জনগণ কুরায়শদের অনুগামী এবং খিলাফত কুরায়শদের মধ্যে সীমিত
জনগণ কুরায়শদের অনুগামী এবং খিলাফত কুরায়শদের মধ্যে সীমিত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ জনগণ কুরায়শদের অনুগামী এবং খিলাফত কুরায়শদের মধ্যে সীমিত
২. অধ্যায়ঃ খলীফা মনোনয়ন করা এবং বর্জন করা
৩. অধ্যায়ঃ নেতৃত্ব, প্রার্থনা ও ক্ষমতার লোভ নিষিদ্ধ
৪. অধ্যায়ঃ নিষ্প্রয়োজনে ক্ষমতায় যাওয়া অনভিপ্রেত
৫. অধ্যায়ঃ ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা ও অত্যাচারী শাসকের পরিণাম, শাসিতদের প্রতি কোমল আচরণ ও কঠোরতা বর্জন
১. অধ্যায়ঃ জনগণ কুরায়শদের অনুগামী এবং খিলাফত কুরায়শদের মধ্যে সীমিত
৪৪৯৫
আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ “জনগণ প্রশাসনিক ব্যাপারে কুরায়শদের অনুসারী। মুসলিমরা তাঁদের মুসলিমদের এবং কাফিররা তাঁদের কাফিরদের অনুসারী। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৫৩]
৪৪৯৬
হাম্মাম ইবনি মুনাব্বিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু হুরায়রা্ [রাদি.] যে সকল হাদীস রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেন তন্মধ্যে একটি হল যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ লোকজন এ ব্যাপারে কুরায়শদের অনুসারী। মুসলিমরা মুসলিমদের অনুসারী এবং কাফেররা কাফেরদের অনুসারী। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৫৪]
৪৫৯৭
জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন যে, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ লোকজন ভাল-মন্দ উভয় ব্যাপারেই কুরায়শদের অনুসারী। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৫৫]
৪৫৯৮
আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, এ কৃতিত্ব সর্বদা কুরায়শদের মধ্যেই থাকিবে যতক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়ায় দুটি লোকও বেঁচে থাকিবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৫৬]
৪৫৯৯
সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট গেলাম। তখন আমরা তাঁকে বলিতে শুনলাম, শাসন কর্তৃত্ব ধারাবাহিক চলতে থাকিবে যতক্ষণ না উম্মাতের মধ্যে বারজন খলীফা অতিবাহিত হইবেন। তারপর তিনি অস্ফুট আওয়াজে কিছু বলিলেন, যা আমি শুনতে পেলাম না। তখন আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কী বলিলেন? তিনি বলিলেন যে, তিনি বলেছেন, তাঁদের সকলেই হইবে কুরায়শ বংশ থেকে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৫৭]
৪৬০০
জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি, মুসলিম শাসন থাকিবে যতক্ষণ না তাদের মধ্যে বারজন শাসক শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। জাবির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এরপর নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কিছু কথা বলিলেন, যা আমি শুনতে পাইনি। তাই আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কী বলিলেন? তিনি বলিলেন, তিনি বলেছেনঃ সবাই কুরায়শ বংশ থেকে হইবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৫৮]
৪৬০১
জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি তাতে “লোকদের মধ্যে শাসন ক্ষমতা অব্যাহত গতিতে চলতে থাকিবে” কথাটি উল্লেখ করেননি। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৫৯]
৪৬০২
জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি, বারজন খলীফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম প্রবল শক্তিধর অবস্থায় চলতে থাকিবে। তারপর তিনি যে কী বলিলেন, আমি তা বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কী বলেছেন? তিনি বলিলেন, বলেছেন, তাঁদের সকলেই হইবে কুরায়শ বংশ থেকে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬০]
৪৬০৩
জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, শাসন কর্তৃত্ব অতি শক্তিশালী থাকিবে বারজন খলীফা পর্যন্ত। রাবী বলেন, তারপর তিনি কিছু বলিলেন, যা আমি বুঝতে পারিনি। তাই আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কী বলিলেন? তিনি বলিলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ তাঁদের সকলেই হইবে কুরায়শ বংশের। {৪১} [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬১]
{৪১} কাজী আয়াত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, জটিলতা দাঁড়ায় শাসকদের সংখ্যা বিষয়ে। এর জবাব হলো নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর মৃত্যু পরবর্তী ৩০ বছরে ৫ জন খলীফার {ঈমাম হাসান [রাদি.]-সহ} খিলাফাত ছিল নুবূওয়াতের আদলে। বাকীদের খিলাফাত হইবে খিলাফাতে আম বা সাধারণ খিলাফাত। [মুখতাসার শারহে মুসলিম লিন নাবাবী, ৫ম খণ্ড, ১১২ পৃষ্ঠা]
৪৬০৪
জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট গেলাম। আমার সাথে আমার পিতাও ছিলেন। আমি তখন তাঁকে বলিতে শুনলাম, এ ধর্ম শক্তিমত্তাসম্পন্ন, সংরক্ষিত থাকিবে বারজন খলীফা অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত। তারপর তিনি কোন্ কথা বলিলেন, লোকজনের কথাবার্তার দরুন আমি তা বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতাকে বললাম, তিনি কী বলিলেন? তিনি বলিলেন, বলেছেন, তাঁদের সকলেই হইবে কুরায়শ বংশের লোক। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬২]
৪৬০৫
আমের ইবনি সাআদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.]-এর নিকট আমার গোলাম নাফির মাধ্যমে চিঠি প্রেরণ করলাম যে, আপনি আমাকে এমন কিছু সম্পর্কে অবহিত করুন যা আপনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট শুনেছেন। রাবী বলেন, তিনি আমাকে লিখলেনঃ জুমুআর দিন সন্ধ্যায় যে দিন [মায়েজ] আসলামীকে রজম [ব্যাভিচারজনিত অপরাধের শাস্তি হিসেবে পাথর মেরে হত্যা] করা হয়, সেদিন আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি, এ দ্বীন অব্যাহতভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকিবে যতক্ষণ কিয়ামাত কায়িম হয় অথবা তোমরা বারজন খলীফা কর্তৃক শাসিত হও, এঁদের সকলেই হইবে কুরায়শ থেকে। আমি তাঁকে আরও বলিতে শুনেছি, মুসলিমদের একটি ছোট্ট দল জয় করিবে শ্বেতভবন যা কিসরা কিংবা কিসরা বংশীয় রাজমহল। আমি আরও বলিতে শুনেছি, “কিয়ামাতের প্রাক্কালে অনেক মিথ্যাবাদীর আবির্ভাব হইবে, তোমরা তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকিবে।” আমি তাঁকে আরও বলিতে শুনেছি, “তোমাদের কাউকে যখন আল্লাহ কল্যাণ [সম্পদ] দান করেন তখন সে নিজের এবং তার পরিবারস্থ লোকজন দ্বারা ব্যয় শুরু করিবে।” আমি তাঁকে আরও বলিতে শুনেছি, “হাওযে [কাউসারে] আমি তোমাদের অগ্রগামী হবো।” [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬৩]
৪৬০৬
আমীর ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি ইবনি সামুরাহ্ আদাবীর কাছে চিঠি প্রেরণ করেন যে, আপনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে যা জেনেছেন তা বর্ণনা করুন। তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি… পরবর্তী অংশ হাতিমের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬৮]
২. অধ্যায়ঃ খলীফা মনোনয়ন করা এবং বর্জন করা
৪৬০৭
ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা যখন আহত হলেন তখন আমি তাহাঁর কাছে গিয়ে উপস্থিত হই। লোকজন তাহাঁর প্রশংসা করিল তারপর বলিল, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন! তিনি তখন বলিলেন, আমি আশাবাদী ও শঙ্কিত। তখন লোকেরা বললো, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করে যান। তখন তিনি বলিলেন, আমি কি জীবিত ও মৃত উভয় অবস্থায়ই তোমাদের বোঝা বহন করব? আমার আকাঙ্খা খিলাফাতের ব্যাপারে আমার ভাগ্যে শুধু নিষ্কৃতি লাভ হোক। আমার উপর কোন অভিযোগও অর্পিত না হোক, আর আমি লাভবানও না হই। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি [তবে তার দৃষ্টান্ত] আমার চেয়ে যিনি উত্তম ছিলেন তিনি {অর্থাৎ- আবু বকর [রাদি.]} খলীফা মনোনীত করে গেছেন, আর যদি আমি তোমাদের [খলীফা মনোনীত করা ছাড়াই] ছেড়ে যাই, তবে আমাদের উত্তম যিনি ছিলেন [অর্থাৎ- রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তার [নীতির] উপরেই তোমাদের রেখে গেছেন।
