নিজের পছন্দনীয় ও প্রিয় জিনিস খরচ করার গুরুত্ব -রি সালেহীন
নিজের পছন্দনীয় ও প্রিয় জিনিস খরচ করার গুরুত্ব -রি সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ৩৭ : নিজের পছন্দনীয় ও প্রিয় জিনিস খরচ করার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ لَن تَنَالُواْ ٱلۡبِرَّ حَتَّىٰ تُنفِقُواْ مِمَّا تُحِبُّونَۚ ﴾ [ال عمران: ٩٢]
অর্থাৎ “তোমরা কখনও পুণ্য লাভ করিতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে ব্যয় করেছ।” [সূরা আলে ইমরান ৯২ আয়াত]
তিনি আরো বলেন,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَنفِقُواْ مِن طَيِّبَٰتِ مَا كَسَبۡتُمۡ وَمِمَّآ أَخۡرَجۡنَا لَكُم مِّنَ ٱلۡأَرۡضِۖ وَلَا تَيَمَّمُواْ ٱلۡخَبِيثَ مِنۡهُ تُنفِقُونَ وَلَسۡتُم بَِٔاخِذِيهِ إِلَّآ أَن تُغۡمِضُواْ فِيهِۚ ﴾ [البقرة: ٢٦٧]
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি জমি হতে তোমাদের জন্য যা উৎপাদন করে থাকি, তা থেকে যা উৎকৃষ্ট তা দান কর। এমন মন্দ জিনিস দান করার সংকল্প করো না, যা তোমরা মুদিত চক্ষু ব্যতীত গ্রহণ কর না।” [সূরা বাক্বারাহ ২৬৭ আয়াত]
1/302. عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ : كَانَ أَبُو طَلْحَةَ رضي الله عنه أكْثَرَ الأنْصَار بالمَدِينَةِ مَالاً مِنْ نَخْل، وَكَانَ أَحَبُّ أمْوالِهِ إِلَيْه بَيْرُحَاء، وَكَانتْ مُسْتَقْبلَةَ المَسْجِدِ وَكَانَ رَسُول الله ﷺ يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيهَا طَيِّب . قَالَ أنَسٌ : فَلَمَّا نَزَلَتْ هذِهِ الآيةُ: ﴿ لَن تَنَالُواْ ٱلۡبِرَّ حَتَّىٰ تُنفِقُواْ مِمَّا تُحِبُّونَۚ ﴾ قام أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ الله ﷺ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ الله، إنَّ الله تَعَالَى أنْزَلَ عَلَيْكَ : ﴿ لَن تَنَالُواْ ٱلۡبِرَّ حَتَّىٰ تُنفِقُواْ مِمَّا تُحِبُّونَۚ ﴾ وَإنَّ أَحَبَّ مَالِي إِلَيَّ بَيْرُحَاءُ، وَإنَّهَا صَدَقَةٌ للهِ تَعَالَى، أرْجُو بِرَّهَا، وَذُخْرَهَا عِنْدَ الله تَعَالَى، فَضَعْهَا يَا رَسُول الله حَيْثُ أرَاكَ الله، فَقَالَ رَسُولُ الله ﷺ: «بَخ ! ذلِكَ مَالٌ رَابحٌ، ذلِكَ مَالٌ رَابحٌ، وقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ، وَإنِّي أرَى أنْ تَجْعَلَهَا في الأقْرَبينَ»، فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ : أفْعَلُ يَا رَسُولَ الله، فَقَسَّمَهَا أَبُو طَلْحَةَ في أقَارِبِهِ، وبَنِي عَمِّهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
১/৩০২। আনাস রাঃআঃ কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, মদীনার আনসারীগণের মধ্যে আবূ তালহা রাঃআঃ সবচেয়ে অধিক খেজুর-বাগানের মালিক ছিলেন। মসজিদে নববীর নিকটবর্তী বায়রুহা নামক বাগানটি তাহাঁর কাছে অধিক প্রিয় ছিল। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাহাঁর বাগানে প্রবেশ করে সুপেয় পানি পান করিতেন। আনাস রাঃআঃ বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল; যার অর্থ, ‘‘তোমরা কখনও পুণ্য লাভ করিতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে ব্যয় করেছ।’’ [আলে ইমরান ৯২আয়াত] তখন আবূ তালহা রাঃআঃ আল্লাহর রাসূল সাঃআঃ-এর নিকট গিয়ে বলিলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহ আপনার উপর [আয়াত] অবতীর্ণ করে বলেছেন, ‘‘তোমরা কখনও পুণ্য লাভ করিতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে ব্যয় করেছ।’’ আর বায়রুহা বাগানটি আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয়। এটি আল্লাহর নামে সদকাহ করা হল। আমি এর কল্যাণ কামনা করি এবং তা আল্লাহর নিকট আমার জন্য জমা হয়ে থাকবে। কাজেই আপনি যাকে দান করা ভাল মনে করেন, তাকে দান করে দিন।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘আরে! এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ। এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ। তুমি যা বলেছ, তা শুনেছি। আমি মনে করি, তুমি তোমার আপন-জনদের মধ্যে তা বণ্টন করে দাও।’’ আবূ তালহা রাঃআঃ বলিলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তাই করব।’ তারপর তিনি তাহাঁর আত্মীয়-স্বজন, আপন চাচার বংশধরদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিলেন। [বুখারী-মুসলিম] [1]
[1] সহীহুল বুখারী ১৪৬১, ২৩১৮, ২৭৫২, ২৭৬৯, ৪৫৫৫, ৪৬১১, মুসলিম ৯৯৮, তিরমিযী ২৯৯৭, নাসায়ী ৩৬০২, আবূ দাউদ ১৬৮৯, আহমাদ ১১৭৩৪, ১২০৩০, ১৩২৭৬, ১৩৩৫৬, ১৩৬২২
Leave a Reply