নারী ও পুরুষের জন্য স্বর্ণ- রৌপ্যের বাসন এবং পুরুষের জন্য স্বর্ণের আংটি
নারী ও পুরুষের জন্য স্বর্ণ- রৌপ্যের বাসন এবং পুরুষের জন্য স্বর্ণের আংটি >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ নারী পুরুষ সবার জন্য স্বর্ণ ও রৌপ্যের বাসনে পান করা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহার করা হারাম হওয়া প্রসঙ্গে
২. অধ্যায়ঃ নারী ও পুরুষের জন্য স্বর্ণ- রৌপ্যের বাসন এবং পুরুষের জন্য স্বর্ণের আংটি ও রেশম জাতীয় বস্ত্র ব্যবহার্য হারাম এবং মহিলাদের জন্য এগুলো ব্যবহার করা মুবাহ্; সোনা রূপা ও রেশমের কাপড় অনধিক চার আঙ্গুল পর্যন্ত কারুকার্য খচিত বস্তু পুরুষের জন্য মুবাহ্
১. অধ্যায়ঃ নারী পুরুষ সবার জন্য স্বর্ণ ও রৌপ্যের বাসনে পান করা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহার করা হারাম হওয়া প্রসঙ্গে
৫২৭৯. নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক রৌপ্যের বাসনে পান করে সে যেন তার পেটের ভিতরে জাহান্নামের আগুন প্রবেশ করায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১২, ইসলামিক সেন্টার- ৫২২৪]
৫২৮০. কুতাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনি রুম্হ, আলী ইবনি হুজর সাদী, ইবনি নুমায়র, ইবনিল মুসান্না, আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনি আবু বাকর মুকাদ্দেমী ও শাইবান ইবনি ফার্রুখ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাঁরা সকলেই নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মালিক ইবনি আনাস [রা:] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। তবে উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সানাদে আলী ইবনি মুস্হির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে বাড়তি আছে, যে ব্যক্তি রৌপ্য ও স্বর্ণের পাত্রে খাবে অথবা পান করিবে। ইবনি মুস্হির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীস ব্যতীত অন্য কারো হাদীসে স্বর্ণের পাত্রে আহার করার কথা বর্ণিত নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫২২৫]
৫২৮১. উম্মু সালামাহ্ [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: যে লোক স্বর্ণ বা রৌপ্য দ্বারা নির্মিত বাসনে পান করে সে শুধু তার পেটে জাহান্নামের অগ্নি প্রবেশ করায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫২২৬]
২. অধ্যায়ঃ নারী ও পুরুষের জন্য স্বর্ণ- রৌপ্যের বাসন এবং পুরুষের জন্য স্বর্ণের আংটি ও রেশম জাতীয় বস্ত্র ব্যবহার্য হারাম এবং মহিলাদের জন্য এগুলো ব্যবহার করা মুবাহ্; সোনা রূপা ও রেশমের কাপড় অনধিক চার আঙ্গুল পর্যন্ত কারুকার্য খচিত বস্তু পুরুষের জন্য মুবাহ্
৫২৮২. মুআবিয়াহ্ ইবনি সুওয়াইদ ইবনি মুকার্রিন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বারা ইবনি আযিব [রাদি.] এর নিকটে গমন করেছিলাম। সে সময় আমি তাঁকে বলিতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের সাতটি জিনিসের ব্যাপারে আদেশ করিয়াছেন এবং সাতটি জিনিস হইতে বারণ করিয়াছেন। তিনি আমাদেরকে অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেয়া, জানাযায় শারীক হওয়া, হাঁচি-দাতার উত্তর দেয়া, শপথ পূরণ করা কিংবা বলেছেন শপথকারীর শপথ পূরণ করা, নির্যাতিতের সাহায্য করা, দাওয়াতকারীর ডাকে [দাওয়াতে] সাড়া দেয়া এবং সালামের প্রসার করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি আমাদেরকে সোনার আংটি পরিধান করা, রূপার বাসনে পান করা, মায়াসির [এক প্রকার তুলতুলে রেশমী কাপড়] ও কাস্সী [রেশম সংমিশ্রিত এক প্রকার মিসরী কাপড়] পরিধান করা ও মিহি রেশমী কাপড়, মোটা রেশমী কাপড় ও খাঁটি রেশমী কাপড় ব্যবহার করিতে বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫২২৭]
৫২৮৩. আশ্আস ইবনি সুলায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোক্ত সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন। শুধু শপথ বা শপথকারীর শপথ পূরণ করার কথাটি ব্যতীত। তিনি তাহাঁর হাদীসে এ কথাটি উল্লেখ করেননি। এর স্থানে তিনি হারানো জিনিস পেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫২২৮]
