পান করার আদব কায়দা ও পান পাত্রের বিবরণ
পান করার আদব -কায়দা – রিয়াদুস সালেহীন হাদিস সংকলিত >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পান করার আদব কায়দা ও পান পাত্রের বিবরণ
পরিচ্ছদঃ ১১১- পান করার আদব-কায়দা
পরিচ্ছদঃ ১১২- মশ্ক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা অপছন্দনীয়, তবে তা হারাম নয়
পরিচ্ছদঃ ১১৩-পানি পান করার সময় তাতে ফুঁ দেওয়া মাকরূহ
পরিচ্ছদঃ ১১৪-দাঁড়িয়ে পান করা
পরিচ্ছদঃ ১১৫-পানীয় পরিবেশনকারীর সবার শেষে পান করা উত্তম
পরিচ্ছদঃ ১১৬-পান-পাত্রের বিবরণ
পরিচ্ছদঃ ১১১- পান করার আদব-কায়দা
৭৬১. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ পানি পান করার সময় তিনবার দম নিতেন। (অর্থাৎ তিনি পান পাত্রের বাইরে তিনবার নিঃশ্বাস ফেলতেন।)
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬৩১, মুসলিম ২০২৮, তিরমিজী ১৮৮৪, ইবনু মাজাহ ৩৪১৬, আহমাদ ১১৭২৩, ১১৭৭৬, ১১৭৮৩, ১১৮৮৬, ১২৫১২, দারেমী ২১২০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৬২. ইবনু ‘আব্বাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, উঁটের ন্যায় তোমরা এক নিঃশ্বাসে পানি পান করো না, বরং দুই তিনবার (শ্বাস নিয়ে) পান করো। আর যখন তোমরা পানি পান করা শুরু কর তখন
سَمِّ اللهَ
বিসমিল্লাহ বলো এবং যখন পান করা শেষ করো তখন ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলো। হাদীসটি তিরমিজী বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলেছেন এটি হাসান হাদীস।
(আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ দুর্বল যেমনটি আমি ‘‘তাখরীজুল মিশকাত’’ গ্রন্থে (নং ৪২৭৮) বলেছি। কারণ এর বর্ণনাকারী ইবনু আতা ইবনে আবী রাবাহ্ দুর্বল। তিনি হচ্ছেন ইয়াকূব। আর ইয়াযীদ ইবনু সিনান জাযারী হচ্ছেন আবু ফারওয়াহ্ আররাহাবী। তার সম্পর্কে নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস আর ইবনু আদী বলেনঃ তার অধিকাংশ হাদীস নিরাপদ নয়। দেখুন ‘‘সিলসিলাহ্ সহীহাহ্’’ (৬১৯৫) নং হাদীসের ব্যাখ্যা।) হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস
৭৬৩. আবু ক্বাতাদা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ পান পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে নিষেধ করিয়াছেন।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৫৬, ১৫৪, ৫৬৩০, মুসলিম ২৬৭, তিরমিজী ১৫, ১৮৮৯, নাসাঈ ২৪, ২৫, ৪৭, আবু দাঊদ ৩১, ইবনু মাজাহ ৩১০, আহমাদ ১৮৯১৭, ২২০১৬, ২২০৫৯, ২২১২৮, ২২১৪১, দারেমী ৬৭৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৬৪.আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর নিকট পানি মিশ্রিত দুধ আনা হল। (তখন) তাঁর ডান দিকে এক বেদুঈন ছিল ও বাম দিকে আবু বকর রাঃআঃ (বসে) ছিলেন। বস্তুত তিনি তা পান করে বেদুঈনকে দিলেন এবং বললেন, ‘‘ডান দিকের ব্যক্তির অগ্রাধিকার রয়েছে, তারপর তার ডান দিকের ব্যক্তির অগ্রাধিকার রয়েছে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ২৩৫২, ২৫৭০, ৫৬১২ , ৫৬১৯, মুসলিম ২০২৯ , তিরমিজী ১৮৯৩, আবু দাঊদ ৩৭২৬, ইবনু মাজাহ ৩৪২৫, আহমাদ ১১৬৬৭, ১১৭১১, ১২৬২৬, ১৩০০৯, ১৩১০০, মুওয়াত্তা মালেক ১৭২৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৬৫. সাহল ইবনে সা‘দ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর সামনে শরবত পরিবেশন করা হল। তিনি তা থেকে পান করলেন। আর তাঁর ডান দিকে ছিল একটি বালক। আর বাম দিকে ছিল কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। তখন নবী সাঃআঃ বালকটিকে বললেন, ‘‘তুমি কি আমাকে অনুমতি দেবে, আমি ঐ বয়স্ক লোকগুলিকে আগে পান করতে দিই?’’ বালকটি বলল, ‘আল্লাহর কসম! আপনার কাছ থেকে আমার ভাগে আসা জিনিসের ক্ষেত্রে আমি কাউকে আমার উপর অগ্রাধিকার দেব না।’ বর্ণনাকারী বলেন, ‘নবী সাঃআঃ তখন পেয়ালাটি তার হাতে তুলে দিলেন।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ২৩৫১, ২৩৬৬, ২৪৫১, ২৬০২, ২৬০৫, ৫৬২০, মুসলিম ২০৩০, আহমাদ ২২৩১৭, ২২৩৬০, মুওয়াত্তা মালেক ১৭২৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছদঃ ১১২- মশ্ক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা অপছন্দনীয়, তবে তা হারাম নয়
৭৬৬. আবু সা‘ঈদ খুদরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ মশকের মুখ বাঁকিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করিয়াছেন।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬২৫, ৫৬২৬, মুসলিম ২০২৩, তিরমিজী ১৮৯০, আবু দাঊদ ৩৭২০, ইবনু মাজাহ ৩৪১৮, আহমাদ ১০৬৪৩, ১১২৪৮, ১১২৬৫, ১১৪৭৮, দারেমী ২১১৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৬৭. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে বারণ করিয়াছেন।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ২৪৬৩, ৫৬২৭, ৫৬২৮, মুসলিম ১৬০৯ , তিরমিজী ১৩৫২, আবু দাঊদ ৩৬৩৪, ইবনু মাজাহ ২৩৩৫, আহমাদ ৭১১৩, ৭১১৪, ৭২৩৬, ৭৬৪৫, ৮১৩৫, ৮৯০০, ৯৪৭৭, ৯৬৪৫, মুওয়াত্তা মালেক ১৪৬২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৬৮. উম্মে সাবেত কাব্শাহ বিনতে সাবেত, হাস্সান ইবনে সাবেতের ভগিনী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ সাঃআঃ আমার নিকট এলেন এবং একটি ঝুলন্ত মশকের মুখ থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পান করলেন। সুতরাং আমি উঠে তার মুখটা কেটে নিলাম। (তিরমিজী হাসান সহীহ)
(তিরমিজী ১৮৯২, ইবনু মাজাহ ৩৪২৩) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছদঃ ১১৩-পানি পান করার সময় তাতে ফুঁ দেওয়া মাকরূহ
৭৬৯.আবু সা‘ঈদ খুদরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ পানীয় পানকালে তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করিয়াছেন। একটি লোক নিবেদন করল, ‘পানপাত্রে (যদি) আমি খড়কুটো দেখতে পাই?’ তিনি বললেন, ‘‘তাহলে তা ঢেলে ফেলে দাও।’’ সে নিবেদন করল, ‘এক শ্বাসে পানি পান করে আমার তৃপ্তি হয় না।’ তিনি বললেন, ‘‘তাহলে তুমি পেয়ালা মুখ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে নিঃশ্বাস গ্রহণ করো।’’
তিরমিজী ১৮৮৭, আবু দাঊদ ৩৭২২, ৩৭৭৮, আহমাদ ১০৮১৯, ১০৮৮৬, ১১১৪৭ , ১১২৫৭, ১১৩৫১, মুওয়াত্তা মালেক ১৭১৮, দারেমী ২১২১. হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
৭৭০. ইবনে আব্বাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ পানপাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে বা তাতে ফুঁ দিতে নিষেধ করিয়াছেন।
( তিরমিজী ১৮৮৮, আবু দাঊদ ৩৭২৮, ইবনু মাজাহ ৩৪২৯) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছদঃ ১১৪-দাঁড়িয়ে পান করা
৭৭১. ইবনে আব্বাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আমি নবী সাঃআঃকে যমযমের পানি পান করিয়েছি। তিনি তা দাঁড়িয়ে পান করিয়াছেন।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৬৩৭, ৫৬১৭, মুসলিম ২০২৭, তিরমিজী ১৮৮২, নাসাঈ ২৯৬৪, ২৯৬৫, ইবনু মাজাহ ৩৪২২, আহমাদ ১৮৪১, ১৯০৬, ২১৮৪, ২২৪৪, ২৬০৩, ৩১৭৬, ৩৪৮৭, ৩৫১৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৭২.নায্যাল ইবনে সাবরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কুফা নগরীর ‘রাহবাহ’র দ্বারপ্রান্তে আলী রাঃআঃ এসে দাঁড়িয়ে পানি পান করলেন এবং বললেন, ‘আমি নবী সাঃআঃকে ঠিক এভাবে (পান) করতে দেখেছি, যেভাবে তোমরা আমাকে (পান) করতে দেখলে।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬১৫, ৫৬১৬, নাসাঈ ১৩০, আবু দাঊদ ৩৭১৮, আহমাদ ৫৮৪, ৯৭৯, ৯১৮ , ৯৭৩, ৯৭৯, ১০৪৯, ১১২৮, ১১৪৪, ১১৭৭, ১২০১, ১২২৭, ১৩৫৩, ১৩৭০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৭৩. ইবনে ‘উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর যুগে আমরা চলতে চলতে আহার করতাম এবং দাঁড়িয়ে পান করতাম।’
(তিরমিজী, হাসান সহীহ)( তিরমিজী ১৮৮০). হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
৭৭৪. আমর ইবনে শু‘আইব তাঁর পিতা থেকে তিনি স্বীয় দাদা হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে দাঁড়িয়ে ও বসে পানি পান করতে দেখেছি।’
(তিরমিজী হাসান সহীহ)(তিরমিজী ১৮৮৩, আহমাদ ৬৬৪১, ৬৭৪৪, ৬৯৮২) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
৭৭৫. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ লোককে দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করিয়াছেন। কাতাদাহ বলেন, আমরা আনাস রাঃআঃ-কে প্রশ্ন করলাম, ‘আর (দাঁড়িয়ে) খাওয়া?’ তিনি বললেন, ‘তা তো আরো মন্দ বা আরো জঘন্য কাজ।’
(মুসলিম ২০২৪, তিরমিজী ১৮৭৯, আবু দাঊদ ৩৭১৭, ইবনু মাজাহ ৩৪২৩, ৩৪২৪, আহমাদ ১১৭৭৫, ১১৯২৯, ১২০৮১, ১২৪৬০, ১২৬৪৯, ১২৮১৯ , ১৩২০৬, ১৩৫৩১, ১৩৬৯১, দারেমী ২১২৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৭৬. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন অবশ্যই দাঁড়িয়ে পান না করে। আর যদি ভুলে যায় (ভুলবশতঃ পান করে ফেলে), তাহলে সে যেন বমি করে দেয়।’’
(মুসলিম ২০২৬, আহমাদ ৮১৩৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছদঃ ১১৫-পানীয় পরিবেশনকারীর সবার শেষে পান করা উত্তম
৭৭৭. আবু কাতাদাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘লোকদেরকে পানি পরিবেশনকারী তাদের সবার শেষে পান করিবে।’’
(তিরমিজী ১৮৯৪, মুসলিম ৬৮১, ইবনু মাজাহ ৩৪৩৪, আহমাদ ২২০৪০, ২২০৭১, ২২০৯৩, দারেমী ২১৩৫) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছদঃ ১১৬-পান-পাত্রের বিবরণ
