশকী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনি আদী বলেন, আমি আশা করি কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে সালিহ বলেছেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৫৯৯. আলী বিন আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি নাপাকির গোসলে তার দেহের একটি পশমও [না ধুয়ে] ছেড়ে দেয়, সে গোসলই করেনি। তাকে জাহান্নামের এই এই শাস্তি দেয়া হইবে। আলী [রাঃআঃ] বলেন, এরপর থেকে আমি আমার চুলের সাথে শত্রুতা করে আসছি। তিনি তার মাথা মুন্ডন করিতেন। {৫৯৬}
{৫৯৬} আবু দাউদ ২৪৯, আহমাদ ৭২৯, ৭৯৬, ১১২৪; দারিমি ৭৫১। তাহকিক আলবানিঃ জইফ। তাখরিজ আলবানিঃ জইফ আবু দাউদ ৩৮, ইরওয়াউল গালীল ১৩৩। উক্ত হাদিসের রাবি আতা বিন সায়িব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ, তবে তার থেকে পূর্বে যারা হাদিস শ্রবন করেছে তা সহিহ। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ তবে মৃত্যুর পূর্বে স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছিল। আবু হাতিম আর-রাযী ও মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করিয়াছেন।হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
১০৭. অধ্যায়ঃ পুরুষের ন্যায় স্ত্রীলোকদেরও স্বপ্নদোষ হয়
৬০০. উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলায়ম [রাঃআঃ] নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করেন যে, স্ত্রীলোকের যদি পুরুষ লোকের ন্যায় স্বপ্নদোষ হয় তবে কী করিবে? তিনি বলেন, হাঁ, সে পানি [বীর্য] দেখিতে পেলে যেন গোসল করে। আমি বললাম, তুমি তো নারীদের অবমাননা করলে। মহিলাদেরও কি স্বপ্নদোষ হয়? নবী [সাঃআঃ] বলেন, তোমার হাত ধুলিমলিন হোক, তা না হলে সন্তান মাতৃসদৃশ হয় কেন? {৫৯৭}
{৫৯৭} বোখারি ১৩০, মুসলিম ৩১৩, তিরমিজি ১২২, নাসায়ি ১৯৭, আহমাদ ২৫৯৬৪, ২৬০৩৯, ২৬০৭৩, ২৬০৯১; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১১৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২৩৬। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬০১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
উম্মু সুলায়ম [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট জিজ্ঞেস করেন, পুরুষের ন্যায় কোন নারীর স্বপ্নদোষ হলে সে কী করিবে? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যদি তার স্বপ্নদোষ হয় এবং তার বীর্যপাত হয়, তবে তাকে গোসল করিতে হইবে। উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! তাই কি হয়? তিনি বলেন, হ্যাঁ। পুরুষের বীর্য গাঢ় সাদা এবং স্ত্রীলোকের বীর্য পাতলা হলদে রংবিশিষ্ট। সুতরাং এদের মধ্যে যার বীর্য আগে স্খলিত হয়, সন্তান তার সদৃশ হয়। {৫৯৮}
{৫৯৮} মুসলিম ৩১০-১১, নাসামুসলিম ৩১০-১১, নাসায়ি ১৯৫, ২০০; আহমাদ ১২৬৪২, ১৩৬৯৮; দারিমি ৭৬৪। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১৩৪২। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬০২. খাওলা বিনত হাকীম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করেন, পুরুষের ন্যায় নারীর স্বপ্নদোষ হলে তিনি বলেন, বীর্যপাত না হওয়া পর্যন্ত গোসল করা তার কর্তব্য নয়, যেমন পুরুষের বীর্যপাত না হলে গোসল করিতে হয় না। {৫৯৯}
{৫৯৯}নাসায়ি ১৯৮, আহমাদ ২৬৭৬৭, দারিমি ৭৬২। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ২১৮৭। উক্ত হাদিসের রাবি আলী বিন যায়দ বিন জুদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল আজালী বলেন, কোন সমস্যা নেই। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১০৮. অধ্যায়ঃ মহিলাদের নাপাকির গোসল
৬০৩. উম্মু সালামাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি আমার চুলের খোপা খুব শক্ত করে বেঁধে থাকি। আমি নাপাকির গোসল করিতে কি তা খুলে নিব? তিনি বলেন, তোমার হাতে করে তিনবার মাথায় পানি ঢাললেই তা তোমার জন্য যথেষ্ট হইবে। অতঃপর তুমি তোমার সমস্ত দেহে পানি ঢেলে দিবে এবং তাতেই তুমি পবিত্র হয়ে যাবে অথবা তিনি বলেছেন, এরূপ করলেই তুমি পবিত্র হয়ে গেলে। {৬০০}
{৬০০}মুসলিম ৩৩০, তিরমিজি ১০৫, নাসায়ি ২৪১, আবু দাউদ ২৫১, আহমাদ ২৫৯৩৭, ২৬১৩৭; দারিমি ১১৫৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ১৩৬, সহিহ আবু দাউদ ২৪৫, সহিহহাহ ১৮৯। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬০৪. উবায়দ বিন উমায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আয়িশা [রাঃআঃ] জানতে পারেন যে, আবদুল্লাহ বিন আম্র [রাঃআঃ] তার স্ত্রীদের [নাপাকির] গোসলের সময় তাহাদের মাথার চুলের খোপা খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, আমরের পুত্রের এ কাজে আশ্চর্য বোধ করছি। সে তার স্ত্রীগণকে তাহাদের মাথা কামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় না কেন? অবশ্যই আমি ও আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] একই পাত্রের পানি দিয়ে একত্রে গোসল করেছি। আমি আমার হাতে তিনবার পানি নিয়ে আমার মাথায় ঢেলেছি। এর বেশি নয়। {৬০১}
{৬০১} বোখারি ২৫০, ২৬১, ২৬৩, ২৭৩, ৩০১; মুসলিম ৩২১-৫, ৩৩১; তিরমিজি ১৭৫৫, নাসায়ি ২২৮, ২৩১-২৩৫, ৪১০-৪১৪, ৪১৬; আবু দাউদ ৭৭, ২৩৮; আহমাদ ২৩৪৯৪, ২৩৫৬৯, ২৩৬৪০, ২৩৮২৮, ২৪০৭৮, ২৪১৯৮, ২৪৩৪৫, ২৪৩৯৪, ২৪৪৩২, ২৪৪৫৭, ২৪৪৭০, ২৪৭০৭, ২৪৭৪৯, ২৪৮২৫, ২৪৮৪১, ২৪৮৫২, ২৪৮৬১, ২৪৮৭৭, ২৫০৩৫, ২৫০৫৫, ২৫০৮০, ২৫১০৬, ২৫২৩৬, ২৫৩৯৪, ২৫৪১০, ২৫৪৪৯, ২৫৬৪৫, ২৫৭৫৬, ২৭৬৫৯; দারিমি ৭৪৯-৫০, ইবনি মাজাহ ৩৭৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৭০।গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০৯. অধ্যায়ঃ নাপাক ব্যক্তি পানিতে ঝাপিয়ে পড়লে তা তার জন্য যথেষ্ট হইবে কি?
৬০৫. আবু হুরাইরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন বদ্ধ পানিতে গোসল না করে। তিনি বলেন, তাহলে সে কিভাবে গোসল করিবে, হে আবু হুরাইরাহ ! তিনি বলেন, কোন পাত্রে পানি তুলে নিয়ে গোসল করিবে। {৬০২}
{৬০২} মুসলিম ২৮৩, নাসায়ি ২২০, ৩৯৬, আবু দাউদ ৭০, আহমাদ ৯৩১৩। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১১০. অধ্যায়ঃ বীর্যপাতে গোসল অপরিহার্য হয়
৬০৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক আনসারীর নিকট দিয়ে গেলেন এবং তাকে ডেকে পাঠালেন। সে বেরিয়ে এলো এবং তখন তার মাথা থেকে পানি ঝরছিল। তিনি বলেন, সম্ভবত আমরা তোমাকে তাড়াহুড়ার মধ্যে ফেলেছি? সে বললো , হাঁ, হে আল্লাহ্র রসূল। তিনি বলেন, যখন তোমার তাড়াহুড়া করিতে হয় এবং তোমার বীর্যপাত না হয়, তখন তোমার জন্য গোসল অপরিহার্য নয়, তুমি উযু করে নিবে। {৬০৩}
তাহকীক আলবানি ঃ সহিহ মানসূখ।{হাদীসটি মানসুখ। বিস্তারিত জানতে আলেমদের সাথে পরামর্শ করুন।} {৬০৩} বোখারি ১৮০, মুসলিম ৩৪৫, আহমাদ ১০৭৭৮ নাসায়ি ১৯৯, আহমাদ ২৩০২০,২৩০৬৩, দারিমি ৭৫৮। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ মানসূখ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২১০।হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
৬০৭. আবু আয়্যূব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, বীর্যপাত হলে গোসল ওয়াজিব হয়। {৬০৪}