৫২৮৪. আশ্আস ইবনি আবু শাসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উল্লেখিত সানাদে যুহায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে তিনি সন্দেহ ছাড়াই কসম পূর্ণ করার কথা উল্লেখ করিয়াছেন। আর তিনি তাহাঁর হাদীসে বাড়তি বলেছেন যে, তিনি রূপার বাসনে পান করিতে বারণ করিয়াছেন। কারণ পার্থিব জীবনে যারা এতে পান করে পরকালে এতে তারা পান করিতে সক্ষম হইবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫২২৯]
৫২৮৫. আশআসা ইবনি শাসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে রাবী ইবনি ইদ্রীস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] জারীর ইবনি মুস্হির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর অতিরিক্ত অংশ বর্ণনা করেননি।
মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না, ইবনি বাশ্শার, উবায়দুল্লাহ ইবনি মুআয, ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম ও আবদুর রহমান ইবনি বিশ্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আশআস ইবনি সুলায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তাঁদের সূত্রে, তাঁদের হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে রাবী {শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] } সালামের প্রসার করার কথাটি বর্ণনা করেননি। এর বিপরীতে তিনি সালামের জবাব দেয়ার কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, আমাদেরকে সোনার আংটি অথবা রূপার রিং ব্যবহার করিতে তিনি বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩০-৫২৩১]
৫২৮৬. আশআসা ইবনি আবু শাসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত আছে। তিনিও [সুফ্ইয়ান] সালামের প্রসারের কথা এবং সন্দেহ ব্যতীতই স্বর্ণের আংটির কথা বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩২]
৫২৮৭. আবদুল্লাহ ইবনি উকায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা হুযাইফাহ [রাদি.] এর সাথে মাদায়িনে ছিলাম। হুযাইফাহ [রাদি.] পানি পান করিতে ইচ্ছা করলে গ্রাম্য এক পণ্ডিত তাহাঁর কাছে রূপার বাসনে পানি নিয়ে আসল। তিনি তা ফেলে দিয়ে বলিলেন, আমি তোমাদেরকে [এটি ফেলে দেওয়ার কারণ] অবগত করছি। তাকে আমি বারণ করেছিলাম, সে যেন এর মধ্যে আমাকে পানি পান না করায়। কারণ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমরা সোনা ও রূপার বাসনে পান করিবে না এবং মোটা রেশমী কাপড় ও মিহি রেশমী কাপড় ব্যবহার করিবে না। কারণ ইহকালে এগুলো হল কাফিরদের জন্য। আর তোমাদের জন্য এগুলো হইবে পরকালে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২০, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩৩]
৫২৮৮. আবু ফারওয়াহ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উকায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কে বলিতে শুনেছি যে, আমরা হুযাইফাহ [রাদি.] এর সঙ্গে মাদায়িনে ছিলাম। অতঃপর রাবী উল্লেখিত বর্ণনায় হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন। কিন্তু তিনি তাহাঁর হাদীসে কিয়ামাত দিবসে কথাটি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২১, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩৪]
৫২৮৯. ইবনি উকায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা হুযাইফাহ [রাদি.] এর সঙ্গে মাদায়িনে ছিলাম। অতঃপর রাবী উল্লেখিত বর্ণনার হুবহু উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি কিয়ামাত দিবসে কথাটি বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২২, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩৫]
৫২৯০. আবদুর রহমান ইবনি আবু লায়লা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি মাদায়িনে হুযাইফাহ [রাদি.] এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি পানি পান করিতে ইচ্ছা করলে জনৈক লোক রূপার বাসনে পানি নিয়ে আসলো। অতঃপর রাবী হুযাইফাহ [রাদি.] এর সানাদে ইবনি উকায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩৬]