৭৭৮. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘একবার নামাযের সময় উপস্থিত হলে যাঁদের বাড়ি কাছে ছিল, তাঁরা (ওযূ করার জন্য) বাড়ি গেলেন। আর কিছু লোক থেকে গেলেন (তাঁদের কোন ওযূর ব্যবস্থা ছিল না)। সুতরাং আল্লাহর রসূল সাঃআঃ এর কাছে একটি পাথরের পাত্রে পানি আনা হল। পাত্রটি এত ছোট ছিল যে, তার মধ্যে তাঁর মুঠি খোলাও মুশকিল ছিল। তা থেকেই সমস্ত লোক ওযূ করলেন।’ (আনাসকে উপস্থিত) লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ‘আপনারা কতজন ছিলেন?’ তিনি বললেন, ‘আশিজনেরও বেশি।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৬৯, ৩৫৭৪, মুসলিম ২২৭৯, তিরমিযীঃ ৩৬৩১, নাসাঈ ৭৬৭৮, আহমাদ ১১৯৩৯, ১১৯৯৩, ১২০০৪, ১২০৮৮, ১২২৮৩, ১২৩১৬, ১২৩৩১, ১২৩৮৩, ১২৮৩২, ১২৮৫৪, ১৩১৮৩, ১৩৬৬৭, মুওয়াত্তা মালেক ৬৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৭৯. আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘নবী সাঃআঃ একবার আমাদের নিকট এলেন। আমরা তাঁকে পিতলের একটি পাত্রে পানি দিলাম, তিনি (তা দিয়ে) ওযূ করলেন।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৭৯, ১৮৫, ১৮৬, ১৯১, ১৯২, ১৯৭, ১৯৯, মুসলিম ২৩৫, তিরমিজী ৩২, নাসাঈ ৯৭, ৯৮, আবু দাঊদ ১১৮, ইবনু মাজাহ ৪৩৪, আহমাদ ১৫৯৯৬, ১৬০০৩, ১৬০১৭, ১৬০২৪, মুওয়াত্তা মালেক ৩২, দারেমী ৬৯৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৮০. জাবের রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ জনৈক আনসারীর নিকট গেলেন। আর তাঁর সঙ্গে একজন সাহাবীও ছিলেন। রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বললেন, ‘‘যদি তোমার মশকে রাতের বাসী পানি থাকে, তাহলে নিয়ে এসো; নচেৎ পানিতে মুখ লাগিয়ে পান করে নেব।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬১৩, ৫৬২১, আবু দাঊদ ৩৭২৪, ইবনু মাজাহ ৩৪৩২, আহমাদ ১৪১১০, ১৪২৯০, ১৪২৯৮, ১৪৪১১, দারেমী ২১২৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৮১. হুযাইফা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ আমাদেরকে পাতলা ও মোটা রেশমী কাপড় পরতে ও সোনা-রূপার পাত্রে পান করতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি বলেছেন, ‘‘তা হল তাদের (কাফেরদের) জন্য দুনিয়ায় এবং তোমাদের (মুসলিমদের) জন্য পরকালে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৪২৬, ৫৬৩২, ৫৬৩৩, ৫৮৩১, ৫৮৩৭, মুসলিম ২০৬৭, তিরমিজী ১৮৭৮, নাসাঈ ৫৩০১, আবু দাঊদ ৩৭২৩, ইবনু মাজাহ ৩৪১৪, ৩৫৯০, আহমাদ ২২৭৫৮, ২২৮০৩, ২২৮৪৮, ২২৮৫৫, ২২৮৬৫, ২২৮৯২, ২২৯২৭, ২২৯৫৪, দারেমী ২১৩০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৭৮২. উম্মে সালামাহ্ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে, সে আসলে নিজ উদরে জাহান্নামের আগুন ঢক্ঢক্ করে পান করে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬৩৪, মুসলিম ২০৬৫, ইবনু মাজাহ ৩৪১৩, আহমাদ ২৬০২৮, ২৬০৪২, ২৬০৫৫, ২৬০৭১, মুওয়াত্তা মালেক ১৭১৭, দারেমী ২১২৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply