আমাদের নবী [সাঃআঃ] -এর জন্য হাওয কাওসার প্রমাণিত হওয়া
আমাদের নবী [সাঃআঃ] -এর জন্য হাওয কাওসার প্রমাণিত হওয়া
৯. অধ্যায়ঃ আমাদের নবী [সাঃআঃ] -এর জন্য হাওয কাওসার প্রমাণিত হওয়া এবং হাওযের বিবরণ
৫৮৬০. জুনদাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-কে আমি বলিতে শুনেছি, আমি হাওয-এর নিকট তোমাদের জন্য অগ্রগামী হব।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৯৭]
৫৮৬১. জুনদাব [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৯৮]
৫৮৬২. সাহ্ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমি হাওয [কাওসার]-এর নিকট তোমাদের জন্য অগ্রগামী হব। যে সেখানে আসবে সে তা পান করিবে এবং যে তা পান করিবে, সে কখনো তৃষ্ণার্ত হইবে না। আর আমার নিকট এমন কতিপয় দল আসবে, যাদের আমি চিনতে পারব এবং তারাও আমাকে চিনতে পারবে। অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হইবে।
বর্ণনাকারী আবু হাযিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি যখন তাঁদের নিকট এ হাদীস পেশ করি, তখন নুমান ইবনি আবু আইয়্যাশ শুনে বলিলেন, তুমি কি সাহ্ল [রাদি.]-কে এমনই বলিতে শুনেছ? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ!
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৯৯]
৫৮৬৩. নুমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আর আমি আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.]–এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি অবশ্যই তাকে বর্ধিত বর্ণনা করিতে শুনেছি যে, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলবেন, এরা তো আমার উম্মাত! তখন বলা হইবে, আপনি তো জানেন না, তারা আপনার পরে কি আমাল করেছে। তখন যারা আমার পরে [দীনে] পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছে; আমি তাদের বলবঃ দূর হও, দূর হও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৭৯৯]
৫৮৬৪. আবু হাযিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর মাধ্যমে সাহল [রাদি.]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে এবং নুমান ইবনি আবু আইয়্যাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর মাধ্যমে আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.]-এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে [পূর্ববর্তী] ইয়াকূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০০]
৫৮৬৫. আবদুল্লাহ ইবনি আম্র ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার হাওয-এর ব্যবধান এক মাসের রাস্তা, তার সকল কোণ এক সমান, তার পানি রূপার চেয়ে শুভ্র, তার ঘ্রাণ মিশ্ক-এর চেয়ে সুগন্ধযুক্ত এবং তার পাত্রের পরিমাণ আসমানের তারকার ন্যায়। যে লোক তা থেকে পান করিবে, সে তার পরে কখনো তৃষ্ণার্ত হইবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০১]
৫৮৬৬. ইবনি আবু মুলাইকাহ হইতে বর্ণীতঃ
আর আসমা বিনতু আবু বকর [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি হাওযের সন্নিকটে থাকব, যাতে দেখিতে পারি যে, তোমাদের মাঝে কারা আমার নিকট আসলো। আর আমার সম্মুখ থেকে কতক ব্যক্তিকে আটকানো হইবে, তখন আমি বলব- ইয়া রাব্ব্! এরা তো আমার লোক এবং আমার উম্মাত। তখন বলা হইবে, আপনি কি জানেন না যে, আপনার পরে এর কি করেছে? আল্লাহর শপথ! এরা আপনার পরে এদের পিছনের দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছে।
বর্ণনাকারী [নাফি] বলেন, তাই বর্ণনাকারী ইবনি আবু মুলাইকাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিতেন, হে আল্লাহ! আমরা আপনার আশ্রয় চাচ্ছি, আমাদের পশ্চাতে ফিরে যাওয়া হইতে এবং আমাদের দ্বীনের বিষয়ে ফিতনায় আপতিত হওয়া থেকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০১]
৫৮৬৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর সাহাবীগণের সামনে বলিতে শুনেছি যে, আমি হাওয-এর নিকট তোমাদের মধ্য হইতে যারা আমার নিকট আসবে তাদের প্রতীক্ষায় থাকব। আল্লাহর শপথ! আমার কাছ থেকে অবশ্যই কিছু ব্যক্তিকে আলাদা করে দেয়া হইবে। তখন আমি বলব, হে রব্ব্! [এরা তো] আমার-ই এবং আমার উম্মাতেরই [লোক]। আল্লাহ বলবেন, আপনি অবশ্যই জানেন না, তারা আপনার পরে কি আমাল করেছে। তারা তো তাদের পশ্চাতের দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০২]
