ঘুমানোর দোয়া ও জিকর Dua When Sleeping
ঘুমানোর দোয়া ও জিকর Dua When Sleeping << হিসনুল মুসলিম এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> তিরমিজি >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজা
ঘুমানোর দোয়া ও জিকর Dua When Sleeping
পরিচ্ছেদ ১ঃ ঘুমানোর সময় কুরআন পাঠ ও আশ্রয় প্রার্থণা
পরিচ্ছেদ ২ঃ শয্যা গ্রহণ এর সময় বিছানা পরিষ্কার করা ও দুয়া করা
পরিচ্ছেদ ৩ঃ ঘুমাবার সময় ও ঘুম থেকে জেগে উঠলে দোআ
পরিচ্ছেদ ৪ঃ অযূ করে বিছানায় যাওয়া এবং দোয়া করা
পরিচ্ছেদ ৫ঃ ঘুমানোর সময় যিকিরসমূহ
পরিচ্ছেদ ৬ঃ রাত্রে নিদ্রা হইতে জাগ্রত হওয়ার পর দুআ
পরিচ্ছেদ ৭ঃ রাত্রিকালে রাসূল [সাঃআঃ]-এর আমাল
পরিচ্ছেদ ১ঃ ঘুমানোর সময় কুরআন পাঠ ও আশ্রয় প্রার্থণা
আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন বিছানায় যেতেন, তখন মুয়াওবিযাত (ফালাক ও নাস) পাঠ করিতেনঃ তারপর তাহাঁর দু হাতে ফুঁক দিয়ে তা শরীরে মাসহ করিতেন।
[সহীহ বুখারী ৬৩১৯] [ইবনে মাজা ৩৮৭৫]
ইমাম তিরমিজি, আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীত তিনটি সুরা “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ”, “কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক” ও “কুল আউযু বিরব্বিন নাস” [তিরমিজি ৩৪০২, সহীহ]
ইমাম আবু দাউদ, আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীত তিনটি সুরা “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ”, “কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক” ও “কুল আউযু বিরব্বিন নাস” [আবু দাউদ ৫০৫৬, সহীহ]
ফরওয়াহ ইবনি নাওফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ] এর কাছে এসে বলিলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন, যা আমি বিছানাগত হওয়াকালে বলিতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি “কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন” সূরাটি তিলাওয়াত কর। কারণ তা শিরক হইতে মুক্তির ঘোষণা।
[তিরমিজি ৩৪০৩, সহীহ হাদীস] [আবু দাউদ ৫০৫৫ সহীহ]
জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] সূরা তানযীলুস সাজদা ও তাবারাকা [আল-মুলক] না পাঠ করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।
[তিরমিজি ৩৪০৪, সহীহ হাদীস]
আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] আয-যুমার ও বানী ইসরাঈল সূরাগুলো পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।
[তিরমিজি ৩৪০৫, সহীহ হাদীস]
আল-ইরবায ইবনি সারিয়াহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] মুসাব্বিহাত সূরাগুলো পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না। তিনি বলিতেনঃ এমন একটি আয়াত তাতে আছে যা হাজার আয়াত হইতেও শ্রেষ্ঠ।
তিরমিজি ৩৪০৬, হাসান হাদীস
পরিচ্ছেদ ২ঃ শয্যা গ্রহণ এর সময় বিছানা পরিষ্কার করা ও দুয়া করা
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যদি তোমাদের কোন ব্যক্তি শয্যা গ্রহণ করিতে যায়, তখন সে যেন তার লুঙ্গির ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ, সে জানে না যে, বিছানার উপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোন কিছু আছে কিনা। তারপর পড়বেঃ
بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِي، وَبِكَ أَرْفَعُهُ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا، وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
বিসমিকা রাব্বি ওয়াদাতু ঝাম্বি, ওয়া বিকা আরফাউহু, ইন আমসাকতা নাফসি ফারহামহা, ওয়া ইন আরসালতাহা ফাহফাজহা বিমা তাহফাজ বিহি ইবাদাকাস সালিহিন।’ হে আমার রব্ব! আপনারই নামে আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠবো। যদি আপনি ইতোমধ্যে আমার জান কবয করে নেন তা হলে, তার উপর রহম করবেন। আর যদি তা আমাকে ফিরিয়ে দেন, তবে তাকে এমনভাবে হিফাযত করবেন, যেভাবে আপনি আপনার নেক বান্দাদের হিফাযাত করে থাকেন।
[সহীহ বুখারি ৬৩২০]
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীত, [ইবনে মাজা ৩৮৭৪]