৫২৯১. আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ, ইবনিল মুসান্না, ইবনি বাশশার মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না ও আবদুর রহমান ইবনি বিশর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বাহয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে, তাঁরা সকলে শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীস ও সানাদের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু শুধু মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ব্যতীত তাঁদের মাঝে অপর কেউ তাহাঁর হাদীসে আমি হুযাইফাহর সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম কথাটি বর্ণনা করেননি। তাঁরা শুধু বলেছেন, হুযাইফাহ্ [রাদি.] পানি পান করিতে চাইলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩৭]
৫২৯২. হুযাইফাহ্ [রা:] এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক বর্ণিত রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩৮]
৫২৯৩. আবদুর রহমান ইবনি আবু লায়লা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, হুযাইফাহ্ [রাদি.] পানি পান করার ইচ্ছা করলে এক অগ্নি-পূজারী একটি রূপার বাসনে তাঁকে পানি পান করিতে দিল। সে সময় তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি যে, তোমরা পাতলা রেশমী বস্ত্র ও মোটা রেশমী বস্ত্র ব্যবহার করিবে না, সোনা ও রূপার বাসনে পান করিবে না এবং সোনা রূপার থালায় খাবেও না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো তাদের [কাফিরদের] জন্য। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৩৯]
৫২৯৪. ইবনি উমর [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
[একদা] উমর ইবনি খাত্তাব [রাদি.] মাসজিদের ফটকের পাশে লাল রঙের হুল্লা [রেশম মিশ্রিত চাদর] প্রত্যক্ষ করে বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি যদি এটি ক্রয় করে জুমুআর দিন এবং যখন কোন নেতৃস্থানীয় দল আপনার কাছে আসে তখন ব্যবহার করিতেন [তবে কতই না উত্তম হতো]। সে সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃএটি সে লোকই পরিধান করিবে আখিরাতে যার সামান্য অংশও নেই। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে এ রকম কয়েকটি হুল্লা আসলে তিনি সেগুলো থেকে একটি হুল্লা উমর [রাদি.] কে দিলেন। উমর [রা”] বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি এটি অধমকে পরতে দিলেন? অথচ আপনিই উতারিদ- এর [এক ব্যক্তি] হুল্লা সম্বন্ধে কত কিছু বলেছেন? তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমি এটি তোমাকে ব্যবহার করিতে দেইনি। অতঃপর উমর [রাদি.] সেটি তাহাঁর মাক্কার এক মুশরিক ভাইকে পরিধান করিতে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪০]
৫২৯৫. ইবনি উমর [রা:] এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে মালিক [রাদি.] এর হাদীসের হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪১]
৫২৯৬. ইবনি উমর [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [একবার] উমর [রাদি.] উতারিদ তামীমীকে বাজারে লাল রঙ এর হুল্লা বিক্রি করিতে লক্ষ্য করিলেন। ব্যক্তিটি রাজা বাদশাহ্দের কাছে যেত এবং তাদের নিকট হইতে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতো। উমর [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি উতারিদকে বাজারে লাল রঙ- এর হুল্লা বেচতে দেখলাম। যদি আপনি এটি ক্রয় করিতেন আর আরবের কোন নেতৃস্থানীয় দল আপনার কাছে আগমনকালে পরতেন! আমার ধারণা হয় তিনি আরো বলেছেন, এবং জুমুআর দিবসেও পরতেন, তবে কতই না ভাল হতো! সে সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বললেনঃরেশমী কাপড় সে ব্যক্তিই পৃথিবীতে পরবে, আখিরাতে যার কোনো অংশ নেই। এর একদিন পর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট কিছু লাল রঙ এর হুল্লা আসলে তিনি তার একটি উমর [রাদি.] এর নিকট, একটি উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] এর নিকট প্রেরণ করিলেন। আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.] কেও তিনি একটি হুল্লা দিয়ে বলিলেন, এটি ছিঁড়ে ওড়না তৈরি করে তোমরা মহিলাদের মধ্যে বিতরণ করে দাও। ইবনি উমর [রাদি.] বলেন, অতঃপর উমর [রাদি.] তার হুল্লাটি নিয়ে এসে বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! এটি আপনি আমার নিকট পাঠিয়ে দিলেন অথচ গতকাল উতারিদ- এর হুল্লা সম্বন্ধে আপনি কত কিছু বলেছিলেন? তিনি বলিলেন, ব্যবহার করার জন্য সেটি আমি তোমার নিকট প্রেরণ করিনি বরং আমি সেটি তোমার নিকট পাঠিয়েছি যেন তুমি এটি বিক্রি করে লাভবান হইতে পারো। অপরদিকে উসামাহ্ [রাদি.] বিকাল বেলা তাহাঁর হুল্লাটি পরিধান করে বের হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর দিকে এমনভাবে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন যে, তিনি অনুধাবন করিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার এহেন কর্মকে পছন্দ করেননি। সে সময় তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন? আপনিই তো এটি আমার কাছে প্রেরণ করিয়াছেন। তিনি বলিলেন, আমি তোমার নিকট এজন্য প্রেরণ করিনি যে, তুমি এটি ব্যবহার করিবে এবং এজন্য এটি পাঠিয়েছি যে, তুমি এটি ছিঁড়ে ওড়না তৈরি করে তোমাদের মহিলাদেরকে দিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪২]
৫২৯৭. সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, উমর ইবনি খাত্তাব [রাদি.] একদিন বাজারে মোটা রেশমের প্রস্তুত একটি হুল্লা বিক্রি করিতে দেখে তা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে নিয়ে এসে বলিলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি এটি ক্রয় করুন। তাহলে ঈদের দিন ও প্রতিনিধি দল আসলে এটির মাধ্যমে আপনি সুসজ্জিত হইতে পারবেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃএটি কেবল সে লোকেরই বস্ত্র, যার [পরকালে] কোন অংশ নেই। ইবনি উমর [রাদি.] বলেন, অতঃপর উমর [রাদি.] আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী কিচ্ছুক্ষণ পার করিলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর নিকট একটি খাঁটি রেশমের আলখাল্লা প্রেরণ করিলেন। উমর [রাদি.] তা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট নিয়ে এসে বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! এটি ওই লোকেরই বস্ত্র [আখিরাতে] যার কোন অংশ নেই, পুনরায় আপনি তা আমার নিকট প্রেরণ করিলেন, সে সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বললেনঃ [আমি এজন্যে পাঠিয়েছি] যেন তুমি এটা বিক্রি করে আপন প্রয়োজন সারতে পারো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪৩]
৫২৯৮. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সানাদে অবিকল বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪৪]
৫২৯৯. ইবনি উমর [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
উমর [রাদি.] উতারিদ পরিবারের এক লোকের কাছে একটি রেশমী কাবা [বড় জামা] দেখিতে পেয়ে রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে বলিলেন, আপনি যদি এটা ক্রয় করিতেন। সে সময় তিনি বলিলেন, এটি শুধু সে লোকই পরিধান করিবে [আখিরাতে] যার কোন অংশ নেই। অতঃপর লাল রং এর একটি কুর্তা রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে উপঢৌকন প্রেরণ করা হলে তিনি তা আমার নিকট প্রেরণ করিলেন। তিনি উমর [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, আপনি এটি আমার নিকট পাঠালেন কেন? অথচ এ ধরনের বস্ত্র সম্পর্কে আপনার কথা আমার কর্ণপাত হয়েছে। তিনি বললেনঃআমি কেবল এজন্যে এটি তোমার নিকট পাঠিয়েছি যাতে তুমি এর মাধ্যমে [বিক্রি করে] উপকার হাসিল করিতে পারো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪৫]
৫৩০০. ইবনি উমর [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
