সেহরি খাওয়ার ফযীলত। যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে
সেহরি খাওয়ার ফযীলত। যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ২২১: সেহরি খাওয়ার ফযীলত। যদি ফজর উদয়ের আশংকা না থাকে, তাহলে তা বিলম্ব করে খাওয়া উত্তম
1/1237 عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«تَسَحَّرُوا ؛ فَإِنَّ فِي السُّحُورِ بَرَكَةً». متفقٌ عَلَيْهِ
১/১২৩৭। আনাস ইবনি মালেক রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “তোমরা সেহরি খাও। কেননা, সেহরিতে বরকত নিহিত আছে।” [বুখারী ও মুসলিম][1]
2/1238. وَعَنْ زَيدِ بنِ ثَابِتٍ رضي الله عنه، قَالَ: تَسَحَّرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ قُمْنَا إِلَى الصَّلاَةِ . قِيلَ: كَمْ كَانَ بَينَهُمَا ؟ قَالَ: قَدْرُ خَمْسِينَ آيةً . متفقٌ عَلَيْهِ
২/১২৩৮। যায়েদ ইবনি সাবেত রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর সঙ্গে সেহরি খেয়েছি, অতঃপর নামাযে দাঁড়িয়েছি।’ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘ওই দুয়ের [নামায ও সেহরির] মাঝখানে ব্যবধান কতক্ষণ ছিল?’ তিনি বলিলেন, ‘[প্রায়] পঞ্চাশ আয়াত পড়ার মত সময়।’ [বুখারী ও মুসলিম] [2]
3/1239 وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُؤَذِّنَانِ: بِلاَلٌ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم:«إِنَّ بِلاَلاً يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ، فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ». قَالَ: وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا إِلاَّ أَنْ يَنْزِلَ هَذَا وَيَرْقَى هَذَا. متفقٌ عَلَيْهِ
৩/১২৩৯। ইবনি উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর দু’জন মুয়াজ্জিন ছিলেন; বিলাল ও ইবনি উম্মে মাকতূম। একদা রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, “বিলাল যখন রাতে আযান দেবে, তখন তোমরা পানাহার [সেহরি ভক্ষণ] কর; যতক্ষণ পর্যন্ত না ইবনি উম্মে মাকতূম আযান দেবে।” [ইবনি উমার] বলেন, ‘আর তাঁদের উভয়ের আযানের মাঝে এতটুকু ব্যবধান ছিল যে, উনি নামতেন, আর ইনি ছড়তেন।’ [বুখারী ও মুসলিম][3]
* [[আলেমগণ বলেন, ‘ইনি নামতেন এবং উনি চড়তেন’-এর অর্থ হল, বিলাল রাঃআঃ ফজরের পূর্বে [সেহরির] আযান দিতেন, অতঃপর দো‘আ ইত্যাদির মাধ্যমে অপেক্ষা করে ফজর উদয় হওয়া লক্ষ্য করিতেন। সুতরাং তিনি ফজর উদয় নিকটবর্তী লক্ষ্য করলে তিনি নেমে [অন্ধ সাহাবী] ইবনি উম্মে মাকতূমকে খবর দিতেন। তিনি ওযু ইত্যাদি করে প্রস্তটি নিতেন। অতঃপর [নির্দিষ্ট উঁচু জায়গায়] চড়ে আযান দিতে শুরু করিতেন।]]
4/1240 وَعَنْ عَمرِو بنِ العَاص رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وصِيَامِ أَهْلِ الكِتَابِ، أَكْلَةُ السَّحَرِ». رواه مسلم
৪/১২৪০। আমর ইবন আস রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, “আমাদের রোযা ও কিতাব-ধারীদের [ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের] রোযার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, সেহরি খাওয়া।” [মুসলিম] [4]
[1] সহীহুল বুখারী ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫, তিরমিযী ৭০৮, নাসায়ী ২১৪৬, ইবনু মাজাহ ১৬৯২, আহমাদ ১১৫৩৯, ১২৮৩৩, ১২৯৭৭, ১৩১৩৯, ১৩২১৩, ১৩৫৮১, দারেমী ১৬৯৬
[2] সহীহুল বুখারী ৫৭৫, ১৯২১, মুসলিম ১০৯৭, তিরমিযী ৭০৩, নাসায়ী ২১৫৫, ২১৫৬, ইবনু মাজাহ ১৬৯৪, আহমাদ ২১০৭৫, ২১১০৬, ২১১২৮, ২১১৬৩, দারেমী ১৬৯৫
[3] সহীহুল বুখারী ৬১৭, ৬২৩, ১৯১৯, ২৬৫৬, ৭২৪৮, মুসলিম ১০৯২, তিরমিযী ২০৩, নাসায়ী ৬৩৭, ৬৩৮, আহমাদ ৪৫৩৭, ৫১৭৩, ৫২৬৩, ৬২৯৪, ৫৪০১, ৫৪৭৪, ৫৬৫৩, ৫৮১৮, ৬০১৪, ইবনু মাজাহ ১৬৩, ১৬৪, দারেমী ১১৯০
[4] মুসলিম ১০৯৬, তিরমিযী ৭০৯, নাসায়ী ২১৬৬, আবূ দাউদ ২৩৪৩, আহমাদ ১৭৩০৮, ১৭৩৪৫, দারেমী ১৬৯৭
Leave a Reply