ঈসা আঃএর ফযীলত
ঈসা আঃএর ফযীলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪০. অধ্যায়ঃ ঈসা আঃএর ফযীলত
৬০২৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, আমি মারইয়ামের পুত্রের সর্বাধিক কাছাকাছি। নবীগণ একে অপরের ভাইয়ের মতো এবং আমার ও তাহাঁর মাঝে কোন নবী নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৫৬]
৬০২৫.আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি ঈসা [আঃ]-এর সর্বাধিক কাছাকাছি। নবী গণ একে অপরের [বৈমাত্রেয় ভাইয়ের] পিতৃসন্তানের মতো এবং আমার ও ঈসার মধ্যবর্তী সময়ে কোন নবী নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৫৭]
৬০২৬. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, দুনিয়া ও আখিরাতে আমি ঈসা [আঃ]-এর সর্বাধিক নিকটবর্তী। লোকেরা বলিল, এটি কীভাবে হে আল্লাহর রসূল? তখন তিনি বললেনঃ নবীগণ একই পিতার সন্তানের মতো। তাঁদের মাতা ভিন্ন। তাঁদের দ্বীন একটিই। আর তাহাঁর এবং আমার মাঝে কোন নবীও নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৫৮]
৬০২৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এমন কোন নবভূমিষ্ঠ সন্তান নেই যাকে শাইতান স্পর্শ করে না। আর সে নবজাত সন্তান শাইতানের স্পর্শে কান্নাকাটি শুরু করে, কেবল মারইয়াম পুত্র এবং তাহাঁর মা ব্যতীত। তারপর আবু হুরায়রা্[রাদি.] বলেন, তোমাদের ইচ্ছা হলে পড়োঃ
وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
“অবশ্যই আমি অভিশপ্ত শাইতান থেকে তাহাঁর ও তাহাঁর বংশধরদের জন্য তোমার শরণাপন্ন হচ্ছি”–[সুরা আ-লি ইমরান ৩ : ৩৬]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২১, ইসলামিক সেন্টার-৫৯৫৯]
৬০২৮. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে রিওয়ায়াত করিয়াছেন, “জন্মের সময় সে তাকে স্পর্শ করে, তখন শাইতানের স্পর্শে সে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়”। শুআয়বের হাদিসে আছে “শাইতানের স্পর্শ”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬০]
৬০২৯. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, প্রত্যেক বানী আদামকেই শাইতান স্পর্শ করে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করে, কেবল মারইয়াম ও তাহাঁর পুত্র {ঈসা[আ:]} এর ব্যতিক্রম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬১]
৬০৩০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ[সাঃআঃ]বলেছেনঃ ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রাক্কালে বাচ্চার চিৎকার শাইতানের খোঁচার কারণে হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২৩, ইসলামিক সেন্টার- নেই]
৬০৩১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, মারইয়াম পুত্র ঈসা [আঃ] জনৈক লোককে চুরি করিতে দেখলেন। সে সময় তিনি তাকে বলিলেন, তুমি চুরি করেছো। সে বলিল, কক্ষনো না। যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন মাবূদ নেই, তাহাঁর কসম! [আমি চুরি করিনি]। তখন ঈসা [আঃ] বলিলেন, আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম আর আমি নিজেকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করলাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬২]
Leave a Reply