৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের সাথে সুন্নত পড়ার ফযীলত

৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের সাথে সুন্নত পড়ার ফযীলত

৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের সাথে সুন্নত পড়ার ফযীলত >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর ১০ টি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের সাথে সুন্নত পড়ার ফযীলত

পরিচ্ছেদ – ১৯৫ঃ ফরয নামাযের সাথে সুন্নাতে ‘মুআক্কাদাহ’ পড়ার ফযীলত। আর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ও তার মাঝামাঝি রাকআত-সংখ্যার বিবরণ
পরিচ্ছেদ – ১৯৬ঃ ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব
পরিচ্ছেদ – ১৯৭ঃ ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত হাল্কা পড়া, তাতে কী সূরা পড়া হয় এবং তার সময় কী?
পরিচ্ছেদ – ১৯৮ঃ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুক আর না পড়ুক ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়ে ডান পাশের্ক্ষ শোয়া মুস্তাহাব ও তার প্রতি উৎসাহ দান।
পরিচ্ছেদ – ১৯৯ঃ যোহরের সুন্নত
পরিচ্ছেদ – ২০০ঃ আসরের সুন্নতের বিবরণ
পরিচ্ছেদ – ২০১ঃ মাগরেবের ফরয নামাযের পূর্বে ও পরের সুন্নতের বিবরণ
পরিচ্ছেদ – ২০২ঃ এশার আগে ও পরের সুন্নতসমূহের বিবরণ
পরিচ্ছেদ – ২০৩ঃ জুমুআর সুন্নত
পরিচ্ছেদ – ২০৪ঃ নফল [ও সুন্নত নামাজ] ঘরে পড়া উত্তম। তা সুন্নতে মুআক্কাদাহ হোক কিংবা অন্য কিছু। সুন্নত বা নফলের জন্য, যে স্থানে ফরয নামাজ পড়া হয়েছে সে স্থান পরিবর্তন করা বা ফরয ও তার মধ্যে কোন কথা দ্বারা ব্যবধান সৃষ্টি করার নির্দেশ

পরিচ্ছেদ – ১৯৫: ফরয নামাযের সাথে সুন্নাতে ‘মুআক্কাদাহ’ পড়ার ফযীলত। আর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ও তার মাঝামাঝি রাকআত-সংখ্যার বিবরণ

১১০৪. মু’মিন জননী উম্মে হাবীবাহ রামলা বিনতে আবু সুফিয়ান (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে বলতে শুনেছি, “যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য প্রত্যহ ফরয নামাজ ছাড়া বারো রাকআত সুন্নত নামাজ পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ করেন অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হয় ।”

(মুসলিম ৭২৮, তিরমিজি ৪১৫, নাসায়ী ১৭৯৬-১৮১০, আবু দাঊদ ১২৫০, ইবনু মাজাহ ১১৪১, আহমাদ ২৬২৩৫, ২৬৮৪৯, ২৬৮৬৫, দারেমী ১২৫০) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১০৫. আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর সাথে আমি দু’ রাকআত যোহরের (ফরযের) আগে, দু’ রাকআত তার পরে এবং দু’ রাকআত জুমআর পরে, দু’ রাকআত মাগরেব বাদ, আর দু’ রাকআত নামাজ এশার (ফরযের) পরে পড়েছি ।’

(সহীহুল বুখারী ৬১৮, ৯৩৭, ১১৬৯, ১১৭৩, ১১৮১, মুসলিম ৭২৩, ৭২৯, ৮৮২, তিরমিজি ৪২৫, ৪৩৩, ৫২২, নাসায়ী ৫৮৩, ১৪২৭, ১৪২৮, ১৭৬৯০, ১৭৬১, ১৭৬৫-১৭৭৯, আবু দাঊদ ১১২৮, ১১৩০, ১১৩২, ইবনু মাজাহ ১১৪৫, আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, ৪৬৪৬, ৫৭৪২, ৪৯০২, ৫১০৬, ৫২৭৪, ৫৩৯৪, ৫৪০৯, ৫৪২৫, ৫৪৫৬, ৫৫৭১, ৫৬৫৫, ৫৭০৫, মুওয়াত্তা মালিক ২৬১, ২৮৫, দারেমী ১৪৩৭, ১৪৪৩, ১৪৪৪, ১৫৭৩, ১৫৭৪) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১০৬. আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, “প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে নামাজ আছে । প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে নামাজ আছে । প্রত্যেক দুই আযানের মাঝখানে নামাজ আছে ।” তৃতীয়বারে বললেন, “যে চায় তার জন্য ।”

