কুস্তনতিনিয়া [ইস্তাম্বুলের একটি শহর] বিজয়, দাজ্জালের আগমন
কুস্তনতিনিয়া [ইস্তাম্বুলের একটি শহর] বিজয়, দাজ্জালের আগমন >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৯. অধ্যায়ঃ কুস্তনতিনিয়া [ইস্তাম্বুলের একটি শহর] বিজয়, দাজ্জালের আগমন এবং ঈসা ইবনি মারইয়াম [আ :] –এর অবতরণ
৭১৭০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কিয়ামত সংঘটিত হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না রোমীয় [সিরিয়ার অন্তর্গত] সেনাবাহিনী আমাক অথবা দাবিক নহরের কাছে অবতীর্ণ হইবে। তখন তাদের মুকাবিলায় মাদীনাহ্ হইতে এ দুনিয়ার সর্বোত্তম মানুষেরর এক দল সৈন্য বের হইবে। তারপর উভয় দল সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান হবার পর রোমীয়গণ বলবে, তোমরা ঐ সমস্ত লোকেদের থেকে পৃথক হয়ে যাও, যারা আমাদের লোকেদেরকে বন্দী করেছে। আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করব। তখন মুসলিমগণ বলবে, আল্লাহর শপথ! আমরা আমাদের ভাইদের থেকে কক্ষনো সম্পর্কচ্ছেদ করব না। পরিশেষে তাদের পরস্পর যুদ্ধ হইবে। এ যুদ্ধে মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশ সৈন্য পলায়নপর হইবে। আল্লাহ তাআলা কক্ষনো তাদের তাওবাহ্ গ্রহণ করবেন না। সৈন্যদের এক তৃতীয়াংশ নিহত হইবে এবং তারা হইবে আল্লাহর কাছে শহীদানের মাঝে সর্বোত্তম শাহীদ। আর সৈন্যদের অপর তৃতীয়াংশ বিজয়ী হইবে। জীবনে আর কক্ষনো তারা ফিত্নায় আক্রান্ত হইবে না। তারাই কুস্তুনতিনিয়া বিজয় করিবে। তারা নিজেদের তালোয়ার যাইতুন বৃক্ষে লটকিয়ে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ ভাগ করিতে থাকিবে। এমতাবস্থায় তদের মধ্যে শাইতান উচ্চৈঃস্বরে বলিতে থাকিবে, দাজ্জাল তোমাদের পেছনে তোমাদের পরিবার-পরিজনের মধ্যে চলে এসেছে। এ কথা শুনে মুসলিমরা সেখান থেকে বের হইবে। অথচ এ ছিল মিথ্যা সংবাদ। তারা যখন সিরিয়া পৌঁছবে তখন দাজ্জালের আগমন ঘটবে। যখন মুসলিম বাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করিবে এবং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান হইতে শুরু করা মাত্র নামাজের সময় হইবে। অতঃপর ঈসা [আঃ] অবতরণ করবেন এবং সলাতে তাদের ইমামাত করবেন। আল্লাহর শত্রু তাকে দেখামাত্রই বিচলিত হয়ে যাবে যেমন লবণ পাণিতে মিশে যায়। যদি ঈসা [আঃ] তাকে এমনিই ছেড়ে দেন তবে সেও নিজে নিজেই বিগলিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। অবশ্য আল্লাহ তাআলা ঈসা [আঃ]-এর হাতে তাকে হত্যা করবেন এবং তার রক্ত ঈসা [আঃ]-এর বর্শাতে তিনি তাদেরকে দেখিয়ে দিবেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৭১]
Leave a Reply