মুলামাসাহ হাবালুল ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ
মুলামাসাহ হাবালুল ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ মুলামাসাহ্ {৭} ও মুনাবাযাহ্ {৮} শ্রেণীর ক্রয়-বিক্রয় বাতিল
২. অধ্যায়: পাথরের টুকরা নিক্ষেপের দ্বারা ক্রয়-বিক্রয় ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ
৩. অধ্যায়: হাবালুল হাবালাহ্ ক্রয়-বিক্রয় হারাম
১. অধ্যায়ঃ মুলামাসাহ {৭} ও মুনাবাযাহ্ {৮} শ্রেণীর ক্রয়-বিক্রয় বাতিল
{৭} ঈমাম নাবাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ মুলামাসাহ হলো এমনতর বেচাকেনা যে, বিক্রেতা ক্রেতাকে বলবে তুমি এটা স্পর্শ করলেই তা তোমার হাতে কেনা সাব্যস্ত হয়ে যাবে। অথবা তুমি স্পর্শ করলে তোমরা কেনাকাটার ইচ্ছা স্বাধীনতা থাকিবে না ইত্যাদি।
{৮} মুনাবাযাহ্ হলো ক্রেতা কোন দ্রব্য সামগ্রীর উপর কাপড় বা কংকর নিক্ষেপ করলেই তা ক্রয় বলে সাব্যস্ত হয়ে যাবে। তাতে ক্রেতার আর ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা থাকিবেনা। [সহীহ মুসলিম-শারহে নাবাবী, ২য় খন্ড, ২ পৃঃ]
৩৬৯৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুলামাসাহ ও মুনাবাযাহ্ শ্রেণীর ক্রয়-বিক্রয় বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৫৯]
৩৬৯৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরায়রা [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬০]
৩৬৯৫. আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্, মুহাম্মাদ ইবনি আবদিল্লাহ ইবনি নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬১]
৩৬৯৬. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরায়রা্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬২]
৩৬৯৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুলামাসাহ্ ও মুনাবাযাহ্ এ দুপ্রকার কেনা-বেচা নিষেধ করিয়াছেন। মুলামাসাহ্ অর্থ চিন্তা-ভাবনা না করেই ক্রেতা ও বিক্রেতা পরস্পরের কাপড় স্পর্শ করা। আর মুনাবাযাহ্ অর্থ [ক্রেতা ও বিক্রেতা] উভয়ে একে অন্যের প্রতি কাপড় ছুঁড়ে দেয়া এবং একজন আরেকজনের কাপড়ের দিকে খেয়াল না করা।
[ই.ফা ৩৬৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৩]
৩৬৯৮. আবু সাঈদ খুদ্রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের দুপ্রকার কেনা-বেচা করিতে ও দুপ্রকার বস্ত্র পরিধান করিতে বারণ করিয়াছেন। ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে তিনি মুলামাসাহ্ ও মুনাবাযাহ্ বারণ করিয়াছেন। মুলামাসাহ্ হল [ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে] রাতে হোক কিংবা দিনে হোক একজন অপরজনের কাপড় হাতে স্পর্শ করিবে। এরূপ করা ছাড়া [মাল] উল্টিয়ে-পাল্টিয়ে দেখা হয় না। আর মুনাবাযাহ হল, পরস্পরের প্রতি কাপড় ছুঁড়ে মারবে এবং এরূপ করলেই উত্তমরূপে দেখে শুনে সম্মতি ছাড়াই উভয়ের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে যেত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৪]
৩৬৯৯. আমর আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে একই সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
আমর আন্ নাকিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে একই সূত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৫]
২. অধ্যায়: পাথরের টুকরা নিক্ষেপের দ্বারা ক্রয়-বিক্রয় ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয় -বিক্রয় নিষিদ্ধ
৩৭০০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন: পাথরের টুকরা নিক্ষেপের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় ও ধোঁকাপূর্ণ ক্রয়-বিক্রয় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৬]
৩. অধ্যায়: হাবালুল হাবালাহ ক্রয়-বিক্রয় হারাম
৩৭০১. ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া, মুহাম্মাদ ইবনি রুমহ ও কুতাইবাহ্ ইবনি সা`ঈদ [রহ:] আব্দুল্লাহ [রাদি.] সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি “হাবালুর হাবালা” শর্তে কেনা-বেচা নিষেধ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৭]
৩৭০২. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন: জাহিলী যুগের লোকেরা হাবালুর হাবালাহ শর্তে উটের গোশত কেনা-বেচা করত। “হাবালুল হাবালাহ” হল উটনীর বাচ্চা হইবে, তারপর ঐ বাচ্চা গর্ভধারন করলে মূল্য পরিশোধ করা হইবে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করিয়াছেন।
[ই.ফা.৩৬৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৮]
Leave a Reply