(সহীহুল বুখারী ৬২৪, ৬২৭, মুসলিম ৮৩৮, তিরমিজি ১৮৫, নাসায়ী ৬৮১, আবু দাঊদ ১২৮৩, ইবনু মাজাহ ১১৬২, আহমাদ ১৬৪৮, ২০০২১, ২০০৩৭, ২০০৫১, দারেমী ১৪৪০) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

পরিচ্ছেদ – ১৯৬: ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব

১১০৭. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ যোহরের (ফরয নামাযের) পূর্বে চার রাকআত ও ফজরের আগে দু’ রাকআত নামাজ কখনো ত্যাগ করতেন না । (বুখারী)

(সহীহুল বুখারী ১১৮২, নাসায়ী ১৭৫৭, ১৭৫৮, আবু দাঊদ ১২৫৩, ইবনু মাজাহ ১১৫৬, আহমাদ ২৩৬৪৭, ২৩৮১৯, মুসলিম ২৪৬২৩, দারেমী ১৪৩৯) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১০৮. উক্ত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘নবী সাঃআঃ ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের প্রতি যেরূপ যত্নবান ছিলেন, সেরূপ অন্য কোনো নফল নামাযের প্রতি ছিলেন না ।’

(সহীহুল বুখারী ১১৬৩, মুসলিম ৭২৪, আবু দাঊদ ১২৫৪, আহমাদ ২৩৭৫, ২৪৮৩৬) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১০৯. উক্ত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, “ফজরের দু’ রাকআত (সুন্নত) পৃথিবী ও তাতে যা কিছু আছে সবার চেয়ে উত্তম ।”

(মুসলিম ২৫, তিরমিজি ৪১৬, নাসায়ী ১৭৫৯, আহমাদ ২৫৭৫৪) অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, “ঐ দুই রাকআত আমার নিকট দুনিয়ার সবকিছু থেকে অধিক প্রিয় ।” হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১০.আবু আব্দুল্লাহ বিলাল ইবনে রাবাহ- হইতে বর্ণিতঃ

(একবার) রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে ফজরের নামাযের খবর দেবার মানসে তাঁর নিকট হাযির হলেন । তখন আয়েশা (রাদি.) তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রাখলেন, তিনি যে সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন । শেষ পর্যন্ত ভোর খুব বেশি পরিস্ফুট হয়ে পড়ল, সুতরাং বিলাল দাঁড়িয়ে নবী সাঃআঃ-কে নামাযের খবর দিলেন এবং বারংবার জানাতে থাকলেন । কিন্তু তিনি বাইরে এলেন না । (তার কিছুক্ষণ পর) তিনি এলেন ও লোকদেরকে নিয়ে নামাজ পড়লেন । তখন বিলাল (রাদি.) নবী সাঃআঃ-কে জানালেন যে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রেখেছিলেন, যে সম্পর্কে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন । শেষ পর্যন্ত খুব ফর্সা হয়ে গেল এবং তিনিও বাইরে আসতে দেরি করলেন । তিনি (নবী সাঃআঃ) বললেন, “আমি ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়ছিলাম ।” বিলাল বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল ! আপনি তো একদম সকাল ক’রে দিলেন ।’ তিনি বললেন, “তার চেয়েও বেশি সকাল হয়ে গেলেও, আমি ঐ দু’ রাকআত সুন্নত পড়তাম এবং সুন্দর ও উত্তমরূপে পড়তাম ।”

(আবু দাঊদ ১২৫৭, আহমাদ ২৩৩৯৩) হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ – ১৯৭: ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত হাল্কা পড়া, তাতে কি সূরা পড়া হয় এবং তার সময় কি?

