নবী সাঃ লজ্জাশীলতা, হাসি, আচরণ ও দয়া
নবী সাঃ লজ্জাশীলতা, হাসি, আচরণ ও দয়া
১৬. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] এর অধিক লজ্জাশীলতা
১৭. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মুচকি হাসি ও উত্তম জীবন যাপন
১৮. অধ্যায়ঃ স্ত্রীলোকদের প্রতি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দয়া এবং তাদের আরোহণ জন্তুর সাথে পরিচালকদের প্রতি আন্তরিকতার নির্দেশ
১৯. অধ্যায়ঃ সৎ লোকদের সাথে নবী [আঃ]-এর আচরণ, তাহাঁর মাধ্যমে তাঁদের পুণ্য লাভকরণ
২০. অধ্যায়ঃ খারাপ কাজ হইতে নবী [সাঃআঃ] -এর দূরে অবস্থান এবং মুবাহ্ কাজের মাঝে সহজটিকে গ্রহণ করা এবং আল্লাহ্র মর্যাদা হানি হয় এমন বিষয়ে প্রতিশোধ নেয়া
১৬. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] এর অধিক লজ্জাশীলতা
৫৯২৬. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পর্দানশীল কুমারী মহিলার চাইতেও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন। আর যখন তিনি কোন জিনিসকে অপছন্দ করিতেন আমরা তাহাঁর মুখাবয়ব হইতে তা বুঝতে পারতাম।
[ই.ফা.৫৮২৫, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬০]
৫৯২৭. মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা আবদুল্লাহ ইবনি আম্র [রাদি.]-এর নিকট গিয়েছিলাম যখন মুআবিয়াহ্ [রাদি.] কূফায় এসেছিলেন। মুআবিয়াহ্ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সম্বন্ধে বর্ণনা দিয়ে বলিলেন, তিনি অশ্লীল ছিলেন না এবং অশ্লীল কথা বলিতেন না।
মুআবিয়াহ্ [রাদি.] আরো বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে উত্তম সে লোক যার চরিত্র উত্তম।
[ই.ফা.৫৮২৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬১]
৫৯২৮. আমাশ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একই সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ই.ফা.৫৮২৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬২]
১৭. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মুচকি হাসি ও উত্তম জীবন যাপন
৫৯২৯. সিমাক ইবনি হার্ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে বসতেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ! অনেকবার। তিনি ফাজ্রের নামাজ যেখানে আদায় করিতেন সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সেখান হইতে উঠতেন না। এরপর যখন সূর্যোদয় হতো তখন তিনি উঠে দাঁড়াতেন। লোকেরা কথাবার্তা বলতো, জাহিলী যুগের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতো এবং হাসতো আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-ও মুচকি হাসতেন।
[ই.ফা.৫৮২৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬৩]
১৮. অধ্যায়ঃ স্ত্রীলোক দের প্রতি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দয়া এবং তাদের আরোহণ জন্তুর সাথে পরিচালকদের প্রতি আন্তরিকতার নির্দেশ
৫৯৩০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন এক সফরে ছিলেন, তখন আনজাশাহ্ নামক একজন হাবশী ক্রীতদাস গীত গাইছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হে আনজাশাহ্! ধীরে চলো এবং উটগুলোকে কাঁচপাত্রবাহী উটের মতো [সতর্কতার সাথে] ধাবিত করো।
[ই.ফা.৫৮২৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬৪]
৫৯৩১. আনাস [রাদি.]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ই.ফা.৫৮৩০, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬৫]
৫৯৩২. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর স্ত্রীদের নিকট আসলেন। আনজাশাহ্ নামধারী একজন উট চালক তাদের উটকে ধাওয়া করছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি বিনাশ হও, ওহে আনজাশাহ্! কাঁচপাত্র নিয়ে আস্তে চলো।
আবু কিলাবাহ্ বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এমন কথা বলেছেন যা তোমাদের কেউ বললে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হতো।
[ই.ফা.৫৮৩১, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬৬]
৫৯৩৩. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলায়ম [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর স্ত্রীদের সাথে ছিলেন এবং একজন উট চালক তাঁদের উট হাঁকাচ্ছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আনজাশাহ্! কাঁচপাত্র নিয়ে আস্তে চলো।
[ই.ফা.৫৮৩২, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬৭]