উমর [রাদি.] উতারিদ পরিবারের এক লোকের নিকট [একটি কাবা] লক্ষ্য করিলেন। অতঃপর রাবী ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি বর্ণনা করিয়াছেন, আমি এটি তোমার নিকট পাঠিয়েছি যাতে তুমি এর মাধ্যমে উপকার লাভ করিতে পারো। পরিধান করার জন্য এটি তোমার নিকট পাঠাইনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪৬]
৫৩০১. ইয়াহ্ইয়া ইবনি আবু ইসহাক্ [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাকে বলিলেন, ইস্তাব্রাক কি? আমি বললাম, মোটা ও খস্খসে রেশমী বস্ত্র। তিনি বলিলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] কে বলিতে শুনেছি, উমর [রাদি.] জনৈক লোকের নিকট ইস্তাব্রাকের প্রস্তুত হুল্লা লক্ষ্য করে সেটি নবী [সাঃআঃ] এর নিকট নিয়ে এলেন। অতঃপর রাবী ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উপরোল্লিখিত রাবীগণের অবিকল বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃআমি এটি তোমার নিকট শুধু এজন্যে পাঠিয়েছি যে, তুমি এর মাধ্যমে কিছু সম্পদ জোগাড় করিতে পারবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৪, ইসলামিক সেন্টার-৫২৪৭]
৫৩০২. আস্মা বিনতু আবু বাক্র [রা:] এর মুক্ত দাস আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] {তিনি আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর বাচ্চাদের মামাও হইতেন} হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আস্মা [রাদি.] আমাকে আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] এর কাছে এ বলে প্রেরণ করিলেন যে, আমি অবগত হয়েছি তুমি নাকি তিনটি বস্তুকে নিষিদ্ধ মনে করো। কাপড়ে [রেশমের] নক্সা, গাঢ় লাল রং এর মীসারাহ্ [এক জাতীয় রেশমী বস্ত্র] ও রজবের গোটা মাস সাওম পালন করা। সে সময় আবদুল্লাহ [রাদি.] আমায় বলেন, আপনি যে রজব মাসের সাওম হারামের কথা বলিলেন, এটা ঐ লোকের ক্ষেত্রে কিভাবে সম্ভব যিনি সবসময় সাওম পালন করেন? আর আপনি যে বস্ত্রের [রেশমের] ডিজাইনের কথা বলিলেন, এ সম্পর্কে আমি উমর ইবনি খাত্তাব [রাদি.] কে বলিতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, আমি নবী [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, রেশমী কাপড় কেবল সে ব্যক্তিই পরবে [আখিরাতে] যার কোন অংশ নেই। তাই আমার সন্দেহ হল নক্শাও এর অন্তর্ভুক্ত হইতে পারে। আর গাঢ় লাল রং এর মীসারাহ্ সে তো আবদুল্লাহরই মীসারাহ্। লক্ষ্য করলাম, আসলেই সেটি গাঢ় লাল রং এর। অতঃপর আমি আস্মা [রাদি.] এর কাছে ফিরে গেলাম এবং তাকে এ ব্যাপারে সংবাদ দিলাম। তখন তিনি বলিলেন, এটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর জুব্বা। এ বলে তিনি কিসরাওয়ানী [ইরানী সম্রাট কিস্রার প্রতি সম্পর্কীয়] সবুজ রং এর একটি জুব্বা বের করিলেন যার পকেটটি ছিল খাঁটি রেশমের প্রস্তুত এবং এর [হাতার] ছিদ্রদ্বয় ছিল খাঁটি রেশমের টুকরা দিয়ে ঢাকা। তিনি বলিলেন, এটি আয়েশাহর মৃত্যু পর্যন্ত তাহাঁর নিকটেই ছিল। তাহাঁর ওফাতের পর আমি এটি নিয়েছি। নবী [সাঃআঃ] এটি ব্যবহার করিতেন। তাই আমরা অসুস্থদের আরোগ্য লাভের জন্য এটি ধৌত করি এবং তাদেরকে সে পানি পান করিয়ে থাকি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৫, ইসলামিক সেন্টার-৫২৪৮]
৫৩০৩. খলীফা ইবনি কাব আবু যুব্য়্যান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়রকে খুত্বায় এ কথা বলিতে শুনেছি যে, হুশিয়ার! তোমরা তোমাদের মহিলাদের রেশমী বস্ত্র পরাবে না। কেননা আমি উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] কে বলিতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমরা রেশমী কাপড় পরিধান করো না। কারণ পৃথিবীতে যে লোক তা পরিধান করিবে, আখিরাতে সে তা পরিধান করিতে পারবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৪৯]