১১১১. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ফজরের সময় আযান ও ইকামতের মাঝখানে সংক্ষিপ্ত দু’ রাকআত নামাজ পড়তেন । (বুখারী ও মুসলিম)

(সহীহুল বুখারী ৬১৯, ১১৫৯, ১১৬৪, মুসলিম ৪৭১, ৭২৪, ৭৩৬, তিরমিজি ৪৫৯, নাসায়ী ৬৮৫, ৯৪৬, ১৭৫৬, ১৭৫৭, ১৭৫৮, ১৭৬২, ১৭৮০, ১৭৮১, আদ ১২৫৫, ১৩৩৮, ১৩৩৮, ১৩৩৯, ১৩৪০, ইবনু মাজাহ ১৩৫, ১৩৫৮, ১৩৫৯, আহমাদ ২৩৪৯৭, ২৩৫৩৭, ২৩৬৪৭, ২৩৭০৫, ২৩৭১৯, ২৩৭৩৭, ২৩৭৪১, ২৩৮১৯, ২৩৯২৫, দারেমী ১৪৪৭, ১৪৭৩) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১২. হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

যখন মুআয্‌যিন আযান দিত ও ফজর উদয় হত তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) দু’ রাকআত সংক্ষিপ্ত নামাজ পড়তেন । (বুখারী-মুসলিম)

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, যখন ফজর উদয় হত তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) দু’ রাকআত সংক্ষিপ্ত নামাজ ছাড়া আর কিছু পড়তেন না । (বুখারী ও মুসলিম) (সহীহুল বুখারী ৬১৮, ৯৩৭, ১১৬৯, ১১৭৩, ১১৮১, মুসলিম ৭২৩, ৭২৯, ৮৮২, তিরমিজি ৪২৫, ৪৩৩, ৫২২, নাসায়ী ৫৮৩, ১৪২৭, ১৪২৮, ১৭৬৯০, ১৭৬১, ১৭৬৫-১৭৭৯, আবু দাঊদ ১১২৮, ১১৩০, ১১৩২, ইবনু মাজাহ ১১৪৫, আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, ৪৬৪৬, ৫৭৪২, ৪৯০২, ৫১০৬, ৫২৭৪, ৫৩৯৪, ৫৪০৯, ৫৪২৫, ৫৪৫৬, ৫৫৭১, ৫৬৫৫, ৫৭০৫, মুওয়াত্তা মালিক ২৬১, ২৮৫, দারেমী ১৪৩৭, ১৪৪৩, ১৪৪৪, ১৫৭৩, ১৫৭৪) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১৩. আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) রাতে (তাহাজ্জুদের নামাজ) দুই দুই রাকআত ক’রে পড়তেন । আর রাতের শেষ ভাগে এক রাকআত বিত্‌র পড়তেন । ফজরের নামাযের পূর্বে দু’ রাকআত (সুন্নত) পড়তেন । আর এত দ্রুত পড়তেন যেন তাকবীর-ধ্বনি তাঁর কানে পড়ছে ।’ (বুখারী ও মুসলিম)

(সহীহুল বুখারী ৪৭২, ৯৯৫, নাসায়ী , ৪৭৩, ৯৯১, ৯৯৩, ৯৯৮, ১১৩৭, মুসলিম ৭৪৯, ৭৫১, তিরমিজি ৪৩৭, ৪৬১, নাসায়ী ১৬৬৬, ১৬৬৭, ১৬৬৮, ১৬৬৯, ১৬৭০, ১৬৭১, ১৬৭২, ১৬৭৩, ১৬৭৪, ১৬৮২, ১৬৯২, ১৬৯৪, আবু দাঊদ ১৪২১, ১৪৩৮, ইবনু মাজাহ ১১৭৪, ১১৭৫, ১১৭৬, ১৩২২, আহমাদ ৪৪৭৮, ৪৫৪৫, ৪৬৯৬, ৪৭৭৬, ৪৮৩২, ৪৮৪৫, ৪৯৫১, ৫০১২, মুওয়াত্তা মালিক ২৬১, ২৬৯, ২৭৫, ২৭৬, দারেমী ১৪৫৮) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১৪. ইবনে আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল সাঃআঃ ফজরের সুন্নত নামাযের প্রথম রাকআতে ‘ক্বূলূ আমান্না বিল্লাহি অমা উনযিলা ইলাইনা’ (১৩৬নং) শেষ আয়াত পর্যন্ত – যেটি সূরা বাক্বারায় আছে – পাঠ করতেন । আর তার দ্বিতীয় রাকআতে ‘আমান্না বিল্লাহি অশহাদ বিআন্না মুসলিমূন’ (আলে ইমরানের ৫২নং আয়াত) পড়তেন ।

