উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ [রাদি.]-এর ফযিলত
উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ [রাদি.]-এর ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১২. অধ্যায়ঃ উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ [রাদি.]-এর ফযিলত
৬১৬৫. আবদুল্লাহ ইবনি জাফার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আলীকে কূফায় বলিতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: পৃথিবীর স্ত্রীলোকদের মাঝে সর্বোত্তম হলেন [সে যুগে] মারইয়াম বিনতু ইমরান, আর [এ যুগে] খাদীজাহ বিনতু খুওয়াইলিদ। বর্ণনাকারী আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ওয়াকী ইশারা করিলেন আকাশ ও জমিনের দিকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯০]
৬১৬৬. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: পুরুষদের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করিয়াছেন, কিন্তু মেয়েদের মাঝে মারইয়াম বিনতু ইমরান ও ফিরআওনের স্ত্রী আসিয়াহ্ [রাদি.] ব্যতীত অন্যকেউ পূর্ণতা লাভে সক্ষম হননি। আর অন্যান্য মেয়েদের মধ্যে আয়িশার ফযিলত অন্যান্য খাদ্যের উপর সারীদের ফাযীলাতের মতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯১]
৬১৬৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে জিব্রীল [আঃ] এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! এ তো খাদীজাহ আপনার নিকট একটা পাত্র নিয়ে আসছেন, যার মধ্যে কিছু তরকারী, খাদ্য ও পানীয় আছে। তিনি যখন আপনার নিকট আসবেন তখন তাঁকে তার প্রতিপালকের এবং আমার পক্ষ হইতে সালাম বলবেন। আর তাঁকে জান্নাতের একটি গৃহের সুখবর দিবেন, যা এমন একটি মুক্তা দ্বারা প্রস্তুতকৃত, যার ভিতর উন্মুক্ত। যেখানে কোন হট্টগোলা আর দুঃখ-বেদনা নেই।
আবু বকর সূত্রে আবু হুরায়রা্ [রাদি.]-এর রিওয়ায়াতে এরূপ বলেছেন। তবে তিনি . . . . শব্দের উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯২]
৬১৬৮. ইসমাঈল হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন আমি আবদুল্লাহ ইবনি আবু আওফাকে বললাম, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কি খাদীজাহ [রাদি.]-কে জান্নাতের মাঝে কোন গৃহের সুখবর দিয়েছেন? বলিলেন, হ্যাঁ তাকে জান্নাতের মাঝে একটি মুক্তা দিয়ে তৈরি গৃহের সুখবর দিয়েছেন। যেখানে কোন রকম হট্টগোল আর দুঃখ-বেদনা নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯৩]
৬১৬৯.ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া, আবু বকর ইবনি আবু শাইবাহ্, ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম ও ইবনি আবু উমর তারা সকলেই ইবনি আবু আওফার বরাত হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯৪]
৬১৭০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] খাদীজাহ বিনতু খুওয়াইলিদকে জান্নাতের একটা ঘরের সুসংবাদ দিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯৫]
৬১৭১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কোন স্ত্রীলোকের দিকেই আমি এত ইর্ষান্বিত হইনি যতটুকু খাদীজার প্রতি হয়েছি; অথচ আমার বিয়ের তিন বছর আগেই তাহাঁর ইন্তিকাল হয়েছে। কেননা আমি তাঁকে [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর আলোচনা করিতে শুনতাম। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নির্দেশ করেছিলেন যে, আপনি জান্নাতে খাদীজাকে একটি মুক্তা দিয়ে তৈরি গৃহের সুখবর দিন আর তিনি বকরী যাবাহ করলে খাদীজার বান্ধবীদের গোশ্ত উপঢৌকন দিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯৬]
৬১৭২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি খাদীজাহ ব্যতীত নবী সহধর্মিণীদের আর কারো প্রতি ঈর্ষান্বিত হইনি, অথচ আমার সাথে তাহাঁর সাক্ষাৎ ঘটেনি।
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] যখন বকরী যাবাহ করিতেন তখন বলিতেন, এর গোস্ত খাদীজার বান্ধবীদের পাঠিয়ে দাও। একদা আমি তাঁকে রাগিয়ে দিলাম এবং বললাম, খাদীজাকে এতই ভালবাসেন? রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তখন বললেনঃতাহাঁর ভালবাসা আমার মনে জায়গা করে নিয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯৭]
৬১৭৩. হিশাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একই সূত্রে আবু উসামাহ্ হাদীসের অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন . . . বকরীর কাহিনী পর্যন্ত। এর পরবর্তী কথাগুলো তিনি বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯৮]
৬১৭৪. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সহধর্মিণীদের কারো উপর আমি এত ঈর্ষান্বিত হইনি যতটুকু ঈর্ষা করেছি খাদীজার উপর। কারণ নবী [সাঃআঃ] তাঁকে বেশি স্মরণ করিতেন। অথচ আমি তাঁকে কক্ষনো দেখিনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৯৯]
৬১৭৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] খাদীজাহ থাকাবস্থায় আর কোন বিয়ে করেননি, যতদিন না তিনি ইন্তিকাল করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০০]
৬১৭৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, খাদীজাহ [রাদি.]-এর বোন হালাহ্ বিনতু খুওয়াইলিদ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। রসূলূল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মনে হলো যেন খাদীজার অনুমতি। তাই তিনি আন্দোলিত হয়ে বলিলেন, হে আল্লাহ! এতো খুওয়াইলিদের কন্যা হালাহ্ খাদীজাহ নয়। এতে ঈর্ষার উদ্রেক হলে আমি বললাম, আপনি কেন স্মরণ করছেন কুরায়শের এমন এক লাল মাড়ী [দন্তবিহীন] এবং সরু পায়ের গোছাওয়ালা [পায়ের নালাদ্বয় ফাটা ফাটা] বৃদ্ধাকে? তিনি তো কত পূর্বেই মারা গেছেন। তারপর আল্লাহ তাআলা আপনাকে তাহাঁর পরিবর্তে উত্তম স্ত্রীও প্রদান করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০১]
Leave a Reply