কষ্টের কারণে মৃত্যু কামনা করা বৈধ নয় – রিয়াদুস সালেহীন
কষ্টের কারণে মৃত্যু কামনা করা বৈধ নয় – রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ৬৭: কোন কষ্টের কারণে মৃত্যু কামনা করা বৈধ নয়, দ্বীনের ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কায় বৈধ
1/590 عَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ، قَالَ: « لَا يَتَمَنَّ أحَدُكُمُ المَوْتَ، إمَّا مُحْسِناً فَلَعَلَّهُ يَزْدَادُ، وَإمَّا مُسِيئاً فَلَعَلَّهُ يَسْتَعْتِبُ ». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ البخاري .
وَفي رِوَايَةٍ لِّمُسلِمٍ عَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ، قَالَ: «لاَ يَتَمَنَّ أَحَدُكُمُ المَوْتَ، وَلاَ يَدْعُ بِهِ مِنْ قَبْلِ أنْ يَأتِيَهُ ؛ إنَّهُ إِذَا مَاتَ انْقَطَعَ عَمَلُهُ، وَإنَّهُ لاَ يَزِيدُ المُؤْمِنَ عُمُرُهُ إِلاَّ خَيْراً».
১/৫৯০। আবু হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে পুণ্যবান হলে সম্ভবতঃ সে পুণ্য বৃদ্ধি করিবে। আর পাপী হলে [পাপ থেকে] তাওবাহ করিতে পারবে।’’ [বুখারী ও মুসলিম, শব্দগুলি বুখারীর] [1]
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং তা আসার পূর্বে কেউ যেন তার জন্য দো‘আ না করে। কারণ, সে মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ মু’মিনের আয়ু কেবল মঙ্গলই বৃদ্ধি করিবে।’’
2/591 وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ:«لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أحَدُكُمُ المَوْتَ لِضُرٍّ أصَابَهُ، فَإنْ كَانَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً، فَلْيَقُلْ: اَللهم أحْيِني مَا كَانَتِ الحَيَاةُ خَيْراً لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الوَفَاةُ خَيراً لي». متفقٌ عَلَيْهِ
২/৫৯১। আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন কোন বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা না করে। আর যদি কেউ এমন অবস্থাতে পতিত হয় যে, তাকে মৃত্যু কামনা করিতেই হয়, তাহলে সে [মৃত্যু কামনা না করে দো‘আ করে] বলবে, ‘হে আল্লাহ! যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা আমার জন্য মঙ্গলজনক হয়, ততদিন আমাকে জীবিত রাখ। আর যদি আমার জন্য মৃত্যুই মঙ্গলজনক হয়, তাহলে আমাকে মৃত্যু দাও।’’ [বুখারী ও মুসলিম] [2]
3/592 وَعَن قَيسِ بنِ أَبي حَازِمٍ، قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى خَبَّابِ بنِ الأرَتِّ رضي الله عنه نَعُودُهُ وَقَدِ اكْتَوَى سَبْعَ كَيَّاتٍ، فَقَالَ: إنَّ أَصْحَابَنَا الَّذِينَ سَلَفُوا مَضَوْا، وَلَمْ تَنْقُصْهُمُ الدُّنْيَا، وَإنَّا أصَبْنَا مَا لاَ نَجِدُ لَهُ مَوْضِعاً إِلاَّ التُّرَابَ وَلَولاَ أنَّ النَّبِيَّ ﷺ نَهَانَا أنْ نَدْعُوَ بالمَوْتِ لَدَعَوْتُ بِهِ . ثُمَّ أتَيْنَاهُ مَرَّةً أُخْرَى وَهُوَ يَبْنِي حَائِطاً لَهُ، فَقَالَ: إنَّ المُسْلِمَ لَيُؤْجَرُ فِي كُلِّ شَيْءٍ يُنْفِقُهُ إِلاَّ فِي شَيْءٍ يَجْعَلُهُ في هَذَا التُّرَابِ . متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ رواية البخاري
৩/৫৯২। কাইস ইবনি আবী হাযেম হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা অসুস্থ খাব্বাব ইবন আরাত্ রাঃআঃ-কে দেখা করিতে গেলাম। সে সময় তিনি [তাহাঁর দেহে চিকিৎসার জন্য] সাতবার দেগেছিলেন। তিনি বলিলেন, ‘আমাদের সাথীরা যাঁরা [পূর্বেই] মারা গেছেন তাঁরা এমতাবস্থায় চলে গেছেন যে, দুনিয়া তাহাদের আমলের সওয়াবে কোন রকম কমতি করিতে পারেনি। আর আমরা এমন [সম্পদ] লাভ করেছি, যা মাটি ছাড়া অন্য কোথাও রাখার জায়গা পাচ্ছি না। যদি নবী সাঃআঃ আমাদেরকে মৃত্যু-কামনা করিতে নিষেধ না করিতেন, তাহলে [রোগ-যন্ত্রণার কারণে] আমি মৃত্যুর জন্য দো‘আ করতাম।’ [কাইস বলেন,] অতঃপর আমরা অন্য এক সময় তাহাঁর কাছে এলাম। তখন তিনি তাহাঁর [বাড়ির] দেওয়াল তৈরী করছিলেন। তিনি বলিলেন, ‘মুসলিম ব্যক্তিকে তার সকল প্রকার ব্যয়ের উপর সওয়াব দান করা হয়, তবে এ মাটিতে ব্যয়কৃত জিনিস ব্যতীত।’ [বুখারী] [3]
[1] সহীহুল বুখারী ৩৯, ৫৬৭৩, ৬৪৬৩, ৭২৩৫, মুসলিম ২৮১৬, ২৬৮২, নাসায়ী ৫০৩৪, ইবনু মাজাহ ৪২০১, আহমাদ ৭১৬২, ৭৪৩০, ৭৫৩৩, ২৭৪৭০, ৮১৩০, ৮৩২৪, ৮৮২১
[2] সহীহুল বুখারী ৫৬৭১, ৬৩৫১, ৭২৩৩, মুসলিম ২৬৮০, তিরমিযী ৯৭১, নাসায়ী ১৮২০, ১৮২১, ১৮২২, আবূ দাউদ ৩১০৮, ইবনু মাজাহ ৪২৬৫
[3] সহীহুল বুখারী ৫৬৭২, ৬৩৪৯, ৬৪৩০, ৬৪৩১, ৭২৩৪, মুসলিম ২৬৮১, তিরমিযী ২৪৮৩, নাসায়ী ১৮২৩, আহমাদ ২০৫৫০, ২০৫৬২, ২০৫৬৭, ২০৫৭৪, ২৬৬০২
Leave a Reply