গুদামজাত,শুফ্আহ্‌ ও ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে

গুদামজাত,শুফ্আহ্‌ ও ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে

সালাম [অগ্রিম] ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২৫. অধ্যায়ঃ সালাম [অগ্রিম] ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে
২৬. অধ্যায়ঃ খাদ্য-দ্রব্য গুদামজাত করা হারাম হাওয়া
২৭. অধ্যায়ঃ বেচাকেনায় কসম খাওয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা
২৮. অধ্যায়ঃ শুফ্আহ্ [শরীক ব্যক্তি ক্রয়ের বেশী হকদার]

২৫. অধ্যায়ঃ সালাম [অগ্রিম] ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে

৪০১০. আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] যখন মাদীনায় আগমন করেন তখন মাদীনাবাসীরা এক বা দু বছর মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের ফল অগ্রিম ক্রয় করত। অতঃপর তিনি বলেন, যে কেউ খেজুর অগ্রিম ক্রয় করিবে, সে যেন নির্ধারিত পরিমাপে এবং নির্ধারিত ওজনে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত সময়ের জন্য ক্রয় করে।

[ই .ফা. ৩৯৭৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭২]

৪০১১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আগমন করেন আর সে সময়ে মাদীনার লোকজন খেজুর অগ্রিম ক্রয় করত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাদেরকে বললেনঃ যে অগ্রিম ক্রয় করিতে চায়, সে যেন নির্ধারিত পরিমাপ ও নির্ধারিত ওজনে ক্রয় করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৭৪, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭৩]

৪০১২. ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া, আবু বাক্র ইবনি শাইবাহ্ ও ইসমাঈল ইবনি সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সকলেই ইবনি উয়াইনাহ্ সূত্রে ইবনি আবু নাজীহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত সানাদে আবদুল ওয়ারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বর্ণিত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণনা করেন। তবে ইবনি উয়াইনাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নির্দিষ্ট সময়ের কথা উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৭৫, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭৪]

৪০১৩. সুফ্‌ইয়ানের সূত্রে ইবনি আবু নাজীহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আপন সানাদে ইবনি উয়াইনাহ্র হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন এবং সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এতে নির্ধারিত সময়ের কথে উল্লেখ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৭৬, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭৫]

২৬. অধ্যায়ঃ খাদ্য-দ্রব্য গুদামজাত করা হারাম হাওয়া

৪০১৪. মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ গুদামজাতকারী ব্যক্তি পাপাচারী। অতঃপর সাঈদকে বলা হলো, আপনি তো গুদামজাত করেন। সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিলেন যে, মামার এ হাদীস বর্ণনা করছেন- তিনিও গুদামজাত করে থাকেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৭৭, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭৬]

৪০১৫. মামার ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাপাচারী লোক ব্যতীত কেউ গুদামজাত করে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৭৮, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭৭]

৪০১৬. আদী ইবনি কাব গোত্রের জনৈক মামার ইবনি আবু মামার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ অতঃপর ইয়াহ্ইয়া থেকে সুলাইমান ইবনি বিলাল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৭৯, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭৮]

২৭. অধ্যায়ঃ বেচাকেনায় কসম খাওয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা

৪০১৭.

আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি যে, কসমে পণ্য-দ্রব্যের কাটতি হয়, তবে তা লাভ ধ্বংসকারী।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৮০, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৭৯]

৪০১৮. আবু কাতাদাহ্‌ আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছেন যে, তোমরা বিরত থাকো ব্যবসায়ের মধ্যে অধিক কসম খাওয়া থেকে। কেননা সেটা পণ্য বিক্রয়ে সহায়তা করে কিন্তু বারাকাত বিনষ্ট করে দেয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৮১, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৮০]

২৮. অধ্যায়ঃ শুফআহ [শরীক ব্যক্তি ক্রয়ের বেশী হকদার]

৪০১৯. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জমি অথবা বাগানে যদি কারও কোন শরীক থাকে, তবে ঐ শরীকের অনুমতি না নিয়ে সে তা বিক্রি করিতে পারবে না। সে চাইলে গ্রহণ করিবে আর না চাইলে ছেড়ে দিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৮২, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৮১]

৪০২০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেসব শরিকী বিষয়ে শুফ্‌আর পক্ষে হুকুম দিয়েছেন যা বিভক্ত করা যায় না- জমি হোক বা বাগান। আপন শরিককে না জানিয়ে তা বিক্রি করা বৈধ নয়। সে ইচ্ছে করলে রাখবে আর ইচ্ছে করলে ছেড়ে দিবে। যদি সে বিক্রি করে এবং শরীককে অবগত না করে তাহলে সে শরীকই তা পাওয়ার অধিকতর হকদার।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৮৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৮২]

৪০২১. আবু তাহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রতিটি শরীকি বিষয়ে শুফ্আর অধিকার আছে- জমি হোক বা বাড়ী অথবা প্রাচীর। বিক্রি করা তার পক্ষে বৈধ হইবে না, শরীকের নিকট পেশ করা ব্যতীত। অতঃপর হয়ত সে গ্রহণ করিবে অথবা পরিত্যাগ করিবে। যদি সে না বলে তবে তার শরীকই সেটার বেশী অধিকারী যতদিন তাকে খবর দেয়া না হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৯৮৪, ইসলামিক সেন্টার-৩৯৮৩]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply