ফিতনাসমূহ নিকটবর্তী হওয়া ও ইয়াজূজ মাজূজ-এর প্রাচীর খুলে যাওয়া

ফিতনাসমূহ নিকটবর্তী হওয়া ও ইয়াজূজ মাজূজ-এর প্রাচীর খুলে যাওয়া

ফিতনাসমূহ নিকটবর্তী হওয়া ও ইয়াজূজ মাজূজ-এর প্রাচীর খুলে যাওয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১. অধ্যায়ঃ ফিতনাসমূহ নিকটবর্তী হওয়া ও ইয়াজূজ মাজূজ-এর প্রাচীর খুলে যাওয়া

৭১২৭. যাইনাব বিনতু জাহ্‌শ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদিন নবী [সাঃআঃ] ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে বললেনঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ-এর নিকট ভবিষ্যতে সংঘটিত ফিতনায় আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ ইয়াজূজ-মাজূজ এর দেয়াল এতটুকু পরিমাণ খুলে গেছে। এ সময় সুফ্‌ইয়ান নিজ হাত দ্বারা {১0} দশের গিট বানালেন।

তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মাঝে নেক লোক থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাব? উত্তরে তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার অধিক পরিমাণে হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৭০২৯] {১0} নিজ হাতের শাহাদাত ও বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা একত্র করে গোলাকার বানিয়ে দেখালেন।

৭১২৮. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এতে তারা ……… অর্থাৎ সানাদে হাবীবার নাম অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৩০]

৭১২৯. নবী [সাঃ]-এর স্ত্রী যাইনাব বিনতু জাহ্শ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় বের হলেন। তখন তাহাঁর বারাকাতময় চেহারা লাল বর্ণ ধারণ করলো। তিনি বলছিলেন, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ। আরব বিশ্বের আগত অকল্যাণের দরুন বড়ই পরিতাপ যা প্রায় ঘনিয়ে আসছে। আজ ইয়াজূজ মাজূজ এর প্রাচীর এতটুকু পরিমাণ উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এ সময় তিনি তাহাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি ও শাহাদাত আঙ্গুলির দ্বারা বেড় বানালেন।

আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল [সা]! আমাদের মাঝে অনেক সৎ লোক থাকা অবস্থায়ও কি আমরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হব? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার অধিক পরিমাণে বেড়ে যাবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৩১]

৭১৩০. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৩২]

৭১৩১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, আজ ইয়াজূজ ও মাজূজ পরিবেষ্টিত প্রাচীর এ পরিমাণ উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এ সময় রাবী {উহায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]} নিজ হাতের দ্বারা নব্বই সংখ্যার গিরা বা বেড়ী তৈরি করে দেখালেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৩২]

Comments

One response to “ফিতনাসমূহ নিকটবর্তী হওয়া ও ইয়াজূজ মাজূজ-এর প্রাচীর খুলে যাওয়া”

Leave a Reply