অন্য বর্ণনায় আছে, দ্বিতীয় রাকআতে আলে-ইমরানের (৬৪নং আয়াত) ‘তাআলাউ ইলা কালিমাতিন সাওয়াইন বাইনানা অবাইনাকুম’ পাঠ করতেন ।

(মুসলিম ৭২৭, নাসায়ী ৯৪৪, আহমাদ ২০৪৬, ২৩৮৬) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১৫. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতে সূরা ‘ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূন’ ও ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ পাঠ করতেন ।

(মুসলিম ৭২৬, নাসায়ী ৯৪৫, ইবনু মাজাহ ১১৪৮) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১৬. আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী সাঃআঃ-কে এক মাস ব্যাপী লক্ষ্য করে দেখলাম, তিনি ফজরের আগে দু’রাকআত সুন্নত নামাযে এই দুই সূরা ‘ক্বুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন’ ও ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ পাঠ করতেন ।

(তিরমিজি ৪১৭, ইবনু মাজাহ ১১৪৯, নাসায়ী ৯৯২, আহমাদ ৫৬৫৮, ৫৬৬৬, ৫৭০৮) হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ – ১৯৮: তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ুক আর না পড়ুক ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়ে ডান পাশে শোয়া মুস্তাহাব ও তার প্রতি উৎসাহ দান ।

১১১৭. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘নবী সাঃআঃ যখন ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়তেন, তখন ডান পাশে শুয়ে (বিশ্রাম) নিতেন ।’

(সহীহুল বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১৬০, ১১২৩, ১১৩৯, ১১৪০, ১১৬৫, ৬৩১০, মুসলিম ৭২৪, ৭৩৬-৭৩৮, তিরমিজি ৪৪০, ৪৩৯, নাসায়ী ৬৮৫, ১৫৯৬, ১৭৪৯, ১৭৬২, আবু দাঊদ ১১৫৪, ১২৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪, ১৩৩৮-৯, ১৩৪০, ইবনু মাজাহ ১১৯৮, ১৩৫৮, আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৬৬৮, ২৩৬৯৭, ২৩৭০৫, ২৩৯২৪, মুওয়াত্তা মালিক ২৪৩, ২৫৪, দারেমী ১৪৪৭, ১৪৭৩, ১৪৭৪, ১৫৮৫) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১৮. উক্ত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ এশার নামাজ শেষ করার পর থেকে নিয়ে ফজরের নামাজ অবধি এগার রাকআত (তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন) । প্রত্যেক দু’ রাকআতে সালাম ফিরতেন এবং এক রাকআত বিত্‌র পড়তেন । অতঃপর যখন মুআযযিন ফজরের নামাযের আযান দিয়ে চুপ হত এবং ফজর তাঁর সামনে উজ্জ্বল হয়ে উঠত, আর মুআযযিন (ফজরের সময় সম্পর্কে অবহিত করার জন্য) তাঁর কাছে আসত, তখন তিনি উঠে সংক্ষিপ্তভাবে দু’ রাকআত নামাজ পড়ে নিতেন । তারপর ডান পার্শে শুয়ে (জিরিয়ে) নিতেন । এইভাবে মুআযযিন নামাযের তাকবীর দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে হাযির হওয়া পর্যন্ত (তিনি শুয়ে থাকতেন) ।’

