রমাযানের শেষ দশকে ইতেকাফ

রমাযানের শেষ দশকে ইতেকাফ

রমাযানের শেষ দশকে ইতেকাফ >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১. অধ্যায়ঃ রমাযানের শেষ দশকে ইতিকাফ
২. অধ্যায়ঃ ইতিকাফে ইচ্ছুক ব্যক্তি কখন ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করিবে
৩. অধ্যায়ঃ রমাযানের শেষ দশকে [ইবাদাতের জন্য] সচেষ্ট হওয়া
৪. অধ্যায়ঃ যিলহাজ্জ মাসের [প্রথম] দশকের সওম

১. অধ্যায়ঃ রমাযানের শেষ দশকে ইতেকাফ

২৬৭০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] রমাযান মাসের শেষ দিন ইতেকাফ করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৪৬]

২৬৭১. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলূল্লাহ [সাঃআঃ] রমাযান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ করিতেন। নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, মাসজিদের যে স্থানে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইতেকাফ করিতেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] তা আমাকে দেখিয়েছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৪৭]

২৬৭২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমাযান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৪৮]

২৬৭৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমাযানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৫০, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৪৯]

২৬৭৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] ইন্তিকালের পূর্ব পর্যন্ত রমাযানের শেষ দশকেই ইতেকাফ করিতেন। তাহাঁর ইন্তিকালের পর তাহাঁর সমধর্মিনীগণও ইতেকাফ করিতেন।{১২}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৫১, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৫০]

{১২} রসুল [সাঃআঃ] খেয়াল করিলেন, এতে স্ত্রীদের অহংকার এসে গিয়েছিল এবং তাদের মধ্যে ইতেকাফ করার মর্যাদা লোপ পায়, তারা বরং অন্যের দেখাদেখি ইতেকাফ করিতে তাঁবু খাটায়। ফলে রসুল [সাঃআঃ] রমাযানে ইতেকাফ স্থগিত করে তার পরিবর্তে শাওওয়াল মাসে ইতেকাফ পূর্ণ করেন।

২. অধ্যায়ঃ ইতিকাফে ইচ্ছুক ব্যক্তি কখন ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করিবে

২৬৭৫. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইতেকাফ করার ইচ্ছা করলে ফাজরের নামাজ আদায়ের পর ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করিতেন। একবার তিনি [মাসজিদের অভ্যন্তরে] তাঁবু খাটানোর নির্দেশ দিলেন এবং তদানুযায়ী তা খাটানো হল। তিনি রমাযানের শেষ দশকে ইতেকাফ করার সংকল্প করিলেন। উম্মুল মুমিনীন যায়নাব [রাদি.]-ও তাহাঁর তাঁবু খাটিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তা খাটানো হল। অতঃপর নবী [সাঃআঃ] এর অপরাপর স্ত্রীগণও নিজ নিজ তাঁবুগুলো খাটানোর নির্দেশ দিলেন এবং তা খাটানো হল। ফাজরের নামাজ শেষে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকিয়ে তাঁবুগুলো খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন এবং তা তুলে ফেলা হল। তিনি রমাযানের ইতেকাফ ভঙ্গ করিলেন এবং শাওওয়াল মাসের প্রথম দশকে কাযা করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৫২, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৫১]

২৬৭৬. আয়েশাহ [রাদি.] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] থেকে আবু মুআবিয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের মর্মার্থানুযায়ী বর্ণিত হয়েছে।

ইবনি উয়াইনাহ্, আমর ইবনিল হারিস ও ইবনি ইসহাক্বের বর্ণনায় আয়িশা [রাদি.], হাফসাহ্ [রাদি.] ও যায়নাব [রাদি.] সম্পর্কে উল্লেখ আছে যে, তারা ইতিকাফের উদ্দেশে তাঁবু খাটিয়েছিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৫২]

৩. অধ্যায়ঃ রমাযানের শেষ দশকে [ইবাদাতের জন্য] সচেষ্ট হওয়া

২৬৭৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রমাযানের শেষ দশক শুরু হবার সাথে সাথে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সারা রাত জেগে থাকতেন ও নিজ পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে জাগাতেন এবং তিনি নিজেও ইবাদাতের জন্য জোর প্রস্তুতি নিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৫৩]

২৬৭৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমাযানের শেষ দশকে অধিক পরিমাণে এমনভাবে সচেষ্ট থাকতেন যা অন্য সময়ে থাকতেন না।

[ই.ফা ২৬৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৫৪]

৪. অধ্যায়ঃ যিলহাজ্জ মাসের [প্রথম] দশকের সওম

২৬৭৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে [যিলহাজ্জের] দশম তারিখে কখনও সওম পালন করিতে দেখিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৫৫]

২৬৮০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] [যিলহাজ্জের] দশ তারিখে সওম পালন করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৫৭,ইসলামিক সেন্টার- ২৬৫৬]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply