নবী [সাঃআঃ] -এর বীরত্ব ও যুদ্ধে অগ্রগামী
নবী [সাঃআঃ] -এর বীরত্ব ও যুদ্ধে অগ্রগামী
১০. অধ্যায়ঃ উহুদ যুদ্ধের দিন নবী [সাঃআঃ]-এর পক্ষে জিব্রীল ও মীকাঈল ফেরেশ্তার অংশগ্রহণ
১১. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর বীরত্ব ও যুদ্ধে অগ্রগামী
১০. অধ্যায়ঃ উহুদ যুদ্ধের দিন নবী [সাঃআঃ]-এর পক্ষে জিব্রীল ও মীকাঈল ফেরেশ্তার অংশগ্রহণ
৫৮৯৮. সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উহুদ যুদ্ধে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ডানে এবং বামে দু লোককে দেখিতে পাই তাঁদের গায়ে সাদা পোশাক ছিল। এর আগে বা পরে আমি তাঁদেরকে আর কক্ষনো দেখিনি। আসলে তাঁরা ছিলেন জিব্রীল ও মীকাঈল [আঃ]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩৩]
৫৮৯৯. সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ডানে ও বামে দু লোককে দেখিতে পাই, যাদের গায়ে ছিল সাদা বস্ত্র। তাঁরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পক্ষে কঠিনভাবে যুদ্ধ করছিলেন। এর আগে ও পরে আমি তাঁদের দেখিনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩৪]
১১. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] -এর বীরত্ব ও যুদ্ধে অগ্রগামী
৫৯০০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সব লোকের মাঝে অতি সুন্দর, অতি দানশীল এবং শ্রেষ্ঠ বীর ছিলেন। কোন এক রাত্রে মাদীনাবাসীরা ভীত হয়ে পড়েছিল। অতঃপর যেদিক থেকে শব্দ আসছিল, লোকেরা সেদিকে ছুটে চলল। রাস্তায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে তাদের দেখা হয়, তখন তিনি ফিরে আসছিলেন। কারণ শব্দের দিকে প্রথম তিনিই দৌঁড়ে গিয়েছিলেন। তখন তিনি আবু তাল্হাহ্ [রাদি.]-এর গদিবিহীন ঘোড়ায় চড়ে ছিলেন। তার কাঁধে তলোয়ার ছিল। তিনি বলছিলেন, তোমরা শঙ্কিত হয়ো না, তোমরা শঙ্কিত হয়ো না। তিনি আরো বললেনঃ আমি এ ঘোড়াকে পেয়েছি সমুদ্রের মতো। কিংবা বলিলেন, এ তো সমুদ্র। ইতোপূর্বে এ ঘোড়ার গতি ছিল ক্ষীণ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩৫]
৫৯০১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কোন এক সময় মাদীনায় ভয়ের কারণ সৃষ্টি হয়েছিল। নবী [সাঃআঃ] আবু তাল্হাহ্ [রাদি.]-এর একটি ঘোড়া চেয়ে নিলেন। এটিকে মানদূব বলা হত। তিনি তার উপর সওয়ার হলেন। অতঃপর বলিলেন, আমি ঘাবড়ানোর কোন কারণ দেখিতে পাইনি। আর এ ঘোড়াটিকে সমুদ্রের মতো পেয়েছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩৬]
৫৯০২. শুবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেন। ইবনি জাফারের হাদীসে আমাদের ঘোড়ার কথা বলা হয়েছে, আবু তাল্হাহ্ [রাদি.]-এর কথা বলা হয়নি। কাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আমি আনাস [রাদি.] হইতে শুনেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩৭]
Leave a Reply