(সহীহুল বুখারী ৬২৬, ৯৯৪, ১১৫৪, ১১৬৫, ৬৩১০, মুসলিম ৭৩৬, তিরমিজি ৪৪০, ৪৫৯, নাসায়ী ৬৮৫, ৯৪৬, ১৬৯৬, ১৭১৭, ১৭২৩, ১৭৪৯, ১৭৫৬, ১৭৬২, ১৭৮০, ১৭৮১, আবু দাঊদ ১২৫৪, ১২৫৫, ১২৬২, ১৩৩৪-১৩৩৬, ১৩৩৮-১৩৪০, ১৩৪২, ১৩৫৯, ১৩৬০, ইবনু মাজাহ ১৩৫৭, ১৩৫৯, আহমাদ ২৩৫৩৭, ২৩৫৫০, ২৩৫৫৩, ২৩৫৯৬, ২৩৯৪০, মুওয়াত্তা মালিক ২৬৪, ২৬৬, ২৮৬, দারেমী ১৪৪৭, ১৪৭৩, ১৪৭৪, ১৫৮৫, ১৫৮১) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১১৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়বে, তখন সে যেন তার ডান পাশে শুয়ে যায় ।” (আবু দাঊদ, তিরমিজি বিশুদ্ধ সূত্রে, তিরমিজির উক্তি: হাদিসটি হাসান সহীহ)

(আবু দাঊদ ১২৬১, তিরমিজি ৪২০, ইবনু মাজাহ ১১৯৯) হাদিসের মানঃ হাসান সহীহ

পরিচ্ছেদ – ১৯৯: যোহরের সুন্নত

১১২০. আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে যোহরের আগে দু’ রাকআত ও তার পরে দু’ রাকআত সুন্নত পড়েছি ।’

(সহীহুল বুখারী ৬১৮, ৯৩৭, ১১৬৯, ১১৭৩, ১১৮১, মুসলিম ৭২৩, ৭২৯, ৮৮২, তিরমিজি ৪২৫, ৪৩৩, ৫২২, নাসায়ী ৫৮৩, ১৪২৭, ১৪২৮, ১৭৬৯০, ১৭৬১, ১৭৬৫-১৭৭৯, আবু দাঊদ ১১২৮, ১১৩০, ১১৩২, ইবনু মাজাহ ১১৪৫, আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, ৪৬৪৬, ৫৭৪২, ৪৯০২, ৫১০৬, ৫২৭৪, ৫৩৯৪, ৫৪০৯, ৫৪২৫, ৫৪৫৬, ৫৫৭১, ৫৬৫৫, ৫৭০৫, মুওয়াত্তা মালিক ২৬১, ২৮৫, দারেমী ১৪৩৭, ১৪৪৩, ১৪৪৪, ১৫৭৩, ১৫৭৪) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১২১. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ যোহরের আগে চার রাকআত সুন্নত ত্যাগ করতেন না । (বুখারী)

(সহীহুল বুখারী ১১৮২, নাসায়ী ১৭৫৭, ১৭৫৮, আবু দাঊদ ১২৫৩, ইবনু মাজাহ ১১৫৬, আহমাদ ২৩৬৪৭, ২৩৮১৯, ২৪৬২৩, দারেমী ১৪৩৯) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১২২. উক্ত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘নবী সাঃআঃ আমার ঘরে যোহরের পূর্বে চার রাকআত সুন্নত পড়তেন, তারপর (মসজিদে) বের হয়ে গিয়ে লোকেদেরকে নিয়ে নামাজ পড়তেন । অতঃপর ঘরে প্রবেশ করতেন এবং দু’ রাকআত সুন্নত পড়তেন । তিনি লোকেদেরকে নিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার পর আমার ঘরে প্রবেশ করতেন এবং দু’ রাক‘আত সুন্নত পড়তেন । (অনুরূপভাবে) তিনি লোকেদেরকে নিয়ে এশার নামাজ পড়তেন, অতঃপর আমার ঘরে ফিরে এসে দু’ রাক‘আত সুন্নত পড়তেন ।’

(মুসলিম ৭৩০, নাসায়ী ১৬৪৬, ১৬৪৭, আবু দাঊদ ৯৫৪, আহমাদ ২৫৭৫৪) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১২৩. উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি যোহরের ফরয নামাযের পূর্বে চার রাকআত ও পরে চার রাকআত সুন্নত পড়তে যত্নবান হবে, আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম ক’রে দেবেন ।”

(আবু দাঊদ ১২৬৯, তিরমিজি ৪২৭, ৪২৮, ইবনু মাজাহ ১১৬০, আহমাদ ২৬২৩২) হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