৫৮৬৮. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি হাওযের [কাওসারের] ব্যাপারে লোকদেরকে আলোচনা করিতে শুনতাম। কিন্তু আমি [নিজে] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে এ সম্পর্কে কিছু শুনিনি। পরে যখন একদিন ঐ ব্যাপারে আলোচনা আসলো- এ সময় একটি মেয়ে আমার চুল আঁচড়িয়ে দিচ্ছিল, তখন আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সম্বোধন করিতে শুনলাম, হে লোক সকল …..! তখন স্ত্রীলোকটিকে আমি বললাম, তুমি আমার হইতে দূরে চলে যাও। সে বলিল, তিনি তো পুরুষদের ডাক দিয়েছেন এবং স্ত্রীলোকদের ডাকেননি। আমি বললাম, আমিও, তো লোকদের একজন। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমি তোমাদের জন্য হাওয-এর নিকট অগ্রগামী হব। তাই হুঁশিয়ার! আমার নিকট তোমাদের এমন কেউ যেন না আসে, যাকে আমার নিকট হইতে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়, যেমন হারানো উটকে ভাগিয়ে দেয়া হয়। আর আমি বলিতে থাকব, কেন তাদের তাড়ানো হচ্ছে? তখন বলা হইবে- আপনি তো জানেন না, তারা আপনার পরে কী নতুন বিষয়ের আবিষ্কার করেছে? তখন আমিও বলব, দূর হও!
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০৩]
৫৮৬৯. আবদুল্লাহ ইবনি রাফি হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] বর্ণনা করিতেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলিতে শুনলেন, হে লোক সকল …..। এ সময় উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] চুল আঁচড়াচ্ছিলেন, তখন তিনি কেশ বিন্যাসকারিণীকে বলিলেন, আমার মাথা আঁচড়ানো বন্ধ রাখো। ….. অবশিষ্টাংশ বর্ণনাকারী কাসিম ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর সানাদে বুকায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের অবিকল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০৪]
৫৮৭০. উকবাহ্ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদিন বাইরে এসে উহুদবাসীদের জন্য জানাযার নামাজের মতো নামাজ আদায় করিলেন। তারপর মিম্বারের দিকে ফিরে এসে বলিলেন, আমি তোমাদের জন্য অগ্রগামী এবং তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষী। আল্লাহর শপথ! আমি এ মুহূর্তে আমার হাওয দেখিতে পাচ্ছি। আর আমাকে অবশ্যই দুনিয়ার ধন-ভান্ডারসমূহের চাবিকাঠি কিংবা বলেছেন, দুনিয়ার চাবিসমূহ দেয়া হয়েছে। আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের সম্বন্ধে এ আশঙ্কা করি না যে, তোমরা আমার পরে শির্কে জড়িয়ে পড়বে। তবে, আমি তোমাদের সম্বন্ধে এ সংশয় করি যে, তোমরা দুনিয়ার প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ব।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০৫]
৫৮৭১. উকবাহ্ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [একদিন] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উহুদের শহীদগণের জন্য নামাজ আদায় করিলেন তারপর মিম্বারে চড়ে জীবিতদের ও মৃতদের বিদায় দানকারীর মতো বলেনঃ আমি হাওযের দিকে তোমাদের অগ্রগামী। আর জেনে রাখো! তার প্রস্থ যেমন আয়লা হইতে জুহ্ফার ব্যবধান। আমি তোমাদের সম্বদ্ধে ভয় করি না যে, তোমরা আমার পরে শির্কে লিপ্ত হইবে। তবে, আমি তোমাদের সম্বন্ধে দুনিয়াকে ভয় করি যে, তা অর্জনের প্রতিযোগিতায় তোমরা জড়িয়ে পড়বে এবং হানাহানি করিবে; ফলে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন, তোমাদের পূর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়েছে।
উক্বাহ্ [রাদি.] বলেন, এ ছিল মিম্বারের উপরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আমার সর্বশেষ দেখা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০৬]
৫৮৭২. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি হাওযের নিকট তোমাদের অগ্রগামী। আর আমি অবশ্যই কিছু দলের সম্বন্ধে বাক-বিতণ্ডা করব এবং আমি অবশ্যই তাদের ব্যাপারে পরাজিত হয়ে যাব। তখন আমি বলব, হে রব্ব্! [এরা তো] আমার সহচর, আমার সঙ্গী। তখন বলা হইবে, আপনি তো জানেন না যে, তারা আপনার পরে কি নিত্য-নতুন [বিষয়াদি] আবিষ্কার করেছে?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০৭]
৫৮৭৩. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি আমার সহচর, আমার সঙ্গী – উক্তিটি বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০৮]
৫৮৭৪. আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে ….. পূর্বোল্লিখিত আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন। কিন্তু শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে মুগীরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে রয়েছে ….. আমি আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিতে শুনেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮০৯]
৫৮৭৫. হুযাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ] হইতে মুগীরাহ্ ও আমাশ [রাদি.]-এর বর্ণিত হাদীসের হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১০]