{৬০৪} মুসলিম ৩৪৯-৫০, তিরমিজি ১০৮, আহমাদ ২৩৬৮৬, ২৪১৩৪, ২৪২৯৬, ২৪৩৯৩, ২৪৫১৬, ২৪৭৫৩, ২৫৩৭৪, ২৫৪৯৪, ২৫৭৫৭, মুওয়াত্ত্বা মালিক ১০৪-৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ।গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১১১. অধ্যায়ঃ পুরুষ ও নারীর লজ্জাস্থান একত্র হলেই গোসল ওয়াজিব হয়
৬০৮. নাবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, দু বিপরীত লিঙ্গ পরস্পর মিলিত হলেই গোসল ওয়াজিব হয়। আমি ও রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ করেছি এবং আমরা গোসল করেছি। {৬০৫}
{৬০৫} তিরমিজি ১১০, আবু দাউদ ২১৪-১৫, আহমাদ ২০৫৯৩, ২০৬০১, দারিমি ৭৫৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ১৬৬১, ইরওয়াহ ৮০, মিশকাত ৪৪২। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬০৯. উবাই বিন কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে বীর্যপাতের ফলে গোসল ওয়াজিব ছিল না। অতঃপর আমাদেরকে গোসলের নির্দেশ দেয়া হয়। {৬০৬}
{৬০৬} বোখারি ২৯১, মুসলিম ৩৪৮, নাসায়ি ১৯১-২, আবু দাউদ ২১৬, আহমাদ ৭১৫৭, ৮৩৬৯, ৮৮৬৩, ৯৭৩৩, ১০৩৬৫; দারিমি ৭৬১। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২০৭, ২০৮। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬১০. আবু হুরাইরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যখন কোন ব্যক্তি তার [স্ত্রীর] চার অঙ্গের মধ্যবর্তী স্থানে উপবিষ্ট হয় এবং তার সাথে সঙ্গম করে, তখন গোসল ওয়াজিব হয়। {৬০৭}
{৬০৭} আহমাদ ৬৬৩২ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২০৯, ইরওয়াহ ১২২। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬১১. আবদুল্লাহ বিন আম্র ইবনিল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, দুবিপরীত লিঙ্গ পরস্পর মিলিত হলে এবং পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ অদৃশ্য হয়ে গেলেই গোসল ওয়াজিব হয়। {৬০৮}
{৬০৮} সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহা ৩/২৬০। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১১২. অধ্যায়ঃ যার স্বপ্নদোষ হয়েছে, কিন্তু সে ভিজা দেখিতে পায় না।
৬১২. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, যদি তোমাদের কেউ ঘুম থেকে জেগে উঠে ভিজা দেখিতে পায় কিন্তু স্বপ্নদোষের কথা তার মনে না পড়ে তাহলে গোসল করিবে। অপরদিকে তার স্বপ্নদোষের কথা স্মরণ হলে, কিস্তু ভিজা দেখিতে না পেলে তার উপর গোসল ওয়াজিব নয়। {৬০৯}
{৬০৯} তিরমিজি ১১৩, আবু দাউদ ২৩৬, আহমাদ ২৫৬৬৩, দারিমি ৭৬৫। তাহকিক আলবানিঃ হাসান। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ২৩৪। উক্ত হাদিসের রাবি উমায়রিইয়্যী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সালিহ তার মাঝে কোন সমস্যা নেই, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা যায়। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আলী ইবনিল মাদীনী তাকে দুর্বল বলেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১১৩. অধ্যায়ঃ গোসলের সময় আড়ালের ব্যবস্থা করা
৬১৩. আবুস সাম্হ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি নবী [সাঃআঃ]-এর খেদমত করতাম। তিনি গোসলের ইচ্ছা করলে বলিতেনঃ আমার দিকে পিঠ ফিরিয়ে দাঁড়াও। আমি তাহাঁর দিকে আমার পিঠ ফিরিয়ে দাঁড়াতাম এবং কাপড় লম্বা করে তা দিয়ে তাকে আড়াল করতাম। {৬১০}
{৬১০} নাসায়ি ২২৪, আবু দাউদ ৩৭৬। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৪০০। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬১৪. আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন নাওফাল হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অনেকের কাছে জিজ্ঞেস করেছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি সফররত অবস্থায় চাশতের নামাজ আদায় করিতেন? আমাকে অবহিত করার মত কাউকে আমি পেলাম না। অবশেষে উম্মু হানী বিনতে আবু তালিব [রাঃআঃ] আমাকে অবহিত করেন যে, নবী [সাঃআঃ] মাক্কাহ বিজয়ের বছর সেখানে আসেন। তিনি আড়াল করার জন্য নির্দেশ দেন। সে মতে তাহাঁর জন্য আড়ালের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি গোসল করেন, অতঃপর আট রাকআত [চাশতের] নামাজ পড়েন। {৬১১}
{৬১১} বোখারি ২৮০, ৩৫৭, ১১০৪, ১১৭৬, ৩১৭১, ৪২৯২, ৬১৫৮; মুসলিম ৩৩১-৫, তিরমিজি ৪৭৪, ২৭৩৪; নাসায়ি ২২৫, ৪১৫; আবু দাউদ ১২৯০-৯১, আহমাদ ২৬৩৪৮, ২৬৩৫৬, ২৬৩৬৪, ২৬৮৩৩, ২৬৮৪০, ২৬৮৪২; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৫৮-৫৯, দারিমি ১৪৫২-৫৩, ইবনি মাজাহ ৪৬৫, ১৩২৩, ১৩৭৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬১৫. আবদুল্লাহ বিন মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন আড়ালের ব্যবস্থা না করে উন্মুক্ত ময়দানে কিংবা ছাদের উপরে গোসল না করে। কারণ সে তাঁকে না দেখলেও তিনি [আল্লাহ] তাকে দেখেন। {৬১২}
{৬১২}নিতান্ত দুর্বল। তাখরিজ আলবানিঃ যঈফাহ ৪৮১৮। উক্ত হাদিসের রাবি হাসান বিন উমারাহ সম্পর্কে শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ বলেন, তিনি মিথ্যুক। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আলী ইবনিল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বানিয়ে বর্ণনা করার পথে গিয়েছেন। আবু হাতিম আর-রাযী ও মুসলিম ইবনি হাজ্জাজ বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল
১১৪. অধ্যায়ঃ পেশাব–পায়খানার বেগ চেপে রেখে নামাজ পড়া নিষেধ
৬১৬. আবদুল্লাহ বিন আরকাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের কেউ পায়খানায় যাওয়ার মনস্থ করলে এবং নামাজের ইকামাতও হইতে থাকলে সে যেন প্রথমে পায়খানা সেরে নেয়। {৬১৩}
{৬১৩} তিরমিজি ১৪২, নাসায়ি ৮৫২ আবু দাউদ ৮৮, আহমাদ ১৫৫২৯, ১৫৯৬৫; মুওয়াত্ত্বা মালিক ৩৮১, দারিমি ১৪২৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ সহিহ আবু দাউদ ৮০। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬১৭. আবু উমামাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে কোন ব্যক্তিকে পেশাব-পায়খানার বেগ চেপে রেখে নামাজ আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {৬১৪}
{৬১৪} আহমাদ ২১৬৪৮, ২১৭৩৮, ২১৭৫২। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ জইফ আবু দাউদ ১১, ১২। উক্ত হাদিসের রাবি ১. বিশর বিন আদাম সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়। ২. সাফার বিন নুসায়ব সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, তার ব্যাপারে নির্ভর করা যায় না। ইবনি হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬১৮. আবু হুরাইরাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন পেশাব-পায়খানার বেগ নিয়ে সলাতে না দাঁড়ায়। {৬১৫}
{৬১৫} আবু দাউদ ৯০ তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬১৯. সাওবান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন মুসলিমের পেশাব-পায়খানার বেগ হলে সে যেন তা থেকে হালকা না হয়ে সলাতে না দাঁড়ায়। {৬১৬}
{৬১৬} তিরমিজি ৩৫৭, আহমাদ ২১৯০৯। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। গোসল কখন ফরজ হয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply