বিশেষভাবে এ উম্মাত এর জন্য গনীমাত হালাল

বিশেষভাবে এ উম্মাত এর জন্য গনীমাত হালাল

বিশেষভাবে এ উম্মাত এর জন্য গনীমাত হালাল >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১১. অধ্যায়ঃ বিশেষভাবে এ উম্মাত এর জন্য গনীমাত হালাল

৪৪৪৭. হাম্মাম ইবনি মুনাব্বিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রা [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে যে সকল হাদীস আমাদেরকে বর্ণনা করিয়াছেন, এর মধ্যে এটিও যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন: নবীগণের মধ্যে কোন এক নবী {ইউশা ইবনি নূন [আঃ] যিনি লাম [বাহরাইন] দেশে মূসা [আঃ]-এর প্রতিনিধি ছিলেন} জিহাদে রওনা দিলেন। তিনি তাহাঁর লোকদের বলিলেন, এমন লোক যেন আমার সাথে অভিযানে না আসে, যে ব্যক্তি সদ্য বিবাহ করেছে এবং বাসর যাপনে ইচ্ছুক; কিন্তু এখনো তা সম্পন্ন হয়নি। সে ব্যক্তি যেন না আসে যে গৃহ নির্মাণ করেছে এবং এখনো তার ছাদ দেয়নি এবং সে ব্যক্তি যেন না আসে যে গর্ভবতী ছাগল বা উটনী ক্রয় করেছে এবং সেগুলোর বাচ্চা প্রসবের অপক্ষায় আছে। রাবী বলেন, তারপর তিনি জিহাদে গমন করেন এবং আসরের সালাতের সময় যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিকটবর্তী এক গ্রামে পৌঁছেন। তখন তিনি সূর্যকে লক্ষ্য করে বলিলেন, তুমিও আদিষ্ট এবং আমিও আদিষ্ট।

اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَىَّ شَيْئًا

ইয়া আল্লাহ! তুমি একে আমার জন্য কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখো [সূর্যাস্তের পূর্বেই বিজয় পাওয়ার জন্য]। সূর্যকে থামিয়ে দেয়া হলো। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিজয় প্রদান করিলেন। রাবী বলেন, তারা গনীমাতের মাল একত্রিত করিল। তখন তা খাওয়ার জন্য আগুন এগিয়ে এলো। কিন্তু অগ্নি তা খেতে অস্বীকার করিল। {৩৫} তখন সে নবী [আঃ] বলিলেন, তোমাদের মধ্যে আত্মসাৎকারী রয়েছে। কাজেই তোমাদের প্রত্যেক গোত্র থেকে একজন করে আমার কাছে বাইআত করিবে। সুতরাং তারা তাহাঁর কাছে বাইআত করিল। এতে এক ব্যক্তির হাত নবীর হাতের সাথে লেগে গেল। তখন তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্যে আত্মসাৎকারী রয়েছে। কাজেই তোমাদের গোত্রের লোকেরা আমার কাছে বাইআত করুক। অতঃপর তার ঐ গোত্রের লোকেরা বাইআত করিল। রাবী বলেন, তখন নবী [আঃ]-এর হাত দু বা তিন ব্যক্তির হাতের সাথে লেগে গেল। তখন তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্যে আত্মসাৎকারী রয়েছে। তোমরা আত্মসাৎ করেছ। রাবী বলেন, তারপর তারা নবীর কাছে একটি গাভীর মাথার পরিমাণ স্বর্ণখন্ড বের করে দিলো। আর তারা সেটিও ঐ সম্পদের সাথে রাখল। তারপর আগুন এগিয়ে এসে তা খেয়ে ফেলল। আমাদের পূর্বে কারো জন্য গনীমাতের মাল হালাল ছিল না। আল্লাহ তাআলা আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখে আমাদের জন্য গনীমাতের মাল হালাল করে দিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৪০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৪০৫]

{৩৫} পূর্বযুগে যুদ্ধলব্ধ মাল যোদ্ধাগণের জন্য হালাল ছিল না। আকাশ থেকে আগুন এসে পুড়িয়ে যাওয়ার নিয়ম চালু ছিল। শর্ত তাতে আত্মসাৎ না থাকলে। অন্যথায় আগুন এসে তা গ্রহণ করিতেন।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply