কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে নবী [সাঃ]-এর সংবাদ প্রদান
কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে নবী [সাঃ]-এর সংবাদ প্রদান >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৬. অধ্যায়ঃ কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত যা ঘটবে সে সম্পর্কে নবী [সাঃ]-এর সংবাদ প্রদান
৭১৫৪. আবু ইদরীস খাওলানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হুযাইফাহ্ ইবনি ইয়ামান [রাদি.] বলেন, আমার ও কিয়ামাতের মধ্যবর্তী সময়ের মাঝে ঘটমান বিপদাপদ সম্পর্কে আমি সর্বাধিক জ্ঞাত। বস্তুতঃ বিষয়টি এমন নয় যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অন্যদের কাছে বর্ণনা না করে শুধুমাত্র আমার কাছেই এ ব্যাপারটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এক বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম। এতে তিনি ফিতনার ব্যাপারে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করছিলেন। আর এগুলোর তিনটি এমন, যা কোন কিছু্কেই ছাড় দিবে না। এর কিছু সংখ্যক গ্রীষ্মের ঝাঞ্ঝা বায়ুর মতো। আবার কিছু সংখ্যক ছোট এবং কিছু সংখ্যক বড়।
হুযাইফাহ্ [রাদি.] বলেন, উক্ত মাজলিসে উপস্থিত লোকদের মধ্যে আমি ছাড়া প্রত্যেকেই এ দুনিয়া হইতে চির বিদায় নিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৫৫]
৭১৫৫. হুযাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে কিয়ামাত পর্যন্ত যা কিছু হইবে, সকল বিষয় ফিতনার কথা বর্ণনা করিলেন। তারপর যে স্মরণ রাখবার সে স্মরণ রাখল এবং যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেল। তিনি বলেন, আমার এ সঙ্গীগণ জানেন যে, তন্মধ্যে কতক বিষয় এমন আছে, যা আমি ভুলে গেছি। কিন্তু সেটা সংঘটিত হইতে দেখে আমার তা আবার মনে পড়ে যায়। যেরূপ কোন লোক দূরে চলে গেলে তার চেহারার কথা মানুষ ভুলে যায়। অতঃপর তাকে দেখে সে চিনে নেয়। {১৪}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৫৬]{১৪} এ হাদীস থেকে এ কথা বুঝার কোন সুযোগ নেই যে, নবী মুহাম্মাদ [সা] গায়ব জানতেন। বরং নবী [সাঃ] কর্তৃক বর্ণিত শারীআতের প্রতিটি কথা ওয়াহীভিত্তিক এবং সে রকম একটি ওয়াহিভিত্তিক কথা যে, মানুষ কিয়ামাতের পূর্ব পর্যন্ত কি কি মুসীবাতের সম্মুখীন হইবে সেটা তিনি ওয়াহীর মাধ্যমে আগেই জেনে উম্মাতকে জানিয়েছেন।
৭১৫৬. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অর্থাৎ “যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে” পর্যন্ত অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। হাদীসের পরবর্তী অংশটুকু সুফইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০০০, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৫৭]
৭১৫৭. হুযাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কিয়ামাত পর্যন্ত ঘটমান সমূদয় ফিতনা সম্পর্কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে সংবাদ দিয়েছেন। ফিতনা সম্পর্কীয় কতক বিষয় সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি। তবে মাদীনাবাসীকে কোন্ কারণে মাদীনাহ্ হইতে বের করা হইবে সে সম্পর্কে আমি তাঁকে প্রশ্ন করিনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০০১, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৫৮]
৭১৫৮. শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০০২, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৫৯]
৭১৫৯. আবু যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করিলেন। তারপর মিম্বারে আরোহণ করে ভাষণ দিলেন। পরিশেষে যুহরের নামাজের সময় উপস্থিত হলে তিনি মিম্বার হইতে নেমে নামাজ আদায় করিলেন। তারপর পুনরায় মিম্বারে উঠে তিনি ভাষণ দিলেন। এবার আসরের নামাজের ওয়াক্ত হলে তিনি মিম্বার থেকে নেমে নামাজ আদায় করে পুনরায় মিম্বারে উঠলেন এবং আমাদেরকে লক্ষ্য করে খুতবাহ্ দিলেন, এমনকি সূর্যাস্ত হয়ে গেল, এ ভাষনে তিনি আমাদেরকে পূর্বে যা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে যা ঘটবে ইত্যকার সম্বন্ধে সংবাদ দিলেন। তিনি [বর্ণনাকারী] বলেন, যে লোক এ কথাগুলো সর্বাধিক মনে রেখেছেন আমাদের মধ্যে এ সম্বন্ধে তিনিই সবচেয়ে বেশী জানেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৬০]
Leave a Reply