নবী সাঃ এর শরীরের ঘাম, সুরভি ও কোমলতা
নবী সাঃ এর শরীরের ঘাম, সুরভি ও কোমলতা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২১. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর শরীরের সুরভি ও কোমলতা
২২. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর ঘামের সুগন্ধ এবং তা থেকে বারাকাত লাভ
২৩. অধ্যায়ঃ শীতের দিনে নবী [সাঃআঃ] -এর নিকট ওয়াহী এলে তিনি ঘেমে যেতেন
২১. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর শরীরের সুরভি ও কোমলতা
৫৯৪৬. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে যুহরের নামাজ আদায় করলাম। এরপর তিনি তাহাঁর বাড়ীর উদ্দেশে বের হলেন, আমিও তাহাঁর সাথে বের হলাম। সম্মুখে কয়েকটি শিশু আসলো। তিনি একজন একজন করে এদের সবার গালে হাত স্পর্শ করিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমার গালেও হাত বুলালেন। আমি তাহাঁর হাতে এমন ঠাণ্ডা পরশ ও সুগন্ধি পেয়েছি [মনে হলো] যেন তিনি খুশবুওয়ালার পাত্র হইতে হাত বের করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৪, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৯]
৫৯৪৭.আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর [দেহের] চেয়ে অধিক সুগন্ধময় কোন আম্বার, মিশ্ক বা ভিন্ন কোন বস্তুর ঘ্রাণ আমি গ্রহণ করিনি এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর [দেহের] চাইতে কোমল রেশম বা নরম বস্ত্র আমি ছুঁয়ে দেখিনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৫, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮০]
৫৯৪৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ছিলেন শুভ্র উজ্জ্বল বর্ণের। তাহাঁর ঘাম যেন মুক্তার মতো। তিনি চলার সময় সম্মুখ পানে ঝুঁকে চলতেন। আমি নরম কাপড় বা রেশমকেও তাহাঁর হাতের তালুর মতো নরম পাইনি এবং মিশ্ক ও আম্বারের মাঝেও রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর শরীরের চেয়ে অধিক সুগন্ধ পাইনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮১]
২২. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর ঘামের সুগন্ধ এবং তা থেকে বারাকাত লাভ
৫৯৪৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের গৃহে আসলেন এবং আরাম করিলেন। তিনি ঘর্মাক্ত হলেন, আর আমার মা একটি ছোট বোতল নিয়ে মুছে তাতে ভরতে লাগলেন। নবী [সাঃআঃ] জাগ্রত হলেন। তিনি প্রশ্ন করিলেন, হে উম্মু সুলায়ম! একি করছ? আমার মা বলিলেন, এ হচ্ছে আপনার ঘাম, যা আমরা সুগন্ধির সাথে মেশাই, আর এ তো সব সুগন্ধির সেরা সুগন্ধি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮২]
৫৯৫০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] উম্মু সুলায়মের গৃহে যেতেন এবং তার বিছানায় আরাম করিতেন আর উম্মু সুলায়ম তখন গৃহে থাকত না। আনাস [রাদি.] বলেন, একদিন তিনি এলেন এবং তার বিছানায় ঘুমালেন। উম্মু সুলায়মকে বলা হলো, ইনি নবী [সাঃআঃ] তোমার গৃহে, তোমার বিছানায় ঘুমিয়ে গেছেন। আনাস [রাদি.] বলেন, উম্মু সুলায়ম গৃহে প্রবেশ করিলেন, নবী [সাঃআঃ] তখন ঘর্মাক্ত হয়েছেন, আর তাহাঁর ঘাম চামড়ার বিছানার উপর জমে গেছে, উম্মু সুলায়ম তার কৌটা খুললেন এবং সে ঘাম মুছে মুছে ছোট একটি বোতলে ভরতে লাগলেন। নবী [সাঃআঃ] হঠাৎ উঠে গেলেন এবং বলিলেন, হে উম্মু সুলায়ম! তুমি কি করছ? তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাদের শিশুদের জন্য তার বারাকাত নিচ্ছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ ভাল করেছ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮৩]
৫৯৫১. উম্মু সুলায়ম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] তার নিকট আসতেন এবং বিশ্রাম নিতেন, উম্মু সুলায়ম তাহাঁর জন্য একটা চামড়ার বিছানা বিছিয়ে দিলে তিনি তার উপর কায়লূলা৩৫ করিতেন। তিনি প্রচণ্ড ঘামতেন আর উম্মু সুলায়ম তা একত্র করিতেন এবং সুগন্ধির বোতলে তা মিশিয়ে রাখতেন। নবী [সাঃআঃ] বলেন, হে উম্মু সুলায়ম! এ কী করছ? তিনি বলিলেন, আপনার ঘাম, আমি সেটা সুগন্ধির সঙ্গে মিশিয়ে রাখি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮৪]
৩৫ দুপুরে খাবার পর কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম করাকে “কায়লুলা” বলা হয়।
২৩. অধ্যায়ঃ শীতের দিনে নবী [সাঃআঃ] -এর নিকট ওয়াহী এলে তিনি ঘেমে যেতেন
৫৯৫২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, শীতের দিনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হত আর তাহাঁর কপাল বেয়ে ঘাম পড়তো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫০, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮৫]
৫৯৫৩.আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হারিস ইবনি হিশাম [রাদি.] নবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, আপনার নিকট ওয়াহী নাযিল হয় কীভাবে? তিনি বললেনঃ কখনো তা আসে ঘণ্টার ধ্বনির মতো শব্দ করে আর তা আমার জন্য অনেক কষ্টকর হয়। এরপর ওয়াহী থেমে যায়, আর আমি মুখস্থ করে নেই। আবার কখনো [ওয়াহী নিয়ে] পুরুষের ছদ্মবেশে একজন ফেরেশ্তা আসেন এবং তিনি যা বলেন আমি তা মুখস্থ করে নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫১, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮৬]
৫৯৫৪. উবাদাহ্ ইবনি সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-এর উপর যখন ওয়াহী অবতীর্ণ হতো তাহাঁর খুব কষ্ট হত এবং তাহাঁর মুখাবয়ব কেমন যেন শুকিয়ে যেত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫২, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮৭]
৫৯৫৫. উবাদাহ্ ইবনি সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-এর উপর যখন ওয়াহী অবতীর্ণ হতো তখন তিনি শীর নত করে ফেলতেন এবং তাহাঁর সহাবীরাও শীর নত করিতেন। অতঃপর যখন ওয়াহী নাযিল শেষ হয়ে আসত তিনি তাহাঁর মাথা উঠাতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৮৮]
Leave a Reply