৫৩০৪. আবু উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা আজারবাইজান এ ছিলাম। এ সময় উমর [রাদি.] আমাদের [দলনেতার] কাছে চিঠি লিখলেন, হে উতবাহ্ ইবনি ফারকাদ! এ ধন-সম্পদ তোমার কষ্টার্জিত নয়, তোমার বাবা-মায়েরও কষ্টার্জিত নয়। তাই তুমি যেরূপে নিজ বাড়িতে পেটপুরে ভক্ষণ করো, তেমনিভাবে মুসলিমদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে তাদেরকেও পেটপুরে ভক্ষণ করাও। আর সাবধান, মুশরিকদের ভোগ-বিলাস বেশভূষণ এবং রেশমী কাপড় পরিধান করা থেকে বিরত থাকিবে। কেননা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রেশমী কাপড় পরতে বারণ করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, তবে এ পরিমাণ বৈধ রয়েছে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় একসাথে আমাদের সম্মুখে তুলে ধরলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫০]
৫৩০৫. আসিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে রেশমী বস্ত্র সম্পর্কে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫১]
৫৩০৬. আবু উসমান [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা উতবাহ্ ইবনি ফারকাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সঙ্গে ছিলাম। তখন আমাদের নিকট উমর [রাদি.] এর চিঠি আসলো। উক্ত চিঠিতে ছিল যে, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: রেশমী বস্ত্র শুধু সে ব্যক্তিই পরবে, আখিরাতে যার কোন অংশ নেই। তবে এ পরিমাণ বৈধ রয়েছে। আবু উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর বৃদ্ধাঙ্গুল সংলগ্ন দুটি আঙ্গুল দিয়ে ইঙ্গিত করিলেন। আমি সে দুটোতে তায়ালিসার বোতাম লক্ষ্য করলাম। এমন কি আমি তায়ালিসাহ্ও [সবুজ রং এর চাদর] দেখলাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫২]
৫৩০৭. আবু উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা উতবাহ্ ইবনি ফারকাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সঙ্গে ছিলাম। রাবী পরের অংশ জারীরের হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪০, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫৩]
৫৩০৮. আবু উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা উতবাহ্ ইবনি ফারকাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সঙ্গে আজারবাইজান কিংবা সিরিয়ায় ছিলাম। তখন আমাদের নিকট উমর [রাদি.] এর কাছ থেকে এ মর্মে একটি চিঠি এলো যে, আম্মা বাদু, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রেশমী বস্ত্র পরিধান করিতে বারণ করিয়াছেন, তবে দুআঙ্গুল পরিমাণ বৈধ হইবে।
আবু উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমাদের বুঝতে দেরী হলো না যে, তিনি [এ দ্বারা] নক্শী ও নক্শার দিকে ইশারা করছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪১, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫৪]
৫৩০৯. কাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে অবিকল বর্ণিত আছে। কিন্তু তিনি আবু উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর কথাটি বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪২, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫৫]
৫৩১০. সুওয়াইদ ইবনি গাফালাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
[একদা] উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] জাবিয়াহ্ নামক জায়গার বক্তব্য প্রদানকালে বলিলেন, আল্লাহ্র নবী [সাঃআঃ] রেশমী কাপড় পরতে বারণ করিয়াছেন। কিন্তু যদি দু আঙ্গুল বা তিন আঙ্গুল বা চার আঙ্গুল পরিমাণ হয় [তাহলে বৈধ হইবে]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫৬]
৫৩১১. কাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হুবহু রিওয়ায়াত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫৭]
৫৩১২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী [সাঃআঃ] খাঁটি রেশমের প্রস্তুতকৃত একটি কাবা গায়ে দিলেন, যা তাঁকে হাদিয়া [উপঢৌকন] দেয়া হয়েছিল। তারপর তিনি সেটি দ্রুত খুলে ফেললেন। অতঃপর সেটি উমর ইবনিল খাত্তাবের কাছে প্রেরণ করিলেন। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি দ্রুত এটি খুলে ফেললেন যে? তিনি বলিলেন জিব্রীল [আঃ] আমাকে এটি পরিধান করিতে বারণ করিয়াছেন। এরপর উমর [রাদি.] ক্রন্দনরত অবস্থায় তাহাঁর নিকটে এসে বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি যে জিনিস পছন্দ করিলেন না তা আমাকে দিলেন, আমার উপায় কি? সে সময় তিনি বলিলেন, আমি তোমাকে এটি পরিধান করিতে দেইনি। আমি শুধু তোমাকে বিক্রয় করিতে দিয়েছি। পরে উমর [রাদি.] সেটি দুহাজার দিরহামে বেচে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫৮]
৫৩১৩. আলী [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে একটি লাল রংয়ের হুল্লা উপঢৌকন দেয়া হলো। অতঃপর তিনি তা আমার নিকট প্রেরণ করিলেন। আমি সেটি পরিধান করলে তাহাঁর মুখমণ্ডলে ক্রোধ দর্শন করলাম। তিনি বলিলেন, আমি এটি পরিধান করার জন্য তোমার নিকট পাঠাইনি। পাঠিয়েছি শুধু এজন্য যে, তুমি এটি কেটে ওড়না হিসেবে [তোমার] স্ত্রীদের মধ্যে ভাগ করে দেবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৫৯]
৫৩১৪. আবু আওন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত রয়েছে। কিন্তু মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসে আছে, তারপর তাহাঁর নির্দেশে আমি তা আমার স্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করে দিলাম। আর মুহাম্মাদ ইবনি জাফার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসে আছে পরে আমি আমার মহিলাদের মধ্যে সেটি বণ্টন করে দিলাম। তিনি রসূল [সাঃআঃ] এর নির্দেশ দেয়ার কথা বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬০]
৫৩১৫. আলী [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
দূমাহ্ নিবাসী উকাইদির নবী [সাঃআঃ] কে একটি রেশম বস্ত্র উপহার দিলে তিনি তা আলী [রাদি.] কে দিয়ে বলিলেন, তুমি এটি কেটে ফাতিমাদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।
আবু বাক্র ও আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বর্ণনায় ফাতিমাদের স্থলে মহিলাদের কথা উল্লেখ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬১]
৫৩১৬. আলী ইবনি আবু তালিব [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে একটি লাল রংয়ের হুল্লা দিলেন। আমি তা পরিধান করে বের হলে তাহাঁর চেহারা ভীষণ রাগান্বিত দেখলাম। তিনি বলেন, পরে আমি তা ছিঁড়ে আমার স্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করে দিলাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬২]
৫৩১৭. আনাস ইবনি মালিক [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] উমর [রাদি.] -এর কাছে একটি রেশমী আলখাল্লা প্রেরণ করলে উমর [রাদি.] বলিলেন, আপনি এটি আমার নিকট প্রেরণ করিলেন, অথচ আপনি এটি সম্পর্কে কত কিছু না বলেছেন? তিনি বললেনঃআমি সেটা এজন্যে পাঠাইনি যে, তুমি তা ব্যবহার করিবে। আমি শুধু এজন্যে প্রেরণ করেছি যে, তুমি এর ক্রয়কৃত অর্থ দিয়ে লাভবান হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬৩]
৫৩১৮. আনাস [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: যে লোক ইহকালে রেশম জাতীয় বস্ত্র পরে, আখিরাতে সে তা পরিধান করিতে পারবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬৪]
৫৩১৯. আবু উমামাহ্ [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: যে লোক পৃথিবীতে রেশম জাতীয় বস্ত্র পরে আখিরাতে সে তা পরিধান করিতে পারবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬৫]
৫৩২০. উকবাহ্ ইবনি আমির [রা:] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে রেশমের তৈরি একটি শেরওয়ানী উপহার দেয়া হলে তিনি তা পরলেন। অতঃপর তাতেই তিনি সালাত আদায় করিলেন। যখন সালাত শেষ করিলেন, তখন সেটি খুব তাড়াতাড়ি খুলে ফেললেন। তিনি যেন ওটা অপছন্দ করিয়াছেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, মুত্তাকীদের জন্যে এটা ব্যবহার করা অনুচিত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬৬]
৫৩২১. ইয়াযীদ ইবনি আবু হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোল্লিখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫২৬৭]
Leave a Reply