খারিজী সম্প্রদায় ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা

খারিজী সম্প্রদায় ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা

খারিজী সম্প্রদায় ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা  >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৪৭. অধ্যায়ঃ খারিজী সম্প্রদায় ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা
৪৮. অধ্যায়ঃ খারিজী সম্প্রদায়কে হত্যা করিতে উৎসাহ প্রদান প্রসঙ্গে
৪৯ অধ্যায়ঃ সৃষ্টি ও চরিত্রগত দিক দিয়ে খারিজী সম্প্রদায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট

৪৭. অধ্যায়ঃ খারিজী সম্প্রদায় ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা

২৩৩৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হুনায়নের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জিরানাহ্ নামক স্থানে অবস্থান করেছিলেন। বিলাল [রাদি.]-এর কাপড়ে কিছু রৌপ্য ছিল এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুঠি ভরে তা লোকদেরকে দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বলিল- “হে মুহাম্মাদ! ইনসাফ কর।” তিনি বলিলেন, হতভাগা, আমিই যদি ইনসাফ না করি তাহলে কে ইনসাফ করিবে? আর আমি যদি সুবিচার না করি তাহলে তুমি তো হতভাগ্য ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে। এ কথা শুনে উমর [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে অনুমুতি দিন আমি এ মুনাফিক্বটাকে হত্যা করি। তিনি বলিলেন, আমি আল্লাহর আশ্রয় কামনা করি। তাহলে লোক বলবে, আমি আমার সঙ্গী-সাথীদের হত্যা করি। আর এ ব্যক্তি ও তার সাথীরা কুরআন পাঠ করিবে- কিন্তু তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করিবে না [অর্থাৎ অন্তরে কোন প্রকার আবেদন সৃষ্টি করিবে না]। তারা কুরআন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩১৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৩১৮]

২৩৪০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] গনীমাতের মাল বন্টন করছিলেন ….. পূর্বের হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩১৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৩১৯]

২৩৪১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার আলী [রাদি.] ইয়ামান থেকে কিছু অপরিশোধিত স্বর্ণ অরসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে পাঠালেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা চার ব্যক্তি যথা- [১] আক্বরা ইবনি হাসিব আল হানযালী, [২] উয়াইনাহ্ ইবনি বাদ্র আল ফাযারী, [৩] আলক্বামাহ্ ইবনি উলাসাহ্ আল আমিরী ও [৪] বানী কিলার গোত্রীয় এক ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করিলেন এবং এরপর তায়ী গোত্রীয় যায়দ আল খায়র ও বানী নাব্হান গোত্রের এক ব্যক্তিতে এ থেকে দান করিলেন। এতে কুরায়শ গোত্রের লোকেরা ক্ষেপে গিয়ে বলিলেন, “আপনি কেবল নাজ্দের নেতৃস্থানীয় লোকদের দান করিয়াছেন আর আমাদের বাদ দিচ্ছেন, এটা কেমন ব্যাপার?” এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি তাদের শুধু চিত্তাকর্ষণ অর্থাৎ তাদের অন্তরে ইসলামের প্রতি ভালবাসা ও অনুরাগ সৃষ্টির জন্য দিচ্ছি। এমন সময় ঘন দাড়ি, স্ফীত গাল, গর্তে ঢোকা চোখ, উঁচু ললাট ও নেড়া মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি এসে বললঃ হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় কর। তখন রসূউল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমিই যদি আল্লাহর অবাধ্য হই, তাহলে কে তাহাঁর অনুগত হইবে? আল্লাহ আমাকে দুনিয়াবাসীদের জন্য আমানাতদার হিসেবে পাঠিয়েছেন আর তুমি আমাকে আমানাতদার মনে করছো না। এরপর লোকটি ফিরে চলে গেল। উপস্থিত লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইল। লোকদের ধারণা, হত্যার অনুমতি প্রার্থী ছিলেন খালিদ ইবনি ওয়ালীদ। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এর মূলে এমন একটি সম্প্রদায় রয়েছে যারা কুরআন পাঠ করে অথচ তাদের এ পাঠ কন্ঠনালী অতিক্রম করে না [অর্থাৎ হৃদয়ে আবেদন সৃষ্টি করে না]। এরা ইসলামের অনুসারীদের হত্যা করে এবং মূর্তিপূজারীদের ছেড়ে দেয়। তীর যেভাবে শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায় তারাও অনুরূপভাবে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়। যদি আমি তাদেরকে পেতাম তাহলে তাদেরকে এমনভাবে হত্যা করতাম যেভাবে আদ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে হত্যা করা হয়েছে [অর্থাৎ সমূলে নিপাত করতাম]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩১৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৩২০]

২৩৪২. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার আলী [রাদি.] ইয়ামান থেকে বাবুল গাছের ডাল দিয়ে রঙ্গিন করা একটি চামড়ার থলিতে করে কিছু অপরিশোধিত স্বর্ণ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে পাঠালেন। তিনি তা চার ব্যক্তির মধ্যে বন্টন করিলেন। তারা হলোঃ উয়াইনাহ্ ইবনি বাদ্র, আক্বরা ইবনি হাবিস, যায়দ আল খায়ল এবং চতুর্থ ব্যক্তি হয় আলক্বামাহ্ ইবনি উলাসাহ্ অথবা আমির ইবনি তুফায়ল। তাহাঁর সহাবীগনের মধ্যে এক ব্যক্তি বলিল, তাদের তুলনায় আমরা এর হাক্বদার ছিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এ খবর নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ “আসমানের অধিবাসীদের কাছে আমি আমানাতদার বলে গণ্য অথচ তোমরা কি আমাকে আমানাতদার মনে করছ না? আমার কাছে সকাল-সন্ধ্যায় আসমানের খবর আসছে। অতঃপর গর্তে ঢোকা চোখ, ফোলা গাল বা স্ফীত গাল, উঁচু কপাল ঘন দাড়ি নেড়া মাথা বিশিষ্ট এক ব্যক্তি নিজের পরনের কাপড় সাপটে ধরে অপবাদের সুরে দাঁড়িয়ে বলিল,

হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তার ঘাড়ে আঘাত হানব না, হত্যা করব না? তিনি বললেনঃ না, কারণ হয়তো সে নামাজ আদায়কারী হইতে পারে। খালিদ [রাদি.] বলিলেন, অনেক নামাযী আছে যে মুখে এমন কথা বলে যা তার অন্তরের বিপরীত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ মানুষের অন্তর বা পেট চিরে দেখার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়নি। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি বলিলেন, এর মূল থেকে এমন সব লোকের আবির্ভাব হইবে যারা সহজেই আল্লাহর কিতাব [কুরআন] পড়তে পারবে, কিন্তু এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করিবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রাবী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলেছেনঃ যদি আমি তাদেরকে পাই, তাহলে সামূদ জাতির ন্যায় তাদেরকে হত্যা করব।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২০, ইসলামিক সেন্টার- ২৩২১]

২৩৪৩. উমর ইবনিল ক্বাক্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এ সূত্রে আলক্বামাহ ইবনি উলাসার নাম উল্লেখ আছে, আমির ইবনি তুফায়লের নাম উল্লেখ নেই। এ বর্ণনায় স্ফীত কপাল উল্লেখ আছে এবং নাশিযু শব্দের উল্লেখ নেই। এতে আরো আছে, উমর ইবনিল খাত্ত্বাব [রাদি.] তাহাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি তার ঘাড়ে আঘাত হানব না? তিনি বলিলেন, না। তিনি আরো বলিলেন, অচিরেই এদের বংশ থেকে এমন একটি দলের আবির্ভাব হইবে যারা সুমিষ্ট সুরে সহজে কুরআন পাঠ করিবে। উমর [রাদি.] বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেন, আমি যদি তাদের সাক্ষাৎ পেতাম তাহলে সামূদ জাতির মতো হত্যা করতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২১, ইসলামিক সেন্টার- ২৩২২]

