ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হইবে না , যতক্ষণ পর্যন্ত ফুরাত

ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হইবে না , যতক্ষণ পর্যন্ত ফুরাত

ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হইবে না , যতক্ষণ পর্যন্ত ফুরাত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৮. অধ্যায়ঃ ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হইবে না , যতক্ষণ পর্যন্ত ফুরাত তার মধ্যস্থিত পাহাড়সম স্বর্ণ উন্মোচন না করে

৭১৬৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ কিয়ামাত সংঘটিত হইবে না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না ফুরাত তার মধ্যস্থিত স্বর্ণের পাহাড় বের করে দেয়। লোকেরা এ নিয়ে যুদ্ধ করিবে এবং একশতের মধ্যে নিরানব্বই জন মৃত্যুবরণ করিবে। তাদের সকলেই বলবে, আমার মনে হয় আমি জীবন্ত থাকব।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৬৫]

৭১৬৫. সুহায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি এতে বর্ধিত বর্ণনা করিয়াছেন যে, আমার পিতা বলেছেন, যদি তোমরা ঐ পাহাড় দেখো তবে তোমরা এর নিকটেও যেও না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০০৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৬৬]

৭১৬৬. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শীঘ্রই ফুরাত তার গর্ভস্থিত স্বর্ণভাণ্ডার বের করে দিবে। সুতরাং এ সময় যারা উপস্থিত থাকিবে তারা যেন এ থেকে কিছুই গ্রহণ না করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০১০, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৬৭]

৭১৬৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শীঘ্রই ফুরাত তার গর্ভস্থিত পাহাড়সম স্বর্ণ বের করে দিবে। তাই এ সময় যারা সমুপস্থিত থাকিবে তারা যেন এ থেকে কিছুই গ্রহণ না করে।

[ই.ফে. ৭০১১, ইসলামিক সেন্টার-৭০৬৮]

৭১৬৮. আবদুল্লাহ ইবনিল হারিস ইবনি নাওফাল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনি কাব [রাদি.]-এর সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় তিনি বলিলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করতঃ মানুষ জাগতিক সম্পদ উপার্জনের কাজে সর্বদা নিয়োজিত থাকিবে। আমি বললাম, হ্যাঁ, ঠিকই। তখন তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, শীঘ্রই ফুরাত তার গর্ভস্থিত স্বর্ণসম পর্বত বের করে দিবে। এ কথা শুনামাত্রই লোকজন সেদিকে চলতে রওনা হইবে। সেখানকার লোকেরা বলবে, আমরা যদি লোকদেরকে ছেড়ে দেই তবে তারা সমস্ত কিছুই নিয়ে চলে যাবে। এ নিয়ে তারা পরস্পর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে এবং এতে একশতের মধ্যে নিরানব্বই জন লোকই নিহত হইবে।

বর্ণনাকারী আবু কামিল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার হাদীস উল্লেখ করিয়াছেন যে, আমি এবং উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হাস্‌সান-এর কিল্লার ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০১২, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৬৯]

৭১৬৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, ইরাক তার রৌপ্য মুদ্রা এবং কাফীয দিতে বারণ করিবে। সিরিয়াও তার মুদ এবং স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করিতে অস্বীকৃতি জানাবে। অনুরূপভাবে মিসরও তাদের আরদাব এবং স্বর্ণমুদ্রা প্রদান করিতে অস্বীকৃতি জানাবে। পরিশেষে তোমরা পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তন করিবে, তোমরা পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তন করিবে, তোমরা পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তন করিবে। এ কথার প্রতি আবু হুরায়রা্‌ [রাদি.]-এর রক্ত-গোশ্‌ত সাক্ষ্য দিচ্ছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৭০]

Comments

Leave a Reply