তালবিয়াহএর বর্ণনা এবং এর সময়
তালবিয়াহএর বর্ণনা এবং এর সময় >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩. অধ্যায়ঃ তালবিয়াহ্-এর বর্ণনা এবং এর সময়
৪. অধ্যায়ঃ মাদীনাবাসীদেরকে যুল হুলায়ফার মাসজিদের নিকট ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেয়া হয়েছে
৫. অধ্যায়ঃ বাহনে আরোহণ করার স্থান থেকে তালবিয়াহ্ পাঠ প্রসঙ্গে
৬. অধ্যায়ঃ মসজিদে যুল হুলায়ফাতে সালাত আদায় প্রসঙ্গে
৩. অধ্যায়ঃ তালবিয়াহএর বর্ণনা এবং এর সময়
২৭০১. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলূল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর তালবিয়াহ্ নিম্নরূপ ছিল :
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট হাযির হয়েছি, তোমার কাছে হাযির হয়েছি, তোমার দরবারে উপস্থিত আছি। তোমার কোন শারীক নেই, আমি তোমার সমীপে উপস্থিত হয়েছি। যাবতীয় প্রশংসা ও নিআমাত তোমারই এবং সমগ্র রাজত্ব ও সার্বভৌম কর্তৃত্ব তোমার। তোমার কোন শারীক নেই। ”
নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] নিজের তরফ থেকে তালবিয়ার সাথে আরও যোগ করিতেন : “তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি, তোমার কাছে হাযির হয়েছি, তোমার খিদমাতের সৌভাগ্য লাভ করেছি। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে, তোমার কাছে হাযির হয়েছি, সমস্ত আকর্ষণ তোমার প্রতি এবং সকল কাজ তোমারই জন্য।” {১৩}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭৭]
{১৩} হাদীসে [আরবি] শব্দের দ্বারা পরিষ্কার জানা গেল এখানে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের হাত উদ্দেশ্য এবং দ্বিবচন নিয়ে আসার দ্বারা বুঝা গেল, এর দ্বারা কুদরত উদ্দেশ্য নেয়া ভূল এবং বাতিল। আর যার দুটি কারণে যে, এখানে দ্বিবচন নিয়ে আসা হয়েছে। আকিদ বুঝানোর জন্য বাস্তবিক দুহাত বুঝানোর জন্য নয় তাদের দাবি সকল আরবী আভিধানিক এবং সাহিত্যিকদের ব্যতিক্রম, কেননা তাকীদ করার জন্য হয়তো একই শব্দকে পুনরায় নিয়ে আসা হয় বা হরফসমূহ তাকীদ বৃদ্ধি করে, কিন্তু তাকীদ বুঝানোর জন্য একবচনের ক্ষেত্রে দ্বিবচন ব্যবহার করা হয়না। যা হোক মহান আল্লাহর হাত-পা পায়ের নলা ইত্যাদি সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনে কিরাম, সহাবায়ে ঈমাম ও তাবিঈ এবং সালফে সালিহীনদের অভিমত এই যে, এসব বিষয়ের উপর ঈমান আনয়ন করা এবং বাহ্যিক অর্থে ব্যবহার করা জরুরী। আর এ সকল বিষয়কে কোন বিষয়ের সাথে সাদৃশ্য দেয়া বা অন্য কোন তাবীল বা অপব্যাখ্যা থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
২৭০২. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যুল হুলায়ফাহ্ মাসজিদের নিকট যখন রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর উষ্ট্রী তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াত, তখন তিনি তালবিয়াহ্ পাঠ শুরু করিতেন। তিনি বলিতেন,
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
“লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা………..লা-শারীকা লাকা।”
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] বলিতেন, এ হচ্ছে রসুলূল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর তালবিয়াহ্।
নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর সাথে আরও যোগ করিতেন : “লাব্বায়কা লাব্বায়কা ………ওয়াল আমালু”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭৮]
২৭০৩. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর মুখে তালবিয়াহ্ শিখেছি…… অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮০, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৭৯]
২৭০৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে মাথার চুল জমাট করা অবস্থায় তালবিয়াহ্ পাঠ করিতে শুনেছি। তিনি বলছিলেন,
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
“লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা ……..লা-শারীকা লাকা”। তিনি এর সাথে আর কোন কথা যোগ করিতেন না।
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] বলিতেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুল হুলায়ফাহ্ দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। অতঃপর তার উষ্ট্রী যখন তাঁকে নিয়ে যুল হুলায়ফার মাসজিদের সামনে দণ্ডায়মান হতো তখন তিনি ঐসব শব্দ সহকারে তালবিয়াহ্ পাঠ শুরু করিতেন।
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] আরও বলিতেন, উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] ও রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এই তালবিয়াহ্ পাঠ করিতেন এবং বলিতেন,
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ
“লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা. ………ওয়ার রগ্বাউ ইলায়কা ওয়াল আমালু।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮১, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮০]
২৭০৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মুশরিকরা বলত, “লাব্বায়কা লা- শারীকা লাকা”। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিতেন, তোমাদের ক্ষতি হোক, ক্ষান্ত হও, ক্ষান্ত হও [সামনে আর বলো না]। তারা এর সাথে আরও বলত, “কিন্তু হে আল্লাহ! তোমার আরও একজন শারীক আছে-তুমিই যার মালিক এবং সে কিছুরই মালিক নয়।” তারা এ কথা বলত আর বায়তুল্লাহ্ ত্বওয়াফ করত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮২, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮১]
৪. অধ্যায়ঃ মাদীনাবাসীদেরকে যুল হুলায়ফার মাসজিদ এর নিকট ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেয়া হয়েছে
২৭০৬. সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতা সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
তিনি তার পিতাকে বলিতে শুনেছেন, তোমাদের এ বায়দা নামক স্থান সম্পর্কে তোমরা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর দিকে সম্পৃক্ত করে ভূল বর্ণনা করে থাক। রসুলূল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কেবলমাত্র যুল হুলায়ফার মাসজিদের নিকটেই ইহরাম বাঁধতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮২]
২৭০৭. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ইবনি উমর [রাদি.]-কে যখন বলা হল, বায়দা নামক স্থানে ইহরাম বাঁধতে হইবে- তখন তিনি বলিলেন, এ বায়দাকে কেন্দ্র করেই তোমরা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর দিকে সম্পৃক্ত করে ভুল বর্ণনা করে থাক। অথচ রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সে গাছের নিকট ইহরাম বেঁধে লাব্বায়কা ধ্বনি উচ্চারণ করিতেন- যেখান থেকে তাহাঁর উট তাঁকে নিয়ে রওনা হতো। {১৪}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮৩]
{১৪} বায়দা মাক্কার রাস্তায় অবস্থিত যুল-হুলায়ফায় মাসজিদের নিকটবর্তী একটি টিলাকে বলা হয়। যেখানে বন-জঙ্গলের হালকা চিহ্ন আছে, আর প্রত্যেক বালুময় স্থানকেই বায়দা বলা হয়। তবে বিশেষভাবে এ স্থানকে বায়দা বলা হয়। যা হোক রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যে মাসজিদে দুরাকআত নামাজ আদায় করেছিলেন সেখান থেকেই তালবিয়াহ্ পাঠ শুরু করেন।
৫. অধ্যায়ঃ বাহনে আরোহণ করার স্থান থেকে তালবিয়াহ পাঠ প্রসঙ্গে
২৭০৮. উবায়দ ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-কে বলিলেন, হে আবু আবদুর রহমান! আমি আপনাকে এমন চারটি কাজ করিতে দেখেছি-যা আপনার সঙ্গী-সাথীদের কাউকে করিতে দেখিনি। তিনি বলিলেন, হে ইবনি জুরায়জ! সেগুলো কী কী? তিনি বলিলেন, আমি দেখেছি আপনি রুকনে হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ব্যতীত আর কোন রুকন স্পর্শ করেন না। আমি আরও লক্ষ্য করেছি যে, আপনি পশমবিহীন চামড়ার স্যান্ডেল পরিধান করেন। আমি আরো দেখেছি যে, আপনি হলুদ বর্ণ ব্যবহার করেন। আমি আরও লক্ষ্য করেছি যে, আপনি মাক্কাতে অবস্থান কালে [যিলহজ্জ মাসের] আট তারিখে ইহরাম বাঁধেন। অথচ লোকেরা নতুন চাঁদ দেখার সাথে সাথে ইহরাম বাঁধে।
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] বলিলেন, রুকনসমূহের ব্যাপারে কথা হচ্ছে এই যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে রুকনে হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ছাড়া অন্য কোন রুকন স্পর্শ করিতে দেখিনি। {১৫} আর পশমবিহীন স্যান্ডেলের ব্যাপার হচ্ছে এই যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে পশমবিহীন চামড়ার স্যান্ডেল পরিধান করিতে দেখেছি। তিনি তা পায়ে দিয়ে ওযুও করিতেন। আমিও তাই এ ধরনের স্যান্ডেল পছন্দ করি। হলুদ রং-এর সম্পর্কে কথা হচ্ছে এই যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে এ রং ব্যবহার করিতে দেখেছি। অতএব আমিও এ রং পছন্দ করি। ইহরাম সম্পর্কে বলিতে হয় যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে তখনি তালবিয়াহ পাঠ করিতে শুনেছি যখন তাহাঁর উট যাত্রা শুরু করেছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮৪]
{১৫} কাবাহ্ শরীফের যে দুটি থাম [বা কোণ] ইয়ামানের [দক্ষিণ] দিকে স্থাপিত, তাকে আর-রুকনু-ইয়ামানিয়্যান বলে। এর একটি কোণে হাজারুল-আসওয়াদ স্থাপিত। আর হাতিম-এর দিকের দুটি থাম [বা কোণ]-কে আর্-রুকনুশ্-শামিয়ান বলে। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এ শেষোক্ত রুকন দুটি স্পর্শ করিতেন না। কারণ তা ইব্রাহীম ও ইসমাঈল [আঃ]-এর ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল না। পক্ষান্তরে রুকনে ইয়ামানী তাদের নির্মিত ভিতের উপর স্থাপিত ছিল বিধায় রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তা স্পর্শ করিতেন। [ফাতহুল মুলাহিম-৩য় খন্ড, পৃঃ ২২০]
২৭০৯. উবায়দ ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-এর সঙ্গে হজ্জ ও উমরাহ্ মিলিয়ে ১২ বার করেছি। আমি বললাম, হে আবু আবদুর রহমান! আমি আপনাকে চারটি কাজ করিতে দেখেছি…… অবশিষ্ট বর্ননা পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক। কিন্তু তালবিয়্যাহ্ পাঠ প্রসঙ্গে রাবী [ইবনি কুসায়ত্ব] সাঈদ মাক্ববুরীর বিপরীত বর্ণনা করিয়াছেন, তবে তার উল্লেখ ব্যতীত আর সব বর্ণনায় কোন বিরোধ হয়নি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮৫]
২৭১০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যখন পাদানীতে পা রাখতেন এবং তাহাঁর বাহন দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে রওনা করত, তখন তিনি যুল হুলায়ফায় লাব্বায়কা ধ্বনি উচ্চারণ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮৬]
২৭১১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বর্ণনা করিতেন যে, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর উষ্ট্রী যখন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে রওনা হতো, তখন তিনি লাব্বায়কা ধ্বনি উচ্চারণ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮৭]
২৭১২. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি দেখলাম, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুল হুলায়ফাহ্ নামক স্থানে তাহাঁর বাহনে আরোহণ করিলেন, অতঃপর তা যখন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াল, তখন তিনি লাব্বায়কা ধ্বনি উচ্চারণ করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮৮]
৬. অধ্যায়ঃ মসজিদে যুল হুলায়ফাতে সালাত আদায় প্রসঙ্গে
২৭১৩. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হজ্জের অনুষ্ঠানাদি শুরু করার প্রারম্ভে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুল হুলায়ফায় রাত যাপন করেন এবং এখানকার মসজিদে সালাত আদায় করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯০, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৮৯]
Leave a Reply