জুলুম হারাম ও গালি-গালাজ নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
জুলুম হারাম >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১৫. অধ্যায়: যুল্ম হারাম
১৬. অধ্যায়ঃ ভাইকে সাহায্য করা যালিম হোক কিংবা মাযলুম
১৭. অধ্যায়ঃ মুমিনদের পারস্পারিক সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও সহযোগিতা
১৮. অধ্যায়ঃ গালি-গালাজ নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
১৯. অধ্যায়ঃ ক্ষমা ও বিনয়ের মাহাত্ন্য
১৫. অধ্যায়ঃ জুলুম হারাম
৬৪৬৬. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] ইরশাদ করেন ঃ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ওহে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজ সত্তার উপর অত্যাচারকে হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের মধ্যেও তা হারাম বলে ঘোষণা করছি। অতএব তোমরা একে অপরের উপর অত্যাচার করো না। হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই ছিলে দিশেহারা, তবে আমি যাকে সুপথ দেখিয়েছি সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে হিদায়াত প্রার্থনা কর আমি তোমাদের হিদায়াত দান করব। হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই ক্ষুধার্ত, তবে আমি যাকে খাদ্য দান করি সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে আহার্য চাও, আমি তোমাদের আহার করাব। হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই বস্ত্রহীন, কিন্তু আমি যাকে পরিধান করাই সে ব্যতীত। তোমারা আমার কাছে পরিধেয় চাও, আমি তোমাদের পরিধান করাব। হে আমার বান্দারা! তোমরা রাতদিন অপরাধ করে থাকো। আর আমিই সব অপরাধ ক্ষমা করি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত প্রার্থনা করো, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিব। হে আমার বান্দারা! তোমরা কখনো আমার অনিষ্ট করিতে পারবে না, যাতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হই এবং তোমরা কখনো আমার উপকার করিতে পারবে না, যাতে আমি উপকৃত হই। হে আমার বান্দারা! তোমাদের আদি, তোমাদের অন্ত, তোমাদের মানুষ ও জিন জাতির মধ্যে যার অন্তর আমাকে সবচাইতে বেশী ভয় পায়, তোমরা সবাই যদি তার মতো হয়ে যাও তাতে আমার রাজত্ব একটুও বৃদ্ধি পাবে না। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের আদি, তোমাদের অন্ত, তোমাদের সকল মানুষ ও জিন জাতির মধ্যে যার অন্তর সবচাইতে পাপিষ্ঠ তোমরা সবাই যদি তার মতো হয়ে যাও তাতে আমার রাজত্ব কিছুমাত্র হ্রাস পাবে না। হে আমার বান্দা! তোমাদের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সকল মানুষ ও জিন যদি কোন বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে সবাই আমার কাছে আবদার করে আর আমি প্রত্যক ব্যক্তির চাহিদা পূরণ করি তাহলে আমার কাছে যা আছে তাতে এর চাইতে বেশী হ্রাস পাবে না, যেমন কেউ সমুদ্রে একটি সূচ ডুবিয়ে দিলে যতটুকু তাত্থেকে হ্রাস পায়। হে আমার বান্দারা! আমি তোমাদের আমালই তোমাদের জন্য সংরক্ষিত রাখি। এরপর পুরোপুরিভাবে তার বিনিময় প্রদান করে থাকি। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন কল্যাণ অর্জন করে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে তা ব্যতীত অন্য কিছু পায়, তবে সে যেন নিজেকেই দোষারোপ করে।
সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবু ইদ্রীস আল খাওলানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যখন এ হাদীস বর্ণনা করিতেন তখন তিনি দুহাঁটুর উপর ভর দিয়ে বসতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮৭]
৬৪৬৭. সাঈদ ইবনি আবদুল আযীয [রাযীঃ] হইতে বর্ণীতঃ
সাঈদ ইবনি আবদুল আযীয [রাযীঃ] এ সানাদে রিওয়ায়াত করেন। তবে তাদের উভয়ের মধ্যে মারওয়ান পূর্ণাঙ্গ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৮, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৮৮]
৬৪৬৮. আবু ইসহাক্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, বিশর্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর পুত্রদ্বয় হাসান ও হুসাইন এবং মুহাম্মাদ ইবনি ইয়াহ্ইয়া হইতে বর্ণীতঃ
আমাদের নিকট আবু মুসহির এ হাদীসটি পুরোটাই বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৮, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৮৮]
৬৪৬৯. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তাহাঁর মহিমান্বিত পরওয়ারদিগার ইরশাদ করেন, আমি আমার নিজের উপর ও বান্দাদের উপর অত্যাচারকে হারাম করে নিয়েছি। অতএব তোমরা পরস্পর পরস্পরকে অত্যাচার করোনা। অতঃপর রাবী হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। আর আবু ইদ্রীস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত যে হাদীসটি আমরা বিবৃত করেছি তা এর চাইতে অধিক পূর্ণাঙ্গ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৯, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৮৯]
৬৪৭০. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা অত্যাচার করা থেকে বিরত থাক। কেননা কিয়ামাত দিবসে অত্যাচার অন্ধকারে পরিণত হইবে। তোমরা কৃপণতা থেকে সাবধান হও। কেননা এ কৃপণতাই তোমাদের আগেকার কাওমকে ধ্বংস করেছে। এ কৃপণতা তাঁদের খুন-খারাবী ও রক্তপাতে উৎসাহ যুগিয়েছে এবং হারাম বস্তুসমূহ হালাল জ্ঞান করিতে প্রলোভন দিয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪০, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯০]
৬৪৭১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, অবশ্যই জুলুম কিয়ামাত দিবসে ঘোরতর অন্ধকারে পরিণত হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪১, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯১]
৬৪৭২. সালিম-এর পিতা হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইরশাদ করেনঃ এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। সে তার প্রতি অত্যাচার করে না এবং তাকে দুশমনের হাতে সোপর্দও করে না। যে ব্যক্তি তার ভাই-এর অভাব-অনটন পূরণ করিবে আল্লাহ তার অভাব-অনটন দূরীভূত করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের বিপদ দূর করিবে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতিদানে কিয়ামাত দিবসে তাকে বিপদ থেকে পরিত্রাণ দিবেন। আর যে ব্যক্তি মুসলিমের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামাত দিবসে তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪২, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯২]
৬৪৭৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমরা কি বলিতে পার অভাবী লোক কে? তাঁরা বলিলেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম [টাকা কড়ি] ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বলিলেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন নামাজ, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক আমাল থেকে দেয়া হইবে, অমুককে নেক আমাল থেকে দেয়া হইবে। এরপর যদি পাওনাদারের হাক্ব তার নেক আমাল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হইবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৩, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯৩]
৬৪৭৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক পাওনাদারকে তার পাওনা চুকিয়ে দিতে হইবে। এমনকি শিং বিশিষ্ট বকরী থেকে শিং বিহীন বকরীর প্রতিশোধ গ্রহণ করা হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৪, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯৪]
৬৪৭৫. আবু মূসা আশআরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ অবশ্যই মহান আল্লাহ যালিমকে সুযোগ দেন। এরপর তিনি যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন তাকে ছাড়েন না। এরপর তিনি তিলাওয়াত করেন,
وَكَذَلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ الْقُرَى وَهِيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ
“এভাবেই তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও-যখন কোন অত্যাচারী জনপদবাসীকে তিনি পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তার পাকড়াও চরম মর্মান্তিক, অতিশয় কঠোর”- [সুরা হূদ ১১/১০২]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৫, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯৫]
১৬. অধ্যায়ঃ ভাইকে সাহায্য করা যালিম হোক কিংবা মাযলুম
৬৪৭৬. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আনসার ও মুহাজিরদের দুটি গোলাম হাতাহাতি করছিল। তখন মুহাজির গোলাম এ বলে চীৎকার দিল, হে মুহাজিরগণ! পক্ষান্তরে আনসারী গোলামও ডাকল, হে আনসারগণ! তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বের হয়ে বলিলেন, এ কী ব্যাপার! জাহিলী যুগের লোকেদের মতো হাঁক-ডাক করছ? তারা বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! না, দুটি গোলাম ঝগড়া করেছে। তাদের একজন অপরজনের পশ্চাতে আঘাত করেছে। তখন তিনি বলিলেন, এতো মামুলী ব্যাপার। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচিত যেন সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে, সে অত্যাচারী হোক কিংবা অত্যাচারিত। যদি সে অত্যাচারী হয় তাহলে তাকে [জুলুম থেকে] বিরত রাখবে। এ হচ্ছে তার জন্য সাহায্য। আর যদি সে অত্যাচারিত হয় তাহলে তাকে সাহায্য করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৬, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯৬]
৬৪৭৭. সুফ্ইয়ান ইবনি উয়াইনাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] জাবির [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন, আমরা এক যুদ্ধে নবী [সাঃআঃ] এর সাথে ছিলাম। তখন একজন মুহাজির একজন আনসারের পশ্চাতাঘাত করেছিল। সে সময় আনসারী চীৎকার করে বলিল, সে আনসার! আর মুহাজির ব্যক্তি ডাক দিল, হে মুহাজিরগণ! তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, কী ব্যাপার! জাহিলী যুগের মতো হাঁক-ডাক করছ কেন? তারা বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! একজন মুহাজির একজন আনসারীর পশ্চাতে আঘাত করেছে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা এ ধরণের হাক-ডাক ছেড়ে দাও। কেননা এতো নিন্দনীয় কাজ। এরপর ঘটনাটি আব্দুল্লাহ ইবনি উবাই শুনে বলিল, তারা কি এরূপ কান্ড ঘটিয়েছে? আল্লাহর কসম! আমরা মাদীনায় ফিরে গেলে সেখানকার শক্তিশালীরা অবশ্যই দুর্বলকে বহিষ্কৃত করে দিবে।
উমর [রাদি.] বলিলেন, [হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]!] আমাকে অনুমতি দিন, আমি এ মুনাফিকের মস্তক উড়িয়ে দাই। তখন তিনি বলিলেন, একে ছেড়ে দাও, যাতে লোকেরা বলিতে না পারে যে, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবাদের হত্যা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৭, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯৭]
৬৪৭৮. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একজন মুহাজির একজন আনসারীকে পশ্চাতে আঘাত করেছিল। এরপর সে নবী [সাঃআঃ] এর নিকট এলো এবং তাহাঁর কাছে প্রতিশোধ চাইল। তখন নবী [সাঃআঃ] বলিলেন, এটা বাদ দাও। কেননা এ-তো নোংরা কাজ।
ইবনি মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আম্র বর্ণিত হাদীসে বলেছেন যে, তিনি জাবির [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৮, ইসলামিক সেন্টার-৬৩৯৮]
১৭. অধ্যায়ঃ মুমিনদের পারস্পারিক সহমর্মিতা , সহানুভূতি ও সহযোগিতা
৬৪৭৯. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইরশাদ করেন ঃ একজন মুমিন ব্যক্তি অপর মুমিনের জন্য একটি অট্টালিকা সদৃশ, যার এক অংশ অন্য অংশকে শক্তিশালী করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৯৯]
৬৪৮০. নুমান ইবনি বাশীর হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুমিনদের উদাহরন তাদের পারস্পারিক ভালবাসা, দয়ার্দ্রতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানব দেহের ন্যায় যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয় তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০০]
৬৪৮১. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ আল হান্যালী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০১]
৬৪৮২. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুমিন সম্প্রদায় একজন ব্যক্তির ন্যায়। যখন তার মাথায় অসুস্থতা দেখা দেয় তখন সমস্ত দেহই তাপ ও অনিদ্রায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০২]
৬৪৮৩. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সকল মুসলিম একজন ব্যক্তির সমতুল্য। যদি তার চক্ষু পীড়িত হয় তবে তার সমগ্র দেহ পীড়িত হয়ে পড়ে। যদি তার মাথা আক্রান্ত হয় তাহলে সমগ্র শরীরই আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০৩]
৬৪৮৪. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি নুমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] থেকে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০৪]
১৮. অধ্যায়ঃ গালি-গালাজ নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
৬৪৮৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ দুব্যক্তি যখন গালমন্দে লিপ্ত হয় তখন তাদের উভয়ের গুনাহ তার উপরই বর্তাবে, যে প্রথমে শুরু করে; যতক্ষণ না অত্যাচারিত সীমালঙ্ঘন করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০৫]
১৯. অধ্যায়ঃ ক্ষমা ও বিনয়ের মাহাত্ন্য
৬৪৮৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, সদাকাহ্ করাতে সম্পদের হ্রাস হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে আল্লাহ্ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। আর কেউ আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভে বিনীত হলে তিনি তার মর্যাদা সমুন্নত করে দেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০৬]
Leave a Reply