রাবী আবদুল্লাহ [ইবনি উমর] বলেন, তিনি যখন রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর কথা উল্লেখ করিলেন তখনই আমি বুঝেছি যে, তিনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬৫]
৪৬০৮
ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি হাফসাহ্ [রাদি.]-এর ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন তিনি বলিলেন, তুমি কি জান যে, তোমার পিতা কাউকে খলীফা মনোনীত করছেন না? আমি বললাম, তিনি এমনটি করবেন না। তিনি বলিলেন, তিনি তা-ই করবেন। ইবনি উমর [রাদি.] বলিলেন, তখন আমি এ মর্মে শপথ করলাম যে, আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে তাহাঁর সঙ্গে আলাপ করবো। এরপর আমি নীরব থাকলাম। পরের দিন ভোর পর্যন্ত আমি তাহাঁর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করিনি। রাবী বলেন, আমার মনে হলো যে, আমি আমার শপথের পাহাড় বহন করছি। অবশেষে আমি ফিরে এলাম এবং তাহাঁর {উমর [রাদি.]-এর} কাছে প্রবেশ করলাম। তিনি আামার কাছে লোকদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আমি তাঁকে তা জানালাম। তারপর আমি তাঁকে বললাম, আমি লোকজনকে একটি কথা বলাবলি করিতে শুনে আমি তা আপনাকে বলবো বলে শপথ করেছি। লোকেরা বলছে যে, আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করবেন না। অথচ আপনার যদি কোন উটের রাখাল বা ছাগলের রাখাল থাকে আর সে তার পাল পরিত্যাগ করে আপনার কাছে চলে আসে, তা হলে আপনি নিশ্চয়ই মনে করবেন যে, সে পশুপালের সর্বনাশ করেছে। মানুষের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারটি তার চাইতেও গুরুতর। আমার কথা তাহাঁর অন্তরে রেখাপাত করলো এবং তিনি কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে থাকলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে আমাকে লক্ষ্য করে বলিলেন, অবশ্যই মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত আল্লাহ তাহাঁর দ্বীনের হিফাযাত করবেন। আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করি তবে আবু বকর [রাদি.] খলীফা মনোনীত করে গেছেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তিনি যখন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ও আবু বকর [রাদি.]-এর কথা উল্লেখ করিলেন, তখনই আমি বুঝে ফেলি যে, তিনি আর কাউকে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর সমকক্ষ করবেন না এবং তিনি কাউকে খলীফাও মনোনীত করে যাবেন না। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬৬]
৩. অধ্যায়ঃ নেতৃত্ব প্রার্থনা ও ক্ষমতার লোভ নিষিদ্ধ
৪৬০৯
আবদুর রহমান ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে লক্ষ্য করে বলিলেন, হে আবদুর রহমান! তুমি শাসন ক্ষমতা চাইবে না। কারণ যদি চাওয়ার মাধ্যমে তা পাও, তবে তার দয়িত্ব তোমার উপর ন্যস্ত হইবে। আর যদি তুমি চাওয়া ছাড়া তা পেয়ে যাও, তবে এ ব্যাপারে তুমি [আল্লাহর তরফ থেকে] সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে।
{দ্রষ্টব্য হাদীস ৪২৮১} [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬৭]
৪৬১০
আবদুর রহমান ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬৮]
৪৬১১
আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [একদা] আমি এবং আমার দুচাচাত ভাই নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট উপস্থিত হলাম। দুজনের একজন বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! মহান আল্লাহ আপনাকে যে সমস্ত রাজ্যের কর্তৃত্ব প্রদান করিয়াছেন তার কতক অংশে আমাদেরকে প্রশাসক নিযুক্ত করুন। অপরজনও অনুরূপ বলিল। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে নেতৃত্বে বসাই না, যে সেটির জন্য প্রার্থী হয় এবং যে তার জন্য লালায়িত হয়। {দ্রষ্টব্য হাদীস ৪৫২৬} [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৬৯]
৪৬১২
আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন [একদা] আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার সাথে আশআরী বংশের দুজন লোক ছিল। তাদের একজন ছিল আমার ডানে অপরজন আমার বামে। তারা দুজনই [পদে] নিযুক্তি প্রার্থনা করলো। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তখন মেসওয়াক করছিলেন। তখন তিনি [আমাকে লক্ষ্য করে] বলিলেন, হে আবু মূসা অথবা হে আবদুল্লাহ! তুমি কী বল? তিনি বলেন, আমি বললাম, যে পবিত্র সত্তা আপনাকে নবী করে পাঠিয়েছেন, তাহাঁর কসম! তাদের অন্তরে যে কী রয়েছে সে সম্পর্কে তারা আমাকে মোটেও জানায়নি, আর আমি মোটেও টের পাইনি যে, তারা আপনার কাছে [পদে] নিযুক্তি প্রার্থনা করিবে। রাবী বলেন, আমি যেন [স্পষ্টই] তাহাঁর ওষ্ঠ মুবারকের নীচে মিসওয়াক দেখিতে পাচ্ছি। তখন তিনি বলিলেন, আমরা আমাদের কোন কাজে কখনো এমন লোককে নিযুক্তি প্রদান করি না- যে তার জন্য লালায়িত। বরং তুমি যাও। হে আবু মূসা! অথবা তিনি বলিলেন, হে আবদুল্লাহ! অতঃপর তিনি তাঁকে ইয়ামানের গভর্নর করে পাঠালেন। এরপর তিনি মুআয ইবনি জাবালকে তাহাঁর সাহায্যার্থে পাঠালেন। তিনি [মুআয] যখন তাহাঁর [আবু মূসার] নিকট গিয়ে পৌঁছলেন, তখন তিনি বললেনঃ অবতরণ করুন এবং সাথে সাথে তিনি একটি আসন পেতে দিলেন। তখন তাহাঁর নিকট হাত পা বাঁধা অবস্থায় একটি লোক ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন : এ লোকটি কে? উত্তরে তিনি বলিলেন, লোকটি প্রথমে ইয়াহূদী ছিল, তারপর সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরপর সে আবার তার বাতিল ধর্মে ফিরে যায় এবং ইয়াহূদী হয়ে যায়। মুআয [রাদি.] বলিলেন, যতক্ষণ আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর বিধান অনুসারে তাকে হত্যা করা না হইবে, ততক্ষণ আমি বসবো না। এরূপ তারা তিনবার কথোপকথন করিলেন। এরপর তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দিলেন এবং তাকে হত্যা করা হলো। তারপর তারা রাত্রি জাগরণ [তাহাজ্জুদ] সম্পর্কে পরস্পরের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করিলেন। তাঁদের মধ্যে মুআয [রাদি.] বলিলেন- আমার অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি [রাত্রির কিয়দংশে] নিদ্রাও যাই আবার [কিয়দংশে] ইবাদাতে জাগরণও করি এবং আমার নিদ্রায়ও সেরূপ সাওয়াবই প্রত্যাশা করি যেরূপ সাওয়াব প্রত্যাশা করি আমার জাগরণ ও ইবাদাতে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭০]
৪. অধ্যায়ঃ নিষ্প্রয়োজনে ক্ষমতায় যাওয়া অনভিপ্রেত
৪৬১৩
আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আবেদন করলাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি কি আমাকে প্রশাসক পদে প্রদান করবেন? রাবী বলেন, তিনি তখন তাহাঁর হাত দিয়ে আমার কাঁধে আঘাত করে বললেনঃ হে আবু যার! তুমি দুর্বল অথচ এটি হচ্ছে একটি আমানাত। আর কিয়ামাতের দিন এ হইবে লাঞ্ছনা ও অনুশোচনা। তবে যে এর হক সম্পূর্ণ আদায় করিবে তার কথা ভিন্ন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭১]
৪৬১৪
আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে আবু যার! আমি দেখছি তুমি দুর্বল প্রকৃতির লোক আর আমি তোমার জন্য তাই পছন্দ করি, যা আমি নিজের জন্য পছন্দ করি। কোন দুব্যক্তির উপরও কর্তৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করো না এবং ইয়াতীমের সম্পদের দায়িত্বশীল হইতে যেয়ো না। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭২]