رَبِّ بِكَ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا حَفِظْتَ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার বিছানা হইতে উঠার পর আবার বিছানায় প্রত্যাবর্তন করলে সে যেন তার লুঙ্গীর শেষাংশ দিয়ে বিছানাটি তিনবার পরিষ্কার করে নেয়। কারণ সে জানে না, তার অনুপস্থিতিতে তাতে কি পতিত হয়েছে [ময়লা বা ক্ষতিকর কিছু]। আর যখন সে শুয়ে পড়ে সে সময় যেন বলেঃ
بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
বিসমিকা রাব্বি ওয়াদাতু ঝাম্বি, ওয়া বিকা আরফাউহু, ফা ইন আমসাকতা নাফসি ফারহামহা, ওয়া ইন আরসালতাহা ফাহফাজহা বিমা তাহফাজ বিহি ইবাদাকাস সালিহিন।’ হে আমার প্রতিপালক! তোমার নামে আমার পাশ্বদেশ আমি বিছানায় সোপর্দ করলাম এবং আবার তোমার নামেই তা উঠাব। যদি আমার জান তুমি রেখে দাও [মৃত্যু দান কর] তবে তার প্রতি দয়া কর, আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবে তা সেভাবে প্রতিরক্ষা কর যেভাবে তুমি তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের প্রতিরক্ষা কর”।
আর ঘুম হইতে জেগে উঠে সে যেন বলেঃ
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি আমার দেহকে হিফাযাত করিয়াছেন এবং আমার জান আবার আমাকে ফেরত দিয়েছেন এবং তাকে স্মরণ করারও অনুমতি [তাওকীক] দান করিয়াছেন”।
[তিরমিজি ৩৪০১, হাসান হাদীস]
আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন তার শয্যাগ্রহণ করিতে বিছানায় আসে, সে যেন তার কাপড়েরর আঁচল দিয়ে বিছানাটি ঝাড়া দিয়ে নেয় এবং বিসমিল্লাহ পাঠ করে নেয়। কেননা সে জানে না যে, বিছানা ছাড়ার পর তার বিছানায় কি আছে। তারপর যখন সে শয্যাগ্রহণ করিতে ইচ্ছা করে তখন যেন ডান কাত হয়ে শয্যাগ্রহণ করে। এরপর সে যেন বলে,
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبِّي بِكَ وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَاغْفِرْ لَهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
“সুবহা- নাকাল্লা-হুম্মা রব্বী বিকা ওয়া যাতু জামবী ওয়াবিকা আর্ ফাউহু ইন্ আম্সাক্তা নাফ্সী ফাগ্ফির্ লাহা- ওয়া ইন্ আর্সাল্তাহা- ফাহ্ফায্হা- বিমা- তাহ্ফাযু বিহি ইবা-দাকাস্ স-লিহীন” অর্থাৎ- “আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, হে আমার প্রতিপালক! আপনার নামেই আমি আমার পার্শ্ব [দেহ] রাখলাম, আপনার নামেই তা তুলব। আপনি যদি আমার প্রাণ আটকিয়ে রাখেন তাহলে আমাকে মাফ করে দিন। আর যদি আপনি তাকে উঠবার অবকাশ দেন তাহলে তাকে রক্ষা করুন, যেমন আপনি আপনার নেক বান্দাদের রক্ষা করে থাকেন।”
[সহীহ মুসলিম ৬৭৮৫]
পরিচ্ছেদ ৩ঃ ঘুমাবার সময় ও ঘুম থেকে জেগে উঠলে দোআ
হুযাইফাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) রাতে নিজ বিছানায় শোয়ার সময় নিজ হাত গালের নীচে রাখতেন, তারপর বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া, হে আল্লাহ! আপনার নামেই মরি, আপনার নামেই জীবিত হই।
আর যখন জাগতেন তখন বলিতেনঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
‘আলহামদু লিল্লাহিল লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’ সে আল্লাহর জন্য প্রশংসা, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করিলেন এবং তাহাঁরই দিকে আমাদের পুনরুত্থান।
[সহীহ বুখারী ৬৩১৪]
ইমাম বুখারী, বু যার (রাদি.) এর বর্ণনায় উপরোক্ত দুয়া দুইটি হুবুহু ঘুমানোর আগে ও জেগে উথে বলেন, [সহীহ বুখারী ৬৩২৫]
ইমাম বুখারী, হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান (রাদি.) এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া দুইটি ঘুমানোর আগে ও জেগে উথে বলেন, [সহীহ বুখারী ৬৩১২]
بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
ইমাম বুখারী, হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান (রাদি.) এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া দুইটি ঘুমানোর আগে ও জেগে উথে বলেন, [সহীহ বুখারী ৬৩২৪]
بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ أَمُوتُ وَأَحْيَا
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
তিরমিজি ৩৪১৭ : হুযাইফা্হ ইবনিল ইয়ামান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইমাম মুসলিম, আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া বলেন, [সহীহ মুসলিম ৬৭৮০]
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَحْيَا وَبِاسْمِكَ أَمُوتُ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
ইমাম আবু দাউদ, হুযাইফাহ (রাদি.) এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া দুইটি ঘুমানোর আগে ও জেগে উথে বলেন, [আবু দাউদ ৫০৪৯]
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَحْيَا وَأَمُوتُ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
হুযায়ফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ [ইবনে মাজা ৩৮৮০]
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
পরিচ্ছেদ ৪ঃ অযূ করে বিছানায় যাওয়া এবং দোয়া করা
বারাআ ইবনু আযিব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী সাঃআঃ আমাকে বললেনঃ যখন তুমি শোয়ার বিছানায় যেতে চাও, তখন তুমি সালাতের অযূর মত অযূ করিবে। এরপর ডান পাশের উপর কাত হয়ে শুয়ে পড়বে। আর এ দুআ পড়বে,
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফছি ইলাইকা, ওয়া ফাওওাদতু আমরি ইলাইকা, ওয়া আলজায়তু জাহরি ইলাইকা, রহবাতান ওয়া রাগবাতান ইলাইকা, লা মালজায়া ওয়া লা মানজায়া মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আমানতু বি কিতাবিকাল্লাজি আনজালতা, ওয়া নাবিয়্যিকাল্লাজি আরছালতা” হে আল্লাহ! আমি আমার চেহারাকে অর্থাৎ যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে) তোমার হস্তে সমর্পণ করলাম। আর আমার সকল বিষয় তোমারই নিকট সমর্পণ করলাম এবং আমার পৃষ্ঠদেশ তোমার আশ্রয়ে সোপর্দ করলাম। আমি তোমার গযবের ভয়ে ভীত ও তোমার রাহমাতের আশায় আশান্বিত। তোমার নিকট ব্যতীত কোন আশ্রয়স্থল নেই এবং নেই মুক্তি পাওয়ার স্থান। তুমি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছ, আমি তার উপর ঈমান এনেছি এবং তুমি যে নাবী পাঠিয়েছ আমি তাহাঁর উপর ঈমান এনেছি।
যদি তুমি এ রাতেই মরে যাও, তোমার সে মৃত্যু স্বভাবধর্ম ইসলামের উপরই গণ্য হইবে। অতএব তোমার এ দুআগুলো যেন তোমার এ রাতের সর্বশেষ কথা হয়। রাবী বারাআ বলেন, আমি বললামঃ আমি এ কথা মনে রাখবো। তবে بِرَسُوْلِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ সহ। রাসূলুল্লাহ বলিলেন, না ওভাবে নয়, তুমি বলবে وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ।
[সহীহ বুখারী ৬৩১১]
ইমাম তিরমিজি, আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া বলেন, [তিরমিজি ৩৩৯৪ সহীহ]
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
ইমাম তিরমিজি, রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া বলেন, [তিরমিজি ৩৩৯৫ তাহকিকঃ অন্যান্য]
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ أُومِنُ بِكِتَابِكَ وَبِرُسُلِكَ
ইমাম আবু দাউদ, আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া বলেন, [তিরমিজি ৫০৪৬, ৫০৪৭, ৫০৪৮ সহীহ]
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَى مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
ইমাম বুখারি, আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া বলেন, [সহীহ বুখারী ৬৩১৩]
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
ইমাম মুসলিম, আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া বলেন, [সহীহ মুসলিম ৬৭৭৫, ৬৭৭৬]
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ وَاجْعَلْهُنَّ مِنْ آخِرِ كَلاَمِكَ فَإِنْ مُتَّ مِنْ لَيْلَتِكَ مُتَّ وَأَنْتَ عَلَى الْفِطْرَةِ
ইমাম মুসলিম, আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া বলেন, [সহীহ মুসলিম ৬৭৭৭, ৬৭৭৮, ৬৭৭৯]
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِرَسُولِكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ . فَإِنْ مَاتَ مَاتَ عَلَى الْفِطْرَةِ
ইবনে মাজা ৩৮৭৬ : আল-বারা বিন আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَى مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ
আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন লোক [শোয়ার জন্য] বিছানাগত হয়ে তিনবার বলেঃ