১১২৪. আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

সূর্য (পশ্চিম গগনে) ঢলে যাবার পর, যোহরের ফরযের পূর্বে নবী সাঃআঃ চার রাকআত সুন্নত নামাজ পড়তেন । আর বলতেন, “এটা এমন সময়, যখন আসমানের দ্বারসমূহ খুলে দেওয়া হয় । তাই আমার পছন্দ যে, সে সময়েই আমার সৎকর্ম ঊর্ধ্বে উঠুক ।”

(তিরমিজি ৪৭৮, আহমাদ ১৪৯৭০) হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

১১২৫. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ যখন যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত সুন্নত পড়তে সুযোগ পেতেন না, তখন তার পরে তা পড়ে নিতেন ।

(তিরমিজি ৪২৬, ইবনু মাজাহ ১১৫৮) হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

পরিচ্ছেদ – ২০০: আসরের সুন্নতের বিবরণ

১১২৬. আলী ইবনে আবী তালেব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘নবী সাঃআঃ আসরের ফরয নামাযের আগে চার রাকআত সুন্নত পড়তেন । তার মাঝখানে নিকটবর্তী ফিরিশ্‌তাবর্গ ও তাঁদের অনুসারী মুসলিম ও মু’মিনদের প্রতি সালাম পেশ করার মাধ্যমে পার্থক্য করতেন ।’

(তিরমিজি ৪২৯, ইবনু মাজাহ ১১৬১) হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

১১২৭. ইবনে উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, “আল্লাহ সেই ব্যক্তির উপর রহম করুন, যে ব্যক্তি আসরের পূর্বে চার রাকআত সুন্নত পড়ে ।”

(আবু দাঊদ ১২৭১, তিরমিজি ৪৩০) হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

১১২৮. আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) (মাঝে মাঝে) আসরের আগে দু রাক‘আত (সুন্নাত) পড়তেন । (আবু দাঊদ) হাদিসটি যইফ । (আমি (আলবানী) বলছিঃ কিন্তু ‘তিনি আসরের পূর্বে দু’রাক‘আত আদায় করতেন’ এ ভাষায় হাদীসটি শায । নিরাপদ হচ্ছে “তিনি আসরের পূর্বে চার রাক‘আত সলাত আদায় করতেন’ ।

“য‘ঈফ আবী দাঊদ” গ্রন্থে (নং ২৩৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি । আবু দাঊদ ১২৭২, তিরমিজি ৪২৯ ।) হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

পরিচ্ছেদ – ২০১: মাগরেবের ফরয নামাযের পূর্বে ও পরের সুন্নতের বিবরণ

১১২৯. আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্‌ফাল (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একদা নবী সাঃআঃ (দু’বার) বললেন, “তোমরা মাগরেবের পূর্বে (দু’ রাকআত) নামাজ পড় ।” অতঃপর তৃতীয় বারে তিনি বললেন, “যার ইচ্ছা হবে, (সে পড়বে ।)”

(সহীহুল বুখারী ১১৮৩, ৭৩৬৮, আবু দাঊদ ১২৮১, আহমাদ ২০০২৯) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১৩০. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহর রসূল সাঃআঃ-এর বড় বড় সাহাবীদেরকে দেখেছি, তাঁরা মাগরিবের সময় থামগুলোর দিকে দ্রুত বেগে অগ্রসর হতেন ।’ (দু’ রাকআত সুন্নত পড়ার উদ্দেশ্যে ।)

(সহীহুল বুখারী ৫০৩, ৬২৫, মুসলিম ৮৩৬, ৮৩৭, নাসায়ী ৬৮২, আবু দাঊদ ১২৮২, আহমাদ ১১৯০১, ১২৬৬৫, ১৩৫৭১, ১৩৫৯৬, ইবনু মাজাহ ১১৬৩, দারেমী ১৪৪১) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১৩১. উক্ত রাবী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর যুগে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের ফরয নামাযের আগে দু’ রাকআত সুন্নত পড়তাম ।’ তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘নবী সাঃআঃ ঐ দু’ রাকআত পড়তেন কি ?’ তিনি বললেন, ‘তিনি আমাদেরকে ওই দু’ রাকআত পড়তে দেখতেন, কিন্তু আমাদেরকে (তার জন্য) আদেশও করতেন না এবং তা থেকে বারণও করতেন না ।’