৫৮৭৬. হারিসাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, তাহাঁর হাওয মাদীনাহ্ এবং সানআর মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান।
অতঃপর মুস্তাওরিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাঁকে বলিলেন, আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে পাত্রের ব্যাপারে আলোচনা শুনেছেন কি? হারিসাহ্ [রাদি.] উত্তর দিলেন, না। তখন মুস্তাওরিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিলেন, সেখানে তারকার মতো পাত্রসমূহ লক্ষ্য করা যাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১১]
৫৮৭৭. হারিসাহ্ ইবনি ওয়াহ্ব খুযাঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে শুনেছি এবং তিনি অবিকলরূপে হাওযের বিবরণ দিলেন। কিন্তু তিনি মুস্তাওরিদ ও তাহাঁর উক্তির বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১২]
৫৮৭৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে একটি হাওয থাকিবে যার উভয় দিকের ব্যবধান হইবে জারবা ও আযরুহার মাঝামাঝি জায়গার সমান।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১৩]
৫৮৭৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে এমন একটি হাওয থাকিবে যার প্রশস্ততা জারবা এবং আযরুহার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান। ইবনিল মুসান্নার বর্ণনা মতে, আমার হাওয বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১৪]
৫৮৮০. ইবনি নুমায়র ও আবু বক্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উভয়ে উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোল্লিখিত হাদীসের হুবহু হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ধিত রিওয়ায়াত করেন। উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি তাকে {নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে} [জারবা ও আযরুহা সম্বন্ধে] জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বলিলেন, শাম [সিরিয়িা] দেশের সন্নিকটে দুটি গ্রামের নাম, উভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধান তিন রাতের রাস্তার সমান দূরত্ব। আর ইবনি বিশ্রের বর্ণনাতে তিন দিনের রাস্তা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১৫]
৫৮৮১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে উবায়দুল্লাহ্র বর্ণিত হাদীসের হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
৫৮৮২. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের সম্মুখে একটা হাওয হইবে যার প্রশস্ততা জারবা ও আযরুহার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমান। সেখানে আকাশে তারকার ন্যায় অনেক পাত্র থাকিবে। যে লোক এখানে এসে ঐ হাওযের পানি পান করিবে, পরবর্তীতে সে কক্ষনো তৃষ্ণার্ত হইবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১৭]
৫৮৮৩. আবু যার গিফারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে প্রশ্ন করেছি, হে আল্লাহর রসূল! হাওযের পাত্র কত হইবে? তিনি বলিলেন, যার কব্জায় আমার জীবন তাহাঁর শপথ! সে হাওযের পাত্র মেঘবিহীন আঁধার রাতের আকাশের নক্ষত্র ও তারকারাজির চাইতেও বেশী। সে সব পাত্র জান্নাতেরই পাত্র। যে ঐ পাত্র হইতে পান করিবে শেষ পর্যন্ত আর তৃষ্ণার্ত হইবে না। ঐ হাওযের মধ্যে জান্নাত হইতে প্রবাহিত দুটো নালার সংমিশ্রণ রয়েছে। যে লোক ঐ হাওয হইতে পান করিবে সে আর তৃষ্ণার্ত হইবে না, সে হাওযের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমান হইবে। সে হাওযের প্রশস্থতা আম্মান থেকে আয়লার মাঝামাঝি ব্যবধানের সমতুল্য। তার পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও বেশি মিষ্টি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১৮]
৫৮৮৪. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি আমার হাওযের পাশে থাকবো। ইয়ামানবাসীদের জন্য সর্বসাধারণ লোককে সরিয়ে দেব। আমি আমার লাঠি দিয়ে হাওযের পানির উপর করাঘাত করবো যাতে তাদের উপর তা প্রবাহিত হয়। এরপর নবী [সাঃআঃ]-কে সে হাওযের প্রশস্ততা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বলিলেন, আমার এ স্থান থেকে আম্মানের ব্যবধানের সমান। পুনরায় সে হাওযের পানি সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে তিনি বলিলেন, দুধের চেয়ে অধিক শুভ্র ও মধুর চেয়ে অতি মিষ্ট। জান্নাত থেকে প্রকাহিত দুটো নালা দিয়ে সে হাওযের মাঝে পানি আসতে থাকিবে। তার একটি [নালা] সোনার এবং অপরটি রূপার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮১৯]