২৩৪৪. উমর ইবনিল ক্বাক্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

কিছুটা শাব্দিক পার্থক্য সহকারে এ সূত্রে উপরের হাদীস অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৩২৩]

২৩৪৫. আবু সালামাহ্ ও আত্বা ইবনি ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তারা উভয়ে আবু সাঈদ আল খুদরী [রাযীঃ]-এর কাছে জিজ্ঞেস করিলেন, “আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে হারূরিয়াহ্ [খারিজী জাতি] সম্পর্কে কোন মন্তব্য করিতে শুনেছেন? তিনি বলেন, হারূরিয়াহ্ কে তা আমি জানি না, তবে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ “এ উম্মাতের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হইবে [কিন্তু তিনি তখনকার উম্মাতকে নির্দিষ্ট করে বলেননি] যাদের নামাজের তুলনায় তোমরা নিজেদের নামাজকে নিম্নমানের মনে করিবে। তারা কুরআন পাঠ করিবে, অথচ এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করিবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে- তীর ছুঁড়লে যেভাবে বেরিয়ে যায়। অতঃপর শিকারী তার ধনুক, তীরের ফলা এবং এর পালকের দিকে লক্ষ্য করে। সে এর লক্ষ্য বস্তুর দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করে চিন্তা করে তীরের কোন অংশ রক্তে রঞ্জিত হয়েছে কিনা [অর্থাৎ তাদের মধ্যে ইসলামের নামগন্ধ এবং সামান্যতম চিহ্নও থাকিবে না]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৩২৪]

২৩৪৬. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম এবং তিনি কিছু জিনিস বন্টন করেছিলেন। এমন সময় বানী তামীম গোত্রের যুল-খুওয়াই সিরাও নামক এক ব্যক্তি এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! ইনসাফ করুন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হতভাগ্য, তোমার জন্য আফসোস! আমি যদি ইনসাফ না করি, তাহলে কে ইনসাফ করিবে? আমি যদি ইনসাফ না করি তাহলে তুমি তো ক্ষতিগ্রস্ত ও বিফল হয়ে যাবে। অতঃপর উমর ইবনিল খাত্ত্বাব [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে তার শিরচ্ছেদ করার অনুমতি দিন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাকে ছেড়ে দাও, কেননা তার কিছু সঙ্গী সাথী রয়েছে যাদের নামাজ সিয়ামের তুলনায় তোমাদের নামাজ সিয়াম নিম্নমানের বলে মনে হয়। তারা কুরআন পাঠ করিবে অথচ তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করিবে না। তীর যেভাবে শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তারাও সেভাবে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে। অতঃপর সে [ধনুকধারী] তীরের ফলার মূলভাগ পরীক্ষা করে দেখে। এতেও সে কিছুই দেখিতে পায় না, তারপর সে তীর পরীক্ষা করে দেখে এতেও সে দেখে না। অবশেষে সে তীরের পালক পরীক্ষা করে দেখে এতেও সে কিছু পায় না, তীর এত দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায় যে, রক্ত বা মলের দাগ এতে লাগতে পারে না। এ সম্প্রদায়কে চেনার উপায় হলো, এদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তির আবির্ভাব হইবে যার এক বাহুতে মহিলাদের স্তনের ন্যায় একটি অতিরিক্ত মাংসপেশী থাকিবে এবং তা থলথল করিতে থাকিবে। এদের আবির্ভাব এমন সময় হইবে যখন মানুষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেবে। আবু সাঈদ [রাদি.] বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ কথা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে শুনেছি এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আলী ইবনি আবু ত্বলিব [রাদি.] তাদের সাথে যখন যুদ্ধ করেছিলেন, আমি স্বয়ং তার সাথে ছিলাম। অতঃপর তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে আনার জন্য নির্দেশ দিলেন। তাকে খুঁজে পাওয়া গেল এবং আলীর সামনে উপস্থিত করা হলো। আমি তাকে প্রত্যক্ষ করে দেখলাম তার মধ্যে সব চিহ্ন ও বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার সম্বন্ধে বলেছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৩২৫]

২৩৪৭. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] এমন এক সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ করিলেন যারা তার ক্বওমের মধ্যে আবির্ভাব হইবে। সমাজে তখন বিভেদ বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে এ সময় আত্মপ্রকাশ করিবে। আর তাদেরকে চিনাত উপায় হলো – তারা নেড়া মাথা বিশিষ্ট হইবে। তিনি আরো বলেছেন, এরা হইবে নিকৃষ্টতম সৃষ্টির নিকৃষ্ট লোক তাদের দুদলের মধ্যে এমন দলটি হত্যা করিবে যারা হইবে হাক্বের নিকটতর। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর নবী [সাঃআঃ] তাদের মধ্যে একটি উদাহরণ অথবা একটি কথা বলেন। তা হলো – কোন ব্যাক্তি শিকারের দিকে অথবা লক্ষ্যবস্তুর দিকে তীর নিক্ষেপ করিল অতঃপর সে তীরের ফলার দিকে লক্ষ্য করিল। কিন্তু কোন চিহ্ন দেখিতে পায় না, সে তীরের দিকে তাকিয়ে দেখে – তাতেও কোন চিহ্ন দেখিতে পায় না। আবু সাঈদ [রাদি.] বলেন, সে ইরাকের অধিবাসীগণ! তোমরাই তাদেরকে {আলী [রাদি.] -এর সাথে মিলে} হত্যা করেছো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৫ ইসলামিক সেন্টার- ২৩২৬]

২৩৪৮. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন মুসলিমের মধ্যে কলহ ও মতভেদ সৃষ্টি হইবে তখন একদল লোক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং এ দুদলের মধ্যে যেটি হাক্বের অধিকতর নিকটবর্তী হইবে সেটিই ঐ সম্প্রদায়কে হত্যা করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৬ ইসলামিক সেন্টার-২৩২৭]

২৩৪৯. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার উম্মাত দুদলে বিভক্ত হয়ে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এর মধ্যে যে দলটি হাক্বের অধিকতর নিকটবর্তী হইবে সেটিই ঐ সম্প্রদায়কে হত্যা করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৭ ইসলামিক সেন্টার- ২৩২৮]

২৩৫০. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “লোকদের মাঝে যখন কলহ ও বিবাদের সৃষ্টি হইবে তখন একদল লোক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এর মধ্যে যে দলটি হাক্বের অধিকতর নিকটবর্তী হইবে সেটিই অপরটিকে হত্যা করিবে।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৮ ইসলামিক সেন্টার- ২৩২৯]

২৩৫১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] অপর এক হাদীসে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

যখন বিভিন্ন প্রকার কলহের আবির্ভাব হইবে তখন একটি দল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং দুদলের মধ্যে যেটি সত্যের অধিক নিকটতর সেটি তাদের হত্যা করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩২৯ ইসলামিক সেন্টার- ২৩৩০]

৪৮. অধ্যায়ঃ খারিজী সম্প্রদায় কে হত্যা করিতে উৎসাহ প্রদান প্রসঙ্গে

২৩৫২. সুওয়াইদ ইবনি গাফালাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আলী [রাদি.] বলেছেনঃ আমি কোন কথা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পক্ষ থেকে বানিয়ে বলার চেয়ে – আমার আকাশ থেকে পড়ে যাওয়া শ্রেয় মনে করি। আর যখন আমি আমার ও তোমাদের মধ্যকার ব্যাপার নিয়ে কথা বলি তখন মনে রাখবে যে, যুদ্ধে কৌশল ও চাতুরকার আশ্রয় নেয়া বৈধ। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিঃ সে যুগে [অর্থাৎ কিয়ামাতের পূর্বে] এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা অল্প বয়স্ক ও স্বল্প-বুদ্ধি সম্পন্ন হইবে। তারা সৃষ্টি জগতের চেয়ে ভাল ভাল কথা বলবে, তারা কুরআন মাজীদ পাঠ করিবে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না। তীর যেভাবে শিকার থেকে বেরিয়ে যায় তারাও অনুরূপভাবে বেরিয়ে যাবে। অতএব, তোমারা তাদের মুখোমুখী হলে তাদের হত্যা করে ফেলবে। কেননা তাদেরকে যারা হত্যা করিবে তারা ক্বিয়ামাতের আল্লাহর কাছে সোয়াব পাবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩০ ইসলামিক সেন্টার- ২৩৩১]

২৩৫৩. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩১ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩২]

২৩৫৪. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে অপর এক সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

উপরে বর্ণিত হাদীসটির অনুরূপ একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে এখানে- “তীর যেভাবে শিকার থেকে বেরিয়ে যায় তারা অনুরূপভাবে দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে” কথাটির উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩২ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩৩]

২৩৫৫. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

। তিনি খারিজীদের সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তাদের মধ্যে এমন এক ব্যাক্তি থাকিবে যার হাত খাটো বা মহিলাদের স্তনের ন্যায় হইবে। তোমরা যদি অহংকারে লিপ্ত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পার তাহলে আমি তোমাদেরকে মুহাম্মদ [সাঃআঃ]-এর যবানে আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি সম্বন্ধে আলোচনা করব যা তিনি তাদের হত্যাকারীদের সম্পর্কে বলেছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩৩ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩৪]

২৩৫৬. মুহাম্মাদ ইবনি আবীদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি  মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর মুখে এ কথা শুনেছেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ, কাবার প্রভুর শপথ! হ্যাঁ কাবার প্রভুর শপথ! হ্যাঁ, কাবার প্রভুর শপথ!

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩৪ ই. সে.]

২৩৫৭. যায়দ ইবনি ওয়াহব আল জুহানী হইতে বর্ণীতঃ

যে সৈন্যদল আলী [রাদি.]-এর সাথে খারিজীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল – তিনি তাদের সাথে উপস্হিত ছিলেন। আলী [রাদি.] বলিলেন, হে লোক সকল! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতে শুনেছিঃ “আমার উম্মাতের মধ্যে এমন সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা কুরআন পাঠ করিবে। তোমাদের পাঠ তাদের পাঠের তুলনায় নিম্মমানের হইবে। অনুরূপভাবে তাদের সালাম ও সিয়া্মের তুলানায় তোমাদের নামাজ-সিয়াম সামান্য বলে মনে হইবে। কুরআন পাঠ করে তারা ধারণা করিবে এতে তাদের লাভ হচ্ছে। অথচ এটা তাদের জন্য ক্ষতিরই কারণ হইবে। তাদের সালাত তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করিবে না। তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনটি তীর বেরিয়ে যায় শিকার থেকে। আর যে সৈন্যদল তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে তারা যদি তাদের নীরব মাধ্যমে কৃত ওয়াদা সম্পর্কে জানতে পারত তাহলে তারা এ কাজের [পুরস্কারের] উপরই ভরসা করে বসে থাকত। সে দলের চিহ্ন হলো – তাদের মধ্যে এমন এক লোক থাকিবে যার বাহুর অগ্রভাগে স্ত্রীলোকের স্তনের বোঁটার ন্যায় একটি মাংসপেশি থাকিবে। এর সাদা পশম থাকিবে। আলী [রাদি.] বলেন, অতএব তোমরা মুআবিয়াহ ও সিরিয়ার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানে যাচ্ছ। অপরদিকে তোমরা নিজেদের সন্তান-সন্তুতি ও ধন-সম্পদের পিছনে এদেরকে [খারিজী] রেখে যাচ্ছ। আল্লাহর শপথ ! আমার বিশ্বাস এরাই হচ্ছে সেই সম্প্রদায় [যাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করার ব্যাপারে তোমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে]। কেননা এরা অবৈধভাবে রক্তপাত ঘটিয়েছে ও মানুষের গবাদি পশু লুটপাট করেছে। সুতরাং আল্লাহর নাম নিয়ে যাত্রা শুরু কর।