(মুসলিম ৮৩৬, সহীহুল বুখারী ৫০৩, ৬২৫, ৪৩৭০, নাসায়ী ৬৮২, আবু দাঊদ ১২৮, ইবনু মাজাহ ১১৬৩, আহমাদ ১১৯০১, ১২৬৪৫, ১৩৫৭১, দারেমী ১৪৪১) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১৩২. উক্ত রাবী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আমরা মদিনাতে ছিলাম । যখন মুআয্‌যিন মাগরেবের আযান দিত, তখন লোকেরা থামগুলির দিকে দ্রুত অগ্রসর হত এবং দু’ রাকআত নামাজ পড়ত । এমনকি কোন বিদেশী অচেনা মানুষ মসজিদে এলে, অধিকাংশ লোকের ঐ দু’ রাকআত পড়া দেখে মনে করত যে, (মাগরিবের ফরয) নামাজ পড়া হয়ে গেছে (এবং তারা পরের সুন্নত পড়ছে) ।’

(সহীহুল বুখারী ৫০৩, ৬২৫, মুসলিম ৮৩৬, ৮৩৭, নাসায়ী ৬৮২, আবু দাঊদ ১২৮২, আহমাদ ১১৯০১, ১২৬৬৫, ১৩৫৭১, ১৩৫৯৬, ইবনু মাজাহ ১১৬৩, দারেমী ১৪৪১) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

পরিচ্ছেদ – ২০২: এশার আগে ও পরের সুন্নতসমূহের বিবরণ

এ বিষয়ে বিগত ইবনে উমরের (১১০৫ নং) হাদিস, ‘আমি নবী সাঃআঃ-এর সাথে এশার পর দু’ রাকআত সুন্নত পড়েছি’ এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল কর্তৃক বর্ণিত (১১০৬নং) হাদিস, ‘প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ আছে ।’ উল্লিখিত হয়েছে ।

পরিচ্ছেদ – ২০৩: জুমুআর সুন্নত

ইবনে উমার (রাদি.)-এর পূর্বোক্ত (১১০৫নং) হাদিস গত হয়েছে । তাতে উল্লিখিত হয়েছে যে, তিনি নবী সাঃআঃ-এর সাথে জুমুআর পর দু’ রাকআত সুন্নত পড়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)

১১৩৩. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, “যখন কোন ব্যক্তি জুমাআর নামাজ আদায় করবে, তখন সে যেন তারপর চার রাকআত (সুন্নত) পড়ে ।”

(মুসলিম ৮৮১, তিরমিজি ৫২৩-২৪, নাসায়ী ১৪২৬, আবু দাঊদ ১১৩১, ইবনু মাজাহ ১১৩২, আহমাদ ৯৪০৬, ১০১০১, দারেমী ১৫৭৫) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১৩৪. ইবনে উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ জুমাআর পর (মসজিদ থেকে) ফিরে না আসা পর্যন্ত কোন সুন্নত নামাজ পড়তেন না । সুতরাং নিজ বাড়িতে (এসে) দু’ রাকআত নামাজ পড়তেন । (মুসলিম)

(সহীহুল বুখারী ৬১৮, ৯৩৭, ১১৬৯, ১১৭৩, ১১৮১, মুসলিম ৭২৩, ৭২৯, ৮৮২, তিরমিজি ৪২৫, ৪৩৩, ৫২২, নাসায়ী ৫৮৩, ১৪২৭, ১৪২৮, ১৭৬৯০, ১৭৬১, ১৭৬৫-১৭৭৯, আবু দাঊদ ১১২৮, ১১৩০, ১১৩২, ইবনু মাজাহ ১১৪৫, আহমাদ ৪৪৯২, ৪৫৭৭, ৪৬৪৬, ৫৭৪২, ৪৯০২, ৫১০৬, ৫২৭৪, ৫৩৯৪, ৫৪০৯, ৫৪২৫, ৫৪৫৬, ৫৫৭১, ৫৬৫৫, ৫৭০৫, মুওয়াত্তা মালিক ২৬১, ২৮৫, দারেমী ১৪৩৭, ১৪৪৩, ১৪৪৪, ১৫৭৩, ১৫৭৪) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

