জিন ও শয়তানের আছর এবং দূর করার দোয়া। Protect Jin & Satan
জিন ও শয়তানের দোয়া করে প্রতিহত করা। Protect Jin & Satan << হিসনুল মুসলিম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
শয়তানের দোয়া
দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে
ক্ষমা প্রার্থনা ও তাওবা করা
দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে
أَعُوذُ بكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ: مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَبَرَأَ وَذَرَأَ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلاَّ طَارِقاً يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ
(আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্-তা-ম্মা-তিল্লাতী লা ইয়ুজাউইযুহুন্না বাররুন ওয়ালা ফা-জিরুম মিন শাররি মা খালাক্বা, ওয়া বারা’আ, ওয়া যারা’আ, ওয়ামিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস্ সামা-য়ি, ওয়ামিন শাররি মা যারাআ ফিল আরদ্বি, ওয়ামিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা, ওয়ামিন শাররি ফিতানিল-লাইলি ওয়ান-নাহা-রি, ওয়ামিন শাররি কুল্লি ত্বা-রিকিন ইল্লা ত্বা-রিকান ইয়াত্বরুকু বিখাইরিন, ইয়া রহ্মানু)। “আমি আল্লাহর ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না- আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়!”
শয়তানের দোয়া – আহমাদ ৩/৪১৯, নং ১৫৪৬১, সহীহ সনদে। আর ইবনুস সুন্নী, নং ৬৩৭; আরনাঊত তার ত্বাহাভীয়ার তাখরীজে এর সনদকে বিশুদ্ধ বলেছেন, পৃ.১৩৩। আরও দেখুন, মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২৭।
জিনে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা
উলামায়ে কেরাম অভিজ্ঞতার আলোকে জিনে আক্রান্ত রোগীর সামনে এমন কিছু আয়াত পড়েন, যেগুলো তেলাওয়াত করলে জিনরা দিশাহারা হয়ে যায়। যেমন—কাউকে জিন আছর করেছে মনে হলে প্রাথমিকভাবে তার কানের কাছে উচ্চৈঃস্বরে নিম্নের আয়াতগুলো পাঠ করতে হবে। এতে তার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে আয়াতগুলো আরো বেশি বেশি পাঠ করতে হবে। এতে জিন অনেক ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে কোরআন পাঠ করানোর চেষ্টা করবে। রোগীর মুখ দিয়ে অনেক কথা বলাবে। কিন্তু থামা যাবে না। যদি কোনো কারণে থামতেই হয়, তাহলে সুরা ফালাক, নাস ও দরুদ শরিফ পড়ে থামতে হবে।
সুরা ফাতেহা
সুরা বাকারার ১-৫, ১৬৪, ২৫৫-২৫৭, ২৮৫-২৮৬।
সুরা আলে ইমরানের ১৮-১৯ নম্বর আয়াত।
সুরা আরাফের ৫৪-৫৬ নম্বর আয়াত।
সুরা মুমিনুনের ১১৫-১১৮ নম্বর আয়াত।
সুরা সফফাতের ১-১০ নম্বর আয়াত।
সুরা আহকাফের ২৯-৩২ নম্বর আয়াত।
সুরা আর রাহমানের ৩৩-৩৬ নম্বর আয়াত।
সুরা হাশরের ১২-২৪ নম্বর আয়াত।
সুরা জিনের ১-৯ নম্বর আয়াত।
সুরা হুমাজাহর ১-৭ নম্বর আয়াত।
সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস।
কিছু আয়াত এমন আছে, যেগুলোকে আয়াতুল হরক্ব বলে। এগুলো তেলাওয়াত করলে জিনের খুব কষ্ট হয়। ফলে সে চলে যেতে বাধ্য হয়। আয়াতগুলো হলো, সুরা ফাতেহা। আয়াতুল কুরসি। সুরা নিসা : ১৬৭-১৭৩, সুরা মায়িদা : ৩৩-৩৪, সুরা আনআম : ৯৩, সুরা আরাফ : ৪৪-৫১, সুরা আনফাল : ১২-১৩, সুরা তাওবা : ৭, সুরা ইবরাহিম : ১-১৭, সুরা হিজর : ১৭-১৮, সুরা ইসরা : ১১০-১১১, সুরা আম্বিয়া : ৭০, সুরা দুখান : ৪৩-৫২, সুরা আহকাফ : ২৯-৩৪, সুরা হজ : ১৯-২২, সুরা মারিয়াম : ৬৮-৭২, সুরা মুলুক : ৫-১১ নম্বর আয়াত।
জিনেরা যে কাঠের ঘ্রাণ সহ্য করতে পারে না
একটি বিশেষ কস্তুরি আছে, যার ঘ্রাণ জিনেরা সহ্য করতে পারে না। হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়, ‘উদুল হিন্দ’। ভারতীয় কস্টাসে (সুগন্ধিযুক্ত বৃক্ষের) তৈরি নাকের ড্রপ, যা ভারতীয় চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। এর ব্যবহারপদ্ধতি হলো—রোগী এ কস্তুরি দ্বারা তৈরীকৃত ড্রপ এমনভাবে নাকে ব্যবহার করবে যেন তার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ সরাসরি মস্তিষ্কে চলে যায়, যেখানে জিন অবস্থান করে। এতে করে জিন দিশাহারা হয়ে পালিয়ে যায়। উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা ভারতীয় এই চন্দন কাঠ ব্যবহার করবে। কেননা তাতে সাতটি আরোগ্য রয়েছে। শ্বাসনালির ব্যথার জন্য এর (ধোঁয়া) নাক দিয়ে টেনে নেওয়া যায়, পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাতের রোগ দূর করার জন্যও তা ব্যবহার করা যায়। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৯২)
তাই চাইলে ঘরে সুগন্ধি চন্দন কাঠ জ্বালিয়ে তার ধোঁয়া নেওয়া যেতে পারে।
Leave a Reply