৫. অধ্যায়ঃ ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা ও অত্যাচারী শাসকের পরিণাম, শাসিতদের প্রতি কোমল আচরণ ও কঠোরতা বর্জন
৪৬১৫
আবদুল্লাহ ইবনি আম্র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: ন্যায় বিচারকগণ [কিয়ামাতের দিন] আল্লাহর নিকটে নূরের মিম্বারসমূহে মহামহিম দয়াময় প্রভুর ডানপার্শ্বে উপবিষ্ট থাকিবেন। তাহাঁর উভয় হাতই ডান হাত [অর্থাৎ- সমান মহিয়ান]। যারা তাদের শাসনকার্যে তাদের পরিবারের লোকদের ব্যাপারে এবং তাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বসমূহের ব্যাপারে সুবিচার করে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৩]
৪৬১৬
আবদুর রহমান ইবনি শুমাসাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি একদা আয়িশা [রাদি.]-এর নিকট কোন এক ব্যাপারে প্রশ্ন করার জন্য গেলাম। তখন তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কোথাকার লোক? আমি জবাব দিলাম, আমি একজন মিসরবাসী। তখন তিনি আবার জিজ্ঞেস করিলেন তোমাদর সে গৃহযুদ্ধকালীন গভর্নর [মুহাম্মাদ ইবনি আবু বকর] কেমন লোক ছিলেন? রাবী বলেন, আমরা তো তার নিকট থেকে অন্যায়মূলক কিছু পাইনি। যদি আমাদের কোন ব্যক্তির উট মারা যেতো তিনি তাকে উট দিতেন। গোলাম মারা গেলে গোলাম দিতেন, কারো জীবিকার প্রয়োজন হলে তিনি তাকে তা প্রদান করিতেন। তখন তিনি বলিলেন, আমার সহোদর মুহাম্মাদ ইবনি আবু বকরের সাথে যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, তা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে আমার এ ঘরে যা বলিতে শুনেছি তা তোমাকে অবহিত করা থেকে আমাকে বিরত রাখতে পারছি না। [তিনি বলেছিলেন] হে আল্লাহ! যে আমার উম্মাতের কোনরূপ কর্তৃত্বভার লাভ করে এবং তাদের প্রতি রূঢ় আচরণ করে তুমি তার প্রতি রূঢ় হও, আর যে আমার উম্মাতের উপর কোনরূপ কর্তৃত্ব লাভ করে তাদের প্রতি নম্র আচরণ করে তুমি তার প্রতি নম্র ও সদয় হও। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৪]
৪৬১৭
আয়িশাহ্ [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৫]
৪৬১৮
ইবনি উমর [রাদি.]-এর সূ্ত্র হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্ববান এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। আমীর বা নেতা তার অধীনস্থ লোকদের উপর দায়িত্ববান এবং সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। প্রত্যেক ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের উপর দায়িত্বশীল, সে তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। স্ত্রী স্বীয় স্বামীর বাড়ী ও সন্তানের উপর দায়িত্ববান, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। গোলাম তার মুনিবের মাল-সম্পদের উপর দায়িত্ববান, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। ওহে! তোমাদের প্রত্যেকেই [স্ব-স্ব স্থানে] একজন দায়িত্ববান এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৬]
৪৬১৯
আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্, ইবনি নুমায়র, ইবনি মুসান্না ও উবাইদুল্লাহ ইবনি সাঈদ সকলেই উবাইদুল্লাহ ইবনি উমর থেকে অন্য সানাদে আবু রাবী ও আবু কামিল, যুহায়র ইবনি হারব মুহাম্মাদ ইবনি রাফি ও হারূন ইবনি সাঈদ আইলী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সকলেই নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমর [রাদি.] থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৭]
৪৬২০
ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উপরে বর্ণিত হাদীসটি লায়স আন্ নাফি-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৭]
৪৬২১
সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে আমি বলিতে শুনেছি, তারপর নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী বর্ণনা করিতে শুনেছি। যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, আমার মনে হয় নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, পুরুষ তার পিতার সম্পদের উপর দায়িত্ববান এবং সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৮]
৪৬২২
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
এ মর্মে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৭৯]
৪৬২৩
হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনি যিয়াদ মাকিল ইবনি ইয়াসারকে দেখিতে যান যে অসুখে পরবর্তীতে তিনি মারা যান। মাকিল তাঁকে বলেনঃ আমি তোমার কাছে রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট থেকে আমার শ্রুত হাদীস বর্ণনা করবো। যদি আমি জানতাম যে, আমার আরও আয়ু আছে তবে আমি তোমার কাছে তা বর্ণনা করতাম না। আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি, যে বান্দাকে আল্লাহ প্রজা সাধারণের উপর দায়িত্বশীল করেন অথচ সে যখন মারা যায় তখনও সে তার প্রজা সাধারণের প্রতি প্রতারণাকারী থাকে তবে তার জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দেন। {দ্রষ্টব্য হাদীস ৩৬৩} [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৮০]
৪৬২৪
হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ইবনি যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মাকিল ইবনি ইয়াসার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে দেখিতে গেলেন। তিনি তখন গুরুতর রোগাগ্রস্ত। তারপর আবুল আশহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। রাবী অতিরিক্ত এও বলেছেন, আপনি ইতোপূর্বে এ হাদীস আমার নিকট কেন ব্যক্ত করেননি? তিনি বলেন, আমি তোমার কাছে ব্যক্ত করিনি, অথবা বলেছেন আমি তো তোমাদের কাছে ব্যক্ত করিতে চাইনি। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৮১]
৪৬২৫
আবু মালীহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উবাইদুল্লাহ ইবনি যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মাকিল ইবনি ইয়াসার [রাদি.]-এর পীড়িত অবস্থায় তাকে দেখিতে যান। তখন মাকিল [রাদি.] তাঁকে লক্ষ্য করে বলিলেন, আমি এমন একটি হাদীস তোমার কাছে বর্ণনা করবো, যদি আমি মৃত্যুর মুখোমুখি না হতাম তবে তোমার কাছে তা বর্ণনা করতাম না। আমি রসূলু্ল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি, এমন আমীর যার উপর মুসলিমদের শাসন ক্ষমতা অর্পিত হয় অথচ এরপর সে তাদের কল্যাণ সাধনে চেষ্টা না করে বা তাদের মঙ্গল কামনা না করে; আল্লাহ তাঁকে তাদের সাথে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৮২]
৪৬২৬
আবুল আসওয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মাকিল ইবনি ইয়াসার [রাদি.] পীড়িত হলেন। তখন উবাইদুল্লাহ ইবনি যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাঁকে রোগগ্রস্ত অবস্থায় দেখিতে যান। অবশিষ্ট অংশ মাকিল থেকে হাসান বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৮৩]
৪৬২৭
হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর জনৈক সাহাবী আয়েয ইবনি আম্র [রাদি.] একদা উবাইদুল্লাহ ইবনি যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট গেলেন। তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বলিলেন, বৎস! আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি “নিকৃষ্টতম রাখাল হচ্ছে অত্যাচারী শাসক।” তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া থেকে সাবধান থাকিবে। তখন সে বললো, বসে পড়! তুমি হচ্ছো নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর সাহাবীগণের উচ্ছিষ্টের ন্যায়। জবাবে তিনি বলিলেন, তাঁদের মধ্যেও কি উচ্ছিষ্ট রয়েছে? উচ্ছিষ্ট তো তাদের পরবর্তীদের এবং অন্যান্যদের মধ্যে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৫৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৫৮৪]
Leave a Reply