শিঙ্গা লাগিয়ে মজুরী নেয়া হালাল
শিঙ্গা লাগিয়ে মজুরী নেয়া হালাল >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১১. অধ্যায়ঃ শিঙ্গা লাগিয়ে মজুরী নেয়া হালাল
৩৯৩০. হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-এর নিকট শিঙ্গা দিয়ে উপার্জন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শিঙ্গা [নিজ শরীরে] লাগিয়েছেন। আবু তাইবাহ্ তাকে শিঙ্গা দিয়েছে। তিনি তাকে দুসা খাদ্য বস্তু দেয়ার নির্দেশ দেন এবং তার মুনিবের সাথে আলোচনা করেন। এতে তারা তার উপর ধার্যকৃত কর কমিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেনঃ তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও শিঙ্গা তার মধ্যে একটি উত্তম ব্যবস্থা অথবা [বলেছেন] এটা তোমাদের ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৯৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৯২]
৩৯৩১. হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আনাস [রাদি.]-এর নিকট শিঙ্গা দিয়ে মজুরী গ্রহন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। অতঃপর তিনি এরূপ বর্ণনা করেন। তাছাড়া তিনি বলেন, তোমরা যেসব পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাও শিঙ্গা লাগানো এবং কুসতুল বাহরী [চন্দন কাঠ] ব্যবহার তার মধ্যে অতি উত্তম ব্যবস্থা। অতএব তোমরা তোমাদের শিশুদের কণ্ঠনালী চেপে বসিয়ে দিয়ে কষ্ট দিও না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৯৪, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৯৩]
৩৯৩২. হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছি যে, নবী [সাঃআঃ] আমাদের শিঙ্গা লাগিয়ে থাকে এমন বালককে ডেকে পাঠান। সে তাহাঁর শরীরে শিঙ্গা লাগায়। অতঃপর তিনি তাকে এক সা অথবা এক মুদ বা দুমুদ পরিমাণ পরিশোধ করিতে আদেশ করেন এবং তার সম্পর্কে আলোচনা করেন। এতে তার উপর থেকে কর হ্রাস করে দেওয়া হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৯৫, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৯৪]
৩৯৩৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং শিঙ্গা প্রয়োগকারীকে তার মজুরী দিয়েছেন এবং তিনি নাকে ঔষধ ঢেলে ব্যবহার করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৯৬, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৯৫]
৩৯৩৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন,বানূ বায়াযাহ্-এর একটি গোলাম নবী [সাঃআঃ] -কে শিঙ্গা লাগায়। নবী [সাঃআঃ] তাকে মজুরী প্রদান করেন এবং তার মালিকের সাথে আলোচনা করেন। এতে সে তার উপর থেকে ধার্যকৃত দৈনিক মজুরীর হার কমিয়ে দেয়। যদি হারাম হতো তা হলে নবী [সাঃআঃ] তাকে দিতেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৯৭, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৯৬]
Leave a Reply