সালামহ ইবনি কুহায়ল বলেন, অতঃপর যায়দ ইবনি ওয়াহব [রাদি.] প্রতিটি মঞ্জিলের বর্ণনায় আমাকে দেয়েছেন। এমনকি তিনি বলেছেন, “আমারা একটি পুলের উপর দিয়ে অতিক্রম করে খারিজীদের মুখোমুখি হলাম। এ দিন আবদুল্লাহ ইবনি ওয়াহব আর রাসিবী খারিজীদের সেনাপতি ছিলেন। সে তাদেরকে বলিল, তোমরা বল্লম ফেলে দিয়ে খাপ থেকে তরবারি বের কর। কেননা আমার আশঙ্কা হচ্ছে, তারা হারূরার দিনের ন্যায় আজও তোমাদের উপর চরম আঘাত হানবে। সুতরাং তারা ফিরে গিয়ে বল্লম ফেলে দিয়ে তরবারি খাপ থেকে বের করে নিল। লোকজন বল্লম দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হল। তারা একের পর এক নিহত হইতে লাগল। সেদিন আলী [রাদি.]-এর দল থেকে মাত্র দুজন লোক নিহত হল। অতঃপর আলী [রাদি.] বলিলেন, তোমরা এদের মধ্যে থেকে সে বিকলাঙ্গ ব্যাক্তিকে খুঁজে বের কর। অতঃপর তারা তাকে খুঁজে পেল না। তখন আলী [রাদি.] নিজেই দাঁড়ালেন এবং নিহতদের পাশে গিয়ে লাশগুলো সরাবার নির্দেশ দিলেন। তিনি তাকে জমীনের উপর পড়ে থাকা অবস্হায় দেখিতে পেয়ে – “আল্ল-হু আকবর” বলে উঠলেন। অতঃপর তিনি পুনরায় বলিলেন, “আল্লাহ তায়ালা সত্য কথাই বলেছেন এবং তাহাঁর রাসুল সঠিক সংবাদ পৌছিয়েছেন”। রাবী বলেন, এরপর আবিদাহ আস সালমানী তাহাঁর কাছে দাঁড়িয়ে বলিলেন, হে আমীরুল মুমিনীন! সে মহান আল্লাহর শপথ যিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই। আমিও এ হাদীসটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে শুনেছি। এভাবে তিনি [আলী] তিনবার শপথ করে আবদাহ্ আস সালমানীকে একই কথার পুনরাবৃত্তি করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩৫ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩৫]

২৩৫৮. রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর মুক্ত গোলাম উবাইদুল্লাহ ইবনি রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

