প্লেগ , লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ
প্লেগ , লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ
৩২. অধ্যায়ঃ প্লেগ , লক্ষণ ও জ্যোতিষীর গণনা ইত্যাদির বিবরণ
৫৬৬৫
আমির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি তাহাঁর আব্বা সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] -কে এ মর্মে প্রশ্ন করিতে শুনেছেন যে, আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর নিকট প্লেগ সম্বন্ধে কি শুনেছেন? তখন উসামাহ্ [রাদি.] বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্লেগ একটি আযাব যা বানী ইস্রাঈল অথবা [বর্ণনা সংশয়] যারা তোমাদের আগে ছিল তাদের উপরে প্রেরণ করা হয়েছিল। অতএব তোমরা কোন মহল্লায় প্লেগের ব্যাপারে শুনলে সেখানে যেও না। আর কোন এলাকায় প্লেগ চোখে পড়লে এবং তোমরা সেখানে অবস্থানরত থাকলে সেখান হইতে বের হয়ে যাবে না।
বর্ণনাকারী আবু নায্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, শুধু পলায়নের লক্ষ্যে সে জায়গা ছেড়ে যেও না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮০, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০৭]
৫৬৬৬
উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্লেগ শাস্তির প্রতীক। মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ তাআলা তা দ্বারা তাহাঁর বান্দাদের কথিপয় ব্যক্তিকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। তাই কোন অঞ্চলে এর প্রভাবের খবর পেলে তোমরা সেথায় যেও না এবং তোমরা কোন অঞ্চলে অবস্থানকালে সেখানে প্লেগ লক্ষ্য করলে সেখান থেকে পালিয়ে যাবে না।
এ বর্ণনা কানাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর। আর কুতাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বর্ণনাও সে রকম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮১, ইসলামিক সেন্টার-৫৬০৮]
৫৬৬৭
উসামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এ প্লেগ একটি গযব, যা তোমাদের পূর্বেকার লোকদের উপর অথবা বানী-ইস্রাঈলের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং কোন অঞ্চলে তা লক্ষ্য করলে তা থেকে পালানোর জন্য সে অঞ্চল ছেড়ে যেওনা এবং কোন অঞ্চলে প্লেগ লক্ষ্য করলে সেথায় অনুপ্রবেশ ও করো না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬০৯]
৫৬৬৮
আমির ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
জনৈক লোক সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] -কে প্লেগ সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] বলিলেন, আমি সে ব্যাপারে তোমাকে সংবাদ দিচ্ছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তা একটি গযব অথবা একটি মহামারী যা আল্লাহ তাআলা বানী ইস্রাঈলের একটি উপদল কিংবা তোমাদের পূর্বেকার কোন একদল ব্যক্তির উপরে প্রেরণ করেছিলেন। অতএব কোন অঞ্চলে তার কথা তোমরা জানলে সেথায় তোমরা প্রবেশ করো না; তদ্রুপ কোন তোমাদের উপর তা এসে পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১০]
৫৬৬৯
আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু রাবী সুলাইমান ইবনি দাঊদ, কুতাইবাহ্ ইবনি সাঈদ ও আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্ [রাদি.] আম্র ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে ইবনি জারায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সূত্রে তাহাঁর বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১১]
৫৬৭০
উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু তাহির আহ্মাদ ইবনি আম্র ও হারমালাহ্ ইবনি ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …..উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.]-এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি বলেছেন, এ রোগ একটি মহামারী যা দ্বারা তোমাদের পূর্ববর্তী অনেক উম্মতকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। অতঃপর তা জমিনেই রয়ে গেছে, তাই এক সময় তা চলে যায় ও আরেক সময় তা ফিরে আসে। অতএব যে লোক কোন অঞ্চলে এ রোগের কথা শুনতে পারে সে যেন কোনক্রমেই সেখানে না যায়, আর যে লোক কোথাও থাকা অবস্থায় সেথায় তা এসে পড়ে যেখান হইতে যেন সে পালিয়ে না যায়। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১২]
৫৬৭১
যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু কামিল জাহ্দারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …..যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সূত্রে তার বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১৩]
৫৬৭২
হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা মদীনায় ছিলাম। তখন আমার নিকট সংবাদ আসলো যে, কূফায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। তখন আতা ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] প্রমুখ সাহাবাগণ আমাকে বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]: যখন তুমি কোন অঞ্চলে অবস্থান করিবে সেখানে তা প্রকাশ পেলে সেখান থেকে বের হয়ো না। আর যদি তোমার নিকট খবর পৌঁছে যে, তা কোন অঞ্চলে রয়েছে, তাহলে সেখানে গমন করো না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম- এ বর্ণনা কার পক্ষ হইতে? তাঁরা বলিলেন, আমির ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে-তিনি তা বর্ণনা করে থাকেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি তাহাঁর নিকট গেলাম। তারা বলিল, তিনি গৃহে নেই। তখন আমি তাহাঁর ভাই ইব্রাহীম ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলিলেন, উসামাহ্ [রাদি.] যখন সাদকে হাদীস শুনাচ্ছিলেন, তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি, এ রোগ একটি মহামারী অথবা একটি আযাব কিংবা আযাবের অবশিষ্টাংশ-যা দ্বারা তোমাদের পূর্বেকার কতিপয় লোককে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। অতএব কোন অঞ্চলে তোমাদের অবস্থানকালে যদি তা থাকে সে সময় সেখান থেকে তোমরা বের হয়ো না। আর যদি তোমাদের নিকট খবর আসে যে, তা কোন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে, তবে সেখানে গমন করো না।
হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তখন আমি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -কে বললাম, আপনি কি শুনেছেন যখন উসামাহ্ [রাদি.] সাদ [রাদি.] -এর নিকট হাদীস বর্ণনা করেছিলেন, আর তিনি তা অস্বীকার করেননি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১৪]
৫৬৭৩
শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উবাইদুল্লাহ ইবনি মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …..শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে তিনি হাদীসের শুরুতে আতা ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সম্পর্কিত ঘটনা পেশ করেননি। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১৫]
৫৬৭৪
সাদ ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাক্র ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….সাদ ইবনি মালিক [রাদি.] খুযাইমাহ্ ইবনি সাবিত [রাদি.] ও উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ অতঃপর শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর হাদীসের অনুরুপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১৬]
৫৬৭৫
ইব্রাহীম ইবনি সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাসাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] ও সাদ [রাদি.] বসে বসে আলাপ করছিলেন। তাঁরা উভয়ে বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ [পূর্বোল্লেখিত] বর্ণনাকারীদের হাদীসের মতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১৭]
৫৬৭৬
ইব্রাহীম ইবনি সাদ ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ওয়াহ্ব ইবনি বাকিয়্যাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …..ইব্রাহীম ইবনি সাদ ইবনি মালিক [রাদি.] তাহাঁর পিতা [সাদ] -এর সানাদে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে উপরোল্লিখিত বর্ণনাকারীদের হাদীসের হুবাহু বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১৮]
৫৬৭৭
ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া তামীমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া তামীমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] …..আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে রিওয়ায়াত করেন যে, উমর [রাদি.] শামের [সিরিয়ার] দিকে রওয়ানা হলেন। সার্গ নামক স্থান পর্যন্ত পৌছালে আজনাদ অধিবাসীদের [প্রতিনিধি ও অধিনায়ক] আবু উবাইদাহ্ ইবনি জার্রাহ্ ও তাহাঁর সহকর্মী গণ তাহাঁর সাথে দেখা করিলেন। তখন তাঁরা সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরাম্ভ হয়েছে।
ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, তখন উমর [রাদি.] বলিলেন-প্রাথমিক যুগের মুহাজিরদের আমার নিকট ডেকে আন। আমি তাদেরকে ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাঁদেরকে সংবাদ দিলেন যে, শামে মহামারী আরাম্ভ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাঁদের কাছে থেকে পরামর্শ চাইলেন। অতঃপর তাঁরা দ্বন্দে পড়ে গেল। তাঁদের কেউ কেউ বলিল, আপনি একটি বিশেষ কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, তাই আমরা আপনার ফিরে যাওয়া যথাযথ মনে করি না। আর কেউ কেউ বলিলেন, আপনার সঙ্গে অনেক প্রবীণ লোক এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাহাবীগণ রয়েছেন। তাই আমরা তাঁদেরকে এ মহামারীর সম্মুখে ছেড়ে দেয়া যুক্তিসঙ্গত