৫৯৩৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ এর একজন সুমধুর কণ্ঠের গায়ক ছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ ওহে আনজাশাহ্! আস্তে চলো, কাঁচপাত্রগুলো ভেঙ্গে ফেলো না অর্থাৎ- দুর্বল নারীদের [কষ্ট দিও না]।
[ই.ফা.৫৮৩৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬৮]
৫৯৩৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ] থেকে রিওয়ায়াত করিয়াছেন, তবে সুললিত কণ্ঠের গায়ক উক্তিটি বর্ণনা করেননি। [
ই.ফা.৫৮৩৪, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৬৯]
১৯. অধ্যায়ঃ সৎ লোক দের সাথে নবী [আঃ]-এর আচরণ, তাহাঁর মাধ্যমে তাঁদের পুণ্য লাভকরণ
৫৯৩৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন ভোরের নামাজ আদায় করিতেন তখন মাদীনার খাদিমরা তাদের পাত্রে করে পানি নিয়ে আসত আর তাহাঁর নিকট যদি কোন পাত্র আনা হলেই তিনি তাতে হাত ডুবিয়ে দিতেন। আর শীতের ঠাণ্ডা সকালেও মাঝে মাঝে তিনি হাত ডুবিয়ে দিতেন।
[ই.ফা.৫৮৩৫, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭০]
৫৯৩৭. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি দেখেছি নাপিত রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চুল ছাটছে আর সহাবীরা তাহাঁর চতুর্পাশ ঘিরে রেখেছেন। তাঁরা চাইতেন যে, কোন চুল যেন মাটিতে না পড়ে তা যেন কারো না কারো হাতে পড়ে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭১]
৫৯৩৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক মহিলার বিবেকে [জ্ঞানে] কিছু বিকৃতি ছিল। সে বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনার সঙ্গে আমার একটা দরকার আছে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে অমুকের মা! তোমার ইচ্ছামত কোন রাস্তায় তুমি অপেক্ষা কর যাতে করে আমি তোমার প্রয়োজন পুরো করিতে পারি। তারপর তিনি কোন একটা জনপথে তার সাথে জনমানবশূন্য এলাকায় আলাপ করেন এবং মহিলাটি প্রয়োজনমুক্ত হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭২]
২০. অধ্যায়ঃ খারাপ কাজ হইতে নবী [সাঃআঃ] -এর দূরে অবস্থান এবং মুবাহ্ কাজের মাঝে সহজটিকে গ্রহণ করা এবং আল্লাহ্র মর্যাদা হানি হয় এমন বিষয়ে প্রতিশোধ নেয়া
৫৯৩৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দুটো বিষয়ের কোন একটি গ্রহণের স্বাধীনতা দেয়া হত তখন তিনি সহজটি সাদরে গ্রহণ করিতেন, যদি না তা দোষের হত। আর যদি তা দূষণীয় হতো তবে তা হইতে তিনি সবার চেয়ে দূরে থাকতেন। নিজের জন্য কোন দিন প্রতিশোধ গ্রহণ করিতেন না, তবে আল্লাহ্র মর্যাদা হানি হলে [প্রতিশোধ নিতেন]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৩]
৫৯৪০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৪]
৫৯৪১. হারমালাহ্ ইবনি ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোল্লিখিত একাধিক সূত্রের বর্ণনাকারীগণ এ সূত্রে মালিকের হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৪]
৫৯৪২.আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সম্মুখে এমন দুটো বিষয়ের স্বাধীনতা দেয়া হত যার একটি অপরটির তুলনায় সহজ তখন তিনি সহজটিকেই গ্রহণ করিতেন, যদি সেটি দোষের না হত। আর দূষণীয় হলে তিনি তা হইতে সর্বাধিক দূরে থাকতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪০, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৫]
৫৯৪৩. হিশাম [রাদি.]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে বর্ণিত দুটোর মাঝে সহজটি পর্যন্ত উল্লেখ করেন এবং তিনি পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪১, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৬]
৫৯৪৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর স্বহস্তে কোন দিন কাউকে আঘাত করেননি, কোন নারীকেও না, খাদিমকেও না, আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ ব্যতিত। আর যে তাহাঁর অনিষ্ট করেছে তার থেকেও প্রতিশোধও নেননি। তবে আল্লাহুর মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন বিষয়ে তিনি তাহাঁর প্রতিশোধ নিয়েছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪২, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৭]
৫৯৪৫. আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্, আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একই সূত্রে হিশাম হইতে রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে তাঁদের একে অন্য হইতে কিছু বর্ধিত রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৭৮]
Leave a Reply