যখন হারূরিয়াহ বের হলো এবং যখন সে আলী [রাদি.]-এর সাথে ছিল তখন বলিল, “আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো হুকুম দেয়ার অধিকার নেই” আলী [রাদি.] বলেন, “এ কথাটি সত্য কিন্তু এর পেছনে তাদের হীন উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে।” রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যাক্তি সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছিলেন আমি তাদের মধ্যে সে চিহ্নগুলো ভালভাবেই লক্ষ্য করেছি। তারা মুখে সত্য কথা বলে কিন্তু তা তাদের এটা থেকে অতিক্রম করে না। এ বলে তিনি [উবাইদুল্লাহ] তার কন্ঠনালীর দিকে ইঙ্গিত করিলেন। [অর্থাৎ সত্য কথা গলার নীচে যায় না]। আল্লাহর সৃষ্টি জগতে এরা তাহাঁর চরম শত্রু। তাদের মধ্যে কালো বর্ণের এক ব্যাক্তি রয়েছে যার একটি হাত বকরীর স্তন বা স্তনেত বোঁটার ন্যায়। অতঃপর আলী [রাদি.] তাদেরকে হত্যা করার পর বলিলেন, তোমরা তাকে খুঁজে বের কর। কিন্তু তারা তাকে খুঁজে পেল না। তিনি পুনরায় বলিলেন, তোমরা গিয়ে আবার খোঁজ কর। আল্লাহর শপথ! আমি মিথ্যা বলিনি এবং আমার কাছেও মিথ্যা বলা হয়নি। [অর্থাৎ নবী [সাঃআঃ] আমার কাছে মিথ্যা বলেননি এবং আমিও তোমাদের কাছে মিথ্যা বলছি না।] এ কথাটি তিনি দু অথবা তিনবার বলিলেন। তারা তাকে ধ্বংস-স্তুপের মধ্যে পেয়ে গেল এবং নিয়ে এসে তাহাঁর সামনে রাখল। উবায়দুল্লাহ [রাদি.] বলেন, তাদের এ তৎপরতার সময় এবং আলী [রাদি.] খারিজীদের সম্বন্ধে এ উক্তিটি করার সময় আমি সেখানে উপস্হিত ছিলাম।

ইউনুসের বর্ণনায় আরও আছে, বুকায়র বলেনঃ আমার কাছে এক ব্যাক্তি ইবনি হুনায়নের সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, “সে কালো লোকটিকে আমি দেখেছি”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩৬ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩৬]

৪৯ অধ্যায়ঃ সৃষ্টি ও চরিত্রগত দিক দিয়ে খারিজি সম্প্রদায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট

২৩৫৯. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার পরে আমার উম্মাতের মধ্যে বা অচিরেই আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হইবে – তারা কুরআন পাঠ করিবে কিন্তু তা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করিবে না, তীর যেভাবে শিকার ভেদ করে চলে যায় তারাও তেমনি দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে, আর ফিরে আসবে না। সৃষ্টিকূলের মধ্যে তারা নিকৃষ্ট ও অধম।
ইবনি সামিত [রাদি.] বলেন, আমি হাকাম আল গিফারির ভাই রাফি ইবনি আমর আল গিফারির সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, আমি আবু যার [রাদি.] থেকে এ ধরনের হাদীস শুনেছি এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? তার সামনে এ হাদীসটিও উল্লেখ করলাম। তিনি বলিলেন, আমি এ হাদীসটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে শুনেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩৭ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩৭]

২৩৬০. ইউসায়র ইবনি আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ


তিনি বলেন, আমি সাহল ইবনি হুনায়ফ [রাদি.]-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে খারিজিদের সম্পর্কে আলোচনা করিতে গিয়ে হাত দিয়ে পূর্ব দিকে ইঙ্গিত করে বলিতে শুনেছিঃ এরা এমন এক সম্প্রদায়, তারা কুরআন পড়ে কিন্তু তা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার থেকে বেরিয়ে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩৮ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩৮]

২৩৬১. সুলায়মান আশ্ শায়বানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ


এ সনদে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেন, এ উম্মাতের থেকে কতিপয় সম্প্রদায় আবির্ভূত হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৩৯ ইসলামিক সেন্টার-২৩৩৯]

২৩৬২. সাহল ইবনি হুনায়ফ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ


নবী [সাঃআঃ] বলেন, “মাথা নেড়া এক সম্প্রদায় [খারিজি] পূর্ব দিক থেকে বেরুবে।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৩৪০ ইসলামিক সেন্টার-২৩৪০]


Posted

in

by

Comments

One response to “খারিজী সম্প্রদায় ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা”

Leave a Reply