৫৮৮৫. যুহায়র ইবনি হারব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
কাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নবী [সাঃআঃ] হইতে সাওবান [রাদি.] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে এতটুকু পার্থক্য যে, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি কিয়ামাতের দিন হাওযের পাশেই থাকবো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২০]
৫৮৮৬. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে হাওযের হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তারপর তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবনি হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিলেন, আমি আবু আওয়ানাহ্ [রাদি.] হইতেও এ হাদীস শুনেছি। ইয়াহ্ইয়া ইবনি হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিলেন, আমি শুবাহ্ [রাদি.] হইতে এ হাদীস শুনেছি। তারপর আমি বললাম যে, আপনি এ হাদীস সম্বন্ধে আমাকে একটু সময় দিন, তিনি আমাকে সময় দিলেন এবং আমাকে হাদীসটি শুনালেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২১]
৫৮৮৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি আমার হাওয থেকে কতক সংখ্যক ব্যক্তিকে সরিয়ে দেব, যেরূপে অচেনা উটকে সরিয়ে দেয়া হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২২]
৫৮৮৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] পূর্বেকার হাদীসের হুবহু হাদীস বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২৩]
৫৮৮৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার হাওযের প্রশস্ততার পরিমাণ হলো আয়লা এবং ইয়ামানের সানআর ব্যবধানের সমান। আর সেখানে পানির পাত্রগুলো আসমানের নক্ষত্রের ন্যায় অগণিত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২৪]
৫৮৯০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নিশ্চয়ই হাওযের পাশে এমন কতিপয় লোক আসবে যারা পৃথিবীতে আমার সাহচর্য পেয়েছিল। এমন কি যখন আমি তাদের দেখিতে পাব এবং তাদেরকে আমার সামনে নিয়ে আসা হইবে, তখন আমার কাছে আসতে তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবে। অতঃপর আমি বলব, হে প্রভু! এরা আমার সঙ্গী, এরা আমার সঙ্গী। তখন আমাকে বলা হইবে, নিশ্চয়ই আপনি জানেন না, আপনার পর এরা কিভাবে দ্বীনের মধ্যে নব উদ্ভাবন করেছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২৫]
৫৮৯১. আনাস [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অর্থানুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। অতিরিক্ত রয়েছে যে, তার পাত্রগুলোর পরিমাণ নক্ষত্রের ন্যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২৬]
৫৮৯২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার হাওযের দু পাশের ব্যবধান এতটুকু যতটুকু মাদীনাহ্ ও সানআর মাঝে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২৭]
৫৮৯৩. আনাস [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] থেকে হুবহু রিওয়ায়াত করেন। শুধু ব্যবধান এতটুকু যে, এ হাদীসে বর্ণনাকারীদ্বয় সংশয় প্রকাশ করিয়াছেন, কিংবা মাদীনাহ্ ও আম্মানের [জর্ডানের রাজধানী] ব্যবধানের সমান। আবু আওয়ানার বর্ণনায় [আরবি] জায়গায় রয়েছে [আরবি]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২৮]
৫৮৯৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হাওযের কাছে আকাশের তারকারাজির মতো অগণিত স্বর্ণ ও রূপার পানপাত্র দেখিতে পাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮২৯]
৫৮৯৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন। এতে অতিরিক্ত রয়েছে যে, কিংবা আকাশের নক্ষত্রের সংখ্যার চেয়েও বেশি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩০]
৫৮৯৬. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.]-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, হাওযের আছে আমি তোমাদের অগ্রগামী হব। তার দুপাশের দূরত্ব সানআ ও আয়লার ব্যবধানের সমান। তার পাত্রগুলো যেন নক্ষত্রের ন্যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩১]
৫৮৯৭. আমির ইবনি সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার গোলাম নাফির মাধ্যমে জাবির ইবনি সামুরার কাছে লিখে পাঠালাম যে, আপনি আমাকে এমন কোন হাদীস সম্বন্ধে অবহিত করুন যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে শুনেছেন। তিনি বলেন, এরপর তিনি আমাকে লিখেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, আমি হাওযের উপর তোমাদের অগ্রগামী থাকবো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩২]
Leave a Reply