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আস্তাগফিরুল্লা হাল আজিমাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি, “আমি আল্লাহ তাআলার নিকট মাফের আবেদন করি, যিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, এবং তাহাঁর নিকট তাওবা করি”,
আল্লাহ তাআলা তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির সমতুল্য হয়ে থাকে, যদিও তা গাছের পাতার মত অসংখ্য হয়, যদিও তা টিলার বালিরাশির সমান হয়, যদিও তা দুনিয়ার দিনসমূহের সমসংখ্যক হয়।
[তিরমিজি ৩৩৯৭, দুর্বল হাদীস]
আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন বিছানায় আশ্রয় গ্রহণ করিতেন তখন তিনি বলিতেন,
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا فَكَمْ مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُئْوِيَ
“আল্হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ আমানা- ওয়া সাকা-না- ওয়া কাফা-না- ওয়া আ-ওয়া-না ফাকাম মিম্মান্ লা- কা-ফিয়া লাহু ওয়ালা- মুবিয়া” অর্থাৎ- “সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের জীবিকা দিয়েছেন, পানি পান করিয়েছেন, তিনি আমাদেরকে দায়িত্ব বহন করিয়াছেন, আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন। এমন অনেক আছে যাদের জন্য কোন দায়িত্ব বহনকারী নেই, আশ্রয় দাতাও নেই।”
[সহীহ মুসলিম ৬৭৮৭]
আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর বিছানায় শোয়ার সময় বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيمِ وَكَلِمَاتِكَ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ تَكْشِفُ الْمَغْرَمَ وَالْمَأْثَمَ اللَّهُمَّ لاَ يُهْزَمُ جُنْدُكَ وَلاَ يُخْلَفُ وَعْدُكَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিওয়াজহিকাল কারিম ওয়া কালিমাতিকাত তাম্মাতি মিন সাররি মা আন্তা আখেজু বিনাসিইয়াতিহি আল্লাহুম্মা আন্তা তাকসিফু আল মাগরামা ওয়াল মা,সামা আল্লাহুম্মা লা ইউহজামু জুন্দুকা ওয়া লা ইউখলাফু ওয়া,দুকা ওয়া লা ইয়ানফাউ জাল জাদ্দি মিনকা আজাদ্দু সুবহানাকা ওয়া বিহামদিকা, “হে আল্লাহ! আমি আপনার মহান সত্ত্বা ও পূর্ণ কালেমার মুক্তি কামনা করছি, যা আপনার অধীনে রয়েছে তার অকল্যাণ হইতে। হে আল্লাহ! আপনিই ঋণ ও পাপের বোঝা দূরীভূত করিলেন। হে আল্লাহ! আপনার সৈন্যবাহিনী বা আপনার দলকে কখনো পরাভূত করা যায় না এবং আপনার ওয়াদার কখনো ভঙ্গ হয় না। সম্পদশালীর সম্পদ তাহাকে আপনার হাত হইতে রক্ষা করিতে পারবে না। আপনার পবিত্রতা আপনার প্রশংসার সঙ্গে।”
[আবু দাউদ ৫০৫২, দুর্বল হাদিস]
ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন রাতে শোয়ার জন্য যেতেন তখন বলিতেনঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَفَانِي وَآوَانِي وَأَطْعَمَنِي وَسَقَانِي وَالَّذِي مَنَّ عَلَىَّ فَأَفْضَلَ وَالَّذِي أَعْطَانِي فَأَجْزَلَ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ اللَّهُمَّ رَبَّ كُلِّ شَىْءٍ وَمَلِيكَهُ وَإِلَهَ كُلِّ شَىْءٍ أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি কাফানি ওয়া আওঅয়ানি ওয়া আতয়ামানি ওয়া সাকানি ওয়াল্লাজি মান্না আলাইয়া ফাআফসালা ওয়াল্লাজি আ,তানি ফাআখজালা আলহামদুলিল্লাহি আলা কুল্লি হালি আল্লাহুম্মা রব্বা কুল্লি সাইয়েন ওয়া মালিকাহু ওয়া ইলাহা কুল্লি সাইয়েন আউজিবিকা মিনান নার, সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার প্রয়োজন পুরা করিলেন, আমাকে মুক্তি দিলেন, আমাকে পানাহার করালেন, যিনি আমার প্রতি অসীম দয়াবান এবং আমাকে দান করিলেন। সুতরাং সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা। হে আল্লাহ! প্রত্যেক বস্তুর রব ও অধিকারী এবং প্রত্যেক জিনিসের ইলাহ্! আমি আপনার নিকট জাহান্নামের শাস্তি হইতে আশ্রয় চাই।
[আবু দাউদ ৫০৫৮, সহিহ হাদিস]
পরিচ্ছেদ ৫ঃ ঘুমানোর সময় যিকিরসমূহ
আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার কাছে ফাতিমাহ [রাদি.] অভিযোগ করে যে, গম পেষার চাকতি ঘুরানোর ফলে তার প্রত্যেক হাতে ফোস্কা পড়ে গেছে। আমি বললাম, তুমি তোমার বাবার [রসুলুল্লাহর] কাছে গিয়ে যদি তাহাঁর নিকট একটি খাদিম প্রদানের আবেদন করিতে। [ফাতিমাহ আবেদন জানানোর পর] রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি তোমাদের দুজনকে এমন জিনিস কি বলে দিব না যা তোমাদের জন্য দাসের চেয়ে ভাল? তোমরা শয়নকালে ৩৩ বার “আলহামদু লিল্লাহ”, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ” এবং ৩৪ বার “আল্লাহু আকবার” বলবে।
