পাপের কাজ ছাড়া অন্য সব ব্যাপারে শাসকের আনুগত্য আবশ্যক

পাপের কাজ ছাড়া অন্য সব ব্যাপারে শাসকের আনুগত্য আবশ্যক

পাপের কাজ ছাড়া অন্য সব ব্যাপারে শাসকের আনুগত্য আবশ্যক >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৮. অধ্যায়ঃ পাপের কাজ ছাড়া অন্য সব ব্যাপারে শাসকের আনুগত্য আবশ্যক এবং পাপ কাজের ক্ষেত্রে [আনুগত্য] হারাম

৪৬৪০

ইবনি জুরায়জ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, [মহান আল্লাহর বাণী] “হে মুমিনগণ! আল্লাহ ও রসূল এবং তোমাদের মধ্যকার শাসকের আনুগত্য করিবে”-[সূরা আন্‌ নিসা ৪: ৫৯] আয়াতটি আবদুল্লাহ ইবনি হুযাফাহ্‌ ইবনি কায়স ইবনি আদী সাহমী [রাদি.]-এর শানে নাযিল হয়েছে। যখন নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁকে একটি সামরিক অভিযানে পাঠিয়েছিলেন। ইয়ালা ইবনি মুসলিম, সাঈদ ইবনি জুবায়রের সূত্রে ইবনি আব্বাস [রাদি.] থেকে এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৯৬]

৪৬৪১

আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো, সে আল্লাহর আনুগত্য করলো আর যে আমার অবাধ্যতা করলো সে আল্লাহর অবাধ্যতা করলো। যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো আর যে ব্যক্তি আমীরের অবাধ্যতা করলো সে আমারই অবাধ্যতা করলো। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৯৭]

৪৬৪২

আবু যিনাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত সানাদে এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি “যে ব্যক্তি আমীরের অবাধ্যতা করলো সে আমারই অবাধ্যতা করলো” অংশটুকু উল্লেখ করেননি। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৯৮]

৪৬৪৩

আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যে আমার আনুগত্য করলো, সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই আনুগত্য করলো। আর যে আমার অবাধ্যতা করলো সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই অবাধ্যতা করলো। আর যে ব্যক্তি আমার নিযুক্ত আমীরের আনুগত্য করলো সে আমারই আনুগত্য করলো, আর যে ব্যক্তি আমার নিযুক্ত আমীরের অবাধ্যতা করলো সে আমারই অবাধ্যতা করলো। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৯৯]

৪৬৪৪

আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০০]

৪৬৪৫

আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে উপরোক্ত রাবীগণের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০১]

৪৬৪৬

আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০২]

৪৬৪৭

আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এ হাদীসে আমীরী শব্দের স্থলে “আমীর” শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে হাম্মাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে আবু হুরায়রা্ [রাদি.] হইতেও বর্ণিত আছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০৩]

৪৬৪৮

আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, তুমি অবশ্যই আমীরের কথা শুনবে এবং মানবে তোমার সংকটকালে ও স্বাভাবিক সময়ে, অনুরাগ ও বিরাগে এবং যখন তোমার উপর অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে তখনও। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০৪]

৪৬৪৯

আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার পরম বন্ধু [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে উপদেশ দিয়েছেন, আমি যেন [আমীরের নির্দেশ] শুনি ও মানি যদি আমীর হাত-পা কর্তিত দাসও হয়। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০৫]

৪৬৫০

মুহাম্মাদ ইবনি বাশ্শার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও ইসহাক্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

রিওয়ায়াতে আছে “হাত-পা কাটা হাবশী গোলামও যদি আমীর হয় [তবুও তার আনুগত্য করিবে]।” [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০৬]

৪৬৫১

উবাইদুল্লাহ ইবনি মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

বর্ণিত হাদীসে আছে “হাত-পা কাটা গোলাম”। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০৭]

