হত্যা , সম্মান এবং মালের হক বিনষ্ট করা হারাম
হত্যা , সম্মান এবং মালের হক বিনষ্ট করা হারাম >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৯. অধ্যায়ঃ হত্যা , সম্মান এবং মালের হক বিনষ্ট করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারী
৪২৭৫
আবু বাকরাহ [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেনঃ কাল আবর্তিত হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে এসেছে, যে অবস্থায় আল্লাহ তাআলা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এক বছর হয় বার মাসে, তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। [অর্থাৎ- তাতে যুদ্ধ বিগ্রহ করা হারাম] এর তিন মাস হল ধারাবাহিক- ১. যুল কাদা, ২. যুলহাজ্জাহ্ এবং ৩. মুহাররাম। আর রজবও নিষিদ্ধ মাস, যা জামাদিউস্ সানী এবং শাবানের মাঝে অবস্থিত। এর পর তিনি বললেনঃ এটি কোন্ মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ] এ ব্যাপারে অধিক জানেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। আমরা ভাবলাম যে, তিনি হয়ত এ মাসের নতুন কোন নাম বলবেন। এরপর তিনি বললেনঃ এ-কি “যুলহাজ্জাহ্” মাস নয়? আমরা বললাম, জী-হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ কোন্ শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ] অধিক জানেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অপর কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এ-কি [মাক্কা] শহর নয়। আমরা বললাম, জী-হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ কোন্ দিন? আমরা বললাম আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ] অধিক জ্ঞাত। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম বলবেন। তিনি বললেনঃ এ-কি ইয়াওমুন্নাহার [ঈদুল আযহার দিন] নয়? আমরা বললাম, জী-হ্যাঁ, হে আল্লাহ্র রসূল! তিনি বললেনঃ তোমাদের জান ও মাল এবং রাবী মুহাম্মাদ বলেন, আমি ধারণা করি এর সাথে তিনি তোমাদের মান সম্ভ্রম এ কথা যুক্ত করে বললেনঃ এগুলো তেমন মর্যাদাপূর্ণ যেমন তোমাদের কাছে আজকার দিবস, এ নগর এবং এ মাসও পবিত্র। তোমরা খুব শীঘ্রই তোমাদের প্রভুর সাথে মিলিত হইবে। তখন তোমাদেরকে তোমোদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে। অতএব তোমরা আমার পরে পথভ্রষ্ট হয়ে একে অন্যের সাথে ঝগড়া-ফাসাদে লিপ্ত হয়ো না। সাবধান! তোমাদের উপস্থিতগণ অবশ্যই অনুপস্থিতদের কাছে আমার এ বাণী পৌছে দিবে। সম্ভবতঃ উপস্থিত ব্যক্তি যাদের কাছে আমার বাণী পৌছে দিবে, তাঁরা কেউ কেউ হয়ত এখানকার শ্রোতাদের চেয়ে অধিকতর সংরক্ষণকারী হইবে। এরপর তিনি বললেনঃ ওহে! শুনো, আমি কি আল্লাহর নির্দেশ পৌছে দেইনি?
ইবনি হাবীব তাহাঁর বর্ণনায় ………………….. [রজব নিষিদ্ধ মাস] বর্ণনা করিয়াছেন। আবু বকর [রাদি.]-এর অপর বর্ণনায় …………… [তোমরা আমার পরে ধর্মান্তরিত হয়ো না] বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪২৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪২৩৬]
৪২৭৬
আবু বাক্রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন ঐদিন [ইয়াওমুন্নাহার] উপস্থিত হল তখন নবী [সাঃআঃ] নিজের উটের উপর উঠলেন। এক ব্যক্তি তাহাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা জান কি, আজ কোন দিন? তাঁরা বলিলেন, আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ] অধিক জ্ঞাত। আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এ নাম ব্যতীত অপর কোন নাম বলবেন। এরপর তিনি বললেনঃ আজকের দিন কি ইয়াওমুন্নাহারের নয়? আমরা বললাম, জী-হ্যা, হে আল্লাহর রসূল। তিনি বললেনঃ এটা কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ]-ই সবচেয়ে ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এটা কি যিলহাজ্জ মাস নয়? আমরা বললাম, জী-হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেনঃ এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ]-ই অধিক জ্ঞাত। বর্ণনাকারী বলেন, এতে মনে করলাম যে, তিনি হয়ত এর অন্য কোন নাম বলবেন। এরপর তিনি বলিলেন, এ-কি [মাক্কাহ্] শহর নয়। আমরা বললাম, জী-হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয় তোমাদের জান-মাল এবং সম্মান [বিনষ্ট করা] তোমাদের উপর এরূপ হারাম, যেরূপ তোমাদের জন্য আজকের দিন, এ মাস এবং এ নগরের পবিত্রতা বিনষ্ট করা হারাম। তোমাদের উপস্থিতগণ অনুপস্থিতদের কাছে আমার এ বাণী অবশ্যই পৌঁছে দিবে। এরপর তিনি কাল ও সাদা রং-মিশ্রিত দুটি ছাগলের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন এবং ঐ দুটি যাবাহ করিলেন এবং যাবাহকৃত ছাগলের এক অংশ আমাদের মাঝে বন্টন করে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪২৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪২৩৭]
৪২৭৭
আবু বাকরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন সেদিন [ইয়াওমুন্নাহারের দিন] উপস্থিত হল তখন নবী [সাঃআঃ] একটি উটের উপর উপবেশন করিলেন। রাবী বলেন, এক ব্যক্তি তার লাগাম ধরে রেখেছিল। রাবীর সন্দেহ …….…… শব্দের পরিবর্তে ………..…. [লাগাম] শব্দ বর্ণনা করিয়াছেন। এরপর তিনি ইয়াযীদ ইবনি যুরাই [রাদি.]-এর হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪২৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪২৩৮]
৪২৭৮
আবু বাক্রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ইয়াওমুন্নাহার- অর্থাৎ- ঈদুল আযহার দিন আমাদের সামনে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ভাষণে বললেনঃ আজ কোন্দিন? এরপরবর্ণনাকারীগণ, ইবনি আওনেরহাদীসেরঅনুরূপবর্ণনাকরিলেন। কিন্তুতারা …..…………. [তোমাদের মান-সম্মান] এ শব্দটি উল্লেখ করেননি এবং ……………. [অতঃপর তিনি দুটি ছাগলের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন] এবং এর পরবর্তী অংশটুকুও উল্লেখ করেননি। আর তিনি তাহাঁর বর্ণিত হাদীসে তোমাদের এ দিন, এ মাস এবং এ শহরের পবিত্রতার ন্যায় থেকে নিয়ে- ……………………………… [যেদিন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করিবে। শুনো! আমি কি তোমাদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছি? তখন সকলেই বললো, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন] এ পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪২৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪২৩৯]
Leave a Reply