[তিরমিজি ৩৪০৮, ৩৪০৯, সহীহ হাদীস] [আবু দাউদ ৫০৬২, ৫০৬৫]
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি এক লোককে আদেশ করিলেন, যখন শয্যাগ্রহণ করিবে তখন বলবে,
اللَّهُمَّ خَلَقْتَ نَفْسِي وَأَنْتَ تَوَفَّاهَا لَكَ مَمَاتُهَا وَمَحْيَاهَا إِنْ أَحْيَيْتَهَا فَاحْفَظْهَا وَإِنْ أَمَتَّهَا فَاغْفِرْ لَهَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ
“আল্ল-হুম্মাখ লাক্তা নাফসী ওয়া আন্তা তা ওয়াফ্ফা-হা লাকা মামা-তুহা ওয়া মাহ্ইয়া-হা ইন্ আহ্ ইয়াইতাহা- ফাহ্ফাযহা- ওয়া ইন্ আমাত্তাহা- ফাগ্ফির লাহা- আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল আ-ফিয়াহ্” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আপনি আমার জীবন সৃষ্টি করিয়াছেন এবং আপনিই তাকে [আমার জীবনকে] মৃত্যুদান করে। আপনার কাছে [নাফ্সের] জীবন ও মরণ। যদি আপনি একে জীবিত রাখেন তাহলে আপনি এর হিফাযাত করুন। আর যদি আপনি এর মৃত্যু দান করেন তাহলে একে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থতা প্রার্থনা করছি”।
তখন সে লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করিলেন, আপনি তা উমর [রাদি.] হইতে শুনছেন? তিনি বলিলেন, উমর-এর চেয়ে যিনি উত্তম
[অর্থাৎ-] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে শুনেছি।ইবনি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার বর্ণনায় বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনি হারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এবং তিনি [আরবী] [আমাকে শুনেছি] শব্দটি বলেননি।
[সহিহ মুসলিম ৬৭৮১]
হুযইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
যখন নাবী [সাঃআঃ] ঘুমানোর ইচ্ছা করিতেন, সে সময় তিনি নিজের [ডান] হাত মাথার নীচে রেখে বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
আলাহহুম্মা কিনি আজাবাকা ইয়াওমা তাজমাউ ইবাদাকা আও তাবআসু ইবাদাকা
“হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে একত্রিত করিবে অথবা পুনজীবিত করিবে সেদিন আমাকে তোমার আযাব হইতে হিফাযাতে রেখ।”
[তিরমিজি ৩৩৯৮, সহীহ হাদীস]
ইবনে মাজা, আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে উপরোক্ত দোয়াটি একটু ভিন্ন শব্দে বর্ণনা করেন
[ইবনে মাজা ৩৮৭৭] اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ – أَوْ تَجْمَعُ – عِبَادَكَ
আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ঘুমানোর সময় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার ডান হাতের উপর মাথা রাখতেন, তারপর বলিতেনঃ “
رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
রব্বি কিনি আজাবাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবাদাকা আও তাবআসু ইবাদাকা
হে আমার প্রভু! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে উত্থিত করিবে, আমাকে সেদিন তোমার শাস্তি হইতে নিরাপদে রেখ।
[তিরমিজি ৩৩৯৯, সহীহ হাদীস]
আবু দাউদ, নাবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী হাফসাহ [রাদি.] এর বর্ণনায় নিম্নের দুয়া পরেন [আবু দাউদ ৫০৪৫]
اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
সুহায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু সালিহ্ আমাদেরকে আদেশ করিতেন, যখন আমাদের কেউ ঘুমাতে যায় সে যেন ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শয্যাগ্রহন করে। এরপর যেন বলেন,
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْفُرْقَانِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَىْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ اللَّهُمَّ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ اقْضِ عَنَّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنَا مِنَ الْفَقْرِ
“আল্ল-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বাল আর্যি ওয়া রব্বাল আর্শিল আযীম, রব্বানা- ওয়া রব্বা কুল্লি শাইয়িন্ ফা-লিকাল্ হাব্বি ওয়ান্ নাওয়া ওয়া মুন্যিলাত্ তাওর-তি ওয়াল ইন্জীলি ওয়াল ফুর্কা-নি আঊযুবিকা মিন্ শার্রি কুল্লি শাইয়িন্ আন্তা আ-খিযুন্ বিনা-সিয়াতিহি, আল্ল-হুম্মা আন্তাল্ আও্ওয়ালু ফালাইসা কাব্লাকা শাইউন্ ওয়া আন্তাল আ-খিরু ফালাইসা বাদাকা শাইউন্ ওয়া আন্তায্ যা-হিরু ফালাইসা ফাওকাকা শাইউন্ ওয়া আন্তাল বা-তিনু ফালাইসা দূনাকা শাইউন্ ইক্যি আন্নাদ্ দাইনা ওয়া আগ্নিনা- মিনাল ফাক্রি” অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আপনি আকাশমণ্ডলী, জামিন ও মহান আর্শের রব। আমাদের রব ও সব কিছুর পালনকর্তা। আপনি শস্য ও বীজের সৃষ্টিকর্তা, আপনি তাওরাত, ইন্জীল ও কুরআনের অবতীর্ণকারী। আমি আপনার নিকট সকল বিষয়ের খারাবী হইতে আশ্রয় চাই। আপনিই একমাত্র সব বিষয়ের পরিচর্যাকারী। হে আল্লাহ! আপনিই শুরু, আপনার আগে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই এবং আপনিই শেষ, আপনার পরে কোন কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ, আপনার উর্ধ্বে কেউ নেই। আপনিই বাতিন, আপনার অগোচরে কিছু নেই। আমাদের ঋণকে আদায় করে দিন এবং অভাব থেকে আমাদেরকে সচ্ছলতা দিন।” তিনি [আবু সালিহ] নবী [সাঃআঃ] হইতে আবু হুরায়রা্ [রাদি.]-এর সূত্রেও এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করিতেন।
[সহিহ মুসলিম ৬৭৮২]
ইমাম আবু দাউদ এবং ইবনে মাজা , আবু হুরাইরাহ [রাঃআঃ] হইতে উপরোক্ত দোয়াটি একটু ভিন্ন শব্দে বর্ণনা করেন [আবু দাউদ ৫০৫১] [ইবনে মাজা ৩৮৭৩ ]
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرْضِ وَرَبَّ كُلِّ شَىْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى مُنَزِّلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَىْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَىْءٌ
আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমাহ্ [রাদি.] নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে একজন খাদিমের জন্য আবেদন করিলেন। তখন তিনি তাঁকে বললেনঃ তুমি বলো,
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ
আল্লাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াতিস সাবই, “সাত আসমানের রব হে আল্লাহ! …..”
[তারপর] সুহায়ল-এর পিতা হইতে বর্ণীত হাদীসের অবিকল উল্লেখ করিয়াছেন।
[সহীহ মুসলিম ৬৭৮৪]
আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন বিছানাগত হইতেন তখন [ঘুমানোর জন্য] বলিতেন ঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا وَكَمْ مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُؤْوِيَ
(আলহামদুলিল্লাহ হিল্লাজি আত আমানা ওয়া সাক্কানা ওয়া কাফানা ওয়া আ’ওয়ানা ওয়া কাম মিম্মান লা কাফিয়া লাহু ওয়া লা মুওইইয়া) “সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, [সৃষ্টির অনিষ্ট হইতে] আমাদের রক্ষা করিয়াছেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন [বিছানায়]। কিন্তু অনেক লোক আছে যাদের কোন রক্ষাকারী নেই এবং আশ্রয়স্থলও নেই”।
তিরমিজি ৩৩৯৬, সহীহ হাদীস
আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীত
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَآوَانَا فَكَمْ مِمَّنْ لاَ كَافِيَ لَهُ وَلاَ مُئْوِيَ
[আবু দাউদ ৫০৫৩, সহিহ]
আবুল আযহার আল-আনমারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে শোয়ার সময় বলিতেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ وَضَعْتُ جَنْبِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَأَخْسِئْ شَيْطَانِي وَفُكَّ رِهَانِي وَاجْعَلْنِي فِي النَّدِيِّ الأَعْلَ
বিস্মিল্লাহি ওয়া দা,তু জানবি আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া আখসি সাইতানি ওয়া ফুক্কা রহানি ওয়াজ আলনি ফিন্নাদি আলা, আল্লাহর নামে আমার দেহ রাখলাম। হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করুন, আমার থেকে শয়তানকে তাড়িয়ে দিন, আমার ঘাড়কে মুক্ত করুন এবং আমাকে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্নদের কাতারে স্থান দিন।
[আবু দাউদ ৫০৫৪, সহিহ হাদিস]
পরিচ্ছেদ ৬ঃ রাত্রে নিদ্রা হইতে জাগ্রত হওয়ার পর দুআ
ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি মাইমূনাহ (রাদি.) -এর ঘরে রাত্রি অতিবাহিত করলাম। তখন নাবী (সাঃআঃ) উঠে তাহাঁর প্রয়োজনাদি সেরে মুখ-হাত ধুয়ে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে আবার জাগ্রত হয়ে পানির মশকের নিকট গিয়ে এর মুখ খুললেন। এরপর মাঝারি রকমের এমন অযূ করিলেন যে, তাতে অধিক পানি লাগালেন না। অথচ পুরা উযূই করিলেন। তারপর তিনি সালাত আদায় করিতে লাগলেন। তখন আমিও জেগে উঠলাম। তবে আমি কিছু বিলম্বে উঠলাম। এজন্য যে, আমি এটা পছন্দ করলাম না যে, তিনি আমার অনুসরণকে দেখে ফেলেন। যা হোক, আমি অযূ করলাম। তখনও তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। সুতরাং আমি গিয়ে তাহাঁর বাম পার্শ্বে দাঁড়িয়ে গেলাম। তখন তিনি আমার কান ধরে তাহাঁর ডান দিকে আমাকে ঘুরিয়ে নিলেন। এরপর তাহাঁর তেরো রাকআত সলাত পূর্ণ হলো। তারপর তিনি আবার কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। এমনকি নাক ডাকতেও লাগলেন। তাহাঁর অভ্যাস ছিল যে, তিনি ঘুমালে নাক ডাকতেন। এরপর বিলাল (রাদি.) এসে তাঁকে জাগালেন। তখন তিনি নতুন অযূ না করেই সলাত আদায় করিলেন। তাহাঁর দুআর মধ্যে এ দুআও ছিলঃ
اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَفِي بَصَرِي نُورًا، وَفِي سَمْعِي نُورًا، وَعَنْ يَمِينِي نُورًا، وَعَنْ يَسَارِي نُورًا، وَفَوْقِي نُورًا، وَتَحْتِي نُورًا، وَأَمَامِي نُورًا، وَخَلْفِي نُورًا، وَاجْعَلْ لِي نُورًا
“আল্লাহুম্মা জয়াল ফি কলবি নুরান, ওয়া ফি বাছারি নুরান, ওয়া ফি ছাময়ি নুরান, ওয়া আন ইয়ামিনি নুরান, ওয়া আন ইয়াছিরি নুরান, ওয়া ফাওকি নুরান, ওয়া তাহতি নুরান, ওয়া আমামি নুরান, ওয়া খালফি নুরান, ওয়া জয়াল লি নুরান” “হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে, আমার চোখে, আমার কানে, আমার ডানে-বামে, আমার উপর-নীচে, আমার সামনে-পেছনে, আমার জন্য নূর দান করুন।”
কুরায়ব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, এ সাতটি আমার তাবূতের মত। এরপর আমি আব্বাসের জনৈক পুত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম, তিনি আমাকে এ সাতটি অঙ্গের কথা বর্ণনা করিলেন এবং রগ, গোশ্ত, চুল ও চামড়ার উল্লেখ করিলেন এবং আরো দুটির কথা উল্লেখ করেন।
[সহীহ বুখারী ৬৩১৬]
উবাদাহ্ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রাতে জাগ্রত হয়ে যে লোক বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। ওয়া সুবা হানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।”
আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তাহাঁর কোন শারীক নেই, সার্বভৌমত্ব তাহাঁর, সকল প্রশংসা তাহাঁর জন্য এবং সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান। আল্লাহ তাআলা সম্পূর্ণ পবিত্র, আল্লাহ তাআলাই সকল প্রশংসার অধিকারী। আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ আআলা সুমহান। আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ ছাড়া অন্যায় হইতে বিরত থাকার কিংবা ন্যায় কাজ করার শক্তি কারো নেই।”
অতঃপর সে বলবে,
رَبِّ اغْفِرْ لِي
“হে আল্লাহ! আমাকে মাফ করে দাও।”
কিংবা তিনি বলেছেনঃ সে দুয়া করলে তা ক্ববূল করা হয়। আর যদি সে সাহস করে উযূ করে নামায় আদায় করে তবে তার নামাজও ক্ববূল করা হয়।
[তিরমিজি ৩৪১৪, সহীহ হাদীস]
উবাইদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ [আবু দাউদ ৫০৬০, সহিহ]
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ [ইবনে মাজা ৩৮৭৮, সহীহ]
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
رَبِّ اغْفِرْ لِي
আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে সজাগ হলে বলিতেনঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْبِي وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ اللَّهُمَّ زِدْنِي عِلْمًا وَلاَ تُزِغْ قَلْبِي بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنِي وَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবাহানাকা আল্লাহুম্মা আস্তাগফিরুকা লিজানবি ওয়া আসালুকা রহমাতাকা আল্লাহুম্মা জিরনি ইলমান ওয়া লা তুজিগ কল্বি বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাব্লি মিল্লাদুনকা ইন্নাকা আনতাল অয়াহাব , হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার গুনাহের জন্য ক্ষমা ও রহমত কামনা করছি। হে ইআল্লাহ! আমার ইলম বাড়িয়ে দিন এবং হিদায়াত দানের পর আমার অন্তরকে বাঁকা করবেন না এবং আমার জন্য আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহাদানকারী।