মনে করি না। তিনি বলিলেন, আপনারা উঠুন! তারপর বলিলেন, আনসারীদের আমার নিকট ডেকে আনো। আমি তাঁদেরকে তাহাঁর নিকট ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তাঁদের কাছেও পরামর্শ চাইলেন। তাঁরা মুহাজিরদের পন্থা অনুকরণ করিলেন এবং মুহাজিরগণের মতো তাঁদের মধ্যেও দ্বিমত সৃষ্টি হলো। তিনি বলিলেন, আপনারা উঠুন! তারপর তিনি বলিলেন, [মক্কা] বিজয়ের পূর্বে হিজরতকারী কুরায়শের মুরুব্বীদের যারা এখানে আছেন, তাঁদের আমার নিকট পাঠাও। আমি তাঁদেরকে ডেকে আনলাম। তাঁদের দুজনও কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করিলেন না। তাঁরা [সকলেই] বলিলেন, আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি যে, আপনি লোকদের নিয়ে ফিরে যান এবং তাঁদেরকে এ মহামারীর দিকে ঠেলে দিবেন না। তখন উমর[রাদি.] লোকদের মাঝে ঘোষণা দিলেন, আমি ভোরে সাওয়ারীর উপর থাকবো, তোমরাও ভোরে সাওয়ারীর উপর আরোহণ করিবে। তখন আবু উবাইদাহ্ ইবুন জার্রাহ্ [রাদি.] বলিলেন, আল্লাহ্র তাকদীর হইতে ভেগে যাওয়া ? তখন উমর[রাদি.] বলিলেন, হে আবু উবাইদাহ্! তুমি ছাড়া অন্য কেউ এমন করলে, [রাবী বলেন] উমর [রাদি.] তাহাঁর বিরুদ্ধাচারণ অপছন্দ করিতেন। [তিনি বলিলেন] হ্যাঁ! আমরা আল্লাহ্র তাক্দীর হইতে আল্লাহ্রই তাক্দীরের দিকে পলায়ন করছি। তোমার যদি একপাল উট থাকে আর তুমি একটি উপত্যকায় অবতীর্ণ হও যার দুটি প্রান্তর রয়েছে, যার একটি সবুজ শ্যামল, অপরটি তৃণশূন্য; সে ক্ষেত্রে তুমি যদি সবুজ শ্যামল প্রান্তরে [উট] চরাও, তাহলে আল্লাহ্র তাকদীরেই সেখানে চরাবে আর যদি তৃণশূন্য প্রান্তরে চরাও, তাহলেও আল্লাহ্র তাকদীরেই সেখানে চরাবে। রাবী বলেন, এ সময়ে আবদুল রহমান ইবনি আওফ[রাদি.] এলেন, তিনি [এতক্ষণ] তাহাঁর কোন প্রয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বলিলেন, এ বিষয়ে আমার নিকট [হাদীসের] ইল্ম রয়েছে। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, যখন তোমরা কোন এলাকায় সেটার খবর শুনতে পাও, তখন তার উপরে [দুঃসাহস দেখিয়ে] এগিয়ে যাবে না। আর যখন কোন দেশে তোমাদের সেখানে থাকা অবস্থায় তা দেখা যায়, তখন তা হইতে পলায়ন করে বেরিয়ে পড়ো না।
বর্ণনাকারী বলেন, তখন উমর[রাদি.] আল্লাহ্র প্রশংসা করিলেন। অতঃপর চলে গেলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৬১৯]
৫৬৭৮
মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], মুহাম্মাদ ইবনি রাফি ও আব্দ ইবনি হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উপরোক্ত সূত্রে মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের হুবুহু বর্ণনা করিয়াছেন। মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন {উমর[রাদি.]} আবু উবাইদাহ্কে আরো বলিলেন, বলো তো, সে যদি তৃণশূন্য উপত্যকায় চড়ায় আর সবুজ শ্যামল উপত্যকা পরিত্যাগ করে তাহলে তুমি কি তাকে ব্যর্থ সাব্যস্ত করিবে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ! তিনি বলিলেন, তাহলে এবার চলো। বর্ণনাকারী বলেন, পরবর্তীতে সফর করে তিনি মদীনায় এসে বলিলেন, এটি অবস্থান স্থল অথবা তিনি বলিলেন, ইনশাআল্লাহ, এটি অবতরণ স্থল। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯২, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২০]
৫৬৭৯
ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু তাহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও হারমালাহ্ ইবনি ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সানাদে হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনিল হারিস এটি বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেননি যে, আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯২, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২১]
৫৬৮০
আবদুল্লাহ ইবনি আমির ইবনি রাবীআহ্ হইতে বর্ণীতঃ
উমর [রাদি.] শামের দিকে সফরে বের হলেন, সার্গ পর্যন্ত গমন করলে তাহাঁর নিকটে [খবর] আসল যে, শামে মহামারী লক্ষ্য করা গেছে। তখন আবদুর রহ্মান ইবনি আওফ[রাদি.] তাঁকে সংবাদ দিলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা যখন কোন অঞ্চলে মহামারীর [সংবাদ] শুনবে, তখন তার দিকে অগ্রসর হইবে না। আর যখন কোন অঞ্চলে সেটা দেখা দিবে, আর তোমরা সেখানে রয়েছো, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে বের হয়ে যেও না। অতঃপর উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] সার্গ হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন।
সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [ইবনি উমর] [রাদি.] হইতে ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বর্ণনাতে রয়েছে যে, আবদুর রহ্মান ইবনি আওফ[রাদি.] -এর হাদীসের অনুসরণে উমর[রাদি.] লোকদের নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৬২২]
Leave a Reply