পরিচ্ছেদ – ২০৪: নফল (ও সুন্নত নামাজ) ঘরে পড়া উত্তম । তা সুন্নতে মুআক্কাদাহ হোক কিংবা অন্য কিছু । সুন্নত বা নফলের জন্য, যে স্থানে ফরয নামাজ পড়া হয়েছে সে স্থান পরিবর্তন করা বা ফরয ও তার মধ্যে কোনো কথা দ্বারা ব্যবধান সৃষ্টি করার নির্দেশ

১১৩৫. যায়েদ ইবনে সাবেত (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, “হে লোক সকল ! তোমরা নিজ নিজ বাড়িতে নামাজ পড় । কারণ, ফরয নামাজ ব্যতীত পুরুষের উত্তম নামাজ হল, যা সে নিজ বাড়িতে পড়ে থাকে ।”

(সহীহুল বুখারী ৭৩১, ৬১১৩, ৭২৯০, মুসলিম ৭৮১, তিরমিজি ৪৫০, নাসায়ী ১৫৯৯, আবু দাঊদ ১০৪৪, ১৪৫৭, আহমাদ ২১০৭২, ২১০৮, ২১১১৪, মুওয়াত্তা মালিক ২৯৩, দারেমী ১৩৫৬) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১৩৬. ইবনে উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাঃআঃ বলেছেন, “তোমরা নিজেদের কিছু নামাজ তোমাদের বাড়িতে পড় এবং সে (ঘর-বাড়ি)গুলিকে কবরে পরিণত করো না ।”

(সহীহুল বুখারী ৪৩২, ১১৮৭, মুসলিম ৭৭৭, তিরমিজি ৪৫১, নাসায়ী ১৫৯৮, আবু দাঊদ ১৪৫৮, ইবনু মাজাহ ১৩৭৭, আহমাদ ৪৪৯৭, ৪৬৩৯, ৬০০৯) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১৩৭. জাবের (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি স্বীয় (ফরয) নামাজ মসজিদে আদায় ক’রে নেবে, সে যেন তার কিছু নামাজ নিজ বাড়ির জন্যও নির্ধারিত করে । কেননা, তার নিজ ঘরে আদায়কৃত (সুন্নত) নামাযে আল্লাহ তার জন্য কল্যাণ ও বরকত প্রদান করেন ।”

(মুসলিম ৭৭৮, ইবনু মাজাহ ১৩৭৬, আহমাদ ১৩৯৮২, ১৩৯৮৬)হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস

১১৩৮. উমার ইবনে আত্বা হইতে বর্ণিতঃ

নাফে‘ ইবনে জুবাইর তাঁকে নামেরের ভাগ্নে সায়েবের নিকট এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করার উদ্দেশ্যে পাঠালেন, যা মুয়াবিয়া (রাদি.) তাঁকে নামাযের ব্যাপারে করতে দেখেছিলেন । তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাঁর (মুয়াবিয়া)র সাথে মাকসূরায় (মসজিদের মধ্যে বাদশাদের জন্য তৈরি বিশেষ নিরাপদ স্থান) জুমআর নামাজ পড়েছি । সুতরাং যখন ইমাম সালাম ফিরালেন, তখন আমি যেখানে ফরয নামাজ পড়ছিলাম, সেখানেই উঠে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং (সুন্নত) নামাজ পড়লাম । তারপর যখন মুয়াবিয়া (রাদি.) বাড়ি প্রবেশ করলেন, তখন আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, “তুমি যা করলে তা আগামীতে আর কখনো করো না । যখন তুমি জুমআর (ফরয) নামাজ পড়বে, তখন তার সাথে মিলিয়ে অন্য নামাজ পড়ো না; যতক্ষণ না তুমি কারো সাথে কথা বল অথবা সেখান থেকে অন্যত্র সরে যাও । কেননা, রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এই আদেশ আমাদেরকে করেছেন যে, আমরা যেন এক নামাজকে অন্য নামাযের সাথে না মিলাই, যতক্ষণ না কোনো লোকের সাথে কথা বলে নেই, কিংবা সেখান হতে অন্যত্র সরে যাই ।”

(মুসলিম ৮৮৩, আবু দাঊদ ১১২৯, আহমাদ ১৬৪২৪, ১৬৪৬৮) হাদিসের মানঃ সহীহ হাদিস


by

Comments

Leave a Reply