[আবু দাউদ ৫০৬১, দুর্বল হাদিস]
খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে
“তার বাম দিকে হাল্কা থুতু ফেলবে।” (৩ বার)
মুসলিম, ৪/১৭৭২, নং ২২৬১।
শয়তান থেকে এবং যা দেখেছে তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে প্রার্থনা করবে।” (৩ বার)
মুসলিম, ৪/১৭৭২, ১৭৭৩, নং ২২৬১, ২২৬২।
কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না।
মুসলিম, ৪/১৭৭২, নং ২২৬১ ও নং ২২৬৩।
অতঃপর যে পার্শ্বে সে ঘুমিয়েছিল তা পরিবর্তন করবে।
মুসলিম, ৪/১৭৭৩, নং ২২৬১।
যদি ইচ্ছা করে তবে উঠে সালাত আদায় করবে।
মুসলিম ৪/১৭৭৩, নং ২২৬৩
পরিচ্ছেদ ৭ঃ রাত্রিকালে রাসূল [সাঃআঃ]-এর আমাল
রাবীআহ্ ইবনি কাব আল-আসলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর ঘরের দ্বারদেশে আমি রাত যাপন করতাম এবং তার উযূর পানি সরবরাহ করতাম। রাতে আমি দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে বলিতে শুনতাম,
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ [যে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে, তিনি তা শুনেন]।
আমি আরো শুনতে পেলাম যে, দীর্ঘ রাত পর্যন্ত তিনি
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন [সকল প্রশংসা জগতসমুহের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলারই]
বলছেন।
[তিরমিজি ৩৪১৬, সহীহ হাদীস]
রাবীআহ বিন কাব আল-আসলামী হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ঘরের দ্বারদেশে রাত যাপন করিতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে রাতে দীর্ঘ সময় ধরে বলিতে শুনতেন,
سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
সুবহানাল্লাহি রব্বাল আলামিন, (বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ্ মহাপবিত্র),
অতঃপর বলিতেনঃ
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, (আল্লাহ্ সম্পূর্ণ পবিত্র এবং প্রশংসা তাহাঁর প্রাপ্য)। {৩২১১}
ইবনে মাজা ৩৮৭৯, সহীহ হাদিস
শারীক আল-হাওযানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একদা আমি আয়িশাহ্র [রাদি.] নিকট গিয়ে বলি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে জেগে সর্বপ্রথম কোন দুআ পড়ার মাধ্যমে শুরু করিতেন? তিনি বলিলেন, তুমি আমাকে এমন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছো, তোমার পূর্বে কেউই এ ব্যাপারে আমার নিকট জানতে চায়নি। তিনি যখন রাতে জাগতেন তখন দশবার আল্লাহ্ আকবার ও দশবার আল্হামদুলিল্লাহ বলিতেন। আর সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি দশবার ও সুবহানাল মালিকুল কুদ্দুস দশবার এবং আস্তাগফিরুল্লাহ ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দশবার বলিতেন। অতঃপর তিনি বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ ضِيقِ الدُّنْيَا وَضِيقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ
হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় অভাব, সংকীর্ণতা ও বিপদগ্রস্ততা হইতে আশ্রয় চাইছি। এরপর তিনি সলাত শুরু করিতেন।
[আবু দাউদ ৫০৮৫, হাসান সহিহ]
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন সফর করিতেন তখন ভোর রাতে উপনীত হয়ে বলিতেনঃ
سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللَّهِ وَنِعْمَتِهِ وَحُسْنِ بَلاَئِهِ عَلَيْنَا اللَّهُمَّ صَاحِبْنَا فَأَفْضِلْ عَلَيْنَا
সামিয়া সামিয়ুন বিহামদিল্লাহি ওয়া নিয়ামাতি ওয়া হুসনি বালায়িহি আলাইনা আল্লাহহুম্মা সাহিবনা ফা আফদিল আলাইনা, শ্রবণকারী শ্রবণ করুন, আল্লাহ্র প্রশংসা করছি আমাদের প্রতি তাহাঁর নেয়ামতসমূহ ও আশির্বাদসহ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করো। আর আমরা আল্লাহ্র নিকট জাহান্নামের আগুন হইতে মুক্তি চাই।
[আবু দাউদ ৫০৮৬, সহিহ হাদিস]
Leave a Reply