জাসসা-সাহ্ জন্তুর ঘটনা

জাসসা-সাহ্ জন্তুর ঘটনা

জাসসা-সাহ্ জন্তুর ঘটনা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২৪. অধ্যায়ঃ জাসসা-সাহ্ জন্তুর ঘটনা

৭২৭৬. আমির ইবনি শারাহীল শাবী [রহ:] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি যাহ্‌হাক ইবনি কায়স-এর বোন ফাতিমাহ্ বিনতু কায়স [রাযি:]-কে প্রশ্ন করিলেন। যে সকল মহিলাগণ প্রথমে হিজরত করেছিলেন, তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বলেন, আপনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে যে হাদীস শুনেছেন, অন্যের দিকে সম্বোধন করা ছাড়া, এমন একটি হাদীস আপনি আমার কাছে পেশ করুন। তিনি বলিলেন, তবে তুমি যদি শুনতে চাও, অবশ্যই আমি তা বর্ণনা করব। সে বলিল, হ্যাঁ, আপনি বর্ণনা করুন। তিনি বলিলেন, আমি ইবনি মুগীরাকে বিয়ে করেছিলাম। তিনি কুরাইশী যুবকদের উত্তম ব্যক্তি ছিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে প্রথম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেই তিনি শাহীদ হয়ে যান। আমি বিধবা হয়ে যাবার পর আবদুর রহমান ইবনি আওফ [রাযি:] আমার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আরো কতিপয় সহাবারাও প্রস্তাব পাঠান। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিজেও তাহাঁর আযাদকৃত গোলাম উসামাহ্ ইবনি যায়দ-এর জন্য প্রস্তাব পাঠান। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হাদীসটি আমি আগেই শুনেছিলাম যে, তিনি বলেছেন, যে লোক আমাকে ভালবাসে সে যেন উসামাকেও ভালবাসে। ফাতিমাহ্ [রাযি:] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ সম্পর্কে আমার সাথে আলোচনা করার পর আমি তাকে বললাম, আমার বিষয়টি আপনার ইচ্ছামাফিক ছেড়ে দিলাম। আপনি যার সঙ্গে ইচ্ছা আমাকে বিবাহ দিয়ে দিন। তারপর তিনি বলিলেন, তুমি উম্মু শারীক-এর কাছে চলে যাও। উম্মু শারীক একজন আনসারী ধনবান মহিলা, আল্লাহর রাস্তায় সে বেশি খরচ করে এবং তার কাছে অনেক অতিথি আসে। এ কথা শুনে আমি বললাম, আমি তা-ই করব। তখন তিনি বলিলেন, তুমি উম্মু শারীকের নিকট যেয়োনা। কেননা উম্মু শারীক আপ্যায়নপ্রিয় মহিলা এবং আমি এটাও পছন্দ করি না যে, তোমার উড়না পড়ে যাক বা তোমার পায়ের গোছা বস্ত্রহীন হয়ে যাক আর লোকেরা তোমার শরীরের এমন স্থান দেখে নিক যা তুমি কক্ষনো পছন্দ করো না। তবে তুমি তোমার চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ ইবনি উম্মু মাকতূম-এর নিকট চলে যাও। তিনি বানী ফিহ্‌র-এর এক ব্যক্তি। ফিহ্‌র কুরাইশেরই একটি শাখা গোত্র। ফাতিমাহ্ যে খান্দানের লোক তিনিও সে খান্দানেরই লোক। আমি তার কাছে চলে গেলাম। তারপর আমার ইদ্দত শেষ হলে আমি এক আহ্বানকারীর আওয়াজ শুনতে পেলাম। বস্তুত: তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কর্তৃক নির্ধারিত আহ্বানকারী ছিলেন। তিনি এ মর্মে আহ্বান করছিলেন যে, সালাতের উদ্দেশ্যে তোমরা সমবেত হয়ে যাও। এরপর আমি মাসজিদের দিকে অগ্রসর হলাম এবং রাসূলু্‌ল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে নামাজ আদায় করলাম। তিনি বলেন, সম্প্রদায়ের পেছনে যে কাতারে মহিলাগণ ছিলেন আমি সে কাতারেই ছিলাম। রসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] সালাত আদায়ন্তে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় মিম্বারে বসে গেলেন। অত:পর বলিলেন, প্রত্যেকেই আপন আপন স্থানে বসে যাও। তারপর তিনি বলিলেন, তোমরা কি জান, আমি কি জন্য তোমাদেরকে সমবেত করেছি? সাহাবায়ে কিরাম বলিলেন, আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদেরকে কোন আশা বা ভয়-ভীতির জন্য জমায়েত করিনি। তবে আমি তোমাদেরকে কেবল এজন্য জমায়েত করেছি যে, তামীম আদ্ দারী [রাযি:] প্রথমে খ্রীস্টান ছিল। সে আমার কাছে এসে বাইআত গ্রহণ করেছে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সে আমার নিকট এমন একটি কাহিনী বর্ণনা করেছে যদ্বারা আমার সে বর্ণনার সত্যায়ন হয়ে যায়, যা আমি দাজ্জালের ব্যাপারে তোমাদের নিকট বর্ণনা করেছিলাম। সে আমাকে বলেছে যে, একবার সে লাখ্‌ম ও জুযাম গোত্রের ত্রিশজন লোকসহ একটি সামুদ্রিক জাহাজে আরোহণ করেছিল। সামুদ্রিক ঝড় এক মাস পর্যন্ত তাদেরকে নিয়ে খেলা করিতে থাকে। অত:পর সূর্যাস্তের সময় তারা সমুদ্রের এক দ্বীপে আশ্রয় গ্রহণ করে। তারপর তারা ছোট ছোট নৌকায় বসে ঐ দ্বীপে প্রবেশ করে। দ্বীপে নামতেই জন্তুর ন্যায় একটি জিনিস তাদের দেখিতে পায়। তার পূর্ণ দেহ পশমে ভরা ছিল। পশমের কারণে তার আগা-পাছা চেনার উপায় ছিল না। লোকেরা তাকে বলিল, হতভাগা, তুই কে? সে বলিল, আমি জাস্‌সা-সাহ্। লোকেরা বলিল, জাস্‌সা-সাহ্ আবার কি? সে বলিল! ঐ যে গীর্জা দেখা যায়, সেখানে চলো। সেখানে এক লোক গভীর আগ্রহে তোমাদের অপেক্ষা করছে। তামীম আদ্ দারী [রাযি:] বলেন, তার মুখে এক লোকের কথা শুনে আমরা ভয়ে শঙ্কিত হলাম যে, সে আবার শাইতান তো নয়! আমরা দ্রুত পদব্রজে গীর্জায় প্রবেশ করিতেই এক দীর্ঘাকৃতির এক লোককে দেখিতে পেলাম। যা ইতোপূর্বে এমন আমরা আর কক্ষনো দেখিনি। লোহার শিকলে বাঁধা অবস্থায় দু হাটুর মধ্য দিয়ে তার উভয় হাত ঘাড়ের সাথে মিলানো। আমরা তাকে বললাম, তোর সর্বনাশ হোক, তুই কে? সে বলিল, তোমরা আমার সন্ধান কিছু না কিছু পেয়েই গেছ। এখন তোমরা বলো, তোমাদের পরিচয় কি? তারা বলিল, আমরা আরবের বাসিন্দা। আমরা সমুদ্রে নৌকায় চড়ে ভ্রমণ করছিলাম। আমরা সমুদ্রকে উত্তাল তরঙ্গে উদ্বেলিত অবস্থায় পেয়েছি। এক মাস পর্যন্ত ঝড়ের কবলে থেকে অবশেষে আমরা তোমার এ দ্বীপে এসে পৌঁছেছি। অত:পর ছোট ছোট নৌকায় আরোহন করে এ দ্বীপে আমরা প্রবেশ করেছি। এখানে আমরা একটি সর্বাঙ্গ পশমে আবৃত জন্তুকে দেখিতে পেয়েছি। পশমের মাত্রাতিরিক্তের কারণে আমরা তার আগা-পাছা চিনতে পারছি না। আমরা তাকে বলেছি, তোর সর্বনাশ হোক! তুই কে? সে বলেছে, সে নাকি জাস্‌সা-সাহ্। আমরা বললাম, জাসসা-সাহ্ আবার কি? তখন সে বলেছে, ঐ যে গীর্জা দেখা যায়, তোমরা সেখানে চলো। সেখানে এক লোক গভীর আগ্রহে তোমাদের অপেক্ষায় আছে। তাই আমরা দ্রুত তোর কাছে এসে গেছি। আমরা তার কথায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি; না জানি এ আবার কোন জিন ভূত কিনা? অত:পর সে বলিল, তোমরা আমাকে বাইসানের খেজুর বাগানের সংবাদ বলো। আমরা বললাম, এর কোন্ বিষয়টি সম্পর্কে তুই সংবাদ জানতে চাচ্ছিস? সে বলিল, বাইসানের খেজুর বাগানে ফল আসে কি না, এ সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করছি। তাকে আমরা বললাম, হ্যাঁ, আছে। সে বলিল, সেদিন নিকটেই যেদিন এগুলোতে কোন ফল ধরবে না। তারপর সে বলিল, আচ্ছা, তিবরিয়্যা সমুদ্রের ব্যাপারে আমাকে অবগত করো। আমরা বললাম, এর কোন্‌ বিষয় সম্পর্কে তুই আমাদের থেকে জানতে চাচ্ছিস? সে বলিল, এর মধ্যে পানি আছে কি? তারা বলিল, হ্যাঁ, সেখানে বহু পানি আছে। অত:পর সে বলিল, সেদিন বেশী দূরে নয়, যখন এ সাগরে পানি থাকিবে না। সে আবার বলিল, যুগার-এর ঝর্ণার ব্যাপারে তোমরা আমাকে অবহিত করো। তারা বলিল, তুই এর কি সম্পর্কে আমাদের নিকট জানতে চাচ্ছিস? সে বলিল, এর ঝর্ণাতে পানি আছে কি? আর এ জনপদের লোকেরা তাদের ক্ষেত্রে এ ঝর্ণার পানি দেয় কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ, এতে অনেক পানি আছে এবং এ জনপদের লোকেরা এ পানির মাধ্যমেই তাদের ক্ষেত আবাদ করে। সে আবার বলিল, তোমরা আমাকে উম্মীদের নবীর ব্যাপারে খবর দাও। সে এখন কি করছে? তারা বলিল, তিনি মাক্কাহ্ থেকে হিজরত করে মাদীনায় চলে এসেছেন। সে জিজ্ঞেস করিল, আরবের লোকেরা তার সাথে যুদ্ধ করেছে কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ, করেছে। সে বলিল, সে তাদের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করেছে। আমরা তাকে খবর দিলাম যে, তিনি আরবের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জয়ী হয়েছেন এবং তাঁরা তার বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। সে বলিল, এ কি হয়েই গেছে? আমরা বললাম, হ্যাঁ। সে বলিল, বশ্যতা স্বীকার করে নেয়াই জনগনের জন্য কল্যাণকর ছিল। এখন আমি নিজের ব্যাপারে তোমাদেরকে বলছি, আমিই মাসীহ্ দাজ্জাল। অতি সত্ত্বরই আমি এখান থেকে বাইরে যাবার অনুমতি পেয়ে যাব। বাইরে যেয়ে আমি সমগ্র ভূ-পৃষ্ঠ প্রদক্ষিণ করব। চল্লিশ দিনের ভেতর এমন কোন জনপদ থাকিবে না, যেখানে আমি প্রবেশ না করব। তবে মাক্কাহ্ ও তাইবাহ্ এ দুটি স্থানে আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ। যখন আমি এ দুটির কোন স্থানে প্রবেশের ইচ্ছা করব, তখন এক ফেরেশতা উম্মুক্ত তরবারি হাতে সম্মুখে এসে আমাকে বাধা দিবে। এ দুটি স্থানের সকল রাস্তায় ফেরেশতাদের পাহারা থাকিবে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ছড়ি দ্বারা মিম্বারে আঘাত করে বলিলেন, এ হচ্ছে তাইবাহ্, এ হচ্ছে তাইবাহ, এ হচ্ছে তাইবাহ্। অর্থাৎ তাইবাহ্ অর্থ এ মাদীনাই। সাবধান! আমি কি এ কথাটি ইতোপূর্বে তোমাদেরকে বলিনি? তখন লোকেরা বলিল, হ্যাঁ, আপনি বলেছেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তামীম আদ্ দারীর কথাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। যেহেতু তা সামঞ্জস্যপূর্ণ আমার ঐ বর্ণনার, যা আমি তোমাদেরকে দাজ্জাল, মাদীনাহ্ ও মাক্কাহ্ বিষয়ে ইতোপূর্বে বলেছি। জেনে রেখ! উল্লেখিত দ্বীপ সিরিয়া সাগরে অথবা ইয়ামান সাগরের পার্শ্বস্থ সাগরের মাঝে অবস্থিত। যা পৃথিবীর পূর্বদিকে অবস্থিত, পৃথিবীর পূর্বদিকে অবস্থিত, পৃথিবীর পূর্বদিকে অবস্থিত। এ সময় তিনি নিজ হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারাও করিলেন। বর্ণনাকারী ফাতিমাহ্ বিনতু কায়স [রাযি:] বলেন, এ হাদীস আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে সংরক্ষণ করেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭১৭২]

৭২৭৭. শাবী [রহ:] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি ফাতিমাহ্ বিনতু কায়স [রাযি:]-এর কাছে গেলাম। তারপর তিনি আমাকে সতেজ খেজুর দ্বারা মেহমানদারী করিলেন। এ খেজুরকে……[আরবি] [রুত্বাব ইবনি ত্বাব] বলা হয় এবং যবের ছাতু পান করালেন। এরপর আমি তাকে তিন তালাকপ্রাপ্তা মহিলার বিষয়ে প্রশ্ন করলাম যে, সে কোথায় ইদ্দাত পালন করিবে? উত্তরে তিনি বলিলেন, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দেয়ার পর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে আমার পিতার বাড়ীতে ইদ্দাত পালনের অনুমতি দিয়েছিলেন। ফাতিমাহ্ বিনতু কায়স [রাযি:] বলেন, তখন লোকদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেয়া হলো, নামাজের উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে যাও তারপর এ ঘোষণা শুনে যারা সমবেত হলেন তাদের সাথে আমিও গেলাম এবং পুরুষের কাতারের পেছনে মহিলাদের কাতারের প্রথম সারিতে আমি দাঁড়ালাম। সলাতান্তে নবী [সাঃআঃ]-কে মিম্বারে খুৎবারত অবস্থায় এ কথা বলিতে শুনেছি যে, তামীম আদ্ দারীর চাচাতো ভাই একবার সমুদ্রে নৌকায় সফর করেছিল। অত:পর তিনি হাদীসটি অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এতে এ কথা বর্ধিত বর্ণিত আছে যে, ফাতিমাহ্ বলেন, আমি যেন এখনো দেখিতে পাচ্ছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ছড়ি দ্বারা মাটিতে আঘাত করে বলেছেন, এ হচ্ছে তাইবাহ্ অর্থ মাদীনাহ্।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১২০, ইসলামিক সেন্টার- ৭১৭৩]

৭২৭৮. ফাতিমাহ্ বিনতু কায়স [রাযি:] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দরবারে তামীম আদ্ দারী আসলো এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ মর্মে অবগত করিল যে, একদা সে সমুদ্রে নৌকায় আরোহন করিল। তখন নৌকাটি তাকেসহ নিজ স্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে গেল এবং অবশেষে এক দ্বীপে এসে পড়ল। অত:পর সে পানির উদ্দেশ্যে দ্বীপ অভ্যন্তরে প্রবেশ করিল। সেখানে পৌঁছে সে এমন এক ব্যক্তিকে দেখল, যে তার পশম হেঁচড়িয়ে চলছে। অত:পর তিনি হাদীসের পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করিলেন। তবে এতে এও রয়েছে যে, দাজ্জাল বলবে, আমাকে যদি বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় তবে আমি তাইবাহ্ ছাড়া সমগ্র পৃথিবী প্রদক্ষিণ করব। অত:পর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তামীম আদ্ দারীকে লোকেদের মাঝে নিয়ে এলেন এবং সে তাদেরকে পূর্ণ বৃত্তান্ত বর্ণনা করে শুনাল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃএ শহরটি তাইবাহ্ এবং ঐ লোকই দাজ্জাল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১২১, ইসলামিক সেন্টার- ৭১৭৪]

৭২৭৯. ফাতিমাহ বিনতু কায়স [রাযি:] হইতে বর্ণীতঃ

একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিম্বারে বসে বলিলেন, হে লোক সকল! তামীম আদ্ দারী আমার কাছে বর্ণনা করেছে যে, এক সময় তাহাঁর সম্প্রদায়ের কতিপয় লোক সমুদ্রে ভ্রমণ করছিল। অত:পর সমুদ্রের মাঝে তাদের জাহাজটি ভেঙ্গে গেল। উপায়ান্তর না পেয়ে তাদের কেউ কেউ নৌকার কাষ্ঠে ভর করে সামুদ্রিক দ্বীপে গিয়ে পৌঁছে। অত:পর আবু যিনাদ হাদীসটি অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১২২, ইসলামিক সেন্টার- ৭১৭৫]

৭২৮০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, মাক্কাহ্ মাদীনাহ্ ছাড়া পৃথিবীর গোটা শহরেই দাজ্জাল অনুপ্রবেশ করিবে। তবে মাক্কাহ্ মাদীনায় প্রবেশ করিতে পারবে না। কেননা এ দু শহরের প্রতিটি রাস্তায়ই ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এর পাহারাদারীতে নিযুক্ত থাকিবে। পরিশেষে দাজ্জাল মাদীনার এক নিকটবর্তী স্থানে অবতরণ করিবে। তখন মাদীনাতে তিনবার ভূমিকম্প হইবে। যার ফলে প্রত্যেক মুনাফিক ও কাফির মাদীনাহ্ হইতে বের হয়ে তার কাছে চলে যাবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭১৭৬]

৭২৮১. আনাস ইবনি মালিক [রাযি:] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, অত:পর হাম্মাদ ইবনি সালামাহ্ অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এতে রয়েছে যে, দাজ্জাল এসে জুরুফ-এর এক অনুর্বর জমিতে নামবে এবং এখানেই সে তার শিবির স্থাপন করিবে। যার ফলে প্রত্যেক মুনাফিক পুরুষ ও মহিলা তার কাছে চলে যাবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭১৭৭]

Comments

Leave a Reply