৪৬৫২

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি হুসায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার দাদী থেকে শুনেছি, তিনি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর বিদায় হাজ্জের ভাষণ দেয়ার সময় তাঁকে বলিতে শুনেছেন “যদি তোমাদের উপর একজন গোলামকেও কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় আর সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুসারে পরিচালনা করে, তবে তোমরা তার কথা শুনবে এবং মেনে চলবে।” [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০৮]

৪৬৫৩

শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

রিওয়ায়াতে হাবশী গোলাম শব্দটি আছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬০৯]

৪৬৫৪

আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ হইতে বর্ণীতঃ

আছে “হাত-পা কাটা হাবশী গোলাম”। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬১০]

৪৬৫৫

আবদুর রহমান ইবনি বিশর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

রিওয়ায়াতে “হাত-পা কাটা হাবশী” শব্দদ্বয়ের উল্লেখ নেই। তাতে বর্ধিত এতটুকু আছে- তিনি [বর্ণনাকারিণী ইয়াহ্ইয়া ইবনি হুসায়নের দাদী] মিনায় অথবা আরাফাতে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে এরূপ বলিতে শুনেছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬০৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬১১]

৪৬৫৬

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি হুসায়ন-এর দাদী উম্মুল হুসায়ন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাবী ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি হুসায়ন বলেন যে, আমি তাঁকে বলিতে শুনেছি- আমি বিদায় হজ্জে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাথে হজ্জ আদায় করি। তিনি [রাবী] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তখন অনেক কথাই বলেছিলেন। এরপর আমি তাঁকে বলিতে শুনলাম, যদি তোমাদের উপর কোন হাত-পা কাটা গোলামকেও আমীর নিযুক্ত করা হয় [ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি হুসায়ন বলেন]- আমার ধারণা হয় তিনি [দাদী আরও] বলেছেন- কালো [অর্থাৎ- কৃষ্ণকায় হাবশী গোলাম] আর সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাব অনুসারে পরিচালিত করে তবে তোমরা তার কথা শুনবে এবং মানবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৬১২]

৪৬৫৭

ইবনি উমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মুসলিম ব্যক্তির অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হচ্ছে শোনা ও মানা তার প্রতিটি প্রিয় ও অপ্রিয় ব্যাপারে যতক্ষণ না তাকে আল্লাহর অবাধ্যতার আদেশ করা হয়। যদি আল্লাহর অবাধ্যতার নির্দেশ তাকে দেওয়া হয় তাহলে তা শুনবেও না এবং মানবেও না। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১১, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৩]

৪৬৫৮

যুহায়র ইবনি হারব, এবং মুহাম্মাদ ইবনি মুসান্না ও ইবনি নুমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উবায়দুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১২, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৪]

৪৬৫৯

আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] একটি সেনাবাহিনী পাঠান এবং এক ব্যক্তিকে তার আমীর নিযুক্ত করে দেন। সে একটি অগ্নিকুণ্ড প্রজ্বলিত করলো এবং তাদেরকে তাতে ঝাঁপ দিতে নির্দেশ দিল। একদল লোক তাতে ঝাঁপ দিতে প্রস্ততি নিলো এবং অপর একদল বলিল, আমরা [ইসলাম গ্রহনের মাধ্যমে তো] আগুন থেকেই পালিয়ে এসেছি। [সুতরাং আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না] যথাসময়ে রসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর দরবারে সে ব্যাপারটি উত্থাপিত হল। তখন তিনি যারা আগুনে ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত হয়েছিল তাদের কে লক্ষ্য করে বলিলেন, যদি তোমরা তাতে প্রবেশ করিতে তবে কিয়ামত পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করিতে। পক্ষান্তরে অপরদলকে লক্ষ্য করে তিনি ভাল কথা বলিলেন। তিনি আরো বলিলেন, আল্লাহর অবাধ্যতা হয় এমন কাজে অনুগত্য নেই। আনুগত্য কেবলই ভাল কাজে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১৩, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৫]

৪৬৬০

আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন একদা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কোন এক অভিযানে একটি বাহিনী প্রেরণ করিলেন এবং জনৈক আনসারীকে তাদের আমীর নিযুক্ত করে দিলেন। তাদেরকে তার কথা শুনতে ও আনুগত্য করিতে আদেশ করিলেন। তারপর কোন বিষয়ে তারা তাকে রাগান্বিত করে তুলল। সে তখন বলিল, আমার জন্য কাঠ কুড়িয়ে এনে একত্রিত করো। তারা তা করলো। এরপর সে বলিল, আগুন প্রজ্বলিত করো। তখন তারা আগুন প্রজ্বলিত করিল। তারপর সে বলিল, রসূলুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কি তোমাদেরকে আমার কথা শুনার এবং আমার কথা আনুগত্য করার নির্দেশ দেননি? তারা বলিল, জী-হ্যা। তখন সে বলিল, তাহলে তোমরা এবার এই আগুনে ঝাঁপ দাও। তখন তারা পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকাতে শুরু করলো। তারপর তারা জবাব দিল-আমরা তো এ আগুন থেকে বাঁচার জন্যই রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] –এর শরণাপন্ন হয়েছি। তারা আগুনে ঝাঁপ দিলেন না। তার ক্রোধ প্রশমিত হল এবং আগুন নিভিয়ে দেওয়া হল। তারপর যখন তারা ফিরে এলো এবং নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট বিষয়টি উত্থাপন করলো তখন তিনি বলিলেন, যদি তারা তখন আগুনে ঝাঁপ দিতো, তাহলে আর বেরোতে পারতো না। আনুগত্য কেবল সৎ কাজে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১৪, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৬]

৪৬৬১

আমাশ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১৫, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৬]

৪৬৬২

উবাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] –এর হাতে বাইআত হলাম এ মর্মে যে, আমরা শুনবো ও মানবো, সংকটের সময় ও স্বাচ্ছন্দ্যের সময়, খুশির অবস্থায় ও অপছন্দের অবস্থায় এবং আমাদের উপর অন্যদেরকে প্রাধান্য দিলেও। আর এ মর্মে যে, আমরা যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্ব বরণ করে নিতে কোনরূপ কোন্দল করবো না। আর এ মর্মে যে, আমরা যেখানেই থাকবো হক কথা বলব। আল্লাহর ব্যাপারে কোন ভর্ৎসনাকারীর ভর্ৎসনাকে ভয় করবো না। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১৬, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৭]

৪৬৬৩

উবাদাহ ইবনি ওয়ালীদ হইতে বর্ণীতঃ

উবাদাহ ইবনি ওয়ালীদের হাদীসের বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১৭, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৮]

৪৬৬৪

উবাদাহ ইবনি সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা রসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর হাতে বাইআত হই। এরপর ইবনি ইদ্রিস –এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১৮, ইসলামিক সেন্টার-৪৬১৯]

৪৬৬৫

যুনাদাহ ইবনি আবু উমাইয়াহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, আমরা উবাদাহ ইবনি সামিত [রাদি.] –এর খিদমাতে গেলাম। তখন তিনি রোগগ্রস্ত। আমরা আরয করলাম, আল্লাহ্‌ আপনাকে আরোগ্য করুন। আমাদেরকে এমন কোন হাদীস বলুন-যা দ্বারা আল্লাহ্‌ আমাদেরকে উপকৃত করবেন, যা আপনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট থেকে শুনেছেন। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাদেরকে ডাকলেন এবং আমরা বাইআত হলাম। তিনি তখন আমাদেরকে যে শপথ গ্রহন করান তার মধ্যে ছিল- আমরা শুনবো ও মেনে চলব, আমাদের খুশি অবস্থায় ও বিরক্ত অবস্থায় ,আমাদের সংকটে ও স্বাচ্ছন্দ্যে এবং আমাদের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিলেও সুযোগ্য ব্যক্তির সাথে আমরা নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল করবো না। তিনি বলেন- যাবৎ না তোমরা তার মধ্যে প্রকাশ্য কুফর দেখিতে পাবে এবং তোমাদের কাছে এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আল্লাহর সুস্পষ্ট প্রমান থাকিবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৬১৯,এ ইসলামিক সেন্টার-৪৬২০]

Comments

Leave a Reply