ইব্রাহীম খলীল [আঃ]- এর মর্যাদা
ইব্রাহীম খলীল [আঃ]- এর মর্যাদা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪১. অধ্যায়ঃ ইব্রাহীম খলীল [আঃ]- এর মর্যাদা
৬০৩২.আনাস ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জনৈক লোক রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে এসে বলিল, হে সৃষ্টির সেরা! তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তিনি [সৃষ্টির সেরা] তো ইব্রাহীম [আঃ]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬৩]
৬০৩৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬৪]
৬০৩৪. আনাস [রাদি.] এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬৫]
৬০৩৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইব্রাহীম [আঃ] খত্না করিয়াছেন কুড়ালজাত অস্ত্র দ্বারা, সে সময় তাহাঁর বয়স হয়েছিল আশি বছর।
[ই.ফা.৫৯২৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৯৬৬]
৬০৩৬.আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমরা ইব্রাহীম [আঃ]-এর চেয়ে সর্বাধিক সন্দেহপরায়ণ। যখন তিনি বলেছিলেনঃ হে আমার প্রতিপালক! আপনি মৃতকে কিভাবে জীবিত করেন, আমাকে দেখান। তিনি বললেনঃ তবে কি তুমি বিশ্বাস করো না? তিনি বললেনঃ কেন করব না, তবে তা শুধু আমার আত্মার প্রশান্তির জন্য। লুত [আঃ]-কে আল্লাহ রহম করুন, তিনি মজবুত-কঠিন স্তম্ভের আশ্রয় প্রার্থনা করিতেন। আমি যদি ইউসুফ[আঃ]-এর মত দীর্ঘ সময় জেলখানায় কারাবদ্ধ হতাম তবে আহ্বানকারীর ডাক শুনামাত্র সাড়া দিতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬৭]
৬০৩৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে ইউনুস তার সানাদে যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিত হাদিসের মর্মে হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ই.ফা.৫৯৩০, ইসলামিক সেন্টার-৫৯৬৮]
৬০৩৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহ লূত [আঃ]-কে মাফ করে দিন, তিনি শক্ত-কঠিন খুঁটির আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন।
[ই.ফা.৫৯৩১, ইসলামিক সেন্টার-৫৯৬৯]
৬০৩৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ নবী ইব্রাহীম [আঃ] কক্ষনো মিথ্যা বলেননি; তিনবার ছাড়া। দুবার আল্লাহ সম্পর্কিত। একবার তো তিনি বলেছিলেন, আমি রোগগ্রস্ত আর তাহাঁর কথা, “বরং এদের বড়টাই এ কাজ করেছে”। অন্যটা সারা সম্বন্ধে। যে সময় তিনি এক যালিম শাসকের দেশে গিয়েছিলেন, সারাও তাহাঁর সাথে ছিলেন। সারা ছিলেন সুন্দরীদের সেরা। সে সময় ইব্রাহীম [আঃ] সারাকে বলিলেন, এ যালিম শাসক যদি অবহিত হন যে, তুমি আমার সহধর্মিনী তবে তোমাকে জোরপূর্বক নিয়ে নেবে। সুতরাং তোমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, তুমি বলবে যে, তুমি আমার বোন। ইসলামের দিক দিয়ে তুমি তো আমার বোনই হও। কারণ তুমি আর আমি ব্যতীত দুনিয়াতে আর কোন মুসলিম রয়েছে বলে আমার জানা নেই। যখন ইব্রাহীম [আঃ] সে যালিম শাসকের দেশে পৌঁছলেন, তখন শাসকের লোকজন তাহাঁর নিকট সারাকে দেখিতে পেয়ে শাসকের নিকট এসে বলিল, আপনার ভূমিতে এমন একজন নারী এসেছে, আপনিই কেবল তার উপযুক্ত। শাসক সারাকে ডেকে পাঠালে ইব্রাহীম [আঃ] সলাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। যখন সারা শাসকের নিকট পৌঁছলেন, সে বেহুঁশের মতো সারার দিকে হাত বাড়াতেই তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে এঁটে গেল। শাসক বলিল, তুমি আল্লাহর নিকট আমার হাত খুলে যাওয়ার দুআ করো। আমি তোমাকে বিরক্ত করব না। তিনি দুআ করিলেন। আবার সে হাত বাড়াল, তখন প্রথম মুষ্টির চেয়ে অধিক শক্ত হয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেল। সারাকে সে আগের মতই বলিল। তিনি দুআ করিলেন। পুনরায় সে হাত বাড়াল। তখন প্রথম দুবারের চেয়ে আরো বেশি শক্তভাবে তার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেল। তখন শাসক বলিল, তুমি আল্লাহর কাছে আমার হাত খুলে দেয়ার জন্য দুআ করো, আল্লাহর শপথ! তোমাকে আমি উত্যক্ত করব না। তিনি দুআ করিলেন। তার হাত খুলে গেল। তখন সে ঐ ব্যক্তিটিকে ডাকলো যে সারাকে এনেছিল। বলিল, তুই তো আমার নিকট শাইতান নিয়ে এসেছিস, মানুষ আনিসনি। একে আমার ভূমি হইতে বের করে দে। সঙ্গে হাজেরাকে দিয়ে দে।
রাবী বলেন, সারা এগিয়ে চললেন। ইব্রাহীম [আঃ] তাকে দেখে এগিয়ে আসলেন এবং তাঁকে প্রশ্ন করিলেন, কি ঘটল? তিনি বলিলেন, ভালই। আল্লাহ তাআলা আমার উপর হইতে এ দুষ্কৃতির হাতকে ফিরিয়ে রেখেছেন। আর একটা সেবিকাও দিয়েছেন। আবু হুরায়রা্ [রাদি.] বলেন, এ সেবিকাই তোমাদের মা, হে আকাশের পানির সন্তানেরা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৭০]
Leave a Reply